তোমাকে
আধো ছায়ায় তোমার দিকে চোখ পড়তেই কপালের ভাঁজ, চোখের তলে কালি। শীতের রোদ্দুরে কেমন যেন ক্ষয়ে যাওয়া সময়ের গন্ধ। আ-আ-হ্, এ তো ভাঁজ পড়ার সময় নয়, এখনও কপালে কালো টিপ শোভা পাবার কথা। করতলে এখনও রক্তাভা থাকার কথা। নেই তো!!
এই তুমি, কে বলেছে তোমায় আসতে, এলেই যখন, কে বলেছে এই অবেলায় আসতে। এখন আর তোমাকে দেব বলে সেই ভালোবাসা কই- আমার সব ভালোবাসা কেড়ে নিয়ে গেছে সে। এখন বড় ক্লান্তি দেখো কপাল জুড়ে বসে আছে। ওত পেতে আছে ভয়াল দুঃসময়, ফিরে যাও.......ফিরে যাও তুমি। বিরক্ত করো না।
তাকে[/i]
সেদিন কেন দূরে সরিয়েছিলে তুমি। ভালো কি বাসনি.... বিশ্বাস করি না। কেন তবে ক্লাসের ফাঁকে আমার জন্য আলাদা করে খাবার তুলে আনতে টিফিন কৌটোতে করে। কেন আমার অসুস্থতার দিনগুলোতে ক্লাস ছেড়ে আমার পাশে তুমি বসে কাটিয়েছ। দুটো বছর যে সৌরভ দিয়ে আমায় তুমি ঘিরে রেখেছিলে, তাকে আড়াল করার চেষ্টাও করেছ বারবার। পেরেছিলে কি....পারনি, পারনি বলেই তোমাকে এখনও আমি আমার পাশে পাই। তোমার করতলে মুখ ডুবিয়ে আমি সেই দিনগুলোকে অনায়াসে অনুভবে আনতে পারি।
তুমি যাবার আগে বলেছিলে তোমার সাথে কখনো যেন আর যোগাযোগ না করি। এই দেখো আজ ষোল বছর, আমি তোমার কোন খোঁজ করিনি। কিন্তু তোমার সাথে আমার নিত্য যোগাযোগ।
তোমাকে
আবার কেন এসেছ, আমি চাই না... চাই না তোমাকে। আমাকে একা থাকতে দাও। বেশ, তোমাকে আমি বলি শোন তার কথা- তাকে আমি ভুলিনি, তাকে আমি ভুলব না। এবার ফিরে যাও।
কেন আস বারবার, কেন কেন? কেন বুঝতে চাও না, বারবার বলার পরেও।
---------------------------------
আবার আজ এলে-
কেমন আছ তুমি?
---------------------------------
বেশ কদিন পর এলে যে,
কদিন তোমার খোঁজ পাইনি, ফোন ও করনি-
কেন ?
-----------------------
আজ অমন ক্লান্তির ভাঁজ কেন কপালে। চোখে অমন বিষণ্ণতার খেলা কেন? তোমার চোখ জুড়ে, কপাল জুড়ে এত কালো কালো ছায়া কেন। আমার ভয় করে।
আমি
কত কতকাল ধরে আমি যত্ন করে স্মৃতিগুলো তুলে রেখেছি চন্দন কাঠের বাক্সে। দূরে চলে যাবার যে ধূসর রঙ তাকেও আমি সযত্নে ধারণ করেছি এই বাক্সে। জারুল গাছের পাতায় জমে থাকা বিন্দু বিন্দু জল তাকেও রেখেছি এই বাক্সে,শুধু তার জন্য। কখনো সে আসে মৃদু পায়ে, হাওয়ার মত পরশ বুলিয়ে ফিস ফিস করে বলে- কেমন আছ?
ও কেন বারবার আসে, কি চায় সে। আমি কিছু দিতে পারি না যে।
সে আমাকে ছাড়ে না, স্মৃতিও আমাকে ছাড়ে না।
সে আর স্মৃতি, স্মৃতি আর সে- আমি কাকে নিয়ে থাকি....................
মধুবন্তী মেঘ
মন্তব্য
'তোমাকে' আর 'তাকে' এর মাঝের ভীষণ টানাপোড়েন।
ভালো লাগলো।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
রেশনুভা, শুভেচ্ছা জানবেন।
মধুবন্তী
হুমম...ভাল্লাগলো!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুমম........ তাই !!!
মধুবন্তী
কবিতা নাকি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পদ্যও না গদ্য ও না, ইহা একটি আউলা লেখা।
মধুবন্তী
ভালু
থ্যাংকু........
মধুবন্তী
ভালো লাগল, মেঘ।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ আশরাফ। ভালো থাকবেন।
মধুবন্তী
লেখাটি পড়তে ভালো লাগলো
---------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
কেমন আছেন মউ।
মধুবন্তী
হুম পদ্য গদ্য কোন দলে নেই তবে চমৎকার!*নক্ষ্ত্র
নক্ষত্র, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মধুবন্তী
মেঘ দি,
লেখাটা মাথার অনেক উপরে দিয়ে গেল
কিন্তু মনের মাটিতে ঠিকই একটা ছায়া ফেলে গেল
আউলা লেখা আরো আসুক
অনিকেত, মনে যা আসে লিখতে থাকি। সেটা যে আবার সচলের ব্লগার রা পড়েন এটাই আমাকে অবাক করে। শুভেচ্ছা রইল।
মধুবন্তী
আউলা-বাউলা লেখা! ভালো পাইলাম!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
পান্থ, মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন।
আপনি কি মৌ মধুবন্তী? মানে এ নামের একজনের লেখা আগে পড়তাম, তাই জিজ্ঞেস করলাম।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
না, তানবীরা.. আমি মৌ নই। আরেকজনও এমন প্রশ্ন করেছিলেন। আমি আগে শুধু মেঘ নামে লিখতাম। কিন্তু আমার আগেই নাকি আরেকজন মেঘ এখানে লেখা শুরু করেন। তো মডু ভাইরা বললেন, আপনি এই নিক্ নিতে পারবেন না। অগত্যা পরে আলাদা করে আবার রেজিস্ট্রেশন করে মধুবন্তী মেঘ নামে এসেছি।
শুভেচ্ছা জানবেন।
মধুবন্তী
“কে হায় হৃদয় খুড়েঁ বেদনা জাগাতে ভালোবাসে”---মধুবন্তী বেদনা জাগানোর কাজটা ভালোই পারেন ।
ইবরাহিম যুন
নতুন মন্তব্য করুন