সচলে 'আমার নেই চিত্র' নামে আমার না-আঁকা প্রতিকৃতি নিয়ে প্রথম লেখা দেওয়ার পর কিছু আশাব্যঞ্জক, কিছু উৎসাহসূচক মন্তব্য পেয়ে ভালোই লাগলো, কার না লাগে?
তবে নামটা দেওয়া হয় নি। নামটা পরে যখন মন্তব্যে ধরে দিলাম, সাথে সাথে (মিনিট কুড়িক পরে) সাদা-মডু নামধারী সত্তার ঠাণ্ডা গলার দাবড়ানি। "সচলায়তনে নিবন্ধন করার সময় এক্সপ্লেটিভ-বর্জিত কোনো নিক বেছে নিন। "ব্লাডি" সচলায়তনে নিক বা নিকের অংশ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।"
আমি অবশ্য সেই মন্তব্যে অতীব বিনীতভাবে জানাই কারণটা, আর অন্য একটি নামও প্রস্তাব করি। কিন্তু, উত্তর পাই নি।
যাহোক, নামে কী বা আসে যায়! মহাকবি শেক্সপিয়ারের সেই অমোঘ বাক্য অনুসরণ করে এবার আমার দ্বিতীয় পোস্টটি (অবশ্য, যদি আলোর মুখ দেখে)।
এই ফাঁকে আমার নতুন নামটাও জানাই- মহাস্থবির জাতক। যে যা খুশি সংক্ষিপ্ত করে নিতে পারেন।
২০০০-এর দিকে বাংলা একাডেমীর একটি বই-'মণিকোষ'-আমার হাতে আসে। ওতে প্রায় পঞ্চাশ-ষাটটি প্রচলিত বাগধারার উৎস নির্দেশ করা হয়। সেই থেকে ব্যাপারটায় দারুণ মজা পেয়ে যাই। তবে, আসল মজাটা পাই শব্দের উৎস সন্ধানে। একটা শব্দের পেছনে যে ইতিহাস থাকে, থাকে নানা না-বলা, না-জানা কাহিনি, সেসবের সন্ধানে যেকোন পরিশ্রমই আমার ব্যর্থ মনে হয় না।
যাহোক, আজ ক'টা বাগধারার উৎপত্তির ইতিহাস শোনাতে চাই।
বিরক্তি উৎপাদন করবো না খুব, আশা করছি।
১) বাগধারা: অকালকুষ্মাণ্ড।
প্রচলিত অর্থ: অকর্মণ্য, অপদার্থ, স্ববংশ বা পরিবারের ক্ষতিকারী।
পেছনের কথা: 'অকালকুষ্মাণ্ড' শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ (মানে, ওটি বিশ্লেষণ করে যে-অর্থ পাওয়া যায়) হচ্ছে, 'অকালে জাত কুমড়ো'। তবে, ব্যবহারিক অর্থ তো দেখতেই পাচ্ছেন। শব্দটা বিশেষ্য, অথচ ব্যবহৃত হচ্ছে বিশেষণ হিসেবে। এটাও অদ্ভুত।
যাক, গল্পে আসি।
মূল কাহিনির উৎপত্তিস্থল হস্তিনাপুরের রাজবাড়ি। সে প্রায় হাজার পাঁচেক বছর আগের কথা। দুই/তিন জায়ের রেষারেষির কাণ্ড। ছোট ভাই দুই বিয়ে করেছেন, এবং দু'জনের গর্ভে সন্তানের সংখ্যা পাঁচ। কিন্তু, তিনি আবার স্ত্রীসঙ্গমে অক্ষম ঋষিশাপে (আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা লেজেহোমো এরশাদ সা'বের ওপর যদি ওই আশীর্বাদ থাকতো!!)। তাহলে, ছেলে কার??
কেন, দেবতাদের!
সে-আমলে দেবতারা প্রায়ই মর্ত্যধামে অবতরণ করতেন। সুন্দরীদের সাথে কিঞ্চিৎ ইন্টুমিন্টুও হতো। কেউই মাইন্ড খেতেন না। পোলাপান হয়ে গেলেও না। ছোটভাইয়ের বড় বৌ আবার দেবতা ডাকায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন, মন্ত্রবলে। একবার, কুমারী বয়েসে মন্ত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে এক দেবতাকে ডেকে তো রীতিমত কেলেঙ্কারিয়াস কাণ্ড। শেষমেষ, সন্তান হলো, কিন্তু, দেবতার দোয়ায় তিনি রইলেন কুমারী। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ফেল!
যাক। কিন্তু, বড় ভাইয়ের স্ত্রী গান্ধারীর তো সন্তানাদি হয় না। রীতিমত প্রেস্টিজ ইস্যু। অবশেষে, গর্ভধারণ করেন তিনিও। কিন্তু, এ কী কাণ্ড! সন্তান তো প্রসব হয় না। একমাস, দু'মাস করে আনন্দের প্রতীক্ষা শেষে একবছরের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অপেক্ষা যখন দু'বছরে পৌঁছুলো, তখন আর ধৈরজ রাখিতে পারিলেন না গান্ধার রাজকন্যা। কুন্তীর ছেলে হয়, আর তাঁর হচ্ছে না কেন, কেন, কেন?
নিজের গর্ভে দারুণ আঘাত হানলেন তিনি। মিসক্যারেজ ঘটাতে চাইলেন নিজেরই। তাঁর গর্ভ থেকে নির্গত হয় একটি কুমড়োবৎ লৌহকঠিন মাংসপিণ্ড। ছুঁড়ে ফেলে দিতে চান তিনি এই অভিশপ্ত, বীভৎস, কুদর্শনবস্তুটি।
এন্ট্রি নিলেন রাজবংশের রক্ষাকর্তা মহামুনি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস। গাত্রবর্ণ কালো, তাই নাম কৃষ্ণ; দ্বীপে জন্ম. তাই তিনি দ্বৈপায়ন; বেদরচয়িতা এবং প্রকৃত নাম 'ব্যাস', তাই বেদব্যাস।
এর আগেও তিনি এই কুরুবংশের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডু তাঁরই ঔরসজাত। এবারও তিনি খবর পেয়েছেন কুরুবংশের ভবিষ্যৎ বংশধরদের মৃত্যু ঘটাতে পারেন তাদের মা গান্ধারী। তাই, দ্রুতবেগে ছুটে এসেছেন ধ্যানযোগে এতথ্য জানতে পেরেই (জিনিসগুলো শিখতে পারলে একটা কাজ হতো, মোবাইলের পেছনে যে মাসে কতগুনো টাকা যায়! আর, রিক্সা-ট্যাক্সির খরচও বাঁচতো)।
অতিযত্নে তিনি তুলে নিলেন মাংসপিণ্ডটি। গান্ধারী তাঁর পরামর্শে সেই মাংসপিণ্ড শীতল জলে সিক্ত করে শতখণ্ড করলেন ওটিকে। প্রতিটি খণ্ড ডুবিয়ে রাখলেন একটি ঘৃতপূর্ণ পাত্রে। জন্ম নিলো সর্ববৃহৎ নলজাতকদল (ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন), একসাথে একশ'টি। ব্যাস জানলেন না, স্নেহবশে তিনি নিজের হাতে রচনা করলেন কুরুক্ষেত্রের প্রারম্ভিকা।
এদিকে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে (গুজবের লাখো হাত পা/ শত মুখ, প্রকাণ্ড হাঁ) যে, রাজবধূ গান্ধারী প্রসব করেছেন একটি অকালকুষ্মাণ্ড। এই অকালকুষ্মাণ্ডই জন্ম দিলো শত কৌরবের। এক বৎসরের মাথায় জন্ম নেয় দুর্যোধন এবং এক বৎসর এক মাসের মাথায় দুঃশাসন, দুঃসহ প্রভৃতি শতপুত্র এবং দুঃশলা নামে কন্যা। কুলনাশী পুত্রেরা শেষাবধি পরিবারের ধ্বংসসাধনে রত হয়ে 'অকালকুষ্মাণ্ড' শব্দটি মর্মান্তিক নেতিবাচকতায় পর্যবসিত করে।
২) বাগধারা: অগস্ত্যযাত্রা।
প্রচলিত অর্থ: শেষ যাত্রা, একেবারেই যাওয়া।
পেছনের কথা: পৌরাণিক কাহিনির সাথে সংশ্লিষ্ট এটিও। এবং, সংযুক্ত অগস্ত্য মুনির নামের সাথেও। ইনিই সেই অগস্ত্য যিনি দেবতাদের অনুরোধে একচুমুকে সমুদ্র শুষে নিয়েছিলেন কালকেয় নামের দানবদের লুকনো জায়গা উন্মোচিত করার জন্যে। ইনিই সেই অগস্ত্য যিনি দানব বাতাপিকে মেষরূপে খেয়ে পুরোই হজম করে ফেলেছেন (দুর্দান্ত পেটুক ভদ্রলোক, যাই বলুন)।
সূর্যদেব নিত্য আকাশ পরিভ্রমণ করেন, মানে পুবদিক থেকে সাতঘোড়ায় টানা রথে চড়ে (পরে ম্লেচ্ছ নিউটন আবিষ্কার করলো, সূর্যের সাত রং! ওরে মূর্খ, ওসব তো আগেই শাস্তরে ছিলো রে!!) পশ্চিমদিকে নেমে পড়েন। যাত্রাপথে তিনি ঘুরে আসেন সুমেরু পর্বত, দেবকুলের বাসস্থান। একদিন বিন্ধ্য পর্বতেরও ইচ্ছে জাগলো, আমি কিসে কম! সূর্য কেন আমায় প্রদক্ষিণ করবেন না? সহস্রাংশু পাত্তাই দিলেন না।
চ্যাতিলেন বিন্ধ্য। FYI, সে-আমলে পর্বতেরা মানুষের মতোই কথা বলতো, একটা সময়ে তাদের পাখাও ছিলো, পরে ইন্দ্র মানুষের কথা চিন্তা করে সেসব ছেঁটে দেন। বিয়ে-শাদিও করতো তারা। 'পার্বতী' মানেই 'পর্বতকন্যা'। তাঁর পিতা ছিলেন নগাধিরাজ হিমালয়।
যাক, বিন্ধ্য কী করলো দেখি।
নিজেকে বাড়ানো শুরু করল সে। বাড়াতে বাড়াতে একটা সময় আটকে ফেলল মামার রাস্তাখানিও। সারা সংসার অন্ধকার।
কী কাণ্ড রে ভাইছা। সবখানেই দিনের বেলায় লোডশেডিং। জি, ওটাও পৌরাণিক আমল থেকেই শুরু হৈয়েসিল।
দেবতারা গিয়ে ধরলেন বিন্ধ্যের গুরু অগস্ত্যকে। মানে, পাড়ার ত্যাঁদোড় মাস্তানের হাত থেকে বাঁচতে যেমনটা গডফাদারকে ধরতে হয় আর কি।
তিনিও দু'পায়ে খাড়া।
গিয়ে হাজির ভদ্রলোক দাক্ষিণাত্যের প্রবেশপথে, যেখানে বিন্ধ্য স্পর্ধায় মাথা উঁচু করে পথ রুদ্ধ করেছে খোদ সূর্যের।
গুরুদেবকে দেখে সে মাথাটা নোয়ালো, প্রণত হল। আফট্রল, আগেকার দিনে ছেলেছোকরাদের গুরুজনদের ওপর কিছুটা ভক্তিছেরেদ্দা ছিল। আর, আজকাল তো সবকিছুরই ছেরাদ্দ!
অগস্ত্য চান্সে হুকুম ঝেড়ে দিলেন, "বৎস, আমি দক্ষিণাপথে প্রবেশ করছি। যাবৎ না ফিরছি, তুমি এভাবেই থেকো।"
যথা আজ্ঞা। গুর্বাক্য বলে কথা।
তো, এভাবেই বিন্ধ্য নত হলো।
আর, অগস্ত্য তাঁর শিষ্যের শরীরের একটি ক্ষুদ্র দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন, যার নাম অগস্ত্যদ্বার।
কিন্তু, অগস্ত্য কোথায়? আর ফেরেন নি তিনি। তাই, চিরতরে যাওয়ার ঘটনাই হলো অগস্ত্যযাত্রা, প্রবেশিল এইমতে বাগভঙ্গিমায়।
বলা হয়, তিনি গিয়েছিলেন ১লা ভাদ্র। তাই, এখনো আমাগোর কতিপয় নিষ্ঠাবান হিন্দু ভাইবৈনেরা ওই দিনে গৃহত্যাগ বা শুভযাত্রা করতে চান না। পঞ্জিকায় মানা আছে। আবার, সম্প্রদায়নির্বিশেষে অনেকে মাসপয়লাই বেরোতে চান না; যদি অগস্ত্যযাত্রা হয়?
জনশ্রুতি, অগস্ত্য মৃত্যুপরবর্তীকালে আকাশের নক্ষত্র হয়ে আছেন। শরৎকালে প্রথমে তিনি দক্ষিণাপথে যাত্রা করেছিলেন বলে ভাদ্রের ১৭ বা ১৮ তারিখে তিনি আকাশে নক্ষত্ররূপে আবির্ভূত হন আজো।
একটি নিরীহ প্রশ্ন। বিজেপি সারা ভারতে বা অন্তত তাদের অধিকৃত এলাকায় মাসপয়লা বা কমসেকম ১লা ভাদ্র সব যানবাহনের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় না কেন? মানুষের যে অমঙ্গল হতে পারে ওতে বুঝি তাদের মাথাব্যথা নেই?
[চলিবে কি?]
মন্তব্য
চলিবে
...........................
Every Picture Tells a Story
খুব চলবে
কিন্তু ভাই 'মহাস্থবির জাতক' কী এক নাম নিলেন!! আদর সোহাগ করে ডাকার উপায়ও নেই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুমম। ধন্যবাদ।
আর সংক্ষেপণে আমার নামের দুটো পদের আদ্যক্ষর নিয়ে একটা acronym বানিয়েই দেখুন না, মজা পান কি না! (এখানে চোখ টিপ দেওয়ার ইমো হবে)।
অ.ট.: আপনি মহসিন কলেজ। কোন ব্যাচ?
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ:
ব্লগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারোর মুখোশ উন্মোচন বা এর চেষ্টা সপ্তম মাত্রার অপরাধ।তবে, নারীদের জন্যে এটি পঞ্চম মাত্রার বলে গণ্য হবে। রূপের ও পৈত্রিক অর্থের ঊর্ধ্বগামিতা এবং বয়েসের নিম্নগামিতার (১৮-এর নিচে নয়) জন্যে মাত্রা হ্রাস পাবে।
যে কঠিন ফরেনসিক ভাষায় উত্তর দিলেন, মজা করবো কি... উল্টো ডরাইসি!!
অ.ট: উত্তরটা প্রথমবারই "সাতরঙ্গা আলো" পোস্টে দেয়া হয়ে গেছে,
দ্বিরুক্তি একটি দশম মাত্রার অপরাধ!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
'মজা ' পেলুম! খুব চলবে!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চলবে মানে, খুব চলবে।
হে মহাস্থবির জাতক, লেখা তো চলতেই হবে। খুব মজা পেলাম। আপনাকে মজা ভাই ডাকা যায় কীনা ভাবছি। মহাস্থবির জাতক=ম.জা.।
সে যুগের কুদরতি জন্মপ্রক্রিয়ার গল্প শুনতে শুনতে মনে পড়ল, আমার এক বান্ধবী মিথোলজির একটা বই পড়ে খুব মজা পেয়েছে। আমাকে একটা গল্প শোনাল। এক দুঃখী তরুণী কেঁদেকেটে দেবতার সাহায্য কামনা করে। দেবতা সশরীরে দর্শন দিয়ে তাকে একটি ফুল শুঁকতে দেন এবং বলেন শীঘ্রই তার একটি পুত্রসন্তান হবে যে কীনা তার দুঃখের নিবারক হবে। তো ফুল শুঁকে মেয়েটি গর্ভধারণ করে।
এটুকু বলেই আমার বান্ধবী হেসে খুন।
আমি বললাম, হাসার কী আছে? এখনো তো এভাবেই মানুষের বাচ্চা হয় !
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
...লাইক...\m/
জানা গল্পগুলো আপনার বর্ণনার গুনে আবার পড়তে দারুণ লাগলো। অবশ্যই চলবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চলিবে.... মাঝে "স্থবির" যুক্ত মহাজাতক ভাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
গল্পের সাথে টিকা টিপ্পনীও সেই রকম
মজাভাই চালিয়ে যান ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
সেরকম চলবে... বাহ!
চলিবে চলিবে
চলিবে মানে? লৌড়াইবে!!
আপনার বয়ান সুখপাঠ্য।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
চলবে না ...
কোনমতেই না। তীব্র দ্বিমত থাকলো।
তবে কিনা,
দৌড়ায় যদি, ক্ষতি নাই কোন!
মর্ম
বাঃ বেশ লাগ্লো, মজাদার।
হরফ
চমতকার বিষয়।
চলুক
চমৎকার ...
আপনার লেখার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি।
_________________________________________
সেরিওজা
স্থবির মহাজাতক, অর্থাৎ মজারু দাদা
দারুণ হচ্ছে দাদা, চালিয়ে যান
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
সংক্ষিপ্ত করে হলো মজা।
যতই পড়িতেছি ততই মুগ্ধ হইতেছি, আপন অক্ষমতা নীরবে সহিতেছি, তবুও পারি না..না পড়িয়া থাকিতে, পড়িয়া যাই, লই গো বুক পেতে ঈর্ষার ছাই..! হাঃ হাঃ !
মহাস্থবির দাদা, মুই আঁন্নের ভক্ত হইয়া যাইতেছি ।
(মহাউন্মাদের শিষ্য)
নতুন মন্তব্য করুন