বেশ অনেক বছর কঠিন বাস্তব আমাকে ঘটমান বর্তমান থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। ইদানিং বেশ সময় পাচ্ছি, ব্লগে ব্লগে ঘুরে বেড়াই। নতুন প্রজন্ম কি করছে তা বুঝার চেষ্টা করি। (হায় হায়, নিজেই নিজেকে পুরাতন প্রজন্ম বানিয়ে দিলাম!!) অন্যান্য ব্লগে যদিও কিছু লেখা ভাল আসে, কিন্তু প্রায় সময়ই মন্তব্য পড়তে গিয়ে মাথা ঘুরে। ভাষা, রুচি, শালীনতা কোনকিছুই সংযত নয়। সেই তুলনায় সচলায়তনে লেখা পড়ে ভাল লাগে, যদিও অনেক সময় কিছু লেখা আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। কিন্তু যেটা আমার এখানে বেশী ভাল লাগে, তা হল সবার মন্তব্য। সুচিন্তিত গঠনমূলক মন্তব্যে অনেক কিছু জানা যায়।
এসব দেখে শুনে নিজেরও একজন ব্লগার হতে বড়ই ইচ্ছা করে। আমার যে সাহিত্য প্রতিভা নেই সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। স্কুল কলেজে বাংলাতে ভাল করতাম স্রেফ মুখস্থ বিদ্যার জোরে। বহুব্রীহি নাটকে যেমন রহিমার মা চশ্মার আবদার করেছিল এভাবে, "গরীব বইলা কি আমাগো স্বাদ-আহ্লাদ নাই?"; আমিও সে রকম করে বলতে চাই, "সাহিত্য প্রতিভা নেই দেখেকি আমার লিখতে ইচ্ছা করে না?"
যাই হোক, মাঝে মাঝে চেষ্টা করেও দেখি মাথা থেকে কিছুই আসে না। কি নিয়ে লিখব তাই জানি না। একেক জনের লেখা পড়ি আর চিন্তা করি, 'আরে এটাতো আমার মনের কথা, কিংবা আরে এরকম ঘটনাতো আমারও হয়েছিল, আমি কেন লিখলামনা!' হা-হতোস্মী, লিখতে চেলেই কি কলম থেকে কিছু বের হয়, থুড়ি কী-বোর্ডে কিছু টাইপ করা যায়! অতএব, শুধুই পড়ে যাওয়া, ইদানিং যদিও সাহস করে দুই-একটি পোস্টে মন্তব্য করেছি। মন্তব্য করে আমার সে কি উত্তেজনা, বার বার এসে দেখি সেটি প্রকাশ হল কি না, প্রকাশ হবার পর কেউ প্রতিমন্তব্য করল কিনা।
যাই হোক, লিখতে যখন পারি না, তখন পড়ে যাই। কিছুদিন আগে ভাবলাম, বাংলা উইকির কথা শুনেছি, একটু ওখানে গিয়ে দেখি কেমন ওটা। বাংলা লেখা দেখলে বেশ ভাল লাগে। বাংলা উইকিতে অবধারিত ভাবে যে শব্দটা টাইপ করলাম তা হল 'বাংলাদেশ'। আমি যদিও ইংরেজী উইকিতে 'বাংলাদেশ' আগেই পড়েছি, বাংলাতে আবার পড়তে লাগলাম। কিন্তু এক জায়গায় গিয়ে একটু খট্কা লাগল। সেটা হল - ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলশ্রুতিতে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়।(Baxter[৬], pp. 39—40) তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।
এটা পড়লে মনে হবে বঙ্গভঙ্গ রদ করার কারণ ঢাকাকে রাজধানী বানানো, আর প্রতিবাদটা করেছিল শুধুমাত্র কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা। আমার কাছে মনে হল এটা মিসলিডিং (বাংলা?)। ইংরাজী উইকিতে গিয়ে দেখলাম শুধু এটা বলা, Between 1905 and 1911, an abortive attempt was made to divide the province of Bengal into two zones, with Dhaka being the capital of the eastern zone যারা এ ব্যাপারে জানেন, তারা একটু দেখতে পারেন যে বাংলা উইকির এই তথ্যটা সঠিক কিনা। আমি যতদূর জানি, প্রবল গণআন্দোলনের কারণেই লর্ড কার্জন বাধ্য হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ রদ করতে।
আমি বাংলা উইকিতে আরেকটা ভুক্তিতে এটা পেলাম, এই ঘটনা এক প্রচণ্ড রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। পূর্ব বঙ্গের মুসলিমদের এই ধারণা হয় যে নতুন প্রদেশের ফলে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ বেড়ে যাবে। যদিও পশ্চিম বঙ্গের জনগণ এই বিভক্তি মেনে নিতে পারল না এবং প্রচুর পরিমাণে জাতীয়তাবাদী লেখা এই সময় প্রকাশিত হয়। ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রদ করার প্রস্তাবকদের জন্য এক মর্মস্পর্শী গান আমার সোনার বাংলা লেখেন, যা অনেক পরে, ১৯৭২ সালে, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতে পরিণত হয়।
আরেকটা ভুক্তিতে পেলাম, বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন তিন পর্যায়ে হয়েছে। একভাগ গঠণমূলক যেটা রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন। এক ভাগ বয়কট বা বিদেশী পণ্য বর্জন। আরেক ভাগ যাদের নিয়ে বলা হয়েছে - তৃতীয়ধারায় ছিল চরমপন্থীরা। এরা ছিল দলে ভারী। তাদের কাছে স্বদেশী আন্দোলন এবং বয়কট গৌণ হয়ে যায়। মুখ্য হয়ে ওঠে স্বরাজ। এ নিয়ে কংগ্রেসে তুমুল বিতর্কও হয়। এরই মধ্যে স্বদেশী আন্দোলনের পক্ষে জনমত সংগঠনের জন্য জেলায় জেলায় সমিতি গড়ে ওঠে। গৃহীত নীতি কার্যকর করার জন্য তৈরি করা হয় জাতীয় স্বেচ্ছাসেবীদল। বরিশালে 'স্বদেশ বান্ধব', ময়মনসিংহে 'সুহৃদ' ও 'সাধনা', ফরিদপুরে 'ব্রতী' আর সবচেয়ে বিখ্যাত ঢাকার 'অনুশীলন' সমিতি। জেলা সমিতির অধীনে অনেক শাখাও স্থাপিত হয়। অনুশীলন সমিতির পূর্ববঙ্গ ও আসামে পাঁচশ শাখা এবং সদস্য সংখ্যা গোড়াতে ছিল তিন হাজারের মতো। কলকাতায় গড়ে ওঠে 'যুগান্তর' নামে আরেক সংগঠন।[৮] এই দলের নেতা অরবিন্দ ঘোষ। সহোদর বারীন ঘোষ তার সহযোগী। এরা অস্ত্র হিসেবে বোমা ব্যবহার চালু করেন। এটা কি প্রমাণ করে না যে এই আন্দোলন অবিভক্ত বাংলার সর্বত্র ছড়িয়ে পরেছিল?
আরেকটি প্রশ্ন। বাংলা উইকির 'বাংলাদেশ' ভুক্তিতে আছে - ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়।[৮] এই তথ্যটা আমি আগে জানতাম না। ইংরেজী উইকিতেও পেলাম না। এই তথ্যটা কতটুকু সঠিক? (এটা কি হতে পারে ১৯৫৪ সালে সাংবিধানিকভাবে নাম রাখা হয় 'পূর্ব পাকিস্তান'?)
-লাবণ্য-
মন্তব্য
ইতিহাসে বরাবর কাঁচা ছিলাম।
এখনো তাই।
ওটা নিয়ে অন্যরা বলুন, পড়ে জেনে নেবো'খন!
লেখা পড়ে একটা ব্যাপার মনে হলো, তাই বলে যাচ্ছি-
ইতিহাস নিয়েই লিখতে পারেন কিন্তু, সহজ করে।
আমাদের জানার পরিধি তাতে বাড়বে বৈ কমবে না।
মর্ম
ধন্যবাদ মর্ম।
আমি নিজে অবশ্য ইতিহাসবিদ না, তাই প্রশ্নগুলো করা।
আমার লেখাটি কি কঠিন মনে হচ্ছে? কিভাবে লিখলে সহজবোধ্য হত?
-লাবণ্য-
লাবণ্য আপনার মতো আমিও নতুন ঃ-) আপনি এই লিঙ্কটা পড়তে পারেন, JSTOR-ও কিছু ভাল লেখা দেখলাম।
http://south-asian-history.suite101.com/article.cfm/the_partition_of_bengal
হরফ, লিংকটা পড়লাম। এখানে মূলত বলা হয়েছে লর্ড কার্জন কি উদ্দেশ্যে দেশভাগ করতে চেয়েছিল (divide and rule)।
আমি উইকির যে বাক্যটি নিয়ে খট্কার কথা বলেছি, সেটা পড়লে মনে হয় কিছু কলকাতা কেন্দ্রিক আন্দোলনের কারণে ১৯১১তে সেই আইনটি তুলে নেয়া হয়েছে। আর আন্দোলনের কারণ ঢাকা কে বাংলার রাজধানী করা। আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু আমার এমনই মনে হল। অনেকটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য ভারতকে দায়ী করার মত।
-লাবণ্য-
লাবণ্য, আমি ইতিহাসবিদ নই, মূলতঃ ভাষা নিয়ে কাজ করি তাই খুব অথরিটি নিয়ে বলতে সংকোচ হচ্ছে, কিন্তু যাইহো্ক এই রইল আমার ২ পয়্সাঃ-)
১। Divide and Rule বঙ্গভঙ্গের মূল কারণ। ব্রিটিশ সরকার বাহাদুর বঙ্গভুমি ছাড়ুন, ভারত বা অন্য কোন কলনির-ই উন্নতির জন্য কখনো ভাবিত হয়নি। যদি হতো তাহলে বঙ্গভঙ্গের পিছনে কোন গঠনমূলক চিন্তা ছিল এটা ভাবার অবকাশ থাকত।
২।"পূর্ব বঙ্গের মুসলিমদের এই ধারণা হয় যে নতুন প্রদেশের ফলে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ বেড়ে যাবে। যদিও পশ্চিম বঙ্গের জনগণ এই বিভক্তি মেনে নিতে পারল না এবং প্রচুর পরিমাণে জাতীয়তাবাদী লেখা এই সময় প্রকাশিত থ্যেরহয়।"- এই তথ্যে কিছুটা সত্য তো আছেই। পরে ভারত-ভাগের সময় মুসলিম লীগের প্রতি অধিকাংশ বাঙালী মুসলিম নেতাদের আনুগত্য তো সেটাই প্রমাণ করে। তাই না? এ বিষয়ে আমার আর একটা আর একটা সাম্প্রতিক ভাবনা আছে, যা আপাততঃ এক্কএবারে nascent stage- এ আছে। প্রমাণ দিতে পারব না আগেই বলে দি্চ্ছিঃ-) তা অনেকটা এইরকম : কিছুদিন আগে থেকে একটা কাজ হাতে নিয়েছি। " নস্টআল্জিয়া ফর হোম" শীর্ষক একটা বই-এর লিস্ট বানাচ্ছি। এই লিস্টে ভারত ১৯৪৭-এ ভারত ভাগের পর ভারত থেকে পাকিস্তানে আসা বাঙালী মুসলিম লেখঅকদের কিছু লেখা জোগাড় করতে গিয়ে ঘেমে-নেয়ে অসথির হচ্ছি। মাঝে মাঝেই দৃঢ়ভাবে মনে হচ্ছে দ্বিজাতিতত্বের থিওরিটা আসলে আদপেও ভুল না! অথ্চ দেখুন কত বছর ধরে ভারতীয় শিক্ষার দরুন এই থিওরিটাকে ভুল জেনে এসেছি!
৩। তবে আপনি যা বলেছেন অর্থাত, "বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন তিন পর্যায়ে হয়েছে। একভাগ গঠণমূলক যেটা রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন। এক ভাগ বয়কট বা বিদেশী পণ্য বর্জন। আরেক ভাগ যাদের নিয়ে বলা হয়েছে - তৃতীয়ধারায় ছিল চরমপন্থীরা। এরা ছিল দলে ভারী। তাদের কাছে স্বদেশী আন্দোলন এবং বয়কট গৌণ হয়ে যায়। মুখ্য হয়ে ওঠে স্বরাজ। এ নিয়ে কংগ্রেসে তুমুল বিতর্কও হয়। এরই মধ্যে স্বদেশী আন্দোলনের পক্ষে জনমত সংগঠনের জন্য জেলায় জেলায় সমিতি গড়ে ওঠে। গৃহীত নীতি কার্যকর করার জন্য তৈরি করা হয় জাতীয় স্বেচ্ছাসেবীদল। বরিশালে 'স্বদেশ বান্ধব', ময়মনসিংহে 'সুহৃদ' ও 'সাধনা', ফরিদপুরে 'ব্রতী' আর সবচেয়ে বিখ্যাত ঢাকার 'অনুশীলন' সমিতি। জেলা সমিতির অধীনে অনেক শাখাও স্থাপিত হয়। অনুশীলন সমিতির পূর্ববঙ্গ ও আসামে পাঁচশ শাখা এবং সদস্য সংখ্যা গোড়াতে ছিল তিন হাজারের মতো। কলকাতায় গড়ে ওঠে 'যুগান্তর' নামে আরেক সংগঠন।[৮] এই দলের নেতা অরবিন্দ ঘোষ। সহোদর বারীন ঘোষ তার সহযোগী। এরা অস্ত্র হিসেবে বোমা ব্যবহার চালু করেন। এটা কি প্রমাণ করে না যে এই আন্দোলন অবিভক্ত বাংলার সর্বত্র ছড়িয়ে পরেছিল?"- এও সত্যি।
বঙ্গভঙ্গের কারণ আসলে বেশ জটিল ও প্যাঁচালো,অনেক অনেক লেয়ার আছে। এটা বুঝতে আমার প্রায় ৩৩ বছর সময় লেগেছে ঃ-)
ইতিহাসে যে কোন অর্জনেই অনেক লেয়ার আছে, এটা ঠিক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যেমন শুধু এক দিনে শুরু হয় নাই, এর ভিত্তি তৈরী হয়েছে সেই ১৯৪৮ থেকে একটু একটু করে; তেমনি ৪৭ পূর্ব ঘটনাও জটিল, অনেক বেশী জটিল।
ব্রিটিশরা অবশ্যই কোন সৎউদ্দেশ্যে এই দ্বিজাতিতত্ত্বের বীজ বোনেনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশের চেয়ে বাংলাদেশে (অবিভক্ত) বেশী সংগঠিত আর প্রবল ছিল। এখানে ভাঙ্গন ধরানো সেই জন্যই বেশী দরকার ছিল। ১৯০৫ এ সফল না হলেও বিষবৃক্ষের বীজটা ঠিকই বুনতে পেরেছিল।
তবে যতটুকু পড়েছি, মূলত কোলকাতা কেন্দ্রিক আন্দোলনই বেশী মনে হয়েছে। কংগ্রেস সে সময়ে সর্বভারতীয় দল হিসাবে সংগঠিত হচ্ছে। ঢাকাতে কংগ্রেস কি করেছে, অথবা ঢাকাতে স্বদেশী আন্দোলন কতটুকু জোরদার ছিল, তা বলতে পারব না। হয়তবা সে সময়ে ঢাকার সে রকম ভূমিকা ছিল না রাজনীতিতে।
কিন্তু তাই বলে যদি বলা হয়, ঢাকাকে রাজধানী করার প্রস্তাবে শুধুমাত্র কোলকাতা কেন্দ্রিক সুশীল সমাজ বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিল, সেটা কি ঠিক হবে? এই প্রস্তাবের গুঢ় উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেই ত এটার বিরোধিতা করা হয়েছিল। আর অবিভক্ত বাংলার সব জায়গাতে কি এর বিরুদ্ধে আন্দোলন হয় নাই? নিশ্চয়ই হয়েছিল। আসলে আমার মনে হয়েছে এরকম একটা আভাশ দেয়া হয়েছে বাংলা উইকিতে।
আর আপনি যেটা বললেন, দেশভাগ নিয়ে লেখা তুলনামূলক কম এপারে, সেটা হতে পারে। সেইসময় সাহিত্যে মুসলিম লেখক কম ছিল বা মাত্র তারা সাহিত্য জগতে পদচারনা শুরু করেছে। আর দেশভাগের পরপরই পশ্চিম পাকিস্তানের শোষন/জুলুম আরম্ভ হয়ে যাওয়ায় আমাদের সাহিত্যে সেটাই বেশী এসেছে। এটা আমার নিজস্ব ধারণা, ভুল হতে পারে।
শেষ পর্যন্ত লেখা দিলেন তাহলে , স্বাগতম সচলে।
আপনার লেখা ভাল লাগল, কিন্তু প্যারা শেষে গ্যাপ দিয়েন, পড়তে আরাম হয়।
------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ফেসবুকে যেই লাবণী আপার জিভেজলজাগানিয়া রান্নার ছবি সাইফ ভাই দিয়েছেন, ইনিই কি তিনি?
আহা - আপনে যেন জানেনে না
ওমা আমি জানুম কেম্নে? আমি সেই রান্না না চাখসি না তার গন্ধ শুঁকসি
আমি লাবণী না, লাবণ্য। আর তিনি যদি পেন্সিলভিনিয়ার লাবণী হন, আমি মনে হয় সেই রান্নার গ্লপ শুনেছি।
দুঃখিত আপু। সাইফ ভাই এমন সব ছবি দিসে যে দুই নামে গুলায় ফেলসি
না না ইনি লাবনী আপা না, আমাদের পরিচিত একজনের বান্ধবী( যদি আমি ভুল না করে থাকি)
------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
হায় সর্বনাশ, ভার্চুয়াল থাকবার দেখি কোনই উপায় রইল না... :)।
এই প্রশ্নগুলো আমার মাথায় বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরছিল, কিন্তু আমার লেখার যা অবস্থা এতদিন সাহস করতে পারি নি। আজকে অফিসে কল-আউট করে এভাবে সময় কাটাচ্ছি। কানে কানে বলি, আমার ই-মেইল টাইপ করার আগে তোমার কথাই মনে আসছিল, শেষ পর্যন্ত ঠিক ই ধরে ফেললা......
আমি আবার এক্সট্রা গ্যাপ গুলো ডিলিট করে দিয়েছি, এখন দেখছি সেটা উচিৎহয় নাই। আর দেখ অবস্থা,আমার প্রশ্নগুলো মনে হয় ঠিকমত তুলে ধরতে পারিনি।
-লাবণ্য-
লেখা ভালু লাগল আপু! নিকটাও পছন্দ হইল! নিক নিবন্ধন করেছেন তো? না করে থাকলে করে ফেলেন, তারপর ধুমায়া লেখতে থাকেন, আর বাকিটা অন্যদের সচলাসক্তির অভিজ্ঞতা পড়ে থাকলে জানেনই। খালি এইটুকুই বলি, এই আসক্তি দিন দিন বাড়ে। আর লেখা খুব সহজ ভাষায় লিখেছেন, কিন্তু প্যারার গ্যাপের অভাবে একটু চেপে গিয়েছে। ব্যাপারনা, সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রথম লেখাটা দেওয়াই সবচেয়ে কঠিন কাজ।
আপনার কাছে থেকে অনেক মজার গল্প শুনতে চাই। আপনার স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির মজার দিনগুলোর কথা লিখেন, দেখবেন লিখেও যেমন আরাম পাবেন, আমরা পড়েও একই রকম মজা পাবো!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ সাইফ। আমিত মনে হয় অনেক আগে নিবন্ধন করেছিলাম, জানি না ওতে হবে কি না। কোন ই-মেইল কনফার্মেশন কি পাবার কথা?
আর লেখা মনে হয় না খুব বেশী পারব, পারি না যে। তোমার গল্পের পরবর্তী পর্ব কবে আসবে?
-লাবণ্য-
আসবে শীঘ্রই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাল লাগছে যে অবশেষে সাহস করে লেখে ফেললেন, লাবণ্য আপা! আমরাও আমাদের গ্রুপকে (হলিক্রস) আরেকটু ভারী করবো তাহলে।
প্রথম লেখাটাই আসল। তারপর হয়েই যায়। আমি বুঝতে পারছিলাম যে আপনি শুরু করবেন কারণ আপনার মন্তব্য আসছিল ইদানিং - আমারও এভাবেই শুরু। তবে মে'র শেষ ভাগের আগে আর লেখা সম্ভব নয় এখন আর - শুধু এসে পড়ে, মন্তব্য মাঝে মাঝে করে দিয়ে যাই।
স্বাগতম আপনাকে। ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
প্রথম লেখার আগে সময় লাগে নাকি?! কপাল ভালো মানতে হবে, অমন টেরও পাইনি।
নিবন্ধন করে লেখা দিলাম।
আমি অবাক, চট করে চলে এলো!
মর্ম
ধন্যবাদ শরৎশিশির।
মে মাসের শানে নযুল কি?পরীক্ষা কোন?
-লাবণ্য-
জ্বী। গ্র্যাডুয়েশান - আশা করি, ঠিক মতো শেষ করতে পারব। পড়ার চাপ আর ভাল লাগছে না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আপনি যে লিখতে পারেন না তা আপনার প্রথম পোস্টেই বুঝে ফেলেছি। এই না-পারা লেখাই লিখতে থাকুন।
সচলে স্বাগত জানাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন