প্রাককথন
শব্দগুলো লাশ দেখে,চিৎকার ও চক্রান্ত দেখে
বেগুনী লজ্জায় লুকিয়েছিল মুখ আদিম গুহায়।
ভালোবাসা-বিশ্বাসের ডানায় ভর করে,
তাকে স্বতোৎসারিত ঝরনার মতো প্রবাহিত করবে,
ছিল না এমন ভালোবাসা ও বিশ্বাসের ডানা।
অশিক্ষিত,গ্রাম্য শিশুটির অকারন খুশি,আঞ্চলিক শব্দ,হলুদ দাঁত ;
কিশোরী মেয়েটির জেগে ওঠা মন,কোমল ভালোবাসা,সহজ কষ্ট;
ড্রেনের পানিতে কাদাপোকার উচ্ছ্বল দাপাদাপি;
শব্দগুলোকে -
চেপে রাখা দিন ও রাত্রিগুলোকে -
সোচ্চার উচ্চারন ও করোটির পণ্যকে -
লজ্জা ও ঘুম ছাড়িয়ে এনে ফেলল বৈকালিক হাওয়ায় ।
শব্দের শরীর
"আমি ১০ বছর পা চাটতে স্বস্তি বোধ করিনি -
ধামা ধরতে এবং মৃতদের চলা পথে হাঁটতে গিয়ে,
আমার হাত ও পায়ে জমে গেছে শ্যওলা ও শিকল ।
বোকা,অর্থহীন স্ত্রী তর্কে আপোষকে আমার থুতু দিতে ইচ্ছা হয়েছিলো -
লাশের রাজনীতি এবং যান্ত্রিক হাসিকে আমি বারবার পায়ে দলতে চেয়েছি;
এবং
তুমি - তোমরা
নিদ্রায়,কর্মে,চিন্তায়,
ঘর-মন-জানালার যে স্বপ্ন দেখছো,যাতে ডুবে আছো অহর্নিশ - তা পুরনো নাটক;
তা অনেক লক্ষ কোটিবার মঞ্চায়িত হয়েছে পৃথিবীতে ।
এবং এই স্বপ্নের নকশা জেনেই
গড়ে উঠেছে হাউজিং স্টেট - বিউটি প্রোডাক্ট - লোভের সাম্রাজ্য - রাজনীতি - লাশপ্রথা* এবং ধর্মমত ।
লাশপ্রথা:
এই প্রথা অনুযায়ী যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যত বেশী সংখ্যক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে লাশে
পরিনত করতে পারবে সে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী হবে সমাজে তত বেশী ক্ষমতাবান ও সম্মানের অধিকারী।
নারদ মুনি
মন্তব্য
কবিতার চাইতে শেষের লাইনগুলা বেশি ভাল্লাগ্ছে।
আমাদের রাজনীতি এমন একটা কলুষিত অবস্থানে গেছে, সেখান থেকে এর চাইতে বেশি কিছু আশা করা কঠিন।
- মুক্ত বয়ান
ভালো লাগলো।
------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
চমতকার শব্দপ্রয়োগ, বলিষ্ঠ উচ্চারণ। লিখতে থাকুন।
নতুন মন্তব্য করুন