১.
বুধবার দিনটা আমার একরকম ঘোরের মাঝে গেছে ।
ঘুম থেকে উঠে দেখি সচলায়তনে আমার প্রথম লেখা বোকার গল্প ৩.০৫ প্রকাশিত হয়েছে। রাতে লেখাটা জমা দেওয়ার পর থেকেই দুশ্চিন্তা - মোবাইল দিয়ে লিখলাম, জায়গামত পৌছেছে তো?? লেখাটা কি আসমানি সবুজ কালো মডুরা কি পাশ মার্ক দিবেন?? লেখায় অনেক ভুল আর টাইপো থাকে যদি?? সকালে সব চিন্তা দুর হয়ে গেল। লেখাটা নীড়পাতাতে প্রকাশ পেয়েছে, ৬/৭ টা কমেন্ট আর ৩.৫ টা তারা। সিরাত ভাইয়ের অসাধারন সব কল্পবিজ্ঞানের পাশে সচলায়তনের কোন এক কোণায় আমার লেখাও আছে। বাহ্!
সেদিন একটু পরপর সচলে ঢুকেছি কতবার পড়া হল আর নতুন কোন মন্তব্য এসেছে কিনা দেখতে । সারদিন ভেবেছি এর পরে কি লেখা দেওয়া যায়, সেদিন ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন না ধাকলে একটা বোধহয় একটা দিয়েও দিতাম!! ফেসবুকে সব বন্ধুদের সাথে লিংক শেয়ার করেছি আর জোর করে পড়িয়েছি। কয়েকজন আমার উৎসাহ দেখে ব্লগার মহালেখক ইত্যাদি বলে খেপিয়েছে, উপরে উপরে অনেক প্রতিবাদ করলেও আসলে শুনতে তেমন খারাপ লাগেনি!!
সাধে কি আর লোকে আমাকে বোকা বলে??
২.
গুগলে কখনো “mojahid liberation war Bangladesh” লিখে সার্চ দিয়েছেন?? একবার একটু দিন।
জামাতের সেক্রেটারি আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ সম্পর্ক অনেক লিংক দেখবেন।
উইকিতে তার সংক্ষিপ্ত জীবনীর লিংক দেখবেন, তার বরাহপনা নিয়ে অনেক লেখা আপনার চোখের সামনে আসবে, গত কয়েকবছরে তাকে নিয়ে প্রকাশিত অসংখ্য খবর পড়তে পারবেন।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া আধা-সামরিক বাহিনী মোজাহিদ নিয়ে কোন লিংক বোধহয় পাবেন না।
মোজাহিদ বাহিনী কিভাবে গঠিত হয়েছে, কারা এতে ছিলেন, এই বাহিনীর কর্মকান্ড কি ছিল এ নিয়ে কোন লেখা আমি অনেক খুঁজেছি, পাইনি। উইকিতে তাঁদের নিয়ে কোন আর্টিকেল নেই। মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে লেখা আছে, কিন্তু মোজাহিদ বাহিনীর সদস্য বীর বিক্রম শহীদ নুরুল ইসলাম, বীর বিক্রম শহীদ ক্যাপ্টেন তমিজুদ্দীনদের নিয়ে বীরত্বগাথা নিয়ে কিছু নেই। বন্ধু, সহপাঠি, বড় ভাইরা মুজাহিদকে চেনে কিন্তু মোজাহিদদের নাম শুনেনি কখনো। আমার কাছেও মোজাহিদ শব্দটি বরাহপনার সমার্থক হয়ে থাকত যদি জাতী্য় জাদুঘরের বীর বিক্রমদের তালিকার পাশে ছোট্ট ফুটনোটটা চোখে না পড়ত ।
একে কি বলব? Irony??
নহক
গ্রীন রোড, ঢাকা ।
০২.০৪.২০১০
মন্তব্য
►
গুগলে “mojahid liberation war Bangladesh” লিখে সার্চ দিয়ে বিশেষ কিছু পেলাম না। আমার কাছেও মোজাহিদ শব্দটি বরাহপনারই সমার্থক।
►
টাইপোগুলো [ দুর > দূর, অসাধারন > অসাধারণ, সারদিন > সারাদিন, ধাকলে > থাকলে, সহপাঠি > সহপাঠী ]
সম্ভবত মোবাইলে টাইপ করার কারণে। এই লেখাগুলো আপনি মোবাইল থেকে পাঠাচ্ছেন দেখে অবাক হচ্ছি। কম্পুতে লিখছেন না কেন?
►
বোকার গল্প আরো আসুক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মন্তব্য ও টাইপোগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমরা আসল জায়গায় কাজ করার সময় পাইনা। কিন্তু ওরা বসে থাকেনা। তিল তিল করে গড়ে তোলের ওদের মত করে তথ্যভাণ্ডার।
হুমম......।
নহক
- আমিও জানতাম না মোজাহিদ শব্দের আলাদা মানে।
অনুরোধ করবো, যেহেতু আপনি সুযোগ পেয়েছেন, মোজাহিদ সম্পর্কে আমাদের বিশদ জানান। তারপর সুযোগ করে উইকিতেও অনুরূপ একটা ভুক্তি শুরু করে দিন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জাদুঘরে ফুটনোটটা দেখার পর থেকেই আমি চেষ্টা করছি। কয়েক জায়গায় এঁদের নাম এসেছে, কিন্তু বিস্তারিত কিছুই জানতে পারিনি।
সহজ-সরল্ভাবে আপনার এই চিন্তার ভুক্তিগুলো অনেকটা ডায়েরী লেখার মতো, ভাল লাগে!
আমিও 'মোজাহিদ বাহিনী' নিয়ে জানতে আগ্রহী।
গপ্পো চলুক!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
চলবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গঠিত এইসব আধা সামরিক বাহিনীগুলোর সামগ্রিক কার্যক্রমের বিবরন বা এই ধরনের কিছু খুবই প্রয়োজনীয়। এগুলো ছাড়া অনেক কিছুই অসম্পুর্ণ থেকে যায়। রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের অমানবিক কার্যকলাপের প্রতি ঘৃনার সাথে সাথে এঁদের বীরত্বগাঁথাও আমাদের অন্তরে লালিত করতে হবে।
আর আপনি যে Irony'র কথা বললেন এটা সত্যি বলতে কি এতোটা আনইউসুয়াল নাহ। আমাদের স্কাউট ট্রুপ লিডারের নাম ছিলো মুজাহিদ। আমার চেনা 'নিজামী' নাম ধারী এক পরিবারের বাসার পাশে '৭১এ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। তারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে যোদ্ধাদের সাহায্য করেছে। এদিকে আজম নামটি কিন্তু বিলুপ্ত হয়নি, যতই ঘৃনা এবং ধিক্কারের সাথে তা উচ্চারিত হোক না কেন...
এগুলো বিচ্ছিন্ন ব্যাপার। গালি যেই নামে খুশী দেওয়া যায়। ইটস অ্যা ফ্রি কাউন্ট্রি।
আপনার আরো লেখার আশায় থাকলাম।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
নহক
যতটুকু জানি মোজাহেদ (বানানটা এরকমই) বাহিনীটা ছিল স্বাধীনতার আগে বর্তমান আনসার বাহিনীর সমগোত্রীয় একটা বাহিনী
এরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন
অনেকেই শহীদ হন এবং স্বাধীনতার পরে অনেকেই পুলিশ এবং মিলিটারিতে আত্মীকৃত হন
০২
বাংলাদেশের গণপরিষদে ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল উপস্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবে মোজাহেদ বানিহী সম্পর্কে উল্লেখ আছে
সবগুলো সংশোধনীসহ এই প্রস্তাবটি গণপরিষদে পাশ হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলামের কথার ধরন দেখে মনে হয় তিনি বোধ হয় সংশোধনী ও সংযোজনী গ্রন্থনার দায়িত্বে ছিলেন
নতুন মন্তব্য করুন