"কিছু টুকরো স্মৃতি-যা কখনো ভুলা যায় না।" (চতুর্থ- পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৮/০২/২০১০ - ৩:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"সুখ তুমি রংধনুর মত রঙ্গিন, স্মৃতি তুমি বেদনার কাছাকাছি চিরদিন।" রেনেসাঁ ব্যান্ডের নকীব খানের এই গানটা আজ খুব মনে পড়ছে। বিশেষ করে যখন স্মৃতি রোমন্থন করি তখন এই গানটার খুব শোনতে ইচ্ছে করে। গানটার কথা গুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায়, ফেলে আসা দিন গুলোর কাছাকাছি নিয়ে যায়। চোখ বন্ধ করে সেই স্মৃতির পথে হাঁটতে কার না ভালো লাগে।

আর একটা গান খুব মনে পড়ে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এই গানটা আমরা খুব গাইতাম। গানটা ফিডব্যাক ব্যান্ডের, গানের কথা গুলো ছিলো-"এক ঝাঁক প্রজাপতি ছিলাম আমরা, এক ঝাঁক বুনো পাখি ছিলাম আমরা,বাঁধন হারা পাগলপারা ছিলাম আমরা।" সেই সময়টা নিজেদেরকে বুনো পাখির ঝাঁক মনে হত। সারাদিন ক্যাম্পাসে গুলতানি মেরে সন্ধ্যায় পাখিদের মত নীড়ে ফিরে যেতাম। রাতটুকু কোন রকমে কাঁটলেই ছুঁটতাম আবার সেই প্রিয় ক্যাম্পাসে। চষে বেড়াতাম ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বর।

আমাদের মাঝে জিয়া খুব ভালো গান গাইতে পারতো। ক্লাস না থাকলেই আমরা জিয়াকে গান গাওয়ার জন্য ধরতাম। জিয়া শুরু করলেই আমরাও ওর সাথে বেসুরে গলা মিলাতাম। জিয়া সোলস্ এর নাসিম আলীর একটা গান সব সময় গাইতো। আসলে গানটা জিয়া ইভাকে ক্ষ্যাপানোর জন্য গাইতো। জিয়া সব সময় দাবী করতো ইভা ক্লাস চলাকালীন সময়ে জিয়ার দিকে আড় চোখে চেয়ে থাকে, আর ইভা লজ্জায় লাল হয়ে অস্বীকার করতো। আর তখনি জিয়া গেয়ে উঠতো-"যতিন স্যারের ক্লাসে, তুমি আড় চোখে তাকিয়ে ছিলে, আমি ভেবেছিলাম, সেই তাকানোতে কিছুটা অনুরাগ কিছু ভালোবাসা ছিলো।" (গানটা অনেকদিন শোনা হয় না যতদূর মনে পড়ে কথা গুলো এরকমি ছিলো, ভুল করে থাকলে ক্ষমা প্রার্থী) আজ অনেকদিন পর গানটা মনে পড়লো, গানটা সংগ্রহে না থাকায় শোনা হলো না।

আমি গান গাইতে পারতাম না,তবু গাওয়ার চেষ্টা করতাম। আমি যখন গান গাইতাম তখন সুর তাল কোনটাই হতো না। বন্ধুরা আমার গান শোনে বলতো "দোস্ত গান গাইলি না কবিতা আবৃত্তি করলি বোঝলাম না।" আজও একা হলেই বেসুরে গান গেয়ে উঠি কিন্তু তেমন করে কেউ আর বলে না। বন্ধু তোদের খুব মিস করি। যে যেখানে আছিস ভালো থাকিস, সুখে থাকিস আর স্মৃতির দিন গুলো মনে রাখিস।

আজ খুব মনে পড়ছে বনির ভাষায় সেই সংগীত সন্ধ্যার কথা। বনি আর রীতা ছায়ানটে রবীন্দ্র সংগীত শিখতো, আমাদের অনেক অনুরোধে সেদিন ওরা দুজন মিলে অনেক গুলো রবীন্দ্র সংগীত শুনিয়েছিলো। দিনটা ছিলো ১৩ই সেপ্টেম্বর, বনির জন্মদিন। আমরা সবাই সেদিন বনির বাসায় ছিলাম। ঐদিন যতগুলো গান গেয়েছিলো তার থেকে আজ একটা গান খুব মনে পড়ছে,-"মনে রবে কিনা রবে আমারে, সে আমার মনে নাই, মনে নাই, মনে রবে কিনা রবে আমারে ------।" গানটা এমনিতেও অনেকের প্রিয়। শেষে জিয়া সবার অনুরোধে গেয়ে শোনালো কিশোর কুমারে সেই কালজয়ী গান-"আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো, আমায় পড়বে মনে কাছে দূরে যেখানেই থাকো--------।"

একবার সবাই মিলে মাইক্রোবাস ভাড়া করে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোরতে গেলাম। যাওয়ার সময় সবাই মিলে গলা ছেড়ে সারা রাস্তা গেয়ে চললাম হ্যাপী আখন্দের সেই বিখ্যাত গান -" চলো না ঘুরে আসি অজানাতে---------।" সেখানে গিয়ে আমি জিয়ার উপর রাগ করে সবাইকে রেখে পাবলিক বাসে চরে চলে এসেছিলাম। আজ সেই কথা মনে পড়লে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়। জিয়া সব সময় আমাকে আর বনিকে নিয়ে ঠাট্টা মস্করা করতো, যেটা আমার একদম ভালো লাগতো না। যেখানে সম্পর্কের বাঁধনটাই বাঁধা গেলো না সেখানে কী দুষ্টুমী সাজে? কিন্তু আজ মনে হতেই খুব খারাপ লাগে। জিয়া আমায় ক্ষমা করেদিস।

আজ খুব ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে যাবার দিনের কথা মনে পড়ছে। সবাই কি উচ্ছ্বাস নিয়ে সকাল ৮টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্ট্যাশনে হাজির হয়েছিলাম। রীমা ছাড়া সবাই গিয়েছিলাম। বগিতে আমরাই ছিলাম ১৬জন। সে কি উল্লাস, সে কি উম্মাদনা। বগিতে যে আরো যাত্রীছিলো আমরা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। জিয়ার দুষ্টুমী আর পিয়ালের ছেলে মানুষি আচরন আজো খুব মনে পড়ে। মনে পড়ে পিয়াল আর বাবুর জন্য হাফ টিকিট কেটে কী মজাটা না করেছিলাম। টিটি নিজেও বোঝে হাসতে হাসতে চলে গিয়েছিলো। মনে পড়ে জেনীর মা বলেছিলো-"সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরতে না পারলে আর কোনদিন কোথাও যেতে দেয়া হবে না ।" আমরা আন্টির কথা রাখার জন্য সে কী তাড়াহুড়ো করে ফিরেছিলাম। আমি জেনী আর জিয়া যখন জেনীদের বাসায় ঢুকি তখন মগরীবের আজান দিচ্ছিলো। আন্টি আমাদের সময়ানুবর্তিতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। শেষে আমাকে আর জিয়াকে রাতের খাবার খাইয়ে তারপর ছেড়েছিলেন। আসার সময় আন্টি বলেছিলেন-"বাবা তোমরা এরপর যেখানে যেতে চাও আমি আর বাঁধা দিবো না। তোমরা আমার কথা রেখেছো, আমি খুব খুশী হয়েছি।" আজ সেইদিন গুলো খুব মিস করি।

লেখাটা এখানেই শেষ করার পরিকল্পনা ছিলো, কিন্তু একটা কথা মনে হতেই আর লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। আমি তখন বনির কাছ থেকে ভালোবাসার সবুজ সংকেত না পেয়ে কিছুটা অগুছালো ও ছন্নছাড়া জীবন যাপন করছিলাম। মুখে বড় বড় দাড়ি রাখা শুরু করলাম। বেশভূষায় ব্যাপক পরিবর্তন এলো। রগচটা হয়ে গেলাম। বন্ধুদের সাথে কথায় কথায় রাগ করতাম, ধুমধাম মারতাম। আমার মার বেশী খেয়েছে জিয়া, রিয়াজ আর বাবু। জাকির ছিলো শান্ত আর পিয়াল আমাকে ভাইয়া ভাইয়া বলে গলা জরায় থাকতো, তাই পিয়ালকে কিছু বলতে পারতাম না। আর কাঁচকি মিঠু দূরে দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসতো। আমার এই অবস্থা বন্ধুরা বেশ উপভোগ করতো।

আমরা একদিন বিকেলে কলা ভবন থেকে হেঁটে নীলক্ষেতের দিকে যাচ্ছি। উদ্দেশ্য ছিলো নীলক্ষেতের বিখ্যাত তেহারী খাবো। আঠার টাকার তেহারী তখন ছাত্র সমাজের কাছে ব্যাপক হিট ছিলো। এখনো নীলক্ষেত গেলে সেই তেহারী মিস করি না। মহসীন হলের দক্ষিণ দিকের গেটের কাছে মেইন রাস্তায় একটা গাছ ছিলো, যার মাঝ খানটা ছিলো ফাঁকা। আমরা হেঁটে হেঁটে যখন সেই গাছটার কাছে এলাম, জাকির চুপ করে দাঁড়িয়ে গেলো। পিয়াল জাকিরের কাছে গিয়ে বললো-"কিরে গাদ্দু (জাকির কে আমরা গাদ্দু নামে ডাকতাম ), থামলি যে?" জাকির আমার দিকে একবার তাকিয়ে বললো-"দেখ গাছটা স্বাধীনের মত, দেহে প্রাণ আছে কিন্তু ভেতরটা ফাঁকা।" সবাই হাসতে হাসতে ওখানে রাস্তায় বসে পড়লো। আমিও সেদিন জাকিরের উপস্থিত বুদ্ধিতে মুগ্ধ হয়ে কিছু বলতে পারি নাই। এখনো ওখান দিয়ে গেলে সেই গাছটার কাছে এলে জাকিরের কথা খুব মনে পড়ে। জাকির তোকে খুব মিস করি।

বন্ধু পিয়াল, মিঠু, জিয়া, রিয়াজ, নেহাদ, বাবু, জাকির, বান্ধবী বনি, জেনি, রীমা, ইভা, বিপাশা, মানসী, সীমা, ডালিয়া, রীতা তোদের খুব মিস করি। মিস করি ইমতিয়াজ, হুমায়ুন, সাগর, রাসেল, ড্যানি, বাউল ও তমাল তোদের সবাইকে। যতদিন বেঁচে থাকবো তোদের কোনদিন ভুলতে পারবো বলে মনে হয় না। বন্ধু তোদের স্মৃতি নিয়ে লিখতে গিয়ে চোখ ভিজেছে অনেক বার। জানি আরো ভিজবে। যতটুকু স্মৃতি মনে আছে লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করবো, অনেক গোপন কথা চলে আসবে, বন্ধুরা ক্ষমা করেদিস। আমি ভালো লেখক নই, অনেক ভুলবাল থাকতে পারে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখিস। স্মৃতির বেদনা থেকেই এই লেখা, জানি আমার মত তোরাও স্মৃতি কাতর হয়ে যাস, তোরাও অবসরে স্মৃতি রোমন্থন করিস। আমরা একেক জন একেক দেশে একেক জায়গায় আছি, কিন্তু আমি জানি মনটা এখনো পড়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে, কলা ভবনে, আইবিএ এর ক্যান্টিনে, কমার্স ফ্যাকাল্টির বারান্দায়, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনের খোলা চত্বরে।
(চলবে)
========
========
কামরুজ্জামান স্বাধীন


মন্তব্য

শাফক্বাত এর ছবি

আমি নিজে খুব স্মৃতিকাতর, তারউপরে আমার ক্যাম্পাসের জীবনটাকে তো মারাত্মক মিস করি! নীলক্ষেতের সেই তেহারী আমরা ১৫ টাকা দিয়ে খেতাম। আমার বড় মেয়েকে নিয়ে সেদিন নীলক্ষেতে গিয়েছিলাম, খুব ইচ্ছে ছিল সেই তেহারী কিনে খাব, কিন্তু অনেক ভীড় বলে আর বাচ্চা নিয়ে সাহস করিনি।
আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকলেই মনে হতো নিজের ঘরের এলাকার মত। সারা ঢাকা শহরের কোথাও এমন অনুভূতি পেতাম না, যেটা ক্যাম্পাস এলাকায় ঢুকলেই পেতাম...অন্যরকম একটা অনুভূতি।
আপনার মত আমারো বলতে ইচ্ছে করছে অনেকের নাম ধরে, "দোস্ত তোদেরকে খুব মিস করি। মিস করি আমাদের রোকেয়া হলের সেই গানবাজনা, নাটক, দেরী করে হলে ঢুকে ম্যাডামের ঝাড়ি...।"
পুরোনো জীবনটাকে তো আর ফিরে পাওয়া যায়না, এই স্মৃতিগুলো মাঝে মাঝে জেগে থাকে বন্ধ চোখের পাতায়।
==========================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

অতিথি লেখক এর ছবি

শাফক্কাত আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে যে দিন যায় সেই দিনটাই ভালো যায়। আমি জানি আমাদের সবার মনের গহীন কোণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিন গুলোর স্মৃতি আলাদা ভাবে শোকেজের মত সাজানো আছে।

ধন্যবাদ।
=========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

নিল পিপড়া  এর ছবি

খাইসে আমারে !ভাইজান আপনের তো দেহি বিরাট মেমরি..কয়েক টেরা বাইট হার্ড ডিস্ক লাগব সব লিকলে
তয় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় না লেইখা যদি ময়মনসিংহে অবস্তিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লিখতেন তাইলে একটু ভালো লাগত আর কি
এইবার শুনেন কেন ভালো লাগত:
গত BNP সরকার এর আমলে ওসমান ফারুক নামের বেকুব শিক্ষা মন্ত্রী স্থানীয় তেনা (sorry নেতা ) দের খুশি করতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলাইয়া ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দিতে চাইছিল, সাথে সাথে পোলাপান জুতা সেন্ডেল নিয়া শুভেচ্ছা জানাইল আর লেডিস হালের আপারা জানালার ফাক দিয়া ঝাড়ু শুভেচ্ছা দিল. মন্ত্রী মহোদয় রাগে কষ্টে কি কি সব কইলো ঘন্টা খানেক পর ই পুলিশ মামারা হেগ আগের যত রাগ ছিল আমাগো ওপর সব ঝারল. কিছু বুজে ওঠার আগেই দুই পিস বাড়ি খাইয়া অবস্তা খারাপ. হের পর থিক্কা পুলিস দেকলে আমার খালি মন্দার গাছের থাইল লইয়া দৌড়াইতে মন্চায়.......
তয় ভাইজান কিন্তক রাগ কইরেন না আমার ওপর, আপনে তো আবার বিরাট রাগী মানুষ! সুভাশিস দা কি একটা কৈলু আর আপনে ওনার ওপর বিরাট রাগ!! আমি আপনার সব লেখা পরি আবার সাথে সাথে মন্তব্য গুলা ও পরি! মাজে মাজে হাসি, আইজকা আমার সাদা চামড়ার কলিগে কয় " এই ওয়েব সাইটে কি আসে যা পৈরা তুমি খালি ভেটকি মার? আমি কইলাম হেইডা তো তোমারে কোওন যাইবনা কাহা....

অতিথি লেখক এর ছবি

নিল পিপড়া ভাই পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে একটা কথা বলি আমি ভাই রাগী মানুষ না। আমি বড় কোন লেখক না যে আমার ভুল হবে না, আমি বিশ্বাস করি লেখার জন্য যত গুলো গুণ থাকা দরকার তার কোনটাই আমার নেই। বলতে পারেন তারপরও কেন লিখি? লিখি মনের আনন্দে, স্মৃতিময় দিন গুলোকে স্মরণ করার লোভে। মাঝে মাঝে সময় কাটানোর জন্য ও মনের ভাব বিনিময়ের জন্যও লিখি।

যে কোন ধরনের মন্তব্য আমি গ্রহন করি, কিন্ত কেউ যখন ব্যঙ্গ-বোদ্রুপ করে আপানর মান সম্মানে অবিরত আঘাত করবে তখন আপনি কী করবেন? যাক শুভাশীষ দা কে আমি কখনই অপছন্দ করি না, ওনার লেখা আমি সবসময়ই পড়ার চেষ্টা করি এবং পড়িও। মন্তব্যও করি, কিন্তু কোন দিন মনে কষ্ট পাওয়ার মত মন্তব্য করি নাই।

পরিশেষে বলি আমি লেখার মধ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কি বললো আর করলো তা ভেবে লিখি না, সুতরাং সেটা নিয়ে কিছু বলার নাই। এটা হয়তো আপনার একটা স্মৃতি এবং স্মৃতিকাতর হয়েই কথাটা বলেছেন। ধন্যবাদ।

=========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ধুরু আমার নামের বানানের পুরা বারোটা বাজায় দিসেন মিয়া।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভাশীষ দা আপনার নামতো আমার জানা নেই, জানিয়ে রাখলে পরবর্তীতে তেরটা বাজানোর চেষ্টা করবো। যদি আপনার নাম কোথায় ব্যবহার করলাম এবং কী ভুল করলাম তা বললে খুশী হবো এবং কৃতজ্ঞ থাকবো। আমার ধরনা আপনার নাম "যত্যিন" যেটা আমি গানে যতিন লিখেছি। গানের কথা গুলো লিখে একটা কোটেশন দিয়ে রেখেছিলাম মনে হয় আপনি খেয়াল করেন নি।

তবে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে যদি কোন ভাবে ব্যথিত বা কথার মাধ্যমে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। ধন্যবাদ।

=========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

shafi এর ছবি

আপনাকে বলেনাই পিপড়াকে বলেছেন

নাশতারান এর ছবি

চলবে?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি কি বিরক্ত?

ভাই পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া বোঝা গেলো না।

=========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

স্পর্শ এর ছবি

এইতো হচ্ছে। পড়তে গিয়ে কিছুটা একঘেয়ে লাগলো। তবে আপনার বন্ধুদের এই লেখা ভালো লাগবে। ওদের পড়তে দিয়েন। এইসব টুকিটাকি লেখা হয়ে গেলে, জীবনে কোনো না কোনো সময় ভালো লাগেই।

এবার ছোট্ট একটা খেয়াল করার বিষয়-
সবাই কানে শোনে, কিন্তু আমি কানে শুনি।
সবাই ঘোরাফেরা করে, কিন্তু আমি ঘুরতে যাই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

=========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর ...... হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার নামটা জানলে ভালো লাগতো।

=========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।