এই ব্লগটি কেবলমাত্র তাদের জন্য যারা রান্নাঘর, মশলা সম্পর্কে কোন আইডিয়া নাই, সিদ্দিকা কবীর বা অন্য কোন রান্নার বই খুলে নির্দিষ্ট চামচের পরিমাণের বদলে “পরিমাণমত” বা “স্বাদমত” কথাটা দেখলে কনফিউজড হয়ে যাওয়া হয়। চূড়ান্ত রকমের সহজ কিছু পেলে আমি এই শিরোনামে সহজভাবে লিখার চেষ্টা করব – এই আশায় যে আমার মত আনাড়িরা এটা পড়ে উপকৃত হবে।
উপকরণঃ
১) তেল (সয়াবিন, সরিষা)
২) পেঁয়াজ কুচি (১ টেবিল চামচ)
৩) রসুন কুচি (৩ কোয়া)
৪) ৪টা শুকনা মরিচ
৫) টুনা ফ্লেকস (২টা ৫-আউন্স ক্যান)
৬) পুদিনা পাতা/ ধনিয়া পাতা
৭) লবণ
৮) পাঁচফোড়ন (সিকি চা চামচ)
একটা বাটির উপরে একটা পরিষ্কার পাতলা কাপড় বিছাতে হবে। ক্যান খুলে ভিতরের গুড়া মাছ কাপড়ে নিয়ে ভালমত চিপে পানিটা ঝরিয়ে ফেলতে হবে। ভালমত চিপা হলে কাপড়ে শুকনা টুনার টুকরা টুকরা হয়ে থাকবে।
ফ্রাইপ্যানে সয়াবিন তেল নিতে হবে সামান্য যাতে ফ্রাইপ্যানের তলাটা কেবল ভিজে যায়। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, লবণ দিয়ে দিয়ে দিতে হবে। লবণ আমি আধা চা চামচ দিয়েছি। তারপর শুকনা মরিচ ভেঙ্গে গুড়া করে ছড়িয়ে দিয়ে নাড়া দিতে হবে। পেঁয়াজ হাল্কা বাদামী রঙ হয়ে আসলে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিতে হবে। পাঁচফোড়ন দেওয়ার একটু পরেই ফুটে সুন্দর একটা গন্ধ হবে। সাথে সাথে শুকনা টুনা দিয়ে দিতে হবে। নাড়ানী দিয়ে নেড়ে নেড়ে টুনার টুকরাগুলো ভেঙ্গে দিতে হবে। ৫/৬ মিনিট পরে টুনার গায়ে হাল্কা পোড়া দেখা যাবে। ভাজা শেষ।
পুদিনা পাতা বা ধনিয়া পাতা কুচি করে এক চা চামচ পরিমাণ একটা প্লেটে নিয়ে পিষে ভর্তা করতে হবে যাতে রসটা বের হয়ে আসে। ভাজা টুনা একই প্লেটে নিয়ে এবার মাখাতে হবে। মাখাতে মাখাতে সরিষা তেল নিতে হবে একটু একটু করে যতক্ষণ ভর্তাটা মাখা মাখা হয়ে আসে।
আমার লেভেলের আনাড়ি কেউ এই ব্লগে আছে নাকি জানিনা কারো কাজে লাগলে বইলেন একটু।
---আশাহত
মন্তব্য
খালি কি 'পরিমাণমত' 'স্বাদমত'? "ভাজা হয়ে গেলে/রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে রাখ" -- যে আমি জীবনে পানিটা গরম করে খাই নাই, সেই আমি কিভাবে বুঝব যে কতক্ষণ রাখলে রান্না হবে? তরকারি নাহয় মুখ-টুখ কুচকে একটু চেখে দেখলাম, কিন্তু আলুসেদ্ধ? ডিমসেদ্ধ?
তাই সেফ উপায় হচ্ছে যা রান্না করি পোড়ায় ফেলি, অন্তত কাঁচা তো খাচ্ছি না!
আর কী আচায্য ব্যাপার, ঘরে এখনি টুনা আছে
আর বইল না। আমাদের এখানে এক বড় ভাই আছে। সে কি জানি রেসিপি জানতে তার মাকে ফোন করেছে, মা বলছেন, "যতটুকু ঝোল হলে তোমার ভাল লাগবে, ততটুকু ঝোল দাও", সেই ভাইয়ার কথা, "কতটুকু হইলে ভাল্লাগবে, সেটা জানলে আর তোমারে জিগাই কেন, মা?!"
এই কথা শুইনা বুঝলাম, রান্নার ভুদাই আমি একা না, আরো আছে। তাই ভাবলাম লিখাই ফেলি।
নেক্সট দেখি, চিকেন সুপ লেখব।
-- আশাহত
- ডিমঃ টগবগ করে ফুটছে এমন পানিতে ডিম ৪ মিনিটে আধা সিদ্ধ (তরল কুসুম) আর ৭ মিনিটে পুরা সিদ্ধ হবে। ফ্রিজে রাখা ডিমকে সিদ্ধ করার ১৫-২০ মিনিট আগে ফ্রিজ থেকে বের করে রাখতে হবে।
- আলুঃ বিদেশে আলু সিদ্ধর সহজ উপায় হল প্যাকেটের নির্দেশনা মেনে চলা। দেশী রান্নার জন্য 'ওয়াক্সি' আলু বেশী উপযোগী। 'স্টার্চী' আলু সিদ্ধ হলে আস্ত রাখা কঠিন,বিশেষ করে আমাদের দেশী ঝোলবিশিষ্ট রান্নায়।
টুনা খুবই ভাল পাই। তবে আমার প্রিয় রেসিপি হল টুনার কাবাব।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
টুনার সবচেয়ে মজা চপটা। টুনা ভর্তার সঙ্গে আলুভর্তা মিশিয়ে বেসন দিয়ে ডুবো তেলে ভাজা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
টুনার চপের জবাব নাই | তবে আমার পছন্দ হলো ফেটানো ডিমে চপ ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্ব এ গড়িয়ে নিয়ে ভাজা, জটিল জিনিস |
-আতিউর
ইয়াপ! কঠিন জিনিস। কালকে এই জিনিসই করতাম। টাইম নাই বলে ভর্তা করে ফেলসি। মশলার জ্ঞান না থাকলেও ভাজাভাজি করতে পারি
---আশাহত
টুনার সাথে বন্ধুত্ব বাইরে আসার পর থেকেই। টুনা ভর্তা, চপ বা কাবাব সবই অসাধারণ। ভালো লাগলো আপনার রেসিপি।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভালো জিনিশ শেয়ার করলেন। এইটা ট্রাই দিবো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
টুনা চপ তো জটিল জিনিস, সেইটাও বানাইসি, কিন্তু আজকে মনে নাই। আজকে টুনাভর্তা বানানো হল, তাই দেখে লিখে ফেললাম। পরে যেদিন চপ বানাব, সেদিন লিখব।
---আশাহত
একবার সিদ্দিকা কবীরের ডিরেকশন শুনে শুনে রান্না করেছিলাম। এক্কেবারে হুবহু তিনি যেভাবে বলেছিলেন সেভাবেই রান্নাটা করেছিলাম। কিন্তু রান্নার পর তাঁর তরকারির রংটা যেখানে হলুদ হয়েছিলো, সেখানে আমারটা হয়েছিলো কাল। এই রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারি নাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হাহাহা! আপনার মনে হয় হলুদ, মরিচ দুইটাই বেশি পড়সিল। এইখানে ব্যাপার আছে। বইয়ে লেখা থাকে আধাচামচ "অমুক" জিনিস নেন। আধা চামচেও বেশিকম আছে। আধাচামচ একদম চামচের বর্ডারের সাথে সমান করে হতে পারে, আধাচামচ উঁচা করে হতে পারে। আমার মনে হয় কবীর ম্যাডাম সমান করে নিতে বলছিলেন, আপনি নিসেন উঁচা করে।
এই কাম আমিও করতে গেসিলাম ধ্যাতানি খাইসি।
---আশাহত
আমি রাঁধতে পারি না। কখনো শিখে উঠতে পারবো না কারণ রান্নার হালকা ধোঁয়ার আমার প্রচণ্ড চোখ জ্বালা করে।
এ কারণে একজন পাকা রাঁধুনি বিয়ে করেছি।
ধোঁয়াতে এলার্জির কিন্তু চিকিত্সা আছে | সমসস্যা হল পরে আবার আপনাকে রান্না করতে হবে, তার চেয়ে এই বুদ্ধিই ভালো |
একই কাজ আমিও করসি সে যে কেমনে কেমনে কি হিসাব করে মশলা দেয় বুঝি না, একবারে যেটুক মরিচগুঁড়া দেয়, সেটুকুই লাগে, আমি দিলেই বেশি পড়তে পারে এই ভয়ে একদম কম দেই আমারে শিখানোর চেষ্টাও করে। কিন্তু আমার মনে হয়, এই জিনিস রান্নাঘরের ফ্রিজটারে শিখানোর চেষ্টা করলে আরো তাড়াতাড়ি হইত।
---আশাহত
টুনা আমার খুবই প্রিয়। আপনার রেসিপিটাও ভালো লেগেছে। আগামী উইকএন্ডে এটা বানানোর ইচ্ছে রইলো।
রেসিপির জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
টুইটার
টুনা আমিও ভালু পাই, আমাদের মৃত্তিকাতো টুনাচপের জন্য এলাকা বিখ্যাত।
আমি আরেকটা জিনিষ বানাই । আপনার ভর্তার রেসিপির মতই সাথে টমেটো আর শেষে একটূ লেবুর পাতা বা লেবুর রস দিয়ে একটু ঝোলঝোল করে নেই। রুটি বা ভাতের সাথে খুবই মজা লাগে।
------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
হুমম, ভালো আইডিয়া দিসেন। থেঙ্কু!
---আশাহত
- ক্যান জার্ডিনা মাছ এনে পয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনিয়া পাতা আর সম্ভব হলে একটা টমেটো কুচিকুচি করে কেটে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে চটকিয়ে ভর্তা বানিয়ে খেয়ে ফেলি। পুরা বেহেস্তি খাবার। এর উপরে কোনো খাবার নাই। বিশেষ করে যখন তিন/চারদিন পর ঘরে উনুনে আগুন জ্বলে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জার্ডিনা কোনটা? সার্ডিনের কথা বলছেন? ওইটা কিনার ধান্দায় আছি। শুনেছি বেশ মজা নাকি।
---আশাহত
টুনা মাছের সবচাইতে ভাল ব্যাবহার তাজা টুনা কাঁচা খাওয়া। একটুকরা মাছ, দুই ফোটা সয়াসস এক টুকরো জারিত আদা। আহ!
---
আপনার এই রেসিপিটি অত্যন্ত বহুমুখী। যেকোন ডিব্বার মাছ যেমন চলবে, ঠিক তেমনি চিংড়ী, কাঁচা মাছ/মাংসের কিমা বা ডিব্বার সবজী/সিমবিচী (মাছের ডিব্বার পরিমানে) সবই এই পদ্ধতিতে বেশ সুস্বাদু হবে। মাংসের কিমা রান্না করলে রান্নার শেষে এক চিমটি জিরার গুড়া ছিটিয়ে দিতে ভুলবেন না।
- আমি একবার মুখে দিছিলাম। থু থু করে ফেলাইয়া দিতে হৈছে আপনার এক টুকরো তাজা কাঁচা টুনা মাছ, জারিত আদা আর দুয়েক ফোঁটা সয়া সসের শিশির!
এই জিনিষ খায় কেম্নে মাইনষে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একবার ভাল লাগে নাই বলে যে জিনিস খারাপ, তা হবে কেন? কিশোর বয়েসে প্রথম যেদিন বিয়ার মুখে দিয়েছিলে, তখন সেটা কেমন লেগেছিল? আর এখন কেমন লাগে?
যদি বল কাঁচা মাছের গন্ধে অসুবিধা, তাহলে বলতে পারি, তাড়াতাড়ি অভ্যাস কর, আখেরে কাজে দিলেও দিতে পারে। ;)।
বিয়ার খাইনাই, তবে ক্রাউন এনার্জি খাওয়ার চেষ্টা করসিলাম। ক্যান খুলে গন্ধে মনে হল ছোটবেলায় লিটমাস বানানোর জন্য জবা ফুল পানিতে এক হপ্তা পঁচাইসিলাম, সেইটা ক্যানে ভরে দিসে। বাড়ির ছাদে বসে এক চুমুক খায়ে বাকিটা ফালায়ে দিয়ে বলসি বিড়ালে কাম সেরে গেসে।
কাঁচা টুনা খাইতে খারাপ লাগলেও জিনিস খারাপ হয়ত না। কিন্তু খাইতে খারাপ, এইটা হইল কথা। যদি "লর্ড অব দ্য রিংস"এর গলামের মত অবস্থা না হয়, কাঁচা মাছ খাওয়ার অভ্যাস করার ইচ্ছা নাই।
সাবওয়ে স্যান্ডুইচে অবশ্য মনে হয় কাঁচা না হলেও স্রেফ লবণ দেওয়া সিদ্ধ মাছমাংস দেয়, কিন্তু তার সাথে নানানরকম আরো অনেক কিছু থাকে বলে খারাপ লাগে না।
----আশাহত
হুমমম, এইটা আসলেই বহুমুখী। অনেকগুলা জিনিস দিয়ে অনেকভাবেই করা যায়। ভর্তা জিনিসটা এই জন্যই এত ভাল্লাগে। অন্য কোন দেশের খাবারে এই ভর্তা সিস্টেমটা নাই।
কিন্তু কাঁচা টুন কেমনে খায় এইটা আমিও বুঝলাম না।
---আশাহত
টুনার যে কোন কিছুই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি আমার মাকে ট্রাই করতে বলবো।
আমার ব্যক্তিগত আলু ভর্তার রেসিপি দেই আপনাকে।
উপকরণঃ একটা আলুর চপ, ধনে পাতা কুচি
প্রণালীঃ আর বললাম নাহ
▀ ▄
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আলুর চপও এই হতচ্ছাড়া দেশে নিজে বানায়ে খাইতে হয় রেডিমেড বলতে পাওয়া যায় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর হ্যাশ ব্রাউন। দেশে থাকতে বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হলেই একটা হোটেল - সেইখানে সিঙ্গাড়া, ডালপুরি, সমুচা, আলুর চপ, পেঁয়াজু সবই পাওয়া যেত। এইখানে খালি পাইনসা বার্গার আর স্যান্ডুইচ পাওয়া যায়
--আশাহত
সকাল-বিকেল টুনার উপরেই আছি। দুপুরে স্যান্ডুইচে, আর বিকেলে ছোল-ছোল, কুচি-কুচি আলু সহ ঝরঝরে ভাজি আর সাথে গ্যাসট্রিক ।ট্রাই দিতে পারলাম না- শুকনো মরিচ নাই রুমে।
স্বপ্নদ্রোহ
এই সিরিজে নাম লেখালাম। আনাড়িবান্ধব নামটা দেখেই খুশিমনে লেখায় চলে আসলাম।
এই আনাড়ির পক্ষ থেকে স্বাগতম
---আশাহত
আরে
আমারো একটা টুনামাছের ভর্তার রেসিপি আছে। আপনার টা চেষ্টা করতে হবে।
http://www.facebook.com/topic.php?uid=30472025605&topic=15712
মেলিতা, আমি পল্লব। তোমারটা আর এইটা একই। উপকরণ একই, খালি আগে পরে প্রসেসিং
---আশাহত
আরেকখান আনাড়িবান্ধব রেসিপি নিয়ে বসে আছি। কিন্তু পোস্ট করতে পারতেসি না
---আশাহত
টুনা আমারও খুব পছন্দ। খুবই ভাল লাগল লেখাটা পড়ে। অনেক ধন্যবাদ। শুকনা মরিচ কিনে এটা একবার বানিয়ে দেখতে হবে।
দেশের বাইরে আসলে টুনা আর সার্ডিনই ভরসা। যাকে বলে জাতীয় খাবার।
কাচা টুনা বেশী খাওয়া স্বাস্হ্যের জন্য খারাপ (জার্মান ডাক্তারের পরামর্শ)। আর টুনা ভাজার পর অথবা টুনার কাবাবের পর যে ঘ্রানটা হয় তা পুরো কাপড় থেকে শুরু করে ওয়াড্রবের কাপড়েও ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শীতের দিনে যখন মাইনাস তাপমাত্রায় দরজা জানালা বন্ধ থাকে তখন তো উপায় নাই। আপাতত ইলিশ, রুই, কাতলাতেই আছি। এখন কালে-ভদ্রে অতীতের কথা মনে করে টুনা ভাজি অথবা কাবাব করা হয়।
এইবছর থেকে বর্শী কাধে তাজা মাছ ধরার মিশনে নামতেছি।
আমাদের এখানে নদীর পানি বিষাক্ত। মানুষজন তাই সচরাচর নদীর মাছ ধরে খায়না। দোকানে সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায় আর processed fillet পাওয়া যায়। ওইগুলাই ভরসা।
কাবাব বা ভাজাভুজির সময় গন্ধটা আসলেই সমস্যা। দোকানে নানারকম ফলফুলের গন্ধওয়ালা মোমবাতি বা তেল পাওয়া যায়। তেল বেশি এফেক্টিভ গন্ধ ঢাকতে। কিনে দেখতে পারেন।
==========
আশাহত
আজকে ভর্তাটা করলাম। খুবই মজার খেতে।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
==========
আশাহত
আমি স্যামন আর তিলাপিয়া দেশী স্টাইলে রাইন্দা ফালাই। প্রথমে স্যামন হলুদ, গুড়া মরিচ আর নুন মাখাইয়া ভাজি। তারপর পিয়াজ, রসুন, আদা তেলের মধ্যে দিয়া কসাই। আলু দেই। লবন, জিরা, ধনিয়া দিয়া কসাইতে থাকি। আলু সিদ্ধ মত হলে পরে মাছ ছেড়ে দিই। অল্প একটু নেড়ে পানি ঢেলে সিদ্ধ করতে দেই। আরেকটু টমেটো বা টমেটো সস ব্যবহার করি স্বাদ হবার জন্য।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন