প্রথম ব্লগর ব্লগর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৩/০৪/২০১০ - ১০:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তৌফিক হাসান

বসন্তকালীন ছুটি প্রায় শেষ। কোথাও যাওয়া হল না এই ছুটিতে। বেশ কিছু কাজ জমে ছিল। ভাবছিলাম এই ছুটিতেই কাজগুলো করে ফেলব। কিন্তু তা আর হল কই! কেমন করে যে ছুটির পাচঁ দিন কেটে গেল টেরই পেলাম না। ভাবছিলাম আজ থেকে সিরিয়াসলি শুরু করব। এটা অবশ্য দুই তিনদিন আগে থেকেই ভাবছি। ছুটির বাকি আর মাত্র তিন দিন। আমার ছুটির সময়গুলা সাধারনত তিনটা ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ যায় এটা ভেবে যে, মাত্র ছুটি শুরু হল, এত তাড়া কিসের, সময়তো আছেই। মাঝেরটা যায় এটা ভেবে যে, অনেক সময় নস্ট করে ফেলেছি, সামনের সময়টা কাজে লাগাতে হবে। শেষের ভাগটা যায়, আবার কবে ছুটি পামু তার ঠিক নাই, এই কয়দিন একটু আরাম কইরা লই, এটা ভেবে। এর মধ্যে শুরু হল প্রচন্ড মাথা ব্যাথা। কামে ফাকি দেওয়ার ভাল অজুহাত। আহ্ আজকে ইচ্ছামত সময় নস্ট করতে পারব, অপরাধবোধটা কম কাজ করবে। পেইনকিলার খেয়ে চুপচাপ সিনেমা দেখতে দেখতে রেস্ট নিতে থাকলাম।

মাথা ব্যাথা যখন ভাল হবার পথে, বিকেলের দিকে, বন্ধু রেজিনের ফোন। খুব ভাল ভায়োলিন বাজায় ও। গল্পের ছলে বলেছিল, ও নাকি প্রতি শুক্রবার এক চার্চে ভায়োলিন বাজায়। আমার খুব ইচ্ছা ছিল একদিন চার্চে গিয়ে প্রার্থনা দেখার। ওকে বলেও ছিলাম আমার এই ইচ্ছার কথা। ফোনে জিজ্ঞেস করল, আজ আমি যেতে পারবা কিনা। নিশ্চিন্তে বলে দিলাম যাব। মাথাব্যাথার জন্য আজকের সময়টা এমনিতেই নস্ট হত। তারচে বরং সময়টা একটু কামে লাগাই।

রেজিন নিজেই আসল আমাকে নিতে। গাড়ি গিয়ে যেখানে থামল, বাইরে থেকে সেটাকে কোনোভাবেই চার্চ বলা যাবে না, কেমন জানি অফিস অফিস ভাব। ভেতরে ঢুকলাম। জায়গাটা অনেকটা অডিটরিয়ামের মত । এক প্রান্তে দেখি কীবোর্ড, ড্রামস সাজানো। গীটার হাতে দুই লোক। কিছুক্ষনের মধ্যেই শুরু হল গান। গীটার হাতে দুইজনের মধ্যে একজন মেইন ভোকাল। ১০/১২ বছর বয়সী একটা মেয়ে বাজাচ্ছে চেলো। যদিও গানগুল যিশু আর ঈশ্বরের বন্দনামূলক, সুর পুরাই পাংকু। তার উপরে সেইরকম সাউন্ড সিস্টেম। গানের কথা যদি কেউ খুব মনোযোগ দিয়ে না শোনে তাহলে মনে হবে কোনো রক ব্যান্ড গান করছে। বাহ্, ভাল তো। খুব বিনদোন পাইতে লাগলাম।

কয়টা গানের পর শুরু হল প্রজেক্টরে “দি প্যাশান অফ দি ক্রাইস্ট” সিনেমার অংশবিশেষ প্রদর্শন। সেই যে, ছবির শেষের দিকে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার মর্মান্তিক দৃশ্যগুলো। এই ছবিটা আমার অনেক পছন্দের একটা ছবি। উপভোগ করতে লাগলাম। মনে মনে ভাবলাম, এরাতো দেখি উপাসনাকে রীতিমত বিনোদনের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বিবির্তনটা ভালই লাগল।

ছবি প্রদর্শনের পরে, সবার হৃদয় যখন আর্দ্র, বাইবেল থেকে আলোচনা শুরু করতে আসলেন গান গাওয়া সেই মেইন ভোকাল। রংচটা নীল জিন্স আর অফ হোয়াইট শার্ট পরা চরম স্মার্ট এই লোকই তাহলে পাদ্রী?(ওরা অবশ্য নিজেদেরকে বলে Pastor) ব্যাপক তো! আমিতো ভাবছিলাম অন্যকিছু যতই পাংকু হউক না কেন, ঈশ্বরের বানী বলার জন্য ঠিকই গলায় ক্রুশ ঝুলিয়ে কালো আলখাল্লা গায়ে এক পাদ্রী আসবে। যা হোক, তিনি বাইবেল থেকে ঈশ্বরের বানী নিয়ে আলচনা শুরু করলেন। বেশ আমিও মুগ্ধ হয়ে শুনতে লাগলাম। ভাল গান গায়, তাই আলোচনাটা অনেকটা আবৃতির মত লাগছিল। কিন্তু, এক পর্যায়ে তিনি বললেন “খ্রিশ্চিয়ানিটি ইজ দি অনলি ওয়ে অফ লিভিং লাইফ, খ্রিশ্চিয়ানিটি ইজ দি বেস্ট রিলিজিওন ফর ম্যানকাইন্ড”। সাথে সাথেই চরম ধাক্কা খেলাম। আইচ্ছা…সব ধর্মগুরুদেরই তাইলে এক কথা, তা সে যতই আধুনিক হোক না কেন!

বি.দ্র.
এই চার্চটা হল সেলিব্রেশান চার্চ অফ নিউ অর্লিন্স http://www.celebrationchurch.org/new। এটা আসলে গতানুগতিকতার একটু বাইরের চার্চ। এটাকে ওরা বলে মাল্টি-কালচারাল চার্চ। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালে। ওদের বেশ কয়েকটে ক্যাম্পাসের একটিতেই গিয়েছিলাম আমি।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

স্বাগতম। চলতে থাকুক ব্লগরব্লগর।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, পিপিদা।
--------------
তৌফিক হাসান

নাশতারান এর ছবি

আড়ষ্টতা কাটিয়ে লিখতে বসেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। সচলে স্বাগতম আপনাকে।

বেশ কিছু বানানের ভুল আর টাইপো আছে কিন্তু! নিঃসন্দেহে অনভ্যস্ততার কারণে।

পাচঁ > পাঁচ, সাধারনত > সাধারণত, নস্ট > নষ্ট, ব্যাথা > ব্যথা, পারবা > পারবো,
অডিটরিয়াম > অডিটোরিয়াম, কিছুক্ষন > কিছুক্ষণ, গানগুল > গানগুলো, যিশু > যীশু, বিনদোন > বিনোদন, বিবির্তন > বিবর্তন, হউক > হোক, বানী > বাণী, আলচনা > আলোচনা, কয়েকটে > কয়েকটা / কয়েকটি

তবে ঘাবড়াবেন না কিছুতেই। হাত খুলে লিখতে থাকুন। লিখতে লিখতেই ঠিক হয়ে যাবে। আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে...এতগুলো বানান ভুল করলাম!
ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। সামনে বানানের প্রতি আরও যত্নবান হব।

তৌফিক হাসান

নাশতারান এর ছবি

আপনার প্রথম লেখা। তাই বানান নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে দোনোমনো করছিলাম। আপনি আশাহত হন নি দেখে আশ্বস্ত হলাম। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

বুনোকে আমার বানান বিষয়ক পরামর্শদাতা বানাতে হবে (এখন তো আর স্কুলে যাবার সময় নাই)।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতিথি লেখক এর ছবি

'যিশু'ই ঠিক, আপনাকে কে বললো শুদ্ধ বানান 'যীশু'? বিদেশি শব্দে হ্রস্ব ই-কারই হয়, দীর্ঘ ঈ-কার নয়।

---মহাস্থবির---

অমি এর ছবি

ভাল লাগলো।
লিখতে থাকুন।
আলহামদুলিল্লাহ!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

----------------
তৌফিক হাসান

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লিখাটা পরে ভাল লাগল।আশা করি ভবিষ্যতে আর লিখা পড়তে পারব।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

------------------
তৌফিক হাসান

তানভীর এর ছবি

নিউ অর্লিন্সে থাকেন নাকি? আমি যাচ্ছি আগামী সপ্তাহে। উপাসনালয় ছাড়া দেখার মতো আর কী কী আছে জানিয়েন। শুনলাম একটা কী ফেস্টিভেল হচ্ছে আগামী সপ্তাহে। সব হোটেল-মোটেল এক মাস আগে থেকে বুকড। আমি অনেক খুঁইজামুইজা একটা পাইলাম, মনে হয় আপনার ঐ চার্চের কাছেই দেঁতো হাসি

সচলে স্বাগতম।

অতিথি লেখক এর ছবি

তানভীর ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

তানভীর ভাই, অনেক ধন্যবাদ।

আমি নিউ অর্লিন্সেই থাকি।সামনের সপ্তাহ থেকে এখানে শুরু হচ্ছে ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার ফেস্টিভাল । এপ্রিলের ২৩ তারিখ শুরু হচ্ছে বিখ্যাত জ্যায-ফেস্ট। তাই এই মাসে এখানে প্রচুর ট্যুরিস্টের সমাগম ঘটবে।

আমার কেন জানি মনে হয়, নিউ অর্লিন্সে খুব বেশি কিছু নাই দেখার মত। সিটি পার্কটা দেখতে পারেন, লেক পঞ্চেট্রেইনটাও অনেক সুন্দর। আডুবান পার্ক আর জু-তেও ঘুরে আসতে পারেন সময় পেলে।তাছাড়া, বেশ কয়েকটা সেমেট্রি আছে, দেখার মত। আর ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার-বার্বান স্ট্রিটতো না কইলেও যাইবেন। দেঁতো হাসি

আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক।

------------------------
তৌফিক হাসান

তানভীর এর ছবি

তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল সময়েই যাচ্ছি তাহলে দেঁতো হাসি

বার্বান স্ট্রিটের কথা তো আগে কেউ কয় নাই রেগে টং । এখন সাথে পরিবার নিয়া আর ঐদিক যাওয়া হচ্ছে না মন খারাপ

শরতশিশির এর ছবি

স্বাগতম।

আপনার মতো আমারও আড়ষ্টতা ছিল, এখনও কিছুটা আছে বিশেষ করে লেখার মানের ব্যাপারে। তবে আপনার মতো আমিও প্রথমে ক'দিন শুধু মন্তব্য করতাম লেখা পছন্দ হলে বা চিন্তার খোরাক যোগালে, যদিও সচল প্রায় দু'বছরের বেশী সময় ধরে পড়ি। সেখান থেকে কয়েকজনের সাথে পরিচয় হলো, উৎসাহ দেওয়া হলো, তারপর এক রাতে লেখে ফেললাম।

বানান আমার নিজেরও ভুল হয়, তাই আমার মতো আপনি এখানে দেখে দেখে ঠিক করে নিতে পারবেন। আর, পেইজের নিচে 'জিজ্ঞাস্য' ট্যাব-এ ক্লিক করে ছবি, ভিডিও, ইমো কিভাবে দিতে হয় - সব খুঁটিনাটি খবর পাবেন।

আমার স্প্রিং ব্রেকও কোন কাজের কাজ না করেই গেলো, জ্বর-টরও হলো - কেন জানি ব্রেক আসলেই আর কিছু করতে ইচ্ছে করে না। অথচ, এখন আমার ডেডলাইনের উপর ডেডলাইন!

আপনি মনে হয় একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন কারও লেখায় যে কে নিউ অরলিয়্যান্সে থাকে কি না (আমার কমেন্টের পরেই ছিল, তাই মনে আছে)। আপনার কাছাকাছি শুভাশীষ আছে, রেনেট আছে। যোগাযোগ করে নিয়েন ফেইসবুকে, তাইলেই হবে।

দুনিয়াটা আসলে ছোট। সচলায়তন সেই ছোট দুনিয়াকেই আরেকটু আপন বানিয়ে দেয় আর কি!

ভাল থাকবেন। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনার এই বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য। সংসদ অভিধানটা বুকমার্ক করে রাখলাম। লিংক দেওয়া, ইমো দেওয়ার ব্যাপারগুলোও শিখলাম। দেঁতো হাসিদেঁতো হাসি

আপনার মত আমারও এই লেখাটা একরাতের। সচলে প্রকাশিত প্রতিটা লেখাই এত ভাল যে লেখারই সাহস হয়নি এর আগে।

রেনেট আর শুভাশীষদা নিউ অর্লিন্সে থাকেন নাকি? খবরটা দেবার জন্য আবারও ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন আপনিও।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

লেখাটা এতদিন চোখে পড়ে নাই। আমি থাকি লাফিয়েতে। ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার ফেস্টিভেলে হয়ত যেতে পারি।

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

লাফিয়েত তো নিউ অর্লিন্সের বেশ কাছে। আমারও ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার ফেস্টিভেলে যাবার খুব ইচ্ছা আছে।কবে যাইবেন আপনি?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সাবাশ।

এইবার ফাটায়ে লেখা শুরু করেন দেখি। হাত-পা খুলে সাইডে রেখে নিয়েন আগে।

হ্যাপি ব্লগিং।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনেগো জ্বালায় আর না লিখে থাকতে পারলাম না। হাবিজাবি কিছু একটা লিখে ফেললাম আর কি। দেঁতো হাসি

উৎসাহ দেওয়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

----------------------------
তৌফিক হাসান

কাকুল কায়েশ এর ছবি

মজা পেলাম চার্চের ভিতরের বর্ননা শুনে। আমারও খুব ইচ্ছা একবার চার্চের ভিতরে গিয়ে ওদের প্রার্থনা দেখার। যাব যাব করেও যাওয়া হচ্ছে না। দেখি এবার সময় করে একবার ঢুঁ মারবই।
যাই হোক, আপনাকে স্বাগতম। লিখতে থাকুন হাত খুলে! হাসি

=========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা চালিয়ে যাবার চেস্টা থাকবে। উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যাবাদ।

"একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!"

লাইন দুটো অসম্ভব ভাল লাগল।

-----------------
তৌফিক হাসান

কাকুল কায়েশ এর ছবি

হাহাহহা, ধন্যবাদ ভাই। এটা অবশ্য চোথা মারা চোখ টিপি

========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

সচলে স্বাগতম।
লেখা ভাল লেগেছে, ঝরঝরে বর্ণনা, সুখপাঠ্য হাসি
চালিয়ে যান কলমবাজি, থামবেন না প্লীজ।

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। লেখা ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগল।

পারভীন সুলতানা মনি এর ছবি

কৌতুহলী মনে আমিও গিয়েছিলাম একদিন "লিভিং ওয়ে" চার্চে কিভাবে ওরা প্রার্থনা করে তা দেখবার জন্য।বন্ধু,তোমার লেখার সাথে আমার অভিজ্ঞতা অনেকটাই মিলে গেছে।পার্থক্য যতটুকু তা হলো গানের সাথে তাল মিলিয়ে নাচও চলছিল।একজন পিয়ানোবাদকও ছিলেন,তিনি আসলে দোভাষী।আমি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন ইন্ডিয়া থেকে একজন অতিথি এসেছিলেন যিনি ইংরেজীতে ঈশ্বরের বাণী শোনাচ্ছিলেন আর দোভাষী তা জাপানীজে অনুবাদ করছিলেন।তোমার মত আমিও বিস্মিত হয়েছিলাম।অভিজ্ঞতার ঝুলিতে আর এক নতুন সংযোজন।

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

প্রিয় বন্ধু মনি, অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আসলেই এটা একটা দারুন অভিজ্ঞতা।জাপানের এমন সব মজার ঘটনাগুলো নিয়ে লিখে ফেল সচলে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার লেখায় জড়তা নেই।
কাজেই লিখতে থাকুন হাত পা খুলে। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। চেস্টা থাকবে লেখা চালিয়ে যাবার।
ভাল থাকবেন।

মুস্তাফিজ এর ছবি

চলুক, চলতে থাকুক

...........................
Every Picture Tells a Story

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, অনেক ধন্যবাদ।
চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ভ্রম এর ছবি

ভালো লাগলো। আরো লিখুন! হাসি

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
ধন্যবাদ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বিবরণ ভালু পেলুম, গপ্পো গপ্পো ভাব আছে, পড়তে কষ্ট হয়না... এরকম ব্লগর ব্লগর চলুক আরও, আপনার সাথে সাথে নাহয় আপনার দিনগুলোর অংশ হয়ে যাই আমরাও... হাসি

হ্যাপি ব্লগিং... হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

আপনার মন্তব্যও ভালু পেলুম। হাসি
উৎসাহ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম।
প্রচণ্ড মাথাব্যাথা হলে ঠিকাছে, কিন্তু 'অসহনীয় মাথাব্যাথা' য্যান না হয়... এই কথা ব্লগে লেখলে কিন্তু বিপদাছে... হুশিয়ার করে গেলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

ভেঙ্গে না বললে নতুন প্রজন্ম বুঝবে কীভাবে, নজু ভাই?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

লইজ্জা লাগে
এইবার পুরা কিলিয়ার।
কানের পাশ দিয়া গুল্লি গেসে। অল্পের জন্য বাইচ্চা গেলাম এইবার।

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

নজু ভাই, ধন্যবাদ।
কিন্তু, 'অসহনীয় মাথাব্যাথার' ব্যপারটা আমার এন্ট্যানার উপ্রে দিয়া গেল। চিন্তিত
একটু যদি খুইলা কইতেন... বড়ই উপকার হইত।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এক পর্যায়ে তিনি বললেন “খ্রিশ্চিয়ানিটি ইজ দি অনলি ওয়ে অফ লিভিং লাইফ, খ্রিশ্চিয়ানিটি ইজ দি বেস্ট রিলিজিওন ফর ম্যানকাইন্ড”। সাথে সাথেই চরম ধাক্কা খেলাম। আইচ্ছা…সব ধর্মগুরুদেরই তাইলে এক কথা, তা সে যতই আধুনিক হোক না কেন!

সব ধর্মেরই এক কথা
যার কারণে ধর্ম কোনোদিন্ও আধুনিক হতে পারে না

০২

আর ধর্মকে আধুনিক বানানো কিংবা ধর্মের মধ্যে আধুনিকতা খোঁজা মূলত আরেক ধরনের ধার্মিকতা ছাড়া কিছুই না

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

লিলেনদা,

ধর্মকে আধুনিক বানানো কিংবা ধর্মের মধ্যে আধুনিকতা খোঁজা মূলত আরেক ধরনের ধার্মিকতা ছাড়া কিছুই না

আসলেই তাই। আপনার বক্তব্যের সাথে আমি একমত। আমি আসলে ব্যাপারটা এই ভাবে ভেবে দেখিনি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে! অনেক ভাল্লাগলো আপনাকে লিখতে দেখে। সচলায়তনে স্বাগতম। মনের আনন্দে লিখতে থাকেন। হাসি

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
চেস্টা থাকবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।