সাত সকালে পেট ভরে কাঁচা মরিচ-পিয়াজ দিয়ে এক প্লেট পান্তা খেয়ে রিক্সা নিয়ে বের হয় কুদ্দুস মিয়া। গায়ের জামাটা খুলে গামছাটা গলায় পেঁচিয়ে নেয়। সকালের বাতাসের মত কুদ্দুস মিয়ার মন মেজাজ আজ ফুরফুরে। বয়স যদিও ষাটের কাছাকাছি, কিন্তু শরীরের গঠনে বোঝার উপায় নেই। সুঠাম দেহ, মাথা ভর্তি আধা কাঁচা-পাকা চুল, কথা-বার্তায় দৃঢ় চেতা। বড় বড় চোখে বিস্ময় নিয়ে শহরের অলি গলি চষে বেড়ায়। চাওয়া-পাওয়ার অদম্য ইচ্ছাটা সব সময় মুঠোবন্দী করে রাখে। যা পায় তাতেই যেন রাজ্যের সুখ খেলা করে মনের অলিন্দে, বস্তির ভাঙ্গা করে।
প্রথম স্ত্রী গত হওয়ার পর দ্বিতীয় বার বিয়ে করে। প্রথম ঘরের দুই ছেলে কেউ কুদ্দুস মিয়ার খোঁজ খবর রাখে না। দ্বিতিয় ঘরের দু' টি ছেলে-মেয়ে আর স্ত্রী মোমেনাকে নিয়েই এখন তাঁর সংসার। তাদের নিয়েই কুদ্দুস মিয়ার স্বপ্ন আবর্তিত হয়। ১০-১২ বছরের ছেলে-মেয়ে আর রুগ্ন স্ত্রীর জন্য খাবার যোগানের সংগ্রামে সময় চলে যায় রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ঢাকার রাজপথে।
বড় রাস্তার মোড়ে আসতেই মধ্যবয়সী এক যাত্রীর ডাকে দাঁড়ায়। ময়লা জিন্সের সাথে গেঞ্জি গায়ে লোকটি মোবাইলে কথা বলতে বলতে কাছে আসে। মোবাইলটা কানের সাথে লাগিয়ে রেখে বলে-"চাচা, যাইবেন নাকি?" একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে -"কই যাইবেন?" লোকটা মোবাইলে অনবরত কথা বলেই যাচ্ছে, কুদ্দুস মিয়ার কথার কোন উত্তর না দিয়ে রিক্সায় উঠে বসে। সে প্যাডেলে চাপ দিয়ে আবার জানতে চায় -"বাবা কনে যাইবেন হেইডাতো কইলেন না।" লোকটার সম্বিৎ ফিরে আসে, কান থেকে মোবাইলটা সরিয়ে বলে-"ধানমন্ডি ৮ নম্বর, রবীন্দ্র সরোবরে উম্মুক্ত মঞ্চে।" সে ধানমন্ডি ৮ নম্বর চিনে, তাই পরের অংশটুকু মনে রাখতে চায় না। তারপরও কুদ্দুস মিয়ার মনে একটা খটকা লাগে, কিন্তু যাত্রীকে আর কিছুই জিজ্ঞাস করা হয় না।
ফাঁকা রাস্তায় জোরে প্যাডেলে চাপ দিতে থাকে। সকালের কড়া রোদে শরীর থেকে ঘাম ঝরে পড়ে। এক হাতে গামছা দিয়ে ঘাম মুছে নেয়। কিছু দূর আসতেই গান ধরে-"মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি---------।" রিক্সায় বসা যাত্রীটি তাঁর গলার মিষ্টি সুর শুনে মুগ্ধ হয়। মোবাইলটা পকেটে রেখে একনিষ্ঠ শ্রোতা হয়ে কুদ্দুস মিয়ার গান শুনে। কালজয়ী গান, শুনলেই শরীরের রক্ত টগবগ করে, শত্রু দমনে মনের ভেতর ক্রোধের লাভা দলা বাঁধে। আজকের সকালটা যেন এই গান শোনার উপযুক্ত সময়।
রিক্সা ধানমন্ডি ৮ নম্বরের ব্রিজ পাড় হয়ে বামে মোড় দিতেই যাত্রীটি থামতে বলে। কুদ্দুস মিয়া ব্রেক চাপে। গামছা নিয়ে ঘাম মুছে, ভাড়ার জন্য অপেক্ষা করে। যাত্রী ভদ্রলোক পকেট থেকে পার্স বের করে ভাড়া কত জানতে চায়। কুদ্দুস মিয়া ঘাম মুছতে মুছতে বলে-" আপনি যেইটা ন্যায্য মনে করেন সেইটাই দেন।" ভদ্রলোক ভাড়া এগিয়ে দিলে কুদ্দুস মিয়া একটু অবাক হয়। প্রত্যাশিত ভাড়ার চেয়ে কম দেখে সে হাত বাড়াতে চায় না। কিন্তু সকালে বের হওয়ার সময় মনে মনে একটা প্রতিজ্ঞা করেছিলো, সেটা মনে পড়ে যায়। আজ স্বাধীনতা দিবস, আজ ভাড়া নিয়ে কারো সাথে ক্যাচাল করবে না, যে যা ভাড়া দিবে তাই নিবে। তাই কোন কথা না বলে অন্যায্য ভাড়াটা হাত বাড়িয়ে নেয়। লোকটি পা বাড়াতেই কুদ্দুস মিয়া জানতে চায়-"বাবা একডা কথা, এইহানে আজ কী অইবো? এতো আয়োজন কেন?" ভদ্র লোকটি কুদ্দুস মিয়ার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে-" আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস, তাই এখানে সারাদিন অনুষ্ঠান হবে।"
কুদ্দুস মিয়া জামাটা বের করে পড়ে নেয়। রিক্সাটা সাইড করে ব্রেকটা আটকিয়ে রিক্সার ওপরে উঠে বসে। গামছা দিয়ে শরীরটা আয়েশ করে মুছে নেয়। রবীন্দ্র সরোবরের দিকে চেয়ে থাকে। আস্তে আস্তে এলাকাটা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মঞ্চে গান, আবৃত্তি, নৃত্য চলতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। সে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকে, কখনো গানের সাথে সুর মিলায়। কলেজ পড়ুয়া এক জোড়া ছেলে-মেয়ে কুদ্দুস মিয়ার রিক্সার কাছে এসে জানতে চায়-"এই চাচা যাবেন?" কুদ্দুস মিয়া তাদের ডাকে ফিরেও তাকায় না। ছেলেটা আবার জোরে ডাকে-"চাচা যাবেন?" ছেলেটার জোরালো ডাক শুনে সে পেছন ফিরে তাকায়। এক ঝলক ছেলে-মেয়ে দু'টিকে দেখে বলে-"না।" ছেলেটি একটু বিরক্ত হয়ে যায়। মেজাজ খারাপ করে, চরা গলায় বলে-"যাবেন না তো বের হইছেন কেন? যান বাসায় গিয়া ঘুমান।" কুদ্দুস মিয়া এহেন বাজে ব্যবহারে একটুও কষ্ট পান না। প্রতিদিন তাকে এমন হরেক রকম মানুষের গাল মন্দ শুনতে হয়। সে এতে অভ্যস্ত। কুদ্দুস মিয়া ছেলেটির চলার পথের দিকে চেয়ে থাকে।
কুদ্দুস মিয়া সেখানে বসেই সিদ্ধান্ত নেয় আজ রিক্সা চালাবে না, এখানে বসে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখবে। টিভিতে কোন অনুষ্ঠান দেখতে পারে না, এই বিদ্যুৎ থাকেতো, এই থাকে না। আবার অনুষ্ঠানের নামে চলে দীর্ঘ প্যাঁচাল, মানুষে মানুষে ক্যামেরার সামনে বস্তীর মহিলাদের মত ঝগড়া করে, পরনিন্দার চর্চা করে। ইতিহাস নিয়ে কী সব কথা বলে। সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে সরকার তোষণের চেষ্টা করে একদল স্বার্থবাদী লোক। সরকারের চ্যানেলে চলে আলোচনার নামে সমালোচনা আর নিজ দলের সুখ্যাতি। বর্তামান প্রাইভেট চ্যানেল গুলোও বাদ যায় না। সারাদিন রিক্সা চালিয়ে ঘরে ফিরে ক্লান্ত শরীরে যখন সাধের টিভি চালু দেয়, তখন দেখে একদল স্যূট-টাই পড়া ভদ্র লোকেরা স্বার্থের জন্য নির্লজ্জ ভাবে মিথ্যা বলছে। তখন ক্লান্ত কুদ্দুস মিয়ের মেজাজ যায় খারাপ হয়ে, রিমোর্ট ঘুরিয়ে চলে যায় ভীনদেশী চ্যানেলে। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় আজ এখানে মন ভরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখবে। বাংলাদেশের গান শুনবে, বাংলাদেশী নৃত্য দেখবে।
ছেলেটির কথাটা কানে বাজে, কুদ্দুস মিয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। স্মৃতির ডানায় ভর করে ফিরে যায় উত্তাল একাত্তরের মার্চে। পাকিস্তানি হানাদারদের নির্মম বর্বরতার দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠে। বাবা-মা, ভাই -বোনদের ইজ্জত বাঁচাতে যোগ দিয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধে। হাতের মুঠোও জীবন নিয়ে প্রতিনিয়ত লড়ে গেছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। চোখের সামনে কত যুবকের লাশ দাফন করেছে, কত সহযোদ্ধাকে দেখেছে পুঙ্গ হতে। কত রক্তে লাল হয়েছে এই দেশের সবুজ ভূমি। চোখের কোণ বেয়ে নেমে আসে দু'ফোটা নোনা জল। চৈত্যের সূর্যতাপে নোনা জল চিকচিক করে। কুদ্দুস মিয়া হাত বাড়িয়ে নোনা জল মুছে না। চেয়ে থাকে আকাশের দিকে। বড় বড় নিঃশ্বাস ছাড়ে। ঘরের ছেলে-মেয়েদের কথা মনে পড়ে যায়, অভুক্ত স্ত্রীর শুকনা চেহারাটা ভেসে উঠে। ছেলে-মেয়েদের জীর্ণ শীর্ণ শরীরটা মনের মাঝে যুদ্ধে যাবার তাড়না দেয়। জামাটা খুলে রিক্সার সিটের নিচে রেখে গামছাটা গলায় পেঁচিয়ে আবার বের হয়, আবার যুদ্ধ করে আহারের জন্য, একমুঠো মোটা ভাতের জন্য। ছেলে-মেয়ের ক্ষুদা নিবারণের জন্য, স্ত্রীর লজ্জা আবরণের জন্য, বস্তির ভাঙ্গা ঘরে একটু শান্তির জন্য।
=============০০০০০০০০০====================
মন্তব্য
"বস্তির ভাঙ্গা করে। " জায়গায় "বস্তির ভাঙ্গা ঘরে"- হবে। দুঃখিত টাইপোর জন্য। আরো কিছু ছোটখাটো ভুল আছে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে নিবেন। ধন্যবাদ।
ব্লগার বন্ধু চোখে জল এনে দিলেন অতি সহজেই ।
এই অনুভব বা সিস্টেমে যেতে হলে অনেকক্ষন ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রোগ্রাম দেখতে হতো অথবা অনেক গুলো দেশের গান শুনতে হতো । ধন্য ধন্য।
আপনার ভাবনার প্রতি অসম্মান করতে চাই না। গল্পের বক্তব্য অবশ্যই মূল্যবান। স্বাধীনতার এত বছর পরও কুদ্দুস মিয়াদের আজও লড়ে যেতে হয়।
কিন্তু, ভাই/ আপা, অনেক বানান ভুল। বর্ণনা অসংলগ্ন।
জীবনযুদ্ধে বিধ্বস্ত ষাট বছরের রিকশাওয়ালার চোখেও আপনি বিস্ময় খুঁজে পান?
লাভা ফুঁসে উঠতে পারে, দলা বাঁধে কী করে?
রিমোর্ট? পুঙ্গ? এগুলো তো টাইপো নয় নিশ্চয়ই।
নিক দেননি। তাই সচলে এটাই আপনার প্রথম লেখা কীনা বুঝতে পারছি না।
আমি আপনাকে অনুরোধ করব লেখার প্রতি যত্নশীল হতে।
ভালো থাকবেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
১.
প্রথম প্রশ্নটা কেন করলেন বুঝলাম না। ষাট বছরের রিকশাওয়ালা বিস্মিত হলে সমস্যা কোথায়?? খুবই অবাক হলাম!
২.
ফুঁসে ওঠার আগে লাভা দলা বাঁধতেই পারে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এই যে ভুল ধরিয়ে দিলেন, এখান থেকে শিখবো। যেদিন আপনার সবাই ভালো বলবেন, সেদিন না হয় নাম দেবো। আপাতত শুধু জানাই আমি ছেলে মানুষ।
বিক্ষিপ্ত ক্রোধ দল বাঁধে- হবে।
বিস্ময় কী শুধু বালকের চোখেই থাকে? প্রতিটি মানুষের চোখেই বিস্ময় আছে। যা স্বাভাবিক তার ব্যতিক্রম হলেই কী আমরা বিস্ময় প্রকাশ করিনা? স্বাধীনতার পর দেশটা যে রকম হবার কথা ছিলো সে রকম না হওয়াতে ষাট বছরের বুড়ো মুক্তিযোদ্ধার চোখে এখনো বিস্ময় খেলা করে, নাকি ভুল বললাম?
ওখানে রিমোট এবং পুঙ্গো হবে।
ভুল গুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
=============০০০০০০০০০===================
আপনার যুক্তি মেনে নিতে পারছি না। দুঃখিত।
"বিক্ষিপ্ত ক্রোধ দল বাঁধে"র অর্থ আমার জানা নেই।
"পুঙ্গো" মানে কী তাও জানি না। আমি ভেবেছিলাম ওটা বুঝি "পঙ্গু" হবে।
নাম আড়াল করার প্রবণতা অপছন্দ করলাম। আপনি ভুল করবেন আর তার দায়ভার নেবেন না সেটা এক ধরনের অসততা। একজন লেখকের প্রতিভার চেয়ে তার সততা বেশি গুরুত্ব বহন করে আমার কাছে।
আশা করি আপনি নিজের ভুলগুলো শুধরে নেবেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দ্বিমত থাকতে পারে।
মনের ভেতর অনেক গুলো বিষয়ের উপর জমানো ক্রোধ যখন একত্রিত হয় তাকে বুঝিয়েছিলাম, ভুল বলে থাকলে দুঃখিত।
আমিতো দায় ভার নিবোনা তা বলি নাই। সমস্ত দায়ভার লেখকের এটাই স্বাভাবিক।
তবে আপনি যে ভাবে আমাকে উপকার করলেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আবার যদি লিখি নাম দিয়ে লিখবো।
=========০০০০===========
@বুনোহাঁস,
♪নামের বড়াই কোরো নাকো, নাম দিয়ে কি হয়?
মিউ শুনেই পেয়ে যাবে বেড়ালের পরিচয়♫
লালা লালা লালা ♪♫
আপনি ও (নিচে তিথীডোর) অতিশয় ফিচেল
বকা দিলেন নাকি?
আপনি একটু বইটই পড়ার উপদেশ দিয়ে নসিহত করে দিননা পাঠুদা...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গল্পটা ভালো লাগলো,সহজেই মনোযোগ কাড়তে পেরেছিলেন বলে।
রিকলাওয়ালা কুদ্দুস যখন ছেলেটিকে 'না' বলে দিয়ে দেশের বর্তমান নিয়ে ভাবতে শুরু করলো তখন খানিকটা বেখাপ্পা লাগলো। ওরা এভাবে ভাবেনা তা বলিনা তবে সে ভাবনার প্রকাশটা বোধ হয় বাস্তব না।
তবে শুরু হিসাবে গল্পটা যথেষ্টই ভালো।
নিক বা নাম দিলে কি ক্ষতি? বেনামী হয়েই বা কী লাভ?
শুভেচ্ছা।
মর্ম
লেখা ভালো লেগেছে। বেশ গোছানো। স্বাভাবিক ভাবেই চোখের সামনে ছবিটা ফুটে উঠলো যেন।
শুধু
এই অংশে একটু খটকা লেগেছে। অবশ্য রিকশাওয়ালার ঘরে রিমোটআর ডিশ চ্যানেল ওয়ালা টিভি থাকতেও পারে।
লিখতে থাকুন হাত খুলে (y)।
শুভেচ্ছা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনার লেখাটা চমৎকার লাগলো। বানান ভুল আছে কিছু, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না...
বানানের প্রতি দারুণ দায়সারা মনোভাব নিয়ে গোছের একজন ব্লগার লিখতেন, যেমন - সিউলী (শিউলী), পাড়েন (পারেন) ; আপনার বানানের প্রতি যত্নশীলতা তার চেয়ে অন্ততঃ বেশি ...
আশা রাখি আপনার লেখা বজায় থাকবে।
_________________________________________
সেরিওজা
''আকাল্মান্দ কে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়!"
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
ভাইরে, একটা বাজে প্রশ্ন করি? টিভিটা বেইচা বা ভিনদেশী চ্যানেল না দেইখা কি রুগ্ন স্ত্রীর চিকিৎসা আর ক্ষুধার্ত সন্তানের ক্ষুধা মেটানো যায়না?
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভালো লেগেছে গল্পটা । তাই আর বানানের দিকে নজর দেইনি ! এই নবীনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা রইলো । ভবিষ্যতে আরো লিখবেন
"মুক্ত বিহঙ্গ"
"ভাইরে, একটা বাজে প্রশ্ন করি? টিভিটা বেইচা বা ভিনদেশী চ্যানেল না দেইখা কি রুগ্ন স্ত্রীর চিকিৎসা আর ক্ষুধার্ত সন্তানের ক্ষুধা মেটানো যায়না?" " দুষ্ট বালিকা"
মন্তব্য:
আপনার প্রশ্নটা আপনার নামের মতই সুইট
কিন্ত বাস্তবতা হল একজন রিক্সাচালক জীবনে কতবার টিভি কেনে, আবার প্রয়োজনে বিক্রয় করে, আবার টাকা জমায়, আবার কেনে -সেখানে গল্পে একজন মুক্তযোদ্ধা রিক্সাচালক দেশকে ভালবাসার অংশ হিসাবে মিডিয়ার (টিভি) প্রতি ঝোক বা অভিমান এটা খুবই স্বাভাবিক ।
আমার জানামতেএকটা ছোট ছেলে ভ্যানচালক স্প্রিন্টার মোবাইল কেনে এবং ভ্যানে তাকে ঘুম পাড়িয়ে সেটটা চুরি যায়, সে আবার পুরাতন বাজার থেকে স্প্রিন্টার সেট কেনে, অভাবের মাঝে ছেলেটার এই শখকে আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে অথবা মনস্তাত্তিক বিশ্লেষণ করতে হবে।
মন্তব্যতো মুছতে পারিনা তাই এডিট করে দিলাম
কেনু? কেনু?? কেনু???
________________________________________________________
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
পাপেট পাপেট লাগে যে
লেখার ধরন খানিকটা আনাড়ি মনে হলো...
দলছুট ভাবনাগুলোকে সাজাতে আরেকটু যত্ন চাই!
'পুঙ্গো' মানে কি?
মন্তব্যে নিক জানাবেন প্লিজ..
স্বাধীনভাবে লিখতে থাকুন!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দিনের অন্যতম সেরা মন্তব্য।
পড়লাম, বেশ বিরক্ত লাগল, এত ফাঁক গল্পের মাঝে যে কি বলব, তার মাঝে স্বাধীনতা দিবস নিয়ে টানাটানি করলেন, তার কি কোন দরকার ছিল? আর নাম দিলেন না, তাতে মনে হল আপনে আপা হবার সম্ভাবনা বেশি, লজ্জা বেশি কিনা!
যাক লেখার কিছু অসঙ্গতি নিয়ে ২টা কথা বলি। শেষ কবে সাত সকালে বের হইছেন? আপনার বর্ননা পড়ে মনে হইল সেই সৌভাগ্য আপনার হয় নাই। কালকে ভোর বেলায় একটু বের হন, তাহলেই বুঝবেন কি বোঝাতে চাইছি। তাও যদি না বুঝেন, একটু শার্ট খুলে সকালে বের হয়েন, দেখবেন ফুরুফুরে বাতাসে মেজাজ কেমন ফুরুফুরে থাকে মার্চ মাসে। নাকি এর জন্যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কে দোষ দিবেন, তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা ফক্স নিউজের মত হয়ে যাবে।
কুদ্দুস মিয়া এর বয়স ৬০ বছর, এটাকি গল্পের স্বার্থে? রাস্তায় কোন রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করবেন একটু আজকে, সে কতবছর ধরে রিকশা চালায়। ১০ বছরের বেশি রিকশা চালায়, এমন যদি সত্যি পান, একটু কষ্ট করে ভিডিও করে আনবেন। কোন রিকশাওয়ালা চাচাকে শুদ্ধ ভাষায় গান গাইতে শুনেছেন কখনো? তাহলে তো তিনি শুদ্ধ ভাষায় কথাও বলবেন, ঠিকনা?
চাচামিয়া রিকশা চালান, তার আবার ২ বউ? একজন গত হবার পরে আরেকজনকে বিয়ে করেছেন, সাবাশ। আর ২ বাচ্চা নিয়ে বস্তিতে থাকেন, কোন সমস্যা নাই, কিন্তু টিভি, তার মাঝে আবার ডিশের লাইন। সত্যিই ডরাইছি, আপনে কি জানেন যে মাসে কত টাকা দেওয়া লাগে ডিশের সংযোগের জন্যে। আপনে তো মনে হয় পারলে বলতেন, ল্যাপটপও ছিল, তা দিয়ে তিনি সচলায়তন পড়তেন নিয়মিত।
যাক, কুদ্দুস চাচা জীবনযুদ্ধে লিপ্ত আছেন, অথচ ভাড়াটে আসলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, এটা কতটা বাস্তব? যতদূর মনে আছে, তার মুখচেয়ে ঘরে স্ত্রী আর ২ বাচ্চা বসে আছে।
বানানের কথা কি বলব, নিজেই এই দোষে দুষ্ট, কিন্তু কিছু বানান খুবই দৃষ্টিকটু। কিছু বানান দেখে মনে হল, আপনার সেই বানানগুলো সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। যাক, ব্যাপারনা, সচলায়তনে স্বাগতম, আগামীতে আরো ভালো লেখা দিবেন। আর নিক দিতে ভুলবেন না আশাকরি, আর যদি না দেন তাহলে অন্তুত জানাবেন আপনে পুরুষ নাকি মহিলা? আমি আবার সার্টিফায়েড লুল কিনা, কয়দিন আগেই একজনের ব্লগে লুল ফালায় পরে জানতে পারলাম তিনি আমারই বন্ধু এবং বিবাহিত। তাই এখন লুল ফালানোর আগেও চিন্তা করতে হয়। নিজের চরিত্র খ্রাপ কিনা, কন্ট্রোল রাখতে পারি না।
আপনার লেখা পড়ে মনে হল আপনার লিখার ইচ্ছা আছে, চেষ্টা করলে ভালো লিখতে পারবেন, তাই আরো ভালো লেখা পড়ার ইচ্ছা নিয়ে বিদায় নিলাম আপাতত। ভালো থাকবেন সবসময়, আর সচল হয়ে উঠুন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখকের নাম পরিচয় কী? পরিচিত কেউ নন তো?
কি জানি, আপনার কি চেনা চেনা লাগে নাকি? আমি দোয়া করতেছি, যেন ইনি কোন আপা হন, সচলায়তনে আপাদের সংখ্যা খুব কম!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তোমার এবং আরো কয়েকজনের মন্তব্যের দৈর্ঘ দেখেই না আমার সন্দেহ শুরু হইলো তোমার দোয়া কবুল হতেও পারে। আর সেটা হবে স্বাধীনতা দিবসের সারপ্রাইজ।
পিপিদার মুখে ফুল-চন্দন পড়ুক। ধুগোদা কই? আসেন, আমরা মিলাদ পড়ি!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন