২০০১
আমি তখন টিনএজার।জীবনটাও খুব সরল ছিল।পড়াশোনা করি।আর সারাদিন হা করে AXN দেখি।মারামারি,কাটাকাটি দেখতে খুব ভাল লাগে।একদিন দেখি হিন্দি সিনেমা দেখাচ্ছে।নাম ধাড়কান! সুন্দরী শিল্পা শেঠীর বিয়ে জোর করে দেয়া হল অক্ষয় এর সাথে।বিয়ের পর শাশুড়ি বললো, বউমা গয়নার বাক্স দিয়ে যাও।সুন্দর ফিগার,তার উপর পুরান প্রেমিকের স্মৃতি,সব মিলায় তেজস্বী শিল্পা বললো,দিমু না,কি করবেন।আমার বাপে গয়না দিছে আমার জন্য।অক্ষয় এসে মা বউয়ের ঝগড়ায় অংশ নিলো।
আমি সিনেমা দেখে খুব খুশী।পরদিন নাচতে নাচতে কলেজ যেয়ে মিতুকে বললাম সিনেমাটা জোস!মিতুও একমত।ওর আগেই দেখা।
২০১০
মিতুর নাম্বার স্ক্রীনে দেখে তাড়াতাড়ি ধরলাম
-তোর খবর কি?হানিমুন শেষ?(আমার উচ্ছ্বসিত চিৎকার)
=হুমম,অফিস ও শুরু করে দিলাম।
-বাহ!শশুড়বাড়ী কেমন লাগে?
=আরে কাহিনী শোন(মিতুর ফিসফিস),আমার শাশুড়ী কয়েকদিন আগে সব গয়না নিয়ে রেখেছেন,আমি নাকি হারায় ফেলবো।এখন আর ফেরত দেয় না।
[একজন শিক্ষিত,স্বনির্ভর মেয়ে হিসেবে আমার সম্ভবত বলা উচিত ছিলো, "বাদ দে এইসব,জীবনে টাকা পয়সা বড় ব্যাপার না।তুই তো নিজেই কত ইনকাম করিস।" আমিও মোটেও এরকম বলতে পারলাম না।রাগে গড়গড় করতে করতে বললাম]
-তুই পুরোটা দিলি কেনো?শুধু ওদের বাসার টুকু দিয়ে দিতে পারলি না?
=আমি পুরোটা দেই নাই।বুদ্ধি করে কিছুটা দেই নাই।এখন কিভাবে পুরাটা উদ্ধার করি সেই প্ল্যান করতেছি।আচ্ছা পরে কথা হবে,ও শুনে ফেলবে!!
ছোটবেলায় একটা গল্প পড়েছিলাম।শীর্ষেন্দুর গয়নার বাক্স।এক বিধবার অতৃপ্ত আত্মা বাক্সটা পাহাড়া দিত।আমাদের জীবনটা তো আর কোন অল্পবয়সী বিধবার মতো না।অনেক বেশি সুন্দর।জীবনটা কিন্তু হিন্দি সিনেমার মতও না।বিয়ের পর নিয়ম করে হিন্দি সিরিয়াল দেখা শুরু করবো নাকি?
মেয়ে
মন্তব্য
#বানানে মনোযোগ দিন!
# কথোপকথনের সময় আমরা যেভাবে কথা বলি, লেখায় অমনটা পড়তে ঠিক ভাল্লাগে না...
প্রমিত বাংলার প্রতি পক্ষপাত আমার একান্তই ব্যক্তিগত, সমালোচনা বা আক্রমন হিসাবে নেবেন না প্লিজ!
সচলে স্বাগতম..
অ.ট: "মেয়ে" নামে আমার এক পোস্টে একজন মন্তব্য করেছিলেন, অনেক আগের কথা অবশ্য... লেখার ধরনে মনে হচ্ছে আপনিই সে
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার বাবা ঐ সিরিয়ালের নাম দিয়েছিলো "কিউ কি রুটি ভি কাভি আটা থি'... অনেক আগের কথা মনে পরে গেলো।
গয়না টয়না খুব বিরক্তিকর জিনিস। তবে আসলেই দেখি মানুষ হিন্দি ছবি দেখে শিখে ধূর্ত থেকে আরো ধূর্ত হচ্ছে। হয়তো আপনার বান্ধবীর শ্বাশুড়ি গয়না নিজের কাছে রেখে ভালোই করেছে... যেইনা দিনকাল, চুরি টুরি হয়ে গেলে বা উলটা নিজেই হারিয়ে ফেললে সবার কাছ থেকে ভালো ঝাড়ি খাবে।
আপনার বাবার নামকরণে পাঁচ তারা ।
তাই তো ভাবলাম আমিও দেখা শুরু করবো।যুদ্ধের পূর্ব প্রস্তুতি
সচলে স্বাগতম।
আমি ভাবছিলাম, এবার বোধহয় সচলের পেইজেও ঐ প্যানপ্যানানি দেখতে হবে , ধন্যবাদ ভয় টা না দেখানোর জন্যে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে গয়না বড় না তার মূল্যমান বড় সেটা দেখতে হবে। সোনার দাম কোনওদিন শূন্যটাকা হয়ে গেলে মনে হয় শাশুড়িরা আর নিজের কাছে গয়না রাখতে চাইবেন না সে যতই আকর্ষণীয় হোক।
এই গয়না-কাবিন গুলো কেমন একটা জেদাজিদির ব্যাপার আমাদের সমাজে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে এটা কেমন একটা অন্ধ-সংস্কারের প্রতিফলন বলে আমার মনে হয়।
আপনার লেখার টপিকটা কমন হলেও লিখেছেন আনকোরাভাবে। ভাল লেগেছে।
লেখা পড়া,মন্তব্য করা এবং ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।
মূল্যমানের ব্যাপারটা সুন্দর করে বলেছেন।আমরা নিশ্চিত ভাবে এর দামটা পচ্ছন্দ করি,সৌন্দর্যটা দ্বিতীয়।
মিতু সরাসরি মহিলাকে গিয়ে বলুক। 'কিছু মনে নিয়েন না আম্মা, আমার গয়নাগুলা আমার কাছেই রাখতে চাই। আমাকে দিয়ে দেন এখন।' এইসব বিষয়ে পরিষ্কার জানান দেয়াই ভালো। শাশুড়ি আর কি করবে দুইদিন গীবত ছাড়া?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
নাহ এইটা ভালো হবে না।
হ্যাঁ দেখতে পারেন, আমাদের দেশে তো আর লাইফ-স্টাইল কোর্স করায় না। শুনেছি গুলশান এভিনিউও বেশ শিক্ষণীয় এ ক্ষেত্রে ঃ)
গুলশান এভিনিউ কি? (এভিনিউ তো বটেই) মানে রাস্তার নাম নাকি টিভির কিছু?
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হেডিংটার মানে কি ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মনে হয় 'কিউতে দাঁড়িয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে' জাতীয় কিছু হবে
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
ফাজলামি না! আমি একসময় সত্যিই ভাবতাম এর মানে বোধহয় 'কখনো কখনো শ্বাস ফেলাও অনেক বিশাল ব্যাপার হয়ে যায়'!!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
আমি একসময় অনেকরকম অনেক কিছুই ভাবতাম, তবে জন্মলগ্ন থেকেই সিরিয়াল জিনিসটা আমার কাছে চরম বিরক্তিকর একটা কষা জিনিস মনে হয়েছে। আর হিন্দি ভাষা ছিলো আমার কাছে খুবই অসাধ্য জিনিসের মতন। একবার ভারতে একমাসের ট্যুরে গিয়ে খুব নাকানী-চুবানী খেলাম এই হিন্দির জন্যে, ব্যাপক হাস্যকর সে কাহিনী
ইদানিং হিন্দি শুনে অনেকটাই বুঝি, বলা দরকার হয়না কখনও। আর বলতে গেলে মনে হয় কে জানি গলায় কোলবালিশ ঠেসে ঢুকাচ্ছে একই কথা অবশ্য ইংরেজি বলার ক্ষেত্রেও ঘটে, শুনে বুঝি কিন্তু মুখ দিয়ে বের হয়না এক বর্ণও
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
হাহাহাহাহাহা অনেক চিন্তা করে বের করেছেন নিশ্চয়। হাহাপগের ইমোটিকন দিতে পারি না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি আর্বি বুঝিনা দেইখা এমনে গইড় পাইড়া হাসবেন?
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
কিঁউ কি সাঁস ভি কাভি বহু থি= কারণ শ্বাশুড়িও একদিন বউ ছিলো!
হিন্দি কিংবা উর্দূ নিজে খুব একটা বুঝি না...
সোনার গয়না এবং সিরিয়াল এ দুটোও চরম অপছন্দ!!
সম্ভবত পছন্দ হয়নি বলে লেখিকা প্রথম মন্তব্যের উত্তর দেননি..
প্রথমে সেটা খেয়াল করলাম, তারপর আপনার অনুবাদে তো
কিন্তু হাসিব ভাই, "গইড় পাইড়া" মানে কি?
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গইড় পাইড়া = গড়িয়ে পড়ে/ গড়াগড়ি দিয়ে। ঐ যেঃ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
প্রিয় তিথি,সবার আগে আপনার মন্তব্যের উত্তরই দিয়েছিলাম।আজকে এসে দেখি বাকি তিনটা আসলেও আপনাকে দেয়া উত্তরটা নাই !! এর মধ্যে আপনি এসে আবারও মন্তব্য দিয়ে গেছেন।
লেখায় অনেক বানান ভুল নাকি?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
স্বাগতম...
অবসর গ্রহনের পর আজকাল দেখি আব্বুও সিরিয়াল দেখে...
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার বাবা মা ও।মাঝখান থেকে আমি ঢুকলে আবার কিছুটা কাহিনীও বলে দেন
শিরোনামে হিন্দি দেখলে বিরক্ত লাগে, তাই অনুরোধ করব সেটা না দেবার জন্যে। আর দাড়ির পরে একটা কইরা স্পেস দিয়েন, নাহলে সব ঘোট পাকায়া যায়। আর আসলেই আপনার শিরোনামের মানেটা একটু জানাবেন?
সচলে প্রথম লেখা হয়ে থাকলে স্বাগতম, আশাকরি পরের বার আরো মজার কিছু লিখবেন।
আর গয়না আপনার বন্ধুর শ্বাশুড়ি যদি নিয়ে থাকে তাতে আপনি কেন রাগে গরগর করলেন সেটাও বুঝলাম না, আমার বুদ্ধি সুদ্ধি আসলেও মনে হয় কম। আর ঢাকার যা অবস্থা, গুলশান এভিনিউতে অভিনয় না করলে তো গয়নার দরকার থাকার কথা না। পথে ঠ্যাগ খাবে, তারপর আপনে এসে লেখা দিবেন, 'আজকে ঠ্যাগ খাইছি' অথবা 'মলমওয়ালার সাথে একান্ত এক ঘন্টা'। আমার মতে বাসায় ও রাখা উচিত না, এসব ভ্যাজালের জিনিষ ব্যাংকে রাখাই নিরাপদ, বাসায় ডাকাত পড়লে খুব সুখকর কিছু হবে বলে মনে হয় না। তাই আপনার বন্ধুকে বলেন, এই প্রস্তাবটা পাড়তে, তাতে নিজের এবং শ্বাশুড়ির গয়নাও নিজের আওতায় চলে আসবে।
ভালো থাকুন, নিরাপদ থাকুন সবসময়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা একেবারে মায়ের ছেলের মত কথা
এই যে সাবিহ আপনাকে মায়ের ছেলে বললো আমি কিন্তু সে ব্যাপারে কিছু বলি নাই।কবি এখানে নীরব থাকার সিদ্ধান্ত নিলো
ইয়া আল্লাহ ! তাহসিন ভাই, শাশুড়ির গয়না হাত করার বুদ্ধি তো আমার মাথাতেও আসে নাই
বুঝছি,এই সব সিরিয়াল দেখে লাভ নাই।আপনার বুদ্ধি নিতে হবে।
স্পেস এর ব্যাপারটা মনে থাকবে।
আপনার তাহসিন ভাইয়ের মাথায় অনেক বুদ্ধি। উনি নিজেই হিন্দি সিরিয়াল লিখে ফেলতে পারেন। তবে বাংলা ভাষায়।
লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। সচলে স্বাগতম।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
প্রবাসিনী অনেক অনেক ধন্যবাদ
নতুন মন্তব্য করুন