ভালমন্দ বাছবিচার না করে বই পড়ার বাতিক আমার ছোট বেলা থেকেই। অবশ্য এই বাতিক এখানে সবারই কম বেশি আছে জানি, নাহলে সচলায়তনে ডুবে থাকতে পারত না। ভালমন্দ বিচার না করার কারনে এক দিকে ওইসব(!) বই যেমন গোগ্রাসে গিলেছি, তেমনি ক্লাসিক বইগুলোও। ক্লাসিকের ক্ষেত্রে আমার যা হয়, পড়া শেষে তিন চার দিন তা আমার মাথায় হাঁটু গেড়ে বসে থাকে। ওই কয়দিন আমি অন্য কোন বই ধরিনা। শেষ পড়া বইটির কাহিনী চিন্তা করি, লেখকের, লেখার পাত্রপাত্রীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করি, লেখার স্টাইল দেখি। অনেকটা খাবারের শেষ লোকমাটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার মত।
অনেক বই আছে একবার পড়লেই তার আবেদন শেষ হয়ে যায়। অনেকটা হুমায়ুন বা বাইরের ড্যান ব্রাউনের মত। আর কিছু আছে কোরানের মত, যেগুলো বারবার পড়ার জন্য কারো নির্দেশ লাগেনা, মানুষ স্বেচ্ছায় ওইসব বইয়ের মোহে আটকে থাকতে চায়। এই বাংলাতেই আমি এমন অনেক লেখক পেয়েছি যারা তাদের লেখা দিয়ে আমাকে টানা এক মাস পর্যন্ত স্বপ্নের জগতে ঘুরিয়েছে। এসব বই আমি বেশ কয়েকবার করে পড়ি।
বই পড়ার রুচি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পালটায়। ছোটবেলায় বারবার পড়া বই বড় হয়ে পানসে লাগে। কিন্তু দুটি বইয়ের কাছে আমি নিত্য পরাজিত। যতবার পড়ি ততই ভাল লাগা এক্সপনেন্সিয়াল হারে বৃদ্ধি পায়। বইদুটো হল রবীন্দ্রনাথের “গল্পগুচ্ছ” আর সৈয়দ মুজতবা আলীর “দেশে বিদেশে”। আমাকে কোন দ্বীপে একা পাঠিয়ে দেয়া হলে আমি সঙ্গে এই দুটি বই রাখতে চাইবো নিশ্চিত।
আমার কাছে মনে হয় রবীন্দ্রনাথকে তার ছোট গল্পের জন্য আরেকবার সাহিত্যে নোবেল দেয়া উচিত ছিল। তার প্রতিটি গল্পের অনেক লাইনকে ভাবসম্প্রসারন করেই একেকটি বই লেখা যায়। আমার ইহজীবনে কাউকে দেখিনি যে গল্পগুচ্ছকে খাটো করে কোন কথা বলেছে। কিন্তু “দেশে বিদেশে” কে গল্পগুচ্ছের পাশাপাশি স্থান দিতে দেখলে অনেকেরই মেজাজ বিগড়ে যায়।
আমার কাছে ভ্রমণকাহিনীর গুরু মনে হয় মুজতবা আলীকে। তার মত এত রসিয়ে রসিয়ে গল্পের মত করে কেউ ভ্রমণকাহিনী এখন পর্যন্ত লিখতে পারেনি। তার বইয়ে অসংখ্য চরিত্র থাকে, কিন্তু কোনটিকেও যেন ভোলা যায়না। লেখার গুণে বিদেশীদেরকে আমাদের ভাই বেরাদার বলেই মালুম হয়। মুজতবার চমকানো কাহিনী তৈরীর কোন চেষ্টা নেই, অথচ বাক্যে শব্দগুলো এমন ভাবে সাজান যে না চমকে পারা যায়না। এখানে দেশে বিদেশের কয়েকটা লাইন বলি-
“মা জননী মেরী সরাইয়েও জায়গা পাননি বলে শেষটায় গাধা খচ্চরের মাঝখানে প্রভু যীশুর জন্ম দেন নি? ছবিতে অবশ্য সায়েবসুবোরা যতদূর সম্ভব সাফসুতরো করে সব কিছু আঁকেন, কিন্তু শাকে ঢাকা পড়ে কয়টা মাছ?”
“কোন একটি সুন্দরীকে বেছে নিয়ে যদি বিয়ে করি, তার মানে কি এই নয় যে, আমার মতে দুনিয়ার আর সব মেয়ে তার তুলনায় কুচ্ছিত? একটি সুন্দরীর জন্য দুনিয়ার সব মেয়েকে এরকম বে-ইজ্জত করতে আমার প্রবৃত্তি হয়না।”
“জানিসনে এই দস্তানা পরে হাত ধোয়ার ভারী সুবিধা, হাত জলে ভেজে না, অথচ হাত ধোয়া হোল”
এমন লাইন তাঁর বইয়ে ভূরিভূরি আছে। এবং প্রতিবারই আমি মজা পাই। মুজতবার সবগুলো বইই ভাল। কিন্তু আমি শুধু দেশে বিদেশে’র কথা বললাম এইটার প্রতি আমার আলাদা দূর্বলতার জন্য। আমি জানি সচলের সবারই এই বইটা পড়া আছে।
স্পার্টাকাস
মন্তব্য
এই ভদ্রলোকের লেখাগুলোর এমন একটা টান যে কিছুতেই এড়ানো যায় না। আর গল্পের মানুষগুলোকে এত কাছের মনে হয় লেখার গুণে, যে তখন বোঝাই যায় না এরা কত দূরের কত ভিন্ন কালচারের ভিন্ন ভাষার ভিন্ন মানসিকতার লোক! দেশেবিদেশে আর চাচাকাহিনীর লেখাগুলো সব রত্ন!
সেই বৃদ্ধ যিনি ব্যাকরণসম্মত আরবী শেখানোর জন্য লেখকের সঙ্গে খুবই জটিল ভাষায় বাক্যালাপ করতেন, যেই না লেখকের শেখা হয়ে গেল উনি সোজাসরল ভাষায় কথা বলতে শুরু করলেন, বললেন শিষ্য যখন শিখে ফেলে তখন তো আর গুরুগিরি দরকার নেই! "ভাইসব, আমরা ভেঙে দেবো গুঁড়িয়ে দেবো অটোক্রেসি ডেমোক্রেসি অ্যারিস্টোক্রেসি অমুক ক্রেসি তমুক ক্রেসি" বলে বক্তৃতা দিত যে লোক তাকে ভোলা যায় না। "তুমি বুঝি অ্যানার্কিস্ট ?" এই প্রশ্ন শুনে সে বলেছিলো অ্যানার্কিও আমরা গুঁড়িয়ে দেবো।"
বিয়ারবিলাসী দিলখোলা তরুণ অস্কারকে ভোলা যায় না, সেই কড়া কর্ণেলকে ভোলা যায় না, সেই "বেঁচে থাকো সর্দিকাশি"র ডাক্তারকে ভোলা যায় না।
লেখাগুলো সব রত্ন। সারাজীবনের সম্পদ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চাচা কাহিনী আমারো একটা প্রিয় বই। বইটা অনেকটা বৈঠকি মেজাজে লেখা। আড্ডা মারতে মারতে গল্প বলে যাওয়া।
পড়েছেন বলে ধন্যবাদ।
স্পার্টাকাস
সেকী! তুলি'দা আপনি ওই ডাক্তারকে সত্বর ভুলে যান। মনে রাখতে চাইলে মনে রাখুন ডাক্তারের প্রেমিকাটিকে । আমার মতো ।
আহা... কী তার রুপ...আর কী তার বর্ণনা...সেই নারীকে হাতড়ে দেখলেও মুজতবা আলী যেভাবে বর্ণনা দিয়েছেন সেভাবে দেখতে পেতামনা...তাঁর বর্ণনা শুনে মুগ্ধ হতে হয়...প্রেমে পড়তে হয়...অবাক হতে হয়...নিষ্পলক তাকিয়ে থাকতে হয়...কিন্তু কোনভাবেই সে নারীকে অসন্মান করা যায়না...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুন লেখা স্পার্টাকাস!
মাঝে মাঝে বেশ আত্মশ্লাঘা অনুভব করি এই ভেবে যে আমি মুজতবা আলীর দেশের লোক। দেশে বিদেশে আমার প্রিয়। কিন্তু মুজতবা আলীর লেখা সবচাইতে প্রিয় বইটা হল 'গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন"। মুজতবা আলীর শান্তিনিকেতনে কাটানো সময় নিয়ে এই স্মৃতিচারণমূলক লেখা নানা কারণেই ভাস্বর। বইটাতে আমাদের চেনা রবীন্দ্রনাথের বাইরের একজন সাদাসিধে রবি বাবুর দেখা মেলে। বইটা যেমন একদিকে দম ফাটানো হাসির তেমনি কিছু কিছু জায়গা আছে যে অংশটুকু পড়লে চুরি করে খাওয়া বিস্কুটের গুড়োর মত আনন্দের রেশ লেগে থাকে মুখে।
সুযোগ পেলে পড়ে নিও।
"গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন" টা আমার এখনো পড়া হয়ে উঠেনি। আজকালের মধ্যেই জোগাড় করতে হবে।
আপনার চুম্বক নিয়ে শেষ পর্ব কবে আসছে? অপেক্ষা করে আছি।
ভাল থাকুন।
স্পার্টাকাস
আমি পড়ি নাই এইটা!
আনাইতে হবে।
এই রে। আমিও তো মুজতবা আলীর দেশের লোক
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
থ্যাঙ্কু ভাই।
স্পার্টাকাস
দারুন লেখা, আসলেই সৈয়দ মুজতবা আলীর কোন তুলনা নেই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপ্নের ভ্রমণ কাহিনী আবার কবে আসছে?? লুল জমা কইরা রাখছি।
স্পার্টাকাস
বই পড়ে বোধহয় আমি একবারই প্রেমে পড়েছিলাম কোনো মেয়ের
এখনও সেই প্রেম থেকে উঠতে পারিনি
আর সেটা হলো মুজতবা আলীর শবনম
শবনম ইজ ওয়ান অফ দ্যা বসেস্ট!
স্পার্টাকাস
শিরোনাম 'বই কখন' নাকি বই কথন ?
সৈয়দ সাহেব নমস্য লোক। উনাকে নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলা ফন্ট ছোট আকারে দেখায় বলে চোখ এড়িয়ে গেছে। মডুরা কেউ কি ঠিক করে দেবেন?
স্পার্টাকাস
দেশে বিদেশে ,চাচা কাহিনী, পন্চতন্ত্র, ধূপছায়া --আহ্ ... অসাধারণ সব মাস্টারপিস !!
তবে শবনম ;পড়ে ...পড়ে কিছুতেই সাধ মেটেনা !
সৈয়দ মুজতবা আলীকে নিয়ে এই " দুর্দান্ত " লেখায় স্পার্টাকাস আপনাকে ;
ধনেপাতা আনলিমিটেড!!
-----------------------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এত ধনেপাতা কই রাখব? কিছু আপনিও নেন।
স্পার্টাকাস
খুব ভাল্লাগলো। নিজের কথাই বললেন অথচ বই নিয়ে আলোচনা হল।
ভ্রমন কাহিনী আমার চোখের বিষ। অন্যের মুখে ঝাল খাইতে গা জ্বলে। আমি তাই নির্জলা ভ্রমন কাহিনী এড়িয়ে চলি। বসে'র "জলে-ডাঙায়" পড়ে প্রথম বুঝেছিলাম, ভ্রমন কাহিনীও পড়া যায়।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু। বসের সব বই নিশ্চই পড়ে ফেলেছেন?
স্পার্টাকাস
- সৈয়দ সাহেবই আমার মাথায় যাযাবরি পোকা ঢুকাইছেন। যখন বুড়া হবো, তখন সৈয়দ সাহেবের মতোন অতো মজা করে কিছু লিখতে না পারলেও গায়ে ধূসর রঙা শাল চড়িয়ে, মুড়িমাখা খেতে খেতে পোলাপানকে আমার যাযাবরি জীবনের গল্প শোনাতে পারবো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্প বলতে বুড়া হওয়া লাগে নাকি? এখনি আসর বসান, আপ্নের সামনে এক কাপ ধূমায়িত চা হাতে আমিও থাকতে চাই।
স্পার্টাকাস
ছোটবেলায় ক্লাশে দ্বিতীয় হয়ে একবার স্যারের একটা বই পাইসিলাম। সেই থেকে শুরু। গুরু আপনাকে সালাম।
স্পা ভাই, ধনেপাতা - কাচামরিচ সব দিলাম লেখাটার জন্য।
নীল ভূত।
স্পা কোত্থেকে আইল? শেষ পর্যন্ত শরীর মর্দনের সাথে আমার নিক জুড়ায় দিলি!
ভাল থাকিস।
স্পার্টাকাস
মুজতবা আলীর মত স্মার্ট বাংগালি কয়জন আছে বা ছিল?
আমি যদি চলচ্চিত্র বানাত পারতাম তাহলে দেশে-বিদেশেকে একটা ট্রাই দিতাম...পাহাড়ের চূড়ায় হুমায়ুনের কবর, বাচ্চা সকাও-এর দলের উপর বোম ফেলছে সোভিয়েত প্লেন আর লেখক প্লেনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখছেন ছলছল চোখে মর্তমান কলার মত আঙ্গুলে ভর্তি হাত নাড়ছে তার আফগান সহচর - আহ কী ফটোজেনিক! তার সাথে আফগানিস্তানের 'সেই সময়' এর পুঙ্খানুপুংখ ডিটেল, একেবারে ভেতর থেকে দেখা - অস্কার কনফার্মড!
দেশে বিদেশে'তে কো্ন টানটান উত্তেজনার কাহিনীতো পাবেন না, মুভিটা ডকুমেন্টারী টাইপ হতে পারে। আপনার ক্যামেরার কাজ দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
স্পার্টাকাস
কাবুলে বাবুরের কবর।
রব
আরেক্টা কথা...মুজতবা আলীর উইকিপিডিয়া ভুক্তিটা বড়ই দুর্বল, একটা ছবি পর্যন্ত নাই, কেউ কি একটু দেখবেন?
রাগিব ভাইরে আওয়াজ দেন বস, উনি সাহায্য করতে পারবেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মুজতবা আলীর সব লেখাই মাস্টার পিস! শবনমের প্রেম থেকে আজো সেরে উঠতে পারিনি...দেশে-বিদেশে পুরাই পাঙ্খা!...অবিশ্বাস্য, শহরইয়ার ভুলে যাইয়েন না...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সৈয়দ সাহেব বস পাব্লিক, তাকে নিয়ে বলার কিছু নাই...
তবে ভিন্নস্বাদের হলেও সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভ্রমণকাহিনী আমার ভালো লাগে। গাছপালা চাঁদ সূর্য যেন কথা কয়...
ভালো লাগলো আপনার লেখা। আপনার আরো প্রিয় কিছু বই নিয়েই লিখতে অনুরোধ রইলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনাদের কি কখনও মঈনুস সুলতানের লেখা পড়তে পড়তে মুজতবা আলীর কথা মনে পড়ে যায়?
কোনো বিষণ্ন দিনে; বলি একটা-মানুষ ভাবে আরেকটা- এরকম মন খারাপের দিনে যে বিষয়গুলো, যে মানুষগুলো আমার মন ভালো করার সম্বল- সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁদের একজন। 'আবদুর রহমান', 'চাচা' কিংবা মুজতবা আলীর সাথে 'আড্ডা'য় যখন ডুবে যাই, তখন আর ওসব কথা মনেই থাকে না!
দেশে-বিদেশে পড়েই প্রথম আফগানিস্তানে যাওয়ার শখ জেগেছিলো, যদিও এখন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যাচ্ছি না। সেই আফগানিস্তান কি আর আছে!
আপনাকে ধন্যবাদ বসকে সচলের পাতায় তুলে আনার জন্য।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
চুপি চুপি বলি- যে আমি ইতিহাস আর গল্প-উপন্যাস ছাড়া ভ্রমণকাহিনী বা প্রবন্ধ পড়িই না, সেই আমিই আলী সাহেবের ভ্রমণকাহিনীও একমনে গিলেছি...।
এখনো পর্যন্ত পড়া সেরা গল্পগুলোর মাঝে আলি সাহেবের "বেলতলাতে দু'দুবার" , "পাদটীকা" আর "বেঁচে থাকো সর্দিকাশি" থাকবেই... মাস্ট।
_________________________________________
সেরিওজা
it war really nice to read it
keep it up
চমৎকার লিখেছেন, মুজতবা আলীর মতনই কুড়মুড়ে আর মচমচে
এখানে বইটি পড়তে পারেন:
Deshe Bideshe on Scribd
সহমত
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মাইচ্চে কাগু!! তা লেখা পড়তে পড়তে মাথায় একখান প্রশ্ন ঘুরতেছিলো। আপ্নেরে সৈয়দ সাহেবের আত্মীয় বলে মালুম হইতাসে। নিকখানাও ত সেইম!
নতুন মন্তব্য করুন