লোকটির নাম সামছু। ছামছু বা সামসু হল না কেন, ছোটবেলা থেকেই এ প্রশ্নের তেমন কোন সদুত্তর দিতে না পারলেও সবসময়ই শুনতে হয়েছে এই প্রশ্নটা। সরকারি চাকরিজীবি বাবার সূত্রে পাওয়া তার চাকরিটাও সরকারি। সব বাবা-মায়ের মতই তার বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূর্ণ হয়েছে, পদমর্যাদায় সামছু তার বাবার চাইতে উপরে। বাবা সালেক মোল্লা রেলওয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা, তার সন্তান হিসেবে সামছু মিঞার তৃতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা অবশ্যই উপরের স্তরের!! পাঠক, আপনারা যারা এতক্ষণ ধরে সামছু আর তার বাবার বিস্তারিত পড়ে ভাবছেন গল্প শুরু হয়ে গিয়েছে, তাদের জন্য দু:সংবাদ!! গল্পের এখনো শুরুই হয় নি। আসুন, গল্প শুরুর আগে সামছু মিঞার পরিবারের আরো কয়েকজনের সাথে পরিচিত হই।
সামছু মিঞার স্ত্রীর নাম মৃণাল। ভাল নাম রোখসানা আমিন। কিন্তু, কোন এক বিচিত্র কারণে সামছু কেন যেন তাকে মৃণালই ডাকে। যদিও মৃণাল তাকে মাঝে মাঝে সামছু মিঞাদের পৈত্রিক ভিটার অবস্থান হিন্দু পাড়ায় হওয়ায় কোন এক অচেনা নারীকে ইংগিত করে খোঁচা দিতে ভোলেন না!!
তিন মেয়ে আর এক ছেলেকে নিয়ে সামছু মিঞার সংসার। পরপর তিন মেয়ের পর চতুর্থবারের বার সামছু মিঞার পুত্র সন্তান লাভ। একে তো সবার ছোট, তায় আবার ছেলে। সবার আদরের। যথারীতি যা হয়, রাজার সেই বিখ্যাত বাঁদরকে যেমন লাঠির বাড়ি না দেয়াতে তার মাথায় উঠে তবলা বাজিয়েছিল, তার মত না হলেও অনেকটা সেরকমই!! ইতিমধ্যেই ছেলের নামে প্রচুর অভিযোগ একে ঘুঁষি, তাকে গালে চড়, ওকে কনুইয়ের গুতো!! পাঠক যারা এবার নড়েচড়ে বসেছেন, হ্যাঁ, এইতো লাইনে এসে পরছে, পোলাপাইনকে নিয়াই কাহিনী আগাইবো। বিশেষত, ছেলেটাকে নিয়ে। তাদের জন্য সুসংবাদ এবং দু:সংবাদ। কাহিনী মোটামুটি তাদের নিয়েই, তবে কেবল ছেলেটিকে নিয়ে নিশ্চয়ই না।
ও, ইতোবৎসরে একটা কথা জানিয়ে রাখা ভাল, সামছু মিঞা আরেক দিকেও তার বাবাকে ছাড়িয়ে। তার বাবা যেখানে এখনো গ্রামেই পরে রইলেন, সামছু মিঞা ইদানীং রাজশাহী শহরের বাসিন্দা। শহরের নিমতলা চৌমাথা ছাড়িয়ে গজ পঞ্চাশেক এগুলেই হাতের বাঁ পাশে যে টিনের ঝুপড়িগুলো আছে, সেখানে তার বাস। বাসস্থান নিয়ে সামছু মিঞার বক্তব্য বেশ মজার। ”বাসার সামনে একটা নামফলক বসানো ’দরিদ্র পুর্নবাসন প্রকল্প’; যার ভিত্তিপ্রস্তরে প্রধান অতিথির নাম প্রতি পাঁচবছরে একবার করে বদলায়, সাথে করে বদলায় ভাড়া নেলেওয়াদের চেহারা আর নাম, শুধু বদলায় না এখানকার ভাড়াটেরা।” দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে ৭জনের সংসার সামলাতে তার স্ত্রীই যথার্থ। গুণে গুণে কাঁচামরিচ কেনা মহিলা!! তাও সবদিক সামলিয়ে চলা দায়। তাই পরিবারকে গ্রামে রেখে তিনি থাকেন শহরে একা। বিশেষ কোন পাড়ায় যান না, কোন কিছুর অভ্যাস নেই, কোন কিছুর চাহিদাও নেই তেমন।
কদিন আগে হঠাৎ বাড়ি থেকে স্ত্রীর ফোন। ”সবাই একবার শহরে আসতে চাই। সক্কলে মিল্লা একলগে বাজার করমু। ঈদের কেনাকাটা।” মাছি তাড়ানোর মতই হাত ঝাড়িয়ে স্ত্রীর কথা উড়িয়ে দেন তিনি। মৃণালও কম যাননা। আগে থেকেই তৈরি!! মোক্ষম অস্ত্রটা তূণ থেকে বের করেন; ছেলের হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেন!! ফলাফল? সপ্তাহ না ঘুরতেই নিমতলার বাসার ঘরটির লোকসংখ্যা এক থেকে বেড়ে চারে উন্নীত!!
যাই হোক। আম্রা মূল গল্পে প্রবেশ করি। গল্পের প্রেক্ষাপট জানা গেল। গ্রাম থেকে আসা স্ত্রী, ২ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঈদ কেনাকাটায় বেরুনো এক লোকের গল্প।
সপরিবারে বেড়িয়ে তিনি রিকশা নেন না মৃণালের বাধায়। হাঁটতে হাঁটতে পৌছে যান শহরের মধ্যবিত্তদের বাজার বলে পরিচিত নিউমার্কেটে। প্রথমবাবের মত শহরে এসে ছেলেমেয়ে দু'টোরই চোখ ছানাবড়া!! যা-ই দেখে তাতেই তারা অবাক! এটা কিনবে, ওটা কিনবে, সেটা কিনবে, বাইরের রং-চং দেখে তারা উতলা। মৃণালের চোখও জ্বলজ্বলে। আজীবন ফেরিওয়ালার ঐ কাঁচের বাক্সের ভেতরে থাকা তিব্বতের স্নো আর পাউডার ব্যবহার করে অভ্যস্ত যে নারী, তার চোখ একটু পরপরই আটকে যায় ল্যাভেন্ডার, জর্ডানা বা লিভনের লোভনীয় শারীরিক কাঠামোর বোতলগুলোর দিকে।
বায়না করে বাচ্চাগুলো। ঈদের বাজার। কাপড়-চোপড়ে সয়লাব। দোকানে, দোকানের বাইরে, যাদের দোকান নেই তারা একটা টুল-টেবিল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে। হই-হুল্লোড়ের মাঝে দোকানে ঢুকে বাচ্চাদের জন্যে কাপড় পছন্দের পালা শুরু। মৃণাল আর বাচ্চাদের উপর যাচাই-বাছাইয়ের ভার দিয়ে একটু আড়ালে গিয়ে আনমনে পকেটে হাত দিয়ে কাগজের টুকরোগুলোর অস্তিত্ব অনুভব করেন। আর, অবচেতনভাবেই ভ্রু দু'জোড়া একটু কুঞ্চিত হয়। "বাবা, বাবা", বাচ্চাদের ডাকে বাস্তবে ফিরে আসেন। আবার হাসিহাসি মুখোশ লাগিয়ে তাদের দিকে ফেরা।
পাঠকরা যারা এখন একটা "হ্যাপি এন্ডিং" এর প্রাত্যাশায় আছেন, তাদের জন্যে দু:সংবাদ। এটা গল্প, গল্প হলেও "গল্পের গরু গাছে উঠে গিয়ে তা-ধিন-ধিন নাচবে" এমনটা না।
তাই, ছেলের জন্যে শার্ট, মেয়ের জন্যে কামিজ দেখা হয়, দাম জিজ্ঞেস করে আবার প্রথমে পছন্দ হওয়া শার্ট/ কামিজ ছেলে-মেয়েকে মানাবে এই বলে দোকান থেকে খালি হাতে বেরিয়েও আসা হয়। এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে, চলতেই থাকে একবার, একাধিকবার, বার বার। ছেলে-মেয়ের উচ্ছলতা কমতে থাকে, মৃণালের চোখের রঙিন চমশা ধূলি-ধূসরিত হতে থাকে। আর, সামছু মিঞার মুখোশ আস্তে আস্তে ছিড়তে থাকে। তার, কষ্টক্লান্ত মুখ আর ঢাকা থাকে না কোন মুখোশে। কেমন যেন একটা অবসাদের ছায়া ফুটে ওঠতে শুরু করে। আর, একটা সময়ে সেটা পুরো মুখটাকেই গ্রাস করে নেয়।
পাঠক, আমরা এবার বরং তাদের ছুটি দেই। তারা তাদের নিজের ঈদের বাজার নিজেরাই করুক।
[সচলে করা আমার প্রথম পোস্ট।]
-মুক্ত বয়ান।
মন্তব্য
অন্যরকম সুন্দর, কথা গল্প।
“ছেলের জন্যে শার্ট, মেয়ের জন্যে কামিজ দেখা হয়, দাম জিজ্ঞেস করে আবার প্রথমে পছন্দ হওয়া শার্ট/ কামিজ ছেলে-মেয়েকে মানাবে এই বলে দোকান থেকে খালি হাতে বেরিয়েও আসা হয়। এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে, চলতেই থাকে একবার, একাধিকবার, বার বার “-
তখন সামছু , মৃনাল আর ছেলেমেয়ে চারটার মুখ যখন ভেসে উঠলেই ভালো লাগে না। কষ্ট হয়। কত দরিদ্র আমরা। এই মৃনালতো আমাদের পরিচিত। কতবার এই সামছুকে আমি শীতের সকালে কলোনির সামনের টং দোকানটায় মুড়ি আর চা খেতে দেখেছি। বিষ্যুদবারে সন্ধ্যা নামার আগেই পলিথিনে বাচ্চাদের জন্য একটা বড় চানাচুরের প্যাকেট ( মৃনাল আর ছোট ছেলেটার এই একটা শখ ) নিয়ে প্রসন্ন মনে বাড়ির দিকে হনহন করে হাটতে দেখেছি। আমরা কি কখনোই অভাব থেকে মুক্তি পাবোনা ? এই গল্প কি সারাজীবন শুনে কষ্ট পেতে হবে ? অপ্রাসংগিক অনেক কথাই বললাম। একটা অনুরোধ করবো .... আশাবাদির একটা গল্প লেখেন, পড়ে মনটা ভালো হউক।
ইবরাহিম যুন
অপ্রাসঙ্গিক কথাগুলাই বরং বেশি রকমের প্রাসঙ্গিক। এই অর্থনৈতিক দীনতাই আমাদের পুঁজি। একেই নিয়েই ব্যবসা করছে দাতাগোষ্ঠী, ঋণদাতারা, এমনকি আম্রা যারা গল্পলিখি তারাও।
আশাবাদি গল্প লিখবো, মন ভালো হবে কি না বলতে পারছি না। তবে, লিখবো।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
- মুক্ত বয়ান।
ধরেন তাদের ছুটি দিলাম না। তাইলে এইবার গল্পটা শেষ করেন দেখি নতুন ক'রে!
স্টাইল-টা বেশ ভালো লাগলো। কারণটা বলছি না, আমার কোনো কোনো লেখা পড়লে আপনি নিজেই হয়তো চমকে উঠবেন!
কিন্তু, বেশ অসম্পূর্ণই যেন রয়ে গ্যালো লেখা। বেশ অকালে ছুট্টি নিয়ে দিলেন ওদেরকে!
আর একটা কথা। হেডিং-টা ইন্ডিপেন্ডেন্টলি ভালো লেগেছিল, কিন্তু গল্পের সাথে সামঞ্জস্য পেলাম না পুরোপুরি।
শুভকামনা রইলো।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হা হা হা হা!!!
আমার গল্প লেখার দৌড় তো এইটুকুই। আমি ছুটি দিছি। আমার চোখ সরাই নিছি তাদের থেকে। এইবার আপনি তাদের দেখেন। আপনি বাকি অংশ লেখেন। একাধিক জনে মিলে গল্পটি লিখি চলেন।
হেডিং-এর মাজেজা একটু আলাদা। গানটা শুনতেছিলাম, আর মাথায় ঘুরতেছিল। এর মাঝে লেখাটা আবার পড়ে মৃণালের চশমার অংশটায় আসতেই হেডিং হিসেবে এই অংশটা নির্বাচিত হইয়া গেল। :)
ধইন্যাপাতা।
- মুক্ত বয়ান।
প্রস্তাবটা ভালো। অফিসের দৌড়ানির উপ্রে না থাকলে হয়তো সত্যিই লিখতাম।
হ্যাঁ, গানটা আমিও বেশ ভালু পাইছি। সুন্দর।
ভালো থাকেন, লিখতে থাকেন।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
দৌড়ানি তো থাকবেই.. তার মাঝেই একটু ভাবনার অবসর বের করে নিয়ে লিখে ফেললেই হয়।
- মুক্ত বয়ান।
তাদের ছুটি দিয়ে পালিয়ে বাঁচা কেন? ধ্বাক্কা দিতে চাইলে ছুটি দেয়া ঠিক হয়নি।
...........................
Every Picture Tells a Story
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অক্ষমতা ঢাকার জন্যে পালিয়ে বাঁচা। শেষটা চিন্তা করতেছিলাম কিন্তু লেখার সামর্থ্যে কুলায় নাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
- মুক্ত বয়ান।
সচলে স্বাগতম দোস্ত!!!
লেখা ভালো লাগলো
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধইন্যাপাতা, দোস্ত মানুষ।
পরীক্ষায় বাঁশ খাইয়া এই লেখা মাথায় আইছে!!!! :(
- মুক্ত বয়ান।
ভালো লাগলো ।
শেষ লাইনের দরকার ছিলো না মনে হয় ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
ধন্যবাদ।
- মুক্ত বয়ান।
গল্পের ধরন ভালো লাগলো (গল্প নয়)
নিয়মিত লিখুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ। চেষ্টায় আছি।
এককাজ করেন, এই স্টাইলটায় আপনেও একটু কাজ করেন। আপনেও একটা লেইখা ফেলেন।
আরেকটা গল্প পড়া হবে। আরেকটা কোন ঘটনা। অপেক্ষায় থাকলাম।
- মুক্ত বয়ান।
হে পুত্র -- লেখাটার শেষটা চমৎকার লেগেছে, ষ্টাইলটাও দারুন ।
অনেক দিন বাদে তোমার লেখা পড়লাম ।
অক্ষমতার যন্ত্রনা গুলো ফুটিয়ে তোলাও যন্ত্রনার কাজ ।
ভালো থাকো ।
--
ইমতিয়াজ মির্জা
পিতাআআআআআ..
আছেন কেমন?? কাল দেখলাম কোন একটা পোস্টে আপনার মন্তব্য।
স্টাইল নিয়ে আরেকটু কাজ করার ইচ্ছা আছে।
ধইন্যাপাতা।
আপনের লেখা কই??
- মুক্ত বয়ান।
দাদা গল্পের স্টাইলটা দারুণ পছন্দ হয়েছে। তবে গল্পটা যে অসম্পূর্ণ রয়ে গেল সেজন্য মনটা খচখচ করছে - কে জানে, মনের এচুলকানি ধরিয়ে দেওয়াটাও বোধহয় আপনার গল্পের সার্থকতা।
খেক খেক খেক।
লেখা শেষে নিজের মত করে ভাববা, এমন হবে না!! তাই শেষ কইরা দিছি। ছুটি দিয়া দিছি।
গল্পের স্টাইলটা দুর্দান্ত
থ্যাংকু ভাইয়া।
- মুক্ত বয়ান।
স্বাগতম। নিয়মিত লিখুন আরো গল্প।
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ। লিখার আশা রাখি।
- মুক্ত বয়ান।
ভালো লাগল।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ।
- মুক্ত বয়ান।
সুন্দর লেখা। যদিও ভোঁতা আর নিরাবেগ হয়ে গেছি দারিদ্র দেখতে দেখতে তবু এই ধরনের নাড়া দেওয়া লেখা পড়লে চমকে উঠে ভাবি-থাক, কী ভাবি না বলাই ভালো।
ভালো থাকবেন, লিখবেন অনেক।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাবনাটা শেয়ার করলেন না?? আচ্ছা তবে তাই হোক। আপনার ভাবনা আপনার মাঝেই থাকুক। আপনি বরং সেটা নিয়েই একটা নতুন লেখা দিন। আম্রাও নতুন করে ভাবার অবকাশ পাই।
শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ।
- মুক্ত বয়ান।
শিরোনামটা মেলাতে পারছিলাম না ,শেষটায় মন্তব্যে উত্তর মিললো..
স্বাগতম, লিখুন আরো!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হা হা হা!!
ধন্যবাদ।
- মুক্ত বয়ান।
সচলে স্বাগতম। গল্পের ধরনটা ভালো লাগলো। আরো লিখুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ। লিখার প্রত্যাশা রাখি।
- মুক্ত বয়ান।
গল্পের স্টাইলটা খুব ভালো লাগলো। আরো লেখা চাই!
ধন্যবাদ। আরো লিখার প্রত্যাশা রাখি।
- মুক্ত বয়ান।
এই রকমের আরো চাই, তবে সম্পূর্ণ।
------------------------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
হা হা হা!!!
আমার এটাই তো সম্পূর্ণ।
ধন্যবাদ।
- মুক্ত বয়ান।
ধরনটা পছন্দ হইছে ব্রাদার।
স্বাগতম।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ধইন্যাপাতা।
এইটা একটা ট্রায়াল ভার্সন।
- মুক্ত বয়ান।
অন্যরকম ভালো লাগল
স্বপ্নদ্রোহ
ধইন্যাপাতা।
লেখার স্টাইলটা ভালো লাগলো। গল্পটা ভালো লাগে নাই। আরো লিখতে অনুরোধ। সচলে স্বাগতম। তবে বানান একটু খেয়াল কইরেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন প্যাটার্ন চেষ্টা করছি একটু। দেখা যাক। বানানের ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম, কিন্তু, পোস্ট করার পরে এডিট করার কোন অপশন নাই, তাই ঠিক করা গেল না। দু:খিত।
ধন্যবাদ।
- মুক্ত বয়ান।
গল্প টা ভালো।
ধন্যবাদ।
অনেকদিন বাদে গানটা শুনতে বসে গপ্পোটাও আবার খুঁজে বের করলাম!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেকদিন বাদে গানটা শুনতে বসে গপ্পোটাও আবার খুঁজে বের করলাম!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেকদিন বাদে গানটা শুনতে বসে গপ্পোটাও আবার খুঁজে বের করলাম!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন