এই লেখাটা একটা ঘোরের মধ্যে আচ্ছন্ন থেকে লেখা, এবং তীব্র আবেগ থেকে। প্রথমে ইংলিশে, পরে বাংলায় পৃথক পৃথক ভাবে। ভয় ছিল লাগাম ছুটে যাবে। সম্ভবত তা ছোটেনি, বরং বোধয় একটু কষে গেছে। নিরীক্ষাধর্মী এটাকে বলব কি? সেই মানসিকতা নিয়েই এগোনো যদিও, তার সাফল্য বা ব্যর্থতা ত পাঠকদের ওপরই।
বোদ্ধা পাঠক নিশ্চয়ই এত ফাউ প্যাচাল থেকেই বুঝে ফেলেছেন যে পরবর্তী যা আছে তা খুব একটা সুবিধের হবে না। তবু বলি, জীবনে আর কটা জিনিস সুবিধের হয়েছে বলুন?
এটি কোন কবিতা নয়
এটি কোন কবিতা নয়। তবু কাব্য আমাকে স্মরণ করে এ প্রলাপ লেখার ক্ষণে। এবং তা লিখিত হয় আমার শোণিতে। আমি শুধু সাবধানে, খুব সাবধানে আমার মাথার সামনটা চিরে ফেলি। সূক্ষ্ম কিন্তু গভীর এ ক্ষত থেকে প্রথমে বিন্দু বিন্দু রক্ত নির্গত হয়। আমি চারপাশে তাকাই আর তা গভীর থেকে গভীরতর হয়; এরপর স্রোতের দমকে শুধুই রক্তপাত সব ভাসিয়ে একাকার। হাত বাড়িয়ে এক টুকরো কাগজ সামনে রেখে ঝুকে পড়ি। আমার ক্ষুদ্র মস্তক অতিক্রম করে গাঢ় ধারায় তা কাগজে গড়ায় আর মূর্তি দেয় সেসব অনাশ্রিত ভাবের যা আমার হাতকে ভারাক্রান্ত করে না। তার বর্ধনশীলতায় সেই ভিখারীর প্রত্যাবর্তন হয়; সে মারীগ্রস্ত রমণী যে বলেছিল সে আর পারছেনা ক্ষীণবস্ত্র শীতের সাথে যুঝতে। আর আমার মনে পড়ে সেই মৃত পাখির কথা যে আমার কবিতায় মরে ঝরেছিল কুয়াশার বাগানে, যখন প্রৌড়া অশ্রুবিধৌত মুখে বলে চলে তার নিদারুণ অপারগতার কথা, সাক্ষ্য দিতে মেলে ধরে তার সবেধন লজ্জাখানি। আরো অঝোর চোখদুটো- লজ্জায়, অসহায়ত্ত্বে বা বেদনায়- জানি না ঠিক। তার প্রতিটি অশ্রুবিন্দু আমার রক্তে পরিণত হয় আর অদম্য বয়ে চলে- নির্মাণ করে চলে বিকৃত হরফের এই বহমান ধারা, যার প্রবহন আসমান কি জমিনের একটি পাতাকেও স্পর্শ করে না।
ফারাবী
-----------------------------
হে মহামানব, এখানে শুকনো পাতায় আগুন জ্বালো!
মন্তব্য
ভালো লাগলো..
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বলেন কি! ভাল লাগছে! আলহামদুলিল্লা! বাঁচাইলেন আমারে। তবে সঙ্গে কিসে ভাল লাগছে বা কিসে কিসে গুতা খাওয়া লাগছে এইসব বললে আরো ভাল্লাগত।
ফারাবী
আমারো ভালো লেগেছে। আপনার কল্পনাশক্তি ভালো, রূপকল্পের প্রকাশও চমৎকার। গদ্য লিখতে থাকুন। চাইলে পদ্যও। দুয়েকটা বানানে খটকা লাগলো, তবে সেটা লিখতে লিখতে ঠিক হয়ে যাবে।
ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। আপনার কমেন্ট পেয়ে মনে হইল আমার এই ব্লগ আরও সমৃদ্ধ হইল। ভাল লাগার সঙ্গে যে মন্তব্যটুকু করলেন তাও মনে রাখব। গদ্য অত লেখা হয় নাই, যা লেখা হইছে তাও বেশিরভাগই ইংলিশ এ; ছোটবেলা থেকেই পদ্যেই বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে এখন গদ্যে মনোযোগ দিচ্ছি বেশি, দেখি কি হয়।
ভাল লাগলো।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অসংখ্য ধন্যবাদ পুতুলকে আমার লেখাটা পড়তে সময় নেয়ার জন্য। তবে লেখাটা নিয়ে আরেকটু বিষদভাবে কিছু বললে বোধয় আরো ভাল হত। এখন না বল্লেও পরের লেখাগুলোতে তা পাব আশা করি।
ভালো লাগলো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপনার ভাল লেগেছে বলে আমারও অনেক ভাল লাগছে আপু। এটা লিখে একটু শঙ্কিত ছিলাম যে এটা আদপে কিছু দাঁড়াল কিনা। দুজন বন্ধুকে পড়িয়েও সেটা দূর হয়নি। আপনার কাছ থেকে কমেন্ট পেয়ে এখন অনেকটা ভাল লাগছে। সামনে এরকম নিরীক্ষাধর্মী লেখা আরো দেবার চেষ্টা করব। তখনও মন্তব্য চাই কিন্তু!
ভালো লেগেছে...
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এখানে এসে সময় করে আমার লেখাটা পড়ার জন্য। নামটা লিখতে বোধয় ভুলে গেছেন। তাতে ক্ষতি নেই। আপনাদের কারো ভাল লেগেছে এতেই আমার আনন্দ।
ভালো লেগেছে।
সময় নিয়ে যে আপনি পড়েছেন তাতে আমারও অনেক ভাল লাগছে :)।
পাঁচ-পাঁচজন রায় দিল তাদের ভাল লেগেছে। তাহলে কি আমি ধরে নেব আমার নিরীক্ষা সফল?
আমারও ভাল লেগেছে...
আপনাদের ভাল লাগাতেই আমার লেখার সার্থকতা, গালিব। লেখার একটা অংশ উদ্ধৃত করার জন্যও ধন্যবাদ। কেউ উদ্ধৃত না করলে কেন যেন মনে হয় লেখাটা তেমন একটা মনে লাগেনি কারও। আপনি আমার সেই মন-খারাপটা দূর করলেন।
----------------------------
নতুন মন্তব্য করুন