"কিছু টুকরো স্মৃতি-যা কখনো ভুলা যায় না।" (৩য়- পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৫/০২/২০১০ - ১০:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যারা আগের দুইটা পর্ব পড়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ এবং সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করি পরের পর্ব গুলোতেও আপনাদের সাথে পাব। ভালো লাগার প্রত্যাশা নিয়ে লিখার চেষ্টা করছি। দ্বিতীয় পর্বের ভেতর প্রথম পর্বের লিংক দেয়া আছে।
দ্বিতীয় পর্বঃ (http://www.sachalayatan.com/guest_writer/30109)

নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোর স্মৃতি অন্যের কাছে লেখার মাধ্যমে দৃশ্যমান করা যে কত কঠিন সেটা লিখতে বসার আগে বুঝি নাই। এখন হাড়ে হাড়ে তা টের পাচ্ছি। কোথায় থেকে শুরু করবো, কিভাবে শুরু করলে ভালো হবে, কোন ঘটনাটা বন্ধুদের ভালো লাগবে এই বিবেচ্য বিষয় গুলো মাথায় রেখে যখন কীবোর্ডের সামনে বসি তখন লেখালেখি কাজটাকে মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন ও দুরূহ কাজ। যদিও প্রকৃত পক্ষে লেখালেখিটা ভীষণ রকমের কঠিন ও তপস্যার বিষয়। লিখতে গেলে যেমন জানতে হয়, তেমনি উপস্থাপনায়ও দক্ষ হতে হয়। থাকতে হয় প্রচুর ভাষা জ্ঞান ও শব্দ ভান্ডার। বুঝতে হয় পাঠকের মন ও প্রয়োজনীয়তা। সর্বোপরী থাকতে হয় ব্যাকরণ জ্ঞান। এই বিবেচ্য বিষয় গুলোর কোনটাই আমার নেই, তারওপর বানান ভুলের আজন্ম দোষের তিলকতো কপালে লেগেই আছে। এতকিছুর পরও নিজের লেখার ইচ্ছাটাকে সংবরণ করতে পারলাম না। নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মধুর স্মৃতি গুলো শেয়ার করার লোভনীয় সুযোগটাকে হাত ছাড়া করতে চাইলাম না। আগের স্মৃতি গুলোর সাথে আজও কিছু স্মৃতি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। বন্ধুদের সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টা মাথায় রেখে মার্জিত ভাষায় এবং কাঁটছাঁট ভাবে উপস্থাপন করব, আশা করি আসল মজাটা বিনষ্ট হবে না।

স্মৃতি খন্ডঃ পাঁচ
পিয়াল বন্ধু মহলে সবার চেয়ে বেশী প্রেম করা এবং ছ্যাঁকা খাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার দিন থেকে শেষদিন পর্যন্ত মেয়েদের পিছনে ওর ছিলো বিরামহীন দৌড় ঝাঁপ। প্রথম সেমিস্টারে নিজ সেকশনের বিপাশাকে পছন্দ করল, কিন্তু বিপাশার কাছ থেকে সারা না পেয়ে চুপ মেরে গেল। ভাবটা এমন যেন আমরা কেউ জানি না। বিপাশাকে আরো একজন পছন্দ করতো সে হলো অলস জাকির। জাকির ছিলো খুবই শান্ত ও চুপচাপ ধরনের ছেলে। পিয়াল যতটা না পারতো তার চেয়ে বলত বেশী, আর জাকির যেটা পারত সেটাও বলত কম। জাকির যখন জানতে পারল বিপাশাকে পিয়ালও পছন্দ করে তখন সরাসরি কিছু না বলে একদিন একটা গোলাপ নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকল। সবাই যখন আড্ডায় বসলাম জাকির তখন গোলাপটা বের করে হাতে নিল। জাকির নখ দিয়ে গোলাপের কাঁটা গুলোতে টোঁকা দিতে দিতে পিয়ালকে উদ্দেশ্য করে বলল -"সর পিয়াল সর, আমার পথ থাকে সর।" আমরাতো সবাই হুঁ হুঁ করে হেসে উঠলাম। বিপাশা শেষে জাকিরকেও পছন্দ করল না। প্রেম করল গিয়ে হুমায়নের সাথে।

স্মৃতি খন্ডঃ ছয়
আমি আগেই লিখেছি বনিকে আমি পছন্দ করতাম। শুধু পছন্দ বললে ভুল হবে মারাত্বক রকমের পছন্দ করতাম। বনির প্রতি আমি এতোটাই আসক্ত ছিলাম যে, ওকে নিয়ে কেউ কোন প্রকার দুষ্টুমী বা ঋনাত্বক ধরনের কথা বললেই খারাপ ধরনের প্রতিক্রিয়া করতাম। এই নিয়ে মাঝে মধ্যেই বন্ধুদের সাথে আমার ঝগড়া লাগত আবার পরক্ষণেই মিটে যেত। ওরা আমাকে ক্ষ্যাপানোর জন্যই বেশী করে বলত, আর তখন আমি এতোটাই বনির প্রেমে অন্ধ ছিলাম যে বন্ধুদের দুষ্টুমী ফাজলামিটাও বুঝতাম না।

তখন বিজনেস স্ট্যাডির এখনকার একাডেমিক ভবনটা ছিলো না। আমরা কলা ভবনে ক্লাস করতাম। একদিন কলা ভবনের ১০৪ নম্বর রুমে ক্লাসের জন্য সবাই বসে ছিলাম। খুব সম্ভবত হাসিব স্যারের "প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট" এর ক্লাস ছিল। স্যার প্রায়ই ক্লাস মিস করতেন। স্যার ছিলেন শিক্ষক রাজনীতির সাথে সরাসরি জরিত। আওয়ামী শিক্ষক রাজনীতি করতেন, এখনো করেন। প্রতিদিনের মত সেদিনও ওনি অনুপস্থিত ছিলেন। আমরা ইচ্ছামত আড্ডা, শয়তানি করছিলাম। ক্লাস হচ্ছে না বলে মেয়েদের মন খারাপ। আর আমরা ছেলেরা আড্ডায় মশগুল। ক্লাসে সব সময় মেয়েরা প্রথম দিকের বেঞ্চে বসত আমরা ছেলেরা বসতাম পিছনের দিকে। এতে স্যারের চোখ এড়িয়ে শয়তানি করা যেত অবলীলায়। হঠাৎ রিয়াজ বনিকে নিয়ে একটা বাজে মন্তব্য করল। আমার মেজাজ গেল গরম হয়ে। ওকে মারার জন্য উদ্যত হলাম। সবাই আমাকে আরো ক্ষ্যাপানোর চেষ্টা করলো। আমি রিয়াজকে পিটানোর জন্য একটা বেঞ্চের পা ভেঙ্গে ফেললাম। বেঞ্চের সেই ভাঙ্গা পায়া নিয়ে রিয়াজকে পুরো কলা ভবনের নিচ তলা দৌড়াইছিলাম। বনি দেখতে পেয়ে আমার কাছে এল। আমার দিকে তাকিয়ে বলল -"এটা কি হচ্ছে? মানুষ কি ভাববে? দে কাঠটা আমার কাছে দে। " আমি আর কিছু বলতে পারি নাই, আস্তে করে কাঠটা বনির হাতে দিয়ে দিলাম। পেছন থেকে কাঁচকি মিঠু (মিঠুকে আমরা কাঁচকি নামে ডাকতাম, কেনো ডাকতাম সেটা আরেক দিন বলবো) বলে উঠল-"যত রাগ আমাদের সাথে, বনির কাছে গেলে ভেজা বেড়াল।" আসলেই ভালো বাসার মানুষের কাছে সবাই ভেজা বেড়াল। আজও মনে হয় সেই সব কথা। যে মেয়ে আমাকে ভালোবাসত না কেন তার কাছে আমি এমন শান্ত ছিলাম? কেন তাকে ভেবে নস্টালজিক হয়ে এখনো কষ্ট পাই।

স্মৃতি খন্ডঃ সাত
বনির সাথে আমার বন্ধুত্বটা ছিলো চমৎকার। আমাদের প্রেমটা একপেশে থাকলেও বন্ধুত্বটা ছিলো খুবই ভালো। যেহেতু বনিকে পছন্দ করতাম এমনকি মনে হয় ভালোও বেসেছিলাম, তাই ওর কোন প্রকার কথায় আমি না করতে পারতাম না। আর বন্ধুরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাত। আমি সেই সময় সেমিনারে ব্যাচ আকারে টিউশনি করে মাসে বার থেকে পনের হাজার টাকা উপার্জন করতাম। আমি এক টাকাও বাসায় দিতাম না এমনকি ব্যাংকেও জমাইতাম না। পুরা টাকা আড্ডা আর বাইরে খেয়ে, ঘুরে নষ্ট করতাম। আইবিএ এর ক্যান্টিন তখনকার বয় গুলোও আমার আর বনির ব্যাপারটা জানত। বনি আমাকে ছাড়া ক্যান্টিনে গেলে এবং কিছু খাইলে ক্যান্টিন বয় সেলিম বিল নিত না, বলত-"আপনে যান, স্বাধীন ভাই আইলে আমি নিয়া নিমুনে।" পরে আমি যখন ক্যান্টিনে যেতাম, সেলিম এসে বলত-"ভাইজান আপা আই ছিল নাস্তা খাইছে, বিল হইছে ১৫০টাকা, বিল দেন।" আমি জানতে চাইতাম তোর আপা একা এতো টাকার কী খাইলো, সেলিম এক গাল এসে বলত-" সাথে জিয়া ভাই, পিয়াল ভাই, মিঠু ভাই, জাকির ভাই, বাবু ভাই, রিয়াজ ভাই ও আরো অনেক আপুরা ছিল না?" আমি বুঝতে পারতাম এটা কার কাজ। জিয়া এই আকাম ঘটাইতো। এইভাবে প্রায়ই দিন আমাকে না খেয়েও তিন থেকে চারশত টাকা বিল দিতে হত। এতো গেলো আইবিএ এর ক্যান্টিনের ঘটনা। জিয়া, পিয়াল ও মিঠু কাঁচকি গ্রুপ অব কোম্পানীর এই তিন বান্দর মিলে প্রায়ই বনিকে দিয়া আমাকে বলাত- "চল বেইলী রোড যাই, ইউরো হার্টের বার্গার খাবো," কোন দিন নিজ থেকেই বলত -" চল আজ রাজ্জাকসে যাই, ফালুদা খাবো।" রাজ্জাক হলো নিউ সাউথ রোডে নামকরা খাবার হোটেল। আমি বনির কথায় পটে যেতাম আর মোটা অংকের বিল গুণতাম। এই ক্ষেত্রে পিয়াল, জিয়া ও মিঠু অনেক শেয়ার করত। বন্ধুরা আজ তোদের মিস করি ভীষণ রকম। এখন টাকা আছে কিন্তু বন্ধুরা এক সাথে বসে রাজ্জাকের ফালুদা খাবার সময় নেই। কত তাড়াতাড়ি দৃশ্যপট পাল্টে যায়।

স্মৃতি খন্ডঃ আট
আমরা এতোটা ভ্রমণ ও ভোজন রসিক ছিলাম যে আমাদের বাসা থেকে দেয়া হাত খরচের টাকায় কুলাত না। তাই বাড়তি টাকার যোগান হিসেবে আমরা সবাই একটা দুইটা টিউশনি করতাম। এমনকি ব্যবসায়ী বাবার ছেলে পিয়ালও টিউশনি করত। মিঠুও টিউশনি খোঁজতে লাগল। আমাদের ইয়ার মেট ও রিয়াজের বন্ধু আনোয়ার ওর ছোট ভাই বোনের জন্য টিচার খোঁজতে ছিল, রিয়াজ বলে ওখানে মিঠুকে ঠিক করে দিল। মিঠু নিয়মিত পড়ানো শুরু করল। পিয়াল আর জিয়া আবার আনোয়ারকে কেন যেন একটু অপছন্দ করত, একদিন সন্ধ্যায় মিঠু আড্ডা থেকে উঠে পড়াতে যাচ্ছে, পিয়াল মিঠুকে বলল-"মিঠু আনোয়ারের দুই ভাই বোনের বেসিক নষ্ট করে দিবি, যাতে ভালো কিছু শিখতে না পারে।" আমরা তো শুনে হাসতে হাসতে শেষ, জিয়া আবার পিয়ালকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য বলল-" হুম মিঠু টিউশনি গেলে আমরা ম্যানেজ করে দিমু, কিন্তু বেসিকটা ধ্বংস করা চাই।" আরেক চোট হুঁ হুঁ হাসি হয়ে গেল। আসলে সেই গুলি ছিল নিছক ফাজলামি। সেই বৎসর আনোয়ারের দুই ভাই বোন ক্লাসে প্রথম হয়ে ছিল। আনোয়ার আমাদের বাসায় খাওয়ানোর জন্য দাওয়াত দিল। আমার অনেক উৎসাহ নিয়ে খেতে গেলাম। খেতে বসে পিয়াল সবার আগে বলল-"আনোয়ার তুই জানিস না আমি মিঠুকে সব সময় বলতাম ভালো করে পড়ানোর জন্য, বেসিকটা শিখানোর জন্য, নম্বরের চেয়ে বেসিক শিক্ষাটা জরুরী।" আমরা সবাই এক সাথে হুঁ হুঁ করে হেসে উঠলাম। আনোয়ার জানলোনা কেন হাসলাম, কিন্তু পিয়াল ঠিকি বুঝে ছিল।

স্মৃতি খন্ডঃ নয়
লেখাটা আজকের জন্য শেষ করতে চাইছিলাম কিন্তু এমন একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেল যে না বলে থাকতে পারলাম না। পিয়াল দোলা কে ভালোবাসত আগেই বলেছি। পিয়াল দোলার প্রেমে পড়ার পর দুপুরে দুই ঘণ্টা আমাদের সাথে থাকত না। দোলার সাথে ঘুরে বেরাত, দোলাকে সময় দিত, তারপর দোলাকে নিয়ে আমাদের আড্ডায় সামিল হত।

একদিন পিয়াল দোলার সাথে ডেটিং করে এসেছিল। আমরা ফ্যাকাল্টির সামনে বসে ছিলাম। সেদিন দোলা আসেনি। পিয়াল এসেই টয়লেটে গেল। সাথে আমি আর মিঠুও প্রাকৃতিক কাজটা সারার জন্য সাথে গেলাম। ফ্রেস রুমে গিয়ে দেখি পিয়াল আয়নায় নিজের ঠোট দেখে, আমি আর মিঠু চুপ করে তাকিয়ে ছিলাম, দেখি ঠোঁট থেকে যেন কি মুছার চেষ্টা করতেছিল। আমরা দুজন এগিয়ে গেলাম। মিঠু বলল-"কি মামা, আজ কিছু হয়েছে?" পিয়াল লজ্জায় হা করে একটা হাসি দিল আর আমার চোখ গিয়ে পড়ল পিয়ালের দাঁতের উপর, দেখি দাঁতে কি যেন লাল লাল লেগে আছে। মিঠু পিয়ালকে ধরল আর আমি আয়নায় পিয়ালকে সেই লাল মিষ্টি প্রেমের চিহ্ন দেখালাম। পিয়ালতো এইবার লজ্জায় লাল। ফ্রেস রুমে থেকে ফিরে এসে এই কথা সবার সামনে বলা মাত্রই শুরু হয়ে গেলো নানা রকমের টিপ্পনী। রিয়াজ বলল-"আমাদের বিগবাইটে খাওয়াতে হবে, তানা হলে এই কথা কাল সকালে সবার মুখে মুখে রটে যাবে।" অগত্যা পিয়ালের আর কি করার, আমাদের সবাইকে নিয়ে গেল বিগবাইটে আর আমরা ক্লাপ বার্গারে বড় বড় কামড় দিলাম। পিয়ালের পকেট থেকে বের হয়ে গেল বড় বড় দুইটা পাঁচশত টাকার নোট।

স্মৃতি লেখার মাধ্যমে তুলে ধরা কঠিন। তাছাড়া অনুভূতি বা অনুভবের ব্যাপারটা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করা আরো কঠিন। আমি আপনাদের কাছে স্মৃতিময় ঘটনা গুলো বোধগম্য করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। জানি না কতটুকু পেরেছি। আপনাদের ভালো লাগলেই লেখা চালিয়ে যেতে উৎসাহ পাব আর ভালো না লগলে নিজের স্মৃতি একান্ত নিজের করে বুকের গভীরে রেখে দিব।
(চলবে)

========
কামরুজ্জামান স্বাধীন


মন্তব্য

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ভাই দলছুট,

আপনি ব্যাপক বিনোদন। পড়ি আর হাসি। বানান শুদ্ধ কইরে লিখনের কুনু দরকার নাইকা। গ্রামার শিখনের চেষ্টা ও কইরেন না কইলাম।

পর্বের পর পর্ব দিতে থাকেন। মডুরামদের ঘাম ছুটায় ফেলেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কথা বুঝলাম না? বানান ভুলটা কী একটু বলবেন? আমি যতদূর চেষ্টা করছি অভিধান দেখে ঠিক করার। কিছু টাইপো থাকতে পারে। সেটা সবার থাকে। আপনার লেখায়ও সেটা পাওয়া যায়। ব্যাকরণ নিয়ে আপনি কতটুকু সচেতন? সেটা একটু ভেবে দেখবেন।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভাশীষ দা এখানে অনেক বানান ভুল আর ব্যাকরণের ভুলে ভরা সচল ভাইও আছে । আবার অনেক ভালো লেখক যেমন আপনার মত তাঁরাও আছে। মানুষকে সম্মান দিতে না পারলে, নিজেও পাবেন না। আমি চেষ্টা করছি এবং আগের চেয়ে অনেক কম ভুল করি। আপনি নিশ্চয়ই এক দিনে আজকের পর্যায়ে আসেন নাই। তবে আপনার মন্তব্যে আমার অনেক উপকার হলো। ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ভাই,

মাইণ্ড খাইয়েন না। কোন লেখার প্রথম দুটা বাক্য পড়ে কার লেখা সেটা আমি বলতে পারি কেবল দুইজন লেখকের। একজন হুমায়ূন আহমেদ আর অন্যজন দলছুট।

আপনার লেখা আমার কাছে জাদুবাস্তব মনে হয়।হো হো বা হা হা করে না হেসে আপনার গল্পে লোকে হুঁ হুঁ করে হাসে। পাঁচশো টাকা একটু বড় বড় হয়। ভালোবাসার মানুষকে ভালো বাসার মানুষ হতে হয়। দাঁত দিয়া মানুষ চুমু খায়। স্নিগ্ধ স্বভাবের মহিলারা সিউলী ফুল নিয়া এক্কাদোক্কা খ্যালে।

ভাই আপনি পারেন। আপনার ক্ষমতা আছে। এই ক্ষমতা ধরে রাখেন।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

কোন লেখার প্রথম দুটা বাক্য পড়ে কার লেখা সেটা আমি বলতে পারি কেবল দুইজন লেখকের। একজন হুমায়ূন আহমেদ

প্রথম দুটা বাক্য পড়েই? আপনি ব্যাপক কামেল লোক দেখছি। একটু রয়েসয়ে কমেন্ট করলে বোধহয় ভালো হয়। আজকের হু,আ র লেখা/অন্য কিছু নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু তার প্রথমদিককার অনেক লেখাই প্রথম সারির বলে মনে করি। তখনকার জনপ্রিয়তা কেউ সেধে দিয়ে যায়নি - তিনি তখন তা অর্জন করেছেন। কি অর্থে কথাটা বললেন একটু বুঝাইয়া বলবেন কি?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপ্নেরে বুঝাতে হবে ভাবি নাই। প্রথমদিককার হুমায়ূন আহমেদ তো নমস্য। আর দুই লাইন পড়ে ইদানীংকালের হুমায়ূন আহমেদকে চেনার হাজারো কামেল লোক পাবেন।

তাও মনে হয় দলছুটের সাথে উনাকে মিশানো ঠিক অয় নাই। দলছুট এক এবং অদ্বিতীয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি একটু বেশী বুঝেন বলে যা ইচ্ছা তাই বলবেন সেটা কিন্তু ঠিক না? আমি দাতের যে ব্যাপারটা লিখছি সেটা সত্যি ঘটনা এবং আপনি চাইলে তার সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। মন্তব্য করার আগে একটু ভদ্রতার কথা চিন্তা কইরেন।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমি একটু কম বুঝি বলেই তো আপনার সাথে আলাপ করতে আসি।মাইণ্ড খান কেনু কেনু কেনু?

স্পর্শ এর ছবি

দাঁত দিয়া মানুষ চুমু খায়।

দাঁতের ব্যাপারটা আমার কাছে ফিজিবলই মনে হলো! চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দাঁড়ান। খাইয়া দেখতে অইবো। আপ্নে ও ট্রাই দেন। দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে এটা মনে হয় ঠিক চুমু না। 'লাভ বাইট'; বাংলায় বললে 'ভালোবাসার মৃদু কামড়' ইয়ে, মানে...
নেন এ বিষয়ে একটি জ্ঞানগর্ভ লেখার লিঙ্ক দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দাঁত দিয়া প্রতিপক্ষের (মানে ওই আর কী) ঠোঁটপালিশওয়ালা ( চট্টগ্রামের লোকজন লিপস্টিককে এই নামে জানে) ওষ্ঠে 'লাভ বাইট' মারার কথা ভাবতেই .........

আর কইলাম না। চোখ টিপি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হো হো হো হো হো হো

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাইফ তাহসিন এর ছবি

'ভালোবাসার মৃদু কামড়'

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
মন্তব্য পুরাই ধুগীয় হয়েছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি ব্যাপক অভিক্ষলোক। দুই লাইন পইড়া কইয়া দিতে পারেন। আপনি যেই গুলো নিয়ে লিখলেন সেই গুলো না জানার ভুল না এইটুকু বুঝলেন না!!!!! দাত দিয়ে চুমু খায় নাই---- কেমনে খাইলে দাতে লাগতে পারে সেইটা আপনি না বুঝলেও আমরা বাস্তবেই দেখেছিলাম। ভালোবাসা সবসময়ই ভালোবাসা, আপনি বেশী বুঝেন বলেই এইটুকু বুঝেন নাই যে সেটা টাইপো ছিলো। আপনি যেই গুলি নিইয়া ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করলেন সবি টাইপো---- এটা অনেকেরি হয়ে থাকে। আপনি ব্লগে কতদিন আর আমি কতদিন সেইটা একটু ভেবে দেইখেন? ওপেন ফোরামে মন্তব্যটা একটু শালীন হওয়া কি ভদ্রতা না---- ? দুঃখিত আপনিতো আবার একটু বেশী বুঝেন, সুতরাং কোনটা ভদ্রতা আর কোনটা শালীনতার পর্যায় পড়ে না সেইটা আপনারে বলি কেন? দুঃখিত শুভাশীষ দা। ভালো থাইকেন------ কেউ কথা রাখেনি কবিতার ভাষায় বলতে।---"-----একদিন আমরাও------"

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

PAA060000058

ভাই দলছুট,

৯০ ডিগ্রী এন্টিক্লকওয়াইজ ঘুরায়ে নিয়েন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এখানে অনেক বানান ভুল আর ব্যাকরণের ভুলে ভরা সচল ভাইও আছে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আমার ভুল বানান গুলো ধরায় দিবেন না?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাইফ তাহসিন এর ছবি

শুভাশীষদার সাথে প্রচন্ডভাবে একমত! দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়াঞ্জাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আমিও পাঠক হিসেবে আছি। ভালো হচ্ছে।

___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

একজন [অতিথি] এর ছবি

নব্বই এর শুরুর দিকে হবার সম্ভাবনা বেশী, কারণ এর মাঝামাঝি র দিকে আমরা যখন ঢুকলাম তখন তো বিজনেস ফ্যাকাল্টী কলাভবনে আর ক্লাস করতো না।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

========
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

নিল পিপড়া  এর ছবি

৩ য় পর্ব পর্যন্ত ই সীমাবদ্ধ থাক আর বড় করার দরকার নাই ভাইযান

নাশতারান এর ছবি

আপনি আর "দলছুট" নিকে লেখেন না এখন। তাও লোকে আপনাকে ও নামেই ডাকে। এতেই বোঝা যায় আপনি কতখানি জনপ্রিয়।
ভাই, আপনার কি কোন ব্যক্তিগত ব্লগ আছে? থাকলে তার ঠিকানা জানাবেন। সচলায়তনে খুচড়ো পোস্ট পড়ে মন ভরে না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মন ভরায়ে পড়েন এইখানে, আশাকরি ভুল লিংক দেই নাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্পর্শ এর ছবি

এই লেখাটা লেখনীটা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।

এই বিবেচ্য বিষয় গুলোর কোনটাই আমার নেই, তারওপর বানান ভুলের আজন্ম দোষের তিলকতো কপালে লেগেই আছে। এতকিছুর পরও নিজের লেখার ইচ্ছাটাকে সংবরণ করতে পারলাম না।

এটা আপনার সত্যিকার অনুভুতি হয়ে থাকলে আপনাকে নিয়ে আমি আশাবাদী।
'বানান ভুলের আজন্ম দোষের তিলক' জিনিশটা আমারো আছে। হাসি

যদিও প্রকৃত পক্ষে লেখালেখিটা ভীষণ রকমের কঠিন ও তপস্যার বিষয়। লিখতে গেলে যেমন জানতে হয়, তেমনি উপস্থাপনায়ও দক্ষ হতে হয়। থাকতে হয় প্রচুর ভাষা জ্ঞান ও শব্দ ভান্ডার। বুঝতে হয় পাঠকের মন ও প্রয়োজনীয়তা। সর্বোপরী থাকতে হয় ব্যাকরণ জ্ঞান।

এইতো, মূল সুরটা প্রায় ধরতে পেরেছেন। চলুক এর সাথে থাকতে হয় লেখার অদম্য ইচ্ছা। যেটা আপনার আছে। আর থাকতে হয় ভালো লাগা।

এবার এই লেখা প্রসঙ্গে বলি,
প্রচুর নাম এসেছে। আপনি এদের চেনেন বলে আপনার সামনে চিত্রটা যেভাবে ধরা পড়ছে পাঠকের সামনে সেভাবে আসছে না। শুধু নাম না দিয়ে" [] নামে এক ছেলে ছিলো যে [এমন]" এভাবে কিছু লিখলে ভালো হতো। মানে পাঠককে একটা ছবি তৈরি করার সু্যোগ দিতে হবে।

এবার বইমেলা থেকে কী কী বই কিনলেন, এবং পড়লেন সে বিষয়ে একটা পোস্ট দিতে পারেন। হাসি আগ্রহ নিয়ে পড়ব।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ স্পর্শ ভাই। বই মেলায় যাবার সুভাগ্য এখনো হয়নি। আমি ঢাকার বাইরে থাকি। আর বই মেলা নিয়ে নজরুল ভাই যে সুন্দর পোষ্ট দিচ্ছে তাতেই অনেক কিছু পেয়ে যাবেন।

=======কামরুজ্জামান স্বাধীন।

শাফক্বাত এর ছবি

এ কী? লেখা পড়ার পর আবার মন্তব্য পড়ে কিরকম যেন ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া টাইপ মনে হলো?
ভয় পাইসি। একটা লিখা ছাপানোর আগে তো তাইলে ডিকশনারি নিয়ে বসতে হবে! সরি, ডিকশনারি না, অভিধান! না না সরি না, দুঃখিত!
খাইসে আমারে!!
ভাই রে ভাই,
মাফ চাই!
ব্লগ-লিখাতে "আমি" আর নাই!!
যদি বানান ভুল ছাপাই
কই পালাই, কই পালাই??

অতিথি লেখক এর ছবি

শাফক্কাত আপু পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইটা একটা ভিন্টেজুন্নেসা পোস্টু

তিথীডোর এর ছবি

আহা, ভাইয়ের রচনা মিস করি।
হুঁ হুঁ করে হাসানোর জন্যে হলেও দলছুটকে ফিরিয়ে আনা গেলে হতো।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।