-দীপায়ন খীসা-
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির এক যুগ হয়ে গেল ২ ডিসেম্বর। চুক্তির এক যুগপূর্তি নিয়ে দেশের শীর্ষ চিন্তকদের অন্যতম বদরুদ্দীন উমর ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরে একটি কলাম লিখেছেন। তিনি মার্কসীয় সমাজ বিজ্ঞানের একজন বিদগ্ধ তাত্ত্বিক।
অবশ্য তাঁর মার্কসীয় ব্যাখ্যা নিয়ে এই দেশের অনেকের ভিন্ন মত রয়েছে। কিংবা বলা যায় তিনি নিজেই ভিন্নমতালম্বী। তবে তাঁর জ্ঞান-গরিমার গভীরতা নিয়ে ভিন্নমত তেমন থাকার কথা নয়। দেশের এই শীর্ষ চিন্তক পার্বত্য চুক্তি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে যে মতামত রেখেছেন সেই মতের সাথে একমত হতে না পেরে এই লেখার অবতারণা।
উমর ভাই প্রায় সময় উপহাস করে লিখেন, কিছু লেখক আছেন যারা টক-ঝাল-চনাচুর মার্কা লেখা লেখেন। এই আমি সে পর্যায়ের লেখকও নই। উমর ভাইয়ের সাথে ভিন্ন মত প্রকাশ করে কলম ধরাও এক ধরনের ধৃষ্টতা। আমার মত এক অর্বাচীন সেই কাজটি করতে যাচ্ছে। আশা করছি আমার প্রিয় উমর ভাই বিষয়টি উদার দৃষ্টিতে দেখবেন।
চুক্তির ১ যুগ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ৮ ডিসেম্বর এক মতবিনিময় সভায় পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন।
সন্তু লারমার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বদরুদ্দীন উমরেরর ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে চক্রান্ত’ শীর্ষক নিবন্ধটি যুগান্তরে প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে তিনি দাবি করেছেন‘সরকারের কিছু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগী এ সভায় উপস্থিত থেকে, বক্তব্য রেখে এবং সন্তু লারমার এ দাবির বিরোধীতা না করে তাকে সমর্থনের জোগান দিয়েছেন।’
৮ ডিসেম্বরের মতবিনিময় সভায় বর্তমান সরকারের কেউ উপস্থিত ছিলেন সেটা বদরুদ্দীন উমরের লেখা থেকে প্রথম জানা গেল। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগী কারা উপস্থিত ছিল সেটাও তিনি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেননি। সেদিন আমন্ত্রিতদের তলিকায় ছিলেন সংবাদকর্মী, গণমাধ্যমে কর্মরত বিভিন্ন পদস্থ ব্যক্তিবর্গ, লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে একটি মনগড়া তথ্য দিয়ে তিনি লেখার অবতারণা করেছেন।
বিষয়টি উমর ভাইয়ের মত একজন খ্যাতিমান চিন্তকের জন্য শোভনীয় নয়। যারা আমার মত আধা লেখক তারাও নিশ্চয় লেখার ক্ষেত্রে, তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করেন। তিনি আরও লিখেছেন সন্তু লারমা স্বাধীন পার্বত্য অঞ্চলের জন্য আন্দোলন করেছেন। এই তথ্যটি একটি পরিপূর্ণ অসত্য ভাষণ। জনসংহতি সমিতির যে দাবি-নামা, তাদের যে প্রকাশনা আমরা পড়েছি তাতেও স্বাধীনতার জন্য দলটি সংগ্রাম পরিচালনা করেছে বলে তথ্য পাওয়া যাযনি ।
বদরুদ্দীন উমরের জ্ঞান-গরিমার একজন ভক্ত হিসেবে তাঁর এই অসত্য তথ্য পরিবেশন আমাকে যথেষ্ট পীড়া দিয়েছে। জনসংহতি সমিতির ৫ দফা দাবি-নামাতে তারা কখনও প্রাদেশিক, কখনও আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের কথা বলেছে। কিন্তু স্বাধীন পার্বত্য অঞ্চলের বিষয়টি একান্তই উমর ভাইয়ের অজ্ঞান প্রসূত ধারণা থেকে উদ্ভব বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে। বাতির নীচতাই নাকি অন্ধকার থাকে। উমর ভাই সে কথাটিকে আরেকবার সত্য হিসেবে তুলে ধরলেন।
তাছাড়া তিনি জনসংহতি সমিতির তৎকালীন আন্দোলনকে সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পাহাড়ে জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে যে গেরিলা সংগ্রাম সেটাকে শাসকগোষ্ঠী ও তাদের তাবেদার প্রচার মাধ্যম সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছিল শুরু থেকেই। মুক্তিকামী মানুষের প্রতিরোধ যুদ্ধকে শাসকগোষ্ঠী চিরকালই সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধও পাকিস্তানীদের কাছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রূপে বিবেচিত হয়েছিল।
বদরুদ্দীন উমর মার্কসবাদী দর্শনের সমাজ-তাত্ত্বিক। মেহনতি মানুষের মুক্তি সংগ্রামের একজন পুরোধা হিসেবে তিনি বিবেচিত হয়ে আসছেন। তিনি যখন জুম্ম জনগণের মহান আত্মবলিদানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেন, তখন আমরা কি ধরে নিতে পারিনা উগ্র জাত্যাভিমান বদরুউদ্দীন উমরকেও গ্রাস করে ফেলে? জাত্যাভিমানী বদরুদ্দীন উমর জুম্ম জনগণের রক্তক্ষয়ী প্রতিরোধ সংগ্রামকে শাসকগোষ্ঠীর চোখে দেখতেই পছন্দ করবেন এটাই স্বাভাবিক।
উমর ভাইয়ের একটা লেখাতে পড়েছি ,এখন হাতের কাছে নেই তাই শিরোনাম উল্লেখ করতে পারছিনা। দেশের বামপন্থীদের সমালোচনা করে তিনি লিখেছিলেন, একটু আঁচড় কাটলেই বামপন্থীরা জাতীয়তাবাদী হয়ে যান, আরেকটু আঁচড় কাটলেই তারা মৌলবাদী হয়ে যান। ...সম্ভবত উমর ভাই নিজের দিকে তাকিয়েই লেখাটি লিখেও থাকতে পারেন।
পার্বত্য চুক্তিকে তিনি গৎবাঁধা প্রচারমাধ্যমের মত শান্তিচুক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন। ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেস্বর পার্বত্যচুক্তি স্বাক্ষর করাকে তিনি মেনে নিতে পারেন নি। তাঁর ভাবশিষ্য প্রসিত বিকাশ খীসার মত তিনিও চুক্তিকে আত্মসপর্মণ হিসেবে দেখতে চান। জনসংহতি সমিতি অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে চুক্তির মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে ফিরেছে। এটাতে বদরুদ্দীন উমর খুশী নন।
আবার সশস্ত্র প্রতিরোধকেও সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এর মধ্যে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়। সেটা হচ্ছে নিয়মাতান্ত্রিক বা সশস্ত্র প্রতিরোধ দুটোতেই বদরুদ্দীন ওমরের প্রচুর অনীহা। তিনি একটি কাজই ভাল পারেন সেটা হলো ঘরে বসে বিপ্লবের বুলি কবচানো, পাণ্ডিত্য মেশানো লেখায় হাত পাকানো আর মুখরা রমণীর মত আগ বাড়িয়ে কাইজ্জ্যা বাঁধানো।
বর্তমান সময়ের ভাষায় বলতে হয় উমর ভাই কম্পিউটারে বসে বিপ্লবের গেম খেলতেই মগ্ন থাকেন। তাঁর বিপ্লবের দৌঁড় কম্পিউটার বাক্সেই সীমাবদ্ধ। এই সমস্ত তর্গবাগীশ, বাকসর্বসস্ব, বুদ্ধিজীবি মার্কা বিপ্লবীদের বিষয়ে লেনিন বার বার সতর্ক থাকতে বলেছিলেন। বিষয়টি বদরুউদ্দীন উমরের মত বিশুদ্ধ মার্কসবাদীকে স্মরণ করিয়ে দেয়াটা আবার ধৃষ্টতাকেও ছাড়িয়ে যায়!
কিন্তু ছোট্ট শিশুটিই রাজাকে জিজ্ঞেস করেছিল, রাজা তোর কাপড় কই?
বদরুদ্দীন উমর লেখার পুরোটা জুড়ে জনসংহতি ও সন্তু লারমার বিষদগার করেছেন। চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ের অর্জিত স্ব-শাসনকে কটাক্ষ করেছেন, উপহাস করছেন। তিনি জনপ্রিয়তা যাচাই করতে সন্তু লারমাকে নির্বাচনে নামারও পরামর্শ দিয়েছেন।
বদরুদ্দীন উমরের পরামর্শ ধরে বলতে চাই, সম্ভবত তিনি পার্বত্য চুক্তি ঠিকমত পড়েন নি। বর্তমান আঞ্চলিক পরিষদ সরকার কর্তৃক মনোনীত সেটাও ঠিক নয়। চুক্তি মোতাবেক জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। চুক্তির কিছু মৌলিক ধারা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত, চুক্তি মোতাবেক স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যদের ভোটে আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচনের বিধান রয়েছে।
অথচ বদরুদ্দীন উমর চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ার পুরো দায়িত্ব সন্তু লারমা ও জনসংহতির ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন!
শাসক গোষ্ঠী পার্বত্য এলাকার নিপীড়িত মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে, চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না। শাসক গোষ্ঠীকে রেহাই দিয়ে সেটার দায়ভার তিনি সন্তু লারমার উপর চাপিয়ে দিতে চান। কি বিচিত্র! একেই বলে,উদোর পিণ্ডি বুঁদোর ঘাড়ে চাপানো।
আসলে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বদরুদ্দীন উমরের ভাবশিষ্য প্রসিত খীসার দল ইউপিডিএফ-কে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্তু লারমা দাবি তোলাতে তিনি বেজায় মনক্ষুন্ন হয়েছেন।
সন্তু লারমার দাবির সাথে তিনি হয়ত ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। কিন্তু তাঁর অর্থ এই নয় যে, বদরুদ্দীন উমরকে শিষ্ঠাচার বহির্ভূত মিথ্যাবাচন নিয়ে পত্রিকায় কলাম লিখতে বসতে হবে।
উমর ভাই চিরকালই নির্বাচন বিরোধী। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বামপন্থীদের তিনি প্রায়ই গালমন্দ করে থাকেন। কিন্তু প্রসিতবাবুর নির্বাচনের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি ওকালতি করেছেন। লিখেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষ নির্যাতন পরিস্থিতির জন্য তারা নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করে।...
যেন মনে হয়, ইউপিডিএফ দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে পার্বত্য অঞ্চলে নির্যাতন বেড়ে যাবে, আর নির্বাচনে অংশ নিলে নির্য়াতন কমে যাবে!
অবশ্য ২০০১ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে খাগড়াছড়িতে ওযাদুদ ভুঁইয়ার জয় নিশ্চিত করাতে না পারলে ইউপিডিএফ-এর উপর হয়ত বা নির্যাতনও চলে আসত। তাও হয়ত সত্যি। যে দলটি শুধুমাত্র নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়, সেই দলটির সাথে বদরুদ্দীন উমরের সখ্যতা থাকবে সেটাটো স্বাভাবিক। কারণ বদরুদ্দীন উমর জীবনভর তাঁর পুরু চশমা দিয়ে বিপ্লব অনুসন্ধান করেছেন, জনগণের কাতারে গিয়ে বাস্তবতার চোখ দিয়ে লড়াইকে আত্মস্থ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বদরুদ্দীন উমরকে অনুধাবন করতে হবে সমতলের চেয়ে পাহাড়ের ভৌগলিক অবস্থান ভিন্ন। পুরু চশমা দিয়ে আর যায় হোক গিরিখাদ.পাহাড়ের সুউচ্চ শৃঙ্গ কিংবা উঁচু-নীচু পাহাড়ী পথ পরিভ্রমণ করা এবং সবকিছু ঠিকমত ঠাহর করা খুবই কঠিন কাজ।
উমর ভাইসহ আমাদের প্রিয় গুরু মার্কস বলে গিয়েছেন দ্বন্দ্বের মাধ্যমে দ্বন্দ্বের নিরসন করতে। নতুন দ্বন্দ্ব তৈরি করা মার্কসীয় সমাজ-বিজ্ঞানের ছাত্রের কাজ নয়। কিন্তু উমর ভাই গুরুর প্রদর্শিত পথে দ্বন্দ্বের নিরসন না করে অযথা নিত্য নতুন দ্বন্দ্ব তৈরি করে সবকিছুকেই বৈরী দ্বন্দ্বের দিকে ধাবিত করছেন। এভাবে তিনি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিকতা অনুশীলন করা থেকে ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছেন।
---
লেখক: দীপায়ন খীসা, সম্পাদক মাওরুম, ইমেইল:
মন্তব্য
লেখকের লেখার স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষমতাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সাথে একটা অনুরোধ রাখি, আপনার এই লেখাটা সেই যুগান্তরেও পাঠিয়ে দিন। নইলে জনাব বদরুদ্দীন উমর-এর চোখে লেখাটা আদৌ পড়বে কিনা সন্দেহ। কেননা তিনি এইসব ব্লগ পড়েন কিনা তা জানা নেই।
আর যেসব স্ববিরোধিতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন আপনি, তিনি এই লেখার কী জবাব দেন তাও পড়ার কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে বৈ কি !
সচলে এর আগে আপনার কোন লেখা পড়েছি কিনা মনে করতে পারছি না। যদি এখানে আপনি নবাগত হয়ে থাকেন তাহলে সচলে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করি আরো লিখবেন এবং লিখে যাবেন।
ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমারও!
দীপায়ন খীসা - বদরুদ্দীন উমরের ১৩ই ডিসেম্বরের লেখাটি পড়িনি, পরে পড়ে হয়তো আবারও মন্তব্য করবো (যদি আরও কিছু যোগ করার থাকে)। আপাতত শুধু দুটো কথা বলতে চাই - আপনার লেখাটি পড়ে বোঝা যায় এটি চিন্তা করে, বিশ্লেষণ করে (যদিও বিশ্লেষণমাত্রই আপেক্ষিক), যত্ন নিয়ে লেখা হয়েছে - আপনাকে সেকারণে সাধুবাদ জানাচ্ছি! তবে, লেখাটা একটু বেশিই 'বদরুদ্দীন উমর'কেন্দ্রিক বা বিশেষ কোন ব্যক্তিকে উদ্দিষ্ট করে একটা শ্লেষাত্মক লেখা হয়ে দাঁড়িয়েছে - এটাকে একটা দুর্বলতা হিসেবে দেখছি।
ওইটুকু দুর্বলতা সত্ত্বেও এটি চমৎকার একটি লেখা। জানলাম বেশ কিছু ব্যাপার। আপনার আরও লেখার প্রত্যাশায় রইলাম। সচলে স্বাগতম
আপনার সঙ্গে কন্ঠমিলিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানালাম। মিথ্যাচারিরা নিপাত যাক। (পার্বত্য শান্তিচুক্তির অনেক বিষয়ে আমার ধারণা পরিষ্কার নয়। যদি কখনো এ চুক্তিকে যুক্তিসংগতভাবে অন্যায় মনে হয় তবে তখন আপনাকে সমর্থক করতে পারবনা)
বাংলাদেশের যে কোন একটি মানুষের উপরও যে নির্যাতন করতে চায়, অন্যায় করতে চায়, সে বাংলাদেশের শত্রু...
নিয়মিত লিখুন। আমাদের ধারণাকে স্পষ্ট করুন। শুধু কপট বুদ্ধিজীবিরা লিখলে তো সত্য জানতে পাবনা। একটি মিথ্যা বারবার শুনলে সেটিকে কিন্তু সত্য মনে হয়...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রেফারেন্স অথবা ঊদাহরন দিলে ভালো হয় ।
- বুদ্ধু
উমর সাহেব না জেনে না বুঝে পাতার পর পাতা ভরিয়েছেন। কি করার আছে আমাদের। আমি সযত্নে কয়েকজন লেখকের লেখা এড়িয়ে চলি। উমর সাহেব। আর প্রথম আলোর পোষা বুদ্ধিজীবিদের।
একদম ছোট্ট একটা উদাহরণ। ১৯৭০ বা ১৯৭১ সালে বদরুদ্দীন উমর কয়েকটা কলাম লিখেছিলেন লেখক শিবিরের বিরুদ্ধে। আহ্বান করেছিলেন কেউ যেন লেখক শিবিরের সাথে যোগাযোগ না রাখেন। পরে সেই লেখক শিবিরের হর্তাকর্তা হন তিনি।
১। দু:খিত, আপনার তথ্যটি মেনে নিতে পারলাম না।
ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৭০-৭১ সালে অগ্নিগর্ভ পূর্ব বাংলায় ড. আহমদ শরীফ, বদরুদ্দীন উমর, আহমেদ ছফা প্রমুখ বাঙলাদেশ লেখক শিবির গঠন করেন। দীর্ঘদিন লেখক শিবিরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার সময়েও ড. শরীফ ও ছফার কাছে উমরের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক মতদ্বৈততার কথা শুনেছি, কিন্তু কখনো কথিত ওই বিবৃতিটির কথা শুনিনি।
২। লেখাটির পাঠ প্রতিক্রিয়া আলাদা মন্তব্যে দিচ্ছি।
ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব ভাই,
আমি যে তথ্য দিয়েছি সেটা কয়েকজনের লেখায় পেয়েছি। অন্যান্যগুলোর রেফারেন্স দেয়ার ক্ষমতা এখন নেই। তবে ছফার 'একাত্তরঃ মহাসিন্ধুর কল্লোল' প্রবন্ধে এই কাহিনী সংক্ষেপে দেয়া আছে। দেখতে পারেন।
ছফার 'একাত্তরঃ মহাসিন্ধুর কল্লোল' প্রবন্ধ থেকে এই অংশটুকু তুলে দিলাম-
"এই লেখক সংগ্রাম শিবিরের সংবাদ কাগজে-পত্রে প্রকাশিত হলে জনাব বদরুদ্দীন উমর এক মজার কাণ্ড করে বসলেন। তিনি দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় সাড়ে তিন কলাম দীর্ঘ একটি চিঠি লিখলেন। সকলের কাছে আবেদন জানালেন, কেউ যেন লেখক শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখে। কেননা মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ এবং এ ধরনের আরো দু একজন লেখকের (যাঁরা রবীন্দ্রনাথের বিরোধিতা করেছিলেন) নাম যুক্ত হওয়ায় তিনি ভয়ঙ্কর রকম ক্ষেপে গিয়েছিলেন। আমরা চিঠি পড়ে ক্ষুব্ধ এবং অবাক হলাম। এত কষ্ট করে প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করানো গেছে, উমর সাহেব বাগড়া দিয়ে বসলেন। সেই সময় উমর সাহেবকে আমরা সর্বাধিক ভক্তি-শ্রদ্ধা করতাম। তিনি এমন একটা কাজ করে বসবেন তা ছিল আমাদের স্বপ্নেরও অতীত। আমরা তাঁর লেখা থেকে সংগ্রামের প্রেরণা এবং প্রতিবাদের ভাষা আয়ত্ত করছিলাম। অথচ তিনিই কি না আমাদের অত কষ্টে জ্বালিয়ে তোলা আগুনে এক বালতি পানি ঢেলে দিলেন! আমি ভয়ঙ্কর রকম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলাম। সমকাল অফিসে গিয়ে উমর সাহেবের চোখে চোখ রেখে কিছু কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছিলাম। সে সময় তিনি তোয়াহা সাহেবের সঙ্গে গণশক্তি প্রকাশ করছিলেন।"
এই হইলো গঠনা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরেকটু যোগ করি বইটা থেকে। পরের প্যারা।
' অদৃষ্টের কি নির্মম পরিহাস, আজকের দিনে উমর সাহেব লেখক শিবিরের নেতা। সেই লেখক শিবিরে লেখার কী কাজ হয় এবং বিপ্লবের কী অগ্নিশলাকা প্রস্তুত করা হয় আমি জানি না। লোকে এখন লেখক শিবির এবং বদরুদ্দীন উমরকে এক করে দেখে। উমর সাহেব নিষ্ঠাবান, একগুঁয়ে এবং জেদি মানুষ। ষাট পেরুবার পরও পনের বছরের তরুণদের মত উদ্দীপনা প্রদর্শন করতে পারেন। লেখক শিবিরটা কব্জা করে লেখা এবং লেখকদের কী উপকারটা তিনি করেছেন? রাজনীতির কতটা লাভ করেছেন, সেটা রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলতে পারবেন। যখন বয়স কম ছিল, উমর সাহেবের এই ধরণের কর্মকাণ্ড দেখলে প্রচণ্ড রেগে যেতাম। এখন বউস হয়েছে, মজা লাগে।'
ছফার লেখাটার প্রকাশকাল মার্চ, ১৯৯৩।
@ নজরুল ইসলাম, @ শুভাশীষ দাশ,
আহমেদ ছফার ওই লেখাটি আমার পড়া ছিলো না। তাই চট করে এমন একটি গুরুতর তথ্য মেনে নিতে মন সায় দেয়নি। এখন অস্পষ্টতাটুকু দূর করার জন্য ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
সর্বজনাব উমর শুধু লেখক শিবির কব্জাই করেননি , তিনি এই সংগঠনটিকে দলীয় অঙ্গসংগঠন বানাতেও চেয়েছিলেন । এ নিয়ে চরম মতদ্বৈততা সৃষ্টি হয় ড. আহমদ শরীফ স্যারের সাথে । আহমদ ছফা উমরকে বহিষ্কারের পক্ষপাতি ছিলেন কিন্তু শরীফ স্যার তাতে সায় দেননি । শরীফ স্যার, ছফা আর শাহরিয়ার কবীর একযোগে বেরিয়ে এসেছিলেন লেখক শিবির থেকে । উল্লেখ্য, ছফা , ফরহাদ মজহার আর হুমায়ুন কবীর মিলে একাত্তরে গড়ে তোলেন লেখক শিবির ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
সচলে স্বাগত
বদরুদ্দীন উমর সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকায় তার লেখাটি না পড়েও অনুমান করতে পারি তিনি এভাবে বলতে পারেন
আপনার ক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনুরোধ করব লেখাটিকে আরেকটু ক্ষোভমুক্ত করে আপনার প্রতি-বিশ্লেষণ কিংবা প্রতিক্রিয়াটা সেই পত্রিকাতেও পাঠান
০২
চুক্তির অনেকদিন হয়ে গেলো কিন্তু একটা বিষয় এখনও অবাক লাগে
এখনও মনে হয় পাহাড়ি-বাঙালি পরস্পর পরস্পরকে প্রতিপক্ষ ছাড়া ভাবতে পারছে না কিছুই...
আপনার এই বাক্যটা থেকে একটা প্রশ্ন করি... নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন আর অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন বলতে আপনি কী বুঝাচ্ছেন?
কোনটা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন? রাষ্ট্র যা নির্ধারণ করে দেয়?
আন্দোলন যখন নিয়মতান্ত্রিক হয়ে যায় তা আসলে কার্যকর হয় না। আন্দোলন বরাবরই রাষ্ট্রযন্ত্র বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের বেঁধে দেওয়া নিয়মে আন্দোলন করে দাবী আদায় কেন হবে?
বদরুদ্দীন উমরের প্রধান সমস্যা আমি মনে করি তার বংশ পরিচয়। উনি বাংশিকভাবে মনে করেন এই দেশে চিন্তার যোগ্যতা বা উত্তরাধিকার উনার একলারই আছে। আর কারো নেই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
বদরুদ্দীন উমর মার্কসবাদী দর্শনের সমাজ-তাত্ত্বিক। মেহনতি মানুষের মুক্তি সংগ্রামের একজন পুরোধা হিসেবে তিনি বিবেচিত হয়ে আসছেন। তিনি যখন জুম্ম জনগণের মহান আত্মবলিদানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেন, তখন আমরা কি ধরে নিতে পারিনা উগ্র জাত্যাভিমান বদরুউদ্দীন উমরকেও গ্রাস করে ফেলে? জাত্যাভিমানী বদরুদ্দীন উমর জুম্ম জনগণের রক্তক্ষয়ী প্রতিরোধ সংগ্রামকে শাসকগোষ্ঠীর চোখে দেখতেই পছন্দ করবেন এটাই স্বাভাবিক। ----ভাল লাগল আপনার লিখার প্যাটার্ন
আশমএরশাদ
১। দীপায়ন আপনাকে স্বাগত জানাই, বাংলা ব্লগে। আপনার লেখার পাঠ প্রতিক্রিয়া জানাতেই অনেকদিন পর সচলে লগ ইন করলাম।
২। বদরুদ্দীন উমরের ওই লেখাটি আমাকেও বেশ হতাশ করেছে। আর লেখায় আপনি সন্তু লারমার যে মতবিনিময় সভার কথা বলেছেন, সেখানে আমারও সুযোগ হয়েছিলো উপস্থিত থাকার।
বলা ভালো, ছাত্র জীবনে দীর্ঘদিন লেখক শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় উমরের রাজনৈতিক মতাতর্শ, পরে পেশাগত সাংবাদিক জীবনে আড়াই দশক ধরে সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমা ও ইউপিডিএফ নেতা প্রসিত খীসার রাজনীতি এবং ব্যক্তি জীবন খুব কাছ থেকে জানার সৌভাগ্য হয়েছে।...
সংক্ষেপে বলি, তো উমরের লেখাটি পড়তে পড়তে তারই একটি পুরনো কথা মনে পড়ে গেলো:
মার্কসবাদ একটি মহান জ্ঞান; তবে তারচেয়েও বড় জ্ঞান হচ্ছে কান্ডজ্ঞান।
উমর আর যাই করুন, লেখাটি লিখতে গিয়ে এই কাণ্ডজ্ঞানটি যথেষ্টই স্বল্পমাত্রায় ব্যবহার করেছেন। দীপায়ন, আপনি যে সব পয়েন্ট বলেছেন, তার সঙ্গে বেশ খানিকটা একমত পোষণ করেই বলছি, উমর-বিশ্লেষণটি শেষ পর্যন্ত 'ছায়ার সঙ্গে কুস্তি লড়ে গাত্রে হলো ব্যাথা'র দিকেই গড়ায়।
কারণ, উমরের কাছে পার্বত্য রাজনীতির সাম্যক তথ্য তো বটেই, এমন কী ভাসা-ভাসা তথ্যও বোধহয় তেমন নেই। এ কারণে তার লেখা থেকে আর যা-ই হোক, বাস্তব অবস্থার বাস্তব বিশ্লেষণ, যা নাকি মার্কসবাদের সারবস্তু, তা আশা করা বাতুলতা মাত্র।
আর কোনো ভাবেই আমি উমরকে কমিউনিস্ট নেতার আসনে বসাতে রাজী নই, বরং বাম তাত্বিক হিসেবেই তার কর্মকাণ্ড ব্যাপ্ত। তাই, উমরকে আমি লেখক হিসেবেই মূল্যায়ন করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি।
কিন্তু দীপায়ন, আপনি বিপ্লবী উমর ও তাত্বিক উমরকে এক করে দেখায় আপনার যুক্তিগুলো প্রায়ই হোঁচট খেয়েছে, প্রায়ই তা চলেছে অর্থহীন ব্যক্তি আক্রমনের পথে। আর আপনার বক্তব্যগুলো এ কারণেই খুব বেশী স্পষ্টতা পায়নি।
এ পর্যন্ত প্রথম আলো, যুগান্তর, সংবাদসহ একাধিক জাতীয় দৈনিক ও পাহাড়ের ছোট কাগজ 'মাওরুম' ও 'জুম' এ পড়া আপনার রাজনৈতিক লেখাগুলোর মধ্যে এই লেখাটিই বোধহয় এ কারণে সবচেয়ে দুর্বল হয়েছে।
অন্যান্য মন্তব্যকারীদের সঙ্গে এক মত পোষণ করে আপনাকে পরামর্শ দেই, লেখাটি বেশ খানিকটা ঘষা-মাজার পর তা পাঠ-পতিক্রিয়া হিসেবে 'যুগান্তরে' পাঠানোর জন্য। নইলে আপনার যুক্তি-তর্ক-বিশ্লেষন, কোনোটিই হয়তো উমরের কাছে পৌঁছাবে না।
৩। দীপায়ন, আমি এর পরেও মনে করি, এমন অসংলগ্ন কয়েকটি কলাম বাদে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষনে উমরের বেশ কিছু চমৎকার গ্রন্থ সত্যিই অনবদ্য সৃষ্টি। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনের ওপর তাঁর তিন খণ্ডের গবেষণাপত্রটি তো একেবারে ক্লাসিক পর্যায়ের; এটি বাংলা ভাষার ইতিহাসকে তো বটেই, আমাদের জাতীয় ইতিহাসকেই সমৃদ্ধ করে চলেছে।
৪। নাবালক বিপ্লবী ইউপিডিএফ-কে নিয়ে অনেকদিন আগে সচলে একটি লেখা লিখেছিলাম, সেটি পড়ে দেখার বিনীত অনুরোধ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব ভাইয়ের মন্তব্যে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মানিক ভাই, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
---
দীপায়ন, সম্পাদনার পর যুগান্তরে আপনার পাঠ-প্রতিক্রিয়াটি আবার পড়ে ভালো লাগলো। শাবাশ!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন