নয়টি খুন এবং তারপর (১ম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৩/২০১০ - ১০:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছু বিযয় থাকে, সমাজের সবাই এমনিতেই বুঝে যায়, serial killer এর বিযয় তেমনি, কাউকে বুঝিয়ে দিতে হয় না serial killer কাকে বলে। আমি একজন serial killer, একজন খারাপ মানুয। মানুয খুন করি বলে নিজেকে খারাপ বলি নি, খারাপ বলেছি কারন আমি মানুযকে যন্ত্রনা দিয়ে খুন করি, সুন্দর এই দুনিয়া থেকে তাদের খুব বাজে ভাবে বিদেয় নিতে হয়। আমার জীবনের কিছু কথা আপনাকে বলতে চাই, কিছু আশ্চর্য কথা, কিছু ভাসা ভাসা অস্পস্ত সৃতি, কি শুনবেন না?

আমার জন্ম এই শহরেই, নগরীর একটি অভিজাত এলাকার সুরম্য অত্টালিকায় আমার জন্ম, সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম যাকে বলে আরকি। আমার পরম সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য যাই বলেন, সেটা হল আমি আমার দাদাজানের ফেলে যাওয়া বিপুল সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকার। আমার বাবা তার জীবনভর খরচ করেও সেই সম্পত্তির অর্ধেক ও শেয করতে পারেন নি। আমার মা ছিলেন খুব হতদরিদ্র ঘরের মেয়ে, সুন্দরী মেয়ের বোঝা আর আমার দাদার কাছে থেকে নেয়া বিপুল রিনের কারনে তার বাবা আমার বাবার সাথে মায়ের বিয়ে দেন। ভাবছেন এমন বিশাল ধনীর ঘরে মেয়ে বিয়ে দেয়া বড় ভােগ্যর বাপার, হা ভােগ্যর বাপার'ত বতেই, তবে তা দুর্ভাগ্য কিনবা সৌভাগ্য যে কোনটাই হতে পারে। বিয়ের পর মা বাবার সংসারে এসে প্রথমেই বিরাট ধাক্কা খেলেন, তিনি দেখলেন আমার বাবার মদ্ধে খুব অদ্ভুত কিছু বাপার আছে, সে অল্পতেই চোখে পানি এনে ফেলে, কিন্তু যেখানে মায়া দরকার সেখানে মায়া নেই, অদ্ভুত নির্মম তার আচরন, কিন্তু মার সাথে খুব সুন্দর বাবহার। আমি আমার ছোটকালের সৃতি খুব বেশি মনে করতে পারিনা, একটা সময় পর্যন্ত মনে পরে, এরপর সব কিছু ঝাপসা হয়ে আসে।

আজ ৯ তারিখ, ৯ আমার প্রিয় সংখা, সুধু প্রিয় সংখাই না, আমার জীবনে ৯ এর প্রভাব অসীম। "অসীম" শব্দ তা মনেহয় উপযুক্ত হল না, অসীম সম্ভবত বাবহার হয় বিপুল পরিমান ভাল কাজ বুঝায়, এমন খেত্রে। খারাপ কাজের খেত্রে মনেহয় অসীম সেভাবে বাবহার হয় না, কাউকে কখনও বলতে শুনি নি, তিনি অসীম চুরি করেছেন, কিন্তু এমন শোনা যায়, তিনি অসীম ভাল মানুয ছিলেন। যাইহক আমি ভাযা গবেযক নই, আমি একজন খারাপ মানুস, একজন খুনি। মূল প্রসংগে ফিরে যাই।

কি যেন বলছিলাম? ৯ আমার প্রিয় সংখা, আমার জীবনে খুন ৯ টাই, নবন খুন সংখটিত হয়েছে কয়েক ঘনটা আগে। কি বাপার, নরে চরে বসলেন যে, ভাবছেন আমি খুনের বরননা শুরু করব, উহু তা করব না। ৯ যেমন আমার খুব প্রিয় সংখা, আমার আরেকটি খুব প্রিয় বস্তু হল আগুন, জগতের ৪ টি মৈলিক বস্তুর একটি, বাকি ৩ টি কি জানেন? পানি, বায়ু, মাটি, যাইহক, আগুন আমার খুব প্রিয়, বাপারটা আমি যত সহজে বললাম, আসলে তত সহজ না, ভয়ংঙ্কর, আমি একজন রোগী, আমার রোগটার নাম "পাইরমানিআ", খুব কম দেখা যায় মানুযের মদ্ধে। আমার খুব প্রিয় দুটা জিনিসের কথা'ত বলা হল, এখন অপ্রিয় একটি জিনিসের কথা বলি, আমি সবছেয়ে বেশী অপছন্দ করি "ভয়", ভয় এক বস্তু আমার মাঝে নেই। এবং অন্যের মদ্ধে আমি এই বস্তু দেখতে পারিনা, কেউ ভয় পেলে আমার তাকে আর ভয় দিতে ইচ্ছা করে, প্রবল ইচ্ছা, আমি আমার সবটুকু শক্তি দিয়েও সেই ইচ্ছাকে কমাতে পারি না, কখনও পারিনি।

আমার জীবনের কতটুকু বলেছি আপনাকে? খানিকতা শুনেই কি মনে মনে আমাকে খুব খারাপ ভেবে নিয়েছেন? আছা, আমার আমেরিকা ভ্রমনপ্রীতির কথা কি বলেছিলাম? জানি বলিনি, তবুও জিগেস করলাম, আমার মেমরী খুবই সুক্ষ, আমার প্রায় সব কিছুই মনে থাকে অবিকল, ছবির মত, সুধু আমার ছোটকালের দিন গুলি ছারা। যাইহক, আমি বছরে একবার আমেরিকা ভ্রমন করি, এর বেশীও করি, আমার একজন চাচা আছেন, বেশিরভাগ সময়ে তাকে নিয়েই আমেরিকা ভ্রমন করেছি আমি। উনি আমার আপন চাচা নন। অবশ এ কথাটা আমার মুখে মানায় না, "আপন" নামের এক বস্তু কি, তার মর্ম আমি বুঝিনা, কারন আপন বলে কিছুই নেই আমার জীবনে, বরং বলা যায়, উনি আমার রক্তের সর্ম্পকের কেউ নন, কিন্তু এই পৃথিবীতে একমাত্র মানুয, যে নি:সার্থভাবে আমার সংগে মিশে। আমার সাথে মেলা মেশা করা বাদ বাকি সবাই, কোন না কোন সার্থের জন্যে মেশে। এই পৃথিবীতে একমাত্র মা এবং তার সন্তানের সর্ম্পক নাকি নিঃসার্থ, বাদ বাকি সব সর্ম্পকেই নাকি সার্থ লুকিয়ে থাকে, আমার জীবনে একথার বাতিক্রম কিভাবে হল, আমি জানিনা, জীবন জটিলতার এই বাপারটি আমি বুঝতে পারলাম না, কি জানি হয়ত নিজের জীবনের সবটুকু বুঝে ফেলা কখনই সম্ভব না।

আচ্ছা বাংলা কি মাস চলছে? শ্রাবন কি শেয হয়েছে? মনে হয় হয়নি, বজ্রপাত এখনও শুরু হয়নি, বজ্রপাত শুরু হলে ভাবতে হবে, এই বুঝি আযাঢ় শুরু হয়ে গেল। গত বছর শ্রাবন মাসে অনিতাকে খুন করেছিলাম, একদম ছবির মত মনে আছে, দিনগুলি কি খুব দ্রুত শেয হয়ে যাচ্ছে? খুব প্রান ভিক্ষা করেছিল অনিতা, ৫ মাসের পরিচিত একজন বন্ধু তাকে এভাবে হত্তা করবে, মেয়েতি কখনও ভাবেনি। সবচেয়ে বেশী মনে পরে, অনিতার বেগুনী বর্নের কথা, সিগারেট এর ছেকায় মানুযের চামড়া প্রথমে বেগুনী বর্ন ধারন করে, এরপর হয় লাল, কেউ কি সেটা খেয়াল করে? অবশ্য অনিতাকে খুন করার বাপারটা আচমকা ছিল, আমি সাধারনত আচমকা খুন করিনা, আমার প্রত্যেকটি খুন, আমার দীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল। আমার কি মনেহয় জানেন, আমার মাও আমার মতই দীর্ঘ পরিকল্পনা করে খুন করেছিল বাবাকে, কিন্তু সবাই যেন তার দীর্ঘ পরিকল্পনার বাপারটা ধরতে না পারে, তাই মা খুব সাবধানে "sudden anger" এর মত করে পুর ঘটনাকে সাজিয়ে নিয়েছিল, আমি ছাড়া কেউ সাক্ষী ছিলনা, আমিও সাক্ষী থাকতাম না, কিভাবে যেন পুরো ঘটনা আমার চোখের সামনে ঘটে গেল, আমি বোঝার আগেই বাবা চলে গেল অনেক অনেক দুরে। আমার দাদাজান আমার মাকে সব রকমের ঝামেলা থেকে সুরে রাখলেন, কাউকে বুঝতে দিলেন না। সবাই জানল, পাগল ছেলেটি আগুন নিয়ে খেলতে খুব ভালবাসত, আগুনই তার জীবন নিয়ে নিল। পুরো ঘটনার সাক্ষী রয়ে গেলাম শুধু আমি, আর আমাদের বাড়ির দেয়াল গুলো। সুধু বাবাকেই না, চোখের সামনে আগুনে পুড়ে যাওয়া আমি আরো অনেকবার দেখেছি জীবনে, আমি খুব উপভোগ করি, আগুন বড় সুন্দর বস্তু, জগতের এক আশ্চর্য স্রিস্তি, যার কুল কিনাবা খুজে পাওয়া সম্ভব না মানুযের পক্ষে।

মার সাথে আমার শেয দেখা ওই দিনেই, এরপর মাকে দাদজান আমেরিকা নিয়ে যায়। অদ্ভুত বাপার কি জানেন? আমার বাবার মৃতুর দিনটি ছিল আগশটের ৯ তারিখ, দাদাজান মাকে আমেরিকা নিয়ে যায় সেপ্তেম্বের মাসে, সেটি হল নবন মাস। দাদাজান মারা যাবার আমি একেবারে একা হয়ে গেলেও, এই একটি বাপারে শান্তি মিলেছে, কেউ আর আমাকে এখন রোজ রোজ মার সাথে দেখা করতে বলেনা, বলেনা "জীবন বহমান নদী, তোর মায়ের মত সুন্দরী এবং কচি বয়সের মেয়ের পক্ষে একা থাকা খুব কযটকর" .......

বাবা চলে গেলেন, বাবারা তাদের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু রেখে যান তাদের সন্তানদের জন্যে, আমার বাবাও রেখে গেলেন, আগুন, তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু, বাবা চলে গেলেন, রেখে গেলেন তার আগুনপ্রীতি। আমাকে গ্রাস করে আগুনপ্রীতি, ডাক্তারী ভাযায় যাকে বলে পইরমানিআ। বাবা বেচে থাকতে দেশ বিদেশে অনেক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদাজান, সব কিছু শেযে যখন দাদাজান জানলেন তার পুত্র পাইরমানিআ নামক জটিল রোগে আক্রান্ত, সে জগতের আর সব বাবার মত গভীরশোকে শোকাহত হলেন না, তিনি একরকম ধরেই নিলেম, জগতের সব ডাক্তার ভুয়া। ভয়ংঙ্কর এই রোগীকে তিনি বাসাতেই এনে রাখলেন, আর দশজন সাধারন ছেলের মতই, বাবা পাগলামি বিশেয কিছু করতনে না, আগুন দেখলে অকারন আনন্দিত হয়ে পরতেন, তিনি সিগারেট খেতেন না, কিন্তু তার কাছে সব সময় দেশলাই থাকত। যেকোন সময় বাবা ঘরের কোনায় আগুন ধরিয়ে ফেলতেন, বাপারটা মার পক্ষে সহ্য করা সহজ ছিল না, মা গ্রাম দেশের মেয়ে, জগতের জটিলতার সাথে মাত্র ১৪ বছর বয়সী গ্রামের একটি মেয়ের কতটুকুই বা পরিচয় হয় ....

"withdrawal from reality" বলে একটা ব্যাপার আছে, কিছুখনের জন্যে মানসিকভাবে সমাজ-সংসার থেকে একটু দুরে সরে যাওয়া. আমার মনেহয় কি জানেন, জগতের সব খুনিরই খুনের আগে এই বাপারটা ঘটে। খানিকটা সময়ের জন্যে বাস্তবতা থেকে একটু দুরে অবস্থান নেয়া আরকি। গল্পের এই পর্যায় এসে আমি একটু বিরতি নেব, মার্বেল পাথরের মেঝেতে রক্তের দাগ খুব বেমানান লাগছে, বরং মুছে আসি। রক্তের দাগ মোছা কঠিন কিছু না। sponge দিয়েই মোছা যায়। খুব বেশী জেদী দাগ হলে, সামান্য গুড়া সাবান। অনেকে ফিনাইম দিয়ে শেয করে, আমি আবার ফিনাইম এর গন্ধ সহ্য করতে পারিনা। তাছাড়া, রক্তের বেশিরভাগ হল জলীয়। যা পরিস্কার করতে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয়না।
আগুনে পোড়া শরীরের খানিক তা অংশ রেখে দেয়ার শখ ছিল আমার আগে, এখন আর নেই, মানুযের শরীরের অংশ দেখলে পিপড়াদের আবার খুব লোভ হয়। মৃত শরীরের পরিবর্তন থিক কিভাবে হয়? পুরো শরীরটা decompose হতে কেমন সময় লাগে? University of Tennessee এর Anthropology বিভাগের একজন শিখক দীর্ঘদিন এই বাপারে গবেযনা করেছেন, গবেযনা করে উনি যা পেয়েছেন তার সারমর্ম এই যে, সর্বমোট চারটি স্তর পার করতে হয় মৃত মানুযের শরীরকে, সেগুলি হল fresh, bloating, decay এবং dry।
আমার এযাবতকালের খুনের মধ্যে সবগুলিই ছিল একই প্রকৃতির . . . . মানুযকে খুন করতে বেশীখন লাগে না। এমন কিছু উপায় আছে, সামান্য আলপিন দিয়েও মানুযকে মেরে ফেলা যায়, কিন্তু আমি তা করিনা। সেটা কোন আনন্দ না, দীর্ঘখন যন্ত্রনা পেয়ে মৃ্তু্র বাপারটি অন্যরকম। তাতে মায়া এবং ঘৃনা একত্রে অনুভুত হয়, মনে হয় জগতের সব মায়া কাটিয়ে চলে যাচ্ছে একজন মানুস, যে মানুযটি বেচে থাকার সুখ থেকে চিরতরে বঞ্ছিত হচ্ছে, অথচ তার কি প্রবল ইচ্ছাই না হচ্ছে বেচে থাকতে . . . . এই মানুযটি অনেক সুন্দর ঘটনা আর কখনই দেখতে পাবেনা, শ্রাবনমাসের কুকুর বেড়াল বৃযটি শেয কবে সে দেখেছে?
আমি শোবার ঘরে এলাম, আমার দাদাজানের তৈরী করা এই বাড়ী, আমি অবশ্য অনেক পরিবর্তন করে নিয়েছি, বারান্দাগুলিতে আকাশ আকাশ ভাব আনার জন্যে নীল টাইলস বসিয়েছি, আর কত কি! শোবার ঘরটা অনেক সুন্দর, আমার দাদাজানের কাঠের খুব সখ ছিল, তাই ঘর গুলিকে ভেতর থেকে ওক কাঠে ঢেকে দিয়েছিলেন। এখন তেমনি আছে, আমি শুধু আমার কাজের সুবিধার জন্যে কিছু কিছু পরিবরতন এনেছি . . . . .

আমার শোবার ঘরে বাতি আছে ৯টা, দুটা দুটা করে ৪টা একসাথে, এই চারটা বাতি এমন ডিজাইনে বসানো যে আপনি আলো দেখতে পাবেন, কিন্তু আলো আসছে কোথা থেকে তা খুজে পাবেন না। আলোর সমান্তরালে ধাতব তল রাখা, আলোক রশ্নি তাতে প্রতিফলিত হয়ে বার বার ফিরে আসবে, কখনই এদিক ওদিক যাবেনা। আরেকটা বাতি আছে মাঝ বরাবর Flush Mount বাতি, যার নীচে আমার একটা টেবিল আছে, সেই টেবিলের উপর জমা হয়েছে বেশ কিছু চিঠি, বেশীরভাগই অফিসিয়াল। প্রতেকটা চিঠির উপর কাল কালীতে পরিস্কার করে উপর লেখা H. Malek Somrat Khan, একজন ভীযন শক্তিশালী কিন্তু খুব অসহায় মানুযের নাম, মানুযটা কে তা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। আমার পিএস রাখিকে বলা আছে এইসব চিঠির উত্তর দেয়া, বিল দেয়া, এসব কাজ যেন সে নিজেই সেরে ফেলে, আমাকে দেখানোরও দরকার নেই, তারপরও কেন এই চিঠিগুলি এখানে রেখেছে, কে জানে! বাবসায়িক কাজে আমাকে খুব একটা ব্যাস্ত্ হতে হয়না, ঝামেলা আমি অনেক কমিয়ে এনেছি, জলের দামে বিক্রমপুরের সব জমি বিক্রি করে দিয়েছি, জাহাজের বাবসা তুলে দিয়েছি এমন একজনের কাছে, যার উপর নিজের থেকে বেশী ভরসা করা যায়, আমি পাকা বাবসায়ী না, কথা শুনেই মনে হয় বুঝে ফেলেছেন, তবে আমি পাকা খুনি, এটা বলতে পারি। একটু ধরুন'ত, আমার অফিস থেকে আসা ফোনটা ধরি,

----Hello, good morning sir, হেডঅফিস থেকে রাখি বলছি। বেলা ১২টায় গাজীপুর ফাক্টরীতে শ্রমিক নেতাদের সাথে মিটিং রাখা হয়েছিল, আপনি কি আসছেন sir?
----রাখি, আমার শরীরটা ভালো না, মিটিং কানসেল কর এবং আমি আমাদের রেস্তোরাগুলির গতমাসের সেলস দেখতে চাই, তুমি ফাইলসহ সন্ধার আগে আমার বাসায় চলে আসবে . . . . টুট টুট টুট টুট

রাখির সাথে কথা বলার পর আমি সবসময় সস্তি পাই, আজও পেলাম, আজ তাহলে যাচ্ছিনা অফিস, ভালই হল, ছাদে সাতার করা যাবে, আমার ছাদে আমন একটি পুল আছে, যার পানি একই সাথে নীল এবং সবুজ দেখায়, চমতকার লাগে দেখতে, সাতার করতে আরও বেশী চমতক্কার লাগে। আমি মনে করতে পারি একটু একটু, আমার মা সাতার করতেন রাতের বেলায়, আমি বাবা ঘুমানোর পর, আচ্ছা মা রাতে কেন সাতার করতেন? ভীযন রুপবতী মেয়েরা দিনের বেলায় সাতার করলে কোন অসুবিধা কি আছে? বাপারটা জানা দরকার, ভীযন রুপবতী কোন মেয়েকে একদিনের জন্য কিনে ফেলা দুস্কর কিছু না, কাগজের কিছু নোট হলেই হয়, আচ্ছা রাখিকে একদিনের জন্য কিনলে কেমন হয়? না থাক, রাখি কোমল প্রকৃতির মেয়ে না, কথায় কথায় কেন কেন করে, ও কখনই রাজী হবেনা সাতার করতে। তবে রখিকে আমার দশম স্বীকার করা যায়, রাখির জন্মদিনও কিন্তু ৯ তারিখেই। তার দাত খুব সুন্দর, দাতের মাড়ীও নিশ্চয়ই সুন্দর, ধারাল ব্লেড উপর নীচে মাড়ীতে বসিয়ে চাপ দিলে নিশ্চয়ই খুব ভাল লাগবে। জীবনে বার-বি-কিউ মুরগি নিশ্চয়ই সে অনেকবার খেয়েছে, নিজে বার-বি-কিউ হতে কেমন লাগে, এই অনুভুতিটা তাকে দিলে মন্দ হয়না। নাহ, সেলস এর ফাইল নিয়ে মেয়েটিকে কয়েকদিন পর আসতে বলা দরকার ছিল। কোম্পানীর বিপুল অর্থ আত্তসাত করে পালিয়ে গেছে, এমন শিরোনামে জাতীয় দৈনিকগুলিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলেই হত, এর থেকে বেশী দায়ভার নিতে হতনা আমাকে।

চাচাকে একটু ফোন করা দরকার ছিল, চাচা নাকি নতুন কি ক্রিমিনাল অপারেশন হাতে নিয়েছে, সেই বাপারে কিছু জানা যেত . . . . . দূধর্য কোন এক সিরিয়াল মার্ডার মামলার তদন্ত যেন করছে চাচা, সেদিন একটু বলেছিল, এমন একজন খুনি, যার খুনের তদন্ত করলে বুঝা যায়, মানুযটা ভীযন ধরনের বুদ্ধিমান, সে খুব সুন্দরভাবে প্রত্তেকটা খুন করেছে, এবং এই পর্যন্ত পুলিশ তার সাতটা খুনের হদিস পেয়েছে, যে মানুসটা প্রতিবার সুন্দর কিছু আলামত ইচ্ছা করেই ফেলে যায়, তবুও পুলিশ খুজে পায়না তাকে, চাচা আমার প্রিয় মানুযদের একজন, তাকে সফল দেখলে আমার খুব খুশী লাগার কথা, আমি যদি চাচাকে সেই দুর্ধয খুনির গোপন কিছু বলে নেই, চাচাও কি অনেক খুশী হবে না? আচ্ছা চাচা কি এতই বোকা? নাকি সব বুঝেও অবুঝ!

অনেকখন আরামের সাতার কেটে ঘরে এসে ঘুমে আমার চোখ ভারী হয়ে যাচ্ছিল, Ann Rule এর "The Stranger Beside Me" বইটা পড়তে পড়তে অলস এবং ক্লান্ত অবসর কাটাচ্ছি, stories of passion and murder অংশটা পড়ছিলাম, বেশ লাগছিল, কি চমতকারভাবে নখের ভেতর থেকে সুই জাতীয় বস্তু ঢুকিয়ে যন্ত্রনা দেয়া হয়েছে, তার খানিকটা বিবরন পড়লাম, ভাল লাগল, গোপন সাতটি তথ্য দেয়া হয়েছে সিরিয়াল কিলার সর্ম্পকে, প্রথমটাই মেলানো গেলনা আমার সাথে, Ann Rule নিশ্চয়ই ভুল লেখেন নাই। অন্য কোন বই পড়তে ইচ্ছা করছে, কিন্তু সিড়ি ভেংগে নিছে গিয়ে বই আনার শক্তি পাচ্ছি না, এমন বুড়োটে হয়ে যাচ্ছি কেন দিনে দিনে?

গভীর ঘুমে কখন যেন আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম, অদ্ভুত সপ্নও দেখলাম, ভীনদেশী এক মেয়ে, খিল খিল করে হেসে হেসে গল্প করছে আমার সাথে, গল্পের এক ফাকে মেয়েটি উঠে চলে গেল, আমি ঘরময় তাকে খুজতে লাগলাম, হাতে বিশাল লম্বা একটা ছুরির মত বস্তু, যার মাথায় আবার আগুন ধরানো, এভাবে কেন আমি ঘুরতেছি নিজেও কিছুই বুঝলাম না। বাপারটা লজিকাল হলনা, স্বপ্নে অপিরিচিত মানুযকে দেখা সম্ভব নয়, স্বপ্নে যাপিতজীবনের বিভিন্ন অংশের প্রতিচ্ছবিই সুধু দেখা যায়, মানুযের চিন্তা, বর্তমান এবং অতীতকে মিলিয়ে অবচেতন মন খিচুরি রান্না করে, সেই খিচুরিই হল স্বপ্ন। এর বেশী কিছু না।


মন্তব্য

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

বাংলা কি-বোর্ড এ অভ্যস্ত নন, বোঝাই যাচ্ছে। অন্যদের লেখায় মন্তব্য করে ঝালিয়ে নিতে পারেন। এধরণের লেখা পাঠকের জন্য ঝামেলার হয়ে যায়।
আপনার লেখা আমি পড়ছিনা এখন; ধৈর্য্য ও সাহস সঞ্চয় করে আসছি- দাঁড়ান।

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

লেখা ভাল লাগলো।
লেখার শেষে নাম উল্লেখ করলে ভাল হয়।

বোহেমিয়ান এর ছবি

প্রথমেই বলি গল্পটা ভালো লাগছে । চলুক । চলুক

আমি লেখায় হুমায়ূন আহমেদ এর প্রভাব পেলাম ।
আর বানান এর অবস্থা ভয়াবহ
প্রভাব নিয়ে অত চিন্তার দরকার নাই, এটা সাধারণ সমস্যা , আপনি লিখুন তবে বানান এর দিকে খেয়াল করে। বানান ঠিক থাকলে লেখাটা ফেইসবুকে শেয়ার করতাম । এন্টি হিরো চরিত্র গুলোর প্রতি আমার অদ্ভুদ রকমের ফ্যাসিনেশন আছে ।
আপনার নামটা কমেন্টে জানিয়ে দিয়েন ।

সচলে সম্ভবত প্রথম লেখা আপনার?
স্বাগতম
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রচুর বানান ভুলে ভর্তি। পড়তে ভয়ংকর মনোকষ্ট হয়। লেখা পড়ার আনন্দ পাওয়া যায় না।
এটা কি অনুবাদ গল্প?

---মহাস্থবির---

নাশতারান এর ছবি

আপনার নিকটা জানাতে ভুলবেন না।

কীবোর্ডে বাংলা লেখায় অনভ্যস্ত বোঝা যাচ্ছে। টাইপিং প্রমাদগুলো খুব চোখে লাগছে। আপনি যদি অভ্র ব্যবহার করে লেখেন তাহলে কীবোর্ড লেয়াউট দেখে নিলে সুবিধে হবে। আর একটা কৌশল পরখ করে দেখতে পারেন। খবরের কাগজ দেখে দেখে কোন একটি অনুচ্ছেদ টাইপ করে চর্চা করতে পারেন। তাহলে ভুলগুলো চোখে পড়বে।

লেখার চর্চা রাখুন। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

বানানের কথা অলরেডি বলা হয়ে গেছে! দেঁতো হাসি

রক্তারক্তি কাহিনী হবে মনে হচ্ছে, আমার হৃদযন্ত্র বেজায় দূর্বল... চাপ সইতে পারলে হয়!

সচলে স্বাগতম হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

শিরোনাম দেখে পড়তে চেয়েছিলাম... আমার খুব আগ্রহের একটি বিষয়- সিরিয়াল কিলিং।

পড়তে পারলাম না লেখাটা। বানান ভুলের পরিমাণ বেশ বেশী, প্যারা ব্রেক দেয়া হয়নি- পড়তে চোখের উপর বেশ চাপ পড়ছে।

আপনার পরের লেখাটা আরো গোছালো, পরিশীলিত হবে আশা রাখি।

ও,আচ্ছা- নাম দেননি অতিথি ভাই।

_________________________________________

সেরিওজা

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বানানের কথা বললাম না... লেখা চলুক!

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

বইখাতা এর ছবি

বানানের ব্যাপারে সবাই বলেছেন, তারপরও বলি, কিছু বানান খুব চোখে লাগছিল, পড়তে কষ্ট হচ্ছিল। আশা করি পরের লেখাগুলিতে এই ত্রুটি থাকবে না।

স্নিগ্ধা এর ছবি

প্রথম প্যারাটা পড়ে গল্পটা যতখানি দুর্বল হবে বলে আশংকা হয়েছিলো, বিস্মিত হয়ে দেখলাম একেবারেই তা নয়! গল্পটা, বিশেষ করে যেভাবে সম্রাট (এটাই তো প্রধাণ চরিত্রের নাম, তাই না?) তার বাবামা'র ব্যাপারগুলো কথা প্রসঙ্গে বর্ণনা করেছে, সেটা বেশ ভালো লাগলো। সুহানের মতো আমারও সিরিয়াল কিলারের মনস্তত্ত্ব নিয়ে খুব কৌতূহল আছে, সেটাও হয়তো কাজ করে থাকতে পারে। তবে, একটা কথা না বলেই পারছি না - বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সত্যি হলেও, শৈশবে বাবামায়ের সম্পর্ক বা নির্যাতনের (abuse) প্রভাব, বাবা কিংবা মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে মানসিক ব্যাধি বা নিষ্ঠুরতা পাওয়া - এগুলো বেশ কমন ব্যাপার। ভালো লাগবে যদি এক্ষেত্রে অন্যরকম কিছু একটা দেখানো হয়।

আর, বানান/টাইপো নিয়ে এই ঝুঁকিটা আপনি সচলায়তনে কীভাবে নিতে গেলেন?! হাসি

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

.@ফারহানা এফ স্বপনিল

এ নামের একজন একই শিরোনামে আমারব্লগে লিখছে। আপনি কি সেই একই লেখক? অবশ্য লেখাটা হুবহু নয় মনে হচ্ছে।

সচলায়তনে স্বাগতম।

.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

নাশতারান এর ছবি

সে কী? আপনি অন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখা এখানে দিয়ে দিয়েছেন দেখছি !

সচলায়তনের নীতিমালা দেখুন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।