নায়কদের খোঁজে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/১২/২০০৯ - ৫:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদম ল্যাদাকালে আমার নায়কেরা ছিল বিভিন্ন কার্টুন চরিত্র। সুপারম্যান দেখতে দেখতে আমার মনে একটা ধারণা বদ্ধমূল হয় যে জাঙিয়া জিনিসটা প্যান্টের নিচে না প্যান্টের উপরেই পরা উচিত। কৈশোরে আমার নায়কদের জায়গা নিয়ে নেয় বিভিন্ন গল্পের বইয়ের চরিত্রেরা। কল্পনার সমুদ্রে ভেলা ভাসিয়ে দিয়ে আমি কখন হতাম লোভী রত্নশিকারী, কখনবা বনে বাদারে ঘুড়ে বেড়ানো দুরন্ত কিশোর আবার কখনবা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টলেজেন্সের চৌকষ ইচপাই মাসুদ রানা। মাসুদ রানা পড়তে গিয়ে যে কতবার বাপ মার হাতে ধরা খাইসি তার হিসাব নাই। গুলি জিনিসটা কেন সবসময় মাসুদ রানার কানের ১ সেন্টিমিটার পাশ দিয়ে যায়, ১ মাইল কিংবা ১ মিটার দূরে দিয়ে কেন যায় না সেইটা আজ ও আমার কাছে রহস্য।
আরেকটু বড় হওয়ার পর ব্যাপক মাত্রায় হিন্দি সিনেমা গিলা শুরু করলাম। মেয়ে দেখলেই হিন্দি সিনেমার চাকবুম নায়কদের মত ভাব নিয়ে অগ্রসর হইতাম। আপসুস কেউ ফিরাও তাকাইত না। ক্লাস এইটে উঠার পর ইংরেজীটা মোটামুটি আয়ত্তে আসল। বন্ধু বান্ধব সহ আত্মীয়রা আমারে একটু ভিন্ন চোখে দেখা শুরু করল। আমি তখন তাদের কাছে মোটামুটি আতেল হিসাবে পরিচিতি পাইলাম। আমার তো এখন আর হিন্দি সিনেমা দেখা চলে না। তাই একরকম ঘোষণা দিয়ে হিন্দি সিনেমা দেখা ছাড়লাম। শুরু করলাম বিলাতি ছবি দেখা। ২০০৪ সালে আমি দেখি Saving Private Ryan। আর এই ছবিটাই পালটে দেয় আমার অনেক কিছু।
ছবিটা দেখার আগে এক বন্ধুর কাছে শুনে ছিলাম যে ছবিটা সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। মনে আছে শেষ হওয়ার পরে ও স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম কিছু সময়। ভীষণভাবে নাড়া খেয়েছিলাম সেদিন। 2nd World War নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করি সেদিন থেকে। 2nd World War নিয়ে বের হওয়া প্রচুর ছবি দেখি তারপর। পড়াশোনা ও শুরু করি ব্যাপারটা নিয়ে। আমার বইপত্রের উতস (অভ্র কীবোর্ড) ছিল বাবার ব্যাক্তিগত লাইব্রেরী আর আন্তর্জাল। আমার মন তখন তীব্রভাবে আচ্ছন্ন করে রাখত 2nd World War(অভ্র কীবোর্ড) এর বিভিন্ন বীরেরা। বাবার লাইব্রেরী থেকেই একদিন আমার হাতে আসে ২ টা বই।
১। একাত্তরের ঘাতক দালালরা কে কোথায়
২।Rape of Bangladesh by Anthony Mascarenhas
শিউড়ে উঠে ছিলাম বই দুটি পড়ার পর। এবার আমার আগ্রহ জাগে ১৯৭১ নিয়ে। শুরু করলাম বইপ্ত্র খোঁজা। যতই পড়ি আমার অবাক হওয়ার মাত্রা ততই বাড়তে থাকে। একটু মেলানোর চেষ্টা করি। কিন্তু মেলে না।
আমি আসলে তখন তুলনা করা শুরু করলাম। ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে 2nd World War এর যোদ্ধাদের। অনেকে হয়ত বিরক্ত হচ্ছেন। ভাবছেন এটা কোন কথা হল। কিন্তু আসুন না একটু দেখি। 2nd World War এর মিত্রবাহিনীর যোদ্ধাদের ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র(দুই একটা ব্যতিক্রম বাদে), সুসংগঠিত সরকার আর চটকদার মিডিয়া কাভারেজ। পক্ষান্তরে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বল ছিল সামান্য স্টেনগান,মান্ধাতার আমালের রাইফেল। আর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়তো প্রথম ২ মাস প্রশাসনের অস্তিত্তই ছিল না। আর মিডিয়া!!!!!!!! পাকিদের পা চাটা কুত্তা জামাত মুক্তিযোদ্ধাদের ততদিনে মিডিয়ায় অনুপ্রবেশকারী,দূর্বৃত্ত হিসাবে প্রমাণ করতে ব্যস্ত। তাঁদের তখন একমাত্র ভরসা ছিল সবাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। ঠিক কিসের আশায় নিজেদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের চিন্তা বাঁদ দিয়ে এরকম অনিশ্চিয়তার পথে পা বাড়িয়েছিল রুমির মত তরুণেরা আমি জানি না। মায়ের স্নেহ মাখা আচল,প্রেমিকার চোঁখের পানি উপেক্ষা করে কেমন করে তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়েছিলেন আমি জানি না। জোছনা রাতে রাইফেল কাঁধে চাঁদের দিকে তাকিয়ে তাঁরা কি ভাবছিলেন আমি তা ও জানি না। আমি শুধু এতটুকু জানি যে আমি তাঁদের মত না। মুক্তিযুদ্ধের সময় তরুণ থাকলে আমি ঠিকই হয়ত ভারতে ভাগতাম। আমি এ ও জানি যে তাঁরা শুধু যোদ্ধা না। মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের সাথে কার ও তুলনা চলে না।
আমি অবাক বিস্ময়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ি। গর্বে আমার বুক ভরে যায় এটা চিন্তা করলে যে আমারই পূর্বপুরুষ এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল। এই মুক্তিযোদ্ধারাই আমার নায়ক। আপনাদের শ্রদ্ধা বা ভালবাসা জানানর ভাষা আমার জানা নেই। আজ যখন তথাকথিত দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের আপনাদের স্তুতি গাঁইতে দেখি তখন বড় বিপন্ন বোধ করি। তাদের সবার কীর্তিকলাপের কিছু কিছু জানি। প্রচন্ড ঘেন্না বোধ হয়। এবারই প্রথমবারের মত ভোটাধিকার পাওয়ার পর ঘৃণা ভরে না প্রতীকে ভোট দিয়েছি। তাই বলে এটা ভাববেন না যে আমি আমার দেশ নিয়ে আশাবাদী না। যে দেশে আপনাদের মত সোনার মানুষদের জন্ম হয় সে দেশ পিছিয়ে থাকতে পারে না। আমি দৃঢ় ভাবে মানি যে মেহনতি সাধারণ মানুষ আর নুতন প্রজন্মের তরুণেরাই শেষ করবে আপনাদের যুদ্ধের পরের যুদ্ধ।
তার্কিক


মন্তব্য

রাফি এর ছবি

লেখার মূল থিমের সাথে ভীষণভাবে একমত। তবে 'মুক্তিযোদ্ধা' এইটুকুই নয়, আমার হিরো ছিলেন খালেদ মোশাররফ আর কাদের সিদ্দিকী খুবই প্রিয়।
প্রথম আলোতে নিয়মিত ছাপা হওয়া সেতুকাহিনীও সেই নায়ক মূর্তিতে দাগ লাগাতে পারে নি।
সচলে স্বাগতম।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ রাফি ভাই। খালেদ মোশাররফ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানি না। কোন বই কিংবা লিংক কি একটু দিবেন?
তার্কিক

রাফি এর ছবি

শুধু খালেদ মোশাররফ সম্বন্ধে বই খুব বেশি আছে বলে জানা নেই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস নামে কয়েকখণ্ডের বিশাল দু'টা বই আছে; ওগুলা কেনা সম্ভব না এই অবস্থায়। ভাল হয় তুমি যদি শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির তিনতলায় গিয়ে দেখ। শুধু এই দু'টা নয় রেফারেন্স হিসেবে অনেকগুলো বই আছে সেখানে; সবগুলো আস্তে আস্তে শুরু কর। দেখবা রণাঙ্গণের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে তিনি কী রকম বিচক্ষণ ছিলেন।

উনার নিজের লেখা একটা বই আছে "আমিই খালেদ বলছি" এই নামে। পেলে সেটাও পড়ো।
আর কাদের সিদ্দিকীর কাহিনী জানতে একটা বইই যথেষ্ট। কাদের সিদ্দিকী'র নিজের লেখা "স্বাধীনতা ৭১" নিউমার্কেট পাবা, দামও খুব বেশি না ২০০ এর মত নিবে।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

হিমু এর ছবি

তার্কিক, আপনার কাছে কয়েকটা প্রশ্ন। কিছুটা ব্যক্তিগত, অনভিপ্রেত মনে করলে উত্তর দেয়ার দরকার নেই।

আপনি হায়ার সেকেণ্ডারি (বা এ লেভেল) দিয়েছেন কোন সালে?

মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে কেন আপনাকে বই পড়ে জানতে হলো? আপনার বাবা আপনাকে কিছু বলেননি তাঁদের সম্পর্কে? পত্রিকায় পড়েননি? টিভি-রেডিওতে শোনেননি?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সাফি এর ছবি

চমৎকার। সচলে এইটাই কি প্রথম লেখা? তাহলে স্বাগতম।
আমিও প্রথম ভোটটা না কেই দিয়েছিলাম, কিন্তু তাও তাকে জেতাতে পারিনাই মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সাফি ভাই। হ্যা এটাই আমার সচলে প্রথম লেখা

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হিমুদা। জি আমাকে আমার বাবা মা বলেছিলেন। আমি রেডিও টিভিতেও শুনেছি। কিন্তু আমার জানাটা ছিল অসম্পূর্ণ। আমি এই ব্যাপারটি নিয়ে ভাল মত পড়া শুরু করি মেট্রিক দেয়ার পরের যে ৩ মাস বন্ধ থাকে সে সময়। আর তখনই আমার বোধদয় ঘটে। এর আগে দেশ,জাতি,মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অত মাথা ঘাটাতাম না। যতটা এখন ঘাটাই।আর আমি মেট্রিক দেই ২০০৪ সালে।
তার্কিক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আমার দেশকে নিয়ে অনেক আশা করি এই কারনে যে,
যেরকম সম্বল নিয়ে যে চেতনায় এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল,
সেই রক্ত এখনো এই বাংলায় আছে।

-মজনু

সজল [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ সাবলীল লেখা।
আরো লিখত থাক্ ।

সজল [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ সাবলীল লেখা।
আরো লিখতে থাক্ ।

এনকিদু এর ছবি

গর্বে আমার বুক ভরে যায় এটা চিন্তা করলে যে আমারই পূর্বপুরুষ এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল।

এই লাইনটা ভাল লাগল খুব ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার একজন রিটায়ার কর্নেল দোস্ত আছে...
উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা...
আমি সময় পেলেই তার কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প,তার লেখা কবিতা শুনতে চলে যাই ...
যখন মনে হয় যে-যুদ্ধ শেষ না হলে আজ আমাকে রাস্তার কুকুরের মত বেঁচে থাকতে হত...
তখন এই মানুষ গুলোর প্রতি আপন মানুষের থেকেও বেশী ভালবাসা অনুভব করি...

আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে....

(জয়িতা)

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার লেখাটা। আমি বাঙ্গালী হিসেবে গর্বিত। আমি আশাবাদী একদিন না একদিন দেশ ঠিকই এগিয়ে যাবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমাকেও অনেক টানে। আমিও খুজে খুজে অনেক ছবি কালেকশন করছি। আপনার কাছে ছবির লিস্ট থাকলে দয়া করে আমার মেইল ঠিকানায় দেবেন কি?

মেইলের অপেক্ষায় রইলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যগুলো জবাবে ক্লিক করে তারপর দিবেন।
তুমি এত পরে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আগ্রহ দেখিয়েছ শুনে খারাপই লাগল।

স্পার্টাকাস

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

যাক, ২০০৪ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছে এমন আরেকজন পাওয়া গেলো।:D

তালিকার ২য় বইটা (মাস্কারেনহাস) - আমি পড়েছি ক্লাস এইটের দিকে। ১ম বইটা অবশ্য আমি এখনো পড়ি নাই। ... যুদ্ধভিত্তিক ছবি (বলা ভালো, সব ধরণের ছবি) দেখা আমার শুরু অনেক পরে। ২০০৫ এর দিকে। এর আগ পর্যন্ত দিন দুনিয়া সম্পর্কে বই পড়েই জানার চেষ্টা করেছি।

... লেখা ভালো লেগেছে। আরো লিখুন।

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

২০০৪ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছে এমন আরেকজন পাওয়া গেলো

এমন কয়জন আছে ভাইজান ? কারণ আমি ও ওই দলের কিনা...খাইছে

---নীল ভূত।

অতিথি লেখক এর ছবি

যাক অনেককেই পাওয়া যাচ্ছে তাহলে। কিন্তু সুহান তুই তোর নিজের ক্লাসমেটকেই চিন্তে পারবি না এটা কেমন কথা!?!?
তার্কিক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নাম আর নিক দেখেই সন্দ হৈসিলো...
যাক এখানে আর কিছু বললাম না- তুই রেডি থাক। প্রথম লেখা আসছে দেখে খাওয়াবি...

_________________________________________

সেরিওজা

তানবীরা এর ছবি

লেখাটা অসম্ভব ভালো লেগেছে। কতো রকম কোনা থেকে যে লেখা শুরু করা যায়, কতো বৈচিত্র্য দিয়ে চেনা বিষয়কে নতুন ভাবে পরিবেশন করা যায় তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে এ লেখাটা। কতো কিছু যে শেখার আছে।

স্বাগতম আপনাকে।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সাবাশ! আরো লেখ ভাই, সচলে স্বাগতম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ তানবীরা আপু,সাঈফ দা। আপানাদের মত মানুষদের জন্যই এত ভাল লাগে সচলায়তন।
তার্কিক

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

তার্কিক,
আপনার লেখা পড়ে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে Saving Private Ryan -এর মত ছবি যে আমরা কবে বানাতে পারব?
আমার একটি ব্যক্তিগত স্বপ্ন ছিল ---একদিন মুহম্মদ জাফর ইকবালের 'আমার বন্ধু রাশেদ' নিয়ে ছবি বানাবো। গুণী এবং শ্রদ্ধেয় পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম ছবিটা বানিয়ে ফেলছেন জেনে (প্রথমে একটু মন খারাপ হলেও) অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছি ছবিটি দেখার জন্য।

ভণ্ড_মানব এর ছবি

অনেক দামি বিষয়ে লিখেছেন ভাই। এজন্য ধন্যবাদ।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবারই কম বেশি জানা থাকা উচিৎ। আমি নিজেও এব্যাপারে মুটামুটি অজ্ঞ। তবে এখন 'মুক্তিযুদ্ধে বিদেশীদের ভূমিকা' বিষয়টা নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করছি।
এখানে গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটা সামারি পেতে পারেন।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।