আশির দশকের একদম শেষ থেকে নব্বইয়ের দশকের মাঝ পর্যন্ত বুয়েটে পড়তাম। হলে না থাকলেও বুয়েট জীবনে হলের সাথে যোগাযোগ থাকা অতি বান্থনীয়। পড়াশুনা ছাড়াও আড্ডা, মদ্যপান এবং "ইয়ে" চলচ্চিলের কারনে নিয়মিত হ্লবাসী না হলেও মাঝে মাঝে হলে থাকতে হয়। আমিও থেকেছি মাঝেমাঝে। একটা জিনিসের চল ছিল তখন, সেটা হোল রাতে বাতি নিভিয়ে বন্ধুপ্রতিম দুই হলের গালি বিনিময়, যেটাকে আন্তঃ হল গালি প্রতিযোগিতা বলা হত। জানিনা এখনো আছে কিনা সেই চল, দেশ থেকে ভালো ভালো সব জিনিস গুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
ভয়াবহ সব গালাগালি বিনিময় চলত, গালাগালকে প্রায় শিল্পে রূপ দেওয়া হত সেই প্রতিযোগিতায়। এগিয়ে ছিল আমাদের সোহরাওয়ার্দী হল এক গালিশিল্পী বড় ভাইয়ের কল্যাণে। আমি মুগ্ধ হয়ে সেই ভাইকে একবার জিজ্ঞেস করলাম "ভালো" গালি দিতে হলে কি করতে হয়। গালিবাজ বড়ভাইকে ব্যাপারটা বুঝিয়েও দিলেন। খারাপ গালিতো সবাই জানে...তবে এটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিতে কয়জন পারে, এটা করতে হলে কয়েকটা গালি মিশিয়ে "ক্লোন" করতে হবে, বাবা মা, ভাই, বোন সহ পুরো পরিবার তুলতে আনতে হবে, নইলে নাকি ঠিক মত হবে না। একটা ক্লোন গালি শিখিয়ে দিলেন তিনি উদাহরন হিসাবে।
ভালো সময় শেষ হয় তাড়াতাড়ি, সেশন জ্যামও পারল না রাখতে আমাদের, অবশেষে বুয়েট জীবনের সমাপ্তি। এরপর সবার মত প্রবাস গমন, আমি নিজের বুদ্ধিতে বেশি কিছু করিনি, সবাই Toefl GRE দিয়ে বাইরে যায়, আমিও অগ্রপশ্চাত বিবেচনা না করে সটান চলে আসলাম এই পোড়া দেশে। দেশ থেকে সবাই কিছু সু্ভেনির নিয়ে যায়, যার দিকে তাকিয়ে সময় এবং অসময়ে দুঃখ করা যায় ফেলে আসা দেশ নিয়ে। আমি এমনি বেকুব যে সেটাও আনিনি। তাই যখন মার্কিন বন্ধু ব্রায়ান বাংলাদেশের কিছু দেখতে চাইল তখন আমি উজবুকের মত জানালাম যে দেখানোর মত কিছুই নেই, নিজে ছাড়া, তবে চাইলে একটা গালি শুনাতে পারি। তাই সই...আমি কয়েক বছর আগে শোনা সেই গালি ইংরেজীতে অনুবাদ করে শুনিয়ে দিলাম ব্রায়ানকে।
"কি বললে...####%%%%&&&***))####...দারুনতো...তোমার দেশের সবাই কি এত ভালো গালি জানে?"
"সবাই নয়...পলাশীর আশেপাশে কিছু বান্দর ছিল তারা...তবে দেশের গড়পরতা গালির মান বেশ ভালোই।"
"দারুন...আমি কিমকে (girlfriend) আজ এটা শুনাব...বাসায় গেলে ভাইবোনদের সাথে শেয়ার করব। "
এই দেশে সব সম্ভব, আমাদের গার্লফ্রেণ্ডরা এই ভাষা শুনলে...যাই হোক যত দিন ওইখানে পড়াশুনা করেছি, দেখা হলেই ব্রায়ান বলত....####%%%%&&&***))####।
সবার মত আমিও পাশটাশ করে চাকরিতে ঢুকলাম। হাইটেক নামের সেই বস্তু আসলে দিনমজুরির আরেক নাম। cuicible নামের সেই ঘর আসলে জেলখানারই নামান্তর। কাজের চাপে বাবার নাম ভুলার মত অবস্থা, মনেও ছিল না সেই আন্তঃ হ্ল গালাগালি। কিন্তু একদিন হঠাৎ সেটা ফিরে এল।
কয়েকদিন আগে অফিসে নাথান নামে নতুন একটা ছেলে জয়েন করেছে, রাত পর্যন্ত কাজ করে, আমিও ঠেকায় পড়ে মাঝে মাঝে রাত অবধি থাকি। চার পাঁচটা অফিস ঘর পরে তার বাস। আমি নিমগ্ন কোন এক অসহ্য কাজে...নাথানের গলা শুনছি ফোনে কথা বলছে কারো সাথে...হঠাৎ দৈববাণীর মত নাথান বলল...####%%%%&&&***))####। এতো আমার ব্রায়ানকে শেখান সেই আন্তঃ হলের গালি!!! স্বপ্নাহতের মত আমি হেটে গেলাম নাথানের কামরায়। আমাকে দেখে নাথান ফোন রেখে দিয়ে যারপরনাই বিব্রত।
"তুমি অফিসে আছ বুঝিনি...আশাকরি তুমি কিছু মনে কর নি"
"না, না, না...এই যেটা বললে সেটা আমি ব্রায়ান নামে একজনকে শিখিয়েছিলাম অনেক বছর আগে।"
"ও হো...হা হা হা...তুমিই সেই...আমি ব্রায়ানের কাজিন, আমাদের বেশ বড় পরিবার, সবাই জানে এই গালি।"
অতঃপর সেখান থেকেই ব্রায়ানকে কল দেওয়া, পরিচয় দেওয়া মাত্রই....####%%%%&&&***))####। পাশে খিলখিল নারীকন্ঠও শুনলাম। এই গালির কারনেই বহুদিন পরে একজনকে ফিরে পাওয়া, গালাগালির সাথে গলাগলির কোথায় যেন একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে।
এই লেখাতে গালিটা উহ্য রাখলাম কেননা গালাগাল মুখে মানায় লেখাতে নয়। তবে যদি কখন বাসে, ট্রেনে বা বিমানবন্দরে কোন সাদা চামড়ার মুখে শিল্প পর্যায়ের কোন গালি আপনারা শুনেন তবে জানবেন এর কপিরাইট পলাশীর মোড়ের ছাত্রাবাসগুলোর, তাদের অনেক সৃষ্টিই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।
### তাসনীম ###
মন্তব্য
আন্ত:হল গালি প্রতিযোগীতা বেশ বিখ্যাত দেখা যায় -- এর আগেও এটা নিয়ে পড়েছি । তবে আপনারটা পুরাই কাহিনীমে টুইষ্ট
গালি কল্যানে হিন্দি ছবির মতো বহু বছর পর কাউকে খুজে পাওয়া !
বেশ মজার ।
--
ইমতিয়াজ মির্জা
কারেন্ট চলে গেলে অথবা অনেক রাতে নজরুল-ফজলে রাব্বি হেভী ফাইট হত।...বাংলা গালির উপরে জিনিস নাই...ইংরেজী গালি খুব মৃদু মনে হয়...মন ভরে না...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
পুরো সত্য, বিনে স্বদেশি ভাষা, মেটে কি আশা? সে যে আশাই হোক ঃ-)
রাতে কারেন্ট গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আন্তঃবারান্দা গালি প্রতিযোগিতা হতো।
আহারে সে দিনগুলো!
আহারে...সেই দিন গুলো...যায় দিন ভালা আর আসে দিন কালা...
### তাসনীম###
হাহা.. দু'একটি বাংলা ব্লগ অবশ্য তুমুল উৎসাহে এই গালি-চর্চা টিকিয়ে রেখেছে (নামোল্লেখ করে আবার আন্ত:ব্লগ বিতর্ক তৈরী করতে চাইনা)।
আচ্ছা, হ্ল উচ্চারনের কী একটি অডিও লিংক পাওয়া যাবে কোথাও? আমি চেষ্টা করলে তা দ্রুত hollo বলার মতন হয়ে যায়, যা কি না hall বা হলকে কোনভাবেই প্রতিনিধিত্ব করে না।
যারা পারেন, তারা ঠিক কী উচ্চারন করেন তা জানার বড়ই শখ
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
এটা কি আপনার প্রথম লেখা? সাবলীল ভঙ্গি, পড়ে মজা পেলাম!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এটা সচলে আমার তৃতীয় অপচেষ্টা, এর আগে একটা ছোট কবিতা আর "দৃষ্টি আকর্ষণ" টাইপের জিনিস ছাপা হয়েছে। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকুন।
### তাসনীম ###
ওহ্... আমি ভাবলাম নতুন নতুন যুক্তাক্ষরের যে প্রয়াস, তারই ধারাবাহিকতা। ধন্যবাদ।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন এক সময় ইন্টারনেটে বাংলা যুক্তাক্ষর লিখতে কী কষ্টই না হতো! ইউনিকোড সমৃদ্ধ হবার পর বেশ কিছু দিন মন ভরে শুধু যুক্তাক্ষর লিখেছি। প্রথম প্রথম সচলের মঞ্চায়, কোন্টা জাতীয় শব্দ দেখে ভাবতাম অন্যরাও মনে হয় আমার মতনই ওভার টাইম করে আগের কষ্ট পুষিয়ে নিচ্ছেন
(গুগলে বাংলা সার্চ শুরুতে একই আনন্দ দিয়েছে)
একটু অদ্ভুত লাগলেও এখন মজা পাবার চেষ্টা করি। শুধু "দ্রমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রব ট্রাত্রেই দ্রিমু" না হয়ে গেলেই হয়
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
এরশাদামুলের মাঝামাঝি (৮৫ থেকে ৮৭) সূর্যসেন আর মহসিন হলে এই প্রতিযোগিতা ছিলো বন্দুক যুদ্ধের পূর্বাভাস। রাত নয়টা থেকে শুরু হতো, সে সময় অন্য হল থেকে গালি দেবার জন্য ছাত্র ভাড়া করা হতো। রাতে ছাদে উঠে গালি পালটা গালি চালাচালির এক পর্যায়ে যে পক্ষের গালির জোর কম থাকতো তারাই গালি বন্ধ করে গুলি শুরু করতো। এই গালি প্রতিযোগিতা অনেকের প্রাণহানির কারনও ছিলো, এ মূহুর্তে নিশ্চিত ২ জনের কথা মনে পড়ছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
জানা ছিল না...অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। বুয়েটের গালি বিনিময় নিছক মজা ছিল।
### তাসনীম ###
বড় ভাই, বুয়েটে গালাগালি জারি আছে, কোন টেনশন নিয়েন না ।
আমরা এক বছর আগে বের হওয়ার আগে নিজেরাই সক্রিয় অংশগ্রহন করতাম । আমি ছিলাম তিতুমীরে, পাশে কারা ছিল জানেন তো
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বিলক্ষণ...তা ছোট ভাই বতর্মান চ্যাম্পিয়ন কারা?
### তাসনীম ###
এইটা একটা বিতর্কিত ব্যাপার । সবাই মনে করে তারাই চ্যাম্পিয়ন । একমাত্র যেই প্রসঙ্গে সব হল সহমত তা হল, ছাত্রী হল গালাগালির দিক থেকে সবচেয়ে নিচের অবস্থানে । তবে আমরা জানি, আসলে চ্যাম্পিয়ন তিতুমীর হল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ছাত্রীহল এখনো এই প্রতিযোগীতায় নাম লেখানোর যোগ্যতা অর্জন করেনি। গালাগালির দিক থেকে সবচেয়ে নিচের অবস্থানটি দিয়ে তাদের সম্মানিত না করাই ভালো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কেডা কইলো তিতুমীর থাইক্যা আমাগো গালি দিত। এই কে আসস তোরা সব বাইর হো। তোরে খাইছি, "তোর মাকে আমি আন্টি ডাকি" !!
হা হা, বেশ মজা ছিল সেই দিন গুলা।
মজা লাগলো লেখা পড়ে
নিয়মিত লিখুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ আপনাকে, চেষ্টা করব।
###তাসনীম###
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
আপনাকেও thumbs up...আমার লেখা পড়ার জন্য।
###তাসনীম###
লেখা পড়ে ভাল লাগলো।আমাদের একজন স্যার বলছিলেন যে উনাদের সময় গালি প্রতিযোগিতা হইতো। কিছু মনে না করলে বলবেন আপনি কোন ব্যাচের?
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ আপনাকে...আমরা ১৯৮৮ ব্যাচ (HSC)।
### তাসনীম ###
আমিও গেরামের পোলা ুতমারানি গাইল দিতে জানি (হেলাল হাফিজ)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক দিন পরে লাইনটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
###তাসনীম###
লেখাটা অতি মচৎকার হয়েছে। চালিয়ে যান। গালাগালি আমি আবার বিয়াপক ভালু পাই, আমার আনন্দ, দুঃখ, ক্ষোভ সব কিছুর প্রাথমিক বহিঃপ্রকাশ গালিতে ... । আমরা বন্ধুরা প্রায় ২-৩ বছর ক্লোন গালি বিষয়ক এক বিরাট-বিশাল কর্মযজ্ঞ সাধন করেছিলাম ... খালি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য একটা গালি বানাইতে পারলামনা ...
===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধন্যবাদ আপনাকে। গালি দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, বিশেষ করে আমাদের কালচারে।
তবে গালির বহু গুণ আছে...ভেতরটা হালকা করে দেয়। মুখ যাদের খারাপ, সচরাচর তারা মানুষ ভালো হয়।
###তাসনীম###
আমার তাবত পূর্বপুরুষ যে কত প্রকার ও কি কি তা আমার যেইসব বন্ধু পলাশী মোড়ে রাত বারোটার পর অন্য হল থেকে চা খাইতে যাইতো তারা আমাকে ও পাবলিককে না জানায়া থাকতে পারতো না। সেইটাই আমাকে তাদের চা খাওয়ার দাওয়াত দেয়ার সেট মেন্যু।
আমি শুধু মনে মনে দোয়া করি অগো পোলারা যেন আমি যেই রুমে থাকতাম সেই রাস্তার দিকের সেই রুমেই সিট পায়। দোয়া রাইখেন।
তাসনীম ভাই, আমি আপনার পরের ব্যাচের। আপনার নিশ্চয়ই তীতুমীর হলের "ইন্ডিপেন্ডেন্ট _**বুব" আর শেরে বাংলা হলের "_*বুল"কে মনে আছে। গালাগালিতে এদের প্রতিভার কথা ভাবলে আজো অবাক হই। বিশুদ্ধ সৃষ্টিশীলতার অশ্রুতপূর্ব উদাহরণ!
একটা মজার ব্যাপার ছিল পলাশীতে চা খেতে যাবার সময় রাস্তায় দুই জন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হলের দিকে মুখ করে পরস্পরকে গালি দেয়া। গালি বাইলজে সেই সময় দোতলা গালি দেয়া নিষিদ্ধ ছিল। একতলা বা তিনতলা গালি দেয়া যেত। কেউ যদি প্রশ্ন করেন এই একতলা/দোতলার মানে কি, তাহলে আমি উত্তর দিতে অপারগ।
লেখা চালিয়ে যান বস্!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মনে অবশ্যই আছে, এ দুজনের একজনের কথাই এ লেখায় আছে...দীর্ঘ সময় পরও উনাদের সৃষ্টিশীলতার মনে পড়ে। আমি লেখায় সোহরাওরার্দী উল্লেখ করছি যদিও উনারা কেউ এ হলের ছিলেন না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
###তাসনীম###
গালিগুলো জানতে পারলে ভালো লাগতো। নিজেরগুলো পুরাতন ঠেকছে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল ভাই, একবার রাতের দিকে ঘুরে আসতে পারেন পলাশী থেকে। স্টক অবশ্যই বাড়বে
###তাসনীম###
ভাই,স্পেসিফিকালি, যাইতে হবে রাত সাড়ে এগারোটার কিছু পরে।
কারেন্টের লাইনে ফেজ চেঞ্জ হয়, মিনিট আধেক হলগুলা অন্ধকার থাকে।
তবে অন্ধকারে বিলাই মারার জন্য ত্রিশ সেকেণ্ডই এনাফ !!
দারুণ মজা লাগলো লেখাটা পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
###তাসনীম###
অভিনন্দন "গালিশিল্পকে প্রচার ও প্রসার দেয়ার জন্য ঃ)
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ আপনাকে, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
###তাসনীম###
ভাইয়া, আমি আপনার একজন ফ্যান হয়ে গেছি। আপনার লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ছি।
তোরা যে যা বলিস ভাই, রশিদ হলের উপর গাইলরাজ নাই
ধৈবত
আহা গালাগালি! গতবছর এইসময়টাতে কিছু পোস্ট মিস করছিলাম। এইটা তার মধ্যে একটা। পোস্ট/কমেন্টগুলা পড়তে পড়তে নিজের একটা পোস্ট ঠেলা দিতে মন চাইলো। স্মৃতি খাউজানোর স্মৃতিগুলাও ধূসর হওয়া ধরছে .....
অজ্ঞাতবাস
আপনার লেখাটা পড়ে পুরাই দিওয়ানা হয়ে গেলাম বড় ভাই । বুয়েটে এখনো গালাগালি চলে । আমি যদিও নিয়মিত হলে থাকি না , কিন্তু যখনই রাতে হলে যাই (কারেন্ট চলে গেলে) গালি শুনি । কে কারে দিচ্ছে তার ঠিক নাই তবে বারান্দায় গালি চর্চা চলে । আমি যদিও দিই না কিন্তু শুনতে মন্দ লাগে না
আমি বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হলের বাসিন্দা। গালি চর্চা এখনো আছে। তবে বেরসিক কারেন্ট যায় খুবই কম সময় এর জন্যে। সে জন্যেই প্রাকটিসের অভাবে প্রতিভা সেভাবে উঠে আসছে না।
জগতের সবাই দেখি সোহরাওয়ার্দি হলের বাসিন্দা!!!
এই অধমও সোহরাওয়ার্দীর সাবেক বাসিন্দা। একি খোদ ভিসিও দেখি সোহরাওয়ার্দীর বর্তমান বাসিন্দা! ক্যাম্নে কী!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা, আপনিও!! তাহলেতো দেখছি একেবারেই ঠিক বলেছি "জগতের সবাই সোহরাওয়ার্দি হলের বাসিন্দা!!" কারণ এই অধমরাজ নিজেও এই গুণধর(যেহেতু পাণ্ডবদা, তাসনীম ভাই সহ আরো গুণীকে সে ধারণ করেছে) সোহরাওয়ার্দী হলেই সংযুক্ত(প্রথম ২ টার্ম বাসিন্দাই ছিলাম!) আছি!!
ভিসি হলে থাকেন ক্যান ?
বুয়েটে কারেন্ট তো যায় একবার, ১২টার সময় , এইসময়েই গালি প্রতিযোগিতা কেম্নে হয়???
এই পোষ্ট মিস করছি, ক্যাম্নে কি? ....####%%%%&&&***))####
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে এই প্রচলন ছিলো, বিশেষ করে মীর মশাররফ হোসেন (এমএইচ) হলে। আছেন নাকি কেউ?
এই গল্প আমিও শুনেছি! কিন্তু প্রমান দিতে পারবোনা। আপনি কোন ব্যাচ কোন ডিপার্টমেন্ট?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
জাবি ২২তম ব্যাচ, এনথ্রোপলজি! আপনিওকি জাবি নাকি? খাইছে, ঠিকই আছে, জাবির মাইনষেরা দুষ্ট অইবোনাতো কে অইবো!!
খ্বামার (গালি) ভালু পাই। বন্ধুরা এক হলে খ্বামারের বন্যা বয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর মধ্যে গালির অনেক গল্প শুনেছি। একসময়ে গালির ক্যাসেটও নাকি কিনতে পাওয়া যেতো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আসলেই মচৎকার হইছে।
আর একটু হলেই পোস্টটা মিস হইয়া যাইতো।
অলস সময়
সোহরাওয়ার্দী হলেই আপনার এক দশক পরে একিরকম অভিজ্ঞতা
চমৎকার লেখা। ফেসবুকে শেয়ার করলাম। আমি সোহরাওয়ারদীতে থামতাম।
আহা রে দিনগুলা......। কই যে চইলা গেলো.........খুব্ই ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। এখনও মাঝেমাঝে মনে হয় শুধু শরীরের বয়সটা বাড়ছে কিন্তু মনের বয়সটা সেই ইউনিভার্সিটিতে আটকে আছে।
ভাই এখনো এই গালি প্রতিযোগিতা হয়.........তবে সেটা হয় যখন ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায় ......কিন্তু বুয়েট এ ইলেক্ট্রিসিটি এত কম যায় যে এই প্রতিযোগিতা হয় অনেক দিন পর পর.........
বাং-গালির প্রতি বাঙ্গালীর টান। ভালো লাগলো।
দেড় বছর পর এই পোস্টে নতুন করে আসা মন্তব্য দেখে বেশ অবাক এবং সেই সঙ্গে খুশিও হয়েছি। সবাইকে আবারও ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শুধু তাই নয়, গুঁতোগুঁতির শীর্ষে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আছেন নাকি জাহাঙ্গীীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন (এমএইচ) হলের কোন নাদান গালিবাজ! যদি থেকে থাকেন তাইলে আওয়াজ (গালি) দেন দেহি!
আপ্নের পায়ে পরি আমারে কয়েটা গালি দেন...যদি কিছু মনে না করেন...
chotopola@spamavert.com
গালি টা যে কি জানতে বড়োই ইচ্ছা হইতাছে। আপ্নে্রে মেইল করলে কইবেন তো?
আমি বুয়েটে দিতীয় বরষে (রেফ খুজে পাচ্ছি না ) পড়ছি । গালিকে শিল্পের পর্যায়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি । আমি আপনার দোয়াপ্রার্থী ।
চরম
নজরুলে ছিলাম। চারতলাতে। কারেন্ট গেলে পাশের কবিরাজগো ছাড় দেইনাই। সেই দিনগুলা এখনও মিস করি।
হাহাহাহা। অনেক পুরানো পোস্ট কিন্তু আগে দেখিনাই। গালির এমপিথ্রি ফাইল ছিল আমাদের কাছে, র্যাপিড ফায়ার টাইপ
আহসানউল্লাহর বীর সেনানিরা শহীদ স্ম্রিতি হলের পোলাপানদের খামার দিতাম . মোস্ট কমন ছিল- ওদের 'গুয়েট' (গাজীপুর বি আই টি ) ডাকা
হা হা হা ............ মজা পেলাম অনেক, আপনার লেখা পড়ে।
গালির সেই প্রচলন এখন আরো কয়েক গুণ বেশি পরিমাণে আছে, তবে তখনকার মতো লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয় না।
সাধারণত বুয়েটে রাত ১২ টার দিকে বিদ্যুতের লাইন চেঞ্জ করার সময় কয়েক সেকেন্ডের মতো বিদ্যুত থাকে না।
সেই সময়টা দীর্ঘায়িত হলেই শুরু হয় গালি-মেলা।
এখন আর আগের মতন উৎসব হয় না।উৎসবের উপলক্ষ হল লোডসেডিং।আউলা আর ফজলে রাব্বির ব্যাপারটা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।নিরুপায় আউলাবাসি এখন আন্তকলহে সময় কাটায়।রিসেন্টলি তিতুমির হলের নতুন পরিচয় সৃষ্টি হয়েছে।গেতুমির বলে কলঙ্কিনী।
তবে ভাই পোস্ট পড়ে ব্যাপক বিনোদিত হয়েছি।ধন্যবাদ!
আমি ২০১২ ব্যাচ এর স্টুডেন্ট । বুয়েট এ আমরাই সবচেয়ে কনিষ্ঠ । হল এ এখন ও সিট পাই নাই । তবে বড় ভাইদের স্ট্যাটাস থেকে গালি যুদ্ধ (!) বিষয়ে অনেক বার জানসি।।। খুব আগ্রহ নিয়া অপেক্ষা করতেসি হল এ সিট পাওয়ার জন্য।।।
----------------------------------------------------
ভাইয়া।।। আপনার লেখা অনেক ভাল্লাগসে।।। এবং কমেন্ট গুলাও।।।
চরম লেখা। এরম আর হয় না। আহা! গালি! গালিটা আমারে পারলে পোস্টান, সুশীলদের জন্য একটা গালি খুঁজি অনেকদিন ধরে। কোনওটাতেই যুৎ পাই না।
নতুন মন্তব্য করুন