হিমু ভাইয়ের বরাহ শিকারের গানের প্রথম কয়েক লাইন আমি গত কয়েকদিনে হাজার বারের উপরে শুনে ফেলছি (আইপডের প্লে কাউন্ট ৭১৩)। কোনভাবে ডাউনলোড করতে পারি নাই বলে রেকর্ড করে আইপডে নিয়াও শুনতেসি। আর যতো বারি শুনি ততোবারই আমার ইচ্ছা করে বরাহ গুলারে সত্যি সত্যি বল্লমে গাইথা ফালাই।
সচলে আমি আসছি এক মাসের কিছু বেশি হবে। এখানে এসে আমার একটা বোধ তীক্ষ্ম হইছে। আগে রাজাকার - আলবদরদের ঘৃণা করতাম। সচলে এসে প্রথম উপলব্ধি হইল যে শুধু ঘৃণা করলে চলবে না। কিছু করতে হবে। আমার ইচ্ছা করে আত্মঘাতী বোমা হামলা করি। কিন্তু অতো সাহস পাই না। তাই বলে বসেও থাকতে চাচ্ছি না।
আমার প্রথম ইচ্ছা হলো, হিমু ভাইয়ের বরাহ শিকার গানটার কথা গুলো এবং এনিমেশনের কিছু ছবিসহ একটা বা অনেকগুলো ডিজাইন করে টি-শার্ট বের করা। সামনে এনিমেশন থেকে কয়েকটা ছবি আর গানটার কথা থাকবে। আর পিছনে বড় করে 'বরাহ শিকারী' কথাটা লেখা থাকবে। এটা আপনারা বানান আর না বানান, আমি বানাবই। আমি বানায় ওই গেঞ্জি পড়ে ঘুরব।
দ্বিতীয় ইচ্ছা দুঃসাহসী কিছু প্রতিবেদন বের করে টিভিতে দেখানো। আমি কয়েকদিন আগে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে গেসিলাম। ওইখানে পেপার কাটিং গুলা খুব মনযোগ দিয়ে পড়ছি। রাজাকার-আলবদরদের কাজগুলা খুটায় খুটায় পড়লাম। এইসব গুলা জড়ো করে টিভিতে দেখানো যায়, গল্পাকারে। অনেকটা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে যেমন প্রামাণ্য্ চিত্র করে সেইরকম।
আমার যদি ক্ষমতা থাকত বা কোন লিংক থাকত, আমি চেষ্টা করে দেখতাম আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে কোনভাবে এই ব্যপারগুলা তুলে ধরা যায় কিনা। যেমন, "Rajakars : The animals of '71" অথবা "Dogs named rajakar". অথবা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটা সুন্দর প্রামাণ্য চিত্রের সিরিজ। ইন্ডিয়ার হিজড়াদের নিয়ে যদি জিওগ্রাফিতে প্রতিবেদন হইতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়া কেন হবে না? আমার এই ইচ্ছাগুলা কি খুব বেশি অবাস্তব ? আমাকে ভার্সিটিতে সবাই বিজু পাগলা বলে, আমার এই ইচ্ছা গুলো কি নিছকই আমার পাগলামি? জানি না। তবে দোয়া করবেন যেন এরকম কোন একটা কিছু করতে পারি।
এবার পুরাই একটা অবাস্তব কথা বলি। বরাহ গুলারেতো আর গুলি করতে পারতেছি না, তাই চিন্তা করতেসি 'গডফাদার' মুভিটার একটা আইডিয়া নকল কইরা ওগো ডর দেখামু। গু-আযম, নিজামী, মজাহিদের বাসায় আমি একটা কইরা পার্সেল পাঠামু। ওইখানে একটা কইরা কোরবানী করা ছাগলের মাথা নাড়িভুড়ি গোবর এইসব যাবতীয় জিনিস দিয়া ভরা থাকবো। আর একটা চিঠি থাকব, তগো অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি এইরকম হইবো... হা হা হা হা হা হা... রেডি হ।
--- নীল ভূত (দ্যা বরাহ শিকারী)
মন্তব্য
রয়েসয়ে।
গানের ফাইলটা ইস্নিপ্স থেকে নামিয়ে নিতে পারবেন কিন্তু। কিংবা একটু ধৈর্য ধরুন, পূর্ণাঙ্গ গানটা দিন দশ-বারো পর ইস্নিপ্সে তুলে দেয়া হবে। নামাতে না পারলে জানাবেন।
"ইন্ডিয়ার হিজড়াদের নিয়ে যদি জিওগ্রাফিতে প্রতিবেদন হইতে পারে..." বলতে কী বুঝিয়েছেন, বুঝি নি। বুঝিয়ে দিন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এখানে সাম্প্রদায়িকতা বা কোন গোষ্ঠীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নয়। প্রামাণ্য চিত্রটার বিষয় বস্তু ছিল যেসব ছেলে নিজেদেরকে মেয়ে বলে মনে করে (তাদের বস্তুত শারীরিক কোন সমস্যা নাই) আর ট্রান্স সেক্সুয়ালদের নিয়ে। এখন পার্শ্ববর্তী দেশ যদি এমন একটা বিষয় নিয়ে জিওগ্রফিকের মতো টি.ভি চ্যানেলে যেতে পারে, আমি কেন প্রত্যাশা করতে পারব না যে আমার দেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র হবে? আমি বিষয়টির ফিসিবিলিটি বুঝানোর জন্য 'ইন্ডিয়া' এবং গুরুত্বের মাত্রা বুঝানোর জন্য উক্ত প্রমাণ্যচিত্রের কথা বলেছি। আপনি যদি বলেন পোকা মাকড় নিয়েও তো অনেক প্রামাণ্য চিত্র হয় সেগুলো কেন বলি নি ? কারণ ইন্ডিয়ার পোকা মাকড় নিয়ে আমি প্রামাণ্য চিত্র দেখিনি।
তারপরেও আমার উদাহরণের ব্যবহারে কেউ/কোন গোষ্ঠী আহত হন, আমি মডু ভাইদের অনুরোধ করব লাইনটিকে অন্য কোন উপযুক্ত উদাহরণ দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন।
ধন্যবাদ।
---নীল ভূত।
আমি সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোন থেকে প্রশ্নটা করিনি। "ইন্ডিয়ার হিজড়া" এবং "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" - এ দুইয়ের তুলনা আমার কাছে অসংলগ্ন মনে হয়েছে। কোন রাজনৈতিক বা ঐতিহাসিক ইস্যুর সঙ্গে তুলনা করলেই পারতেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তুলনাতো করি নাই। বৈষম্য বা আমাদের অক্ষমতার প্রকটতা বুঝাতে বলেছি।
---নীল ভূত।
হমম আমিও বুঝিনি, বুঝিয়ে দিন
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ঐযে ... রয়েসয়ে...
বরাহ মারতে গিয়ে নিজেই মরে ভূত হয়ে গেলে তো একটু সমস্যা হয়ে যাচ্ছে.. তাই না?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ভূত,দুস্ত টি-শার্ট আমার জন্যও করিস।
আপনার অনুভূতিটাকে শ্রদ্ধা জানাই । তবে খুউব খিয়াল কইরা ।
আত্নহননে লাভ শূন্য । আর মাঝে মাঝে লাভের অঙ্ক ঋণাত্মকও হয় । অতএব, এইসব চিন্তা বাদ দেন । এক হাজারটা মাথা গরম কাজ অথবা উত্তপ্ত বাক্যের চাইতে একটা ঠান্ডা মাথায় করা কাজ বা এক লাইনের সুচিন্তিন্ত মতামত অনেক বেশি উপকার দেয় ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
গেঞ্জির আর প্রামাণ্য চিত্রের ব্যাপারটা পছন্দ হইসে।
তবে রাজাকার মোকাবেলা করতে হবে ঠান্ডা মাথায়, মাত্রাছাড়া আবেগে হিতে বিপরীত হতে পারে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
আমিও বলতে চাই "রয়েসয়ে"
ঐ হারামজাদাদের শেষ করতে গিয়ে যদি নিজেরাই শেষ হয়ে যাই তাহলে কিভাবে হবে!
তবে টিশার্ট বানানোর আইডিয়াটা মনে ধরছে। গত বছররের বই মেলাতে যেমন যুদ্ধ অপরাধীরের বিচার চেয়ে স্টিকার বিতরণ করা হয়েছিল ঠিক তেমনি যদি "বরাহশিকারী এবং এনিমেশন" টা সামনে পিছনে দিয়ে অনেকগুলো টিশার্ট বানিয়ে বিতরণ (বরাহশিকারীর বিষয়ে সচেতন করণ সহ) যায় তবে একটা বিশাল ব্যাপার হবে।
আর অনেক টিশার্ট বানাতে খরচ তো পড়বেই সেক্ষেত্রে স্পন্সার খোঁজা যেতে পারে, আমরা সবাই মিলেও খরচ মেটাতে পারি এবং একদম ফ্রি বিতরণ না করে একটা ছোট মূল্য নির্ধারণও করা যেতে পারে।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সমর্থকদের বিচার হতে হবে, উচিত শাস্তি দিতে হবে - এই ধারনার সাথে একমত। তবে যেসব পদ্ধতি কথা বলা হলঃ বল্লমে গাঁথা, আত্মঘাতি বোমা হামলা অথবা পশুর নারিভুঁড়ি পার্সেল করা - এগুলোকে সমর্থন করা গেল না।
শিরোনামের সাথে প্রচ্ছন্ন বিমত প্রকাশ করতে এক তারা দিলাম। মানুষ না হয়ে সবগুলো বরাহকে চেনা যাবে না। শিকার তো আরো পরের কথা। বরাহশিকারীকে তাই আগে মানুষ হতে হবে।
ভাইয়া, ১৪৯৯৯৯৯৯৯ জন মানুষতো আছে, একজন ভূত বা বরাহশিকারী থাকলেতো দোষের কিছু দেখছি না। আর বরাহ শিকারীই যে মানুষ না সেটাই বা কে বললো।
যে লোকটি মাছ ধরা বা জমিতে ফসল ফলানোকে পেশা হিসেবে নিতে চায়, সে নিশ্চয়ই মাছ বা ফসল সম্বন্ধে জেনেই করে। নাকি? তাই বরাহশিকারী যখন হব তখন বরাহ চিনেই শিকার করব। মৃগয়াকে বরাহ মনে করে শিকার করবনা। এ ব্যাপারে আশ্বস্ত থাকতে পারেন।
---নীল ভূত।
এতো কিছু থাকতে বারেবারে আত্মঘাতী চিন্তা ভাবনা কেনো?
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এতোদিনেও যে কিছু হলো না এই জন্য। এই আইডিয়াটা আসছে রাং দে বাসান্তী থেকে। একটা ঝাকুনি দেয়া। আর কিছু না।
---নীল ভূত।
ভূত ভাই,
আপনার আবেগটা বুঝতে পারছি। বয়স মনে হয় কম, সেজন্যই এরকম বহিঃপ্রকাশ। আক্ষরিক অর্থে যা লিখেছেন সেসবের মধ্যে আপনি যাবেননা তা জানি। তাই মনোভাব প্রকাশেও বাস্তবতার পরিচয় দেয়া উচিত। রাগিবের পোস্টে অনেকগুলো কর্মসূচির কথা বলা আছে। সেখানে সময় দিতে পারেন। স্পিরিটটাকে ধরে রাখুন।
পিপিদা,
একদম যে বাস্তবতার পরিচয় দেই নাই তা কিন্তু না। টি-শার্ট টা আমি সত্যিই বানাবো। প্রামাণ্য চিত্র হয়তো পারব না, কিন্তু কখন যদি সুযোগ পাই উদ্যোগ নেব। এ দুটাকে কি বাস্তব মনে হয় নাই ?
উইকি নিয়ে নজরুল ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। উনি আমাকে বলে দেবেন যে এই বিষয়ে এখান থেকে অথেন্টিক তথ্য পাওয়া যাবে, আমি সেগুলো সংগ্রহ করে এনে দেব। তারপর একটা লেখা লিখে আপনাদের কাউকে দেয়া হবে। আপ্নারা সোর্স অথেন্সিটি আর লেখার ভুলগুলো শুধ্রে করে উইকিতে দিয়ে দিবেন। কারণ আপনার
---নীল ভূত।
আত্মঘাতী হবো কেন?
বরং গলা ছেড়ে বলব;
একটা দুটো বরাহ ধর
সকাল বিকাল নাস্তা কর।
আমি বরাহ শিকারী শ্লোগানটা টি সার্টে লেখার চেয়ে বরং লেখা ভাল
আমি রাজাকার শিকারী।
তাহলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়, সবার কাছে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
সহমত।
টিশার্টের আইডিয়াটা বেশ পুতুল ভাইয়ের সাথে একমত।
তবে সরাসরি 'শিকারী' শব্দটাকে ভুল ব্যাখ্যা করার সুযোগ করে দেয়।
একটা টিশার্ট বড়সড় বানায়েন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমার মনে হয় টিশার্টের আইডিয়াটা কাজে আসবে। গতবার আজিজের টিশার্ট মেলায় অনেককেই 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই' জাতীয় টিশার্টগুলো বেশ আগ্রহের সাথেই কিনেছিলেন। টিশার্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্টানগুলোর সাথে কথা বলে দেখা যেতে পারে বলে মনে হয়। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে মেলা হবার কথা। এই টিশার্ট নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়লে আশ্চর্য হব না।
---- মনজুর এলাহী ----
আবেগ ধরে রেখে কাজ করতে হবে।
আমরা সবাই লেখা লিখে/ অনলাইনে শেয়ার করে তো করছি ই ।
আবেগের বশবর্তী হয়ে লেখায় গুলিয়ে ফেললে কিন্তু কাজের চেয়ে অকাজ ই বেশি হবে!!
রাগিব ভাই এর মত করে নানা জায়গায় নানা যুদ্ধ শুরু করতে পারি ।
নজু ভাই বই ধার দিয়ে করছেন।
আপনি টি শার্ট দিয়ে করতে পারেন।
বোহেমিয়ান
নতুন মন্তব্য করুন