২১শে ফেব্রুয়ারি উৎসবের মা ভৈ, মা ভৈ, মা ভৈ আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অন্তরায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২২/০২/২০১০ - ১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

#১. গতকাল সারাদিন যাব না, যাব না করেও হঠাৎ দুপুর ২টার দিকে সিদ্ধান্ত এবার ছাত্রাবস্থায় শেষবারের মত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর যে লোকদেখানো ব্যাপারটা সেটা সেরে আসি। ছেলেপিলেদের সাথে আগেই যোগাযোগ করা ছিল, তারা রওয়ানা দিল, আমিই বরং সবার শেষে তাদের সাথে যুক্ত হলাম। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিযে আসলাম। কিছুক্ষণ ছবি তুলে যার যার মত, হলে ফিরে আসা। কিছু সময় পর আরেক বন্ধুর সাথে কর্পোরেট প্রচারণায় ঋদ্ধ দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিট জ্বরে আক্রান্ত আমি আবারও সেই শহীদ মিনারে। বন্ধু ছবি তুলবে, তাই লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে উপরে উঠে যায়, আমি মূল বেদীতে না উঠে নিচে দাঁড়িয়ে থাকি। কিছুক্ষণ পর বন্ধু হঠাৎ দৌড়ে এসে বলে “সেলিব্রেটি” আসছে, দেখছিস? আমি আগেই দেখেছি। আমার অসম্ভব প্রিয় এখনকার সময়ের মডেল থেকে সদ্য টিভি নাটকের অভিনেত্রীতে পরিণত হওয়া এক তরুণী। ছবি তোলার আগ্রহ দু’জনেরই। তার সাথে কথা বলি।
- আপু, একটা ছবি তুলি?
:: আমার অসম্ভব মন খারাপ। আমি ফুল দিতে এসছি, আমাকে ফুল দিতে দেওয়া হচ্ছে না।
- আপু, এখানেই তো সবাইকে ফুল দিতে হয়, মূল বেদীতে তো আপনাকে উঠতে দেওয়া হবে না, ওটা তো কেবল ভিভিআইপি’দের জন্য। আমরা এখানেই ফুল দেব, স্বেচ্ছাসেবকরা সেগুলো গুছিয়ে মূল বেদীতে সাজিয়ে রাখবে।
:: তাই নাকি, কেন?
- এটাই তো সবসময় হয়ে আসছে, আপু।
:: আমি actually জানতাম না।
এবার আমার অবাক হবার পালা।
- কেন? আপনি এর আগে কখনো আসেননি?
:: না। এবারই আমার প্রথম এখানে আসা।

আমি হা হয়ে যাই। যে মানুষটা মোটামুটি ১৭/১৮ বছর ধরে ঢাকায় আছে, সে কখনো শহীদ মিনার আসে নি, এটা মানতে আমার খুব কষ্ট হয়। আর কথা বাড়াই না, উদাস মুখ করে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পরি।

#২. সময়কাল ৪.১৬।
দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিট শেষ হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। ডিজুস প্রজন্ম আজ পাঞ্জাবি, শাড়ি, স্যান্ডেলে সেজে-গুঁজে এসেছে। দেখতে ভালই লাগছে। আনিসুল হকের উৎসাহী শ্লোগানে সবাই শহীদ মিনার অভিমুখী মিছিল শুরু করে। আমরা ভীড় এড়িয়ে ফুটপাথে জায়গা খুঁজি।
কিছু সময় এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করে ছবি তুলে হলের ফিরতি পথ ধরি। শহীদ মিনারের সামনে এসে থমকে দাঁড়াই। চমৎকার দৃশ্য! মজমা বসেছে! বিয়ের আসরে বৌ-জামাইকে ঘিরে পুষ্পবৃষ্টি!! সবাই মূল বেদীতে জুতা পায়ে উঠে সেখানে শহীদ মিনারকে লক্ষ্য করে ফুল ছুড়ছে। আহা কি দৃশ্য! দুনিয়া কাঁপানো মন্ত্রের উদ্ভাবকরা তখন সোৎসাহে বলছেন, "আরো হবে, আরো হবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ এক দিক-নির্দেশনা; কি করে শহীদ দিবস পালন করতে হয়।"
আর, অতিউৎসাহীরা? তাদের কয়েকজন শহীদ মিনারে চড়ে বসেছেন। দুয়েকজন ফটোসাংবাদিকও মনে হয় উপর থেকে ঝুলছেন। আহা আহা! কি সুন্দর! শহীদ মিনারের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার আবেগ যেন বেয়ে বেয়ে পরে! কি আনন্দ ঘরে ঘরে! এই না হলে একটা বিশেষ দিন? বিশেষ দিন গুলো হতে হবে উৎসবমুখর।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখে আর থাকা সম্ভব হল না। গা জ্বলতে লাগল। ফিরতি পথ ধরলাম। এক ডিজুস ছেলে আরেক ডিজুসকে বলছে,
- দেখছিস, এইবারের ২১শে ফেব্রুয়ারি কি জোশিলা হইছে? Regular basis-এ এই অনুষ্ঠান করা উচিত।
:: সবচাইতে rocking ছিল ৩০ মিনিটের পর মিছিল, আর ফুল উৎসবটা তো awesome.
- হ, ঠিক কইছোস্। গ্রামীণ rocks!!
আমি আবারো লজ্জা পাই। মাথা হেঁট হয়ে যায়। মনে মনে বলি, “শহীদেরা, তোমাদের অবদান আজ ঐ গুলি খাওয়া পর্যন্তই। এর আগে পরে কোন ইতিহাস নেই। তোমরা আজ ধূলি-জীর্ণ ইতিহাসের পাতায়।”

#৩. সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা হাতে নিলাম। প্রথম পাতায় একটা সংবাদ দেখে চোখ আটকে গেল। বাংলাদেশ-পাকিস্তান শীতল সম্পর্ক। আগ্রহী হয়ে পড়া শুরু করলাম। একটু পরেই মেজাজ পুরা খারাপ হয়ে গেল। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, তাদের দৌড় ঐ মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত বইগুলো, চলচ্চিত্রগুলো, পত্রিকা/ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধার আত্মকাহিনীগুলো। তাই দেখে, পড়ে আমাদের পাকিস্তান ঘৃণা, যারা আরেকটু উদার, বর্তমান পাকিস্তানকে তৎকালীন পাকিস্তানের কৃতকর্মের জন্য দোষারোপ করতে রাজি না, তাদের সাথে ঝগড়া।
আমরাও একটা সময় মেনে নেই, হ্যাঁ, কেন অতীত কাজের জন্য এখন একজনকে দোষারোপ করবো, সে তো তখন দায়িত্বে ছিল না, সে নিশ্চয়ই এ কাজে সমর্থন করতো না। কিছুটা সহানুভূতিশীল হতে চাই। কিন্তু, আজ পত্রিকায় খবর এসেছে,

পাকিস্তান বিভিন্ন দেশে অবস্থিত তার মিশনগুলোকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে উদ্যোগ নিতে কাজে লাগাচ্ছে।

ঢাকা ও ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, সাম্প্রতিক কালে চিঠিপত্র চালাচালিসহ যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পাকিস্তান অনীহা প্রকাশ করছে। নিয়মিতভাবে খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যায় এমন বিষয়ে দীর্ঘসূত্রতা শুরু হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে তাদের এত অনীহা কেন? তারা যদি তাদের পূর্বপুরুষদের কাপুরুষোচিত কৃতকর্মের জন্য দু:খিত হয়ে থাকে, তাদের জন্য আমাদের ক্ষমা চিরকাল থাকবে। কিন্তু, এই যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি তাদের প্রীতি কেন? কেন তারা এই বিচারে অন্তরায় সৃষ্টি করতে চায়?
আজ থেকে আমি আবারো যারা বর্তমান পাকিস্তানকে ’৭১ এর পাকিস্তানের সাথে মিশিয়ে ফেলতে চায় না, তাদের দিকে করুণার চোখে তাকাবো, আর ঈশ্বরের কাছে তাদের সুমতি দেবার জন্য প্রার্থনা করবো। কিন্তু, পাকিস্তানের প্রতি যে ঘৃণা চাপা ছিল, তা আজ মুখ দিয়ে থুথু হয়ে বেরিয়ে আসা শুরু করল।

[ছবিগুলো ভ্রমণকারী টিংকু চৌধুরীর তোলা।
ছবিগুলোর ফেসবুক লিংক: http://www.facebook.com/tinkutraveler#!/album.php?aid=15618&id=100000031532137

- মুক্ত বয়ান


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ডিজ্যুস জেনারেশনের কথাবার্তা বড়ই ভালু পাইলাম। কাছে থাকলে আদর করে গলায় বিছুটিপাতার মালা পরায়ে দিতাম নে।

কৌস্তুভ

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা!!

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিগুলা আসলো না ক্যান?? অ্যাঁ

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

auto

auto

auto

- মুক্ত বয়ান

ভ্রম এর ছবি

দুনিয়ার অসভ্য...বেহায়া।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু করার নাই। ইনারা্ই আগামী ইতিহাসের রচয়িতা হইয়া যাবে, দেখবেন।

- মুক্ত বয়ান

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

লজ্জা !
_____________________________________________________
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ

- মুক্ত বয়ান

আলমগীর এর ছবি

লেখাটা পড়ে ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। তিনটা পয়েন্টে পাঁচটা অনুচ্ছেদ, ট্যাগ দিলেন পনেরটা!

শেষবারের মত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর যে লোকদেখানো ব্যাপারটা সেটা সেরে আসি।

আপনি বলছেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর যে রীতি সেটা কেবল লোকদেখানো এবং সেটা করতে আপনি অনিচ্ছুক ছিলেন?

কিছু সময় পর আরেক বন্ধুর সাথে কর্পোরেট প্রচারণায় ঋদ্ধ দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিট জ্বরে আক্রান্ত আমি আবারও সেই শহীদ মিনারে।

এটা কোনদিকে গেলো? আত্মসমালোচনা করলেন নাকি কর্পোরেটকে মাথায় নিলেন?

আমি আবারো লজ্জা পাই। মাথা হেঁট হয়ে যায়। মনে মনে বলি, “শহীদেরা, তোমাদের অবদান আজ ঐ গুলি খাওয়া পর্যন্তই। এর আগে পরে কোন ইতিহাস নেই। তোমরা আজ ধূলি-জীর্ণ ইতিহাসের পাতায়।”

এবার বোঝা গেল আপনি এসব হাদুম-পাদুম আয়োজনে বিরক্ত। কী করলে শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা যেত তার কিছু ধারণা দেয়া যাবে? সমসাময়িক চিন্তাভাবনা একটু বিস্তারিত লিখলে বোঝার সুবিধা হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ে ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। তিনটা পয়েন্টে পাঁচটা অনুচ্ছেদ, ট্যাগ দিলেন পনেরটা!

আপনার প্রশ্নটা আমিও ঠিক বুঝতে পারলাম না। যে ট্যাগগুলো দিয়েছি, লেখাটা কি তার কোনটার বাইরে পরে? কোন ট্যাগ যদি ভুল করে দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে দু:খিত।

আপনি বলছেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর যে রীতি সেটা কেবল লোকদেখানো এবং সেটা করতে আপনি অনিচ্ছুক ছিলেন?

জ্বি ভাইয়া।

"কিছু সময় পর আরেক বন্ধুর সাথে কর্পোরেট প্রচারণায় ঋদ্ধ দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিট জ্বরে আক্রান্ত আমি আবারও সেই শহীদ মিনারে।"

এটা কোনদিকে গেলো? আত্মসমালোচনা করলেন নাকি কর্পোরেটকে মাথায় নিলেন?


কর্পোরেটকে খোঁচাখুঁচির একটা ইচ্ছা ছিল, কিন্তু পরিস্কার করতে না পারার ব্যর্থতা আমার। মন খারাপ

কী করলে শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা যেত তার কিছু ধারণা দেয়া যাবে?

কি করলে শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শিত হবে, সেটা আমরা-আপনারা সবাই জানি। কেবল একটা বিশেষ দিনে এসে ঐ জায়গাগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে, শহীদদের আত্মীয়-স্বজনকে ডেকে এনে বড়-বড় কথা বললেই শ্রদ্ধা জানানো হয় না।
সারাবছরজুড়েই তাদের খোঁজ-খবর রাখতে হয়। সচলেই অনেক আগে একটা পোস্ট পড়েছিলাম একজন বীরশ্রেষ্ঠের মায়ের পায়ে ছেঁড়া সেন্ডেল নিয়ে। যদি আমরা আসলেই শ্রদ্ধাশীল হতাম, তাহলে ঐ শহীদ জননীকে এই দুর্দশার মধ্য দিতে যেতে হত না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

- মুক্ত বয়ান

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

এই কর্পোরেট উদ্যোগের প্রতি আমার ভালো না লাগা জানিয়ে বলতে চাই, ছবিগুলো সুস্পষ্ট ও সিদ্ধান্তমূলক লাগছে না। গতবছরের ভিডিও দেখুন

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে বলে শুনেছি।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

হতে পারে উদ্দেশ্যমূলক, হতে পারে টোকাইদের কাজ। অনুভূতিগুলোর অর্থ তো সব শ্রেণীর কাছে সমান না। আমরা আমাদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি নিয়ে যে অনুভূতিগুলোর চর্চা করি, ওদের কাছে সেগুলো হয়ত সেরকম মূল্যবান না। তাদের সংখ্যাই বাংলাদেশে বেশি। আমরা হচ্ছি বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র-অংশের প্রতিনিধি। বাংলাদেশে শ্রেণী-বিভাজন প্রকট।

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি একমত। ধারণা করি শহীদ মিনারের পবিত্রতা (স্যাঙ্কটিটি অর্থে) অধিকাংশই বোঝেনা। তবে এসব মিডিয়াতে আসা উচিত এবং এটা রক্ষা করা আমাদের সবার এবং সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের ব্যপারটা দিন দিন বিশেষ দিন কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। একেকটা দিন আসবে, আর আমরা সবাই তুমুল তোড়জোড়ে সেটাকে পালন করব, সবার সামনে সুন্দর করে উপস্থাপন করব, কিন্তু, প্রতিদিনই যে আমাদের ভেতরের বোধটা ঘুণে খেয়ে ফেলছে, সেটার প্রতি কারো যত্ন নেই। আমরা সবাই ব্যস্ত কর্পোরেটের ঘেরাটোপে। মন খারাপ

শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করা আমাদের সবার এবং সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

প্রচন্ডভাবে একমত।

- মুক্ত বয়ান।

অতিথি লেখক এর ছবি

লাভ নাই ভাইয়া, লাভ নাই। আমাদের অনুভূতিগুলো দিন দিন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা কর্পোরেট বেনিয়াদের কাছে বন্দী হয়ে যাচ্ছি। মন খারাপ

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

যতটুকু শুনেছি এবং আগের ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, এটা অনেক দিন আগে থেকেই চলে আসছে। কিন্তু এর আগে মনে হয়, পত্রিকাতে খুব একটা আসে নাই। এবার আসলেই কিছু একটা করা দরকার।

_________
শুভ্রসাদা

অতিথি লেখক এর ছবি

এবার ঘটনার আধঘন্টা পরই ইটিভিতে এই ঘটনার ভিডিও আসছে। কিন্তু, আর কোন চ্যানেলে আসে নাই। যারা সচেতন, তারা নিজেদের উদ্যোগে কিছু ছবি সংগ্রহ করে সবার মাঝে বিলিয়েছে। পত্রিকাগুলোতে এই ব্যাপারে কোন সংবাদ আসে নি, সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনদাতা গ্রামীণফোন না-খোশ হতে পারে, এই ভয়ে।
প্রশ্ন হল, যদি ইটিভিও যদি মিডিয়া স্পন্সরের লিস্টে থাকতো, তাহলে তারা কি এই সাহসটা দেখাতে পারতো, এই ঘটনা টিভিতে দেখানোর?

- মুক্ত বয়ান

কিছুজানিনা এর ছবি

দুঃখ লাগে যখন নিউজ এবং সংবাদপত্র ব্যাপারটা এড়িয়ে যায়।আরও খারাপ লাগে কারন আমাদের দেশের ৭০ ভাগ মানুষ এ ব্যাপারটা জানে না।হায়রে ভাবমূর্তি!!

অতিথি লেখক এর ছবি

জানার কোন উপায় নেই।
কেননা, সংবাদপত্রে আসে নাই, টিভিতেও কেবল ইটিভিতে এসেছিল। মন খারাপ

- মুক্ত বয়ান

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমি তো মনে করি ডি-জুসেরা আমাদের চাইতে অনেক বেশী সততা দেখিয়েছে, আমরা একদিনের জন্য বেশী বাঙালী সেজে ভন্ডামী করি .... .... ওরা অন্তত সেটা করে নি, ওরা ৩৬৫ দিন একই রুপ ধরে রেখেছে দেঁতো হাসি

লেখাটার জনঝ ধন্যবাদ। আর ছবিগুলো চোখের সাথে এঁটে রইল, থাকবেও অনেকদিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা!!
হয়ত সেটাই। ওরা আর ভেক ধরে নাই। প্রতিদিন যেমন, সেদিনও তেমন। হাসি :)

আপনাকেও ধইন্যাপাতা ভাইয়া মন্তব্যের জন্য। হাসি

- মুক্ত বয়ান

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ছবিগুলো'র জন্য ধন্যবাদ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

- মুক্ত বয়ান

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।