অ বর্ণের অর্থ হল--অস্তিত্বের আধার মাত্র। যে অস্তিত্বকে ধরে রাখে বা বহন করে।
'ক' মানে 'করণ', কিন্তু 'করণ'কে দেখা যায় না, যদি তার আধার না থাকে। তাই 'ক্'+অ='ক'। এই 'ক' মানে 'করে যে' বা 'কারী'। এইভাবে (গ্+অ) 'গ' মানে 'যায় যে'; (প্+অ) 'প' মানে 'পালন বা পান করে যে; (ব্+অ) 'ব' মানে 'বহন করে যে'। অতএব 'অ'-এর মানে হল--'অস্তিত্বকে অবয়ব দেয় যে'। এ হল শুধুমাত্র ধরে রাখা। কিন্তু যাকে ধারণ করা হয়, তাকে লালন -পালন ও তার বিকাশসাধন করলে সে আধারের রূপ বদলে হয়ে যায় 'আ' (ক্<ক<কি)। আর, তার অত্যন্ত বিকাশসাধন করে তাকে পরবর্তী নবরূপে উত্তীর্ণ করে দেয় যে, সে হল 'উ' (ক্<কি<কু)। বলে রাখা যাক, আদিম মানুষ (অ) ধ্বনি পেরিয়ে যখন কেবলমাত্র অ-ই-উ উচ্চারণের যোগ্যতা অর্জন করেছিল এবং সুরে ডুবিয়ে এই তিনটি স্বরের সাহায্যেই তার সমস্ত বক্তব্য প্রকাশের কাজ চালাত, তখন একটি অ-বর্ণই তার বক্তব্যের এক-তৃতীয়াংশকে ধারণ করত।
অতএব, সংক্ষেপে 'অ'=আছে যে; অস্বিত্ববান যে (which exits)।
'অ'-র সাহায্যে অনেক সময় সমগ্র অস্তিত্বকে না বুঝিয়ে অস্তিত্বের কাঠামোকে বোঝানো হয়। অস্তিত্বের যে দুটি ভাগ করা হয়--আধার (form) ও আধেয় (content), তার মধ্যে 'অ' প্রধারণত আধেয়কে বোঝায় এবং 'আ' প্রধানত আধারকেই বোঝায়।
.......................................................................................................
বিস্তারিত পড়ার জন্য কলিম খান ও রবি চক্রবর্তী প্রণীত 'বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ' সংগ্রহ করুন।
প্রকাশক : ভাষাবিন্যাস। আশীর্বাদ এ্যাপার্টমেন্ট, ৪১৬ বি, পর্ণশ্রী পল্লী, কলকাতা ৭০০০০৯।
অনলাইনে পরিবেশক -http://www.bengalibooksonline.com
.........................................................................................................
-কুলদা রায়
মন্তব্য
পুরাই বিজ্ঞাপন, কারণ শেষের প্যারাটা বাদ দিলে লেখাটা অসম্পূর্ণ। আর সম্পূর্ণ পড়ার/জানার জন্য তো লিংকে বইটা আছেই।
কলিম খান ও রবি চক্রবর্তীর 'বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ' একটি অসাধারন কাজ। ক্রিয়াভিত্তিক শব্দার্থবিধি অনুসারে এই দুজন কোষটি প্রণয়ন করেছেন। বাংলা শব্দের সামর্থ্যকে নতুন করে চেনার জন্য এই বইটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বইটি আলোচনায় নেই। জিজ্ঞাসু পাঠকের জন্য বইটির ধরন এবং প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে ধারণা না দিলে এই গ্রন্থালোচনার মানে নেই।
এটি কোনো অর্থেই বিজ্ঞাপন নয়।
আপনি যদি কুলদা রায় হন তাহলে স্বাগতম জানাই।
যেমনটা বলেছেন বইটি ভালো একটা কাজের ফসল; আমিও তাই মনে করি। তবে বইটির একটা ভালো আলোচনা আপনিই শুরু করতে পারেন। পোস্টের মূল ভাবটি অল্প কিছু উদাহরণের মধ্যে উঠে আসেনি বলেই মনে হচ্ছে। আর সেকারণে বিজ্ঞাপন-বিজ্ঞাপন মনে হচ্ছে।
বইটা সম্পর্কে সার্বিক একটা ধারণা দিয়ে লিখলে ভুলবোঝাবুঝির অবকাশ কমে যায়।
কুলদা রায়,
সচলায়তনে স্বাগতম ।
প্রকৃতিপ্রেমিক, রাগিবের মতো আমারও এ পোস্টটিকে বিজ্ঞাপন মনে হচ্ছে । আপনার মৌলিক লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কুলদা রায়ের লেখা আমার ভালো লাগে। অন্যত্র পড়েছি। কিন্তু এই জিনিসটা দেখতেই বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন লাগল
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নতুন মন্তব্য করুন