একথা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশে খুব কম মানুষ নেট ব্যবহার করে৷ যারা ব্যবহার করে তাদের মাঝে খুব কম বাংলায় লিখে৷ কিন্তু সারাজীবন কি এমন থাকবে ??? অবশ্যই না৷ একসময় নিশ্চয়ই বাংলাভাষী সবাই নেট ব্যবহার করবে।
বাংলা যারা লিখে তাদের ৯০% সামহোয়ারইন ব্লগ, সচলায়তন, আমার ব্লগ, প্রথম আলো ব্লগ, টেকটিউনস, আমাদের প্রযুক্তি, ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এই সাইট গুলির কোন একটির মেম্বার৷ সুতরাং যদি এই সাইটগুলি সম্মিলিতভাবে আগামীর কথা চিন্তা করে কোন স্টেপ নেয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্যে সুন্দর ব্যবহারবান্ধব এনভায়রনমেন্ট রেখে যাওয়া সম্ভব৷ এর জন্যে প্রয়োজন সঠিক কিবোর্ড, বানান পরীক্ষক, ওসিআর, লেখা থেকে ধ্বনিতে রূপান্তর ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাহলে আমাদের এমন একটি কিবোর্ড ডেভেলপ করতে হবে যেটায় কোন বাগ নেই, যেটা সকল অপারেটিং সিস্টেমে চলে৷
অভ্র নিয়ে আমার কোন আপত্তি নাই তবে এটা ফিক্সড লেআউট না ফলে যিনি ইংরেজী জানেন না তার কাছে এটা আদর্শ কিবোর্ড হতে পারে না৷ বাকিগুলির মাঝে ফোনেটিক বাদে বাকি সবগুলিতে লেআউট মুখস্থ করতে হয় তাই বাংলাদেশী নতুন কারো জন্যে এটা কঠিন কাজ, তার জন্যে সহজ বাংলিশ স্টাইলটাকেই ফলো করা( যেহেতু এখন বা ভবিষ্যতে যারা নেট ব্যবহার করছেন/করবেন তারা বাংলিশ স্টাইলটাকে এত সহজে পরিত্যাগ করবেন না)৷
বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আমাদের পাবলিক ইনটেনশন অনুসারেই কাজ করা উচিত সুতরাং আমি বলব, বাংলিশের মত করে একটি ফোনেটিক+ফিক্সড লেআউট তৈরী করা উচিত যাতে নতুন কারো সেটা শিখতে কোন সমস্যা না হয় (রোকেয়া কিবোর্ড এই থিম মাথায় রেখেই ডেভেলপ করেছি)৷ সহজভাবে, k চাপলে "ক" হবে, "kh"/"K" চাপলে "খ" হবে এমন সাপোর্ট দেয়া আরকি৷ অর্থাৎ এমন একটা কিবোর্ড তৈরী করেছি যেটা ইংরেজী জানা মানুষরা খুব সহজেই যেমন শিখতে পারবেন (বিজয় এদিক দিয়ে পিছিয়ে আছে) তেমনি যিনি ইংরেজী জানেন না কিন্তু বাংলা লিখতে চান তিনিও এটা ব্যবহার করতে পারবেন৷
হাসিন ভাইয়ার ডেভেলপ করা ফোনেটিক কিবোর্ডটা দিয়েই আমি মূলত লিখতাম, সেখানে অনেক বাগ রয়েছে৷ সেটা ঠিক করতে যেয়েই মূলত এটার কথা মাথায় আসে, তবে ওটাতে এডিট করিনি কারণ আমার প্ল্যান হল শুধু ওয়েব নয়, ডেস্কটপ ভার্সন বা একজিকিউটেবলও তৈরী করা এবং হাসিন ভাইয়ার কোডের ডাটা স্ট্রাকচার দিয়ে সেটা করতে গেলে সমস্যায় পড়বো তাই নিজেই কোড লিখে করে ফেলেছি৷ আশা করি আপাতত এর ওয়েব ভার্সন থাকলেও সামনে এর একজিকিউটেবল ভার্সনও তৈরী করা যাবে ( অভ্রের মত), ফলে তখন সবাই ওয়েব ও পিসিতে একইভাবে লিখতে পারবেন।
আমি সামহোয়ারইন সাইটের ব্লগার৷ ওখানেই এটি নিয়ে লিখেছি৷ এরপরে এই সাইটেও লিখছি কারণ বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ করতে চাই সবার সাথেই তাই এখানে যারা আছেন তাদের সাথে ভিউ শেয়ার করার জন্যেই এটা লিখা। আমার উদ্দেশ্য আমাদের ভাষা নিয়ে কাজ করা তাই বাকি বাংলাভাষীদের সাজেশন ও কমেন্ট প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য। পাবলিক ডিমান্ডকে যদি আমরা কোডে কনভার্ট করি তাহলে সেই কোডের্ (প্রোগ্রামের) গ্রহনযোগ্যতা আশা করি সর্বোচ্চ হবে, আমারও লক্ষ্য সেটাই: পাবলিক ডিমান্ডকে ইমপ্লিমেন্ট করা। আমার মনে হয় যা বলতে চাইছি তা গুছিয়ে বলতে পারছি না, তাই আপনাদের অনুরোধ করবো নিচের ব্লগটি পড়ে, কিবোর্ডটি সম্পর্কে জেনে, টেস্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন:
বিস্তারিত লিখা নিয়ে ব্লগ লিংক: http://www.somewhereinblog.net/blog/seoul/29115161
গুগল কোড লিংক: http://code.google.com/p/bangla-keyboard-layout/
অনলাইন ডেমো: http://phonetic.sourceforge.net
সবাইকে ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
মন্তব্য
আপনার ব্লগার নামটা এখানে কোথাও দিতে পারতেন।
আমি বিজয় কীবোর্ডে বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং-এ অভ্যস্ত হয়ে গেছি বিধায় আমার মতামত হয়তো একপেশে হয়ে যাবে। তাছাড়া এসব ব্যাপারে আলাদা কোন বিশেষত্ব আমার নেই বলে কোন মতামত এ মুহূর্তে দিতে পারছি না। তবে বেশ কৌতুহলি আছি কে কী বলেন তা জানার জন্য।
আমাদের অফিসগুলাতে কত্তো পদের কী বোর্ড যে ব্যবহার হচ্ছে! তাছাড়া ইউনিকোড ভিত্তিক না হওয়ায় সীমিত গণ্ডির মধ্যে বাংলা টাইপিং হা-হুতাশ করছে। আসলেই এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।
মন্তব্যটা অফটপিক হয়ে যাচ্ছে কিনা কে জানে, আমাদের দেশে সর্বত্র ইউনিকোড ফন্টের ব্যবহার চালু করা কি রাষ্ট্রের জন্য সত্যি অসম্ভব কিছু ? এটা করা গেলে ইউনিফর্ম টাইপিং-এর ভাবনাটা আরো বেশি কার্যকরি হতো বলে মনে হয়।
আপনার উদ্যমকে স্বাগত জানাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বিজয়টা সঠিক ও সায়েন্টিফিক তাই ওটা ব্যবহারে সমস্যা নেই কোন
আমার এটা আসলে একরকম ইংরেজী লেআউটকে সাপোর্ট দিতে তৈরী করা লেআউট যেটা খুব সহজেই আত্মীকরণ করা সম্ভব। দেখা যাক কতদূর যেতে পারি
এই ব্লগে প্রথম পোস্ট আমার এটা। আপনার কমেন্টটা প্রথম কমেন্ট ধন্যবাদ আপনাকে
সিউল, "সায়েন্টিফিক" শব্দটা ব্যবহার করলেন যখন, নিশ্চয়ই একটু বোঝাবেন আমাদের, বিজয় কীবোর্ড লেআউটের পেছনে "সায়েন্স"টা কেমন।
আমার জানামতে একটিমাত্র বাংলা কীবোর্ড লেআউটই খানিকটা বৈজ্ঞানিক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা, সেটি মুনীর অপটিমা।
সায়েন্টিফিক হতে হলে কিবোর্ডের রিকোয়ারমেন্ট এমন হবে:
১) সর্বনিম্ন সংখ্যক অক্ষর প্রেস করতে হয় সেটাতে
২) সর্বনিম্ন পরিমাণ টাইম লাগবে টাইপ করতে
৩) কোন একটি ভাষায় ব্যবহৃত সকল বর্ণকে সাপোর্ট করে
এর জন্যে যে পদ্ধতি ফলো করা হয় তা সহজভাবে অনেকটা এরকম :
১) কিবোর্ডে বিভিন্ন কি-পজিশনের জন্যে বিভিন্ন cost অ্যাসাইন করা৷ যেমন: f,g,h,i,a,s,d,l এর মত মাঝের রো-তে থাকা কি গুলি টাইপ করার cost=১, উপরের রো-তে থাকা অক্ষর টাইপ করার cost=২, নিচের রো-তে থাকা অক্ষর টাইপ করার cost=২, সংখ্যা সারিতে থাকা অক্ষর টাইপের cost=৩
২) ইনটুইশনাল cost অ্যাসাইন করা৷ যেমন: একটি অক্ষর টাইপ করার পরের অক্ষরটিও যদি সেই আঙ্গুল দিয়েই হয় তাহলে cost=১, অন্যথায় cost=-১ ( এর কারণ হল যদি আমরা একটা অক্ষর টাইপ করার সময় অন্য আঙ্গুলটি ফ্রি থাকে তাহলে সেই আঙ্গুলটি প্রস্তুত হয়ে থাকবে পরের অক্ষরটি টাইপ করার জন্যে ফলে ওভারঅল টাইপিং স্পিড বাড়বে )
৩) শিফট-কি প্যারামিটার সেট করা৷ মানে একজন সবসময় সমান স্পিডে টাইপ করতে পারবেন না, দীর্ঘ সময় টাইপ করতে গেলে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন সুতরাং তিনি তখন একবারে যেগুলি অক্ষর টাইপ করা যায় সেগুলি দ্রুত টাইপ করতে পারবেন কিন্তু যেগুলি শিফট চেপে টাইপ করতে হয় সেগুলি স্লো টাইপ করবেন৷ ফলে কোন অক্ষর শিফট পজিশনে থাকলে cost=১ অন্যথায় cost=-১
৪)ফ্রিকোয়েন্সী অ্যানালাইসিস করে দেখতে হবে কোন অক্ষরের ফ্রিকোয়েন্সী কত অর্থাৎ কোন অক্ষর কতবার ব্যবহৃত হয়৷
৫) লং টার্ম প্রোবাবিলিটি ডিস্ট্রিবিউশন ফ্যাক্টর সেট করা প্রতিটা অক্ষরের জন্যে৷ এর কারণ হল, অনেক সময়ই দেখা যায় কোন একটা অক্ষরের পজিশন মুখস্থ হয়ে গেলে সেটা যেকোন আঙ্গুল থেকে সবচেয়ে দূরে থাকলেও অনেক দ্রুত টাইপ করা সম্ভব ( যেমন: ইংরেজীতে h অপেক্ষা t এর পজিশনাল cost বেশী কারণ t উপরের রো-তে কিন্তু h মাঝের রো-তে৷ কিন্তু এমনটা হতে পারে অনেকগুলি t আছে এমন ডকুমেন্ট টাইপ করার সময় অনেকক্ষন টাইপ করার পরে একজন যত দ্রুত t টাইপ করবেন অত দ্রুত h টাইপ করবেন না৷ এক্ষেত্রে আমরা বলব h এর লং টার্ম প্রোবাবিলিটি ডিস্ট্রিবিউশন ফ্যাক্টর t এর ফ্যাক্টর থেকে কম)
এবার যে কাজ তা হল:
(৪) ও (৫) নাম্বারে পাওয়া অক্ষরগুলির ফ্রিকোয়েন্সী লিস্ট থেকে যেই অক্ষরগুলির ফ্রিকোয়েন্সি বেশী সেগুলিকে (১),(২) এবং (৩) নং স্টেপ থেকে পাওয়া কম cost এর পজিশনে যদি রাখা হয় তাহলে ওভারঅল টাইপিং স্পিড বেড়ে যাবে সর্বোচ্চভাবে৷ আমরা বিভিন্ন লেআউট নিব, স্যাম্পল ডাটাসেট দিব এবং এরপর সিমুলেশন প্রোগ্রাম দিয়ে কোনটার কত cost হয় তা দেখবো
*******
মুনীর কিবোর্ড নিয়ে আমার তেমন কোন আইডিয়া নাই জন্যে বেশী কিছু বলতে পারলাম না৷ তবে উপরে যে প্রসেস বললাম সেটা অনুসারে সিমুলেশন করে দেখেছিলাম যে আমার রেজাল্টে যেই লেআউট আসে তার সাথে বিজয়ের লেআউটের প্রচুর মিল৷ আর তাছাড়া এর ডিজাইন করেছিলেন আমাদের ডিপার্টমেন্টের অন্যতম সেরা স্টুডেন্ট পাপ্পানা ভাইয়া সুতরাং ভাইয়া যে অবশ্যই সকল স্ট্যান্ডার্ড প্রসেস ফলো করে, অন্যান্য ভাষায় যেভাবে লেআউট ডিজাইন করা হয়েছে সেগুলিকে বিবেচনা করে কাজটা করেছিলেন এ ব্যাপারে আমার কোনই সন্দেহ নাই
পাপ্পানা ভাইয়ার নাম শুনেছি অবশ্য । তবে আমার ধারণা ছিলো বিজয়ের লেআউট পাপ্পানা কাজের চেয়েও পুরনো। আপনি এ ব্যাপারেও আমাকে আলোকিত করতে পারেন।
আপনার ব্যাখ্যা খুবই আগ্রহোদ্দীপক। আপনার অভিসন্দর্ভটি বিশদ পড়ার আগ্রহ হচ্ছে। পাশাপাশি এ নিয়ে সচলে একটি পোস্ট আমি আশা করছি।
বাংলা টাইপরাইটারে কোন লে-আউট ব্যবহার করা হতো?
মুনির অপটিমা সম্ভবত:
তার আগে ভারতীয় কিছু ছিল হয়তো।
সংবাদপত্রের লোকজন কোথায়? মোস্তফা জব্বারের চোথা থেকে তথ্য যোগ করুন।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ধন্যবাদ শোমচৌ
মুনীর অপটিমা। তার আগে ছিলো রেমিংটন।
গোলাম মুরশিদের একটা খুব তথ্যবহুল আর্টিকেল পেলাম। পড়ে দেখতে পারিস।
@ হিমু ভাইয়া:
আমি এর বিস্তারিত আর তেমন কিছু জানিনা৷ তবে কনফারেন্স পেপার/জার্নাল থেকে রিসোর্স দিতে পারি অন্যান্য ভাষায় কিভাবে তারা তাদের কিবোর্ড ডিজাইন করেছে, কি কি প্রসেস তারা ফলো করেছে৷ প্রসেসটা মূলত সব ভাষাতেই একই৷ সামনে আশা করি সময় করে লিখবো
@ সাফি ভাইয়া && শোহেইল মতাহির চৌধুরী ভাইয়া:
টাইপরাইটারে মুনীর লেআউট ব্যবহৃত হত বলেই আমিও জানি৷ তবে জব্বার কাগু কিছু বলতে পারবে না এটুকুন নিশ্চিত৷ ওর চোথা'র কথা চিন্তা করার চিন্তা করাও পাপ৷
অভ্র নিয়ে কোন অভিযোগ নেই আমার।
রোকেয়াতে দেখছি থ = ক্যাপিটাল-R , ধ = ক্যাপিটাল-W, শ = L।
আবার ঃ=M ঁ=B ং=V।
এগুলো বেশ ঝামেলার মনে হচ্ছে।
সে তুলনায় অভ্রের থ = th, ধ = dh, শ = sh, ঃ = : , ঁ = shift ^, ং = ng অনেক সহজ ও যৌক্তিক।
নতুন কিছু অসুবিধে নিয়ে আমি রোকেয়া কীবোর্ড ব্যবহার করবো বলে মনে হয় না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অভ্র নিয়ে অভিযোগ আসবে না আমি জানি কারণ ইংরেজী দিয়ে বাংলা লিখার জন্যে এটি অসাধারণ সফটওয়ার৷ তবে অভিযোগ কিন্তু আশা করেছিলাম৷ নিচে বিস্তারিত লিখি:
অভ্রতে কলম = kolomo লিখতে হবে৷ এর কারণ হল এর উচ্চারণটা হল কলোম৷ এখন কলমীলতা = kolomiilota কি ঠিক ?? অবশ্যই না কারণ এর উচ্চারণ হল: কল্ মী ল তা, কলোমীলতা নয়৷
সুতরাং এই একটা সমস্যা তা হল: লিখনপদ্ধতি উচ্চারণনির্ভর নয় পুরোপুরি৷
দ্বিতীয় সমস্যা হল: ধরুন আপনি একজন ফরাসী, আপনি ইংরেজী জানেন না একফোটা এবং শখ করে বাংলা শিখলেন৷ এখন বাংলা লিখার জন্যে তাকে বলতে হবে যে প্রতিটা ব্যঞ্জনবর্ণের পরে একটা o/i/e/a/u লাগবে কারণ এটাকে ইংরেজী দিয়ে উচ্চারণ করতে গেলে এমনটা দিতে হয়৷ অর্থাৎ তাকে বলতে হবে, "তুমি বাংলা টাইপ করবে তবে ইংরেজীকে প্রাধান্য দিয়ে"৷ এমনটা কি আপনি সমর্থন করেন ?? আমি এটাকে সমস্যা মনে করি এবং এর সলিউশন হল মুনীর কিংবা প্রভাতের মত ফিক্সড লেআউট যেখানে প্রতিটা অক্ষরের জন্যে আলাদা আলাদা কি থাকবে৷ ফলে টাইপিং হবে ল্যাংগুয়েজ-ডিপেন্ডেন্সি মুক্ত
তৃতীয় সমস্যা হল: প্রচলিত কোন চিহ্নকে নষ্ট না করা ( যেমন: বিজয়ে & এর জায়গায় চন্দ্রবিন্দু রয়েছে কিন্তু প্রোগ্রামিংয়ে & চিহ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ)৷ অভ্রতে এরকম কিছু সমস্যা রয়েছে
চতুর্থ সমস্যা: কিবোর্ডের লেআউট নিয়ে থিসিস করার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, একাধিক কি চেপে একটা অক্ষর টাইপ করা হলে এমনিই সেই কিবোর্ডের এফিসিয়েন্সি কমে যায় অনেক তাই এমন লেআউট অতটা সমর্থন যোগ্য না
*********
অনেক কথা হল, এবার অক্ষরের স্থান মনে রাখা ও tth চেপে "থ" টাইপ করা নিয়ে যেই কথাগুলি এল তার প্রেক্ষিতে বলি: রোকেয়া লেআউটে "থ" এর মত বর্ণগুলি আপনি ২ভাবে টাইপ করতে পারবেন- (১) তার জন্যে অ্যালটেড কি-টা চেপে (২) tth চেপে মানে কোন একটা অক্ষরের পরে h দিয়ে সেটাকে অন্য অক্ষরে কনভার্সনের মত জনপ্রিয় স্টাইলটারও সাপোর্ট রয়েছে৷ ফলে এটি যেমন ইংরেজী দিয়ে বাংলা লিখার স্টাইলের মানুষদের জন্যে সহজ তেমনি ফিক্সড লেআউট হয়ে যেকোন ভাষার মানুষের কাছেও স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে বিবেচ্য হতে পারে
বিশাল কমেন্ট হয়ে গেল৷ আর না লিখি, ভাল থাকবেন
অভ্রতে কিন্তু আমি কলম লিখি এইভাবেঃ k`l`m ... আর কলমিলতা এইভাবেঃ k`l`mil`ta
আমি যদ্দূর জানি, একটা শব্দের শেষে ভাওয়েল না থাকলে অভ্র সেটাকে একটা হসন্ত হিসেবে ধরে নেয়, ফলে পাশাপাশি দুইটা বর্ণ অটোমেটিক জোড়া লেগে যায় ... সেইটা করতে না চাইলে ` দিয়ে বাধা দিতে হয় ... সো ইংলিশ না জানলে অভ্র ব্যবহার করা যাবে না এইটা মনে হয় ঠিক না ...
অন্যদিকে, হাসিন ভাইয়ের ফনেটিকটায় এই জোর করে জোড়া লাগার ব্যপারটা নাই, প্লাস দিয়ে যোগ করতে হয় ...
আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন একটা বর্ণ দিয়ে জোড়া লাগানোর সিস্টেমটা বেশি ব্যবহারবান্ধব মনে করি, তবে শিফট-প্লাস এর বদলে একটামাত্র বর্ণ হলে ভালো হইতো ... আপনার সিস্টেমটা এইদিক থেকে ভালো ...
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় মনে হয় হাসিন হায়দারেরটা অভ্রের চেয়ে সামান্য বেশি ব্যবহারবান্ধব [আমি অভ্রের আগে ঐটা শিখছিলাম, তাই ঐদিকে বায়াস থাকতে পারে], তবে অভ্র দিয়ে অফলাইনে বা অন্য যেকোন ইউনিকোড সাইটে লেখা যায় দেখে সুইচ করে যাই ... এখন অন্য কোন টুল অভ্রের চেয়ে ভালো হইলেও সেটা ব্যবহার করবো বলে মনে হয় না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
এই কথাটা তো ঠিক হলো না। ব্যঞ্জনবর্ণের পরে স্বরধ্বনি তো বাংলাতেই লাগে, সেখানে ইংরিজি আসার দরকার হয় না। যে ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে তা থাকে না তার উচ্চারণ হসন্ত যুক্ত হয় বা পরের বর্ণের সাথে জুড়ে যুক্তাক্ষর হয়ে যায়। যেমন ধরুন "রতন্" বনাম "রত্ন"।
@ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাইয়া:
` চিহ্ন ব্যবহারে সমস্যা ২টা৷ প্রথমত: ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম সমর্থিত নিয়ম মানছি না, দ্বিতীয়ত: এক্সট্রা অনেক অক্ষর টাইপ করতে হচ্ছে পরিণামে৷ ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম বলে যে, আমাদের যুক্তবর্ণ লিখতে তাকে হসন্ত দিয়ে সংযোগ করতে হবে (ওয়েব সোর্সটা ভুলে গেসি, থিসিস পেপার দেখে বলতে হবে তবে ইউনিকোড.অর্গ এই পাওয়া যাবে)৷ একারণে কলম=klm হওয়াই বাঞ্ছনীয় এবং গুল্ম=g l hasanta m হওয়া উচিত, তাইনা /??? ( ফোনেটিকে কিন্তু এটা ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে)
@ মূলত পাঠক:
আমি ঠিকমত নিজের কথা বুঝাতে পারিনি তাহলে৷ আমি বলতে চেয়েছি যেকোন একটা বর্ণ টাইপ করার জন্যে একটা মাত্র কি-প্রেস করবো এটাই কাম্য৷ এছাড়া একটা বর্ণ টাইপ করার পরে তার সাথে সাথে তাকে উচ্চারণের জন্যে যে স্বরবর্ণটা আসবে সেটাকেও টাইপ করতে হবে এটা কাম্য নয়৷
আবার 'ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে তা থাকে না তার উচ্চারণ হসন্ত যুক্ত হয় বা পরের বর্ণের সাথে জুড়ে যুক্তাক্ষর হয়ে যায়' মনে হয়না সবসময় ঠিক৷ "কলমীলতা" শব্দটা দেখুন৷ এখানে "ল" কিন্তু হসন্ত দিয়ে হবেনা এবং তা "মী" এর সাথেও সংযুক্ত হবে না যদিও "ল" এর পরে কোন উচ্চারিত স্বরবর্ণ নেই৷
বুঝলাম।
আমি অভ্র নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট। বিজয় লেআউটেও আমি অভ্যস্ত। তাই অভ্র ছেড়ে অন্য কোনওকিছু কখনও ব্যবহার করবো না, নিশ্চিতভাবেই।
সচলায়তনে স্বাগতম। ভালো থাকবেন।
অভ্রের ব্যাপারটা উপরে বলেছি। আমিও জানি অভ্র থেকে কেউ অবশ্যই ডাইভার্টেড হয়ে আসবেন না
অভ্যর্থনা জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। আপনার জন্যেও শুভ কামনা থাকলো
আপনার এফোর্টের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সমস্যাটা হল কী জানেন? সমস্যাটা হল, অনেক গুলো বাংলা কিবোর্ড ইতিমধ্যেই আছে। এই k-ক এই ধরনের লেআউট আছে সম্ভবত তিনটা কি চারটা(প্রভাত, অভ্র, বর্ণসফট, হাসিন ফোনেটিক, গুগল ফোনেটিক)। এখন যুক্ত হল আপনারটা।
শুনতে খারাপ লাগলেও আপনারটা ব্যবহারের খুব খুব ভালো কোন কারণ না থাকলে কেউ এটা ব্যবহার করবে। আমাদের আসলে আরেকটা কিবোর্ডের তেমন জরুরী দরকার নেই। দরকার বাংলা একডেমীর মত সংস্থা কর্তৃক একটা স্ট্যান্ডার্ড লেআউট। যেটা হবে ফ্রি। এবং এর টুল গুলোকেও ফ্রী হতে হবে। তাহলে প্রকৃতপক্ষে বাংলা লেআউট ব্যাপক প্রচার/প্রসার করা সম্ভব হবে।
তবে আপনার এফোর্টকে ধন্যবাদ। রোকেয়া কি আপনার মায়ের নাম? মায়ের নাম ব্যবহার করেছেন দেখে ভাল্লাগলো।
অফটপিক, মাইক্রোসফট কিবোর্ড লেআউট ক্রিয়েটর ছাড়া অন্য কোন টুল ব্যবহার করেছেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হুম৷ ভাইয়া এটা ঠিক বলেছেন যে, এমন আরো ৪টা লেআউট আছে সুতরাং কেউ এটা তেমন বাধ্য না হলে ব্যবহার করবে না৷ আমি নিজেও জানি এটা কারণ একজন কয়টা শিখবে ??? তবুও আমি কাজটা করলাম কারণটা মূলত হাসিন ভাইয়ার ফোনেটিকটার বাগগুলিকে আউট করার জন্যে এবং নিজের থিসিসের সাথে সম্পর্কিত নিজের ভাষা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ থেকে৷
যাই হোক, চেষ্টাটা করতে তো সমস্যা নাই৷ এটা ওপেনসোর্স সফটওয়ার তাই এটা টিকে থাকুক না থাকুক এর কোড আশা করি কারো না কারো কাজে আসতেও পারে যারা বাংলা নিয়ে কাজ করবে ভবিষ্যতে
"রোকেয়া" নামটা ভাইয়া বেগম রোকেয়ার নাম থেকে নেয়া৷ কারণটা সামহোয়ারের ব্লগটা থেকেই কপি করি: "এটার নাম রেখেছি "রোকেয়া" লে-আউট কারণ আমি রংপুরের ছেলে, আমার বাসার খুব কাছেই বেগম রোকেয়ার জন্ম। বেগম রোকেয়া না আসলে এদেশের মেয়েরা ১০০ বছর পিছায় থাকতো। সমাজ তো খালি ছেলেদের দিয়ে না, তাই পুরো সমাজ ১০০ বছর পিছিয়ে থাকতো। আমার মা হয়তোবা শিক্ষিত হতেন না, আমিও তাই হতাম না। একই কথা সবার জন্যেই, তাইনা??? আমি নামকরণের দ্বারা উনাকে ছোট্ট একটা সম্মান দেয়ার চেষ্টা করেছি"
বাংলা ভাষা নিয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের মাঝে আপনি অন্যতম৷ আন্তরিক ধন্যবাদ থাকলো আপনার জন্যে :)
আপনার প্রয়াসকে ধন্যবাদ জানাই।
কি-বোর্ড লে-আউট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভ্যস্ততা বা কমফোর্ট ফ্যাক্টর সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। অভ্র নিয়ে আমি পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট তাই বাধ্য না হলে আমি নতুন লে-আউট চেষ্টা করতে যাবনা। এখন যদি আমি অভ্র ব্যবহার করতে যেয়ে উঠতে বসতে সমস্যায় পড়তাম, তাহলে আমি নিজেই বিকল্পের জন্য মুখিয়ে থাকতাম, আর ভাল হোক খারাপ হোক নতুন কিছু পেলে চেষ্টা করে দেখতাম। যাই হোক ডেভেলপমেন্টে এমন একটা অভিজ্ঞতা থাকাটাও কম পাওয়া না, ভবিষ্যতে কাজে দিবে। আশা করি আপনি বাংলাভাষা নিয়ে কাজ করা অব্যাহত রাখবেন।
সচলায়তনে স্বাগতম।
আপনার কথা ঠিক অভ্রতে অভ্যস্তরা মাইগ্রেট করবেন না কোনভাবেই। তবুও নতুনদের (মানে যারা এখনো বাংলা টাইপিং জগতে আসেননি) কথা ভেবে কাজ করলাম। আর তারউপর নিজের ভাষার জন্যে কাজ করার একটা প্রেরণা তো রয়েছেই।
অভ্যর্থনার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ ভাল থাকবেন
বাংলিশ স্টাইলের একটা কি-বোর্ড কেন জনপ্রিয় হবে না তা আপনি অচিরেই বুঝে যাবেন। সে কথায় আর যাচ্ছি না।
শুধু এটুকু বলি, শখের নেট-ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে কি-বোর্ড লে-আউট তৈরি করে বসে থাকবেন... তাদের শখ বদলে যাবে... নতুন প্রযুক্তিতে তারা অন্যদিকে ঘুরে যাবে...
কি-বোর্ড আপনাকে তৈরি করতে হবে যেজন্য এটি প্রয়োজন সেই মূল কারণে। আর এটি ব্যবহার করবেন তারাই যাদেরকে প্রতিদিন কাজের জন্য, সত্যিকার কাজের জন্য এটা ব্যবহার করতে হয়। দলিল লিখক, টাইপিস্ট, সাংবাদিক, লেখক, ছাত্র, শিক্ষক যারা বাংলা ভাষা ব্যবহার করে কিছু লেখেন তারাই এটা ব্যবহার করবেন।
সুতরাং যারা বিপুল পরিমাণে ব্যবহার করবেন তাদের কাছে আদরণীয় হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে কি-বোর্ড ডিজাইন করতে হবে। তাদের পরিশ্রম যাতে কম হয়, ঝামেলা কম হয় এই উদ্দেশ্যে কি-বোর্ডটাকে সাজাতে হবে। মন্তব্যে আপনি সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেখলাম।
ভিন্ন একটা প্রয়োজনীয়তার কথা বলি। আপনাকে হয়তো নতুন কাজের তাগাদা দিতে পারে। ইংরেজি-বাংলা অনুবাদের জন্য আমি বাংলা ব্যবহার করি। মাঝে মাঝে আমাকে একেবারে ইংরেজির লে-আউটে হুবহু বাংলা বসাতে হয়। তখন দেখেছি যে বাংলা ফন্ট আর ইংরেজি ফন্টের আকার মেলানো যায় না। ই-কার ঈ-কার ইত্যাদির কারণে সম্ভবত: বাংলা ফন্ট ইংরেজির চেয়ে দুই সাইজ ছোট। তারসাথে আরেকটা গন্ডগোল হলো লাইন-স্পেস থাকে কম-বেশি। প্রচুর কসরত করে একপাতা ইংরেজির বাংলা একপাতায় ধরাতে হয়।
জনপ্রিয় ইংরেজি ফন্ট এরিয়াল বা টাইমস নিউ রোমানের সাথে একেবারে খাপে খাপে মিলে যায় এমন একটা ফন্ট থাকলে খুব সুবিধা হতো।
আরেকটা ফন্ট হতে পারে এরকম যেটা দেখতে ইংরেজি অক্ষরের মত করে ডিজাইন করা। হিন্দীতে এরকম একটা ফন্ট আছে। মাল্টিকালাচারাল সোসাইটিগুলোয় এর একটা অন্যরকম জনপ্রিয়তা আছে।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ছাত্র বা শিক্ষকের ব্যপারে আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, বাংলিশ স্টাইলটাই প্রথম পছন্দ হিসেবে থাকবে ... দলিল লেখক বা পেশাদার টাইপিস্টের প্রেফারেন্স অন্যরকম হতে পারে, কিন্তু আপনি যাদের শখের টাইপিস্ট বললেন তাদের তুলনায় পেশাদার টাইপিস্টের সংখ্যা কতটুকু?
আপনি নিজেই খেয়াল করেন, পাঁচ বছর আগে বাংলা লিখতো কয়জন আর এখন কত মানুষ লেখে ... এই শখের ব্যবহারকারীদের টার্গেট করেই কীবোর্ড বা অন্যান্য টুল তৈরি করা উচিৎ, না হলে সেটা টিকে থাকবে না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আমার তা মনে হয়না৷ প্রযুক্তিগত ডাইভার্শন আসলে স্মার্টফোন আসতে পারে অথবা এমন কিছু আসতে পারে যার ফলে পুরো কিবোর্ডটার কনসেপ্টটাই পাল্টে গেলো কিন্তু সেখানেও কিন্তু তখনও qwerty মানে বর্তমান ইংরেজীটাই থাকবে কারণ ইংরেজী ভাষীদের প্রাইমারী কিবোর্ড এটাই৷ সুতরাং বাংলিশের অস্তিত্ব থাকবেই মনে করি৷ মানে বলতে চাইছি যে, এখন সবাই "ফ" লিখে f-দিয়ে, পুরো জেনারেশনের ভাষাগত পরিবর্তন না ঘটলে (যেমন: বাংলিশ থেকে যদি সবাই ফ্রেঞ্চিশ হয়ে যাই ফ্রেঞ্চ শিখে ) ইংরেজী কিবোর্ড যতদিন আছে অতদিন বাংলিশ স্টাইলই টিকবে৷
আর নিচে কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাইয়ের কমেন্টটাও উল্লেখযোগ্য৷ এটাই আসলে বলতে চাইছিলাম
- মুর্শেদের কথাগুলোই আমি বলতাম।
আমি বিজয়-ইউনিজয় মূর্খ। প্রথম থেকেই ফোনেটিকে অভ্যস্ত করে নিয়েছি নিজেকে। হাসিনের লে-আউট ছিলো ওটা। পরে মুর্শেদ-অরূপ যে কনভার্টার ব্যবহার করেছে সেখানেও একই লে-আউট ব্যবহার করা হয়েছে (ফোনেটিকের ক্ষেত্রে)। যেটা আমার মতো নবীশের জন্য মারাত্মক কাজে দিয়েছে কোনো লে-আউট সুইচিং ছাড়াই।
অভ্রতে লিখতে গিয়ে আমি প্রথমে বিশাল ধাক্কা খেয়েছি কারণ আমার পরিচিত লে-আউটের কিঞ্চিৎ ব্যতিক্রম দেখে। এবং সে যাত্রায় আমি অভ্র ব্যবহারে নিজেকে পারদর্শী করে তুলতে পারিনি। এটা আসলে আমার ব্যর্থতা। কিন্তু আমার মনে হয়েছে হাসিন-অরূপ/মুর্শেদ-অভ্র যদি একই লে-আউট ব্যবহার করতো, অন্তত আমার মতো যারা আন্ধা ফোনেটিক নির্ভর তারা বিনা দ্বিধায় চোখ বন্ধ করে বাংলা লিখে যেতে পারতো।
বেশ কিছুদিন হয় আমি অভ্রতে সুইচ করেছি আবার। অফলাইনে লেখার আমার পরিচিত বিকল্প পাইনি দেখে। সচলায়তনে যে লে-আউটে লিখি, অভ্রতে একটু ধোঁকা লাগে বটে। অনলাইনে/অফলাইনে মাঝে মাঝেই অতিরিক্ত নজর রাখতে হয় লে-আউট পরিবর্তনের কারণে। অভ্রতে কেবল এটাই আমার একমাত্র সমস্যা, আর কোনো সমস্যা বা অভিযোগ নেই।
এখন আপনি নিয়ে আসছেন আবার রোকেয়া কীবোর্ড। আপনার উদ্যোগকে অবশ্যই স্বাগতম। কিন্তু আমার মতো যারা কেবল এবং কেবলমাত্র ফোনেটিক ভক্ত তাদেরকে আরেকধাপ দ্বিধায় ফেলতে যাচ্ছে এই কীবোর্ড।
সবাই যার যার মতো কীবোর্ড লে-আউট বানাচ্ছেন। বাংলাকে সার্বজনীন করে তোলার প্রয়াসই তো সবার মূল উদ্দেশ্য নাকি! এই উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে ইতোমধ্যে যারা কাজ খানিকটা এগিয়ে রেখেছেন তাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ লে-আউট তৈরী হলে বোধ'য় এতোগুলো কীবোর্ড লে-আউটের গ্যাড়াকলে পড়তে হতো না ব্যবহারকারীদের।
যুক্তি সবার পক্ষেই আছে, তাই বলে একটা ভাষার ক্ষেত্রেই দশ পনেরোটা কীবোর্ড লে-আউটের যুক্তি আমি অন্তত মেনে নিতে পারি না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"কিন্তু আমার মনে হয়েছে হাসিন-অরূপ/মুর্শেদ-অভ্র যদি একই লে-আউট ব্যবহার করতো, অন্তত আমার মতো যারা আন্ধা ফোনেটিক নির্ভর তারা বিনা দ্বিধায় চোখ বন্ধ করে বাংলা লিখে যেতে পারতো।"
- দুঃখজনক হলেও সত্য এটা হয়নি৷ সুতরাং সত্যিটাকে মেনে নিয়েই সামনে এগুনো উচিত৷
আপনি আমার কাজের কনসেপ্টটা ধরতে পারেন নি বোধহয়৷ :( আমি কোন লেআউট চাপিয়ে দিতে যাচ্ছি না, আমিও আপনার মতই একজন সাধারণ ফোনেটিক ব্যবহারকারী৷ কেন আমি বারবার লেআউট মুখস্থ করবো ?? এর বদলে একজিস্টিংটারই ভুলগুলো ঠিক করার পক্ষপাতী আমি (সামান্য কিছু জিনিস নতুন করে শিখতে হতে পারে তবে বাগযুক্ত ডিজাইন থেকে আপাত ফ্রি ডিজাইনে যেতে এতটুকুন ট্রেডঅফ তো থাকবেই)৷
ফোনেটিকের বাগগুলি দেখে সবসময়ই ভেবেছি এগুলি ঠিক করা উচিত (যেমন: আি টাইপের বর্ণের গঠন), একিসাথে এটাও ভেবেছি ফোনেটিকটাই হওয়া উচিত আমাদের স্ট্যান্ডার্ড৷ একারণেই বিদ্যমান ফোনেটিকটার বাগগুলি ঠিক করে এটাকে ফিক্সড লেআউট হিসেবে ডেভেলপ করেছি৷ আমি অবশ্যই নতুন কিছু চাপিয়ে দিতে আসিনি, আমি ভুল বুঝেছেন৷ আপনি গুগল কোডের পেজে যেয়ে কিবোর্ডের লেআউটটা দেখলেই বুঝতেন এটা ফোনেটিক স্টাইলের সাথে কতটা সংগতিপূর্ণ৷
"তাই বলে একটা ভাষার ক্ষেত্রেই দশ পনেরোটা কীবোর্ড লে-আউটের যুক্তি আমি অন্তত মেনে নিতে পারি না"
- একমত এবং এটাই হওয়া উচিত৷ দশ পনেরোটা থাকার কোন প্রয়োজন নেই, একটাই থাকবে তবে সঠিকভাবে থাকবে৷ আপনি সম্ভবত হাসিন ভাইয়ার ডেভেলপ করাটার থেকে আলাদা নাম দেখে ভেবেছেন আমি নতুন কিছু করেছি, আমাকে আলাদা নাম দিতে হয়েছে কারণ পুরোটা শুরু থেকে করেছি ফলে পুরো প্রজেক্টের একটা আলাদা নাম দিতেই হয়েছে৷
অভ্র সফটওয়্যারটা খুবই কাজের। এতে কাস্টমাইজড লেআউটও যোগ করা যায়। আপনার লেআউটটি আপনি অভ্র টিমের কাছে পাঠিয়ে দিন নাহয়।
হাতে-কলমে আপনার লেআউটটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
এভাবে কি একটা এক্সপেরিমেন্ট করা যায়?
১. একটা টাইপিং স্পিড ক্যালকুলেটর সফটওয়্যার বানাবেন অনলাইনে। এতে ইংরেজি আর বাংলা টেক্সট থাকবে। আলাদা আলাদা।
২. একটি গ্রুপ যোগাড় করুন, যারা ইংরেজি কীবোর্ডে টাইপ করে অভ্যস্ত, কিন্তু বাংলাতে একেবারেই নয়। তাদের বলুন রোকেয়া লেআউটটি ব্যবহার করতে।
৩. আরেকটি গ্রুপ যোগাড় করুন, যারা ইংরেজি কীবোর্ড এবং অন্য একটি বাংলা ফোনেটিক লেআউটে অভ্যস্ত। এরা তাদের পরিচিত পুরনো বাংলা লেআউটে লিখবেন।
৪. টাইপিং স্পিড ডেটা অ্যাকুইজিশন করুন।
এবার আপনি যা করতে পারেন, ইংরেজি টাইপ স্পিডের সাথে দুই সেট বাংলা ফোনেটিক টাইপ স্পিডের কোরিলেশন বের করুন। এটা একটা খুব ভালো নির্দেশক হতে পারে।
তবে আপনি নিজে যেহেতু রোকেয়ার প্রণেতা, তাই এই এক্সপেরিমেন্ট কোনো তৃতীয় পক্ষ করলে মানানসই হবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হিমু ভাই প্রথম গ্রুপকে রোকেয়া কি-বোর্ড আত্মস্থ করতে একটু সময় দিতে হবে
তোর কথা শুনে এক্সপেরিমেন্টের আরেকটা লেজের কথা মনে হলো।
রোকেয়া গ্রুপটাকে এই এক্সপেরিমেন্টে কয়েক বার অংশগ্রহণ করতে বলা যেতে পারে। ধর, ছয় মাসে ছয় বার। এরপর দেখতে হবে, সময়ের সাথে তারা অন্য ফোনেটিক গ্রুপের তুলনায় কেমন উন্নতি করলো।
হ্যা এটা আরও চমৎকার একটা আইডিয়া। কিন্তু লেখক ছাত্র হিসেবে এগুলোর বাস্তবায়ন কতটুকু করতে পারবেন সেটাই প্রশ্ন।
কাজটা কি খুব কঠিন? আমি কোডমূর্খ দেখে অনেক কিছু বুঝি না।
আমি ভাবছিলাম, একটা ইংরেজি টেক্সট দেয়া হবে, প্রথম কী স্ট্রোক থেকে ফাইন্যাল রিটার্ন কী প্রেস পর্যন্ত সময়টা গোণা হবে। তারপর ক্যারেক্টার পার মিনিট এককে এটাকে সংরক্ষণ করা হবে। একই ভাবে বাংলা টেক্সটের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটবে। এর জন্য কি খুব বড় হাঙ্গামা পোহাতে হবে? তুই এরকম একটা কিছু লিখে দে হাতে সময় থাকলে।
যারা যারা এই এক্সপেরিমেন্টে অংশগ্রহণ করবেন, তাদের যোগাড় করা আর ম্যানেজ করাটাই যা ঝক্কি।
কোলাবোরেটিভ প্রকল্প করা যেতে পারে। ধর তুই কোড লিখলি, আমি এক্সপেরিমেন্টের ভিক্টিম যোগাড় করলাম, আর পিপিদা [একজন নামজাদা পরিসংখ্যানবিদের ক্যাপাসিটিতে] বিশ্লেষণ করলেন। কেমন হয়? সব কাজ একা করতে গেলে সবাই গরীব হয়ে যাবে।
কয়দিনের আলাপচারিতায় আমি একটু একটু করে আগ্রহী হয়ে উঠছি কিন্তু। দেখি ডেভু মহাশয় কী বলেন। এরকম কোন প্ল্যান থাকলে আমিও অংশ নেব-- ভিক্টিম এবং এনালিস্ট -- দুই হিসেবেই। এ সম্পর্কিত আগের কোন কাজের সূত্র যদি ডেভলপার দিতে পারেন তাহলে আরো ভালো হয়। এক্সপেরিমেন্ট ডিজাইনেও আমি অংশ নিতে প্রস্তুত।
আমি রোকেয়া লে-আউটটা ট্রাই করে দেখতে আগ্রহী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি নিজে ফোনেটিক কী-বোর্ড ব্যবহার করি, বাকি কোনোটাই পরখ করি নি যবে থেকে ফোনেটিক পেয়েছি। আগে অন্য একটি সাইটে লিখতাম, তখন তাদের কোন লে-আউট ছিলো জানা নেই।
অভ্র ফনেটিকের সুবিধা হচ্ছে যারা বাংলিশে 'চ্যাট' করে থাকে তারাও চাইলে এটা দিয়ে সুন্দর বাংলা লিখতে পারে। কিছু সমস্যা অবশ্য থেকে যায়। সেগুলো নিজেই এক সময় শিখে নেয় ইউজার রা। আমি নিজেয় প্রায় পনের জনকে অভ্র ফনেটিক ধরিয়ে দিয়েছি! এমন কি নিজেও যখন এটা প্রথম হাতে পেয়েছিলাম রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম।
তবে হ্যাঁ আজকাল আমার বাংলা লেখার পরিমান বেড়েছে। মানে অ্যামেচার থেকে প্রো লেভেলে যাই নি, তবে মাঝারি পর্যায়ে আছি। এবং ফনেটিকে লিখলে যে অতিরিক্ত কী প্রেস করা লাগছে সেটাও অনুভব করি। তাই যদি এমন কোনো লে-আউট পাই যেটা আমার এই 'অভ্র ইন্টুইশন' এর সাথে মেলে। একই সঙ্গে আমাকে কম 'কী প্রেস' করে একই আউটপুট দেয় তাহলে আমি সুইচ করার কথা ভাববো।
কিন্তু নতুনদের/অ্যামেচারদের জন্য এখনো পর্যন্ত অভ্র ফনেটিকই সেরা পছন্দ।
আর ফিক্সড ফরমাট লে-আউট এর ক্ষেত্রে একটা বড় 'অধ্যয়ন' ফেজ থাকে। প্রচুর প্রাকটিস করা লাগে শুধু মাত্র হালকা দু লাইন স্বাভাবিক ভাবে লিখতে হলেই। অনেকেই দেখি স্বচ্ছন্দে একাধিক লে-আউটে লিখতে পারে। নতুন লে-আউট শিখতেও তাদের সমস্যা হয় না। কিন্তু অনেকেই আছে যাদের জন্য নতুন কী-বোর্ড লে-আউট শেখা খুবই মুশকিল। এই আমিই অনেক আগে টানা মাস ছয়েক বিজয় লে-আউট প্রাকটিস করেও আয়ত্ব করতে পারিনি। অভ্র না হলে আসলেই মুশকিলে পড়তাম।
তো যা দাঁড়াল। আপনাকে 'টার্গেট গ্রাহক' ফিক্স করতে হবে। আমার মতে 'অভ্র ফনেটিকে' শিখেছে। কিন্তু এখন একটু 'প্রো লেভেলে' যেতে চাইছে। তেমন কারো জন্য 'প্রো-ফনেটিক' টাইপ কিছু করা যেতে পারে। যাতে অভ্যাসের মিনিমাল চেঞ্জেই বেশি আউটপুট পাই।
অভ্র সফ্টয়্যারের কোয়ালিটির দিক দিয়ে বিশ্ব মানের। অভ্রের প্রতিদ্বন্দী না; সঙ্গী হতে হলেও লুক আন্ড ফিল থেকে শুরু করে স্ট্যাবিলিটি-কম্প্যাটিবিলিটি, এসবে অভ্রের সমমানের হতে হবে আপনার সফটয়্যারটিকে। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ।
নতুন সব সময়ই স্বাগত। আপনার নতুন সফটয়্যারকে স্বাগত জানাই।
আর অবশ্যই হিমু ভাই কমেন্টে যে ধরণের 'পরীক্ষণ' পদ্ধতির কথা বললেন তেমন কিছু করে দেখুন। করলে, সে রেজাল্ট জানার জন্যও আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করব।
সচলায়তনে স্বাগতম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সিউল ভাই, সচলে স্বাগতম ।
রোকেয়া নিয়ে এগিয়ে যান, শুভকামনা রইলো ।
(এই ধরণের পরিবর্তনে আমার বড্ড অলসতা! তাই হয়ত সেইভাবে ট্রাই করা হবে না তবে প্রচারণার দিক থেকে সাহায্য করার ইচ্ছে আছে, আপনার নাম করণ খুবই ভালো লাগছে । আর ছোট ভাই হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে না! )
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
থ্রেডেড কমেন্ট থিমটার সাথে পরিচিত নই জন্যে গুলিয়ে যাচ্ছে সবার কথা৷ আমি নিচে সামারি করে সবার কমেন্টের রিপ্লাই দিচ্ছি:
অভ্র নিয়ে আমার মূল্যায়ন:
অসাধারণ৷ ছোটকালে বর্ণমালা শেখার সময় তা স্লেটে চক দিয়ে লিখতাম, একটা কাপড় দিয়ে মুছতাম সেটা এবং বারবার সেটার উপরেই লিখা চলতো৷ এইবেলায় এসে চকের লিখা মুছে ফেলা কাপড়ের জায়গা নিয়েছে ডিলিট ও ব্যাকস্পেস বাটন এবং স্লেটের জায়গাটা নিয়েছে কিবোর্ড সফটওয়ারগুলি৷
এবং যতগুলি স্লেট আছে তারমাঝে অভ্র সেরাগুলির একটি৷ আমি কৃতজ্ঞ মেহেদী ভাইসহ এর ক্রিয়েটরদের উপর কারণ তাদের কারণেই বিশালভাবে ছড়িয়ে পড়া শুরু হয়েছে বাংলা ভাষাটা, যেটা বিজয় দিয়ে অসম্ভব ছিল মোটামুটি৷ প্রিন্ট মিডিয়া বাদ দিলে নতুন প্রজন্মের(মানে ২০০০ পরবর্তী বাংলা শিখছেন যারা) কাছে এর গ্রহনযোগ্যতা খুবই বেশী, এবং এই প্রজন্ম যা চাইবে তাই হবে৷ বিজয় নয়, ইউনিকোডই সমাধান৷ সুতরাং ভবিষ্যতেও অভ্রের যাত্রা শুভ হোক এই শুভকামনা থাকলোই৷
অভ্রর সীমাবদ্ধতা:
ক্লোজড সোর্স এবং ইংরেজী না জানলে লিখার সীমাবদ্ধতা থাকছেই৷ এছাড়া এক্সট্রা কি টাইপ করার ওভারহেড রয়েছে৷ শেষটা হল ফিক্সড না হওয়াতে এটাকে নিয়ে অ্যানালাইসিস করা যথেষ্ঠই কঠিন একটা কাজ৷
রোকেয়া লেআউট প্রোগ্রাম নিয়ে ভবিষ্যত প্ল্যান:
(১) এর লজিক্যাল অ্যানালাইসিস করা৷ মানে আসলেই এটা লেআউট হিসেবে ভাল কিনা, ভাল হলে কতটা ভাল, কেন ভাল, অন্যগুলির ভাল দিক কি, ব্যবহারকারীরা যা চায় তার কত % পূরণ করতে পারছে ইত্যাদি ইত্যাদি বের করা৷
(২) একটা লেআউট তৈরী করে তাকে ডিস্ট্রিবিউশনের জন্যে একজিকিউটেবলও প্রয়োজন, অভ্র যেহেতু ক্লোজড সোর্স তাই সেটা নিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই তাই এই লেআউটকেই সাপোর্ট দিতে একটা একজিকিউটেবল তৈরী করা যাতে এটা অফলাইনেও ব্যবহার করা যায়৷ এই একজিকিউটেবলটা অবশ্যই অভ্রের বিকল্প বা প্রতিদ্বন্দী নয়৷ অনেকটা ইয়াহু মেসেঞ্জারের ডেস্কটপ ভার্সনটার পাশাপাশি ওয়েব ভার্সনও থাকার মতই ব্যাপারটা যাতে এটা সবখানেই ব্যবহার করা যাচ্ছে (আপনি বাসায় নিজের পিসিতে নাকি সাইবার ক্যাফেতে সেটা ফ্যাক্টর না)
(৩) এই লেআউটের একজিকিউটেবলটার সাথে অঙ্কুরের ওপেন সোর্স বাংলা ডিকশনারীটা ব্যবহার করে একটা অটোমেটিক স্পেল চেকার তৈরী করা বা এরকম আরো কিছু ফিচার যোগ করা৷
শেষ কথা:
আমি আসলে অনেককিছুই ভেবে রেখেছি করবো, সবকিছু পারবো না অবশ্যই কিন্তু ওপেন সোর্স কোড হলে সবাই মিলে পারবো, তাইনা ??
যেমন ধরেন, মেহেদী ভাইয়ারা যে বানান পরীক্ষক তৈরী করছেন সেটা যদি ওপেন সোর্স হয় তাহলে তো হলই, সেটার ডেভেলপমেন্টে আমিও কাজ করতে পারবো সুযোগ মত নয়তো আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের বলব [১], [২], [৩] পেপারগুলির মত করেই কাজটা করবেন ( এরফলে কোন হিউম্যান হ্যান্ডের সাহায্য ছাড়াই তারা সফটওয়ার ডেভেলপমেন্টের কাজটা করতে পারবেন)
এদিকে রোকেয়া লেআউটের একজিকিউটেবল ইমপ্লিমেন্টেশনের সময় আমরা একাজটা করে ফেলতে পারি খুব সহজেই, মানে ২টা আলাদা আলাদা সফটওয়ার একিসাথে ডেভেলপ করে ফেলতে পারি এবং যে কেউ সেটার ডেভেলপমেন্টেও কাজ করতে পারবে (যেহেতু ওপেন সোর্স)৷ এরপরে কেউ এসে অন্য আরেকটা কাজ এগিয়ে দিল, এভাবেই ওপেন সোর্সের কাজ এগিয়ে চলবে৷ তাই রুট লেভেল কাজটা যাতে সঠিক থাকে মানে কিবোর্ডটা ও এটা দিয়ে লিখা অক্ষরগুলি যাতে সকল স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে এটা নিশ্চিত করা ও এর ফলে পরের কাজগুলিও স্ট্যান্ডার্ড মেথডে করে ফেলার আগ্রহ জন্মাক সেই কনসেপ্ট থেকেই কাজ করেছি এখানে
এই ব্লগে অভ্যর্থনা জানালেন যারা সবাইকে ধন্যবাদ ভাল থাকবেন
রেফারেন্স:
1. http://74.125.155.132/scholar?q=cache:yZYkSDeJ4pUJ:scholar.google.com/&hl=en&as_sdt=2000
2. http://ieeexplore.ieee.org/Xplore/login.jsp?url=http://ieeexplore.ieee.org/iel5/8421/26537/01182301.pdf%3Farnumber%3D1182301&authDecision=-203
3. http://ieeexplore.ieee.org/Xplore/login.jsp?url=http://ieeexplore.ieee.org/iel5/4017782/4017783/04017884.pdf%3Ftp%3D%26isnumber%3D%26arnumber%3D4017884%26authDecision%3D-203&authDecision=-203
আমি বাংলা টাইপ করতে শিখেছিলাম জব্বার কাগুর বিজয় দিয়ে। তারপর ইউনিকোড যুগে এসে অমি আজাদের একুশে স্বাধীনতা ও আমাদের মেহদীর অভ্র ব্যবহার করতে শুরু করি।
আমি অলরেডি ফিক্সড কিবোর্ড লে-আউটে লিখে অভ্যস্ত তাই আমার নতুন করে ফনোটিকে অভ্যস্ত হবার ইচ্ছা খুব একটা নাই।
আমি জানতে আগ্রহী বাংলায় অপটিক্যাল ক্যারেকটার রিকগনিশন অথবা টেক্সট-টু-স্পীচ নিয়ে কেউ কাজ করেন কিনা।
কী বোর্ডটা দেখলাম
ভালোমন্দ ঠিক বুঝতে পারছি না
কিন্তু আমার প্রশ্নটা বেসিক জায়গায়
অতগুলা কিবোর্ড দিয়ে হবেটা কী?
তারচেয়ে বেশি বোধহয় দরকার সব জায়গায় সাপোর্ট করার মতো ফন্ট আর প্রোগ্রাম
০২
এক প্রোগ্রাম দিয়ে চিঠি লেখা আরেক প্রোগ্রাম দিয়ে বই ছাপানো এইটা বন্ধ হওয়া দরকার
তারপরে এক ফন্ট থেকে আরেক ফন্টে/প্রোগ্রামে গেলে যে কনভার্সন লস হয় সেটা রীতিমতো দুর্বিসহ
নিজের একটা লেখাকে একটা মানুষ কয়বার প্রুফ দেখতে পারে?
০৩
আমি শুরু করেছিলাম প্রবর্তন দিয়ে। এখন পর্যন্ত আমার সবচে প্রিয় ফন্ট প্রবর্তনের আদর্শলিপি
কিন্তু ওটার ছিল অনেকগুলা সমস্যা। কিছু বানান শুদ্ধ করে লিখতে গেলে ভুল শব্দ টাইপ করতে হতো
আর কিছু যুক্তাক্ষর একেবারে লেখাই যেত না
তারপর ব্যবহার করি বিজয়
বাংলা কিবোর্ড আর লেখালেখির জন্য এখনও আমার বিজয়কে শ্রেষ্ঠ মনে হয়
সবচে বড়ো বিষয় হলো বাংলা সবগুলো যুক্তাক্ষরই এটা দিয়ে লেখা যায় (প্রচলিত অপ্রচলিত)
কিন্তু ঝামেলা এর বিভিন্ন ভার্সন। এক সালের ফন্ট দিয়ে লিখে আরেক সালের ফন্টে নিলে ভেঙে ম্যাসাকার হয়ে যায় যুক্তাক্ষরগুলা
০৪
নেটে অভ্র দিয়ে লিখছি তাও অনেকদিন হয়ে গেলো। অনেক অনেক ভালো এটা। কিন্তু আমি একনও অভ্রকে বেটা ভার্সন বলব। পুরো সাপোর্ট পেতে হলে অভ্রকে আরো বেশ কিছু দূর যেতে হবে
আর সবচে বড়ো কথা অভ্র এখনও প্রিন্ট সফটওয়ারের উপযোগী নয়
ফলে পাবলিকেশনের জন্য আবারও যেতে হয় কনভার্সন প্রসেসের মধ্য দিয়ে
এবং সেই যাওয়া মানেই আবার মহা গিয়াঞ্জাম
০৫
আমাদের দরকার এমন একটা বাংলা লেখার প্রগ্রাম যা সব জায়গায় সাপোর্ট দেবে
(কিবোর্ড যাই হোক। ওটাতে অভ্যাস করতে বেশি সময় লাগে না)
০৬
আমি ফনেটিকের পক্ষপাতি নই। ওটা আমার কাছে অপমানজনক মনে হয়
বিষয়টা মনে হয় রোমান হরফে বাংলা লেখা
মনে হয় যেন বাংলা ভাষাটা সেইসব ভাষাগোত্রের অন্তর্ভুক্ত যাদের নিজস্ব অক্ষর কিংবা বর্ণমালা নেই
বাংলা কি বোর্ড বাংলা অক্ষরের জন্যই হওয়া উচিত। এবং যিনি বাংলা লিখবেন তার বাংলা অক্ষর চেনা আমি বাধ্যতামূলক মনে করি
এবং আমি মনে করি বাংলা ফনেটিক যদি করতে হয় তবে সেটা বাংলা অক্ষর দিয়েই ফনেটিক হওয়া উচিত। রোমান হরফে ফনেটিক নয়
কারণ বাংলাটা আমার কাছে তার বর্ণমালাসহই বাংলাভাষা। রোমান হরফে লেখা বাংলা কোনোভাবেই নয়
০৭
রোমান হরফে বাংলা ফনেটিক কিন্তু বাংলা বর্ণমালাকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে
আর বাংলাদেশের দশটার বেশি ডাইলেক্ট এবং প্রায় পঞ্চাশটা একসেন্টের ফনেটিক কিন্তু এক না
আমার অভিজ্ঞতাও অনেকটা এরকমই। তাই
@ মাহবুব লীলেন ভাই:
আপনার প্রশ্নগুলি আসতে পারে এটা আমার ধারণা ছিল না নয়তো পোস্টে বিষয়টি ক্লিয়ার করতাম। যাই হোক, আমার রিপ্লাই হল:
১: আমি এতগুলি কিবোর্ড আয়ত্ব করার কিংবা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কথা বলিনি। আপনি পুরো পোস্ট ভালমত দেখলে বুঝতেন এখানে আমি ফোনেটিক স্টাইলটাকেই ঘষেমেজে ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেছি ( ব্যবহারবান্ধব ও লজিক্যাল উভয়ই)
২: ফন্ট সংক্রান্ত যে জটিলতা বললেন সেটা নিয়ে তো আমার কিছু করার নেই তাই এব্যাপারে আসলে কিছু বলারও নেই আমার৷
৩: নিচের যুক্তিগুলি ভ্যালিড মনে হল না৷ আপনি সম্ভবত অভ্রের কনসেপ্ট আর এটার কনসেপ্টকে এক করে ফেলেছেন৷ আমার ডেভেলপ করাটাতে একজন "m" দিয়ে "ম" লিখবেন৷ ইংরেজী জানুক/ না জানুক এতে কারো কিন্তু কিছুই আসবে যাবে না৷ মানে ইংরেজী জানা একজনের কাছে "ম"=m পজিশনে থাকা অক্ষর এবং অন্য ভাষার একজনের কাছে "ম"= কিবোর্ডের নিচের সারিতে সব কমা'র পাশের অক্ষরটি৷
আমরা রোমান হরফে লিখছি না কিন্তু মোটেও৷
আমিও ফুলটাইম অভ্র ব্যবহারকারী, অভ্র-র সাথে বিচ্ছেদ সহ্য হচ্ছিলো না বলে এমনকি লিনাক্সও দূরে ঠেলে দিয়েছি!
বাংলালাইভ ডট কমে আর গুরুচন্ডা৯-র সাইটে একটা কী-বোর্ড পাওয়া যায়, ওটাও ফোনেটিক, ২০০৪ শুরুতে অনেকদিন ওটা ব্যবহার করেছি। তারপরে বাংলাওয়ার্ড নামে একটা সফটওয়্যার পাওয়া যেত। ওদের নিজেদের ফন্ট ছিলো, লে-আউটটাও বেশ ভাল ছিল। কী-স্ট্রোক অনেক কম দরকার হতো। কিন্তু পরে অভ্র পেয়ে যাওয়ায় আর কোনদিকে তাকাইনি, এটাই ব্যবহার করছি।
*
সিউল,
যতটুকু বুঝলাম, তোমার মূল ফোকাস হচ্ছে লে-আউট। তাহলে কিন্তু তুমি সত্যিই তোমার লে-আউটটা অভ্রর মেহেদীর কাছে পাঠিয়ে দিতে পারো। সেরকম ব্যবস্থা আছে বলেই জানি।
***
বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে কাজ করছেন যারা এখন, তাদের কাছে আমাদের এখন আসলে তিনটে দাবী।
১। একটা চমৎকার ফন্ট। যাতে প্রতিটা গ্লিফ আসে ভালভাবে, ইংরেজি/বাংলার আকৃতি সমান বা সুন্দর থাকে, যফলা রফলা জায়গামতন থাকে। ইচ্ছে মতো ছোট বড় করলেও লেপ্টে যায় না।
২। ইউনিকোডটাকে প্রকাশনা বান্ধব করে তোলা, এটা খুবই জরুরি।
৩। আর একটা বাংলা ওসিআর। স্ক্যান করা লেখা যেন কম্পিউটার চিনে নিতে পারে।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমি বাংলা লেখা শুরু করি বিজয় কীবোর্ডে। পরবর্তীতে অভ্র ব্যবহার শুরু করার পর থেকে অভ্র ফোনেটিকই আমার সঙ্গী। আমার মতই যারা পুরনো ব্যবহারকারী (অর্থাৎ অন্তত একটা কীবোর্ড লে আউটে অনেকদিন লিখেছেন) তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুন লে আউটে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে। এজন্য আমাদেরকে টার্গেট করে কোন কীবোর্ড লে আউট ডিজাইন হলে সেটা আমাদের জন্যে সুবিধার হলেও অপটিমাম হবে না। আমার তাই দাবি গাণিতিক ও ব্যবহারিক ভাবে প্রমাণিত সবচেয়ে এফিশিএন্ট লে আউট, যেটা স্ট্যান্ডার্ড করা সম্ভব। কারণ লং রানে ফোনেটিক বা এটার উপরে ভিত্তি করে তৈরি কোন লে আউট অন্তত সবচেয়ে এফিশিএন্ট হবে না বলে আমার ধারণা। সেক্ষেত্রে নতুন যারা লেখালেখি শুরু করবেন, তাদের থেকে আমরা সর্বোচ্চ আউটপুট পাবো। উপরে হিমু ভাই যেমন এক্সপেরিমেন্টের কথা বললেন, তেমনটা করতে পারলে আপনি নিজেই সেই অপটিমাম কী বোর্ড সন্ধানে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।
সচলে স্বাগতম। বাংলা ভাষা নিয়ে প্রযুক্তি মাধ্যমে কাজ করছেন এমন সবাইকে অনেক শ্রদ্ধার চোখে দেখি। শুভকামনা রইল।
----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
এইখানে একটা সমস্যা আছে ... এমন কেউ যদি থাকতো যে কখনো কোন ইংরেজী লেআউট না শিখে সরাসরি বাংলায় লেখা শুরু করতো তার জন্য এই আদর্শ কীবোর্ড শেখা আর ফনেটিক শেখার মধ্যে কোন পার্থক্য থাকতো না ... কিন্তু সেটা হওয়া সম্ভব না ... আমাদের কম্পিউটারের সাথে পরিচয় হয় কোয়ের্টি কীবোর্ড দিয়ে, এইটা শেখার পর নতুন ইউজাররা স্বভাবতই ফনেটিক প্রেফার করে, নতুন করে আরো একটা লেআউট শেখার যন্ত্রণায় কেউ যেতে চায় না ... তাই ম্যাস লেভেলের ইউজারদের কাছে জনপ্রিয় হতে হলে একটা কীবোর্ডকে অবশ্যই ফোনেটিক বেজড হতে হবে ...
আরএকটা ব্যপার আমরা ভুলে যাচ্ছি যে সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে হান্ড্রেড পার্সেন্ট এফিশিয়েন্সির চেয়ে ইনিশিয়াল কম্ফোর্টটা অনেক বেশি জরুরী ... আমার টাইপিং স্পীড একেবারে খারাপ না হলেও কখনওই প্রফেশনালদের সমান হবে না, কিন্তু সেইটা নিয়ে আমার বিশেষ কোন মাথাব্যথা নাই এবং ভবিষ্যতে হবে বলেও মনে হয় না ... আমার পর্যবেক্ষণ বলে বেশিরভাগ সাধারণ ব্যবহারকারীই এই লাইনে চিন্তা করে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আমার শুরুর দিকটার কথা মনে পড়ল। ২০০৩ সালে এভাবেই মাইক্রোসফটের একটা গ্রুপে প্রথম বিল্ড করা এক্সিকিউটেবলটা পোস্ট করেছিলাম, কিভাবে কিভাবে গন্ধ পেয়ে কাগু ছুটে আসলেন, তারপর সে কী চিল্লাচিল্লি, এই সব বন্ধ হোক... এটা চুরি... মানি না, মানব না...
নতুন গবেষণা সবসময়ই কাম্য। হাজারটা লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন থেকে যদি নিজের জন্য একটা বেছে নেয়া যায়, হাজারটা বাংলা কীবোর্ড লেআউট থেকে একটা কেন নেয়া যাবে না? আমি ব্যক্তিগতভাবে রোকেয়া কীবোর্ড লেআউটকে স্বাগত জানাই।
আপনার দেয়া তথ্যগুলোতে কিছু ভুল আছে। ধরিয়ে না দিলে সেটাই প্রতিষ্ঠিত হবে, তাই লিখছি, এটাকে ব্যক্তিগতভাবে না নিলে খুশি হব।
অভ্র শুধু ট্রান্সলিটারেশন নিয়ে কাজ করে না ভাই। একটু ঘেটে দেখেন, এটাতে ফিক্সড কীবোর্ড লেআউট সাপোর্টও আছে। শুধু তাই না, যে কেউ নিজের ইচ্ছামত ফিক্সড কীবোর্ড লেআউট যাতে বানিয়ে নিতে পারে, তারজন্য লেআউট ডিজাইনারও দেয়া আছে। আপনি চাইলে অভ্রতেই রোকেয়া কীবোর্ড লেআউট বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রভাত অনেক আগেই এই থীম মাথায় রেখে বানানো হয়েছে। এটাও "বাংলিশের মত একটি ফোনেটিক+ফিক্সড লেআউট "।
আমি একটা জিনিস বুঝতে পারলাম না। একবার বলছেন এফিসিয়েন্সীর চিন্তা করে কীবোর্ড লেআউট বানাচ্ছেন, আবার বলছেন সহজে মনে রাখার মত ডিজাইন করছেন। দুইটার মধ্যে তো আকাশ পাতাল তফাত।
এই জায়গাতে কেউ প্রতিবাদ করেনি দেখে অবাক হলাম। পাপ্পানা ভাই কোনদিনই বিজয় কীবোর্ড লেআউটের ডিজাইন করেননি। বিজয় এসেছে ১৯৮৭ সালে, প্রথমে ম্যাকের জন্য, লেআউট মোস্তাফা জব্বারের ডিজাইন করা, প্রোগ্রামার ছিলেন জোশী নামে ভারতীয় একজন। ২০০০ সালের দিকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় কোড নতুন করে লেখার দরকার হয়, তখন পাপ্পানা ভাই কাজটা নেন। তার বানানো বিজয় ২০০০-কেই শুধু খোলস পালটে আরো ৩ বছর বিজয় ২০০৩ নামে চালানো হয়। বিজয় ২০০৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত কাজ আরেকজনের করা (অনুমতি না নিয়ে তার নাম বলতে চাচ্ছি না)।
আপনি যে অ্যালগরিদম দিয়ে লেআউট বিন্যাসের কথা বললেন, মোস্তাফা জব্বারের দাবী অনুযায়ী লেআউটের ডিজাইনার যদি তিনিই হন, আমি বাজি ধরতে বলতে পারি - এই কাজ করার মত টেকনিকাল দক্ষতা তার আজ পর্যন্ত হয়নি। আপনার সিমুলেশনের রেজাল্ট যদি বিজয়ের মত হয়, সেটা হয় কাকতাল, নাহয় অ্যানালাইজ করার মত পর্যাপ্ত ডাটা আপনি ব্যবহার করেননি, নয়তো বিজয়ের লেআউট মোস্তাফা জব্বারের করা না।
ইন্টারেস্টিং!
কোন প্রোগ্রামিং লাঙ্গুয়েজটা বাংলায় লিখতে হয়?
আমি আবার কনফিউসড... আপনিই না বাংলিশ লেআউট বানাতে চাইলেন?
অভ্র ফনেটিকে-
কলম- kolom
কলমীলতা - kol`meelota [কখনোই kolomiilota>কলমিইলতা না]
আরো কিছু পয়েন্ট আছে। কালকে লিখব। ভালো থাকুন।
মেহদী ভাইয়া খুব ভাল লাগছে আপনার কমেন্ট পেয়ে আমি হয়তোবা মেইল করতাম আপনাকে তবে এখানেই কথা বলা শুরু করা যায়। আমার ব্যক্তিগত স্যালুট থাকলো আপনার অভ্রর কাজের জন্যে। ২০১২ আসতে দেন, যখন সবাই টাকা দিয়ে সফটওয়ার কিনতে বাধ্য হওয়ার কারণে ওপেন অফিসে ঝুঁকে পড়বে ও প্রিন্ট মিডিয়াও ইউনিকোডে চলে যাবে তখন দেখবো জব্বার কাগু কই যায়। এই ইডিয়টটার জন্যে বাংলা ভাষা এগুনোর বদলে পিছিয়ে গিয়েছে, অভ্র টিম+একুশে টিম এরা না এগিয়ে আসলে মনে হয়না আজকে কম্পিউটারে বাংলা ভাষা ব্যবহারের যে উৎসাহটা তৈরী হয়েছে তা তৈরী হত।
আপনার কমেন্টে আসা প্রশ্নগুলির জন্যে আমি প্রস্তুত ছিলাম, সুতরাং একটা একটা করে উত্তর দেই:
শুধু প্রভাত নয়, বর্ণ লেআউটটাও এরকম। কিন্তু এরপরেও আলাদা করে আমি যেটা নিয়ে কাজ করছি সেটা হাসিন ভাইয়ার ফোনেটিকটাকে ঠিকঠাক করে ব্যবহার করার জন্যে। শুধু ঠিকঠাক বলা যাবে না, সেটাকে একটা ফিক্সড রূপ দেয়ার জন্যেই আসলে কাজটা করা। প্রভাত ও বর্ণ এদু'টিও খুব চমৎকার লেআউট
জব্বার কাগু'র সাথে মিল থাকাটাকে কাকতালীয় বলা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছি না কারণ আমি আমারটা ও বিজয়ের তুলনা করেছিলাম মূলত টপ ও বটম পজিশনের কি-গুলিকে। খালি চোখেই খেয়াল করে দেখুন অ্যালগরিদমটা যা বলছে তা অনুসারে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত কি-গুলির থাকা উচিত মিডল রো-তে (যাতে টাইপে কম কিস্ট্রোক ও কম সময় লাগে) এবং সবচেয়ে কমগুলির থাকা উচিত সংখ্যা রো-তে। আমার সিমুলেশনে এমনটাই এসেছিলো এবং বিজয়েও এটা আছে: খুব বেশী ব্যবহৃত হসন্ত, ক, আ-কার, উ-কার ইত্যাদি মাঝের সারিতে আবার চন্দ্রবিন্দু, খন্ড-ত এগুলি সংখ্যা রো-তে। তাই ব্যাপারটাকে কি বলা উচিত বুঝছি না। কাকতাল ??
কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বাংলায় লিখতে হয়না কিন্তু ভবিষ্যতে লিখা হতে পারে, তাইনা ??? &,*, $, `,~ এগুলিকে সাপোর্ট দেয়ার কথা এজন্যেই বলা।
এখানে আমি আমার ভুল স্বীকার করে নিতে চাই কারণ আমার কথাটা ভেঙ্গে আরো ডিটেইলসে বলা উচিত ছিল। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম যেই প্রিন্সিপল দিয়ে কলম হয় (l এর পরে o এবং এরপরে m) সেই প্রিন্সিপল দিয়ে কলমীলতা(l এর পরে ` দিতে হচ্ছে) হয়না, যদিও দুটোরই বাহ্যিক গঠন একই।
ভাল থাকবেন ভাইয়া গুড নাইট
@তানিম ভাইয়া, হিমু ভাইয়া, কনফুসিয়াস ভাইয়া, বোহেমিয়ান:
আপনাদের ধন্যবাদ অভ্যর্থনা ও সাজেশন জানানোর জন্যে ডিটেইলস অ্যানালাইসিস নিয়ে পড়াশুনা করছি (মানে এইচ-সি-আই নিয়ে), আশা করি আমাদের ভাষায় এখনো সেভাবে এক্সপ্লোর করা হয়নি এমন ক্ষেত্রটায় কাজ করতে পারবো একটু হলেও।
বাংলা ভাষা নিয়ে যিনি অনেক অনেক কাজ করেছেন তিনি হলেন ব্রাক ভার্সিটির নওশাদ ভাই, উনি এখন আমেরিকার রচেস্টার ভার্সিটিতে প্রফেসর অ্যালেনের আন্ডারে পিএইচডি করছেন ( প্রফেসর অ্যালেন এইচ-সি-আই বা হিউম্যান কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশনে পৃথিবীতে সেরা প্রফেসরদের একজন)। ব্রাক ভার্সিটির সাইটে সেন্টার ফর রিসার্চ অন বাংলা ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং পেজে আগ্রহীরা অনেক হেল্প পাবেন, তাদের প্রকাশিত পেপারগুলির সাহায্য নিয়ে ও নিজেরাও গবেষণা করে নতুন নতুন কাজের সব সফটওয়ার তৈরী করার সূচনা হোক এই আশাই করি।
এই পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে আমি খুবই আগ্রহ বোধ করছি। আপনিও যদি খেয়াল করেন দেখবেন আরো অনেকেই সক্রিয় ভাবে চিন্তা ভাবনা করছে এ বিষয়ে। আমিও করছি। কিন্তু আমি একটু কনফিউজড। হয়তো আরো অনেকেই। আপনি কী ছোট্টো একটা প্যারায় 'আবস্ট্রাক্ট' টাইপের কিছু লিখবেন?
যে যে বিষয়গুলো সেই আবস্ট্রাক্টে থাকবে তা হল, এটা কি লেয়াউট নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে বানানো? নাকি নতুন সফটয়্যার? ফিক্সট লেয়াউট/ ফনেটিক লেয়াউট? 'এফিসেন্সি' এর পরিমাপে কোন বিষয়গুলো প্যারামিটার হিসেবে নিচ্ছেন? দ্রুত শেখা নাকি দ্রুত টাইপ করা নাকি এদের কোনো মিলিত ফাংশন? এছাড়াও অন্য কিছু যদি বলতে চান। তবে অবশ্যই বেশি টেকনিক্যাল ডিটেইল বাদ দিয়ে বাংলায় গোছানো 'abstract' আশা করছি। তাহলে সবার চিন্তায় একটা কোহেরেন্স আসবে।
কারণ নইলে দেখতেই পাচ্ছেন মন্তব্যের ঘরে একেক জন একেক পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে দেখছে পুরো ব্যাপারটা।
দ্রুত একটা রিপ্লাই আশা করছি।
ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আসলে সামহোয়ারইনে ৩টি ব্লগ লিখার পরে, সেখানে অনেক ডিটেইলস কথা বলে আমি এখানে যখন লিখি তখন একদম রুটে যেয়ে লিখিনি আর, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লিখেসিলাম তবে সেটা ঠিক হয়নি মনে হচ্ছে। ব্যাপারনা, লেটার দ্যান নেভার তাই আমি স্পর্শ ভাইয়ের দেয়া পরামর্শমত অ্যাবস্ট্রাক্ট লিখছি:
অ্যাবস্ট্র্যাক্ট:
"রোকেয়া" নামটা দেখে নতুন কিছু ভাববেন না, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মত কোন সফটওয়ারও ভাববেন না। এর লেআউট ফাইনাল না এখনি, এটা তৈরী করার উদ্দেশ্য হল থিওরিটিক্যাল অ্যানালাইসিস করে ও ব্যবহারকারীর আত্মীকরণ করতে সুবিধা কোনটায় সেটা বের করে সেইমত একটা লেআউট ডিজাইন করা। যিনি বিজয়ে অভ্যস্থ তিনি বলেন এটাই সেরা, অভ্র'র মানুষ বলেন ওটাই সেরা, ফোনেটিকের মানুষ বলেন ওটা সেরা। এখন "সেরা" মানে কি সেটা আগে ঠিক করতে হবে, এরপর গবেষণা চালাতে হবে লেআউটগুলি নিয়ে।
একদম ঘড়ি নিয়ে বসতে হবে টাইপিং স্পিড ক্যালকুলেশন করার জন্যে, গুণতে হবে ব্যবহারকারী কয়টা কি প্রেস করলেন (মানে ভুল কিপ্রেসগুলিও হিসেবে ধরতে হবে, এরপর সিমুলেটর সফটওয়ারে সেইমত মিসটেক প্যারামিটার সেট করতে হবে), ব্যবহারকারীদের যে ডাটা সেট দেয়া হবে সেটাকে বায়াসিংমুক্ত রাখতে হবে-সাধারন কথা দিতে হবে একটা টেস্ট কেসে এবং আরেকটা এমন হবে যাতে টাইপ করার সময় ব্যবহারকারীর কোন পূর্ব ধারণা না থাকে কি টাইপ করছেন সেটা নিয়ে (যেমন: বাংলার একজন টাইপ করবেন স্টিফেন হকিংসের কোন থিওরী আর ফিজিক্সের মানুষটি টাইপ করবেন বঙ্কিমের কোন একটি রচনা)
সুতরাং গবেষণাটা এরকম হবে: আমরা কোন কিবোর্ডকে কম্পু সাইন্সের ভাষায় অ্যানালাইজ করার জন্যে কিভাবে দেখি তা ঠিক করে নিব, বিভিন্ন প্যারামিটার সেট করবো যেকোন লেআউটের পারফরমেন্স মাপার জন্যে। এরপর বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন লেআউট দিব, দেখবো কোনটাতে তারা কেমন টাইপ করছেন, কোনটাতে তারা স্বচ্ছন্দ বেশী সেটা আগে দেখবো, এরপর দেখবো সিমুলেশন করে বের করা লেআউটে তারা কেমন করছেন। সবশেষে সিমুলেশনের ডাটার সাথে ব্যবহারকারীর ডাটা মিলিয়ে দেখবো। আমরা দেখবো সিমুলেটেডটার সাথে তারা যেটা পছন্দ করছেন সেটার বিচ্যুতি কত। যদি বিচ্যুতি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় হয় তাহলে তারা যেটা পছন্দ করছেন সেটাই বেছে নিব কারণ ব্যবহারকারীদের জন্যেই তো কিবোর্ড অন্যথায় সিমুলেটেডটায় কিভাবে-কতটা পরিবর্তন করে ব্যবহারকারীদের কাছে গ্রহনযোগ্যটার মত করা যায় সেটা বের করবো।
এরফলে রেজাল্টে যা আসবে সেই লেআউটটাই ঠিক করে নিব রোকেয়া লেআউটে। যেহেতু সেরাটা বের করে আনলাম আমরা সুতরাং আমরা অপারেটিং সিস্টেমগুলিতে এটাকে যোগ করে নেয়ার ব্যবস্থা করবো (ওপেন সোর্স সফটওয়ার হওয়াতে এর একজিকিউটেবল ভার্সন যোগ করাতে কোন সমস্যা থাকবে না নিশ্চয়ই, মাইক্রোসফটে অনেক বাংলাদেশী আছেন এবং উবুন্টুর মত ইউনিক্সগুলি ওপেন সোর্স সুতরাং সবগুলিতেই যোগ করা যাবে আশা করি)। এরফলে পুরো দেশে ছড়িয়ে যাবে সেই লেআউট।
এখানে আমি একা নই, নিজের ভাষার জন্যে কাজ করার মত অনেক অনেক ভলান্টিয়ার পাবো নিশ্চয়ই তাই কাজ করবো সবাই মিলে। আপাতত প্ল্যান হল একটা এইচটিএমএল পেজ বানিয়ে নেয়া ও সেটাকে কোন একটা সাইটে হোস্ট করে ডাটা কালেক্ট করা। একইসাথে ভার্সিটির হলগুলিতে, মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের মানুষকে অনুরোধ করা টেস্ট করার জন্যে, কোন একটা কলেজের স্টুডেন্টদের দিয়ে ডাটা নেয়ার চেষ্টা করবো।
*********
উপরেরটাই কাজের মূল থিম। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে সেই লেআউট বেশী গ্রহনযোগ্যতা পাবে যেটা ফোনেটিক স্টাইলে লিখা হয়, যেটার কি পজিশনগুলি ইংরেজীর সাথে মিলে কারণ যেসব বাঙালী নেটে বাংলা টাইপ করেন তারা ইংরেজীটাও জানেন। কিন্তু এটা করতে যেয়ে ইংরেজী জানেন না এমন কারো যেন টাইপ করতে সমস্যা না হয় সেটাও মাথায় রেখেছি ( ইংরেজী জানেন না যিনি তার কাছে অভ্র-বিজয়-রোকেয়া সবই এক)।
তাই রোকেয়া'তে ইনিশিয়ালি কাজ শুরু করেছি সামহোয়ারইন ফোনেটিকটাকে মাথায় রেখে। আপনারা যারা ফোনেটিকে লিখেন তারা দেখবেন এটাতে ফোনেটিকের বাগগুলি অনেকটাই নেই। এই প্রজেক্ট যদিও কোনই কাজে না আসে, যদি মুখ থুবড়ে পড়ে তবুও যেন নিজের কাছে কোন দায়বদ্ধতা না থাকে। "আমি যেই কিবোর্ডে টাইপ করতাম ওটায় বাগ ছিল তবুও সেটা ঠিক করিনি, ঠিক করার চেষ্টাও করিনি" এটা যেন না হয়।
সিউল আমারে সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন? udvranto এট জি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন