১।
"সবাইকে সকাল ৯টার মধ্যে চলে আসতে হবে; সবার গলায় আইডি কার্ড ঝোলান থাকতে হবে; নজরুল আপনাদের সার্বিক দায়িত্বে থাকবে"। কথাগুলো একনাগাড়ে বলে যান তিনি। আমরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে তাঁর কথা শুনি। পঞ্চাশোর্ধ একজন নিপাট ভদ্রলোক, গায়ে একটা অফ-হোয়াইট রংএর শার্ট কিন্তু কোন টাই বাঁধা নেই। একটা পুরান আমলের কাঠের সেক্রেটারিয়েট টেবিলের ওপাশে বসে আছেন। কথায় কেমন জানি একটা আঞ্চলিক টান। আমরা ঠিক বুঝতে পারিনা সেই অঞ্চলটা কোথায়। যখন কথা বলেন সারা ঘর গমগম করে উঠে। ব্যস্ত ভংগিতে পাশে দাঁড়ানো বিশ-বাইশ বছর বয়সের একজন শীর্ন তরুনকে ইশারা করে বল্লেন, "ওনাদের একটা শিডিউল বানিয়ে দাও, সপ্তাহে পাঁচ দিন করে পাঁচ সপ্তাহ হলেই হবে।" আমরা ধরে নিই যে, ইনি-ই সেই নজরুল এবং আত্যন্ত তড়িত গতিতে একটা খাকি রং এর ফাইল থেকে তিনি শিডিউল এগিয়ে দিতে দিতে বল্লেন, "একটা রাফ করেছি, ছার"।
যিনি কথা বলছিলেন আবার গমগম করে কথা বলে উঠলেন। এবার গলায় গাম্ভীর্য খানিকটা কমিয়ে বল্লেন, আমাদের যে আইডি কার্ড দেয়া হবে তা আমাদের নিজেদের-ই লেমিনাটিং করে নিতে হবে, শুধু তাই না ট্রেইনিং শেষে আমাদের যে সনদ পত্র দেয়া হবে সেটাও আমাদের খরচে বানিয়ে নিতে হবে। আমরা একটু অবাক হই এবং একই সাথে খানিকটা অনিশ্চিত। তিনি মুখে এক চিলতে হাসি এনে বলেন, "আপনারা জানেন এটা সরকারি প্রতিষ্ঠান, এখানে বাজেট না থাকলে কিছু করা মুশকিল"। হঠাত একটা ফোন বেজে ওঠে, সেই পুরান আমলের ক্রিং ক্রিং করা ফোন। তিনি কথা বলার ফাঁকে আমরা রুমের চারপাশে চোখ বুলাই। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরান প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি "বাংলাদেশ টেলিভিশন" এর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের প্রধান কর্মকর্তার অফিস। এসি বিহীন রুমের মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত সবখানেই পুরান দিনের ছবি স্পষ্ট, আধুনিক কালের কর্পরেট অফিসগুলোর সাথে কোন তুলনা চলেনা। ফোন রেখেই তিনি বল্লেন "রামপুরার এই ভবনটা করা হয়েছে মূল ভবন করার অনেক পরে। তাই এখানে এখনো এসি সংযোগ দেয়া হয়নি"। আমরা আমাদের মুখের অভিব্যক্তি প্রকাশে আরো সাবধান হয়ে যাই।
২।
ঢাকার বাইরে থেকে আমাদের পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা শর্ট টার্ম ট্রেইনিং এর জন্য। আমাদের উদ্দেশ্য হল টেরিস্ট্রিয়াল, মাইক্রো-ওয়েভ এবং স্যাটলাইট ট্রান্সমিশন সম্পর্কে হাতে কলমে শেখা। আর বোনাস হিসেবে দেখা যাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ধারন সংশ্লিষ্ট কারিগরি কাজ। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে ভেবেছিলাম, এটাও আর দশটা ট্রেইনিং এর মত হবে যেখানে শেখার চাইতে চা-নাশতা খাওয়া, আড্ডা দেয়া বা ঘুরাঘুরি করে সময় পার করাটাই মুখ্য হবে। কিন্ত সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এহসানুল হক সাহেবের সাথে প্রথম সাক্ষাতেই আমরা বুঝে গেলাম এই ট্রেইনিং এ আমাদের ভালই খাটতে হবে। আমি মনে মনে বল্লাম, ঠিকাছে- বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী।
আমাদের শিডিউল পাবার পর যখন আইডি কার্ড হাতে পেলাম, একটা ব্যপার দেখে সবাই বিষ্ময়ে অবিভূত। কার্ডের উপর দুটো সিল-একটা KPI (Key Point Installation) আরেকটা HQ (Head Quarter)। এর অর্থ হচ্ছে আমদের যেকোন সময় যেকোনখানে প্রবেশাধিকার আছে। যিনি আইডি কার্ড দিচ্ছিলেন, তিনি ওই কার্ডের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য বলেছিলেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট আসলেও সরাসরি Tx-Rx (সংক্ষেপে Tx যেখানে ট্রান্সমিটার থাকে)এ ঢুকতে পারবেননা কিন্ত আপনারা পারবেন। সেই প্রথম নিজেকে একজন গুরুত্বপূর্ন মানুষ মনে হচ্ছিল।
৩।
আমরা প্রথম কাজ করি RF (Radio Frequency) ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার নিয়ে। তৌফিক সাহেব ছিলেন আমাদের দায়িত্বে। মধ্য তিরিশের মত বয়স, ফ্রেঞ্চকাট দাড়িতে চমতকার হালকা-পাতলা ভদ্রলোক। পাশ করেছিলেন ঢাবি থেকে। বিটিভির হাতে গোনা কয়েকজন বি.এস.সি. ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে তিনি একজন। যদিও তিনি ছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র। এখানে উল্লেখ্য, বিটিভির বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন ডিপ্লোমা পাশ, এমনকি চীফ ইঞ্জিনিয়ার আর তারপরের পোস্টে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এই দুইজনও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তো তৌফিক সাহেব আমাদের বিভিন্ন জিনিষ বুঝিয়ে দেবার সময় মাঝে মাঝে থিউরেটিক্যাল প্রশ্ন করতেন। না পারলে “নো মাই ফ্রেন্ড” বলে বুঝিয়ে দিতেন। তিনি আমাদের দেখান, বিটিভি প্রতিষ্ঠার পর থেকে চালু হওয়া ট্রান্সমিটার কিভাবে এখন সক্রিয় রাখা হয়েছে, কিভাবে পুরানো যন্ত্রাংশগুলোর যত্ন নেয়া হয়, কিভাবে এই Tx এ পর্যায়ক্রমে ডিউটি বন্টন করা হয়। আরো বলেন, কিভাবে বিটিভি রামপুরার মেইন ষ্টেশন আর বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত ষোলটি সাব-ষ্টেশন দিয়ে সারা দেশে টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার করে থাকে।
তিনি একটা ঘটনা বলেন এরকম, বিটিভি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তখন পর্যন্ত ট্রান্সমিশন কখনই বন্ধ হয়নি। পাঠকদের নিশ্চয়ই মনে আছে, মাঝে মাঝে আমরা টিভিতে একটা বিজ্ঞপ্তি দেখতে পেতাম, “বৈদ্যুতিক গোলযোগের জন্য আমরা দুঃখিত”। কিন্তু এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাব-ষ্টেশনগুলোতে সমস্যার কারনে হতো। তো বিটিভির ইতিহাসে সর্বোচ্চ চার মিনিট ট্রান্সমিশন বন্ধ ছিল এবং এর জন্য একাধিক ইঞ্জিনিয়ারের চাকরী চলে যায়। একজন ছিলেন আকবর সাহেব যাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। উনার সাথে আমাদের দেখা হয়েছিল। কালো পোড় খাওয়া একজন লোক, মধ্য চল্লিশের কাছাকাছি বয়স, ডিপ্লোমা পাশ। উনি বলেছিলেন পারিবারিক সমস্যার (সম্ভবত মেয়ের অসুখ) কারনে ছুটি চেয়েছিলেন কিন্তু লোকবল কম থাকায় পাননি। তারপরও অফিসে এসেছিলেন কিন্তু টেনশনে ব্যাকআপ পাওয়ার সাপ্লাই ম্যানুয়েল থেকে অটোতে ট্রান্সফার করতে ভুলে যান। আর উনার জীবনে যার পরিণতি ছিল ভয়াবহ। যদিও কারো কোন আর্থিক ক্ষতি হয়নি বা কোন যন্ত্রাংশেরও ক্ষতি হয়নি কিন্তু ততকালীন সরকারের একটা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের সম্প্রচার বিঘ্নিত হয়। যার পরিণামে সেই সময় পর্যন্ত তিনি কোন প্রমোশনও পাননি, বলতে বলতে চোখ দুটো ছলছল করে ওঠে উনার।
এহসানুল হক সাহেবের একটা ঘটনা মনে পড়ে। তিনি একবার চিটাগঙ্গের নন্দন কাননে যে পুরান ষ্টেশন, সেখানে Tx এর দায়িত্বে ছিলেন। একদিন (সালটা মনে নেই) ঘুর্ণিঝড়ের আগাম বার্তা এল, নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত। তো উনার বস বাসায় চলে গেলেন, রয়ে গেলেন তিনি একা। কারন যথা সময়ে সম্প্রচার শুরু করতে হবে। তিনি ট্রান্সমিটার চালুও করলেন। বস বাসায় বসে টিভি খুলে দেখেন টিভিতে প্রোগ্রাম চলছে। তিনি ফোন করে জানলেন এহসান Tx এ একা, আর কেউ নেই। নন্দন কাননের সেই পাহাড়ের উপর বিশাল গাছপালায় ঘেরা ছোট ষ্টেশনে তুমুল ঝড়ের রাতে তিনি ট্রান্সমিটারটাকে আগলে রেখেছেন পরম মমতায়।
আরেকজন ছিলেন বারিক সাহেব, উনিও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় কাজ করেছেন চিটাগঙ্গে। উনার বাড়ি ছিল সম্ভবত উত্তর বঙ্গের কোন জেলায়। কিন্তু দীর্ঘদিন চিটাগঙ্গে থাকায় উনার কথায় শুধু চিটাগঙ্গে আঞ্চলিক টান চলে আসে। উনার সাথে কথা বল্লে প্রথমেই চিটাগঙ্গের লোক বলে মনে হয়। উনি বলছিলেন, রাঙ্গামাটিতে আমাদের একটা সাব-ষ্টেশন আছে যার যন্ত্রাংশ প্রায়ই নষ্ট হয়ে যেত। আর তার জন্য তাঁকে প্রায়ই চিটাগঙ্গ থেকে রাঙ্গামাটি ছুটতে হতো। সেই রাস্তা ছিল মারাত্মক খারাপ আর আবহাওয়া খারাপ থাকলেতো পোয়া বার। তারপরও তাঁকে ছুটতে হতো, কারন ট্রান্সমিটার কখনো বন্ধ হবে না, বন্ধ থাকতে পারবেনা। উনি সেই ট্রান্সমিটারের খুঁটিনাটি এমন ভালভাবে জানতেন যে, রাঙ্গামাটি ষ্টেশনের কিছু হলেই অলিখিত ভাবে বারিক সাহেবের ডাক পড়বে। এইজন্য তিনি চাওয়া সত্তেও চিটাগঙ্গ থেকে ট্রান্সফার হতে পারতেন না। উনি আফসোস করে বলছিলেন, কত ঈদ কত পার্বন দেশের বাড়ি যেতা পারিনি।
৪।
এরকম বিটিভির Tx এর প্রত্যেকটা লোক সারা দেশের ট্রান্সমিটারগুলো জান-প্রান দিয়ে রক্ষা করেন, চালু রাখেন। উনারা জানেন না এই ট্রান্সমিটারগুলো দিয়ে কী অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে। কিংবা জানতেও চান না যে অনুষ্ঠানগুলোর মান কেমন, অথবা প্রচারিত সংবাদে কি শুধু সরকারের ছাফাই গাওয়া হয় নাকি অন্য প্রোপাগান্ডা চালানো হয়। শুধু একটা কথাই জানেন, আমাদের অর্থবল বা লোকবল কম হতে পারে কিন্তু রামপুরার মেইন ষ্টেশনের সাথে দেশের ষোলটা সাব-ষ্টেশন চালু রাখতে হবে যে কোন মূল্যে। এ যে কত বড় দেশপ্রেম, এই ছাপোষা মানুষগুলার সাথে কথা না বল্লে বোঝা মুশকিল।
(বাউলিয়ানা)
পুনশ্চঃ লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে বলে আগামী পর্বে শেষ করার আশা রাখি।
মন্তব্য
ভালো লেগেছে, আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ
তেমন কিছু বলার নেই। কেবল এইসব পরিশ্রমী মানুষদের জন্যে রেখে যাই অজস্র শ্রদ্ধা।
চিটাগঙ্গ পড়তে খারাপ লাগছে, চট্টগ্রাম লিখলে ভালো হতো। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ধন্যবাদ
দেখে পড়তে ঢুকলাম ।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় ।
--
ইমতিয়াজ মির্জা ।
ধন্যবাদ
পরের পর্ব আসছে...
আপনার গল্প বলার ভংিতে একটা মজলিশী ব্যপার আছে, ভালো লাগলো সেটা। তবে সবচাইতে ভালো লাগলো লেখার থীম! বানান টানান, আর টাইপো'র ব্যপারে আরেকটু সাবধান হলে 'ভালো'টা অচিরেই 'আরো ভালো' হবে
বানান আর টাইপোর ব্যপারে সাবধান করার জন্য ধন্যবাদ।
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ভালো লেগেছে। পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগল।পরের পর্বের আশায় থাকলাম। ধন্যবাদ।
==========
কামরুজ্জামান স্বাধীন
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে। এই কর্মিষ্ঠ মানুষদের জন্য শ্রদ্ধা রইল আর আপনার জন্য শুভকামনা। লিখতে থাকুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আচ্ছা।
এই জায়গাটা বুঝলাম না। উনি দু জায়গারই ছাত্র ছিলেন?
আমার বোঝার ভুল, নাকি এখানে একটা প্রচ্ছন্ন বিস্ময় লক্ষ্য করলাম? বোঝার ভুল না হলে এটার কারণ কী?
পরিশ্রমী মানুষগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এটা কী আসলে দেশপ্রেম, নাকি পেশাদারিত্ব? মানে, বেতন কম হোক বেশি হোক, উনারা তো বেতনভূক কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাই না? এবং এঁদের দায়িত্ব পালন করাটাই তো স্বাভাবিক। হ্যাঁ, অন্য কোন সরকারী বা আধা-সরকারী অফিসে কেউ দায়িত্ব এভাবে পালন করেন না, তাই এই ব্যাপারটাকে বড় করে না দেখার সুযোগ হয়তো নেই।
লেখার বিষয়বস্তু চমৎকার লাগলো! পরের পর্ব লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি!
১। উনি শুধু ঢাবি'র ছাত্র ছিলেন। উনি সেখান থেকে স্নাতক পাশ করেছেন বলে আমি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার বলেছি।
২। আসলে কারনটা আমরা জিজ্ঞেস করে তেমন সদুত্তর পাইনি। যেমন, প্রথমত বিটিভি প্রতিষ্ঠালগ্নে মূলত সবাই ছিলেন ডিপ্লোমা। তখন জাপান থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসে ততকালীন কারিগরী দলকে প্রশিক্ষন দেয় এবং তখন থেকে তাঁরাই সব দেখাশোনা করে থাকেন। আরেকটা কারন বলা হয়েছে এমন, সেখানে সাধারনত যে মানের কারিগরী কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত তার জন্য বেশি বেতনে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেয়াকে অর্থের অপচয় মনে করা হয়।
ধন্যবাদ
- চমৎকার
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
-অনেক ধন্যবাদ।
একেবারেই ভিন্ন বিষয়, লেখার ধরণও ভাল্লাগলো!
পরের পর্ব পড়তে চাই...
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ
একদম ভিন্ন ঘরানার লোকজনদের কথা জানলাম।
এদের কথা আসলে কখনোই ভাবি নি।
বিটিভি এখন গলিত পচিত একটা কঙ্কালের নাম।
কিন্তু জীবনের প্রথম প্রেম ছিল বিটিভির যেকোনো অনুষ্ঠানই দেখতাম অপরিসীম মুগ্ধতায়। আমার সেই ফেলে আসা সুদূর শৈশবের মতোই হারিয়ে গেছে বিটিভি...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
চলুক, আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। বিটিভি নিয়ে একটা সিরিজ লেখার পরিকল্পনা করে রেখেছি অনেকদিন ধরে। সময় পাই না। আপনি বিটিভি নিয়ে আরো পোস্ট দিন... তবে বানান আর টাইপোর ব্যাপারে খিয়াল কইরা। বিশেষ করে চিটাগঙ্গ না লিখে চট্টগ্রাম লেখাটাই অনেক সহজ। পড়তেও আরাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার চেনা বেশীরভাগ সরকারি কর্মচারীরাই অকর্মন্য, ঘুষখোর, অযোগ্য ও কামচোর। এখানে ব্যাতিক্রম কিছু লোকের কথা পড়ছি।
উপাদেয়। পরের পর্বটিও পড়ব।
চমৎকার লাগলো। আপনার গল্প বলার ভঙ্গিতে টান আছে। বানান-টাইপোর ব্যাপারে স্নিগ্ধা ও নজুভাই তো বলেছেনই।
বিটিভি প্রকৌশলীদের পেশাদারিত্বে শ্রদ্ধা।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
পুরাতন ইংরেজী উপন্যাসের একান্ত বিশ্বস্ত ভৃত্যদের কথা মনে পড়ে গেলো...
লেখা ভালো লেগেছে। টাইপোতে আরেকটু সতর্ক হলেই আরো ভালো লাগবে...
_________________________________________
সেরিওজা
যেকোনো সরকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্কিং লেভেলে কার্যকরী কিছু কর্মী থাকে, যাদের কারনেই মূলতঃ প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকে, কঙ্কাল হয়েও।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এই মানুষগুলোর কথা কখনোই কোথাও আসেনা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
এমন একটা বিষয়ে লেখার জন্য।
বিটিভির লোগোর ডিজাইনার কে জানাতে পারবেন?
এখানে বলছে বিটিভির লোগোর ডিজাইন করেন প্রয়াত শিল্পী ইমদাদ হোসেন।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
ইউক্লিড
নতুন মন্তব্য করুন