তবে আজ রাতে স্যুপ নিয়ে একটা গ্যাঞ্জাম লেগে গেল।ওর হবু শ্বশুরবাড়ির পছন্দ ছিল থাই স্যুপ। আদিবা বলে বসল “সিচুয়ান, সবসময় একই স্যুপ ভাল লাগেনা”। ওই পক্ষ কেমন থমকে গেল।ফেরার পথে মা নানানকিছু বলতে থাকে। নিজে কাউকে পছন্দ করতে পারত আদিবা, তাহলে এসব ছেলে খোঁজার ঝামেলায় যেতে হতনা। কেন প্রেম করলনা, আদিবা? কাউকে যে ভাল লাগেনি , তা না।দেখা গেছে পছন্দ হয়েছে কি হয়নি সেটা ঠিক করতে করতেই সেই ছেলে অন্য কারো প্রোফাইল পিকচারে গদগদ ঝুলছে।
বাবা চুপ। ড্রাইভারের পাশের সিটে।এসব নিয়ে বাবার সাথে সরাসরি কোন কথা হয়না আদিবার।হয়ত বাবার অস্বস্তি হয়। বাবার কথাগুলো মার মুখে শোনে আদিবা।তোর বাবা বলেছে, তোর বাবা চায়-এভাবেই শুরু হয় বাক্যগুলো। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে,রাস্তায় জ্যাম। গ্র্যাজুয়েশন শেষ আদিবার। বাইরে পড়তে যাবে। যাবার আগে বিয়ে করে যেতে হবে। আদিবার পড়তে যাবার দেশ, শহর, ক্যারিয়ার, বয়সের সাথে ছেলের দেশ, শহর, পরিবার, বয়স মেলানো-বিশাল এক পারমুটেশন, কম্বিনেশনের ব্যাপার। কঠিন অঙ্ক, পারবে কি বাবা মা মেলাতে? ভাবে আদিবা।
এ নিয়ে পাঁচটা দেখাদেখি চলল।এদিকের “না” ওদিকে পৌঁছানোর আগেই ওদিকের “না” পৌঁছে যায়।মেয়ের রেজাল্ট বেশি ভাল, মেয়ের চুল কোঁকড়া, হাইট ম্যাচ করছেনা, মেয়ে বেশি চুপচাপ(অর্থ নাকউঁচু)- কেমন যেন সব গোলমাল হয়ে যায় আদিবার। সাদা কাগজের কিছু কাল শব্দ, একটা ছবি আর এক ঘন্টার দেখায় আসা “কমপ্লিমেন্ট” গুলো একটা ক্ষেপাটে বোবা রাগ তৈরি করে। সেদিন স্নানের পর ভেজা চুলগুলো টেনে টেনে দেখছিল সোজা চুলে কেমন লাগে নিজেকে।আবার গাড়ি থামে সিগন্যালে।
-শোন মা, বিয়েটা তো করতেই হবে,না? যত আগে হয় ততই ভাল, বিদেশে গিয়ে একা একা থাকবি , ভাবলেই তো ভয় লাগে আমার।আর বাচ্চা-কাচ্চারও তো একটা ব্যাপার আছে, বয়স হয়ে যাচ্ছে…এই ছেলেটা কিন্তু ভাল ছিল…
নাহ, বিয়ে করবেনা এ কথাটা জোর দিয়ে বলতে পারেনা আদিবা। বাইরে গিয়ে একা একা কি করে থাকবে ভাবলে ওরও ভয় করে- মানুষের ভয়,ভূতের ভয় আর একা একা রাতের খাবার খাওয়ার ভয়।ফেসবুক জুড়ে বান্ধবীদের বিয়ের ছবি দেখতে দেখতে ভেবেও ফেলে কোথায় সাজবে, কোথায় যাবে হানিমুনে।তারপর? ফারজানা শাকিল বা নেপাল না হয় ঠিক করা গেল।তারপর কি হবে? ফেসবুকের ছবির বাইরে যে জীবনটা, যেখানে মানুষ হাই তোলে, কান চুলকায়, টয়লেটে ফ্লাশ না টেনে চলে আসে, জুতা খুললে মোজায় গন্ধ বের হয়- এই ঘর করাটা কি করে করবে ভালবাসা ছাড়া? আবার চোখ বন্ধ করে এই “ভালবাসা” জিনিসটাকে ভোট দিতেও ভয় করে আদিবার।অনেক বন্ধুরই বিয়ের আগের ভালবাসা চা খেতে চলে গেছে। তারপরও, গাড়ির কাঁচ তুলে রাখার পরও, বেয়াড়া কিছু বৃষ্টির হলকা, পিচের ওপরের জলে কমলা-কাল আলোর এনিগমা, কড়ই ফুলের লেবু লেবু বাসনা-আদিবাকে বলে একটা সুযোগ দিতে,ওই “অসুস্থ” শব্দটাকে।
প্রায় পৌঁছে গেছে বাসায়।এবার, গত ছয়মাস ধরে চলা আড়ং, চায়নিজ, টেলিফোন, সাজগোজ, বাবা-মার নিচু গলায় কথা বলা, বোনের জিজ্ঞাসু চোখ, ছবি, বায়োডাটার বৃত্তের ব্যাস বরাবর একটা ঘ্যাচাং করবে বলে ঠিক করে, আদিবা।
বাবাকে বলবে-ভাল লাগছেনা ,বাবা। এসব। এভাবে হয়না। কেমন যেন গা গুলায়।বাদ দাও এসব প্লিজ।যদি কখনো স্বাভাবিক ভাবে কিছু হয়,তখন করব বিয়ে। শুনলাম তো তোমাদের সব কথা।আর ভাল লাগছেনা।আরেকবার সব সৎ পাত্রদের গঙ্গারাম বানিয়ে দেই? শুনবে কবিতাটা? শোনাব?
______
আনন্দী কল্যাণ
মন্তব্য
বিরাম চিহ্নের আগে কখনো স্পেস দেবেন না, আর পরে সবসময় একটা স্পেস দিন।
বেশ ভালো লাগলো। নিয়মিত লিখুন। এই অণুগল্পটা আগে পড়া না হলেও, আগে দেখা, আগে শোনা, আগে বেদনা নিয়ে অনুভব করা।
ধন্যবাদ হিমুদা, পড়ার জন্য। বিরাম চিহ্ন খেয়াল রাখব।
খুবই ভালো লাগলো, আনন্দী! দু'জনেরই লেখার হাত এতো ভালো হলে তো মুশকিল
আমি কিন্তু আপনাকে অনেক ভালু পাই , ভারচুয়াল ভাল পাওয়া ।
চেনা অনুভূতিগুলোকেই কি দারুণ ভঙ্গিতে লিখলেন!!!!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিহ্মা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃহ্মমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভাল থাকুন।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভাল থাকুন।
খুব খুব ভালো লাগলো...
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
একেবারে আমার নিজের কথাগুলোই লিখলেন আপনি । কি যে যন্ত্রণা........
বিচ্ছিরি এক যন্ত্রণা...
এইটা অনেকেরই কথা, আপু। এভাবে বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
চমতকার!
ধন্যবাদ।
লেখাটা ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আরিফ ভাই, পড়ার জন্য।
লেখাটা বেশ ভালো লাগলো। গল্পটা বোধহয় অনেক নাগরিক মেয়ের জীবনের প্রতিফলন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ গৌতমদা, পড়ার জন্য।
চমৎকার লেখা।
সবাই বলেই দিয়েছে "চেনা তবুও পড়ার সময় খুব ভাল লেগেছে"।
সময় থাকলে আমার একটা গল্প পড়ে দেখতে পারেন
বোহেমিয়ান
আপনার লেখাটাও পড়লাম, ভাল লাগল।
ঠিকই বলেছেন, "বাজার"।
অনেকদিন পর এমন একটা গল্প পড়ে প্রাণটা যেন ভরে উঠল! বিশ্বাস করুন, এতটুকুও বাড়িয়ে বলছি না, অসাধারণ হয়েছে। মনে হচ্ছে আপনার পরবর্তী লেখার জন্য অপেক্ষা করতে ভালই লাগবে আমার।
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
শুভকামনা।
গল্পটা মোটামুটি হয়েছে, তাও আপনার এত ভাল লাগল দেখে ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
ভালো লিখেছেন। যদিও গল্পটা অনেক পরিচিত, অনেক চেনা।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
লেখাটা যথেষ্ট গোছানো হয়েছে- নিয়মিত আপনার লেখা পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম।
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
আপনার লেখা ভালো লাগলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ, নজরুল ভাই, পড়ার জন্য।
ছোট-ছোট বাক্যে সুন্দর লেখা। দেখি, এরকম করে লেখার চেষ্টা করতে হবে। ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ পিপিদা।
বাঃ
এতো চমতকার গল্প
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ, রানা'পু ।
আপনার আরো লেখার অপেক্ষায় রইলাম। আরেকটু সাহসী মেয়েদের গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গল্পটা বেশিরভাগের গল্প। দ্বিধা, ভয় যাদের সহজ সমাধানে ঠেলে দেয়। নিয়ম মেনে চলতে যারা স্বস্তি পায়। স্বস্তি পায়, কিন্তু মন ভাল থাকেনা। প্রতিবাদ করাটা ভাল। কিন্তু প্রতিবাদ না করতে পেরে যে গুমোট কষ্ট, সেটা বলতে চেয়েছিলাম।
সাহসীদের কথাও লিখব। তার আগে নিজের একটু সাহস প্রয়োজন। অনেক বছর লিখিনা। খুবই ভয়ে ভয়ে লেখা দিয়েছি। সচলের পরিবেশটা এত সুন্দর, লোভ সামলাতে পারলাম না লেখা দেবার।আপনাদের কিছুটা হলেও ভাল লেগেছে, তাতেই আমি খুশি। এখন সমালোচনা চাইছি, খুব উপকার হয় তাহলে।
চারপাশের দেখা দৃশ্যের চমৱকার বয়ান। ভালো লাগলো।
............................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ধন্যবাদ পান্থদা, পড়ার জন্য।
আপনার গল্পের ষ্টাইলটা দারুন লাগলো।
ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
আপনার লেখার হাত খুবই পরিণত আর সুন্দর। পড়ে আরাম পেলাম। গল্পের বিষয়টা নিয়ে অবশ্য একটু অপছন্দ আছে। আদিবার সমস্যাটা এতোই সামান্য যে এর বাবদ পাঠকের মনে কোনো সহানুভূতি জন্মায় না তার জন্য। ধরা যাক ঐ কঠিন পারমুটেশন মিলিয়ে পাত্র জুটলো না। তো তাতে বিপদ তো কিছু নেই, পড়তে গিয়ে সেখানে পাত্র জোটালেই হয়। একান্ত একা থাকা অসম্ভব হলে নিজের শহরেও পড়াশোনা করা যায়, সেও তো ভীষণ খারাপ কিছু অপশন নয়। কিন্তু এ সব বাদ দিয়েও পড়ে ফেলতে হয় আপনার লেখনীর গুণে। পরের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি একটু বলি, আদিবার সমস্যাটা কিন্তু আমার কাছে খুব সামান্য মনে হয়নি। 'পাত্র জোটানো' ব্যাপারটাও কিন্তু খুব সহজ না ! একটু বেশি পড়াশোনা-জানা হয়ে গেলে, নিজের মতো করে চিন্তাভাবনা করার অভ্যাস থাকলে, সমাজ-পরিবার-প্রতিবেশীদের নানানরকম কথাবার্তা গায়ে লাগার মতো সূক্ষ্ন বোধ থাকলে এই 'আয়োজন করে বিয়ে'র ব্যাপারটা কিন্তু অনেক মেয়ের জন্যই একটা গুরুতর সমস্যা।
আমার চেনাজানার পরিধির ভেতর যেমন দেখেছি তার ভিত্তিতেই কথাগুলো বললাম।
পাত্র জোটানো সোজা কথা না, সে কথা মানছি, তবে ঐ বিদেশযাত্রার আগেই খুঁজে পেতে হবে বলে যে এক্সট্রা প্রেশার সেইটের কথা বলছিলাম।
মুলোদা, আসলে কিছু সমস্যা একান্তই মেয়েদের বললে একটু বেশি বলা হয়ে যাবে, কিন্তু না বলে পারছিনা, আমাকে এই এক বিয়ের জন্য কোথাও অ্যাপ্লাইও করতে দেয়া হচ্ছেনা... কারো ঘাড়ে না চড়ে এই দেশ থেকে আমার বের হওয়া হবেনা, এই ভাবনা স্বাধীনচেতা কারোর জন্য খুব সুখকর নয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মূলত পাঠক, আপনার মন্তব্য পড়ে একটা প্রশ্ন জাগলো - কলকাতায় কি এ ব্যাপারটা খুব চেনা নয়? মানে, কোন অবিবাহিত মেয়েকে দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে বিয়ে করে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে চাপ দেয়া হয় না? বাংলাদেশে এটা খুব পরিচিত একটা ব্যাপার। খুব সম্ভবত সেকারণেই বাংলাদেশী যাঁরা গল্পটা পড়েছেন, আদিবার সমস্যাটার সাথে রিলেট করতে পেরেছেন। মেয়েরা বিশেষ করে। একই সিচুয়েশনে যাঁরা পড়েন নি, এমনকি তাঁরাও।
পশ্চিমবঙ্গে আসলে এতটা ব্যাপক নয় বলেই মনে হয়। নিতান্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের অবিবাহিত মেয়েদের দেখেছি দিব্যি চান্স পেয়ে যাবার পরেই একা একা চলে যেতে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগে থেকেই প্রেম থাকলে বিয়ে করে দু'জনেই চলে যায়। তখন আবার আরেক জটিলতা, অনেকসময়েই এক ইউনিতে তো চান্স পায় না, কয়েকবছর পরে একজন হয়তো আংশিক ক্ষতি স্বীকার করে ইউনি পাল্টায়। কেন জানিনা কেরিয়ারের ক্ষতিটা মেয়েরাই বেশী স্বীকার করে, হয়তো জেনেটিক কারণ বা হাজার বছরের সংস্কৃতি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরে এসে বিয়ে করে যায় যদি ঠিকঠাক মেলে সবকিছু।
বাড়ীর চাপ যে একেবারে নেই তা না, তবে অপেক্ষাকৃত সাহসী মেয়েদের পক্ষে "অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে" এর অপছন্দনীয় ব্যবস্থাকে "না" বলে দেবার জায়গা আছে।
একটা অদ্ভুত উদাহরণ জানি, সেটাও মধ্যবিত্ত পরিবার, মেয়েটা একেবারে এই সব পাত্রপাত্রী দেখা ব্যবস্থাটাকে প্রচন্ড ঘৃণার চোখে দেখে, এদিকে নিজে পছন্দও করেনি কাউকে, সে চান্স পেয়ে চলে যাবার সময় তার বাবামা অগত্যা বলে দিলেন বিদেশে কাউকে পছন্দ হলে সে যেন দ্রুত বিয়ে করে ফেলে। সে মেয়ে তো চটেরেগে ক্ষেপে একাকার। তার মতে সে তো ইন্ডিপেন্ডেন্ট হয়ে বিদ্যাচর্চা করতে যাচ্ছে, বিয়ে করতে তো যাচ্ছে না!!!!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
পশ্চিমবঙ্গের বই টই পড়ে আমারও কিছুটা সেরকমই ধারণা হয়েছিলো
পাঠকদা, ধন্যবাদ পড়ার জন্য। এটা আসলে কোন সমস্যা হওয়া উচিত না। আমাদের দুর্ভাগ্য এখনো আমাদের দেশে এটা সমস্যা। বইখাতা আর দুষ্ট বালিকা বলে দিয়েছেন। আমার ব্যর্থতা, আমি পাঠককে (নিরপেক্ষ, যারা মেয়ে নন)কষ্টটা বোঝাতে পারিনি। আপনার অপছন্দ টা জানিয়ে খুব ভাল করেছেন। এমন সমালোচনা পরেও আশা করছি।
ভালো লেগেছে। আরো অনেক গল্প লিখুন।
ধন্যবাদ
আপু, চিরচেনা গল্প। কিছুদিন আগে হলেও নাক সিঁটকে বলতাম, এহ! এইসব আমার সাথে হবেনা! কিন্তু আজ হয়ে গেলো! অনুভূতিগুলো ভীষণ ধারালো, সুঁইয়ের মতো তীক্ষ্ণ! মজাটা হলো আব্বু-আম্মুরও কিছু জানা ছিলোনা। আমার সময়সীমা কাল সকাল দশটা পর্যন্ত! আর দশটাই ঘন্টা মাত্র! যাকে এই মূহুর্তে ভীষণ করে দরকার, সে ঘুমাচ্ছে কম্বল মুড়ি দিয়ে সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর পারে! অসহায়ত্বটা বুঝানো মুশকিল!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপনাকে কি লিখব ঠিক বুঝতে পারছিনা। এটুকু বলি, বাইরে প্রতিবাদ করা অনেক সহজ, কিন্তু ঘরের মানুষদের সাথে যুদ্ধটা খুব কঠিন, সবাই পারে না বা করতে চায় না। তারপর ও বলি, করুন। তার ঘুম ভাঙ্গুক এই প্রার্থনা রাখছি।
আপনাকে "সাহস " জানাই, শুভেচ্ছা নয়।
আপু, চিরচেনা গল্প। কিছুদিন আগে হলেও নাক সিঁটকে বলতাম, এহ! এইসব আমার সাথে হবেনা! কিন্তু আজ হয়ে গেলো! অনুভূতিগুলো ভীষণ ধারালো, সুঁইয়ের মতো তীক্ষ্ণ! মজাটা হলো আব্বু-আম্মুরও কিছু জানা ছিলোনা। আমার সময়সীমা কাল সকাল দশটা পর্যন্ত! আর দশটাই ঘন্টা মাত্র! যাকে এই মূহুর্তে ভীষণ করে দরকার, সে ঘুমাচ্ছে কম্বল মুড়ি দিয়ে সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর পারে! অসহায়ত্বটা বুঝানো মুশকিল!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপু, চিরচেনা গল্প। কিছুদিন আগে হলেও নাক সিঁটকে বলতাম, এহ! এইসব আমার সাথে হবেনা! কিন্তু আজ হয়ে গেলো! অনুভূতিগুলো ভীষণ ধারালো, সুঁইয়ের মতো তীক্ষ্ণ! মজাটা হলো আব্বু-আম্মুরও কিছু জানা ছিলোনা। আমার সময়সীমা কাল সকাল দশটা পর্যন্ত! আর দশটাই ঘন্টা মাত্র! যাকে এই মূহুর্তে ভীষণ করে দরকার, সে ঘুমাচ্ছে কম্বল মুড়ি দিয়ে সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর পারে! অসহায়ত্বটা বুঝানো মুশকিল!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপু, চিরচেনা গল্প। কিছুদিন আগে হলেও নাক সিঁটকে বলতাম, এহ! এইসব আমার সাথে হবেনা! কিন্তু আজ হয়ে গেলো! অনুভূতিগুলো ভীষণ ধারালো, সুঁইয়ের মতো তীক্ষ্ণ! মজাটা হলো আব্বু-আম্মুরও কিছু জানা ছিলোনা। আমার সময়সীমা কাল সকাল দশটা পর্যন্ত! আর দশটাই ঘন্টা মাত্র! যাকে এই মূহুর্তে ভীষণ করে দরকার, সে ঘুমাচ্ছে কম্বল মুড়ি দিয়ে সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর পারে! অসহায়ত্বটা বুঝানো মুশকিল!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অসাধারণ একটা লেখা। শুরু আর শেষটা এমন ভাবে মিলিয়ে দিলেন। ভালো লাগলো খুব। গল্পের এই ভঙ্গিটা আমি পছন্দ করি। আরো লেখা চাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ
আচ্ছা, মুদ্রার অন্য পিঠটা ভেবে দেখুন না কেন? একটা ছেলের জন্য যখন মেয়ে খোঁজা হয় তখন তাকেও তো সেই সাজগোজ, দেখাদেখি, চাইনিজ, বিল ইত্যাদির মধ্য দিয়েই যেতে হয়। ব্যপারটা তার জন্যেও যে খুব উপভোগ্য তা তো মনে হয় না। তবে মেয়েরাই কেন শুধু নিজেদের ছোট ভাববে? বহু যুগের সংস্কার? বিয়ে যদি করতেই হয়, পাত্র/পাত্রী যদি দেখতেই হয় তবে ইন্টারেস্ট নিয়ে দেখাই ভাল। নতুন কিছু মানুষের সাথে চেনা শোনা হওয়া তো খ্রাপ কিছু না। সিচুয়েশন কিন্তু win-win. ভাবনা গুলো সহজ হলেই হল।
___________________________________________________
আনন্দে থাকি, আনন্দে রাখি
এই দেখাদেখি ব্যাপার টা আমার একদমই পছন্দ না। এর পক্ষে অনেক যুক্তি থাকতে পারে, শুনতে আগ্রহী নই।
আর বেশিরভাগ ছেলেকেই দেখেছি পাত্রী দেখাটা বেশ উপভোগ করতে, "ও তো খুব মেয়ে দেখে বেড়াচ্ছে", এ কথা গুলো আমরাই বলি। কোন মেয়ের সম্পর্কে কিন্ত এমন বলিনা যে " ও তো খুব ছেলে দেখে বেড়াচ্ছে"। এখনও, এখনও এদেশে মেয়েদের বিয়ে "হয়" আর ছেলেরা বিয়ে "করে"।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর মন্তব্যর জন্য।
শুধু চেহারা দেখে এগিয়ে আসা মানুষদের এড়িয়ে যাই অথচ কি আসচর্য ৫ মিনিট দেখেই সৎপাত্রের সাথে জীবন কাটানোর জন্য হ্যা বলি আমরা!ভীষন ভাল লাগল নিজকে দেখলাম হয়ত*নক্ষত্র
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যেখানে মানুষ হাই তোলে, কান চুলকায়, টয়লেটে ফ্লাশ না টেনে চলে আসে, জুতা খুললে মোজায় গন্ধ বের হয়- এই ঘর করাটা কি করে করবে ভালবাসা ছাড়া?
এই জাতীয় বা কাছাকাছি ব্যাপারগুলো একজন ছেলেরও ভাবনার কারণ হতে পারে।
একমত।
দ্বিধা, পুরোটাই।
এ লাইনটার মানে বুঝিনি, ধুসরদা।
- দ্বিধা বলছি, কারো সাথে সংসার করতে শুরু করতে যাওয়াটা। কাউকে না জেনে পাঁচ মিনিটের চোখের দেখাতেই সংসার করতে সম্মত হয়ে যাওয়া। ভালোবাসা থাকলে এক জিনিষ। সাথে যদি বোঝাপড়াটাও আগে থেকে থাকে তাহলে আর কোনো কথাই নেই, একদম "দ্য কাপল মেইড ইন হ্যাভেন"। কিন্তু কারো সাথে "সংসার শুরু করতে হবে, এইজন্য আগে জেনে নেয়া"— এই পদ্ধতিটা ঠিক কতোটা কার্যকর আমি জানি না। সংসার শুরু করার তাড়া বা অভিপ্রায় থাকলেও নানা চিন্তা, যেগুলো আপনি লেখায় উল্লেখ করেছেন, এসে যায়। আর তখনই মনে যা তৈরী হয় তা হলো 'দ্বিধা'। কেমন হবে, কী হবে ইত্যাদি।
আমার নিজের কাছে মনেহয় প্রেমহীন সংসার শুরু করার পদক্ষেপ হলো জীবনের সবচেয়ে বড় জুয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুম এখন বুঝছি :)। একমত।
অল্প পরিসরেই একটি আবহ রচনা করার ক্ষমতা যেমন দেখছি তাতে আনন্দী কল্যাণের অনেক দূর যাওয়া হবে বলে মনে হচ্ছে।
দারুন লেখা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
বিয়ে করা...পোলাপান পয়দা দেওয়া নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে...
বিয়ে কি সবাইকে দিয়ে হয়!
সবাই কি সন্তান পালনের মত দায়িত্ব নিতে পারে?!
এত সামাজিক চাপ কেন................!!
লেখাটা ভাল লাগল.....
(জয়িতা)
হা হা হা ঠিকই বলেছেন!! ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
কনে দেখার ব্যাপারটা বিচ্ছিরি সন্দেহ নেই। যে দেশে এখনো পরিচয়বিহীন মানুষদের মধ্যে বিয়ে হয় সেখানে এই বিচ্ছিরি ব্যাপারটা চলতেই থাকবে। নিজের পছন্দে বিয়ে করার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বিরাজমান (স্বীকার করি বা না করি) ছুঁৎমার্গ থেকে বের না হলে তথাকথিত সেটেল ম্যারেজ চলতে থাকবে। এমনকি সবাইকে বিয়ে করতেই হবে এমন ভাবনা থেকে বের হওয়াটাও জরুরী। নারী তার প্রাপ্য মানবিক অধিকারগুলো না পেলে একতরফা অমানবিক বা অশ্লীল আচরণের শিকার হতেই থাকবে।
বহু দেখা, বহু শোনা, বহু জানা এই কুৎসিত ব্যাপারটাকে এমন ভঙ্গীতে উপস্থাপণ ভালো লাগলো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সবাইকে বিয়ে করতেই হবে এমন ভাবনা থেকে বের হওয়াটাও জরুরী।
সহমত।
সহমত।
অনেক পুরনো পোস্ট, কিন্তু পরে বড় ভাল লাগলো। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়, এদেশে মেয়ে হয়ে জন্ম নেইনি।
নতুন মন্তব্য করুন