বিটিভি ও অন্তর্গত মানুষের গল্প-২

বাউলিয়ানা এর ছবি
লিখেছেন বাউলিয়ানা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৫/০২/২০১০ - ১০:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


০।
আগের পর্ব

১।
Tx থেকে তারপর আমরা যাই MC (Master Control), যেখানে আনুষ্ঠান ধারন করা, যাবতীয় সম্পাদনা করা এবং ট্রান্সমিশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এই অংশটা মূলত আমাদের পড়াশোনার সাথে সম্পর্কিত না। রাশেদ সারোয়ার, যিনি সদ্য বিদেশ থেকে প্রশিক্ষন শেষে আবার যোগ দিয়েছেন, আমাদের দায়িত্ব নিলেন। আগে এহসান সাহেব একবার বলেছিলেন, বিটিভি থেকে মোটামুটি নিয়মিত ভাবেই বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষনে পাঠানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যখন নতুন কোন যন্ত্রাংশ যোগ করা হয় তখন সেটার যান্ত্রিক কলাকৌশল জানা এবং ম্যাইনটেনেন্স এর পদ্ধতি জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কাউকে সেই যন্ত্রাংশের ম্যানুফেকচারারের কাছে পাঠানো হয়। বিটিভি বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেনার জন্য ইউরোপের চারটি (জার্মানি, ফ্রান্স আর ইংল্যান্ড এর কথা মনে আছে)এবং এশিয়ার একটি দেশের (জাপান) প্যানেল থেকে ম্যানুফেকচারার বেছে নেয় এবং এটা খুব কঠোরভাবে মানা হয়।

তো রাশেদ সাহেব আমাদের সব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন এবং বুঝাচ্ছিলেন। প্রি আর পোস্ট প্রোডাকশন কী, আধুনিক ক্রোমাকি প্রযুক্তি কী, সংবাদ পাঠ ধারন আর তার পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড কিভাবে করা হয় ইত্যাদি। এতদিন যাদের টিভিতে দেখতাম, সেই প্রথম তাদের সত্যিই দেখলাম এবং আক্ষরিক অর্থেই আমরা হতাশ হলাম। কারন উনাদের হয় চওড়া মেকআপের জন্য সাধারন কেউ মনে হতো না অথবা মেকআপ ছাড়া এত সাধারন মনে হতো যে আমরা টিভিতে দেখা ছবির সাথে মেলাতে পারতাম না।

তারপর রাশেদ সাহেব দেখালেন অত্যাধুনিক রেকর্ডিং যন্ত্র ভিসিআর, ভিটিআর। বাড়িতে দেখা ভিসিআর এর সাথে যার কোন মিল না পেয়ে আমরা অবাক। বিটিভির একটা ব্যপার দেখে আমরা সবাই খুব আপ্লুত; অনেক পুরানো যন্ত্রপাতি যেমন আছে সেই সাথে আছে অত্যাধুনিক মডেলের যন্ত্রপাতি। তো এটাতে সুবিধা হলো, যে কেউই সেই যন্ত্রটার ক্রমবিকাশ সম্পর্কে একটা ধারনা পেয়ে যাবে। MC-তে যারা কাজ করেন তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ছিল আমাদের সমান বা আরো কম! ভিডিও এডিটিং এ যারা কাজ করছিলেন তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই মেয়ে। আমরা ব্যপারটা খেয়াল করলাম একটু দেরীতে। আমরা যখন রাশেদ সাহেবের সাথে ঘুরে ঘুরে সব দেখছিলাম, তখন উনারা সেই সপ্তাহের মুভি অব দ্যা উইকে যে ইংরেজী ছবি দেখানো হবে তা এডিট করছিলেন। আসলে যেটা করছিলেন তা হলো, ছবির মধ্য থেকে বিশেষ বিশেষ অংশ যেগুলো স্পর্শকাতর বা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক সেগুলো কেটে দিচ্ছিলেন। তো আমরা থাকাতে উনারা একটু লজ্জা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেন। রাশেদ সাহেব ব্যপারটা বুঝতে পেরে আমাদের সাথে উনাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। পাঁচ-ছয় জন মেয়ের মধ্যে সবাই ঢাকা পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা পাশ। উনি একজনকে ডেকে আমাদের একটা ডেমো দিতে বল্লেন। আমরা পরবর্তী দশ-পনের মিনিটে কিভাবে ডব্লিউ ডব্লিউ এফ রেস্লিং অনুষ্ঠান (যেটা বিটিভি-তে প্রচার করা হবে) এডিট করা হয় তা দেখলাম।

রাশেদ সাহেব কথায় কথায় বলছিলেন, তখন আরো চার পাঁচটা বেসরকারী চ্যানেল চালু হলেও বিটিভিতেই সেরা ক্রিয়েটিভ লোকজন কাজ করে। উদাহরন হিসেবে তিনি বলেন, এরোমেটিক সাবানের বিজ্ঞাপনের কথা। “হালাল” সাবানের বিজ্ঞাপন দিয়ে একটা সাবান কোম্পানী তখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এই যে “হালাল” কথাটার আইডিয়া প্রথম তিনিই দেন সেই কোম্পানীকে। যার ফলশ্রুতিতে সেই কোম্পানী কোটি কোটি টাকা লাভ করে চলেছে। এটা ছিল সেই কোম্পানীতে তার একটা “খেপ”, যেটা বিটিভির অনেকেই করে থাকেন। আবার মানসম্পন্ন কারিগরী যন্ত্রপাতির কথা বলতে গিয়ে বলেন, বিটিভি সবসয় সেরা জিনিষটাই সংগ্রহ করে। তিনি উদাহরন দিতে গিয়ে সামনে রাখা একটা ট্রাইপডের উপরে বসানো ক্যামেরার দিকে ইংগিত করে বলেন, এই হাইড্রোলিক ট্রাইপড অথবা কদিন আগে কেনা এই অত্যাধুনিক ক্যামেরার যে দাম, সেই সময়ে অন্যান্য বেসরকারী চ্যানেলগুলো সেটা কেনার কল্পনাও করতে পারতনা।

২।
এরপর আমরা গেলাম Satellite ট্রান্সমিশন সেকশনে, যেখানে Satellite এর মাধ্যমে বহিঃর্বিশ্বের খবর আদান-প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান (যেমনঃ লাইভ ক্রিকেট) সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এর দায়িত্বে ছিলেন কামাল সাহেব, যিনি আরেকজন বি.এস.সি ইঞ্জনিয়ার। আমরা Satellite ট্রান্সসিভার (ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার একসাথে) দিয়ে কিভাবে ABU (Asian Broadcasting Union) এর থেকে খবর সংগ্রহ করা এবং দেশের খবর সম্প্রচার করা হয় দেখলাম। ABU-তে আসলে এশিয়ার দেশগুলো নিজ নিজ দেশের খবর জমা রাখে। পরে অন্য দেশগুলো দরকার মত খবর ডাউনলোড করে নেয়। প্রথম বারের মত Earth Station দেখে আমরা ক্ষানিকটা উত্তেজিত, আমরা ডিশ এন্টেনা এবং মাঈক্রোওয়েভ-গাইড দেখতে ছাদে উঠে গেলাম। নামতে নামতে ভাবছিলাম এরকম একটা ষ্টেশন আমাদের ল্যাবে করা যায় কিনা, বা কত খরচ হবে। উত্তরটা দিলেন কামাল সাহেব, মাত্র এক কোটি টাকা!

পাঠকদের নিশ্চয়ই মনে আছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান "যদি কিছু মনে না করেন", "ইত্যাদি" কিংবা প্রতিবছর ঈদে প্রচারিত "আনন্দমেলা" যে অডিটরিয়ামে ধারন করা হতো (এখনও হয়), তা ছিল বিটিভির নিজস্ব অডিটরিয়াম। সম্পূর্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই অডিটরিয়াম আসন সংখ্যার জন্য অনেকদিন দেশে বৃহত্তম বলে বিবেচিত হতো। আমরা দেখলাম কিভাবে লাইট ডিমারের মাধ্যমে ঈদের চাঁদ বানানো হয় আর তা ঈদ-আনন্দমেলায় ব্যবহৃত হয়। ক্যামেরায় দেখলে আকাশের চাঁদের সাথে পার্থক্য করা সত্যিই কঠিন!

এরপর আমরা গেলাম Electronic News Gathering (ENG) এবং Electronic Field Production (EFP), যেখানে মূলত বিভিন্ন ইনডোর এবং আউটডোর শুটিং এ ব্যভহৃত কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়। আমরা আসলে বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা আর OB (Outdoor Broadcasting) ভ্যান নিয়ে বেশি আগ্রহী ছিলাম। পাঠকরা নিশ্চয়ই লাইভ টিভি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময় দেখেছেন একটা বড় আকৃতির ভ্যান গাড়ি দাঁড়ানো থাকে যার ছাদে একটা ডিশ এন্টেনা। আমরা দেখলাম আমাদের তিনটি বিশাল অত্যাধুনিক OB ভ্যান আছে, যা ততকালীন সময়ে আর কোন চ্যানেলের ছিলনা। প্রত্যেক্টা ভ্যানের ভেতরে আসলে একটা মিনি টিভি ষ্টেশন থাকে যা দিয়ে দেশের ভেতর কোন লাইভ প্রোগ্রাম (তখন সংসদ অধিবেশন চলছিল) সম্প্রচার করা হয়। তো এই এক একটা OB ভ্যানের দাম কোটি টাকার উপরে এবং সর্বাধুনিকটার যে দাম তা দিয়ে একটা বেসরকারী চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করা যাবে!

৩।
যারা বিটিভির রামপুরা ষ্টেশনে গিয়েছেন তার নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, মূল ভবনে ঢুকতেই হাতের বামে একটা লবি আছে। সেখানে রাখা আছে বিটিভির ঐতিহাসিক কিছু ছবি। আমাদের প্রশিক্ষনের শেষ দিকে এহসান সাহেব আমাদের নিয়ে গেলেন সেই লবিতে। কয়েকটা ছবির দিকে ইংগিত করে কিছু গল্প বল্লেন।

১৯৬৪ সালে বিটিভি পাইলট প্রোগ্রাম হিসেবে চালু (তখন নাম ছিল পাকিস্তান টেলিভিশন) হবার পর, বিটিভিকে অনেক চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। বাংলা ভাষা আর বাঙ্গালী জাতির সস্কৃতি, ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে ধরে রাখতে বিটিভিকে আজন্ম সংগ্রাম করতে হয়েছে। তবে পাকিস্তান শাসনামলে বিটিভির বিরুদ্ধে করা চক্রান্তগুলোর সমুচিত জবাব দিয়েছিলেন তৎকালীন মহাপরিচালক জামিল চৌধুরী এবং তাঁর সহকর্মীরা। একটা ঘটনা ছিল এমন-তখন মাসিক বেতনের যে চেক ব্যাংকে জমা দিতে হতো, তা ছিল ইংরেজীতে লেখা। জামিল সাহেব প্রথম সিদ্ধান্ত নেন এই চেক বাংলায় লেখা হবে। সেটা ছিল অত্যন্ত বৈরী সময়। এই ধরনের সিধান্ত নেওয়া মোটেই সহজ ছিল না। আর চেক বাংলায় লিখলেও ব্যাংক তা গ্রহন না-ও করতে পারে। কিন্তু বিটিভির কর্মকর্তারা সে অসাধ্য সাধন করেছিলেন। শুধু তাই না, তাঁরা বিটিভির সর্বত্র বাংলা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। অনুষ্ঠান প্রচারের সময় ষ্টেশনের ভেতরে যেসব কারিগরী ইংরেজী শব্দ ব্যবহার হতো তা-ও বাংলায় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেমন, Silence-নিরব হউন বা On Air-প্রেরনরত।

আরেকবার পাকিস্তান থেকে একজন বিশেষ লোক (সম্ভবত গভর্নর) আসবেন বিটিভি সফরে। তাঁকে বিটিভির পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জামিল চৌধুরী, মুস্তাফা মনোয়ার সবাই মিলে ঠিক করলেন উনাকে একটা স্মারক দেয়া হবে। কিন্তু কি ধরনের বা কোন মোটিফ তা সবার থেকে গোপন রাখা হলো। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জানতেন বিটিভির লোগো সম্বলিত কোনো ক্রেষ্ট দেয়া হবে। কিন্তু সবার শেষে উনার হাতে তুলে দেয়া হলো শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ডিজাইন করা বাংলার মাটি ও মানুষের নিরন্তর সংগ্রাম আর ঐতিহ্যের মোটিফ। এই যে পদে পদে বিটিভিকে বাংলা ভাষা আর বাঙ্গালী সস্কৃতির উপস্থাপক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা, সেটা একমাত্র বিটিভির কিছু শ্রেষ্ঠ মানুষের জন্যই সম্ভব হয়েছিল।

৪।
এবার লেখাটা শেষ করি। আমাদের প্রশিক্ষন শেষে আমরা সবাই একটা ব্যপারে একমত হই, শুধু টিভি-স্ক্রিনে দেখে বিচার করলে বিটিভি হয়ত অন্য আর পাঁচটা বেসরকারী চ্যানেলের তুলনায় খুব খুব সাধারন মনে হবে। কিন্তু রামপুরার মেইন ষ্টেশন আর সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা আরো ষোলটি সাব-ষ্টেশন মিলিয়ে এই বিশাল কর্মযজ্ঞের পেছনে যে কিছু নিবেদিত প্রান মানুষের অক্লান্ত শ্রম আর নিষ্ঠা তা কোনভাবেই ভুলে যাবার নয়।

(বাউলিয়ানা)


মন্তব্য

ভাববাদী এর ছবি

চার পাঁচটা বেসরকারী চ্যানেল চালু হলেও বিটিভিতেই সেরা ক্রিয়েটিভ লোকজন কাজ করে।

হাস্যকর শোনালো।

তবে এটা ঠিক বিটিভিতে এখন পর্যন্ত অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি (সব মিলিয়ে) রয়েছে যার ব্যবহার বিদেশ ট্রেনিং নিয়ে এসেও ঠিকমতো প্রয়োগ হচ্ছে না।

বাউলিয়ানা এর ছবি

আসলে আপনি যদি অনুষ্ঠান তৈরী সম্পর্কিত যন্ত্রাংশের কথা বলেন, তাহলে হয়তো ঠিক। কিন্তু অনুষ্ঠান সম্প্রচার সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশের ব্যবহার যে অনেক সীমাবধ্যতা সত্ত্বেও ঠিকমত হচ্ছে সে ব্যপারে আমি সন্দিহান।

ধন্যবাদ

ফাহিম এর ছবি

তারমানে দাড়ালো ইনফ্রাস্ট্রাকচারের দিক দিয়ে বিটিভি আর সবার চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু তারপরেও এই অবস্থা কেন? সরকারী ঝামেলার কথা বাদ দিলাম, খবরের মান বাজে হতেই পারে। কিন্তু বাকি অনষ্ঠানগুলোর এই অবস্থা কেন? নেতৃত্বে অযোগ্যতা?? জানা থাকলে একটু লিখবেন কি?

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

বাউলিয়ানা এর ছবি

আমাদের বিচরন ছিল শুধুমাত্র কারিগরী বিষয় সংস্লিষ্ট এলাকায় এবং সেখানকার মানুষদের সাথে। তাঁদের বেশিরভাগেরই জানা ছিলনা প্রচারিত অনুষ্ঠানের মান এবং তার উন্নয়ন সম্পর্কে। যথারীতি আমরাও সে সম্পর্কে কোন সদুত্তর পাইনি। তবে যেটা বুজেছি তা হলো, একদল লোক অনুষ্ঠান নির্মান করেন এবং তাদের থেকে বিটিভি সেটা কিনে নিয়ে সম্প্রচার করে। এখন সেই অনুষ্ঠান যদি মানসম্পন্ন না হয় তাহলে বিটিভি তা কিনতে বাধ্য না। কিন্তু কিছু অনৈতিক কারনে সেই নিম্নমানসম্পন্ন অনুষ্ঠানও বিটিভি কিনতে বাধ্য হয়। হতে পারে স্বজনপ্রীতি বা সরকারী দলের চাটুকারদের বানানো অনুষ্ঠান প্রচারে বাধ্য করা।

ধন্যবাদ

হিমু এর ছবি

১৯৮৪ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত বিটিভি নিয়ে কোনো অভিযোগ করবো না। এরপর বিটিভি যা শুরু করেছে তা হচ্ছে বিষ্ঠা সম্প্রচার।

আপনার দু'টি পোস্ট পড়ে যা বুঝলাম, বিটিভিতে নিবেদিতপ্রাণ কিছু কারিগরীকর্মী রয়েছেন, যাঁদের কল্যাণে বর্তমানে বিটিভির ভয়াবহ ছাইপাঁশ ব্রডকাস্ট প্রতিটি মুহূর্তে নিশ্চিত করা হয়।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

বাউলিয়ানা এর ছবি

আসলে বিটিভির অনুষ্ঠানের মান যে নিম্নমানের তা নিয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই।
কিন্তু এত চমতকার একটা টেরিষ্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ককে যথাযথ ভাবে চালু রাখা গেলে বিটিভির মাধ্যমে উন্নতমানের অনুষ্ঠান সম্প্রচারতো শুধু সদিচ্ছার আর সময়ের ব্যপার, তাই না ?

ধন্যবাদ

হাসিব এর ছবি

“হালাল” কথাটার আইডিয়া প্রথম তিনিই দেন সেই কোম্পানীকে।

কথাটা মনে হয় ঠিক না । স্মৃতি প্রতারক । তাই রেফারেন্স দিতে পারলাম না ।

লেখা ভালো হচ্ছে । বেশ গোছানো । তবে বিটিভিতে অনেক অনিয়মও হয় । ওগুলোও লেখায় উঠে আসলে ভালো ।

বাউলিয়ানা এর ছবি

অনিয়মগুলো সত্যিই আমাদের চোখে পড়েনি। হয়তো সেভাবে খতিয়ে দেখিনি।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।