নামের বিড়ম্বনা.....

হাহাহাহা...
ব্যাপক মজা পাইলাম।

হা হা হা... আমার একজন পরিচিতের নাম রিফাত। তাঁরও এরকম বহু অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

:D
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

মজার ব্যাপার।
ভারতে একবার দুই সপ্তাহের জন্য একটা অফিসে গেছি। একদিন বলা হল আজ সারাদিন তোমার সাথে থাকবে ‘নারিন্দর কোহল’। মন খারাপ নিয়ে জানতে চাইলাম কোন অঞ্চলের ‘লোক’, উত্তর পেলাম, ‘পাঞ্জাবের, শিখ’। সকাল এসে উপস্থিত ‘নারিন্দর কোহল’, ঝলমলে এক শিখ তরুণী...।

"তাকিয়ে আবার হুঙ্কার দিলেন 'তুমি কেনো মহসিন হলে থাকবে,কী নাম তোমার'। "
মজা পেলাম!

আমার একটা শাহীন মামা, একটা শাহীন খালা, এবং একটা শাহীন আপা আছে।

আমার পরিচিত একটা 'রানা ভাইয়া' আছে

মজা পেলাম। আমার ছোট মামার নাম শাহীন, সেজ জনের ইতু!

একটা শোনা ঘটনা, সত্যতা জানিনা। মন্টু ও লতা, দম্পতি!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

হেহে
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

শিমুল নামটাও অনেক বিভ্রান্তিজনক। রুমি নামটাও। আমার কলেজ জীবনের দুই বন্ধু তাদের নাম নিয়ে যে কতরকম বিপদে পড়েছে তার ইয়ত্তা নেই। একবারের ঘটনা বলি,
কলেজের প্রথম ক্লাসে মনসুর স্যার নাম ডাকছিলেন, - রোল ৩২: রুমি চৌধুরী।
ভারী গলায় আওয়াজ এলো- প্রেজেন্ট স্যার।
- এই দুষ্ট ছেলে। প্রথম ক্লাসেই প্রক্সি দিচ্ছ। সাহসতো কম নয়। কোন স্কুল থেকে এসেছ... (ইত্যাদি ইত্যাদি)
ঝাড়া দুই মিনিট ধরে ধমকা ধমকির পর রুমি বলার সুযোগ পেলো- স্যার এটা আমারই নাম।

---- মনজুর এলাহী ----

- হা হা হা
লেখাটা দারুণ মজার, সাথে কিছু মজার ঘটনা মনে পড়ে গেলো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মজারু !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আমার দাদীর নাম আছিয়া| আমি আর আমার ভাই যখন লিখতে শিখি তখন দাদিকে আমরা ইংরেজিতে তাঁর নাম স্বাক্ষর করতে শিখিয়েছিলাম| আমাদেরকে চিঠি লিখলে সবসময় স্বাক্ষর করতেন asia.

আমারও দুইটা বন্ধু আছে যাদের নাম রিফাত| একটা ছেলে, অন্যটা মেয়ে|

-আতিউর
atiurrs from the gmail.com

হাহা...দারুণ মজার লেখা নাহিদ ভাই
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আমার দেখা একটা উলটা ঘটনা আছে, আমাদের ক্লাসে এক ছেলে কে প্রথমে রোকেয়া হলে এটাস্ট করে দিয়েছিল। এই ঘটনার জের বেচারা এই চার বছর ধরে টানছে

একটা আকারের অভাবে নিজের নামটা নিয়ে প্রায়শই বিড়ম্বনায় পড়ি... একটা সময় খুব রাগ করতাম কেউ নাম নিয়ে উলটো বুঝলে! আর এখন ভাবি, আহা মামা নামটা রাখার সময় কেনো একটা আকার জুড়ে দিলেন না! সেদিন ফেসবুকে এক বন্ধুর বন্ধুর নাম দেখে শান্তিতে বুকটা ভরে গিয়েছিল। একদম আমার নামে নাম, শুধু পার্থক্য এটাই যে, আমার নামের প্রথম অংশে আকার নেই, তাঁরটায় আছে, আর পরের অংশে আমারটায় আকার আছে, উনারটায় মিসিং... হা হা হা...(সেই নাম দেখে মনের জ্বালা অনেকখানিই জুড়িয়েছিল )।

আমাদের ক্লাসে একজন 'নওরীন হাসান' আছে

হাঃ............হাঃ...............হাঃ.....................
গড়াগড়ি যাচ্ছি......

-স্নিগ্ধা করবী

আমার পরিচিত এক "তারিন ভাই" আছেন। কেউ যদি বলে, "তারিন কে চেনো তো?" তার পরের প্রশ্নটি হয়ঃ "কোন তারিন? ছেলে তারিন না মেয়ে তারিন?"

মজার তো।

অনেক মজার!

শেখ আমিনুল ইসলাম

পড়ে মজা পেলাম। লেখায় উল্লেখিত আছিয়া>এশিয়া সম্ভবত আমার কলেজের সিনিয়র, আমার বড় বোনের সাথে পড়তেন। দিদির কাছে তাঁর নাম বদলের কথা শুনেছিলাম।

চমতকার লেখা।

"অনেকে নামের সাথে মানানসই রাশভারী মধ্যবয়সী কোনো ভদ্রলোক দেখতে গিয়ে এক সুন্দরী তরুণীর মুখোমুখি হয়েছেন।" -- এর চেয়ে মধুর অভিজ্ঞতা আর কি হতে পারে

হা হা।

আমার নাম নাবিউল আফরোজ।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর যখন ডিপার্টমেন্ট থেকে Testimonial নিয়ে রুমে এসে দেখি......।
Testimonial এর শেষ লাইন...
I wish her every success in life.

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

খুব মজা পেলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

- এই সচলায়তনেই, আমার একটা লেখা উৎসর্গ করেছিলাম "শিমুল"কে। সেটা দেখে দুই শিমুলই আমাকে ক্যাক করে ধরে বসলেন "কাকে" উৎসর্গ করেছি সেটা খোলাসা করতে। আমি মনে মনে বললাম ল্যাও জ্বালা, উৎসর্গ করেও শান্তি নাই। ডিসক্লেইমার দিয়ে পরে উৎসর্গ করতে হয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মজা লাগলো। আমার নামের (তাসনীম হোসেন) জন্য আমি ফেসবুকে অনেক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেতাম, পরে প্রোফাইলে আমার নিজের একটা বিকট দর্শন ছবি লাগাই। তাসনীম নামে আমি নিজেও অনেক মেয়েকে চিনি, আজ পর্যন্ত একটা ছেলে পেলাম না। সম্ভবত আমিই একমাত্র পুরুষ এই নামে।

অনেকটা শাফকাত আনোয়ারের উল্টো ঘটনা।

--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।

শাহীন নাম নিয়ে জন্ম থেকে জ্বলছি। ডালাসে শাহীন আছে পাচঁ জন। মেনফ্রেম শাহীন, কমপিউটার শাহীন, মিউজিক শাহীন, বকবক শাহীন আর মহিলা শাহীন। (নামকরনটা জুবায়েরের) শাহীন নামটা যদি শুধু মানুষের মধে্য সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে কোন কথা ছিলো না। নামকরণে শাহীন নামটাকে কেন এত অগ্র অধিকার দেওয়া হয় তা কে বলবে? শাহীন নাম হয় সবকিছুর। শাহীন হোটেল, শাহীন কার্পেট, শাহীন জুতা এমন কী 'শাহীন বদনা' পর্যন্ত।

মজা প্লাম। নিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ইচ্ছা কর্তেছে, কিন্তু সেইটা অনেক গে'ইস তাই অফ গেলাম

ব্যাপক মজা পেলাম।

===অনন্ত===

হে হে হে। অতীব মজা পাইলাম। সচলেই খুঁজে পেতে বেশ কয়েকটা পাওয়া যাবে। তবে নাম কমুনা। তাইলে শিমুল আফা আর রানা ভাইয়া মাইর দিতে পারে

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

কি রে!!
আমি তো ফেইসবুকে এক ছোটভাইয়ের দেয়া লিংক ধরে তোর লেখা পড়লাম!! ভালই তো লিখিস!
নাম নিয়ে তোর চাইতে যন্ত্রণা মনে হয় আমাকেই পোহাতে হয়েছে বেশি। দুনিয়াতে আর কোনও মেয়ে শাফক্বাত পেলাম না নিজেকে ছাড়া।
আমাদের আইবিএ থেকে সেই আদ্যিকালে এমবিএ পাশ করা একজন শাফক্বাত আনোয়ার আছেন; নামের বানান ইংরেজিতে হুবহু একই। উনি প্রবাসী হওয়ায় বেঁচে গিয়েছি নাহয় কে জানে ওনার সাথেও টক্কর লেগে যেতো হয়তো...

অনেক দিন পর সচলে এসে আপনার লেখা পড়ে খুব মজা পেলাম দারুন

হা হা, আমার বাসায় আমার সব বোনের নাম সামিনা দিয়ে শুরু ... বাসায় কেউ ফোন করলে পুরা নামটা জিজ্ঞেস না করলে বোঝা যেত না কাকে চাচ্ছে। ...
-- শফকত

হাহাহাহা!!!! মজার লেখা!!! --নাহিদ আপু ( কোলন ডি)