কোন এক অজানা কারণে সেই পিচ্চিকাল থেকেই চোখের দ্বিতীয় জোড়া মানে চশমার দিকে আমার দুর্নিবার ঝোঁক।
চশমুশদের হাঁ হয়ে দেখি, সুযোগ পেলে এর তার চশমা পরে সমতলে উথাল পাথাল দেখে ভিড়মি খাই। বালিশগুলোকে ছাত্র করে যখন বেত হাতে শিক্ষাদানে ব্রতী হই তখনো চোখে চশমা ঝোলাই আগে, আম্মুর অবশ্য- দশ মিনিটের আগে মাথাব্যথা করতোনা বলে ওটা বড় প্রিয় ছিলো আমার। পরে অবশ্য একটা স্থায়ী সমাধানও মিলেছিলো- নানা...কোন এক অজানা কারণে সেই পিচ্চিকাল থেকেই চোখের দ্বিতীয় জোড়া মানে চশমার দিকে আমার দুর্নিবার ঝোঁক।
চশমুশদের হাঁ হয়ে দেখি, সুযোগ পেলে এর তার চশমা পরে সমতলে উথাল পাথাল দেখে ভিড়মি খাই। বালিশগুলোকে ছাত্র করে যখন বেত হাতে শিক্ষাদানে ব্রতী হই তখনো চোখে চশমা ঝোলাই আগে, আম্মুর অবশ্য- দশ মিনিটের আগে মাথাব্যথা করতোনা বলে ওটা বড় প্রিয় ছিলো আমার। পরে অবশ্য একটা স্থায়ী সমাধানও মিলেছিলো- নানার ড্রয়ার থেকে পাওয়া একখানা কাঁচহারা চশমা নিজের দখলে নিয়ে।
সেই আমার যখন ল্যাজ গজানোর কালে (ক-লেজ নাকি লেজ গজানোরই জায়গা) হঠাত্ করে কিছু পড়তে গেলেই মাথাব্যথা আর চোখের পানি পড়া শুরু হলো তখন আশায় বুক বাঁধলাম।
আগেই জানা ছিলো, এ সমস্যার সমাধান কেবল চশমায়। আশঙ্কার খবরও কানে এলো, মাঝে মাঝে নাকি ঔষধেই এ ব্যারাম সারে! দুরুদুরু বুকে ডাক্তারের শরণ নিলাম, দেখা গেলো তিনিও চশমার পক্ষে। আমার চশমা হলো, একেবারে নিজের।
আম্মু. খালারা, মামারা, নানা-নানু. খালাত ভাইয়েরা, সবার- এমনকি পিচকু যে খালাতো বোন ওটার চোখেও চশমা। কতই না রকম সকম- প্লাস্টিক, মেটালিক, চিকন, মোটা, ভারী, পাতলা, রিমলেস, হাফ-রীম, ফুলরীম- কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবো ভাবতেই খারাপ হবার দশা!
যাহোক, কাঁচের গ্লাসসমৃদ্ধ একখানা সোনালীবর্ণের মেটালিক ফ্রেমেই আমার চারচোখে দুনিয়া দেখার শুরু।
একে চোখে করে আমার ভালো সময় কেটেছে, কিন্তু সম্পর্কের শেষটা হয়েছে অদ্ভুদ তালে।
কোন এক অলস দুপুরে হরলিকস, গুড়ো দুধ আর চিনির তৈরী মিক্সচারের সাথে গল্প গিলছি। কি দরকারে হঠাত্ উঠে গেলাম, চশমা রেখে গেলাম হেলান দেয়ার বালিশটার পাশেই। বেশ কিছুক্ষণ পর ফিরলাম, বিছানা এলোমেলো দেখে গুছিয়ে নিয়ে আধশোয়া হলাম বই নিয়ে।
হঠাত্ চোখে পড়লো, পাজরের কাছাকাছি বিছানার একটা অংশ অসমান। সমান করতে গেলাম, হাতে লাগলো। তাতে ঘাবড়ে যাওয়ার কি আছে, জোর দেখিয়ে একদম সমতল করে দিলাম বিছানা। পরক্ষণেই কি ভেবে চোখে হাত দিলাম, চশমা নেই। চাদর উল্টে কিংকর্তব্যবিমূড়। লেপ্টে পড়ে আছে সাধের চশমা, সার্জারীর অতীত।
এমন অকালমৃত্যু আরো কয়েকবার দেখতে হয়েছে।
কালো হাফরীম চিকন ফ্রমের একটা চশমা পড়ি তখন। লেজ খসিয়ে ভার্সিটিতে চলে এসেছি। ফ্যাকাল্টির বারান্দায় বসে চা-সহযোগে দিনদুনিয়ার আলাপ চলছে। ধুলোজমা কাঁচটা পরিস্কার করতে গেছি শার্টের কোনায়, বামহাতে চশমার একপাশ, অন্যপাশ কাপড়ের আড়ালে। কিসে কি হলো বুঝলাম না, আবিষ্কার করলাম দু হাতই চশমার অধিকারী, আধখান করে!
আরেকবার, রোজার সময়। নামাজ পড়ছি মসজিদে। আবছা অন্ধকার। ইমাম তকবীর বলে হাত বেঁধেছেন। কি মনে করে চশমা খুলে দোনোমনা করতে করতেই নীচে রাখলাম। এক মিনিটের ভেতর এক বান্দার বেরিয়ে যাবার শখ হলো। ক্যাচাত্। আর্তচিত্কার। আমার চশমা!
আরো একবার। এটাও মসজিদে। ফজরের (সে আমলে সব নামাজ মসজিদে পড়তাম) সময়। যথারীতি অন্ধকার ঘর। আমার চশমা নীচে রাখা। কাতার সুজা করি - মুআজ্জিনের আহ্বানে উঠে দাঁড়িয়ে ডাইনে বাঁয়ে দেখছি। ক্যাঁচচচ । সামনে তাকালাম।সামনের জন বিব্রত চোখে আমার দিকে চেয়ে। তাঁর পায়ের নীচে চৌচির চশমা।
চশমার সাখে বোধ হয় তেমন করে জোড় মেলেনি আমার। পতেঙ্গার ব্যাপারটাই বলি।
চট্টগ্রাম গেছি ভর্তি পরীক্ষার উসিলায়। পতেঙ্গা ছুটলাম সমুদ্র দেখতে। মুগ্ধ হয়ে ঢেউ দেখছি। শোঁ শোঁ শব্দ। বাতাস উড়িয়ে নিতে চায় সবকিছু। পাথরের স্ল্যাবগুলোতে বসে আছি, একটু নীচের দিকেই। ঢেউগুলো পায়ের একটু নীচে আছড়ে পড়ছে। হঠাত্ একটা ঢেউ এলো, বিশাল, সরে যাওয়ার সময় ছিলোনা, ভাসিয়ে দিলো আমায়। এরপর টের পেলাম দৃষ্টি কেমন বদলে গেছে, ঝাপসা দেখছি সব। বালু আর পানি। আঙুলের কোনায় পরিস্কার করে নিলাম, একটু ভালো। বিদ্যুত্ চমকের মতো মনে পড়লো- চশমাআআআ!?
সমুদ্র যা নেয় তা নাকি ফিরিয়ে দেয়। কে জানে সত্যি কিনা!
অ-চশমুশরা মাঝে মাঝে শুধায় চশমায় কী অত লাভ?
ওদের বলা হয়নি, এখানে বলি, দুনিয়ায় যে এত ধুলা তা ঐ বাড়তি আঁখি সংযোজনের আগে টের পাইনি কখনো!
মন্তব্য
চশমুশের চাইতে 'চশমিশ' বেশি সুইট!
সব বাচ্চাদেরই চশমা নেয়ার ভীষণ শখ থাকে একটা বয়সে...
এ জিনিস প্রথম নাকের ডগায় বসে ক্লাস ফোরে, তারপর থেকে কতো ফ্রেম বদলেছি.. হারিয়েছি, মেজাজ চড়তেই ছুঁড়ে/ আছড়ে/ কিংবা মুচড়ে ভেঙ্গেছি!!
লেখা মজার হয়েছে!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চশমুশ ডাকটা শুনেছি তো, ওটাই মাথায় ছিলো- 'চশমুদ্দীন' থেকে 'চশমুশ'!
তবে হে মহান চশমিশ, এ শব্দটাও যে ভালো লাগার তা না মেনে পারছিনা!
চশমা পড়ে বা পড়েছে কখনো এমন কারো কি কাহিনীর অভাব ঘটা সম্ভব?!
চশমা পড়া কাউকে দেখলে চিনি না চিনি বেশ গোত্রভুক্ত মনে হয় এখন। এর জাদুই আলাদা।
মর্ম
বাপের ভয়ে চাদরের ভিতরে লুকিয়ে লুকিয়ে অল্প আলোতেই গল্পের বই পরতাম | ফলাফল, ক্লাস এইট থেকেই চশমা | এতগুলো চশমা ভেঙ্গেছি জীবনে, যে মোটামুটি গণহত্যার বা সিরিয়াল কিলিং এর অভিযোগ করা যায় আমার বিরুদ্ধে | সেজন্য একবার নিলাম কার্বন ফ্রেমের চশমা | নিয়ে পরলাম বিপদে, কারণ বেশ কয়েক বছর পার হয়ে গেল, এই বান্দা আর ভাঙ্গে না | ওদিকে চশমার ফ্রেমের স্টাইল পুরনো হয়ে গেছে বহু আগে | বেশ অনেক বছর পর স্পেয়ার রাখার কথা বলে আরেক জোড়া কিনেছিলাম | বেশ কয়েকবার কিছু ছোট খাটো দুর্ঘটনার পর থেকে এখন প্লাস্টিক লেন্স ব্যবহার করি যাতে চোখটা অন্তত বাঁচে |
তবে একটা ব্যাপারে একমত, চশমা ব্যবহার শুরু করার আগে কখনো বুঝিনি যে এত ময়লা বাতাসে | মাঝে মাঝে চশমা ছাড়া বাইরে গেলে (ঢাকাতে আর কি) ফিরে এসে চোখে ময়লা দেখে বুঝতাম |
-আতিউর
আঁতিপাতি করে খুঁজেও কার্বন ফ্রেম শব্দটা মাথায় পাইনি তখন।
মনে পড়লে ওটার কথা অবশ্যই থাকতো খানিকটা আক্ষেপসহ। এ ফ্রেমের প্রতি আমার প্রেম একতরফা ছিলো বলেই কিনা, নিজের বলে হাতে নিতে পারিনি কখনো।
চোখ খারাপের ব্যাপারটা?
কোন এক আজব কারণে আমাদের বাসার সব পড়ুয়ারই অন্ধকারে পড়ার ব্যামো, এখনো বিদ্যমান বহাল তবিয়তে।
মর্ম
অত্যন্ত গর্বের সাথে জানাই, আমি চশমা নিয়েছি পাঠ্যবই পড়ে :-b
ছোটবেলায় চশমার অনেক শখ ছিল, আর এখন এটা চোখ থেকে নামাব কীভাবে, সেই চিন্তায় আছি :'(
--------------------------
শান্ত নদী
পাঠ্যবই?! মাগো মা! মাফ চাই, দোআও চাই!
এখনো আমার মনে হয় চশমা যারা পরে তারা স্পেশাল। নিজেকে খানিকটা হলেও অসম্পূর্ণ লাগবে, মনে মনে হলেও।
মর্ম
চশমা রেগুলার পড়াটা আমার জন্য জরুরি। কেন যেন অভ্যাসটা হয়ে উঠছে না। যখন পড়ি, আজব একটা প্রবলেম হয়। ছোট ক্লাসগুলোতে ঠিক থাকে, কিন্তু বড়ো ক্লাসগুলোতে মনে হয় সবগুলো স্টুডেন্টকে একসাথে দেখতে পাই না।
চশমার এদিক ওদিক দিয়ে স্টুডেন্টরা দেখার বাইরে চলে যায়...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কন্ট্যাক্ট লেন্স নিলে এই সমস্যাটা হয় না, কিন্তু অন্য অনেক উপরি সমস্যা এসে পড়ে
---------------------
শান্ত নদী
আমি চশমার গান গাই..!
মর্ম
হ্যাঁ আপু, ঠিকি বলছেন!
আর আমরা যখন ক্লাশ করতাম মাঝে মাঝেই ফ্রেমের আড়ালে টিচার ঢাকা পড়ে যেতেন, অগত্যা ফ্রেম নিয়ে টানাটানি!
মর্ম
টিচার করলে ঠিকাসে।
কিন্তু স্টুডেন্টদের একই প্রবলেম হলে এদেরকে আমরা ফাজিল স্টুডেন্ট বলি, মর্ম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
না না না কী যে বলেন!
আমি সর্বদা একজন নম্র, ভদ্র এবং অমায়িক ছাত্র ছিলাম!
ক্লাশে যে ছিলাম এটা ক'জন টের পেয়েছেন বোধ করি হাতে গোনা যাবে, একদমই আমজনতার একজন।
মর্ম
সত্যপ্রতিষ্ঠার জন্যই কিনা দুবার চলে এসেছে আমার অজান্তেই!
মর্ম
আপনার লেখার পাশে "@মর্ম" থাকে কেন কন দেখি? না থাকলেই তো মনে হয় দেখতে ভাল দেখায়।
তার চেয়ে যদি শিরোনামের ঠিক নিচে দেয়া হয়, তাতেও ভাল দেখবে।
একটু ভেবে দেখবেন আশা করি।
লেখায় চশমা বিষয়ক জ্ঞান পেলাম।
আমি চশমুশ না, তাও মাঝে মাঝে ভাবের চশমা সাথে রাখি।
লেখা ভাল লাগলো।।
সহমত।
চারচোখা চশমুশ
[ মর্ম ]
কেমন দেখাচ্ছে?
▀ ▄
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দুজনকে একসাথেই বলি, কেমন?
আমারও, সহমত!
আসলে অমনই একটা কিছু আমি শুরুতে চেষ্টা করেছিলাম। এরপর দেখি যে লাউ সে কদু- সে একলাইনেই আসে। আর লেখার পরে দিতে মনে রাখাই মুশকিল হয়। এজন্যই এটা করছিলাম।
আশা করছি বদলে দেবো পরের লেখায়, তখন মতামত জানিয়ে যেতে মনে থাকে যেনো!
মর্ম
মজা লেগেছে পড়ে।
আমার চশমার পাওয়ার বেশ উঁচু অঙ্কের। চশমা খুললে সব ঘুলা ঘুলা নাগে। সমস্যা হয় ঘুম থেকে ওঠার পর। হাতড়ে হাতড়ে চশমা খোঁজা বিশাল ঝক্কির ব্যাপার। সেই ঝক্কি এড়াতে দীর্ঘদিন হলো আমি চশমা চোখেই ঘুমাই। কারণ জানতে চাইলে বলি স্বপ্ন দেখতে সুবিধে হয়।
▀ ▄
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
"..তাই স্বপ্ন দেখবো বলে,
চশমা পড়েছি!.."
আহা! মোসুমী ভৌমিক কোথায় গেলো?!
আগে মাইনাস এক পড়েছি, এখন পড়ছি মাইনাস পয়েন্ট টু ফাইভ!
আমার ডাক্তার কাজিন বলেছে, এমন নাকি সচরাচর হয়না!
মর্ম
আমার 'মৌসুমীর' নাম লিখতে গিয়ে টাইপো!
কষে মাইনাস!!!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চোখে কম দেখি বলেই তো চশমা নেয়া, অতএব এবম্বিধ কার্যাবলী ভুলক্রমে সংঘটিত হইয়া খাকে!
দ্বিতীয়বারেও ভুল চোখে পড়েনি, এটাই অবাক ব্যাপার।
পরেরবার শুঁড়গুলো সুরসুর করে করে এসে পড়বে এ আশা থাকলো।
মর্ম
একদম সত্যি কথা। চশমাগুলার হাত-পা আছে নিশ্চিত!
ঢাকায় থাকতে আম্মা খুঁজে দিত। আর এখন বিদেশে ঘুম থেকে উঠে চশমা খুঁজে না পেলে স্পেয়ার চশমা বের করি প্রথমে (স্পেয়ারগুলা জায়গামত থাকে সবসময়, এগুলার হাত-পা নাই বোধ হয়)! এরপর স্পেয়ারটা দিয়ে আসলটা খুঁজে বের করতে আর সমস্যা হয় না।
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
সেই কোন প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে চশমা তো পড়িই, কনট্যাক্ট লেন্সও পড়ি বহুবছর ধরে, এবং কোনটাই ভাল্লাগে না
আরে, আপনিও হরলিক্স, গুড়া দুধ আর চিনি মিশিয়ে খেতেন দেখি!! আমি আগে গুড়া দুধ আর চিনি মিশিয়ে খেতাম, আর এখন গুড়া দুধ আর গুড় মিশিয়ে খাই! ভেবে দেখলাম এই কথার পরও আসলে একটা 'স্যাড ফেইস ইমো' দেয়া উচিত, তাই ......
তাও তো চকলেট হরলিক্স বা ওভালটিন মেশানোর কথা লিখিনি!
গুড় এখনো খান? সেও ভালো।
গুড়োদুধ, চিনি আর হরলিক্সের মিক্সচারে খেজুর গুড় একদম ক্ষুদে ক্ষুদে করে মিশিয়ে দিয়ে খেয়ে দেখেছেন?! বড়ই উপাদেয়।
মর্ম
পুরোন ডায়েরী ঘেঁটে একটা লেখা উদ্ধার করলাম এইমাত্র। না করলেই নয় এমন কিছু কাটছাট করে পুরোন লেখাটা এখানে তুলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না!
"নাকের উপর বসলে কারো
ধরলে দুটো কান,
জান নিয়ে হয় টানাটানি,
ধুলোয় ওড়ে মান।
এই পৃথিবীর একখানা 'চীজ'
করছে এহেন কাজ,
নাকেই বসে ধরছে যে কান,
কোথায় এখন লাজ?
লজ্জাতো বেশ পরের কথা
উল্টে তারা খুশী,
একটা কিছু বলতে গেলেই
উঠবে বুঝি ফুঁসি!
তাঁদের মতে-আমরা নাদান,
বুদ্ধি মোটেই নাই,
এ কারণে সব কিছুতেই
মন্দ খোঁজা চাই।
বলেন তাঁরা, 'শোনরে ছোড়া!
বুঝবি কেমন করে?
তার দয়াতেই সকল কিছু
দেখছি পরান ভরে।
বসুক নাকে, ধরুক কানে,
কি আসে যায় তাতে?
এর সুবাদেই যায়যে দেখা
এই দিনে কি রাতে!'
বলছি এখন 'চীজ'খানা কী,
'চশমা' যে তার নাম,
কম-দেখিয়ে লোকের কাছে
এর তো ভীষণ দাম!"
কাটছাঁটজনিত কারণে "লেখাটা ২১।৫।২০০২ তারিখে লেখা" কথাটা বলা ঠিক হবে কিনা ভাবছি!
মর্ম
বেশ মজা পেলাম পড়ে। চশমুশদেরকে সত্যি বড় আপন মনে হয়!
আমার ক্লাস ফাইভ-সিক্সেই মাইনাস থ্রি ছিল। লেজ গজানোর সময় (আপনার ভাষায়) ছিল মাইনাস সিক্স। হাজার রকমের ছোট মাছ, করল্লা, শাক-সব্জীতেও কোন কাজ হয়নি।
তো আমি লাস্ট ১৪-১৫ বছর ধরে সবধরনের শাক-সব্জি, ছোটমাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি। এবং তার আশানুরূপ ফল হাতেনাতে পেয়েছি। গত ১৪-১৫ বছর ধরে আমার চোখের পাওয়ার একদম স্ট্যাবল অবস্থায় আছে - সাড়ে ছয়-সাতের মধ্যেই ঘুরাঘুরি করছে।
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
পুরানো অভ্যাসে আপনার চশমা পরে ফেললে তো বেহাল দশা হয়ে যাবে! তবে অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেলে মনে হয় যেকোনো কিছুতেই মানুষ আর ঘাবড়ায় না।
চোখের পাওয়ার কি এরচে ভালো হবেনা? ডাক্তার কি বলে?
মর্ম
আমার দুচোখেই সাড়ে সাত। ভাল হবার সম্ভাবনা নেই, তবে স্টেবল। ল্যাশিক করলেই কেবল মুক্তি সম্ভব।
সাড়ে সাত!!!!!!!
চশমার প্রতি আপনার বীতশ্রদ্ধ না হওয়ার কারণ নেই।
এদিক দিয়ে আমাদের কপাল ভালো বলতে হবে, কারো অবস্থাই অত খারাপ হয়নি।
চোখ সুস্থ হোক আপনার, শুভকামনা রইলো।
মর্ম
লাকিলী, চশমা পড়তে হয় না, কিন্তু হবে না একসময় তাও ঠিক না। ৪০ পার হতেই আমার সব মা-খালা-ফুপুদের রিডিং গ্লাস হয়ে গেলো। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হাসতো যে আন্টিকে চশমা লাগিয়ে চাল বাছতে হয় অনেকসময় - আমরাও এখন সেদিকে পা বাড়াচ্ছি আর কী!
আমার বাবার বাই-ফোকাল আর ভারী চশমা। বেচারা রাত জেগে জেগে ফাইল চেক করে করে চশমা নিলো শেষ পর্যন্ত। কাজপাগল হলে শেষে চশমাও নিতে হয়, হয়তো। নেওয়ার সময় খুব মন খারাপ ছিলো আব্বুর।
আর, তিথী ঠিক বলেছে, ''চাশমিশ''। আমার মা'দের দিকে তাই বলে। ''চাশমুশ''-ও সুইট, কিন্তু আগে শুনিনি।
বিল্লি ছাড়াও লেখা কিন্তু ভাল হচ্ছে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
চশমা পড়লে বেশী সুন্দর লাগে, কে জানি বলেছিলো কবে।
বাধ্য হয়ে যদি চশমার শরণ নিতেই হয়, কথাটা মনে করে নেবেন, মনোযাতনার উপশম হবে।
তিথীর কথা ঠিক। তবে হয়েছে কি লেখার সময় চশমুশ শব্দটাই মাথায় এলো। বোধ করি চশমুদ্দীন থেকে। আবার চশমু শব্দটাও কানে এসেছে।
ভালো লেগেছে জানলে সত্যিই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
মর্ম
একটা বয়সে শখ ছিলো...
ক্লাস সেভেনে থাকতে হঠাৎ মাথাব্যথা শুরু আর সেখান থেকে নাকের ডগায় চড়ে বসলো এই আপদ...
এবং তারপর নিয়মিত বিরতিতে লম্ফ দিয়ে দিয়ে কাচের (বা প্লাস্টিকের) পুরুত্ব বাড়তে শুরু করলো, এখন যে পর্যায়ে গেছে তাতে ...
একবার ইসলামিয়ায় গেছি চোখ দেখাতে, যথারীতি এরা তো আবার সবই জানে, একবার জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন মনে করলো না লেন্সের পাওয়ার কত, চশমাটা খুলে নিয়ে একটা টুলে বসিয়ে দিলো...
- দেখেন তো চার্টটা পড়া যায় কিনা?
- চার্ট আবার কোত্থেকে এলো?
- অ্যাঁ! আপনি দেখেন না? আচ্ছা আমার হাতের দিকে দেখেন, বলেন তো কয়টা আঙুল দাঁড় করানো?
- আপনার হাতটা কোথায়?
- সেকী!!! আপনি তো কিছুই দেখেন না দেখছি! ওই ইয়ে, স্যারকে বল, এই রোগী আমি দেখতে পারবো না!!!
নতুন মন্তব্য করুন