আগে লিখার জায়গা ছিলো লিখতে আলস্য লাগতো, এখন লেখার জায়গা নেই তবে বাঘের দাত পরে গেলোও যেমন কামরানোর স্বভাব যায় না , সিগারেট ছাড়লেও যেমন মনের ভুলে সুখটান দিয়ে ফেলা হয় -- তেমনি কোন চিন্তা মাথায় আসলে লিখতে ইচ্ছে করে ।
চুলকানির মতো -- লিখছি একটু আরাম লাগছে ।
১।
গতকালকে কল্কির "অবতার" দেখলাম । রিভিউ পড়ে ভেবেছিলাম অনেক বাজে হবে -- টাইট্রনিক টাইপ কিছু একটা হবে (টাইটানিক দেখার পর থেকেই ডি ক্যাপরিও আর উইন্সেলেটকে দেখলেই মেজাজ খারাপ হতো-- ডিপার্টেড, এভিয়েটর, ব্লাড ডায়মন্ড দেখার পর ক্যাপ্রিওকে ভালো পাই -- রিডার দেখার পর থেকে উইনস্লেট কে -- রেভোলশানরী রোড দেখার পর স্ক্রিন কাপল হিসাবে ওরা আবার আমার প্রিয় লিষ্ট উঠে গেছে ) ।
অবতার নেয়া হয়েছে নিজেদের ছায়াবাজীর জায়গা থেকে ।
আমাদের নিজেদের কে আমরা যেই রুপে দেখতে চাই আর কি ।
http://www.youtube.com/watch?v=Kwke0LNardc
ছবিতে যেমন জ্যাক সলি ওর অবতার হিসাবে কানেক্ট হয় একটা না'ভির সাথে।ঘুমের ভিতর কন্ট্রোল করতে পারে।
প্রথমেই বলা ভালো ছবিটা আমাকে মুগ্ধ করছে । মানুষের কল্পনা শক্তি বল্গাহীন হলে কতো দারুন হয় ছবির প্রতিটা সিনে তার প্রমান।
আলো জ্বলা ফুল থেকে - নরকের হিংস্র পশু -- উড়ন্ত টেরোডকটাইল সদৃশ জন্তু -- নেটওয়ার্ক ট্রি -- সব কিছু দেখেই আমি মুগ্ধ । ছবি দেখছি আর ভাবছি মানুষ এত সুন্দর চিন্তা করে কিভাবে । পরে মনে হলো ক্যামেরন ব্যাটা পানির নিচে ডুব দিয়ে সাগরতল থেকে সব তুলে এনেছে । [বলাবাহুল্য প্রকৃতির প্রতিশোধ নিয়ে এ্যাবিস আরেকটা মারাতমক ছবি]
যাক অবতার নিয়ে অনেক লেখালেখি অলরেডি হয়ে গেছে --
যে কারনে লিখছি -- আমাদের এইখানে পত্রিকায় রিভিউতে ৫ এর ২।৫ দিয়ে অনেকটাই ফেক মুভি আখ্যা দিয়েছে ।
মজার ব্যাপার হলো ইন্ডিয়ানদের গ্লোরিফাই করা হলো বলেই কি এত রাগ ? নাকি সাদা চামড়াদের লোভের রুপ ফুটানো হলো বলে পছন্দ হয় নাই ?
বলে নেয়া ভালো অনেক গুলো চরিত্রই আন্ডার ডেভেলপড -- বিজ্ঞানী গ্রুপের একটাও বিশ্বাস যোগ্য অভিনয় করতে পারে নাই ।
বরং সেনা কমান্ডার আর বেস কমান্ডারদের চরিত্র গুলোই বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে বেশী ।
ছবির সবচে বড়ো মেসেজটাই পশ্চিমারা ধরতে পারবে না কোন দিন -- আমরা প্রকৃতির সন্তান । আমরা সংবেদনশীল স্বত্তা ।
আমাদের রোবটিক হওয়া পোষাবে না ।
এখন আর কিছু অবাক করে না -- তারপরও দিন দিন ওদের নতুন নতুন রুপ দেখি আর মিলাই আর হাসি ।
"এমন বিষন্ন বিকেলে
আমি হয়ে যাই মাটি, ফুল , ঘাস
নিজেকে একলা লাগে না আমার
আমিতো প্রকৃতির সন্তান"
২। এই প্রংসগে বলা যায় এই সপ্তাহেই যেইটগাইষ্ট (zeitgeist) দেখলাম দুই পর্বের
http://www.zeitgeistmovie.com/
কন্পেরিসী থিওরী নিয়ে বেশী চর্চা হলেও অনেক গুলো ব্যাপারই বিশ্বাস যোগ্য ।
প্রথম পর্ব দেখে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা আসলেই কতো ফেইক একটা দুনিয়াতে বসবাস করি ।
বিশেষ করে মুদ্রাভিত্তিক সমাজের বদলে রিসোর্স ভিত্তিক সমাজের কথা যে বলা হয়েছে -- সেটা আমার পছন্দ হয়ে।
ওদের একটা মুভমেন্টের[ http://thezeitgeistmovement.com/ ]আছে সেটাতেও জয়েন করলাম ।
যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তাই
আমেরিকার ক্ষমতার গলি ঘুপচী আসলেই অচেনা । কতো পদের প্রগ্রাম যে আছে ওদের স্বয়ং প্রেসিডেন্টও জানে না মনে হয় ।
৩।ভার্চুয়ালীটি নিয়ে ইদানিং বিপাকে আছি । এটা ছাড়া থাকতেও পারি না -- আমার এটাকে বেশী কপচালে বিবমিষা বোধ করি ।
আমাদের সম্পর্ক গুলো কতো ভংগুর এখন । আজ থেকে ২০ বছর আগে তো এমন ছিলো না -- এটলিষ্ট বাংলাদেশে । তারমানে কি আমরা যত বিজ্ঞানমনস্ক, আত্মসচেতন হচ্ছি -- আমরা পরস্পর থেকে দুরে সরে যাচ্ছি ।
প্রতি মূহুর্তে দেখি -- মানুষের চেহারা লেখা --
-আমি তোমার প্রতি ইন্টারেষ্টেড না
- আমি অনেক ঝামেলায় আছি তোমার ঝামেলা শোনার সময় নাই
- আমি এখন ব্যস্ত
- তোমার সাথে মিশে আমার কি লাভ
এমনকি ভার্চুয়ালি মানুষের ইগো মানুষের পিছা ছাড়ে না ।
সেদিন আর বেশী দুরে নাই -- যেদিন আর্থার সি ক্লার্কের ভবিষৎ বানী মতো আমাদের একটা মডিউল থাকবে আর কিউবিকল -- আমরা পাশের লোক রেখে শতশত মাইল দূরের মানুষর সাথে কথা বলবো কেবল । এখনই পরিবেশ অনেকটা এমন হয়ে গেছে ।
মানুষের এমন স্ববিরোধী আচরনের কারন কি ? সে একা থাকতে পারে না -- আবার কাউকে বেশীক্ষন সহ্য করতে পারে না ।
যেইটগেইষ্ট মুভমেন্ট ওলারা টাকাপয়সা তুলে নিলেও কি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে ?
ধরলাম মানুষের আর নিজের হাতে শ্রমের কাজ করতে হলো না -- মানুষ তখন সারাক্ষন কি নিয়ে ব্যস্ত থাকবে ?
খাবার খোজার মতো বেসিক কাজ যদি না করতে হয়(পৃথিবীর সবার) তাহলে কেমন হবে?
পয়সা আর ক্ষমতার এলিটিজম ছাড়াও মন আর মস্তিস্কের এলিটিজম কি ছাড়তে পারবে মানুষ ?
--
ইমতিয়াজ মির্জা
imz.mrz @ জিমেইল
মন্তব্য
দুঃখিত। লেখাটা ভাল লাগেনি। বিস্তারিত সমালোচনায় যাচ্ছিনা। তবে আমার মনে হয় আপনি সচলায়তনের নিয়মিত পাঠক নন। তাহলে পাঠকেরা কোন বিষয়গুলোতে স্পর্শকাতর তা জানতেন। আরেকটি কথা, এটি দিনপঞ্জি কেন?
মন্তব্যে লেখার উৎসাহ হারাবেন না। আমি খুব সামান্য পাঠক...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্য্য সঙ্গীত - একথাটা কেন বললেন?! এই অতিথি লেখকের লেখা আগে পড়িনি, অন্য কোথাও কি কিছু বলেছেন/লিখেছেন? কারণ, এই লেখায় তো স্পর্শকাতর কিছুই পেলাম না। অবশ্য, অনেক বানান ভুল (আমারও হয়, প্রচুর ), এবং সেটা নিয়ে সচলায়তন সঙ্গত কারণেই স্পর্শকাতর
স্নিগ্ধা'পু,
স্পর্শ কাতরতার বিষয়টা আপনি যেটা বলেছেন সেটাই। সেই অর্থে হট্টগোল বাধানোর মতো কিছু নয়। উনি নিয়মিত সচল পড়েন না বলেছি কারণ লেখকের কিছু ভুল কেবল ওনার অসতর্কতার জন্য হয়েছে বলে মনে হয় । একটু যত্ন নিয়ে লেখার ব্যপারটা সচলে বারবার স্মরণ করিয়ে দেন সবাই। সবমিলিয়ে পড়তে কষ্ট হয়েছে লেখাটা। (বানান আমিও লাখে হাজারে ভুল করি । তবে কেউ কেবল অসতর্ক ছিলেন বলে বানান ভুল হয়েছে, এমন মনে হলে ভাল লাগেনা।)
অবশ্য সবই একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। পাঠকের দীণতাও লেখা ভাল না লাগার জন্য দায়ী হতে পারে। লেখককে তাই কষ্ট পেতে মানা করেছি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ । পছন্দ না হওয়াটা পছন্দ হলো ।:)
সচলয়াতন পড়ি মাঝে মাঝে । তবে বিস্তারিত না বলাতে বুঝতে পারলাম না
আপত্তির জায়গাটা কোথায় ।
দিনপন্জিই তো -- স্মৃতি হারায় যাবার আগেই জমিয়ে ফেলছি যে।
পছন্দ না হওয়াটা পছন্দ হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। দুয়েকজন এই পছন্দ না হওয়াটাকে তীব্র অপছন্দ করেন। আপনি সেরকম হলে আপনার লেখায় পরবর্তীতে হয়তো মন্তব্য করতে চাইতামনা। এখন বরং আরো আগ্রহ নিয়ে পরের লেখাটা পড়তে চাইব
অপছন্দের জায়গাগুলো বিস্তারিত অন্য মন্তব্যে এসেছে দেখলাম। তাই আর কথা বাড়ালাম না।
দিনপঞ্জিতে আপত্তি করেছি কারণ লেখাটা দিনপঞ্জির চাইতে বেশি চিন্তাভাবনা আর সিনেমা কথন হয়েছে বলে মনে হল। এই লেখাটি কি পড়েছেন?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই মন্তব্যটা ভালো লাগলো না।
পছন্দে ভিন্নতা থাকবেই।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি লেখাটিতে একসাথে অনেকগুলি কথা বলেছেন। কিন্তু ঠিক কী বলতে চেয়েছেন সেটা আমার কাছে শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট হলো না।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
শুরুতেই মাস্টারপিস আশা করলে তো মুশকিল।
আমার কাছে ভালো লেগেছে। বিক্ষিপ্ত ভাবনা কিছু। লেখক ভালই লিখেছেন। Avatar এর প্রতি পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে।
ব্লগর ব্লগর তো এমনই চাই।
লিখতে থাকুন হাত খুলে...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ বস
এখানে সিনেমা হলে গিয়ে অনেক সিনেমাই দেখলাম। তবে আইমেক্সে এই প্রথম দেখলাম লোকজন হাততালি দিচ্ছে ।
এই ঘটনাটাও ভাবালো ।
উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ । আমি এমনিতেই ঢোলে বাড়ি ছাড়াই নাচি অবশ্য
ছবি গুলো দেখে নিজের কি মনে হয়েছে সেটা বলার চেষ্টা করেছি মনে হয় ।
শেষমেষ আমিও কনফিউজড হয়ে গেছি যে আসলেই কিছু বলতে চেয়েছি কিনা
মুভি গুলো দেখার একটু আগ্রহ জাগলে মনে হয় লেখাটা দিশা পাবে কিছুটা , শেষের অসংলগ্ন চিন্তা গুলো তখন থৈ পাবে ।
সুমন চৌধুরী,
আপনার টুকরো টুকরো লেখা সিরিজও তো একই ঘরানার। একই ধরণের বিক্ষিপ্ত ভাবনার সমাবেশ। আপনি কি সব লেখায় বিশেষ একটা কিছু বলতে চান?
- জ্বি না। একই ঘরানার না !
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কামরানো,প্রগ্রাম, ভবিষৎ বানী বানানগুলো ভুল হয়েছে।
ঘুমের ভিতর কন্ট্রোল করতে পারে। !!! বিষয়টা বোধহয় ভুল বলেছেন। আমি নিজে এখনো মুভিটা দেখি নি। তাই সঠিক বলতে পারব সঠিক উত্তরটা কি ।
মানুষের কল্পনা শক্তি বল্গাহীন হলে কতো দারুন হয় ছবির প্রতিটা সিনে তার প্রমান।
দৃশ্য বললে আরো ভাল লাগত ।
Zeitgeist মুভি নিয়ে আরো পরিষ্কার করে লিখলে ভাল হত ।
লেখা পড়ে মনে হল আপনি শুধু মুভি দেখেন ই না এর পেছনের বিষয়/ লোক নিয়ে ভাবেন।
বোহেমিয়ান
বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী
----
যাহা দেখিলাম কি ভুল দেখিলাম নাকি নিজেই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখলাম
তার অবতারের সাথে কানেকশন শেষ হবার পর সে স্বপ্ন থেকে জেগে উঠে এমনটাই তো দেখা যায় । তবে বিষয়টা যেহেতু কাল্পনিক আর অস্পষ্ট ছিলো সিনেমাতে তাই এটা নিয়া চায়ের কাপে ঝড় তোলা উচিত হবে না ।
-----
ছবিতে যারা সেট ডিজাইন করেছে -- গ্রাফিক্সের কাজ করেছে তাদের প্রতি ঈর্ষা বোধ করেছে । প্রতিটা দৃশ্যই অসাধারন । খুব কম ভুল খুজে পাওয়া যায় । বলা বাহুল্য কাহিনীটা গড়পড়তা ছোট দের মুভির মতো ।
অবাক লেগেছে ভাষা তৈরীর ব্যাপারটা । পুরো গ্রহ তৈরীর ব্যাপারটা ।
আরো অনেক কিছু -- মুভিটা দেখলে পরিস্কার হবে আইডিয়া । তবে থ্রিডি দেখার কারনে আরো বেশী ভালো লেগেছে হয়তও ।
----
যেইটগেইষ্ট নিয়ে লিখতে গেলে মহাকাব্য হয়ে যাবে -- আমার নিজেরও সে পরিমাণ ধৈর্য্য নেই -- পাঠকের তো নাই । তাই সংক্ষেপে বলতে চেষ্টা করেছি ।
যেইটগেইষ্টের সাথে অবতার মিলালে কি বলতে চেয়েছি একটা ধারনা পারেন । মজাটা সেখানেই
----
ভাবি ঠিক সচেতনে না -- ভাবনা গুলো হুড়মুড় করে এসে লাফিয়ে পরে
ইমতিয়াজ মির্জা
Avator দেখলাম এবং চরম বিরক্তি নিয়ে খেয়াল করলাম, অনেকে একে অবতার বলছেন। আমার সিনেমা বিষয়ক জ্ঞান মনে হয় শুন্যের কোঠায়, নইলে Avator কে হুদা হুদা অবতার কেন বলা হবে সেটা বুঝতাম।
আমার দেখা অনেক দিক থেকেই অন্যতম সেরা এই সিনেমা নিয়ে কিছু লিখতে চাইলেও যেহেতু 'অবতার' ব্যাপারটাই ধরতে পারি নাই, যুক্তিসঙ্গতকারণেই লিখছি না।
পড়ুন
In Hinduism, Avatar or Avatara (अवतार, IAST ), often translated into English as incarnation, literally means descent (avatarati) and usually implies a deliberate descent from higher spiritual realms to lower realms of existence for special purposes. ...
http://en.wikipedia.org/wiki/Avatar
avatar /ˈævətɑː(r)/ DJ /'ævəˈtɑr/ KK
http://www.google.com/dictionary?aq=f&langpair=en|en&hl=en&q=avatar
*
a picture of a person or an animal representing a person on a computer screen, especially in a computer game or chat room noun
দেখুন
http://www.imdb.com/title/tt0499549/
কোথাও আপনার উল্লেখিত AvatOr খুজে পেলাম না । আমরা কি নিশ্চিত আমরা একই সিনেমা নিয়ে কথা বলছি ???!!!!!
অবতার কেই "অবতার" বলা হচ্ছে । অবতারের থিমটা সম্ভবত দুনিয়াতে-অবতার-গডের-প্রতিনিধি > এখান থেকে নেয়া । কম্পুটারে - স্যোসাল স্পেসে রিয়েল পার্সনের অবতারটাই তার প্রতিনিধি -- যেমন "অবতার" মুভিতে "অবতার" ছিলো মানুষের প্রতিরুপ ।
----
যুক্তিসংগতকারন গুলো শুনতে আগ্রহ বোধ না করে পাড়ছি না --
প্লীজ ।
----
ইমতিয়াজ মির্জা
দুঃখিত, Avatar কে Avator লেখার জন্য। হ্যা, আমরা একই সিনেমার কথাই বলছি।
পড়লাম।
দেখলাম।
গুগলজ্ঞান দিয়ে আমাকে আলোকিত করার জন্য ধন্যবাদ।
ঐ যে বললাম, আমার সিনেমাজ্ঞান শুন্যের কোঠায়, না লেখার পেছনে এর চেয়ে যুক্তিসঙ্গতকারণ আর কী হতে পারে!
ঠিক, AVATAR কে অবতার লিখলে কেমন ধর্মীয় গন্ধ চলে আসে। তারচে বড় কথা কেমন যেন ম্যান্দা মারা লাগে।
আমি 'অবতার' দেখেছি শুনে বাংলাদেশ থেকে এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করেই ফেললো যে, তাদের ধর্ম নিয়ে কিছু দেখিয়েছে কিনা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
In a 2007 interview with Time magazine, Cameron addressed the meaning of the film's title, answering the question "What is an avatar, anyway?" Cameron stated,
"It's an incarnation of one of the Hindu gods taking a flesh form."
উইকিতে আছে এই কথা।
এটা হিন্দুদের অবতার কনসেপ্ট। নামটা সেখান থেকে নেয়া। তাহলে 'অবতার' লিখলে খারাপ কি। এভাটার বললে আপনার চরম বিরক্তি লাগত না বোধহয়। যদিও আপনার বিরক্তির কারণ বোঝা গেল না।আচ্ছা, একটা অন্য প্রশ্ন। চট্টগ্রামকে চিটাগাং বললে আপনার কেমন লাগে?
এখানে নাক গলালাম কারণ অবতার শিরোনামে আমি ও একটা লেখা আপ করেছিলাম।
আরেকটু গুছায়ে লিখলে লেখা ভাল হয়ে যায়, ব্রো।
ধন্যবাদ ব্রো -- আপনার রিভিউএর একটা কমেন্ত আসলে মুভিটা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করিয়েছে ।
আমি রিভিউর উপর ভরসা করে ধরে নিয়েছিলাম যে ভালো হবে না -- কারন এই পেপারের রিভিউ দেখছি রুচির সাথে মিলে যায় --
ওদের রাজনীতিটা আপনার কমেন্ত আর ছবিটা দেখার পর পরিস্কার বুঝতে পেরেছি ।
---
গুছিয়ে লিখতে সময় লাগে -- আমি আলস্যের অবতার
আপনি কি অভ্র ফনেটিক কীবোর্ড ব্যবহার করেন? তাহলে 'Shift- কী' দিয়ে ত কে ট বানাতে পারবেন। র কে ড়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার লেখাটা ভালো লেগেছে। "অবতার" এখনো দেখা হয় নাই, আজকে নামাতে দিলাম। যে কয়টা রিভিউ পড়েছি, মনে হলো অনেক অনেক ইস্যু উঠে আসছে ছবিটাতে। আর ডিক্যাপ্রিও, উইনস্লেট আমাদের সময়ের সবচে' ভালো অভিনয় শিল্পীদের মাঝে আছেন যদিও তাদের ক্যারিয়ারের বাজে ছবিগুলোর মাঝে একটা (অভিনয়ের দিক থেকে) হলো টাইটানিক!
শেষের অংশটা খুব খুব ভালো লেগেছে, ইমতিয়াজ ভাই। আমি নিজেও এভাবে চিন্তা করি যে ভার্চুয়ালিটি আমাদের কতটা কপট বানিয়ে ফেলছে। স্বার্থপরতা ভালো, অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যে দরকারও হয়, কিন্তু তাই বলে পুরোপুরি অনুভূতিহীন আর সংবেদনহীন হয়ে ওঠার পথটা বড়োই পিচ্ছিল লাগছে আজকাল!
ধন্য ছন্ন ।
টাইটানিকের ব্যাপারে একমত ।
---
শেষের অংশটা প্রথম দুটার প্রতিক্রিয়া বলা যায় । তবে আমি আবার অনেক
আশাবাদী-বিবাদী হয়ে উঠছি আজকাল
3D তে দেখলে যে মজা পাবেন, 2D তে হয়তো সেটা পাবেন না।
AVATAR আমার সেই রকম ভালো লেগেছে। তবে কাহিনীর চেয়ে নির্মাণকৌশল অনেক বেশী চমকপ্রদ মনে হয়েছে।
***
প্রশন গুলো সহয আর উত্তর ও তো জানা...
***
লেখাটা পুরোপুরোই ব্লগরবল্গর
আরেকটু সময় নিয়ে গুছিয়ে লিখলে আরো ভালো হবে।
***
শুভ কামনা।
Let It Snow! Let It Snow! Let It Snow!
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
আমারো সেইরকম লাগছে --- কাহিনী তো পুরাই টারজান - পোকাহোন্টাস -- ড্যান্সেস উইথ এলিয়েন টাইপ (ড্যান্সেস উইথ উলভসের বাচ্চা ভার্শন)।
কাহিনী মোটেই নতুনত্ব কিছু না -- তবে ক্যামেরনের এমন করার কারন আছে -- সে চায় যতো বেশী মানুষ দেখুক তার ছবি -- হালকা জিনিস না দিলে পাবলিক খাবে না ।
---
ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য ।
ইমতিয়াজ মির্জা
লেখা ভালো লাগে নাই।
একই বাক্যে একই শব্দের দুই ধরনের বানানটা ব্যাপক চোখে লাগলো।
- কোন পত্রিকা, কি ঘটনা কিছুই তো বুঝলাম না। ওরা কারণ দেয় নাই? আপনার এই অভিযোগের ভিত্তি (প্রমাণ) কি? আমেরিকায় পড়াশোনা করে যা বুঝছি নেটিভ আমেরিকানদের উপরে যে অত্যাচার তারা করেছে এটাকে কোনোভাবেই ছোট করে দেখে না ওরা, বরং ইতিহাস বইতে এমন কট্টর তিক্ত সত্যবাদীতা দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম প্রথমে। কাজেই আমার কাছে আপনার এ অভিযোগ হুদাই মনে হচ্ছে।
ছবিটাতে অনেক জটিল কিছু থিম আছে। যেমন নায়ক তার "স্বদেশী" ও "স্বজাতি" কে ত্যাগ করে অন্য এক জাতির "ইমিগ্র্যান্ট" হয়ে তার আনুগত্য পরিবর্তন করে.... এই কারণে সামরিক বাহিনীর প্রধান তাকে এ বিষয়ে একটা খোঁচাও মারে....
দেশপ্রেমকে ছোটো করে দেখানো্টাও কারণ হতে পারে.. এই ব্যাপারটা আমার যেমন খুব ভালো লেগেছে, অনেকেরই লাগবে না.. এইগুলান হইলো ব্যক্তিগত মতামত। মুভি রিভিউয়ে এগুলা আসার কথা না।
থিম অনেক পুরাতন। এনলাইটেনমেন্ট এরা বলতে আমরা যাকে বুঝি, সেই সময়ে এই থিম নিয়ে অনেক ক্লাসিক লেখা হয়েছে। নেটিভ আমেরিকানদের "পিওর" হিসেবে দেখানো, কলোনিয়ালিজমের মাধ্যমে তাদের দূষিত করা নিয়ে অনেক কাজই আছে। লেটারস্ ফ্রম এ পেরুভিয়াম উওম্যান পড়ে দেখতে পারেন। গালিভার্স ট্রাভেলস এর লেখক সুইফট কিন্তু এই কলোনিয়ালিজমের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভাবে সোচ্চার ছিলেন। "আ মডেস্ট প্রপোজাল" এর মতন লেখাগুলো সে সময়েই বের হয়েছে। কাজেই কাহিনীতে আসলেই নতুন কিছু নাই। কিন্তু এই ইস্যু গুলো আবার নতুন করে নতুন বেশে উঠে আসছে বলেই ক্যামেরন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই পুরাতন বক্তব্যকে তুলে আনছেন।
এইটা একটা প্রচণ্ড রকমের জেনারালাইজেশন হয়েছে। আপনার বোধহয় পশ্চিমা রোমান্টিসিজম সম্পর্কে ধারণা একটু কম। হিপ্পিদের কথা শুনেছেন? শত ত্রুটির মাঝেই এই পশ্চিমেই কিন্তু পরিবেশ সংক্রান্ত এত শত আইন আছে যা পূর্বের দেশগুলোতে অনুপস্থিত.. বা বাস্তবে প্রয়োগ একেবারেই নেই। এইরকম স্টেরিওটাইপড বক্তব্য একটু সাবধানে দিলে ভালো বলে আমার মনে হয়।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
লেখা ভালো না লাগায় আনন্দিত । সবার ভালো লাগবে এটা ঠিক না। বিরুদ্ধমত পেয়ে ভালো লাগলো ।
লেখাটা তো রিভিউ না -- আর প্রবন্ধও না যে তথ্য-প্রমান দিতে হবে।
তবে প্রত্যেকেই নিজস্ব গন্ডির মধ্যে থাকে -- আমার আশেপাশে লোভের জয়জয়কারটাই দেখি বেশী ।
আমার যুক্তিগুলো
১।একটা প্রজন্ম/জাতিকে কে খুন করে ইতিহাস লিখে রাখলেই মাফ পাওয়া যায় না ।
২। মানলাম ইন্ডিয়ানের ঝাড়েবংশে বিনাশ করা হুদাই (!) অভিযোগ --
সেই একই ধরনের কাজ (পরের রিসোর্স দখল করা) যদি (হুদাই) বার বার করতে থাকে সেটাকে কি বলা যায় ?
পত্রিকার নাম ওটোয়া সিটিজেন http://www.ottawacitizen.com/entertainment/movie-guide/Dancing+with+aliens/2349993/story.html
ভালো লাগলো -- এই ব্যাপারটা আপনার চোখে পড়েছে দেখে ।
তবে কিনা আজকাল মোটা দাগে ভিলেন পাওয়া যায় না -- যে আংগুল তুলে বলা যায় "তুই বদ ব্যাটা" ।
আপনি কি উপনিবেশিকতা সাপোর্ট করেন -- যদি করেন তাহলে আর মনে হয় না আলাপ আগে বাড়ায় কোন লাভ আছে । আমরা কেবল মতনৈক্যে একমত হতে পারে তাহলে ।
মুভিটা দেখে আমার কি মনে হয়ছে লেখাটা মুভি রিভিউ না মনে হয় -- এখানে আরো অনেকে ভালো লিখেছেন -- মুভিতে কি আছে তারচে আমার কি মনে হয়েছে সেটা আমার কাছে জরুরী মনে হয়েছে ।
সত্য কথা কাহিনী চর্বিত চর্বন -- বাচ্চাদের জন্য ভালো ছবি হতে পারতো ভায়োলেন্স না থাকলে -- তবে অবতারের মেসেজটুকু নিয়েই আমার আগ্রহ -- বাকীটুকু বুঝতে হলে আপনার একটু কষ্ট করে
যেইটগেইষ্ট দেখতে হবে । অবশ্য এখনি বলতে পারি আপনার ভালো লাগবে না মনে হয় ।
---
গড়পড়তা নর্থ আমেরিকানদের প্রকৃতি নিয়ে মাথা ব্যাথা কমই দেখি ।
একটু জেনারালাইজেশন হয়েছে এটা ঠিক।
তবে আমাদের বাউল সংস্কৃতি বা আদিবাসী বা মাটির সাথে মানুষের যোগই বা এখানে কতটুক আছে বলুন ?
যদি কোকের ক্যান যথাস্থানে ফেলা পরিবেশ সচেতনতা চূড়ান্ত রুপ হয় -- তবে তারা নি:সন্দেহে পরিবেশবাদী । আমাদের তৃতীয় বিশ্বের অনেকের চে বেশী রিসোর্স খরচ করেও তারা মারাত্মক পরিবেশবাদী ।
অবশ্য তাদের আবার জবাবদিহিতা কিসের - তারাই পোলার বাপ -- তারাই মাইয়ার বাপ ।
তবে সংবেদনশীল লোক আছে বলেই তো এত দারুন দারুন জিনিস আমরা জানতে পারি । সব "দেশে" সব কালেই সংবেদনশীল ভালো "মানুষ" ছিলো ।
তবে ওরা যেমন "ব্লু মাংকি"/"ব্রাউন নিগার" বলে দাত কেলাতে পারে -- ওদের পাছার কাপড় খুল্লে আমরাও তুই ন্যাংটা বলতে পারি -- এবং তাই উচিত ।
---
হিপ্পীদের রোমান্টিসজমের সাথে প্রাসংগিক কোন বিষয় খুজে পেলাম না স্যরি ।
লেখাটা রিভিউ না জেনে ভালো লাগলো। তবে আমি আপনার কথা বলিনি, পত্রিকার কথা বলেছি। আপনার আশেপাশে আপনি কি দেখেন আমি জানি না লোভের জয় জয়কার বলতে কি বোঝাচ্ছেন তাও জানি না.. কাজেই বুঝতে পারছি না কি বলতে চাচ্ছেন।
প্রজন্ম/জাতিকে খুন করে ইতিহাস লিখে রাখলেই মাফ পাওয়া যায় না। একমত... "ইন্ডিয়ান" বলে আপনি বোধহয় নেটিভ আমেরিকানদের বোঝাচ্ছেন। আমি বলিনি কিন্তু যে তাদের নির্মম ভাবে বিনাশের চেষ্টা করা হয়নি.... আমি বলেছি এ বিষয়ে আমি অন্তত: কোনো রাখঢাক দেখিনি। বরং আমার দেখা সব "সাদাচামড়াই" (প্রচণ্ড রেসিস্ট একটা শব্দ) অত্যন্ত লজ্জার সাথে স্বীকার করে সেইসব কুকীর্তির কথা। তাই বলে কি মাফ? তা বলেছি কি? বলে থাকলে কোথায়? দেখান তো? এখন নেটিভ আমেরিকানরা কিন্তু উত্তর আমেরিকার মধ্যে সার্বভৌম একটা জাতি... কাজেই তারা সে ইতিহাস অস্বীকার করার চেষ্টায় মুভিটাকে খারাপ বলেছে এমন অভিযোগ আমার কাছে দুর্বল লেগেছে।
কিরে ভাই ঔপনিবেশিক বানায় দিলেন? হে হে .. কি দেখে / পড়ে আপনার মনে হল আমি তা বলতে চাচ্ছি?
আমি বলছিলাম যে, এই মুভির এই থিমটাকে ধরুন এভাবে দেখি -
একজন বাংলাদেশী পশ্চিমে এসে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলো... এবার সে নিজেকে আমেরিকান দাবি করলে আমাদের কেমন লাগবে?
একজন আমেরিকান মানুষ এখন যদি এলিয়েন রেইস এ কনভার্ট করে, একজন আমেরিকানের চোখে খারাপ লাগতেই পারে।
আমার কাছে মনে হয় জাতীয়তাবাদ, গোষ্ঠীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা সামাজ্রবাদের মতই ক্ষতিকর... যদিনা আরও খারাপ হয়। সেদিক থেকেই আমি বলছি যে এই আইডিয়া আমার ভালো লেগেছে, অনেকেরই লাগবে না... এবং খুবই স্পষ্ট কেন লাগবে না.. তার মধ্যে আপনি ঔপনিবেশিক কি খুঁজে পেলেন তা বুঝতে আমি অপারগ। দু:খিত।
রোমান্টিসিজম সম্পর্কে জানতে পড়ুন - http://en.wikipedia.org/wiki/Romanticism .. পশ্চিমারা সবাই যে প্রকৃতি বিষয়ে একেবারেই উদাসীন, আপনার এই মন্তব্যের উত্তরে এর কথা উল্লেখ করেছি কেবল একটি উদাহরণ রূপে। আর কিছু নয়।
আমি ভাই থাকি এক অজপাড়া গাঁয়ে। এখানে মানুষরা অধিকাংশ চাষী, ছুটিতে যায় মাছ ধরতে বা হাইকিং এ বা ক্যাম্পিং এ। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন এখানে বাউল সংস্কৃতি আমি দেখি নাই...
হিপ্পিদের কি বাউল বলা যায় কোনোভাবে? আমার কাছে তো মনে হয় যেতে পারে।
যা হোক.. পশ্চিমাদের প্রতি এমন ডিসগাস্ট নিয়ে না তাকালে হয়তো পজিটিভ কিছুও দেখতে পাবেন। খারাপকে অবশ্যই খারাপ বলতে হবে। তবে খুব সাবধানে, যেন ভালটাকেও খারাপ বলে না ফেলা হয় সেকথাই বলতে চাচ্ছিলাম।
লিখতে থাকুন।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
লোভের জয় জয়কার -- বলতে বুঝিয়েছি যে আমাদের পয়সার জন্য আজকাল কর্পোরেট আর সরকার সবকিছুই করতে করতে ।
এটা বলা অবশ্য ভুল হবে শুধু পাশ্চাত্যে বা উন্নত বিশ্বেই এমনটা ঘটে --
সব দেশের সরকারই প্রকৃতির ব্যালেন্স নষ্ট করায় ওস্তাদ । মানুষ তো লোভের জন্যই গ্রহটাকে দূষিত করে ফেলছে তাই না ?
মুভিটাতে একটা দৃশ্য আছে -- গাছটা ধ্বংস করে ফেলে --বেস কমান্ডারের মতে সেটা কেবলই একটা গাছ -- অথচ ওদের কাছে নিজের ঘর -- নিজের শরীরের অংশের মতো । শুধু সাদারা না -- অনেক মানুষেরই এই অনুভূতিটা হারায় গেসে।
তবে এটা বুঝতে পারছি আপনার দৃষ্টিভংগী ভিন্ন কারণ নিশ্চয় সংবেদনশীল মানুষদের আশে পাশে থাকেন যারা এই জিনিস গুলো মূল্যায়ন করে ।
----
আপনাকে ঔপনিবেশিক বানায় দেই নাই -- জিগ্গেস করলাম ঔপনিবেশিকতা সাপোর্ট করেন কিনা ? সেটাতো করতেই পারে অনেকে তাই না ? আমেরিকানরা মনে করতেই পারে যে আরেক দেশের মাল তাদের বাপের সম্পত্তি -- বৃটিশরা ঔপনিবেশিকতার ভক্ত হতেই পারে -- তাদের সেই স্বর্ণযুগ -- মজার ব্যাপার হলো দু দিন আগেই একজনের সাথে আলাপ হলো উনি পাশ্চাত্যের অন্ধভক্ত বলা চলে -- উনার যুক্তি হলো
যার নুন খাই তার গুণ গাইতে হবে !! এইটাও তো শক্ত যুক্তি !
----
অবশ্যই সাম্রাজ্যবাদের মতোই ক্ষতিকর -- এটাতে শতভাগ একমত ।
----
রোমান্টিসিজমের সংজ্ঞা পড়ে জ্ঞান লাভ করলুম -- ধন্যবাদ দাদা ।
---
হিপ্পিদের কি বাউল বলা যায় ?? ইন্টারেষ্টিং -- একটু চিন্তায়ে দেখলাম --
বাউলরা মনে হয় একটু রক্ষণশীল -- তাছাড়া ওদের আত্মিক আকুতি -- রক্তের টান -- অলৌকিকের প্রতি সমর্পণ -- সুফীবাদী ভাব - এইসব হিপ্পিদের মধ্যে কই ?
অপরদিকে হিপ্পিরা মনে হয় পলিটিক্যালী কনশাস ছিলো বেশী -- ড্রাগ/সেক্স নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট -- অনেক সাহসী ছিলো --
ভবঘুরে দের মধ্যে মিল তো আছেই কিছুটা ।
একটা পোষ্ট দিয়ে ফেলেন - এই টপিকটা নিয়ে আলোচনা করতে ভালোই লাগবে মনে হয় ।
---
বস -- পশ্চিমের প্রতি ডিসগাষ্ট না মোটেও -- নষ্টের প্রতি ডিসগাষ্ট বলা যায় । আমি বরং অনেক কিছুরই ভক্ত এখানকার । ভালোটা কে ওপেন মাইন্ডে ভালো বলতে পারি ।
পশ্চিম-পূর্ব ব্যাপার না -- ক্ষমতা পেলে বাংলাদেশীরাও উপনিবেশীকতা শুরু করবে গ্যারান্টি দেয়া যায় ।
সমস্যাটা অন্য -- ঐযে আরেকজনের অনুভুতি কে পাচপয়সা দাম না দেয়া -- সমস্যাটা সেই খানেই।
--
ইমতিয়াজ মির্জা
এইরকম ব্লগরব্লগর লেখা পড়তে ভালই লাগে
ধন্যবাদ ভ্রাতা ।
আমার দিনপঞ্জি পড়তে ভালোই লাগলো।
তবে প্রত্যেকেই নিজস্ব গন্ডির মধ্যে থাকে...
সেটাই
শুকরিয়া
গন্ডীবদ্ধ জীবন।
___________
আলোটাকে ছুতে চেয়েছি - বৃত্তবন্দী কীট
উজ্জল চোখ ধাঁধানো আলো
ভেবেছিলাম কতোই না রংচয়ে খাবার
কেন্দ্রের কাছাকাছি থেকে ঘুরপাক শুধুই
শেষে অনেকক্ষন কাচের দেয়ালের ঘ্রান নিয়েছি
আলোটা অস্তিত্বকে অবশ করার আগেই নিজের
বৃত্তে ফিরে গিয়েছি নিরাপদে।
--
ইমতিয়াজ মির্জা ।
- সিসটেম পাইতেছি না, আগে দেইখা লৈ, তারপর এই সিনেমা নিয়ে কথা কমু।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এখনি হয় এমন!
বানানে খিয়াল করে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হমমম এখনি এমন হচ্ছে -- সামনে আরো খারাপ হবে ।
আগে শুনতাম আপনের চে পর ভালো -- পরে চে জংগল ভালো --
এখন নতুন করে যোগ করতে হবে -- জংগলের চে ভার্চুয়াল ভালো !!
অট: আপনি কোথাকার শাহেনশাহ ?
---
ইমতিয়াজ মির্জা ।
আপনি একটা কাজ করতে পারেন। একটি বাক্যে প্যারা না করে কয়েকটি বাক্য একসঙ্গে রেখে তারপরে প্যারা ব্রেক দিন। [justify] ট্যাগটা ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে পড়তে আরো আরাম লাগে চোখে।
মির্জা
একটু গুছিয়ে লেখার দরকার আছে। চালিয়ে যান।
অট:
একটা নির্দোষ লেখাকে এভাবে বাজে রেটিং করার কোন কারণ ধরতে পারলাম না। লেখালেখির শুরুটা মাস্টারপিস হবে এমন কি কেউ আশা করে?
১.
অবতার এখনো দেখিনি, তবে বিজ্ঞাপন দেখে মনে হলো বেশ ভালো হবে। আশা করছি আগামী সপ্তাহেই দেখে ফেলবো।
২.
আপনার লেখাটা পড়তে ভালো লেগেছে। কিন্তু প্রায় প্রতিটি বাক্যে "--" এর ব্যবহার খুবই বিরক্তিকর ঠেকেছে। এক্ষেত্রে হিমু যা বলেছে তা ভবিষ্যতে মেনে চললে ভালো হবে।
থ্রি ডিতে দেখবো বলে আশা করে আছি। কিন্তু মন মতো সীটই বুক করতে পারছি না, হাউস ফুল যাচ্ছে সব শো। এতো আলোচনা যে সিনেমা নিয়ে সেটা না দেখে কিছু মন্তব্য করলাম না।
শেষের অংশটুকু ভালো লেগেছে। স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছিতো বটেই।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নতুন মন্তব্য করুন