প্রেম কাহাকে বলে উহা বুঝিয়া উঠিবার পূর্বেই প্রেমে পড়িয়াছিলাম। কিন্তু কি আর কমু, এতোটাই উল্লুকী আছিলাম, বুঝবার পারি নাই, ঐটা যে আসলে প্রেমের লিস্টিতেই পড়ে। তাও কিনা আমার প্রথম প্রেম এবং প্রথম দেখাতেই প্রেম। আমার মনে যে এই অদ্ভুত প্রকৃতির প্রেম জাগ্রত হইতে পারে তা কোনদিন কল্পনাও করি নাই। তয় একখান ট্রাজেডি আছে, ইহা যে প্রেম-ভালোবাসা, আজ অব্দি তা বুঝার মত হৃদয় একটাই, দ্বিতীয় কেউ এইটারে প্রেম-ভালোবাসা বলে স্বীকৃতি দিবে কিনা সন্দেহ আছে। এমনকি, আজ-কালকার বাচ্চারা শুনলেও মনে হয় আমারে তাদের ফোকলা দাঁত দেখাই দিবে। এরা তো আবার এতোই অগ্রগামী, কেউ কেউ প্রি-স্কুলেই “আই লাভু” কইয়া ফেলে। কেন যে বিশটা বছর পরে জন্মাইলাম না। তাইলে প্রথম বই হাতে নেয়ার সময়েই প্রথম প্রেমের স্বাদটা পেয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল।
এইবার আসল কথা কই। ২০০০ সাল, জুনের দিকে স্কুল থেকে একটা প্রতিযোগিতায় পাঠাল। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ের আধ ঘন্টা আগে সদলবলে যেই কলেজে প্রতিযোগিতা সেইখানে উপস্থিত। এমনিতে মন ভালো নাই। আজকের প্রতযোগিতায় গ্যাঁড়া বাঁধাবো, আগে থেকেই টের পাচ্ছিলাম। কলেজটার গেট পেরিয়ে ভিতরে পা রাখতেই আমি পুরো চুপ। সংগীরা ভাবছিল, আজকে তো আমার এমনিই আসতে ইচ্ছা করতেছিল না, তাই হয়ত এমন চুপ মেরে আছি। কাহিনী যে অন্যকিছু হইতে পারে, সেইটা ওদের মাথায় আসে নাই। আমি, পাপড়ি আর নাহিন, সাথে আমাদের অডিটরিয়ামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অচেনা কেউ একজন। আমি যন্ত্রচালিতের মত হাঁটছি। আর মুগ্ধ চোখে এদিক সেদিক তাকাচ্ছি। ভিতরে এসে বসলাম। তাও আমার মুগ্ধতার রেশ কাটে না। উঠে গিয়ে স্বপ্নে পাওয়া মানুষের মত অডিটরিয়ামের দুইপাশের দেয়াল জুড়ে বাচ্চাদের আঁকা ছবি দেখতে লাগলাম। পুরাটাই বাচ্চাদের আঁকা। গাছ, নদী, ফুল, পাখি, ঘর... ছোট বেলায় আমি যেরকম এলোমেলো করে আঁকতাম। মাঝে মাঝে দু একটা ছবিতে বেশ মুন্সীয়ানার ছাপ। স্টেজের ব্যাক গ্রাঊন্ডে মেঘ, পাখি, নীল আকাশ, আর বড় বড় লাল হলুদ ফুল। কাগজ কেটে স্টেজের ডিজাইন করা। এতোক্ষনে পাপড়ির চোখে পড়ছে, আমি কিছুটা অস্বাভাবিক আচরন করছি। আমার চোখে মুখে এমন একটা কিছু, যা আগে কখনও সে দেখেনি। জানতে চাইল, কি হয়ছে তোমার? আমি কি বলব, বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অস্ফুটে বললাম, "আমার খুব ভালো লাগছে"!
কিছুক্ষন পর শুরু হল আনুষ্ঠানিকতা। প্রথম দিকেই আমাদের ডাক পড়ল। আমি তো খুব খুশি। তয়, মঞ্চে উঠে যে কি কইছিলাম, আমার সন্দেহ আছে। আমার কিছু মনে নাই। আমি ঠিক আমার মধ্যে ছিলাম না অথবা খুব বেশী মাত্রায় আমার মধ্যে ছিলাম। মঞ্চ থেকে নেমেই ঐ কলেজের একজনকে ডেকে বললাম, আমাকে তোমাদের কলেজ দেখাও। আবদারে এমন কিছু ছিল যে ছেলেটা হেসে ফেললো। পাপড়ি আর নাহিন গেল না আমার সাথে, ঐখানেই বসে থাকল। আমি গেলাম। আমি করিডোর দিয়ে হাটি, সিড়ি দিয়ে হাটি, আমার ভালো লাগে। ফুল দেখি, ছোট্ট সবুজ লনের ঘাস দেখি, আমার ভালো লাগে। ক্লাসরুমের ভিতরে ঢুকি, মুগ্ধ হয়ে যাই। একদম ছোটদের ক্লাসে ঢুকে তো মনে হচ্ছিল, ইস আমি যদি এইখানে বসে ক্লাস করতে পারতাম! ছোট ছোট গোল টেবিল, তার চারপাশে তিন করে ছোট চেয়ার। ক্লাসের ছাদ থেকে ঝলমলে তারা ঝুলছে। দেয়ালে ভারি বাহারি তাক আর তাতে কত্তো খেলনা! এমন যদি হয় আমার ক্লাসরুম, তাহলে তো আমি স্কুলে আসার জন্যই বায়না ধরব আম্মুর কাছে!
বায়না কিন্তু আসলেই ধরেছিলাম! সেদিন ফিরে এসে আম্মুকে বললাম, আম্মু আমি ঐ কলেজে পড়ব। পড়বই পড়ব। আম্মু আমাকে শান্ত করে বলছিলেন, আচ্ছা ঠিক আছে, পড়বা, আগে তো এস. এস. সি. দাও। আমি ওইখানেই পড়েছি পরে। প্রথম টার্মে তো ক্লাসের পড়া কিছুই শুনতাম না, ক্লাসের বাইরের সাজানো গোলাপ সারির দিকে চেয়ে থাকতাম। কত বৈচিত্র ওগুলোর রঙ্গে। দেখতাম মাঠটায় এসে বসছে খুদে খুদে পাখিরা... একটা, দুইটা, আরো কয়েক জোড়া, না আর গুনতে পারছি না। চেয়ে থাকতাম দোতলার বারান্দার দিকে, তার উপরে ছাদের অর্ধবৃত্তকার নকশার দিকে। আর মজার ব্যাপার হল, আমার পাশে যে মেয়েটা বসত, সে অধিকাংশ সময় কলেজের ক্লাসে বসে বসে কলেজের বিভিন্ন অংশের স্কেচ করত। মেয়ে বলে লজ্জা পাইতাম, কখন ছেলেদের বাথরুমটা কেমন দেখতে যায়নি। কিন্তু ঐটা যে ছেলেদের কাছে একটা আকর্ষনীয় জায়গা ছিল তাতে কোন সন্দেহ নাই। কি যে ছিল ঐখানে ওরাই জানে! মাঝে মাঝেই ক্লাসের মাঝে ওরা চার পাঁচ জন বলে উঠত, স্যার, বাথরুমে যাবো। যখন ফিরত, অদের খুব ফুরফুরে লাগত! কেউ পানি দিয়ে মাথা চুপচুপে করে ফিরে আসছে, কেউবা সুন্দর করে চুল আঁচড়াইছে। সবচেয়ে মজার জিনিস হল, বিরক্তিকর ক্লাসের মধ্যে ক্ষণিকের জন্য হলেও ওদের মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যেতো।
আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল লাইব্রেরী। আর তার চেয়েও বেশী প্রিয় ছিল লাইব্রেরীর আড়াই তলা। ঐখানে বসে লাইব্রেরী নিচের অংশ দেখতে দারুন মজা লাগতো। ঐ লাইব্রেরী দেখেই মনে খায়েশ জাগছে, আমার একটা ঐ রকম লাইব্রেরী থাকতে হবে। অবশ্য আমার লাইব্রেরী স্বপ্নের মধ্যে আসলেই রোমান্টিকতা ঢুকে গেছে এখন, কি মিষ্টি স্বপ্ন! পড়ায় মগ্ন আমি, সে এসে হঠাৎ করে আমার পায়ে পায়েল পরিয়ে দিল। হাতের বই সরিয়ে রেখে টেনে নিয়ে গেলো একটু ফাঁকা জায়গায়। আমাকে হাত ধরে নাচাচ্ছে সে! আমি নাচছি, ট্যাঙ্গো! বইয়ের তাকের ফাঁক দিয়ে আসা আলো নাচছে! নাচছে বাতাস! হায় হায়, এদিক ওদিক পা ফেলতে গেলে তো কাঁটা কলা গাছের মত পড়েই যাবো, যদি সে ধরে না ফেলে আমায়!
আমিতো খুবই বোকা টাইপের মেয়ে ছিলাম, এক বান্ধবীর বোনের হানিমুনের প্রসংগ থেকে আরো কয়েক জনকে জিজ্ঞেস করা হইছিল, কে কই হানিমুন করতে চাই। আমি ঝট করে কইয়া দিছিলাম, “আমি এই কলেজের মাঠে হানিমুন করব”। খিক খিক করে সবাই কি হাসিটাই না হাসছিল। আর কইছিল, “হ, তুই কলেজের মাঠে হানিমুন করিস, আমরা আসমুনে তোদের হানিমুন দেখতে”!
এই হল আমার প্রথম প্রেম, এস ও এস হারম্যাব মেইনার কলেজ! প্রেম এখনও সেই রকমই আছে, মনের মধ্যে জ়োয়ারের জলের মত উথাল পাথাল করে আঁছড়ে পড়ে। খুব ইচ্ছা করে আজন্ম পলেস্তারা বিহীন লাল ইটগুলোতে বার বার হাত বুলিয়ে আসি। ইচ্ছা করে, চার হাত পা মেলে দিয়ে সবুজ মাঠটাই শুয়ে আকাশ দেখি! ইচ্ছা করে, সকাল বেলায় সদ্য ফোঁটা গোলাপের গায়ের শিশিরটুকু একটু ছুঁয়ে যাই।
[নীরবতা নামটাতে আমাকে ঠিক মানায় না। আমার পছন্দ নীল রোদ্দুর। আসল কাহিনী হল, নীল রোদ্দুর নামে ২০০৮ এ একবার নিবন্ধন করেছিলাম। খুব একটা লেখা হয়নি তখন। এতোদিন পর লিখতে এসে ভাবলাম, আবার বুঝি নিবন্ধন করতে হবে। সচলায়তন সম্পর্কে জ্ঞানগম্যি কম ছিল কিনা। এখন থেকে সব লেখা নীল রোদ্দুর নামেই লিখব।]
-নীল রোদ্দুর
February 11, 2010.
মন্তব্য
লেখার শুরুতেই মোটামুটি সিওর ছিলাম এটা এস ও এস হারম্যান মেইনার কলেজই হবে...লেখার শেষে এসে নিশ্চিত হলাম। আমার ভার্সিটির প্রিয় বন্ধুটিও একই কারণে এই কলেজে ভর্তি হয়েছিল, যদিও সে ভর্তি হওয়ার পর আর সেই পছন্দটুকু বজায় রাখতে পারে নি। কারণ- অকারণে অজস্র নিয়ম মেনে চলা!ভ্রু প্লাক কেন করসে এইটার জন্য ওর মা কে ডেকে মিটিং করানো হইসিলো। কি ভয়ংকর! হেহেহে...
লেখা সুন্দর হয়েছে। আরো লিখুন!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আহ, কলেজলাইফের স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন! আর হালকা মনে পড়ছে সেসময় হারম্যান মেইনারের মেয়েদের প্রতি আমার একটু বিশেষ 'ইয়ে' ছিল!
যাই হোক, একটা প্রশ্ন না করে মনে শান্তি পাচ্ছি না, আপনি কি হানিমুনটা করে ফেলেছেন??
কাকুল কায়েশ
ই
আমার কলেজের ক্যাম্পাসে বাঁদরামি ছাড়া তেমন স্মৃতি নেই। তবে আপনার মত আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি যখন আমি আমার স্কুলের কথা মনে করি। আপনি তো তা-ও লিখতে পেরেছেন, আমি তো লিখে-লিখেও শেষ করতে পারবোনা। লিখে সেই অনুভুতি বোঝানোও যাবেনা।
অনেক সুন্দর লেখা আপনার!!
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
- আমি 'ট্যাঙ্গো' পারি
বেশ জমিয়ে লিখলেন তো স্মৃতিকথন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সুন্দর হয়েছে। নীল রোদ ছড়িয়ে লিখতে থাকুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভাল লাগল লেখা ।
অনেক চাপ ছিল , খুব তাড়া হুড়ো ছিল , তবুও মনে পড়ে , কলেজের দিন গুলি।
বোহেমিয়ান
চমৎকার লিখেছেন। কলেজের স্মৃতি নিয়ে সম্ভবত সবারই একটা কোমল অনুভূতি থাকে। এতটাই কোমল যে সেটা নিয়ে কিছু লেখাটা বেশ কঠিন। আপনি দেখিয়ে দিলেন
আমি মানুষটা খাদক প্রকৃতির। তাই আমার কলেজজীবনের সুখস্মৃতিগুলোও খাদ্য-সম্পর্কিত। আহাহা কোথায় গেলে ফিরে পাবো নত্রদামের সেই ডিম প্যাটিস...
ডিম প্যাটিস না খাসি প্যাটিস?
খাসি-ই হইবো। ডিমচপ ছিলো, প্যাটিস না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কসম খোদার ডিম প্যাটিস ছিল একটা! তিরিভুজ আকৃতির...ডিম চপ ভাল পাইনা, পেটে ট্রাবল দেয়
হুমম্। ডিম প্যাটিস ছিল; ওমরের সাথে একমত। শুধু ত্রিভুজ না; সমকোণী ত্রিভুজ আকৃতির!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ভাইডি, ডিম প্যাটিস বিতর্ক্ তে তো ধরা খায়া গেলাম দেখি....
তবে ওই প্যাটিস জিনিস ছিলো বটে একটা....পুরা সৈরাম....
আপনার লেখা ভালো লাগলো। আরো লিখুন।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
অনে---ক সুন্দর হয়েছে!
আমি বুঝি না মানুষ যে কেমনে অত মানুষ থুইয়া ইটকাঠসিমেন্টবালিপাথরঘাসমাটিতক্তার প্রেমে পড়ে
আমরা অভাগারা সময়ের অভাবে মানুষের প্রেমে পড়ারই সময় পাই না
০২
লেখাটা ভালো
যদিও একটা ভালো প্রেম কাহিনী পড়ার আশায় ঢুকে কাঠের বেঞ্চি আর মাটির মাঠের প্রেম দেখে একটু হতাশ
@তারানা_শব্দঃ আমি সবকিছু জেনেই ভর্তি হইছিলাম, ভালোলাগা বলে কথা
@কাকুল কায়েশঃ আপনার প্রশ্ন দেখে হাসলাম...
না, হানিমুনটা করিনি এখনও... মনের মধ্যে কলেজের মাঠের চেয়ে বড় একটা জায়গা আছে, ঐখানকার জন্য রেখে দিয়েছি।
@শাফক্বাত আপুঃ আপনিও লিখে ফেলেন... একটু পড়ি।
@ধুসর গোধূলিঃ
@বুনোহাঁসঃ ধন্যবাদ...
@বোহেমিয়ানঃ আপনি কি হারম্যানিয়ান?
@অভিষেকঃ
@সাবিহ ওমর, সাফি, শাহেনশাহ সিমনঃ খালি খালি লোভ দেখাইলেন...
@অনার্য সংগীতঃ ধন্যবাদ...
@মিঠু ভাইঃ আপনারে কিছু কইলাম না...
@মাহবুব লীলেনঃ
আমার পোড়া কপাল। প্রেমে পড়ার মত Tall, Dark, handsome সামনে এসে দাড়াইলে কি আর এইরকম প্রেম হয়ত...
মনুষ্য প্রেমের জায়গা আছে তো... ঐ যে লাইব্রেরী! হোক স্বপ্ন, তবু তো অনুভূতি...
-নীল রোদ্দুর
@মিঠুঃ কিছু কইলাম না...
@অনার্য সঙ্গীতঃ ... ধন্যবাদ
@সাবিহ ওমর, শাহেনশাহ সিমন, সাফিঃ লোভ দেখাইলেন?
@অভিষেকঃ
@বোহেমিয়ানঃ আপনি কি হারম্যানিয়ান?
@বুনোহাঁসঃ ধন্যবাদ...
@ধুসর গোধূলিঃ
@শাফক্বাতঃ আপু, আপনিও লিখে ফেলেন। আমরা একটু পড়ি...
@কাকুল কায়েশঃ আপনার প্রশ্ন দেখে একটু হাসলাম...
নাহ, এখনো হানিমুনটা করা হয়নি, মনের মধ্যে আরো বিশাল কোন জায়গা আছে, সেজন্য জমিয়ে রাখছি...
@তারানা_শব্দঃ আমি সব জেনেই ভর্তি হইছিলাম। ভালো লাগা বলে কথা...
ভালোবাসলে পুরোটাই বাসা ভালো... তবে, এটা ঠিক, কলেজ ছাড়ার পর আমরা বন্ধুরা বাঁদরামী বেশী করছি... যেন হারিয়ে যাওয়া ডানা ফিরে পাইছিলাম...
-নীল রোদ্দুর
নিকটা ভাল্লাগলো!
অমলকান্তির মতো আমিও কেবল রোদ্দুর হতে চাই যে...
লেখায়
বড্ড নস্টালজিক করে দিলেন, আমার সেইই ঘন সবুজ পাহাড়ছোঁয়া কলেজ ক্যাম্পাস.. আহ্!!
লিখুন অনেক, ইচ্ছেমতন..
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
T_ D_ H সংক্রান্ত ব্যাপারে শুভকামনা!
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নীল রোদ্দুর, ভালো লেগেছে আপনার লেখা...ইংরেজীতে যাকে বলে "সুইট" সেরকম।
নীরবতার চেয়ে নীল রোদ্দুরই ভালো...একটা আভা আছে
ভালো থাকুন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নীল রোদ্দুর, সাবলীল লেগেছে আপনার লেখা ।লাইব্রেরীর মনুষ্য প্রেমের ব্যাপারটি না থাকলে কমপ্লিট নদু বনে যেতে হতো।
@ সাবিহ ওমর, ডিম প্যাটিস বলে তো আপনার ভোজনরসিকতা প্রশ্নবিদ্ধ করে বসলেন।যাই হোক আম্মো প্যাটিস ভালা ফাইতাম ।খুবই মিস করি।দেশে থাকলে রোববারেই যান-ভাইরে ভালোলাগার জিনিস বড়ই দিলচোস্ত হয়।অবশ্য বৈদেশে থাকলে প্যাটিস ভাবিয়া আঙ্গুল চাটিয়া দেখিতে পারেন।
খালি প্যাটিস নাতোরে ভাই, সাথে গোলাপি রঙ আল্ট্রা-লিকুইড মিষ্টি কুমড়ার সস...মমমমম
গোলাপি রঙ আল্ট্রা-লিকুইড মিষ্টি কুমড়ার সস[i]
গোলাপি রঙ?আল্ট্রা-লিকুইড?খালি মিষ্টি কুমড়ার? ভাইডি, আপনি তো দেখি খাওয়ার সময়ও সাহিত্য করেন....
সসের কথায় চক্ষে লুল আয়া পড়লো রে....
আপনিই কি জলফড়িং এর ছুটাছুটি নামে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; লেখাটা অনেকদিন মনে ছিল।
লেখা দারুণ। হারম্যান মেইনার এর নাম শুনলে হাসি লাগত আমার; আসিফ নামে ভার্সিটিতে আমার এক বন্ধু আছে, ওরে এস ও এস নাম নিয়া অনেক ক্ষেপাইতাম।
লেখা ভাল্লাগছে। নিয়মিত লিখুন।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
হাহা আমরা বলতাম হরমোন মেইনার (লোল)
@ তিথীডোরঃ থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু...
আমার তো মাঝে মাঝে নিজেকে অমলকান্তিই মনে হয়...
@তাসনীমঃ ধন্যবাদ...
@নিবিড় রাজীবঃ মনুষ্য প্রেম অংশটুকু একটা মিষ্টি স্বপ্ন...
যা এখনও ঘটেনি, তা নদু না হওয়া থেকে ছুট্টি দিল কেমনে?
এইজন্যই তো কই, আমার প্রথম প্রেম বোঝার মত হৃদয় এই একটাই...
@রাফিঃ আপনার তো দেখি জটিল স্মৃতি! জলফড়িং এর ছোটাছুটি এর কথা এতদিন পরেও কারো মনে থাকবে, আশা করিনি...
আপনি কি বুয়েট, ০৩? আসিফ আমার কলেজ বন্ধুর নাম। কলেজে আমাদের খুব জটিল একটা দল ছিল... বুয়েটেও ফার্ষ্ট ইয়ার আমরা সুযোগ পাইলেই আড্ডা বাজি করতাম... প্রায় পুরা ঝাঁকটাই বুয়েটে, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে ছিলাম।
@সাবিহ ওমরঃ আমাদেরও কিন্তু নটরডেম নিয়ে কিছু রসাত্মক অভিজ্ঞতা ছিল...
-নীল রোদ্দুর
নীল রোদ্দুর, জানিতে আজ্ঞা হউক যে মনুষ্য প্রেম অংশটুকু একটা মিষ্টি স্বপ্ন - তা এই নাদান বুঝিতে পেরেছিলো ।একটা সৈরাম প্রেম কাহিনী পড়ার আশায় ঢুকে নদু বনে গেছিলাম।লাইব্রেরীর মনুষ্য প্রেমের স্বপ্নের ব্যাপারটি থাকায় সৈরাম প্রেমের খুশবাই একটু হলেও ছিলো, না থাকলে নিজেকে এতিম মনে হতো।বড়ই বিচিত্র হলেও সত্য যে কোনো ব্যাপারে কমপ্লিট নদু বনে গেলে আমার নিজেকে এতিম মনে হয়.....
যাক, মিষ্টি স্বপ্ন, তোমাকে ধন্যবাদ... নিবিড় রাজীবকে এতিম এতিম লাগা থেকে মুক্তি দিয়েছ বলে...
-নীল রোদ্দুর
ওহ্!!! ঠিকই আছে; বুয়েট'০৩; সিভিলের আসিফ।
বাহ্ সচলে আমার ব্যাচের আরেকজন পাওয়া গেল তাইলে।।
নতুন করে আবার স্বাগতম...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
নীল রোদ্দূর,
সবার মন্তব্যের জবাব একত্রে না দিয়ে যার যারটা তাঁকে দিলে ভালো হয়। প্রতিটি মন্তব্য বাক্সের নিচে উদ্ধৃতি | জবাব আছে, দেখুন। "জবাব" এ ক্লিক করে মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানান।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সে কী? আপনি তো দেখি একজন আস্ত সচল !!
অতিথি হিসেবে লিখছেন কোন দুঃখে?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ব্যাপারটা এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। নীল রোদ্দুর এ ঢুকতে গেলে দেখায়, user name নীল রোদ্দুর is blocked or not activated.
আমার পাসওয়ার্ডটাও মনে নেই...
কি করতে হবে জানিনা... একটু লজ্জাও লাগছে জানিনা দেখে... বলে দিলে ভাল হয়।
-নীল রোদ্দুর
আমি আপনার ব্লগ দেখতে পাচ্ছিনা। বলা হচ্ছে "সংরক্ষিত এলাকা"।
কোন মডু সাহায্য করলে ভালো হয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অবশেষে... ফিরলাম...
---------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
নতুন মন্তব্য করুন