এসো, গণিত শিখি (২য় ও শেষ পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৬/০২/২০১০ - ১১:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এসো, গণিত শিখি (১ম পর্ব)

৩.
পলক আজকে অন্যরকম খুশি। ঢাকায় এসেছে আজ। ঢাকায় আসার মূল কারণ যদিও কাকাত বোনের বিয়ে, পলকের খুশি হওয়ার মূল কারণ অবশ্য তা নয়- বরং পলুদার সাথে শিশুপার্ক আর জাদুঘর দেখাই বেশি মজার মনে হয় তার। দুইদিন আগে থেকেই সে বারবার ফোন করে পল্লবকে মনে করিয়ে দিয়েছে- আজ সকালে যেন একটুও দেরি না হয়, পারলে ভোরেই যেন তাকে কাকার বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। বেশ উত্তেজনা হচ্ছে পলকের। বুয়েট দেখা হবে আজ। গোপনে গোপনে সে একটা স্বপ্ন লালন করে- "পলুদার মত আমিও একদিন বুয়েটে পড়ব"।

বুয়েটে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সকাল ১০ টা বেজে ১০। নজরুল ইসলাম হলের ৩২৩ নম্বর রুম। রুমে ঢুকেই বিস্মিত হওয়ার পালা- এত বেলা হল, অথচ এখনো ঘুমোচ্ছে একজন! উফ্‌ , এত নোংরা হতে পারে একটা রুম? সমস্ত রুম জুড়ে ছড়ানো-ছিটানো বই - গল্পের বই-ই বেশি। তিন-তিনটে কম্পিউটারের তারগুলো প্যাঁচ খেয়ে আছে ভীষণ, জীবনেও খুলবে কিনা সন্দেহ। মাকড়শার ঝুল জমে আছে দেয়ালের কোনায় কোনায়। মেঝে দেখলে মনে হয় তা মুছা হয়নি কোনদিন। অন্য সব বুয়েট-মুগ্ধ মানুষের মতো পলকও এই অগোছালো ভাবের পিছনে একটা কারণ খুঁজে পায়- বুয়েটের ছাত্ররা অনেক পড়াশুনা করে তো, ঘর গোছানোর এত সময় কোথায় তাদের!

সকালটা কাটল কম্পিউটার নিয়ে। আগেও কম্পিউটার ব্যবহার করেছে পলক, তবে এতটা সময় জুড়ে এই প্রথম। গেম্‌স্‌ আর খেলোয়াড়ের ছবির দিকেই আগ্রহ বেশি। বিশেষ করে শচীন আর সাকিবের ছবি যতই দেখে আশা মেটে না। পল্লব ইন্টারনেট থেকে ছবি ডাউনলোড করে দেখায়। কিন্তু এত সময় লাগে যে সে জিজ্ঞেস কর- "ছবিগুলা আছে কৈ? তুমি নিজে গিয়া নিয়া আইতে পার না?"।

ছোট্ট এই ছেলের কৌতুহলী প্রশ্নে থতমত খায় পল্লব। কী বলবে ভাবতে সময় নেয় কিছুটা- "এই ছবিগুলা আসতাছে বিদেশ-তে- কোনটা ইন্ডিয়ারতে, আবার কোনটা এমেরিকারতে। ছবিগুলা আসতে সময়তো একটু লাগবোই"।
- আর এই কম্পিউটার?
- কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টস বিভিন্ন দেশ থেইকা আসে। চীন, মালয়েশিয়া, আমেরিকা এইসব দেশ থেইকা।
- আইচ্ছা, অইসব দেশে কি A, B, C, D উল্ডাপাল্ডা? আঙ্গ (আমাদের) মত না?

ভুরু কুচকায় পল্লব। এই পিচ্চি বলে কী! তবে উত্তর দিয়ে যায়- "উল্ডাপাল্ডা হইব কেন? আম্‌গ মতই।"
- তাইলে কীবোর্ডে উল্ডাপাল্ডা A, B, C, D কে? ঠিক কইরা বসাইতে পারে না?

হা হা হো হো করে বেশ কিছুক্ষণ হেসে নেয় পল্লব। এই তাহলে কাহিনী! হাসির দমক থামিয়ে অভিনব প্রশ্নকর্তাকে সহজভাবে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করে - "A,B,C,D গুলার মধ্যে কিছু কিছু অক্ষর বেশি কামে লাগে, আর কিছু কিছু কম। যেমন- A,S এইগুলা বেশি বেশি কামে লাগে, আর Q,W,X এইগুলা কম কামে লাগে। তো, টাইপ করার সময় বেশি কামের অক্ষরগুলা যাতে আঙ্গুলের কাছে কাছে থাকে, অইরম কইরা সাজাইতে গিয়া A,B,C,D গুলা উল্ডাপাল্ডা হইয়া গেছেগা।" কীবোর্ডে আঙ্গুল রেখে বুঝিয়ে দেয় পল্লব। তখন ছুটে আসে অন্য প্রশ্ন- "তোমার কম্পিউটারেতো খালি ইংলিশ অক্ষর, বাংলা নাই?"

এইবার বেশ আগ্রহের সাথে পল্লব উত্তর দেয়- "হ্যাঁ, আছে!" বলেই একটা ব্লগ সাইট, আর দুইটা বাংলা পত্রিকার সাইট খুলে দেখায়। খুশি হয়ে যায় পলক- "আরে! কম্পিউটারের ভিতরে পত্রিকা। কী মজা! আমি পত্রিকা পড়মু।"

বাঁধা দেয় পল্লব- "এখন না, আগে চল খাইতে যাই। এরপর জাদুঘর আর শিশুপার্ক। এখন না বাইর হইলে দেরি হইয়া যাইব।"

মেনে নেয় পলক- "আইচ্ছা, ঠিক আছে, আইয়া দেখমু নে।"

৪.
দুপুরে কেন্টিন বন্ধ, খাওয়ার জন্য ক্যাফেটেরিয়াতে যেতে হবে। হল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় পা দিয়েই তাজ্জব বনে গেল পলক- গাড়ির ভিতরে বই! পল্লবকে জিজ্ঞেস করে- "ঐ গাড়িটার ভিতরে এত বই কেন্‌? বাড়ি বদলায় নাকি? হেই বাড়ির লোকজন মনে হয় বেশি পন্ডিত।"

বক্রোক্তিটা নজর কাড়ল পল্লবের। সে হাসল, কিন্তু কিছু বলল না, বরং গাড়ির দিকে হাঁটতে লাগল। পলক খেয়াল করল- গাড়ির সামনের কাচে লেখা "আলোকিত মানুষ চাই"। পলুদার কাছ থেকে জেনে নিল- এটা একটা লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরি-গাড়িটা প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বুয়েটের স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে আসে। এখানের ছেলে-মেয়েরা যারা এই গাড়ির সদস্য, তারা এক সপ্তাহের জন্য দুইটা করে বই নিতে পারে। বইগুলো পড়া শেষ হয়ে গেলে পরের সপ্তাহে আবার দুইটা বই। এভাবেই চলে।

পলক গাড়ির ভিতর ঢুকে নন্টে-ফন্টের বই খুঁজল, কিন্তু বিধি বাম, পেল না। গাড়ি থেকে বের হয়েই তাই সে বলে- "আমি বড় হইয়া যখন একটা লাইব্রেরি দিমু, তখন অইখানে নন্টে-ফন্টের বই রাখমু।"

তারপর কী যেন ভাবে- "আইচ্ছা পলুদা, আঙ্গ বাড়ির দিগে ইমুন লাইব্রেরি অইতে পারে না?"

উত্তরের আশা করে না সে। বরং চিন্তিত হয়ে পড়ে- "বহুত টাকা লাগবো, না?"
- "হুম, টাকাতো লাগবেই।" দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে পল্লব।
- আইয়ো, অংক কইরা বাইর করি কত টাকা লাগবো। কওছে গাড়ির মইধ্যে বই আছে কয়ডা?- পলকের অনুসন্ধিৎসু প্রশ্ন।
- কয়েক হাজার।
- ধরলাম ৩ হাজার। একেকটার দাম কত কইরা?
- ১০০ কইরা ধর।
- তিনশ হাজার... তিন লাখ।
- আর গাড়ির দাম কত?
- খাইছে, তুই গাড়ি কিনবি নাকি??
- আরে, কও না!
- বাসের দাম তো ঠিক জানি না, হইব ১৫-২০ লাখ।
- যাও, ধরলাম ২০ লাখ। ২০ আর ৩ মিল্লা ২৩।
- আর খরচ কী আছে?
- ড্রাইভারের খরচ, তেল খরচ, লাইব্রেরি কার্ডের খরচ।
- এইতান সব কিছু ২ লাখের মইধ্যে অইত না?
- হইয়া আরো বেশি হইব।
- তাইলে ২৫ লাখ টেয়া অইলে ইমুন একটা গাড়ি-লাইব্রেরি দেওন যাইব।

আফসোস পলকের - ইস্‌ কেউঐ যদি টেয়াডা দিয়া দিত!

৫.
ডাইনোসরটা ছাড়া জাদুঘরের আর কিছু ভাল লাগেনি পলকের। শিশুপার্কটাই বেশি ভাল। রেলগাড়িতে চড়েছে তিন বার। চড়কি যখন এক্কেবারে উঁচুতে, ভালই ভয় পেয়েছে তখন; কথাবার্তা না বলে চুপ করে শক্ত হয়ে বসে ছিল। বসে বসে ঘুরায় যেটা, নাম যেন কী রাইডটার, ঐটাও বেশ ভাল লেগেছে। বিমান, ঘোড়ার গাড়ি, নাগরদোলা সবই ভাল লেগেছে কম-বেশি। পার্ক থেকে বের হয়ে চটপটি আর আইসক্রীম খেয়ে সন্ধ্যার আগেই আবার হলে ফিরে এসেছে। এসেই দাবি- "পেপার আইনা দেও, পেপার পড়মু।"

কম্পিউটারের ভিতর পেপার, মজাই আলাদা। পল্লব পলককে পেপার পড়তে দিয়ে হাতমুখ ধুতে যায়। হাতমুখ ধুয়ে যখন রুমে ফিরে তখন পলক বলে- "পলুদা, অন্যদিনতো তুমি আমারে অংক দেও। আজকা আমি তোমারে একটা অংক দেই। বিশুদার দোহান দিতে খরচ হয় সাড়ে চৌত্রিশ হাজার টাকা। একটা গাড়ি-লাইব্রেরি দিতে লাগে ২৫ লাখ টাকা। আর বিমানবন্দরের নাম পাল্ডাইতে খরচ অয় ১২০০ কোটি টাকা। তাইলে কও তো- বিমানবন্দরের নাম পাল্ডানের টেয়া দিয়া কয়ডা বিশুদার দোহান দিওন যাইবো? কয়ডা গাড়ি-লাইব্রেরি দেওন যাইবো?"

পল্লবের অংক মিলে না।

---------------
আলোর ছটা
---------------
alorchhota AT gmail DOT com


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

মুজতবা আলীর পন্ডিতমশাই আর তিন-ঠ্যাঙা কুকুরের গল্পটা মনে পড়ে গেল আপনার শেষের অংশটুকু পড়ে। কিন্তু একটা বাচ্চার মুখে ওই প্রশ্নটা অবাস্তব হয়ে গেল না?

কৌস্তুভ

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব বেশি অবাস্তব হয়ে গেল? আজকালের ছেলেপেলেগুলো বেশ পাকনা হয় কিন্তু চোখ টিপি খবরটাকেই এর চেয়ে বেশি অবাস্তব মনে হয় না??

---------------
আলোর ছটা
---------------
alorchhota AT gmail DOT com

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

তাইলে কও তো- বিমানবন্দরের নাম পাল্ডানের টেয়া দিয়া কয়ডা বিশুদার দোহান দিওন যাইবো? কয়ডা গাড়ি-লাইব্রেরি দেওন যাইবো?"

আপনার পোস্টের জন্য অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ। ১২০০ কোটি টাকা দিয়ে অন্তত লাখখানেক কিমি কাঁচা সড়ক পাকা করা সম্ভব।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইস... কোন একটা কিছু যদি হইত...

---------------
আলোর ছটা
---------------
alorchhota AT gmail DOT com

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

আর বিমানবন্দরের নাম পাল্ডাইতে খরচ অয় ১২০০ কোটি টাকা

সত্য নাকি? অবিশ্বাস্য অঙ্কের টাকা খরচের ব্যাপার দেখা যাচ্ছে। অ্যাঁ টাকা আসতেসে কোথা থেকে?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি দিচ্ছি, আপনি দিচ্ছেন। ভুলে গেলেন? চোখ টিপি

---------------
আলোর ছটা
---------------
alorchhota AT gmail DOT com

হিমু এর ছবি

বিমান বন্দরের নাম পাল্টাতে ১২০০ কোটি টাকার যে হিসাব পড়লাম, সেটা একটু গড়বড়ে শোনাচ্ছে। বিমানবন্দরের নাম পাল্টে যা খুশি রাখা হোক, ICAO কোড পাল্টায় না।

এদিকে সারা বিশ্বের স্বীকৃত বিমানবন্দরগুলোতে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম বদলে নতুন নামের নিয়ন সাইন বসানোর কাজ শেষ হতে সময় লাগবে দুই থেকে তিন মাস। এতে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকার দরকার হবে।

সারা পৃথিবীতে অন্যান্য বিমানবন্দরে "জিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট" নামে কোনো নিয়ন সাইন কি আছে? বিমানবন্দরের ডিসপ্লেতে ফ্লাইট ইনফো দেখানো হয়, সেটাতে কোথাও বিমানবন্দরের নাম ব্যবহার করা হয় না, এমনকি টিকেটেও না। কারো সন্দেহ হলে জিয়া আন্তর্জাতিকের ভেতরে ঢুকে কোথাও দুনিয়ার অন্য কোনো দেশের এয়ারপোর্টের নাম দেখতে পান কি না, জানাবেন। পৃথিবীর অন্যত্র বিজ্ঞাপন দেয়া হয় বিমান কর্তপৃক্ষের, অর্থাৎ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের, বিমানবন্দরের নয়।

সারা পৃথিবীতে বিমান কর্তৃপক্ষের এমন বিশাল কোনো কার্যক্রম নাই, যার জন্যে প্যাডে বিমানবন্দরের নাম পাল্টাতে ২০০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।

মেজর [অব] আনোয়ার হোসেনের একটা বই আছে, নাম হেল কমাণ্ডো। সেটাতে এক ক্যাডেট কীভাবে তার বাপকে ঠকিয়ে পয়সা হাতায়, তার একটা ঘটনার কথা ছিলো। সেই ছেলের বাপ মূর্খ সামন্ত। ছেলে চিঠি লিখেছিলো, আব্বা আমাকে পঁচিশ হাজার রূপি পাঠান, কামান আর গোলাবারুদ কিনতে হবে। বাপ টাকা পাঠিয়েছিলো সময়মতো। এই ১২০০ কোটি টাকার হিসাবটাও আমার কাছে সেরকমই মনে হচ্ছে।

জিয়া বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন আমি একটা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ফালতু কাজ বলেই মনে করি, কিন্তু সেটার প্রতিবাদ এই ভুয়া হিসাব দিয়ে দেখাতে গেলে প্রতিবাদের ওজন কমে যায়। এসব হিসাবকে রেফার করার আগে নিজেও একটু চিন্তাভাবনা করে নিলে ভালো হয়।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু ভাই সুচিন্তিত মতামতের জন্য। আমি নিজেও হোঁচট খেয়েছিলাম টাকার অংক দেখে। কিন্তু ১ম পাতায় একদম সামনে মূল খবরের পাশেই খবরটা থাকায় অবিশ্বাস করিনি। তার উপর আমার ICAO কোড সম্বন্ধে কোন ধারণাই নেই আমার। ভাল থাকবেন।

---------------
আলোর ছটা
---------------
alorchhota AT gmail DOT com

কাকুল কায়েশ এর ছবি

প্রথম পর্বটা দূর্দান্ত হয়েছিল! আপনার লেখার হাত বেশ চমৎকার। আমি আগ্রহভরে দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বাচ্চা ছেলেটাকেও বেশ পছন্দ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে বাচ্চাটাকে আপনি আঁতেলেকচুয়াল বানিয়ে ছাড়লেন, এই জিনিশটা আমার অত পছন্দ হয় নাই! (অফটপিকঃ বুয়েটের হাওয়ার এত জোর দেঁতো হাসি!!)
তবে গল্প ভাল লেগেছে!

গল্পটা পড়তে গিয়ে আমার যে সমস্যাটা হয়েছে সেটা বলি...... দু'টা ক্যারেক্টারের নাম একই রকম (পলক ও পল্লব) রাখায় আমি মাঝে মাঝেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছিলাম, কোন কথাটা কে বলতেসে চিন্তিত ? গল্পটা নিশ্চয়ই আপনার কল্পনা-প্রসূত, তাই নাম দু'টা যদি ভিন্ন ভিন্ন করতেন, তাইলে এই ঝামেলায় পড়তাম না বোধহয়!

=======================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

১ম পর্ব ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। হাসি

নামকরণ আসলে ইচ্ছে করেই একই রকম করা। নামের মিলের মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্কের গাঢ়ত্ব বুঝানোর সূক্ষ্ম একটা ভাবনা ছিল। তবে আপনার সমস্যার কথা জেনে বুঝলাম- চিন্তাটা ভাল হয়নি। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

---------------
আলোর ছটা
---------------
alorchhota AT gmail DOT com

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

এই ১২০০ কোটি টাকার হিসাবটা কে বের করেছেন? কিভাবে? জানা যাবে কি?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি পেপারে পড়েছি ভাই। লিংকটা ছাড়া আর কিছু জানা নেই।

---------------
আলোর ছটা
---------------
alorchhota AT gmail DOT com

বোহেমিয়ান এর ছবি

লেখা ভাল লাগছে । বেশ মসৃণ গতিতে এগিয়েছে ।
তবে ১২০০ কোটি অতিরঞ্জন বলেই মনে হল, তাই ধাক্কা খেয়ে গেলাম ।

শেষ টুকু পড়ার পর আমার মাথায় ও পণ্ডিত মশাই গল্পটার কথা চলে এল!
খুব খারাপ লেগেছিল, প্রথম যেবার পড়েছিলাম ।

__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল। হাসি

ধন্যবাদ।

---------------
আলোর ছটা
---------------
alorchhota AT gmail DOT com

Shizumu Wabishii Tawakemono [অতিথি] এর ছবি

ভালই চলছিল কিন্তু ফিনিশিং এ পুরা গল্পটা মেরে ফেলছেন বলা যায়........:-| যাক গে....ব্যাপার না ।

আচ্ছা , লেখায় ছোট খাট অসংগতি থাকরে মডারেটর তা লেখক কে জানাবেন যাতে তিনি সংশোধন এর সুযোগ পান অথবা নিজেই সম্পাদনা করে দিবেন-এ রকম পদ্বতি চালু আছে কি??
( আমি noob অচল পাঠক!! )

অতিথি লেখক এর ছবি

মজার ব্যাপার কি জানেন? ফিনিশিংটাই ছিল গল্পের লক্ষ্য। যাই হোক, ব্যাপার না।

ও হ্যাঁ, এ লেখার কোন অসঙ্গতি আপনি নির্দ্বিধায় এখানেই (মন্তব্যে) করতে পারেন। চাইলে ব্যক্তিগত মেইলের মাধ্যমেও করতে পারেন।

---------------
আলোর ছটা
---------------
alorchhota AT gmail DOT com

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।