<<কয়েকজন যোদ্ধার গল্প>>
ফিজিক্সের রওনকের খুব ইচ্ছে ছিলো
কপালে লাল সবুজ ফেট্টি বাঁধবে
মাথায় ব্যান্ডেজ থাকায় সম্ভব হয় নি।
তারপরো তার খুশি দেখে কে
গ্রেনেড ছোড়া পাকা হাতটা মুঠো করে বারবার শূন্যে ছুড়ছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শান্ত নামের ছেলেটা
যার অশান্ত স্টেনগানের বদৌলতে,
আমবাগানের যুদ্ধ থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছি
আজকে তাকে বড্ড প্রশান্ত দেখাচ্ছে
ক্রাচে ভর দিয়ে গুলি লাগা পা টেনে চলছে হাসি মুখে।
গুলশানের সাদা ভক্সওয়াগন হাঁকানো ইংলিশ মিডিয়াম অমিত
বুটের ডাল আর মোটা রুটি নিয়ে
একটাও অভিযোগ শুনি নি যার গত চার মাসে
বরং দেখেছি দামী সিগারেট ভুলে সস্তা বিড়ির প্রতি আকস্মিক অনুরাগ
পরশু দিনও একটা ব্রীজ উড়িয়ে এখন আনমনে এগোচ্ছে এই নির্বিকার যুবক।
ঢাকা মেডিকেলের আঁখি নামের মিষ্টি অথচ দুঃসাহসী মেয়েটা
আইটেম আর কার্ড ফাইনাল সিঁকেয় তুলে আমাদের সাথে চলে গিয়েছিলো যশোর ক্যাম্পে
তার ফার্স্ট এইড বক্স আর সে বসে থাকত
প্রতিদিনের ক্ষতবিক্ষত আমাদের ফেরার অপেক্ষায়
মলিন শাড়ি, রুক্ষ চুলে অদ্ভুত দ্যুতি ছড়িয়ে সেও হাঁটছে ভিড় ঠেলে।
আরো কয়েকজন ছিলো
বেকার আতিক, স্কুলপড়ুয়া কামাল, কেরানী পরিমল
আরো কত কে; যাদের বলি দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি।
বেদনার বিচিত্র নীল অনুভুতিটা বুকের বাম পাশে নিয়ে
আমাদের ছোট দলটা এগোয় মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে।।
-রিম সাবরিনা; ১৬।১২।০৯
মন্তব্য
সচলে স্বাগতম।
১
কবিতা ভালো লেগেছে।
২
ছোড়া > ছোঁড়া
৩
ট্যাগে কবিতা আর মুক্তিযুদ্ধই যথেষ্ট ছিলো।
ভালো থাকবেন। আর নিয়মিত লিখবেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কবিতাটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো বলে মনে হয়....ভালো লেগেছে।
মূর্তালা রামাত
কবিতা আজকাল বোঝা না যাওয়াটাই নাকি চল।
এটা বোঝা গেলো, গল্পটাও মিললো সহজেই।
বোদ্ধা নই, তবে ভালো লেগেছে।
মর্ম
ঢাকা মেডিকেলের আঁখি নামের মিষ্টি অথচ দুঃসাহসী মেয়েটা
আইটেম আর কার্ড ফাইনাল সিঁকেয় তুলে আমাদের সাথে চলে গিয়েছিলো যশোর ক্যাম্পে
তার ফার্স্ট এইড বক্স আর সে বসে থাকত
প্রতিদিনের ক্ষতবিক্ষত আমাদের ফেরার অপেক্ষায়
মলিন শাড়ি, রুক্ষ চুলে অদ্ভুত দ্যুতি ছড়িয়ে সেও হাঁটছে ভিড় ঠেলে।
ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ কবিতাটা পড়ার জন্যে।।
ধন্যবাদ কবিতাটা পড়ার জন্যে।।
ভালো লাগলো
নতুন মন্তব্য করুন