মিঁয়াও যে জায়গাটায় বসে আছে এখন সেটা তার খুব একটা পছন্দের না,তবে অস্বীকার করার উপায় নাই যে হঠাত্ আসা বিপদে আত্মরক্ষার সময় জায়গাটা খুব কাজে দেয়।
সদ্য দৌড়ে এসে ঢুকেছে,বুকের ধরফরানি সামলে নিতে নিতে মিঁয়াও আরেকবার বিপদ থেকে নিজের দূরত্ব মেপে নেয়-না কোন ঝামেলা নেই আর,লম্বা সরু চোখা যে বস্তুটির ভয়ে সে এখানে এসে সেঁধিয়েছে,যেটাকে এ বাড়ির মানুষগুলো বলে লাঠি সেটা অত লম্বা নয় যে এখানেও ও...মিঁয়াও যে জায়গাটায় বসে আছে এখন সেটা তার খুব একটা পছন্দের না,তবে অস্বীকার করার উপায় নাই যে হঠাত্ আসা বিপদে আত্মরক্ষার সময় জায়গাটা খুব কাজে দেয়।
সদ্য দৌড়ে এসে ঢুকেছে,বুকের ধরফরানি সামলে নিতে নিতে মিঁয়াও আরেকবার বিপদ থেকে নিজের দূরত্ব মেপে নেয়-না কোন ঝামেলা নেই আর,লম্বা সরু চোখা যে বস্তুটির ভয়ে সে এখানে এসে সেঁধিয়েছে,যেটাকে এ বাড়ির মানুষগুলো বলে লাঠি সেটা অত লম্বা নয় যে এখানেও ওকে ঐ ভয়ানক খোঁচাগুলো দেবে;কাজেই আপাততঃ এখানেই বসে থাকা চলে।
এ জায়গাটা ওর পুরানো আশ্রয়-বাড়ির মালিক বড় মানুষটা,যাকে সে হোঁদল কুতকুত বলে,যখন কারণে অকারণে ঐ লাঠি নিয়ে হাপুস হুপুস করে পেছনে লাগে তখন কোনমতে ওদের এই খাটের নীচ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেই বাঁচোয়া;ঐ আজদাহা শরীর নিয়ে হোঁদল কুতকুত বা তার যমলাঠি কোনটাই এ দূর্গম কোন পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেনা।যেখানে আছে ওখান থেকেই মিনিট কয়েক হুশ হুইশ করে ফিরে যাওয়া ছাড়া ঐ ব্যাটার আর উপায়
থাকেনা।আজকাল তাই হোঁদল ব্যাটা অত চেষ্টাও করেনা এখানে চলে আসতে পারলে,তবে মিঁয়াও জানে এ আশ্রয় বদলাতে হবে-হোঁদল কবে যে কি করে বসে তার ঠিক নাই;আজদাহা হলে হবে কী,ব্যাটার মাথায় রাজ্যের কুবুদ্ধি!
ঐ বিশাল আলমারিটার ওপরে গিয়েও যে ধরা পড়তে হবে সেটা সে কল্পনা করেছিলো?একটা চাদর দিয়ে ফাঁদ পেতে কী সহজেই না ধরে ফেললো সেবার,তার ফুলকো কমলা ল্যাজটায় কি একটা কাগজ বেঁধে দিলো ঐ ব্যাটা।নড়লেই ঐ কাগজ খচর খচর করে,মাটিতে লাগলেই গোটা শরীর শিউরে ওঠে.ল্যাজ তাই শরীরের উপর ঝুলিয়ে রেখে চলতে হয়-যন্ত্রনার একশেষ!
এ ভয়াবহ শাস্তি যদি তেমন কোন কারণে হতো তাহলেও কথা ছিলো।কি করেছিলো সে?ব্যাটা যখন টেবিলে ভাত ফেলে পাশের রুমে ছুটলো হঠাত্ বেজে ওঠা শোন-না না ফোনটা ধরতে তখন আস্তে বাটির তরকারী থেকে আলগোছে মাছের টুকরাটা তুলে নিয়েছিলো।
মিঁয়াও জানে কাজটা মোটেও ঠিক হয়নি-কিন্তু এটাও ঠিক আর কোন উপায়ও ছিলোনা।বাসার ছোট মানুষটা মানে নিতুনসোনা আর তার মা দু জনই কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলো,রান্নাবান্না বন্ধ,খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে,সে আর কি করতে পারতো?
পরে অবশ্য সে স্যরি বলেছিলো,সেটা বোঝার ক্ষমতা ঐ হোঁদল কুতকুতের থাকলে তো!আরে তুই অবস্থা বুঝবিনা?নিতুনরা বাসায় থাকলে মিঁয়াও কখনো ছোঁক ছোঁক করে নাকি?অমন বেড়ালই সে না।
ছোট্ট থাকতে মা শিখিয়েছিলো, যা পাবি তাই নিয়ে খুশী থাকবি! আজ অবধি ও কারণ ছাড়া মা র কথার অন্যথা করেনি-বিপদে যে নিয়ম মাঝে মাঝে ভাঙগা চলে তাতো মায়েরই শেখানো।
আজকে যে টেবিল থেকে ও গোশতের পাকোড়াটা তুলে নিয়ে এলো তারও কারণ আছে-হোঁদল সাহেব বাইরে থেকে এ পাকোড়া এনে চুপি চুপি খাচ্ছিলো,নিতুনবাবুর মা-কেও বলেনি।তার নাকি ডাইবিটিস ব্যারাম-ওসব ভাজাভুজিসহ ধরা পড়লে হোঁদলের খবর করে দেয় ওর বৌ,মানে নিতুনের মা।চিকন চাকন মহিলাটির গলায় অত জোর কোথা থেকে আসে খোদাই জানেন!বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়,ঐ মহিলাই হুটহাট নিতুন আর মিঁয়াওকে কোলে বসিয়ে আহলাদ
করে!মিঁয়াও জানে এ পাকোড়ার জন্য নিতুনের মা তাকে বকবে তো না-ই,মন ভালো থাকলে দুধভাতও খেতে দিতে পারে।তাই আপাততঃ এখানেই বসে শরীরটা জিহ্বায় চেটে পরিষ্কার করে নেয়া যাবে,বড় চটচট করছে থেকে থেকে।
মন্তব্য
রূপক মনে হলো? আজদোহা মানে কি?
নাম দিয়ে দিয়েন, নইলে লোকে ভাববে আমি লিখেছি
বে-নামে পোস্ট করে ফেলাটা বদভ্যাসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, শেষ মুহূর্তে আর মনে থাকেনা।থাক্,নামে কী বা আসে যায়?!কর্মই সব!
রূপক?একটু বলবেন কেন মনে হলো এমন?
আর হ্যাঁ, আজদাহা মানে 'বিশাল' জেনেই এখানে ব্যবহার করেছিলাম।
ধণ্যবাদ তড়িত্ মন্তব্যের জন্য।
মর্ম
বেশ তো, তবে বলি আসলে লেখাটা আমিই লিখাছি
তখন আবার মর্মপীড়ায় ভুগবেন না যেন।
রূপক তাহলে নয়? আমারই অতিরিক্ত গবেষণার ফসল তাহলে সে ধারণা।
সেক্ষেত্রে কথা একটু পাল্টে দিতে হবে আরকি-
"-গাছ তোমার নাম কি?
-ফলে পরিচয়!"
তবুও রূপক বলার পেছনে আপনার চিন্তাটা জানতে চাইছি।কথাটা আমাকে খুব টেনেছে!
মর্ম
এখান থেকে অভ্র নামিয়ে নিতে পারেন।
লিখতে থাকুন।
আসলে কি জানেন,যা লিখছি মুঠোফোন চেপেই লিখছি।টাইপো এড়ানো আমার জন্য তাই কঠিন বৈ কি!আর বাংলা হরফে বাংলা লেখা শুরু করেছি এখনো এক মাসও হয়নি।
তবু আপনাকে ধণ্যবাদ।কখনো না কখনো নিশ্চয়ই অভ্র আমার কাজে লাগবে।
মর্ম
একটু হুট করে শেষ হয়ে গেলো না? খুব ভালই এগুচ্ছিলো কিন্তু!
শেষ হয়নি!আমার হিসাবে কেবল প্রথম পর্ব গেলো।
একটা শর্ত আছে অবশ্য,কেবল পাঠক চাইলেই পরে লিখবো,নচেত না।
মর্ম
পাঠক হিসেবে আমি চাইছি, আপনি গল্পটা সম্পূর্ন করুন। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ভালই লাগছিল। যদি চিহ্নের পরে একটা স্পেস দিয়েন।
তাই হবে। এই যে স্পেস দিলাম যতি চিহ্নের পরে- ঠিক আছে?
ভালো লাগছিলো কথাটার মধ্যে একটু যেন অসম্পূর্ণতার গন্ধ পাচ্ছি!?
মর্ম
জ্বী, অসম্পূর্ণতার গন্ধ তো পেয়েছিলামই। উপরে আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝলাম যে আরো আসবে।
মজা পেয়েছি। এখানে শেষ করবেন না যেন। চলতে থাকুক গল্প। মিঁয়াও এর পাড়ায় কোন বদমেজাজি ঘেউ নাই?
"শোন-না না ফোন" মানে কী?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ঘেউ এর সাথে মিঁয়াও এর কোন পরিচয় ঘটেছে বলে শুনিনি,হলে অবশ্যই জানবেন।
ওটা তেমন কিছু না, মিঁয়াও এর সাময়িক স্মৃতিবিভ্রাট! ও প্রথমে ভেবেছিলো মানুষেরা কথা বলার যন্ত্রটিকে 'শোন' বলে, পরে মনে পড়েছে 'না না ফোন..'!!
মর্ম
ঠিকাছে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমার আগেই কেউ বিল্লী নিয়ে লিখে ফেলল, এ দুঃখ কই রাখি :'(
----------------------------------
শান্ত নদী
মোটেও বিল্লি নিয়ে লিখিনি! বিল্লি আমার মোটেও পছন্দ না!
এ লেখাটা মিঁয়াও কে নিয়ে...!!
মর্ম
দারুণ! পাঠক হিসেবে এটা একটা সিরিজ করার দাবি জানালাম। জমবে ভাল।
ফারাবী
পুরোটা লিখে ফেলুন ।
পাঠকের খাতার নাম লিখালাম ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
কথাবার্তা চলছে মিঁয়াও এর সাথে, রাজী হলেই সচলে দেখতে পাবেন!
বনেদী বেড়াল তো, হালকা টালবাহানা করার চেষ্টা করছে..!
মর্ম
লেখাটার মর্ম বুঝতে চেষ্টা করতেছি।
হয়তো পরবর্তী লেখায় রা আরও সহজ হবে... চালিয়ে যান
এই লেখাটা পড়ে ছোট্টো একটা ইলাস্ট্রেশন করতে ইচ্ছা হচ্ছে খুব।
এরকম আরো আসতে থাকুক।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
করবেন?
আমি একটা দৃশ্যপট দেবো?
এমন একটা ছবি যদি হতো-
বেড়াল মশায় বসে আছেন অন্ধকার কোণে, হালকা আলো পড়ছে কমলা ছোপ পড়া সাদা মুখটায়, ল্যাজখান অলস হয়ে পড়ে আছে সামনের দিকে, আয়েশী ঢংয়ে তিনি থাবা চাটায় ব্যস্ত ...
আমি অবশ্যি না আঁকতেই বেশ খোলতাই দেখতে পাচ্ছি ...
মর্ম
নতুন মন্তব্য করুন