প্রায় চারটা বাজে। মাত্র ল্যাব থেকে বেরুলো কুহু।ক'দিন আগের তুষারপাতের শেষচিহ্ন হিসেবে বরফকাদা ইতিউতি পড়ে আছে গলে যাবার অপেক্ষায়।সাবধানে পা ফেলে হেঁটে বাড়ী ফিরছে তাই। হঠাৎ মেঘের চাদর সরিয়ে রোদ এসে আলো করে দিল চারিদিক। "বাহ্, রোদ, তোমার দেখা মিললো অবশেষে!" তার মানে হয়তো আর ক'দিন পর সত্যি সত্যি বসন্ত। ভাবতেই মনের ভেতর এক চিলতে খুশী ঝিলিক দিয়ে গেল ওর।
রুমে এসে ব্যাকপ্যাক নামাতে নামাতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো কুহু।সামনের ছোট পার্কের গাছগুলোর ন্যাড়া ডালগুলোতে খেলে বেড়াচ্ছে কাঠবেড়ালী, একটা ডালে পাখিও দেখা গেলো মনে হলো অনেকদিন পর। মুহুর্তে কী হলো কে জানে, তাড়াহুড়ো করে কাপড় বদলিয়ে, পায়ে হাঁটার জুতো আর গায়ে জ্যাকেট গলিয়ে দিয়ে দিল ছুট। ছোট পার্কটা পেরিয়ে রাস্তা পার হয়ে রিভারসাইড পার্কে ঢুকে পরলো, বিকেলের ব্যায়ামবাহিনী সক্রিয় তখন। পার্কের এমাথা থেকে যতদূর পর্যন্ত আরেকদিকে দেখা যায়, রোদ গায়ে মেখে লোকজন জগিং, নয় তো সাইকেল চালাচ্ছে - বাচ্চারাও হয় দৌড়ঝাপ, না হলে বাবা-মার সাথে পাশাপাশি সাইকেলে আছে। কিছু বুড়ো-বুড়ি বেঞ্চে বসে বই পড়ছে। অনেকটা স্বাভাবিক বসন্তের বিকেল।
হাঁটতে শুরু করলো কুহু। ওর অভ্যেস হচ্ছে ক্রমশ উপর থেকে নিচেরদিকের সড়ক নম্বর ধরে এগোনো। তারপর দু'বার এমাথা-ওমাথা করে প্রায় পাঁচ মাইলের মতো হেঁটে কিছুক্ষণ স্ট্রেচ করে বাড়ী ফেরা। আজকেও তাই ইচ্ছে। উপরের পাথুরে রাস্তা ঢাল বেয়ে নেমে যাচ্ছে নিচের মসৃণ রাস্তাতে। এটাই প্রধান পথ, একসঙ্গে এরকম সরু কতকগুলো ঢাল নেমে এসে রাস্তাটাতে মিশে গেছে। কুহু হাঁটতে শুরু করলো, এখন একটু জোরেই। পাশ দিয়ে ট্রাইসাইকেলে একটা ফুটফুটে মেয়ে খিলখিল হাসতে হাসতে পার হয়ে গেল, পাশে বাবা দৌড়াচ্ছে। আরেকটু দূরে ফুটবল নিয়ে দু'টো কিশোর একজন আরেকজনকে ছুড়ছে আর লুফছে। এবার একটু একটু করে ঘামছে কুহু, পাশের হাডসন নদী থেকে হাল্কা ঠান্ডা বাতাস আশার পরও। সাধারণত অন্যদিন আইপডও থাকে কানে লাগানো, আজকে স্নিগ্ধ রোদ্দু্র বিকেল দেখে হয়তো আর খেয়াল ছিল না। খুব একটা যে মিস করছে তা না, কিন্তু কি জানি নেই মনে হচ্ছে খালি।
আন্দাজে মনে হলো প্রায় এক মাইল হয়ে গেছে পেরোনো কুহুর। ডানে বার্জ যাচ্ছিল, হর্ণের শব্দে হাঁটা কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে বার্জটার চলে যাওয়া দেখছিল। হঠাৎ পেছন থেকে নাম ধরে ডাক। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো একটা ছোট দেবশিশু ওর দিকেই আসছে। আরে, এ তো হেনরি! কেইটির দেড় বছরের ছেলে, নিয়মিত স্কুলে মায়ের সাথে আসে, অনেক সময় ক্লাসেও ঘুমিয়ে থাকে স্ট্রলারে। কেইটি সেই স্ট্রলার ঠেলে এগিয়ে হেসে জড়িয়ে ধরলো কুহুকে। হেনরি ততোক্ষণে কুহুর কোলে উঠে গেছে।
''হেই, ওয়াটস আপ? হাঁটতে বেড়িয়েছো?" হেনরির সিপিকাপ বের করতে কেইটি তখন ব্যস্ত।
''হ্যাঁ", কুহুর উত্তর, ''দেখ না কি সুন্দর রোদ উঠেছে আজকে। আশা করি, আর তুষারঝড় দেখতে হবে না আমাদের।"
"ইয়া, হোপফুলি"।
কুহু তখন হেনরিকে দু'পায়ের মধ্যে আটকিয়ে ওকে বীব পড়াচ্ছে। আর মা ছেলেকে পানি খাওয়াতে ব্যস্ত, একটু জোরও করতে হলো কেননা সামনের গাছটাতে আচমকা দৌড়ে এসে তড়াক করে একটা কাঠবেড়ালি উঠে যাচ্ছে, হেনরি তখন একছুটে গাছটার কাছে চলে যায় পারলে। কেইটি সেটা দিলো না দেখে ভ্যা করে কেঁদে দিলো ছেলেটা। কুহুর দেখে ভারী মায়াই হলো, তাড়াতাড়ি কোলে তুলে নিয়ে হেনরিকে ঠান্ডা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। পেছন থেকে কেইটি বললো এগিয়ে যেতে, ও তখন ব্যাগে সব ঢুকাতে স্ট্রলার নিয়ে যুদ্ধ করছে ।
কেইটি খানিক্ষণ পর কুহুর পাশে চলে এসেছে। ''তো সামারে কি করছো?"
হেনরির মুখ থেকে কুহুর দৃষ্টি চলে যায় কেইটির মুখের উপর।
"সেমিস্টার শেষ হলে দেশে চলে যাব। জানোই তো, আমার এখনো হোম রেসিডেন্সি ব্যান আছে এক বছর, কাজ করতে পারবো না।" কুহু হেনরির হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে খেলছে।
''ওহ্, কোনো মানে হয়? তুমি এখানে জব পেয়ে যাবে, আরেকটু যদি অপেক্ষা করো। জব মার্কেট এখন আস্তে আস্তে ভালোর দিকে।" কেইটি তখন কুহুকে পাশ দিয়ে জড়িয়ে ধরে হাঁটছে।
কুহু কিছু বললো না, খালি মুচকি হাসল।
"তোমার কি প্ল্যান, কেইটি?" সাইকেলের বেলে ডানে তাকালো কুহু, সুর্য্যের তেজ এখন বেশ স্তিমিত, হাল্কা সোনালী আভায় ছেয়ে আছে পুরো পার্ক। নদীটা যেন সোনালি তবকে মুড়ে।
"ওয়েল, আমি নিউ হ্যাম্পশায়ারে চলে যাচ্ছি। ওখানে আমাদের স্কুল বোর্ডের ইলেকশনে আমি স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে দাঁড়াচ্ছি। এতোদিন তো শুধু পড়ালাম, এবার পলিসি মেকিঙ-এ না হয় নামি!"
কুহু আসলে অবাক না মুগ্ধ, বুঝে উঠতে পারলো না। দাঁড়িয়ে গেলো অজান্তেই। কেইটি কুহুর হাত থেকে হেনরিকে নিয়ে স্ট্রলারে বসাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। কুহু এখন রীতিমতো হাত কোমরে দিয়ে দাঁড়িয়ে।
কেইটি তখন ফেরার পথে। কুহুর আর পাঁচ মাইল হাঁটা হলো না। মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে গেল কেইটির বাবার কথা, যিনি ওদের স্কুলবোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন প্রায় নয় বছর, তারও আগে বিভিন্ন টার্মে ওর স্কুলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বোর্ডে বহু্বার। স্কুলের সামান্য শিক্ষক হিসেবে শুরু করা ক্যারিয়ার আজ বিশাল সাফল্যমন্ডিত। এখন ওর বাবাকে দেখে কেইটি নিজে ওর ছোটবেলার স্কুলে অবদান রাখতে চায়। ওর স্বামী, টাইলার, নিজেও স্থানীয় ইলেকশনে দাঁড়াতে যাচ্ছে সামনের বছর।
ঢাল ধরে হেঁটে উঠে যাওয়ার আগে কুহু আরেকবার কেইটির মুখের দিকে তাকায়। কেইটি তখন এক হাতে স্ট্রলার আর আরেক হাত রীতিমতো নাড়িয়ে ইলেকশন প্রক্রিয়া বোঝাচ্ছে। কেইটির আঙ্গুলগুলো যেন পড়ন্ত বিকেলের রোদে স্বপ্ন বুনে চলেছে আপন মনে।
রাস্তার পাশে পার্ক করা গাড়িতে হেনরিকে বসিয়ে, স্ট্রলার গুটিয়ে, কেইটি যাওয়ার আগে আরেকবার জড়িয়ে ধরলো কুহুকে। টাইলার আগে এসে গাড়িতে বসেছিল, বের হয়ে এসে হেনরিকে কার সীটে বসাতে ব্যস্ত। ও-ও এসে কুহুকে বিদায় জানিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো। কেইটি বারবার প্রতিঞ্জা করালো কুহুকে যাওয়ার আগে নিউ হ্যাম্পশায়ারে এসে এক সপ্তাহ থেকে যাওয়ার জন্য, গাড়ির ভেতর থেকে টাইলারও বলে উঠলো সেইলিং-এ যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
কেইটিরা চলে গেল।
ফিরতি পথে হাডসন নদীটা এবার বাঁদিকে কুহুর। উল্টোদিকে খেয়াল করলে উঁচু গাছগুলোর ফাঁক দিয়ে নিউ জার্সি দেখা যায়। গোধূলী চলছে। গাছগুলোর ফাঁক দিয়ে গলে আসা মিষ্টি রোদ যেন পাথুরে রাস্তায় কালো-সোনালীর আলপনা এঁকে যাচ্ছে বিরামহীন।
রাস্তায় এখন গাড়িরও শব্দ।
কুহুর হঠাৎ করে ঢাকার কথা মনে হলো। বাবার কথাও। সেই তখন থেকে, যখন কেইটি ওর নিজের বাবার কথা বলছিল। উত্তরাধিকার। পরম্পরা। ঐতিহ্য। ভাল, নামী স্কুলে পড়ে এখন ও নিজের শিকড়ে ফিরে যাচ্ছে কিছু দেওয়ার, করার ইচ্ছে থেকে। এই ট্রেন্ডটা ওবামা থেকে আরও গেঁথে বসেছে। বিকেলের স্নিগ্ধ আভায় ওর হাস্যোজ্জ্বল মুখে যেন সেই স্বপ্ন এসে খেলছিল।
কুহুর তখনও বাবার কথাই মনে হতে থাকে হেঁটে যেতে যেতে। মুক্তিযোদ্ধা বাবা। একসময়ের সরকারী চাকুরে। মায়ের হিসেবের সংসার। ছোট ভাই। নিজেদের বড় হয়ে যাওয়া, যেন না বলেই সময়কে, কিম্বা সময়ই হয়তো বলে বোঝাতে পারেনি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চিৎকার-চেঁচামেচি, খেলাধূলা, দিনভর আড্ডা, স্টাডি ট্যুর। পাশের আগেই ভাগ্যক্রমে চাকুরি। বাইরে পড়তে আসা। এসে আরও বড়ও স্বপ্ন দেখা।
কিন্তু এখানে রাজনীতি কোথায়? কুহুর রক্তে তো রাজনীতি মিশে আছে! দেশ যখন উত্তাল জোয়ারে ভাসছে স্বাধীনতার ডাকে, তখন ওরই পূর্বপুরুষ নিজ এলাকার প্রতিনিধি জাতীয় পরিষদে। বাবার নিজের হাতে তৈরী করা পোস্টার, দাদী আর ফুপুদের বাড়ী বাড়ী যেয়ে ক্যানভাসিং, বাবার বন্ধুবান্ধবদের শুধু চা খাইয়ে পিকেটিং-এ কাজে লাগানো, খুব বেশীদিন আগের কথা কী! অথচ, কুহুর নিজের স্বপ্নে রাজনীতির কোনো স্থান নেই। মাত্র দু'প্রজন্মেই এত স্বপ্নবদল?
গোধূলী তখন পেরিয়ে প্রায় সন্ধ্যে ছুঁই ছুঁই। রাস্তার দু'পাশে উঁচু সুরম্য অট্টালিকা। সূর্য্যের শেষ আভাটুকু আর দেখা হয়না তাই। কুহুর নিজের স্বপ্নে যেমন স্বার্থপরতা এসে অজান্তেই জুড়ে থাকে, সোনালী আভার ডানা যেন সেভাবেই মাথা কুটে মরে যায় এই ধূসর গহীন জঙ্গলে।।
- শরতশিশির -
মন্তব্য
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ধন্যবাদ হাসিব ভাই, মন্তব্যের জন্যে। আমি ভাবিই নি লেখা ছাপা হবে, মাত্র খুলে বসলাম।
হ্যাঁ, তা ঠিক। কিন্তু বলতে চাইছিলাম সক্রিয় রাজনীতির কথা, আর্মচেয়ার জেনারেল নয়। যেটা হয়তো এখন আর অত সরললেখায় পারিপার্শ্বিকতার বিচারে সম্ভব না। অথচ, সেটা একটা ভাল শক্তিশালী মাধ্যম।
অফটপিকঃ মনে করিয়ে দেবার জন্যে ধন্যবাদ। মনে রাখবো পরেরবার।
- শরতশিশির -
সরাসরি ইমেইল এ্যাড্রেস তুলে না দেওয়ার ব্যপারটা জানতাম না, ধন্যবাদ।
ছাড়পত্র...
সেই!
- শরতশিশির -
অডিও কনটেন্টের কপিরাইটের ব্যাপারে সচলায়তন একটু কঠোরতা অবলম্বন করে। অনুগ্রহ করে অন্য কোনো হোস্টিং বা ফাইল শেয়ারিং সার্ভিসের [উদাহরণ ইস্নিপ্স, বক্স.নেট, ইউটিউব] লিঙ্ক বা এমবেড কোড ব্যবহার করুন।
মেইল পাঠিয়েছি একটু আগে। গানটা প্লিজ আপলোড করে দেবেন যেহেতু আমি পারছি না।
আর এ দু'টো কমেন্ট মুছে দেবেন দয়া করে।
- শরতশিশির -
প্রকাশিত অডিওটি সম্ভবতঃ কপিরাইটকৃত গান। আপনার যদি পুনঃপ্রকাশের অনুমতি না থাকে তাহলে সচলায়তন গানটি প্রকাশে আপত্তি জানাচ্ছে। আপনার উত্তর না পেলে কিছুক্ষণের মধ্যে গানটি মুছে ফেলা হবে। যদি গানটি প্রকাশে আপনার অনুমতি থাকে তাহলে আবার আপলোড করবার অনুরোধ থাকল।
না, ঠিক আছে। ইরেইজ করে দেওয়া হোক। বেশী রাত হয়ে গেছিলো দেখে করা যায়নি। ধন্যবাদ।
আর, দয়া করে এই দু'টো নোটিফিকেশনগুলোও সরিয়ে দেওয়া যাবে কী?
আবারো অনেক ধন্যবাদ।
- শরতশিশির -
এ পর্যন্ত শুধু মন্তব্য পড়ে আপনার লেখার হাত সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরী হয়েছিলো, দেখা যাচ্ছে সেটা ঠিকই ছিলো
হোম রেসিডেন্সী ব্যান কেন কুহুর?!
I'm really touched, Snigdha'pa! আমি জানতাম যে নতুনদের লেখা আপনি পড়েন কিন্তু মন্তব্যও পড়েন, জেনে খুব ভাল লাগল। আমার টাইপ করতে অনেক সময় লাগে, বাংলা আমি প্রায় দশবছর পর লিখছি। গল্পের কি ছাইপাশ হলো যদি জানাতেন, দেখতাম কোথায় কোথায় ঘষামাজা করা যায়।
ধরা যাক, কুহু আগে একবার ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে এসেছিলো। দুই বছরের একটা সার্ভিস ব্যান থাকে, একবছর কাটিয়ে আসার পরও আছে আরেক বছর।
আর, আমরা কিন্তু একই লীগের স্কুলে। আপনি খালি আপস্টেইট থেকে, আমি শহরেরটাতে।
ভাল থাকবেন।
- শরতশিশির -
আমি কিন্তু এখন ভার্জিনিয়ায় থাকি। আপস্টেটে থাকলে 'ফল'এর সময় বেড়াতে আসতে বলতাম, ওইসময় আমাদের ক্যাম্পাস অপূর্ব!
গল্পটাকে 'গল্প' মনে করাটা একটু কষ্টকর, কুহুকে ছাড়িয়ে এটা আসলে আপনার কাহিনী হয়েই উঠে আসে। আপনি হয়তো নিজের কথাই বলতে চেয়েছিলেন, শুরুটা করেছিলেন কুহুকে নিয়ে গল্প হিসেবে, পরে গিয়ে সব্বাই একটু মিলেটিলে গ্যাছে আর কি
আপনি সাহিত্যের ছাত্র? বাহ!!!!!
হ্যাঁ, সেটা জানি (ফেইসবুকে সব দেখা যায়)!
আপনি ঠিকই ধরেছেন। আমার গল্প হিসেবেই শুরু হয়েছিল, দু'রাত ধরে লিখছিলাম, পরের রাতে মনে হলো কুহুকে সামনে নিয়ে আসি। নিজে আসলে একটু বেশী 'র' হয়ে যেতো। কিন্তু শেষে এসে আমার নিজের মধ্যকার টানাপড়নটাই চলে আসে, যেন আমি জোরে উচ্চারণ করে নিজের মনের চিন্তাটা বাইরে নিয়ে এসেছি। এখন সেই বয়সে এসে গেছি, যখন চিন্তাভাবনাগুলো ভেতরে না রেখে বাইরে নিয়ে আশাই ভাল, কিম্বা উচিত।
সেই মিলে যাওয়াটা খুব বাজে হয়ে গেছে কী? কোনও রকমের ছন্দপতন? আর, 'মুক্তিযুদ্ধ', 'বাবা' - এই শব্দগুলো আবেগী করে ফেলে, যদিও আমি সাধারণত তা নই।
সাহিত্যের ছাত্র, তাও ইংরেজীর। পড়াইও। অনেক বছর বাংলা লিখি না, তাই অনেক সময় অজান্তেই ইংরেজী শব্দ চলে আসে। স্কুলেও ইংরেজীর উপর খুব জোর ছিল, বাংলা মিডিয়াম হলেও। আর এখনতো এখানে নিজের স্কুলে কোন বাঙালী নেই, যেখানে থাকি সেখানেও না। কাজেই, সব ইংরেজিতেই।
আমাকে 'যোগ' করে নিয়েন ফেইসবুকে। সেখানে আরও কথা হবে। ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
ঠিক তাই...
বেশ কিছুদিন ধরে আগ্রহ নিয়ে মন্তব্যে চোখ বুলানো চলছিলো, আজ লেখাতেও ধার টের পাওয়া গেলো!
ইয়ে, ইমেইল এ্যাড্রেসে ফেসবুকের আপনাকেও চিনে ফেলেছি
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওরে সব্বোনাশ! এত গোয়েন্দাগিরি! গোয়েন্দা ঝাকানাকা জানতাম, গোয়েন্দা ঝিকিমিকি জানতাম - গোয়েন্দা তিথী এবং তার 'গোয়েন্তিস' কান্ডকারখানা, কিভাবে চোখ এড়িয়ে গেলো, বলো দিকিনি!
ধরা যখন খেয়েই গেলাম, 'যোগ' করে ফেলো ফেইসবুকে। সেখানে কথা হবে। সময় নিয়ে পড়লে, জেনে খুশি হলাম। ভাল থেকো।
- শরতশিশির -
'যোগ'
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কি বলা উচিত ছিলো, 'এডানো'?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
না না! এডানো না। আমি নিজেও 'যোগ' চর্চা করি কিনা। তাই বললাম
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সাধে কি আর লম্বা লম্বা মন্তব্য!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
খোমাখাতায় দু'জনকে একই দিনে এডানো হলো!!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এবার সিঙ্গাপুর তাহলে আসতেই হয়, আমার বাবার খুব ভাল বন্ধু অনেকবছর ধরে আছেন সিটিতে। ফেইসবুকে 'যোগ' করে নাও, কেমন? ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
স্বপ্নবদল কোনও স্বার্থপরতা নয়, সময়ের প্রয়োজন। কুহুর নিজেকে দোষী ভাবার কোনও কারণ নেই। পরিস্থিতির সাথে তাল মেলাতে গিয়ে মানুষ নিজেকে বদলে ফেলে, কিছুটা স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়।
আমার এইই একটা সমস্যা। বিদেশের পটভুমিতে লেখা কেমন জানি দূর-দূর মনে হয়। চোখে ভেসে উঠতে সময় লাগে।
সে'দেশে যবে বাদল ঝরে
কাঁদে নাকি প্রাণ একেলা ঘরে?
বিরহব্যাথা নাহি কি সেথা?
বাজে না বাঁশি সে নদীর তীরে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওরে দুষ্টু!
- শরতশিশির -
বুঝতে পারছি কী বলছো। হয়তো আমারই অক্ষমতা, তোমাকে কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যেতে না পারা।
যদি অভয় দাও তো বলি - আমার কাছে কোন গল্পে বা যেকোন লেখাতে স্থান-কাল-পাত্রটা সবসময় পরিচিত হওয়াটা জরুরি নয় (আসলেই না)। কারণ গলপ বলা হচ্ছে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি, এবং সব ভাষাতেই গল্প আছে। তুমি যদি সেই গল্পের মূল বক্তব্য কিম্বা গূঢ় ভাষাটা ধরতে পারো, তো বাকী সবকিছু চোখের সামনে এমনিতেই ভেসে উঠবে। সেজন্য দেখার অভ্যেসটাও তৈরী করতে হয় (এজন্যই আমরা এত দেশ-বিদেশের বই পড়ি, সিনেমা দেখি)। আর, এটা যদি ইংলিশে লেখতাম আমি, তাহলে অনায়াসে 'ডায়াসপোরা' (অভিবাসী) ক্যাটাগরিতে পড়ে যেত। তখন তোমার অন্যরকম লাগতো কী?
ভাল থেকো।
- শরতশিশির -
লেখার হাতটি খুব ভালো, ঝরঝরে।
অনেক শুভেচ্ছা।
তমিজ উদদীন লোদী
ধন্যবাদ অশেষ, আপনাকে। অনেকবছর পর লিখছি, তাই লেখতে কষ্ট হচ্ছিল বেশ। সময় নিয়ে পড়েছেন দেখে ভাল লাগলো।
ভাল থাকবেন।
- শরতশিশির -
লেখা ভালো লেগেছে। চালু থাকুক।
স্বপ্নবদল নয়, হয়েছে রাজনীতির বদল। এই বদলে যাওয়া রাজনীতির ধারায় কুহুদের না আসাই ভালো। দেশের মঙ্গল এখন অরাজনৈতিক উপায়ে করাই শ্রেয়।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দেশের মঙ্গল এখন অরাজনৈতিক উপায়ে করাই শ্রেয়
একেবারেই ঠিকনা বস্। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধাণ করতে হবে। দেশের মঙ্গলের জন্য অরাজনৈতিক উপায়ে চেষ্টা করা মানে হচ্ছে উত্তর পাড়াকে খবর দেয়া। উনারা যখন আসেন তখন রাজনীতির ব্যাপারে বদনাম গেয়ে অরাজনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধাণের কতাহ বলেন।
কোন যুক্তিতেই আরেকটা ১/১১ দেখতে চাইনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডব'দা, এসে কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এসেই যখন ফেলেছেন, জানাবেন কি কেমন লাগল?
যতটুকু আমার নিজের বুদ্ধিতে কুলোয়, আমার মনে হয় তাসনীম ভাই বলতে চেয়েছেন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে না জড়িয়ে অন্যভাবে দেশসেবা করার কথা। হতে পারে তা সমাজসেবা (চ্যারিটি, এনজিও ইত্যাদি) কিম্বা কোনপ্রকার পলিসি মেকিং-এর মধ্য দিয়ে। কুহুও হয়তো সেটাই ভাবছে।
তবে, আক্ষেপটা ছিল অন্যরকম। দেশের রাজনীতি যদি এত কলুষিত না হতো, তা হলে কুহু রাজনীতি দিয়ে কিছু ভাল অবদানমূলক কাজ করতে চাইতো, যেটার ব্যাপ্তি হতো বৃহৎ। কারণ, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কার্যকর মাধ্যম, এখন পর্যন্ত। তাই না?
ভাল থাকবেন।
- শরতশিশির -
পরোক্ষভাবে সেবা করে কিছু মানুষের উপকার করা যেতে পারে। কিন্তু আখেরে প্রত্যক্ষ রাজনীতি ছাড়া উপায় নেই। এটা আমার বিশ্বাস। চ্যারিটি কোন সমাধান নয়, এনজিও তো নয়ই। এক ভারতীয় উদ্যোক্তার কথা খুব মনে ধরেছিল একবারঃ"ডোন্ট গিভ দেম ফিশ, টীচ দেম হাউ টু ফিশ ইন্সটেড।"
রাজনীতি বলতে এখন দেশে যা প্রচলিত তা এতটাই পূঁতিগন্ধময় হয়ে গেছে যে রাজনীতির নাম শোনামাত্র সবাই নাক চেপে বিকল্প পথ খোঁজে। আমার মনে হয় এখন ঘুরপথে না এগিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামা দরকার।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বলা হয়তো অনেক সহজ, আর বাইরে থেকে দেখলে অনেককিছুই হয়তো কল্পনা করি আমরা কিন্তু ভেতরে ভেতরে অন্য খেলা চলছে অবিরাম। পঁচা শামুকে পা কাটা তখনই মানায় যখন সেটা করতে আরও (ক্ষমতাধর) সমমনা লোকজন পাওয়া যায় সাথে, ট্যাকের জোর আর প্রভু (?) রাষ্ট্রগুলোর পদে পদে আশীর্বাদ থাকে। এগুলো যেমন আমি জানি, তেমনি তুমিও জান। সময় আর সুযোগ মিলে গেলে কেন না, কিন্তু কবে সেটা হবে, আদৌ হবে কি-না, আমি সন্দিহান।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
নিজের মেরুদন্ডহীনতায় দুঃখ হয়, আপু। দেখছি, বুঝছি তবুও সাহস করে এগোই না। "নেতা আসবেন" ভেবে হাপিত্যেশ করতে থাকি আর সে ফাঁকে সবকিছু চলে যায় নষ্টদের দখলে। চেনা বিছানা ছেড়ে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার সাহসটুকু আর করা হয়না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দেশে যে একদম কিছু হচ্ছে না, তা তো না। অনেক ছোট ছোট ভাল কাজ চলছে, সেগুলো আমরা অত জানি না, বা পাত্তা দেই না। আমার মনে হয় যে, নিজেদের অবস্থান থেকে যার যার যেটাতে যোগ্যতা আছে, প্রশিক্ষণ আছে, কাজ শুরু করা উচিত। এরকম করে যখন শত শত পদক্ষেপ একসাথে কাজ করবে, তখন অবাক হয়ে দেখবে যে শান্ত অথচ কী বিরাট পরিবর্তন আসবে দেশে। সেটাই আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
রাজনৈতিক সমস্যার উপায় অরাজনৈতিক উপায়ে করা অসম্ভব ঘটনা ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঠিক। সেটা আমিও বিশ্বাস করি। কিন্তু, এখন কী উপায় আমাদের এই অরাজকতা থেকে মুক্তি পাওয়ার? বিকল্প অন্য কিছু কি চিন্তা করা উচিত আমাদের?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
কোথায় আমি আপনাকে 'মনের মাধুরী' মিশিয়ে মন্তব্য করতে যাব, সে জায়গায় দেরী হওয়াতে এখন আলোচনার মোড় একটু ঘুরে গেছে। কিন্তু সেটা ভাল, আমাদের সেটা দরকার আছে।
আমি অনুরোধ করি, যদি সময় থাকে (যদিও আপনি 'অরাজনৈতিক উপায়' বলতে আমাকে রাজনীতিতে না জড়াতে বলেছেন, আমি বুঝেছি সেটা), একটু গুছিয়ে বলবেন কি 'অরাজনৈতিক উপায়' বলতে কোন কোন পন্থা বের করা উচিত, কিম্বা কি উপায়ে সকলকে সাথে নিয়ে একটা বড় ধরণের পজিটিভ চেইঞ্জ আনা যায়।
এটা আপনার নিজস্ব মতামত হতে পারে, বা নিজের কমিউনিটি থেকে দেখে হতে পারে। আমি কিন্তু অস্টিনে নেইবারহুড কমিটিতে ছিলাম।
সময় নিয়েই বলেন। অসুবিধে নেই। ভাল থেকেন, এমিল ভাই।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
কমেন্টগুলো এখনই চোখে পড়ল। দেশের মঙ্গল এখন অরাজনৈতিক উপায়ে করাই শ্রেয়। এর মানে এই না যে রাজনীতিক উপায়ে মঙ্গল সম্ভব না। কিন্তু দেশের রাজনীতি খুব বেশি কলুষিত হয়ে গেছে, উত্তর পাড়ার আগমন এরাই তরান্বিত করেছে, সেনাশাসন কিন্তু ব্যর্থ রাজনীতিরই ফসল। দেশের রাজনীতি যে নষ্ট সিস্টেমে চলে গেছে সেটার ভেতর ঢুকে ভালো কিছু করা জটিল। তবে রাজনীতির শুদ্ধিকরনের দায়টা রাজনীতিবিদেরই, উত্তরপাড়া আসলে আরো খারাপ হবে। রাজনীতিকে ভালো করতেও এর ভেতরে ভালো লোকের দরকার হবে।
রাজনীতির ভেতরে না ঢুকেও দেশের মঙ্গল সম্ভব। মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কথাই ধরুন। উনিতো রাজনীতি করছেন না, কিন্তু উনার সাহসী চিন্তাচেতনা দেশের অনেক তরুনের জন্য আদর্শের মত। এই রকম একটা মানুষ আরো দশটা থাকলে কি দেশের মঙ্গল নয়?
আগামী ৪/৫ দিন ব্যস্ততা আছে, তাই একটু তাড়াহুড়া জবাবই দিলাম
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বস্,
রাজনীতি আমাগো ড্রইংরুম পারাইয়া শোবার ঘরে ঢুই্ক্কা পড়ছে। বাদ্দেওনের কোন উপায় নাই।
শরতশিশির,
লেখালেখি চালু থাকুক।
ভাব সম্প্রসারণ করো। আমি শুনতে চাই তোমার নিজের কী আইডিয়া এ ব্যাপারে, ঠিক আছে?
আর, উৎসাহের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। যেই অবস্থা এখন প্রজেক্ট আর কোর্স ওয়ার্ক নিয়ে, আপাতত, জানি না কবে লেখবো।
আর কালকে তোমার লেখা ভরিয়ে 'সচল টেকিজ্ঞান ১০১' চালাবার জন্য দুঃখিত। হে, হে!
ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
তাসনীম ভাই
এ রকম দশটি কিন্তু না, দশটিরও অনেক বেশি মানুষ আছে বলেই বিশ্বাস আমার। কিন্তু তাঁদেরকে একত্রে না করলে কিংবা তাঁরা একত্রে কাজ না করলে যে পরিবর্তনের কথা আমরা চিন্তা করি সেটা আসবে না বলে মনে করি।
সাবলীল লেখা। পড়ে ভালো লাগলো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
অনেক ধন্যবাদ, সিমন ভাই। উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন কিছুটা, তাহলে এত ব্যস্ততার মাঝেও লেখার দুঃসাহস করা যায়।
ভাল থাকবেন। ঢাকায় আসলে দেখা হবে।
- শরতশিশির -
সচলে স্বাগতম। খুব ঝরঝরে লেখা, ভাল লাগার মতন। পড়ে ভাল লেগেছে।
লেখতে থাকবেন আশা করি।
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ। ইচ্ছে আছে কিন্তু খুবই ব্যস্ত সময় যাচ্ছে আসলে, দেখা যাক। লেখবো, যখন ভেতর থেকে ইচ্ছেটা একদম তেড়েফুড়ে এসে লিখিয়ে দিয়ে যাবে। আমি অত ঘন ঘন লেখতে পারি না, আর বেশ স্লো বাংলা টাইপিং-এ। কাজেই।
ভাল থাকবেন।
- শরতশিশির -
যখন লেখতে ইচ্ছে হবে তখন টাইপিংয়ের গতির ধার না ধেরে কাগজে লিখে ফেলতে পারেন, পরে টাইপ করলেন, তখন দেখবেন সম্পাদনাও করা যাচ্ছে দরকার ও ইচ্ছেমতন
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
উত্তম প্রস্তাব। আমার নিজের যে মনে হয়নি, তা কিন্তু না। একবারে লেখাই ভাল, না হলে ডাবল খাটনি। দেখা যাক। ধন্যবাদ আবারও।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
দেরিতে এলেন। তবু এলেন তো !!
স্বাগতম !!
গল্প খুব ভালো লাগল।
সবচেয়ে ভালো লাগল শেষটা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কী করবো, সাহস করে লেখে ফেললাম। তাসনীম ভাই বললেন, ধূগো-ও, সব কমেন্ট করা দেখেই, কাজেই একটা ছোট চাপও ছিল। টাইপ করতে বেশ সময় লাগে, আর আমার এখন যা-তা অবস্থা স্কুল নিয়ে। দু'রাত ধরে মাথার মধ্যে ঘুরঘুর করছিলো, একটা আবছা ছবিও ছিল, কিন্তু কাল সারা রাত জেগে পরে শেষ করলাম। লেখে তখন এত টায়ার্ড ছিলাম যে, যে গান পোস্ট করেছিলাম, সেটা নিয়ে গন্ডগোল হয়ে গেলো। পরে আবার না হয় দেওয়া যাবে।
তোমার ভাল লাগছে তো না, এখানে? ঢাকায় সামারে আসলে দেখা হবে, আর জানোই তো, রিইউনিয়নও হতে হবে। বাইরে এপ্লাই করা শুরু করো। ভাল থেকো।
- শরতশিশির -
১. আপনার বর্ণনার ভঙ্গী চমৎকার - পাঠক পড়ার সময় দৃশ্যপটে নিজেকে অনুভব করতে পারেন।
২. ক্যাটেগরীতে নয়টি বিষয়ের ট্যাগ দেবার দরকার কী? লেখা শেষ হলে পড়ে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন আপনার পাঠকের কাছে একে কী হিসাবে পরিবেশন করবেন। দেখবেন একটা/দুইটা ট্যাগেই কাজ হয়ে যাচ্ছে।
৩. অল্প কিছু টাইপের ভুল আর অল্প কিছু অদরকারী ইংরেজী শব্দ আছে। সামনের বার নিশ্চয়ই এগুলো থাকবেনা।
৪. কিছু কথপোকথনে কুহুর সংলাপ বাংলায় আর কেইটিরটা ইংরেজীতে হয়ে গেছে। এই ব্যাপারটা এড়াবেন।
৫. রাজনীতি নিয়ে আপনার অনুভব পাঠকও অনুভব করতে পারেন। তবে এ'ব্যাপারে হাল ছেড়ে না দিয়ে নিজে কিছু করার কথা ভাবাই উচিত। এই প্রসঙ্গে প্লেটোর উক্তিটা আবার মনে করিয়ে দেই,
"One of the penalties for refusing to participate in politics is that you end up being governed by your inferiors."
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বিনয় করে বলছি না, আমি সত্যি খুব খুশি আপনার গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে। এটাই আমি চাইছিলাম। সময় করে করেছেন, ভাল লাগল।
১. ধন্যবাদ। দশ বছর পরে বাংলা লেখা, ভয় ছিল। তারপরও আরও চেষ্টা থাকবে।
২. এবার হেসে ফেললাম। না, ট্যাগ এতগুলো দেওয়ার ইচ্ছে ছিলনা, মাত্র চারটে সম্ভবত ট্যাগ ছিল। বিপত্তি হলো তখনই, যখন 'চুম্বক শব্দগুলো' (কী ওয়ার্ডস) চাইলো। আপনি দেখে থাকবেন যে, গবেষণা পত্রগুলোতে কী ওয়ার্ডসগুলো নিচের দিকে থাকে লেখার। আমিও তাই ভেবেছিলাম, তাই এতগুলো ট্যাগ পড়ে গেছে।
৩. টাইপো না করার চেষ্টা করছি, ইংরেজি শব্দও যত কম পারি ব্যবহার করতে, তত ভাল। দেখা যাক।
৪. কথোপকথনে বাংলা-ইংরেজীর মিশেল নিরীক্ষামূলকভাবে করলাম। আমি দেখতে চাইছিলাম যে, কুহুকে বাংলা সংলাপে বাঙালী স্বত্তা আর কেইটির ইংরেজীর আধিক্যে ওর পরিচয় আরও স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে কি-না।
৫. প্লেটোর দর্শনের সাথে আমি একমত। নিজের (বা কুহু, এখানে) মধ্যে সেটা নিয়ে চিন্তা চলে বলেই আসলে গল্পের পেছনে গল্প বলা। নিচে হিমুকে লেখেছি, আপনাকেও বলছি, আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র রাজনৈতিক অংশগ্রহণই পারে সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নয়নকাজে অবদান রাখতে। কিন্তু যেহেতু ব্যবস্থাটা অনেকখানি পঁচে গেছে, কাজেই হয়তো অন্য কোনো উপায় ভাবার সময় আমাদের এসে গেছে। সেটা কী হতে পারে, সেটা আরেক রহস্য।
ধন্যবাদ অনেক, পাণ্ডব'দা। চলুন, আলোচনা জারি রাখি। ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
বিকল্প অরাজনৈতিক উদ্যোগগুলো কেমন হতে পারে? একটু ধারণা দিন। মানে, অন্তত একটা মডেল বা আউটলাইন।
ভাল লাগছে আপনি এসেছেন দেখে, হিমু। আলোচনা যখন করছিই আমরা, একটু ভেবেচিন্তে বলি, কাজেই আমাকে একটু সময় দিতে হবে। তাসনীম ভাইকেও। কারণ এখানে হু্ট করে বলে ফেলাটা মানায় না।
আমি নিজে বিশ্বাস করি যে, একমাত্র গণপ্রতিনিধি (নির্বাচন করে) হওয়া ছাড়া দেশের কাজে হাত দেওয়া বড় আকারে সম্ভব না। তাই ঠিক বিকল্প ধারাটা কি হতে পারে এবং অরাজনৈতিক উদ্যোগ(গুলো) আদৌ তার সমাধান হতে পারে কি-না, একটু ভেবে বলি। ঠিক আছে?
ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
সচলে স্বাগতম। হাচলে অভিনন্দন।
বাংলাদেশের মত জনবহূল দেশে রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন ছাড়া বড় ধরণের উন্নয়ন আমার মতে অসম্ভব। অর্থনীতির ব্যাপারগুলো ঘোলাটে লাগে। তারপরেও আমার মতে আমাদের দেশে চাহিদার সাথে উৎপাদনের পার্থক্য যে কোন সীমার বাহিরে। এর সাথেই জড়িত রাজনীতির অবক্ষয়, দুর্নীতি কিংবা মূল্যবোধের অবক্ষয়। এখন অবস্থা এমন যে নীচ হতে সকল মানুষের চিন্তার উন্নয়ন ঘটিয়ে যে কোন পরিবর্তন সম্ভবপর নয়। তাই পরিবর্তন আসতে হবে উপর হতে কিংবা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে। যদি কেউ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন বা করতে চায় আমি বলবো রাজনীতিতে আসুন ।
আমি মনে করি প্রজন্ম বদল হয়েছে সত্যি এবং সেই সাথে এ প্রজন্মের উচিত দেশ গঠনে ভুমিকা রাখা। বর্তমান প্রজন্মের মানুষগুলো একত্র করা একটি সাধারণ লক্ষ্যে - এটা সময়ের দাবী। আমি মনে করি দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, কিন্তু তাঁদের সামনে কোন বিকল্প নেই। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে একই বৃত্তে বারংবার ঘুরপাক খায়, কিংবা হতাশ হয়ে এক/এগারোকেও স্বাগত জানায়। সেই বিকল্পটুকু দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করতে পারি নুতন একটি প্লাটফর্ম গঠনের মাধ্যমে।
একদম অফটপিকঃ 'কাপা....ক'-এর সাথে আমার দেখাও হয়েছিল। সে আরেক গল্প। না, আমি তার ভাবধারায় বিশ্বাসী নই এবং ভবিষ্যতেও হবো না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
লেখাটি ভালো লেগেছে। আমরা আসলে যতটা না স্বার্থপর তারচেয়ে বেশি অলস।
রাজনৈতিক ভাবে এগোনোর জন্য আমাদের তেমন মানুষ লাগবে। কিন্তু কই? আমাদের একজন নেহেরু কই? নেহেরু হতে চায় এমন যুবক কই? আমাদের যুবকদের মধ্যে কারো তো তেমন স্বপ্ন দেখিনা। এটাতো শুধু 'পলিটিক্স' করার বিষয় নয়। দীর্ঘ্য আত্মবিকাশ-অধ্যাবসায় এর ব্যাপার আছে।
আর হঠাৎ একজন 'নেহেরু-তাজউদ্দিন' হয়ে গেলেও তো হবে না। তার সঙ্গীসাথীও লাগবে। আমাদের তেমন বেদনা ধারণকারী নতুন প্রাণ কই? তেমন শিক্ষা?
অরাজনৈতিক হোক বা রাজনৈতিক। আমাদের সবার প্রথমে দরকার 'শিক্ষাবিপ্লব'। দরকার বড় মনের মানুষ । শুভ বোধ সম্পন্ন আর বহুদিকে বিকশিত মননের অধিকারী মানুষ। শয়ে শয়ে। হাজারে হাজারে।
আসলে একটু চাইলেই অনেক কিছুই করতে পারি আমরা। শুধু খুঁজে নিতে হবে শুরু করব কোথা থেকে। কী ভাবে?
দেওয়ালে তো পীঠ সবারই ঠেকে গেছে। তারপরও হচ্ছেনা কোনো বিপ্লব। হচ্ছেনা কিছু। কারণ আমাদের স্বপ্ন নেই। আমাদের মধ্যে নেই স্বপ্নের ফেরীওয়ালারা। সবার প্রথমে মানুষের মধ্যে সেই আশার সঞ্চার করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, শুধু শুধু মাঠে বক্তৃতা দিয়ে কিছু করার মত সময় এখনো আসেনি। এসব চিন্তা ধারণ করার মত মনই তৈরি হচ্ছে না মানুষের মধ্যে। আমরা হতে দিচ্ছি না। দিচ্ছেনা এই পুরো ব্যবস্থাটাই।
এই মোবাইল, এফ-এম-রেডিও, ইনটারনেটের যুগে এমনটা তো হওয়ার কথা না। এইসব মিডিয়া আমাদের যুবকদের ভুলিয়ে রাখছে কোন অজানা বিভ্রান্তিতে। 'মৌজ ফুর্তি আর জোস' হয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতিদিনের চিন্তার গাঠনিক উপাদান। কিন্তু এই দুর্বার মিডিয়ার যুগে একের আগুন অন্যের মধ্যে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ার কথা। কিন্তু হচ্ছে নাতো! কেউ তো জ্বালছে না। প্রশ্ন: কিন্তু সে আগুন জ্বালবে কারা?
এই আমরাই।
'জীবন থেকে নেওয়া' এর মত চলচ্চিত্র চাই। চাই 'ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি' এর মত গল্প। হাসি আনন্দ আর সৌন্দর্যের মধ্যদিয়েই নিজেদের স্বপ্নগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে অন্যদের মধ্যে। সচলায়তনে এবং অন্যান্য অন্য সব অঙ্গনে যেসব নতুন প্রাণ দেখি। মেধাবী আর ভালোবাসাপূর্ণ হৃদয় দেখি। তারা চাইলেই এমনটা করতে পারে। সবার আগে আমাদের মানুষদের চোখে স্বপ্ন তুলে দিতে হবে। সেই সব অবাক সৌন্দর্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে যা আমাদের মানব জনমকে স্বার্থক করে। এটা হবার আগে। আপনি এখনকার চর্চিত 'ব্যাবহারিক রাজনীতি' দিয়ে কীভাবে কী করবেন?
আসে পাশে এত শিক্ষিত ছেলেমেয়ে দেখি। যদি বলি তোমার 'এইম ইন লাইফ' কী? কেউ উত্তর দিতে পারে না। এদের কী দোষ। তেমন শিক্ষাই তো এরা পায়নি। পায়নি তেমন শিক্ষক। মানুষ জন্মের সময় অল্পকিছু জিনিশ বাদে একটা 'এম্পটি ব্রেইন' নিয়েই আসে। তাদের কে স্বপ্ন দেখতে শেখাতে হয়। শেখাতে হয় সৌন্দর্যকে ধারণ করতে। অথবা কে জানে। এসব হয়তো শুরু থেকেই থাকেই। তাহলে তাদের সেই মনটা যেন 'অন্ধ' না হয়ে যায়। সে ব্যবস্থা নিতে হয়।
জন্মের পর থেকেই অন্ধকারে রেখে দিলে যেমন একটা মানুষ কদিন পরে জন্মান্ধ হয়ে যায়। আমাদের মননও আজ সেই প্রক্রিয়ার শিকার। সেটাই দূর করা দরকার সবার আগে।
দুঃখের বিষয় হলো। এমন চিন্তা ধারণ করে তেমন মানুষ খুঁজে পাইনা। হাতে গোনা হয়তো আছে কিছু। তাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই আবার ঘরকুনো। আমি নিজেই কী কম।
এত অল্প মানুষ নিয়ে আপনি কী রাজনীতি করবেন? আপনার স্বপ্নময় ভাষণ শুনে সেই স্বপ্নকে ইমেজ করতে পারবে কজন?
শেখাতে হবে। শেখাতে হবে।
হ্যাঁ রাজনীতি ছাড়া উপায় নেই। আসেন তার জন্য ক্ষেত্র তৈরি করি। এটুকু জেনে নিই যে আগে লাগবে মানুষ। যারা ধূসর হলেও, ভগ্ন রুগ্ন হলেও স্বপ্ন দেখতে জানে। তারপর আর সব। আমরা তো আর 'ফিউচার জেনারেশন' নই। আমরাই এখন প্রেজেন্ট। আমরা বর্তমান নিয়ে ভাবব। আর ভাবব আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মগুলো নিয়ে। আমাদের অতীতের কিছু জেনারেশন কত স্বপ্ন দেখেছে। দেখিয়েছে। আমাদের দিয়েছে আস্ত একটা দেশই!! মাঝে কিছুদিন নাহয় অন্ধকারই ছিলো। আবারো আলো জ্বলবে।
চমৎকার সব বই, নাটক, গান, গল্প, চলচ্চিত্র এসব হাতিয়ার দিয়েই সেই মানুষগুলো গড়া সম্ভব। হ্যাঁ সম্ভব। এই সচলেই কত সম্ভবনাময় মানুষ আছে। এদেরকে দূরে এবং কাছে থেকে দেখি। আর আমার বুকটা স্বপ্নে ভরে ওঠে। এই অল্প কজনের প্রচেষ্টাকে যদি আপনি 'রাজনীতি' বলেন। তবে সেটা তাইই। যদি না বলেন তাহলে নয়। নামটা তো মুখ্য নয়। তবে হ্যা। একবার আগুনটা জ্বেলে দিতে পারলে। তখন আর
আসেন আমরা ঘুম ভাঙানোর আন্দোলন করি আগে। মানুষকে জাগাই। 'রাজনীতি লাগবে কী না লাগবে' সে দার্শনিক তর্ক সেই জেগে ওটা মানুষগুলোর জন্যই রেখে দিই। তাদের মধ্যেই আমরা আমাদের মহান নেতাদের পেয়ে যাব। পেয়েযাব একাগ্র কৌতুহলী এবং স্বপ্নবাজ মানুষ। মানুষ ছাড়া নেতা হবে কী করে? রাজনীতি?
খুব বেশিদিন লাগবেও না জাগাতে। এ যুগটাই দাবানলের।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
রাজনৈতিক দিক দিয়ে আগাতে গেলে কী দরকার হয়? এখানে বুদ্ধ-ধর্ম্ম-সঙ্ঘর মত নেতা-নীতি-দল থাকতে হবে। কর্মী ছাড়া নেতা হয়না, দল হয়না। আবার নীতি ছাড়া নেতা বা কর্মী চলতে পারেনা, দল চলেনা। বিশ্বের যেসব দেশে রেনেসাঁর মত ঘটনা ঘটেনি সেখানে নেতাকে father-figure হতে হয় অথবা ঈশ্বরের অবতার। রেনেসাঁ ঘটানোর জন্যও অনেক নেতার দরকার হয় তবে সবচে’ বেশি দরকার কর্মীর। কর্মী হবার জন্য লড়াইয়ের মানসিকতা আর সাহস থাকলেই চলেনা, তার জন্য আরো চাই আত্মজ্ঞান, লক্ষ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা আর সঠিক কৌশল। আত্মজ্ঞান আসে শিক্ষা থেকে। সেই শিক্ষা পরনির্ভর বা পরাশ্রয়ী হবার নয়। আত্মপরিচয় লাভ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার শিক্ষা। সেখানে নীতির প্রতি নিষ্ঠা থাকতে হবে।শিক্ষা উদ্দেশ্যবিহীন কিছু নয়। শিক্ষার স্পষ্ট রাজনৈতিক চরিত্র থাকতে হবে। তিন ধারা-চার ধারার শিক্ষা দিয়ে বিপ্লব হয়না। বরং আত্মপরিচয় নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।
নেতারাই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হতে পারেন। এই নেতা শুধু রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাই নন্, গণসংগঠন আর পেশাজীবিদের নেতারাও। আমাদের সুনির্দিষ্ট রাষ্ট্রিয় দর্শন না থাকায় সবাই নিজের সুবিধামত একে ব্যাখ্যা করেন। তাই দার্শনিক নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। জীবন দর্শন নেই বলে নবীনরাতো বটেই প্রবীনেরাও বলতে সমর্থ হননা কী করা উচিত বা আমরা কী চাইতে পারি। স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে গেলে সংঘাত অনিবার্য। স্বপ্নের বাস্তবায়ন মানেই পুরাতনের সংকোচন বা বিলুপ্তির সাথে সাথে নতুনের নির্মাণ। পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত এমন কোন সংঘাত নেই যার কোন রাজনৈতিক চরিত্র নেই। রাজনীতি সবকিছুকে ধারণ করে বলেই সংঘাতের পথে রাজনীতির ভূমিকাকে খাটো করার উপায় নেই।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন জীবনকে যেমন মসৃন করে তেমন জটিলও করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিদিন নিজেকে নবায়ন না করলে তাই পিছিয়ে পড়তে হয়, অন্যকে নিয়েও সামনে আগানো যায়না।
সাহিত্য-সংস্কৃতি জীবনের প্রতিচ্ছবি। জীবন গতিশীল বলে সাহিত্য-সংস্কৃতিকেও গতিশীল হতে হয়। কিন্তু একটা মুক্তিযুদ্ধের পর এ’সব ক্ষেত্রে জীবনবোধের গভীরতার ক্ষেত্রে যে উল্লম্ফন কাঙ্খিত ছিল তা না আসার কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ না ঘটা। এর দায়টা কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা, কর্মীদের অসহিষ্ণুতা।
তাহলে কোনটা আগে চাই? প্রশ্নটি মুরগী আগে না ডিম আগের মত নয়। এক এক জন মানুষ জীবনের এক এক পর্যায়ে আছেন বলে গোটা ব্যবস্থাটিকে সবগুলো ফ্যাক্টর একসাথে নিয়েই কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কার যখন চলবে তখন শিক্ষা সংস্কার বা সাংস্কৃতিক পূনর্গঠনটাও চলতে হবে।
কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? ঘন্টা বাঁধার সাহস আর মানসিকতা আমাদের সবারই থাকতে হবে। এর নৈতিক ভিত্তি সত্তরটা হুর পাওয়া বা অক্লেশে ভূরিভোজনের বা অনন্ত যৌবন লাভের মধ্যে নয়। এর ভিত্তিটা নিজের সুন্দর ভবিষ্যতের বাস্তব ভাবনা আর দুনিয়ার বুকে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবার স্পর্ধিত আকাঙ্খার মধ্যে আছে।
সেই স্বপ্ন দেখাবার মত মানুষ আমাদের মধ্যেই আছে। তাদের কারো বয়স বিশ, কারো চল্লিশ, কারো ষাট। পরের আশায় বসে থাকলে নিজের ভবিষ্যত দাঁড়াবেনা। তবে তার জন্য দরকার আলোচনার, কূটতর্ক নয়। তার জন্য দরকার সৎ উদ্যোগের, ঝোপ বুঝে কোপ মারা নয়। আমরাও পারি - এই বিশ্বাস থাকতে হবে, আস্থা থাকতে হবে নিজের ক্ষমতায়।
হতাশ হবার কিছু নেই। ট্রান্সসোশাল চেঞ্জ নামের ধীরগতির অনিবার্য পরিবর্তনে অদরকারী-অশুভের বিদায়কে একটু ঠেলা দিলেই বিপ্লবের পথে আগানো যায়। সেই ঠেলাতে রাজনীতির ভাবনাকে অন্যের জন্য তুলে রাখার কোন উপায় নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপুর নাম অনেক বার ই দেখছিলাম কমেণ্টে , প্রথম লেখার অতিথি হবার ব্যাপারটা ঠিক ই আছে বলে মনে হইছে। লেখা ভালো লাগছে ।
মন্তব্য প্রতি মন্তব্য বেশ চিন্তাপূর্ণ । আরো সময় নিয়ে পড়া দরকার ।
@স্পর্শ ভাই আমি যখন টেনে পড়ি তখন এক ব্যাচ সিনিয়র এক মেয়ে, জিপিএ ফাইভ (মাত্র ৩২৭ জন পাইছিল সেবার) এক পত্রিকায় বলছিলো তার লক্ষ্য দেশের প্রধান মন্ত্রী হওয়া, আমার বেশ ভালো লাগছিল সেটা পড়ে । এখনো কেউ কেউ রাজনীতিতে ইন্টারেস্টেড ।
হ্যাঁ রাজনীতি ছাড়া উপায় নেই। আসেন তার জন্য ক্ষেত্র তৈরি করি। এটুকু জেনে নিই যে আগে লাগবে মানুষ। যারা ধূসর হলেও, ভগ্ন রুগ্ন হলেও স্বপ্ন দেখতে জানে। তারপর আর সব। আমরা তো আর 'ফিউচার জেনারেশন' নই। আমরাই এখন প্রেজেন্ট। আমরা বর্তমান নিয়ে ভাবব। আর ভাবব আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মগুলো নিয়ে। আমাদের অতীতের কিছু জেনারেশন কত স্বপ্ন দেখেছে। দেখিয়েছে। আমাদের দিয়েছে আস্ত একটা দেশই!! মাঝে কিছুদিন নাহয় অন্ধকারই ছিলো। আবারো আলো জ্বলবে।
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ধন্যবাদ, ভাই বোহেমিয়ান, এসে কষ্ট করে পড়ার জন্যে। জেনে খুশী হলাম যে আপনি দেখতেন আমার মন্তব্যগুলো, যদিও সেগুলো ইদানিং করা, আমি চুপচাপ অনেকদিন ধরেই পড়ি। এবারই প্রথম লেখা, তবে আপাতত বেশী এক্সপেক্ট না করা উচিত কারণ পড়াশোনা নিয়ে বেশ কাহিল অবস্থা এখন আমার।
হ্যাঁ, বুঝে, যথেষ্ট পড়ে মন্তব্য করা উচিত। আমার নিজেরও কিছু ভাবনা আছে, পরে আরেকটা পোস্ট দেবো এ নিয়ে। এরই মধ্যে নিজেকে তৈরী করতে থাকুন। আমরা-আপনারাই তো দেশের বর্তমান আর ভবিষ্যত, কাজেই আমাদের এখন পুরোদমে এগিয়ে আসা উচিত। ভাল বিতর্ক আমি সবসময়ই উপভোগ করি, তাই সাথেই থাকুন।
ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
স্পর্শ, মাত্র আপনার ব্লগে মন্তব্য রেখে এলাম। তখন কি আর জানি আমরা দু'জন দু'জনের ব্লগে লেখছি!
কিন্তু যতই আবেগতাড়িত হই না কেন আমরা, বিপ্লব আর দাবানল, একদম গ্রাস রুট থেকে শুরু করতে হবে, সাধারণ মানুষের সাথে সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। আগের সমস্ত বিপ্লবের ইতিহাস কিন্তু তাই বলে।
বিক্ষিপ্তভাবে অনেককিছুই মনে হচ্ছিল। পরে গুছিয়ে বলব, কেমন?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আপুনি, 'লেখছি'
একটা শব্দে বার বার চোখ আটকাচ্ছে... (ধরিয়ে দিচ্ছি বলে রাগ করবেন না, খবরদার )
লেখা আর লিখছি, এমনটা হওয়া উচিত না?
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
না, না, রাগ করবো কেন! তুমি যে খেয়াল করে পড়ছো, তাতেই বরং আমি মুগ্ধ।
হুমমম। মূল শব্দটা কিন্তু 'লেখা'। আমি মাত্র এই লিঙ্কে দেখলামঃ
আর, কথা বলতে গিয়ে লেখছি/ লিখছি, দু'টোই বলি। তাই চলে এসেছে। 'লিখছি' ঠিক আছে। পছন্দ হলো উত্তর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
একদম গ্রাসরুট থেকে শুরু করতে হবে - তীব্রভাবে সহমত।
হাচলত্বে অনেক শুভেচ্ছা
লেখালেখি চলুক
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আপনার উচ্ছ্বাস দেখে খুব ভাল লাগছে। দেখা যাক, কতদূর যায় লেখালেখি। ভাল থাকবেন। আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আপনি তো দেখি হাচল হয়ে গেছেন !! অভিনন্দন !!!!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কতখানি এক্সপেক্টেশান আছে আমার ওপর, চাপটা বুঝতে পারছো!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আমি একটা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর পোস্ট করছি, যেটা কাল রাতে হওয়ার কথা ছিল।
কুহু যখন হেঁটে বাড়ী ফিরছিল, তখনকার মনের অবস্থাটা কিছুটা হয়তো বুঝতে পাবেন গানটা শুনে। আশা করি, ভাল লাগবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আবহ সংগীতটা দারুণ মানিয়েছে দৃশ্যের সাথে
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরটা বিবিসি'র খুব নামকরা ড্রামা, 'নর্থ এন্ড সাউথ'(২০০৫) থেকে নেওয়া। শেষ দৃশ্যের অসম্ভব ভাল লাগার মুহূর্ত এই স্কোরটা মিলেমিশে এক করে দেয়। পারলে দেখে ফেলেন।
এই হলো লিঙ্ক এলবামটির। পুরোটা নেমে যাবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
শুভেচ্ছা তোমাকে... ভালো লাগলো...আরও লিখ! অনেক অনেক বেশী!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মন মেজাজের হাল ঠিক না... মন্তব্যের আকার-প্রকারের ব্যাপারে তাই দুঃখিত!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
না, না, ঠিক আছে। আজকে আমাদের এখানে এখন বিশ্রীরকমের কালবোশেখীর মতো ঝড় চলছে - প্রচন্ড বাতাস, কনকনে ঠান্ডা আর টানা বৃষ্টি। তোমার মন খারাপ করেছে বলেই হয়তো! তাড়াতাড়ি মন ভাল করে ফেলো। আচ্ছা? ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
দারুন আপনার লেখনি, এমন লেখা পড়লে ৫ তারা দাগিয়েও মন ভরে না। কিছু স্থানে বর্ননাগুলো যেন একদম চোখের সামনে ফুটে উঠল। কোট করতে গেলাম না, অনেক মন্তব্য এসে গেছে, আশাকরি ভবিষ্যতে আরো এমন লেখা পাবো।
অফ টপিকঃ আপনার সাথে আমার পরিচয় নেই তবে হয়ত দেখাও হতে পারে নিকট ভবিষ্যতে, যদি নিউ ইয়র্কে থাকেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ, খুশি হলাম মন্তব্য পড়ে। বেশিকিছু এখন আশা না করাই ভাল, খুবই ব্যস্ত পড়াশোনা নিয়ে। কাজেই লেখার ইচ্ছে যখন খুব মাথা চাড়া দেবে, তখন আবার লেখবো। তবে ইচ্ছে আছে, আর সেটাই বড় কথা। আর দশ বছর পর বাংলা লেখা, কাজেই স্লো আর জড়তা আছে।
অফটপিকঃ আমি তখন মুভি দেখছিলাম, ফাঁকে দেখলাম তুমি কমেন্ট এডিট করলে। হ্যাঁ, এমি ভাল করেই আমাকে চিনে,আর তোমার ভাইকে আরো আগে থেকে চিনি। মিড-সামারে চলে যাবার প্ল্যান আছে, দেখা যাক। তোমরা এদিকে আসলে বলো। মেয়েকে আদর দিও।
আর, পারলে অনিকেত'দা আর মূলত পাঠক'দাকে আমার লেখাটা দেখে যেতে বলতে পারবে? আমি জানি ওনারা নিজে ভাল যেমন লেখেন, তেমন ভাল ক্রিটিক। থ্যাঙ্কস! ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
ভালো বলেছেন আপু, আসলে আমি মন্তব্য করার পরেই আমার বেটার হাফ আপত্তি তুল্ল, বলে আমি নাকি তাকে সবখানে টানাটানি করি। তাই পাল্টে দিলাম। আর আপনাকে খোমাখাতায় এডানোর পর জানতে পারলাম, আসলে আপনার সাথে আমার শুধু দেখা হয়নি, কিন্তু আপনার আমার অতি পরিচিতজনদের পরিচিত। এরকম হলে মনে হয়, পৃথিবীটা কত ছোট।
অনিকেতদা আর পাঠুদাকে জানিয়ে দিচ্ছি, আশাকরি উনারা এসে মন্তব্য দিয়ে যাবেন অতি শীঘ্রই। সচলে স্বাগতম এবং হাচলত্ব প্রাপ্তির জন্যে অভিনন্দন ( মাথা চুলকানোর ইমো, আসলে প্রথমবারে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম কিনা!)। আর নিউ ইয়র্ক সিটি আমি মাসে অন্তত একবার হলেও যাই, আশাকরি সামারের আগে দেখা করতে পারব। আমি ডেলাওয়ারে থাকি, তাই দক্ষিনদিকে গেলে আওয়াজ দিয়েন, দেখা হবে।
১০ বছর পরে লেখার পরে যদি এমন লেখা আসে, তাহলে আপনার লেখার মান উপরদিক ছাড়া আর কোন দিকে যাবে কিভাবে? তাই আমি বেচাইন হয়ে অপেক্ষা করব আপনার পরবর্তী লেখা পড়ার।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
**লিকের সাথে আপনার আলাপচারিতাটা লিখে ফেলুন। কোন ছবি থাকলে তাও দিন (আপনারটা ছাড়া)। আর উনার ভাবধারাটা যে আসলে কী (ছিল-আছে-থাকবে) সেটা উনার সাথে আবার দেখা হলে জিজ্ঞেস করে জেনে নেবেন। তাহলে আপনার কাছ থেকে আমরাও তা জানতে পারবো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি আপনার মন্তব্য পড়ে কিছুক্ষণ ভাবলাম বসে বসে। না, আলাদা পোস্ট দেবার মতো অতকিছু না। আর, উনি বেশ বিতর্কিত ক্ষমতাধর ব্যক্তি যা আপনি ভাল করে জানেন, কাজেই একটু সাবধান থাকার দরকার আছে।
আমি ঢাকায় তখন একখানে পড়াতাম। তো সেখানে ২০০৫-এ ৩৭তম বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করার পরিকল্পনা করা হলো। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার একসময় জাসদ করতেন, যদিও এখন ওনার অবস্থা দেখে তা বোঝার উপায় নেই। যাই হোক, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো (আগেরগুলো, হয় নর্থ আমেরিকা নাহলে ইংল্যান্ডে হয়েছে) এত নামকরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন হচ্ছে, যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পণ্ডিত আসবেন তাঁদের গবেষণা-প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে। আমাদের পুরো তটস্থ অবস্থা। জানা গেল, এই বিশাল কর্মযজ্ঞের পেছনে আছেন '***লিক' বা 'স্যাক' । আমি নাম শুনে বুঝে গেলাম, বাসায় এসে বাবাকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হলাম। বাবা শুনে বললেন যে ওঁনারা ঢাকা কলেজে একসাথে পড়েছেন।
আসলেন তিনি, আমাদের সাথে দেখা হলো। বললেন ওনাকে 'দাদা' বলতে, আমরা তা মেনে নিলাম। মাঝারি গড়নের, ছিমছাম, আপাতত দৃষ্টিতে স্বাভাবিক একজন মানুষ, সবসময় পাজামা-পাঞ্জাবী-চপ্পল পরা। প্রায় সাদা হয়ে আসা চুল-দাঁড়ি আর চশমা পড়া সন্ন্যাসী চেহারা। একদিন আমাকে তুলতে এসে আমার বাবার সাথেও দেখা হয়ে গেলো - হঠাৎ পুরোনো বন্ধুর সাথে দেখা হলে যেরকম উচ্ছ্বাস থাকে, সেরকম। তখন পর্যন্ত আমি শুধু জানি 'চার খলিফা'র একজন হিসেবে, এর পরের ইতিহাস অতটা না, খালি জানি যে উনি বিদেশে থাকেন।
আমার অন্যতম দায়িত্ব ছিলো অনেক হাই প্রোফাইলড ব্যক্তিদের সাথে লিয়াজোঁ রাখা যেন তাঁরা এসে হয় পেপার পড়বেন নাহলে কোনো সেশনে বক্তা হয়ে আসবেন, তা নিশ্চিত করা। কাজেই আমার সাথে ওনার প্রায় প্রতিদিনই অন্যদের সাথে মিলে ফলোআপ করতে হতো। উনি কাজের জন্যও কয়েকবার বাসায় কল করেছিলেন। একদিন আমার এক আত্মীয়, যিনি এক আন্তর্জাতিক পরিবেশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এখানে চিফ, সাবধান করে দিলেন। তারপর এক সন্ধ্যায় আমার বাবার সাথে কথা হলো, বাবা খালি এটুকু বললেন যে, আমার মেয়ে আমার মতো। কারণ এর আগে কাজের ফাঁকে দাদা আমাকে বলতেন ওনার নতুন অফিসের কথা, নতুন কী শুরু করতে যাচ্ছেন তার একটা আবছা আইডিয়া। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়েছে, আমার এক এক্স-কলিগ তার কনভেনর। নাম 'সামা...ক ঐক্য'। উনি চাচ্ছিলেন আমি আসি, জড়িত হই, কিন্তু আমার বাবা বুঝিয়ে দেওয়াতে আর আমার কোনরকম আগ্রহ না দেখে আর কিছু বলেননি। তারপর তিনদিন বেশ ভালভাবেই সম্মেলন শেষ হল, আর অল্প ক'দিন থেকে দাদা চলে যান। তারপর, কবে আবার তার নেপথ্যে প্রবেশ, সেটা তো জানেনই।
আমি খেয়াল করে দেখলাম যে, যাদের অমুক-তমুক 'চর' বলা হয়, তারা কিন্তু বেশ সম্ভাবনাময় মানুষজন। তাদের মেধা আছে, ভাল কিছু করার ক্ষমতা আছে, আর আছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। ঠিক কোন মূহুর্তে গিয়ে তারা দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থ বড় করে দেখা শুরু করেন, সেটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। আমার নিজের এত মেধাবী বন্ধুরা আছে, খুবই ভাল করছে যার যার অবস্থানে বিশেষ করে নীতিনির্ধারণে, কিন্তু আমি নিশ্চিত, এই আমাদের মধ্যে থেকেও একজন '...লিক' উঠে আসবে (আপনি বুঝতে পারছেন আশা করি আমি কি ইন্ডিকেট করতে চাইছি?)।
ব্যাপারটা যেমন অদ্ভুত, তেমনি বেদনার। কী করা যায়, এবং এর কোনো প্রতিকার আছে কি?
ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
- একদমই সময় পাচ্ছি না কয়েকদিন ধরে। বারবার পোস্টটা খুলি, পড়া শেষ করতে পারছি না। সম্ভবত চিন্তার জালে টোকা পড়ে বলেই কেবল পড়ে যাওয়া হচ্ছে না। আপনাকে অভিনন্দন প্রথম লেখায় ও সচলত্ব প্রাপ্তিতে। শুরুটা তো হলো, এবার হাত-পা খুলে সাইড লাইনের বাইরে রেখে সমানে ব্লগাতে থাকেন।
হ্যাপি ব্লগিং।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কী সৌভাগ্য আমার, প্রিয় ধূগো, এসে কষ্ট করে পড়ে এরকম মন খুলে উৎসাহ দেওয়া! ইচ্ছে আছে লেখার কিন্তু জানেনই তো, ভীষণ ব্যস্ত এখন। তবে যখন নিজের সাথে যুদ্ধ করে আর পেরে উঠবো না, তখন ঠিকই লেখা হয়ে যাবে।
ইয়েস স্যার, হ্যাপি ব্লগিং, স্যার!
ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
সক্রিয় রাজনীতিকেই সমাধান মনে করি।
রাজনীতি পঁচে গেছে মনে করে অরাজনৈতিক
ভাবে সমস্যা সমাধান, কিছুটা সম্ভব। তবে পুরো
সমাধান সম্ভব বলে মনে করিনা। নিজের সেই
যোগ্যতা নেই রাজনীতি করার, তবে সুস্থ মন ও
মাথার মানুষদের রাজনীতিতে আসা উচিত বলে মনে করি।
লেখা ভাল লাগল, আপু। আরও লিখুন
-------------------------------------------------------------------
স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়
অনেক ধন্যবাদ, আনন্দী, এসে পড়ার জন্য। অবশ্য তোমাকে যে কে গুতিয়েছে এসে দেখার জন্য, সেটা জানি। তো এই হলো ওর 'রাজনীতি এখন বেডরুমেও' তত্ত্বের নমুনা! ও বোধহয় এখনও বুঝে উঠতে পারেনি, যে তুমি কোথা থেকে ট্রেইনড আর কী পদের মানুষ। একটু বুঝিয়ে দিও পরে, কেমন?
হ্যাঁ, সেই। গল্পে কুহুর আক্ষেপ আর আমার নিজের চিন্তাভাবনা সমান্তরাল বলতে পারো। কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলতে হয়, অন্য কোনোভাবে হয় না। কিন্তু, আরও অন্য পন্থা, যা সম্পূরক নয় কিন্তু সহায়ক এবং শেষে একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে বর্তমান ধারাকে বদলাবার, সেটার খুব দরকার আছে।
ভাল থেকো, আর এদিকে আসলে অবশ্যই বলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আনন্দী নিজের বিবেচনায় লিখে। আমি আমার বিবেচনাবোধে। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রভাবিত হই কদাচিৎ। আমরা ব্লগার হিসেবে এখানে আলাদা আলাদা দুজন মানুষ। বোধহয় বুঝতে পারছেন।
আপনি আপনি করে বলা হয়ে গেছে -খেয়াল করি নাই।
সেই। অরাজনৈতিকভাবে করা অসম্ভব কিন্তু ১/১১ না করে কি ভাবে পরিবর্তন আসলেই আনা যায়, সেটা কিন্তু চিন্তার বিষয়!
আরে, তোমার তো বোঝা উচিত যে আমি তোমার লেগ পুল করছিলাম! আমি জানি ও ব্যস্ত থাকে, তাই তোমাকে খোঁচালাম যে ও কীভাবে জানলো। এটুকু তো দুষ্টুমি করতে পারি ব্যাচমেট হিসেবে, না-কি? বাবারে! এবার তোমার ভাষাতে বলিঃ "দরাইলাম"!
ভাল থেকো, 'সিরিকাস' মশাই।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আরে না। ডর পাওয়ানোর জন্য লিখি নাই। কথাগুলো বললাম আর কি।
হ্যাঁ, হ্যাঁ, খুব দরকার ছিল আর কি!
তুমি পারলে নিউ অরলিয়েন্সের জ্যায-এর উপর লেখো। দারুণ কিন্তু। আর নইলে, ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার অথবা সমাজে বিশাল ফ্রেঞ্চ ইনফ্লুয়েন্স। জানো তো, একদম অন্য রকম সমাজ ব্যবস্থা ওখানে ছিলো একসময়।
ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
চমৎকার লাগল লেখাটা!
ইদানিং বেশ অনিয়মিত হয়ে গেছি সচলায়তনে। তাই লেখাটা আগে চোখে পড়ে নি। প্রথম লেখাতেই এই রকম অভিঘাত তৈরী করে ফেলা সহজ কথা নয়---আশা করি সেইটে বুঝতে পারছেন।
সামনে আপনার আরো চমৎকার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
মঙ্গল হোক!
সচলে আপনার মন্তব্য দেখেছি, লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। স্বাগতম। অবশ্য ঐ বস্তুটা আমাকেও জানাতে পারেন, আমি আজকাল নতুন লোক হয়ে গেছি, লেখাপড়া সব শিকেয় উঠেছে।
ক্রিটিক হিসেবে প্রশংসা পাওয়া খুব ভয়ানক, প্রায় ব্যজস্তুতি, উনি ভীষণ ভালো ভুল ধরেন শুনলে তাতে আনন্দ ছাপিয়ে আশঙ্কা হয়! তার উপর এমন কথা বলার পর স্রেফ ভালো লেগেছে বললেও সমস্যা, ফাঁকিবাজির অভিযোগ আসবে। কাজেই এখন কী করি বলুন তো? লেখাটা তো বাস্তবিকই ভালো লেগেছে, আরেকটু ভরভরাট হলে আরো ভালো হতো, তবে না হয়েও ক্ষতি কিছু হয় নি। তাছাড়া যে সব কথা না বলা থেকে যায় সে সব মন্তব্যে জুড়ে দেয়া যায়, ব্লগের এ এক সুবিধা, যা সাহিত্যিকেরা পেতেন না। কুহুর স্মৃতিচারণে আগের প্রজন্মের রাজনীতির অংশটা আরেকটু বিস্তারিত হলে অভিঘাতটা আরো জোরদার হতো বলে আমার মনে হলো। হয়তো যাঁরা জানেন তাঁরা ইঙ্গিতেই ভেবে নেবেন, কিন্তু অরাজনৈতিক পরিবারে বড়ো হয়েছেন যাঁরা তাঁদের হয়তো আরেকটু বিশদে পড়লে রাজনীতির দুটো ছবি পাশাপাশি দেখতে ভালো লাগতো, এবং ব্যাপারটার মধ্যে একটা ভারসাম্য আসতো আরো বেশি করে। তবে এ সবই সামান্য কথা। তার উপর বানান ভুলটুলও বিশেষ নেই ("প্রতিঞ্জা" চোখে পড়লো)। সব মিলিয়ে চমৎকার সূচনা। লিখতে থাকুন।
চমৎকার!!!!!!!!!!!!!!!!
এত্তগুলো '!!!!!!!!!!' দেখে হেসে ফেললাম। এই অভ্যাস আমারও আছে। ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্যে।
ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
লিখা খুবই পছন্দ হযেছে।
আরো পছন্দ হযেছে মন্তব্য। ভালো লাগলো জেনে যে অনেকে চিন্তা করেন।
কিন্তু বাস্তবায়ন করার জন্য একটা কিছু করও। আর কত দিন যাবে এই আলসেমিতে ?
নতুন মন্তব্য করুন