বুয়েটে পড়ার সময় আমরা Warcraft নামে একটা কম্পিউটার গেমের ভক্তরা গেমের ছবি দিয়ে টিশার্ট বানিয়েছিলাম। টিশার্টটি নিঃসন্দেহে ভালো হয়েছিল, কারণ অল্প কয়েকটা বানিয়ে মানুষজনকে দেওয়ার পর যারা গেম খেলা জিনিসটা নিয়ে আগ্রহী না, তারা পর্যন্ত টিশার্টটির জন্য অনুরোধ করেছে, দুয়েকজন গেমটা নিয়েও আগ্রহী হয়েছে। শেষ পর্যন্ত টিশার্ট কম পড়েছিল।
আমার পয়েন্ট হলো একটা গেমের স্রেফ একটা ছবি দিয়ে টিশার্ট বানিয়ে আমরা আমাদের প্রিয় একটা গেমের কথা ছড়াতে পেরেছিলাম। কয়েকদিন আগে সচলে বরাহশিকারের ছবি নিয়ে একটা পোস্টে কারো একজনের মন্তব্যে টিশার্টের প্রস্তাব এসেছিল। এখনকার অবস্থা দেখে এই প্রস্তাবটা খুবই যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছিল আমার।
আমার মতে, যুদ্ধাপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদেরও প্রচারের মাঠপর্যায়ে নামা উচিত। আমি বলতে চাচ্ছিনা এখনি এসবের দাবীতে মিছিল, মানববন্ধন or worse গাড়ি ভাংচুর এসব শুরু করে ফেলি। We can start small. For now, আমার মাথায় যে দুটো আইডিয়া আসছে, তা হলো -
১) টিশার্ট - সচলায়তনে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ডিজাইনার আছেন। দৃষ্টি আকর্ষক, সহজে বোধগম্য কিছু ছবি আর কিছু স্লোগান ("যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তো আর আওয়ামী ইস্যু নারে কাকা। এইটা একটা পাবলিক ইস্যু।" - হিমু ভাইয়ের পোস্টের এই লাইনটা আমার খুবই প্রিয়) নিয়ে একটু বড় স্কেলে টিশার্ট বানিয়ে আমরা নিজেরাই ছড়াতে পারি।
২) পোস্টারিং - ১৯৭১ এর মতো এখনও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ক্যারিকেচার আর স্লোগান নিয়ে সিঙ্গেল কালার পোস্টার খুব কম খরচে অনেক বড় স্কেলে করা যায়। মেসেজ ছড়ানোর জন্য পোস্টারের কার্যকারিতা অনেক। কোন একটা জঙ্গীদলের "আল-বাইয়্যিনাত" নাম দিয়ে দেয়াললিখনের এফেক্ট নিজের চোখেই দেখেছি। মানুষ এগুলো দেখে, দেখে কথা বলে, যার মনে ধরে সে অনুসরণ করে।
ব্লগে এখন যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষেবিপক্ষে বহু লেখালেখি হচ্ছে, আমার ভয় লাগে ফেসবুকে জামাতীদের গ্রুপের সংখ্যা দেখলে। Young generation এখন ইন্টারনেটে দুই ধরণের বক্তব্য নিয়েই যথেষ্ট রিসোর্স পায়। তবে চিন্তার ব্যাপার হচ্ছে জামাতী টাইপ লিঙ্ক/পোস্টগুলোই সহজে পাই, অল্প কথায় খুবই গুছিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যার প্রচার। (হয়ত আমিই ইন্টারনেট সার্চে ভাল নই, কিন্তু আমার মত যে আরও মানুষ আছে) যে জানে না, সে খুব সহজে এসবে convinced হয়ে যায়। এর বিপরীতে "যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে কিছু কথা এবং সেগুলোর প্রত্যুত্তর" এমন পোস্টের সংখ্যা এবং প্রচার খুব কম মনে হয়েছে আমার কাছে। যা পাই, তার বেশিরভাগই অজস্র তথ্যের ভারে বোঝাই, অস্থির একটা ছেলে এতো বড় একটা লেখা পড়ার ধৈর্য রাখে না প্রায়ই।
বইমেলায় সচলায়তনের কিছু বই বের হয়েছে শুনেছি, যদিও আমার সেগুলো দেখার সৌভাগ্য হয়নি। এখানেও আমি নিজেকে দিয়েই আরেকবার বিচার করি। আমি বইমেলায় গিয়েছি খুব কম (আমার দুর্ভাগ্য), কিন্তু যতবার গিয়েছি, মুক্তিযুদ্ধ আর এই জাতীয় বিষয়ক প্রবন্ধ নিয়ে লেখা বই হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখেছি, আগ্রহ লাগলে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ পড়েছিও। কিন্তু কেনা হয়নি। কেবল দুতিনটা গল্পের বই কিনে ঘুরাঘুরি করে বের হয়ে গিয়েছি। আমার মত এমন আরো অনেকে আছে, আমার নিজের মত হলো "চেংড়া পুলাপাইন খালি গপ্পের বই খুঁজে আর অন্যপ্রকাশের সামনে ভিড় করে।" (প্লিজ, এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, কাউকে আহত করার উদ্দেশ্য নেই।)
অগোছালভাবে অনেকগুলো কথা বললাম। যা বুঝাতে চেয়েছি তা হলো, আমার মনে হয় আরো বরাহদের বিরুদ্ধে আরো প্রচার দরকার এবং তা হওয়া চাই এমন যেন একজন অশিক্ষিত রিকশাওয়ালার কাছেও পৌছায়। সে যেন একটা পোস্টারে শুয়ারের ছবি দেখে বলতে পারে, "অই যে! মইত্যা রাজাকার!"
সেদিন সামুতে একটা ব্লগের কমেন্টে দেখলাম একজন জিজ্ঞেস করছে, "জাহানারা ইমামকে শহীদ জননী কেন বলা হয়? উনি কি করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন?" প্রথমে মনে হল, কোন বরাহছানা, পরে আরেকজন যখন প্রশ্নটার উত্তর দিল, তখন সে জবাবে ধন্যবাদ দিয়ে স্বীকার করলো যে জিনিসটা সে আসলে জানত না।
এটা আমার প্রথম পোস্ট এখানে। কথাগুলো অনেকদিন ধরে মাথায় ঘুরছে। ঠিকমত গুছিয়ে বলতে পারলাম নাকি জানিনা। হয়ত এগুলো নিয়ে already এখানে কথা হয়েছে, বিশ্লেষণ হয়েছে, তারপরেও বলতে ইচ্ছা হলো। আমি মোটামুটি মূর্খ এখানকার অনেকের চাইতেই, তাই ভুল কিছু বলে থাকলে অনুরোধ থাকল, ঠিক করে দেবেন।
--- আশাহত
মন্তব্য
বইমেলায় বরাহশিকারের পোস্টার ছাড়া হবে কিছু।
বইমেলাতেই টি শার্ট ছাড়া যায় না?
------------------------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
টি-শার্টের বিষয়ে আমিও আগ্রহী, পূর্বেই বলেছি...
বুয়েটে পরিচিত অঙ্গনে আমি যথাসম্ভব বরাহশিকার গানটা ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছি- এই সম্পর্কিত পোস্টগুলা পড়ে আমার দুচার বন্ধুও ইদানীং আগ্রহ প্রকাশ করছে। আপনিও এগুলো সকলের সাথে শেয়ার করুন...
বুয়েটিয়ান হিসেবে সচলে স্বাগতম।
_________________________________________
সেরিওজা
আপনার ভাবনাকে সাধুবাদ জানাই।
বাংলা-ইংরেজির মিশেল চোখে লাগলো। লিখতে থাকুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চোখে লাগার ব্যাপারটা প্রথমে বুঝতে পারিনাই। এখন পারলাম। ধন্যবাদ।
- "শহীদ জননী"কে একটা শব্দ হিসেবে ভাবলে আসলে দ্বিধা তৈরী হতে পারে। এর মানে "যে জননী শহীদ" না। বরং "একজন শহীদের জননী"।
টি-শার্টের আইডিয়াটা জোশ লাগলো। বরাহশিকার পরিভাষাটা যখন টিশার্টের সাথে সাথে ব্যাপ্তি পাবে, তখন জনমনে স্বভাবতঃই একটা প্রশ্ন উঠবে, "এই বরাহশিকার কী!" এই প্রশ্নের প্রাথমিক সমাধান দিবে টি-শার্টে ব্যবহৃত শ্লোগান।
বরাহশিকার নামে একটা সংকলনও বের করা যায়, যেখানে জামাত-শিবিরের ছড়ানো মিথের উত্তর দেয়া থাকবে একে একে। টি-শার্টের কারণে সংকলনটাও অনেকের মনোযোগ পাবে, এমনটা আশা করাই যায়। আর এই টার্গেটটা হওয়া উচিৎ যারা প্রায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিস্মৃত হচ্ছে, সেই জনগোষ্ঠী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার মনে হয় বইমেলা দিয়ে সব শ্রেণীর মানুষের কাছে পৌছান সম্ভব না, যদিও শুরু করার জন্য এটি দারুণ একটি ক্ষেত্র। দেয়ালে চিকা, লিফলেট (সহজ ভাষায়, তেনা না পেচিয়ে), ছোট ছড়া (মৃদুলদার দৃষ্টি কামনা করছি), গণসঙ্গীত, এগুলোর খুব সহজ উপায় লোকের কাছে যাওয়ার। এগুলোর সফল প্রয়োগ করেই বরাহরা আজ এত এগিয়ে গেছে।
বরাহশিকারের এনিমেশন, কমিক, এসব দিয়ে বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই সঠিক ইতিহাস শেখান যায়।
আরেকটা জিনিস মনে পড়ল, জাইদীর জুতাকীর্তির পরে অন্তর্জাল ছেয়ে গিয়েছিল বুশকে জুতা মারার ছোট গেম দিয়ে।
নিজামী, গোআদের নিয়ে এরকম গেম বানানো খুব কঠিন কাজ হওয়ার কথা না। (ইস, এখন আমার নিজেরি খেলতে ইচ্ছে করছে এমন একটা গেম।)
নিজামিকে নিয়ে এমন একটা গেম সচলেই খেলেছি। লিংকটা খুঁজে পাচ্ছিনা এই মুহূর্তে ঃ(
এখানে পাবেন গেমটা
কঠঠিন! কিন্তু জুতা মারতে মনে চায় যে!
এমন গেম আরও তৈরি করা দরকার। সচলায়তনে ব্যানারের প্রোগ্রামার আছে দেখেছি। দিন না আপনারা কয়েকটি এমন গেম বানিয়ে! জুতা মারতে আগ্রহী এমন লক্ষ মানুষ পাওয়া যাবে!
কঠঠিন! কিন্তু জুতা মারতে মনে চায় যে!
এমন গেম আরও তৈরি করা দরকার। সচলায়তনে ব্যানারের প্রোগ্রামার আছে দেখেছি। দিন না আপনারা কয়েকটি এমন গেম বানিয়ে! জুতা মারতে আগ্রহী এমন লক্ষ মানুষ পাওয়া যাবে!
--আশাহত
এ ধরনের কথা আমারও অনেক সময় মনে হয়। নতুন প্রজন্মের জন্য সহজ ভাষায় প্রচার করা দরকার। ব্যান্ড সংগীত, ভিডিও গেম, এমনকি আজকের 'বেংলীশ ভিজে' রাও পারে এ ব্যাপারে ভুমিকা রাখতে। তবে আমার মনে হয় আমরা যারা নগরবাসী ভাগ্যবান, নগরকেন্দ্রিক প্রচারনার কারনে তুলনামুলক বেশী জানি। বিশেষ করে গ্রাম/ছোট শহর, যেখানে জামাতীরা বেশি শক্তিশালী, সেখানে যদি সহজ ভাষায় প্রচারনা করা যায়, সেটা বেশী ভাল। (তবে সেখানে টিশার্ট/ভিডিও গেম মনে হয় না উপযুক্ত হবে।)
জামাতীদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে ধর্ম। ধর্মভীরু মানুষজন মসজিদে যায় নামাজ পড়তে, আর ইমামের খুতবা শুনে দুটো নেকী কামাই করতে। খুতবা শোনা ওয়াজিব। সেখানে ইমাম যদি হয় কাঠমোল্লা, তার খুতবাও হবে সেরকম, আর সেটা যদি প্রতি হপ্তায় কমপক্ষে একবার করেও শোনা হয়, মাথায় ঢোকা শুরু করবেই একসময়।
আরেকটি বড় হাতিয়ার হচ্ছে ওদের ছড়ানো শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। আমার মত এখানে প্রত্যেকে একবার করে হলেও জামাতের লিফলেট পেয়েছেন মনে হয়। ওদের অনেক তাবলীগ হয়, ওয়াজ-মাহফিল হয়, সেখানে ধর্মের নামে বিষ ছড়ানো হয়।
আমাদেরও এরকম নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা লাগবে। বইমেলায় পোস্টারিং, লিফলেট বিলি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছানোর একটা খুব সুন্দর ও সহজ উপায়, যদিও এইটা একটা স্তরেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে হয়। আমাদেরও রাস্তায় রাস্তায় পোস্টারিং, লিফলেট বিলি করা উচিত। ৩টা ছেলে যদি বরাহশিকারের গেঞ্জি পরে কোন রাস্তায় হাঁটে, সেটা লোকজনের চোখে পড়তে বাধ্য।
গ্রামের মানুষের কাছে যাওয়ার একটা উপায় আছে, ছোট ছোট গ্রাম্য নাটিকা তৈরি করা যায়। গ্রামের মানুষ এসব বিনোদন ভালই খোঁজে, তাদের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে এরকম নাটক দিয়ে মেসেজ দেয়া যায়। এটা নিয়ে কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু এই লেভেলে যাওয়ার আগে কিছু টাকা যোগাড় করার ব্যাপার আছে যদিও।
আর এত সুন্দর একটা গণসংগীত আছে এখন আমাদের, এটার কথাগুলোও ছড়িয়ে দেয়া যায় সহজেই।
--- আশাহত
সহমত!
লিখুন আরো...
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভাল আইডিয়া।
ভুলভাল নিয়েই তো জগত।
আপনার চিন্তাভাবনাও খুব ভালো। এভাবে অনেক প্রবীণও ভাবতে চাইবেন না হয়তো। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভাবনাটায় সাধুবাদ। এরকম কিছু হলে খুব ভালো হয়।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মানুষের অবচেতন মনে সত্যগুলো যেন স্থায়ী স্থান করে নিতে পারে তার জন্য এই উদ্যোগ
কাজে লাগবে। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
অপ্রাসংগিক হলেও একটা বিষয় বলতে ইচ্ছে হচ্ছে।
আজকাল শুনছি একাত্তুরের শেয়াল-শকুন-হায়েনা-শুয়োর গুলোর বিচারের সময় দেশিসহ বিদেশী আইনজীবী সহায়তা দিতে আসছে। আমার কথা হল, ৭১এ জিতেছি, এই স্বাধীনতাউত্তর সময়ে হারব নাকি! ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে কতজন যুদ্ধাপরাধী বেঁচে গিয়েছিল জানি না। তবে আইনের ফাঁক দিয়ে যে কতজন ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী বেঁচে যায়, তা চিন্তার বিষয়। যেটাই হোক, যেসব আইনজীবী যুদ্ধাপরাধীদের সহায়তা দিবে, তাদের নাম-ধাম প্রকাশ করার দরকার আছে। এতে সামাজিকভাবে তারা নিজেদের মাথা উঁচু করে কখনোই কথা বলতে পারবে না। আর দেশের প্রতি আমাদের দায় কিংবা দায়িত্ত্ব পালন করা হবে। আইনের ফাঁক দিয়ে কোন যুদ্ধাপরাধী বেঁচে গেলেও আজ হতে ৫০ বছর পরে তো আর বেঁচে থাকবে না, কিন্তু ইতিহাস বলে দিবে কোন কোন শয়তান তাদের সহায়তা করেছিল।
নদী
সেটা কি ঠিক হবে? এরকম বোধ হয় একটা নিয়ম আছে যে আসামী কোন উকিল নিতে না পারলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে উকিল দিয়ে দেয়া হয়। তাহলে সেই উকিলের কী দোষ? আর আইনজীবীদের নাম ঠিকানা রেকর্ড করে রাখার হুমকিটা কি এই বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিধ্য করবেনা?
আপনার আবেগ বুঝতে পারছি। কিন্তু এধরনের মন্তব্য করা আমার মনে হয় ঠিক নয়।
সহমত।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আমি যুদ্ধাপরাধীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার বিরোধী নই। কারণ এটা জানি যে, মানুষের বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নের উর্দ্ধে নয়। যে কারণে আমি নিজে শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ডের সাথে একমত নই - বলতে পারেন আন্তন চেখভ এর "বেট" গল্পের প্রভাব। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, অপরাধীদের বিচার চাই না। তারপরও, বিদেশী আইনজীবী নিয়ে এসে যুদ্ধাপরাধী বাঁচানোর চেষ্টাটা চোখে লাগে। এইসব অপরাধীগুলোকে দেশের যে কোন খুনী-ধর্ষণকারীর সাথে আমি নিজে পার্থক্য করিনা। কই একজন খুনী বা ধর্ষণকারীর জন্য কোন বিদেশী আইনজীবী তো দেখি না?
যাই হোক, আমি আইনের মানুষ নই। আর আমার আগের মতামত আবেগী হয়ে থাকলে, মডারেটর/বৃন্দদের অনুরোধ করবো তা সরিয়ে দিতে।
ধন্যবাদ।
নদী
কেন জানি এইটাও সহমত লাগতেসে! যদিও এইগুলার বেলায় মৃত্যুদন্ড ছাড়া আর কিসুর যুক্তি দেখিনা, নাইলে দেখা যাবে আবার কোনদিন বাইর হয়া শয়তানি শুরু করসে।
বিদেশ থেকে কি সরকার আনাবে না দন্ডিত নিজের পয়সায় আনাবে? আইন-বিচার আমিও খুব জানিনা। কিন্তু যদ্দুর জানি, দন্ডিত নিজে উকিল যোগাড় করতে না পারলে/পয়সা না থাকলে সরকার সেটা করে দেয়। মইত্যারা নিজের হারাম পয়সা খরচ করে বিদেশ থেকে উকিল আনাইতে পারলে আনাক, সরকার নিজে আনিয়ে দিলে সেটা অবশ্যই চোখে লাগার মত।
---আশাহত
টি-শার্টের আইডিয়াটা চমৎকার। পোলাপাইন এই-সেই কত টি-শার্ট গায়ে দিয়ে ঘুরে। তার সাথে বরাহশিকারের টি-শার্টও থাকবে। আর, এখনকার তো ট্রেন্ড বাংলাদেশ নিয়ে টি-শার্ট। চমৎকার সব ডিজাইন। সেগুলোর বেশিরভাগই ব্যবসায়িক উদ্দ্যেশে। আম্রা নাহয় কিছুটা বাংলাদেশের উদ্দ্যেশেই টি-শার্ট করলাম। সাথে সহজ ভাষায় কিছু শ্লোগান।
ডিজাইনারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
- মুক্ত বয়ান।
নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক একটা পাকি ভিডিও দিলাম
নতুন মন্তব্য করুন