একদিন বিশ্বভ্রমণ/ জহিরুল ইসলাম নাদিম
পৃথিবীর রোমান্টিকতম বাহনের নাম জান?
আবীরের হঠাৎ প্রশ্নে চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকায় বৃতি। এটা আবীরের স্টাইল। কায়দামত আজগুবী প্রশ্ন করে লোকজনকে ভড়কে দিয়ে মজা পায় ও।
মানে?
মানে-টানে কিছু না। জানতে চাইছি হোয়াট ইজ দ্য মোস্ট রোমান্টিক ভেহিকেল ইন দ্য ওয়ার্ল্ড?
বৃতি বুঝতে পারে আপাতত রোমান্টিক বাহনের পোকা বেশ কিছুক্ষণ মাথায় খেলবে আবীরের। ওকে এ নিয়ে বেশি ঘাঁটিয়ে লাভ নেই।
কোন ধরণের বাহন? আকাশ পথের না স্থল পথের?
স্থল পথের অবশ্যই---।
দামী ব্রান্ডের কোনো গাড়ী নিশ্চয়ই--ঐ যে মার্সিডিজ বেঞ্চ না কী বলে!
দূর! ঐ সব গাড়ি-ফাড়িতে তো তেলের গন্ধ। তার চেয়ে অনেক সুন্দর, এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি একটা বাহনের নাম বল।
পারছি না! তুমিই বলে দাও।
মহারাণী সেটা সেই জিনিস যার ওপর আপনি এখন সওয়ার হয়েছেন!
মানে রি-ক-শা !
আবীরের কৌতুককে নিজের বিস্ময়ের দিয়ে গুণ করে বৃতি প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে। ওদের রিকশাঅলা প্রায় ভড়কে গিয়ে পেছনে তাকায়। ওর চোখে মুখে প্রশ্নবাচকতা।
তোমাকে না তোমাকে না, তুমি চালাও- রিকশাঅলাকে আশ্বস্ত করে চাপা হাসিতে ভেঙ্গে পড়ে বৃতি। আবীরের মনে একটা ধাক্কা লাগে। কী যে আছে ঐ হাসিতে!
আজ আকাশের মন মেজাজের ঠিক নেই। এই রোদ্র উঠছে পরক্ষণেই কুকুর-বেড়াল বৃষ্টিতে রাস্তা তলিয়ে যাচ্ছে ছ’ ইঞ্চি পানির নিচে। আজ বৃতিরও কিছু একটা হয়েছে সন্দেহ নেই। হুট করে চিঠি দিয়েছে আজ যেন আবীর নির্দিষ্ট স্থানটিতে অপেক্ষা করে। একটা কাজ ছিল ওর। তবু কোনরকমে ম্যানেজ করে এসেছে। কিন্তু আবহাওয়াটা মেজাজ বিগড়ে দিচ্ছে ওর। কবিরা বৃষ্টির সাথে প্রেমকে যতই পেচিয়ে দিন না কেন আসলে বৃষ্টির অনুসঙ্গ সবসময়ই কাদা। আর এতো যে সে কাদা নয়। কাল থলথলে পঁচা কাদা। একবার অঙ্গে লাগলে মনে হয় সাত দিনও তার রেশ যায় না। এমনি দিনে প্রেয়সীকে নিয়ে পথে বেরুনো? অ্যাবসার্ড!
কই যাইবেন স্যার? রিকশাঅলার প্রশ্নে বাস্তবে ফেরে আবীর। আসলেই তো, কোথায় যাচ্ছে ওরা? আবীরের জানা নেই কারণ বেরুনোর পরিকল্পনাটা ওর পাশে বসা পরীটিরই করা। কিন্তু বৃতি তো কিছু বলেনি।
তুমি যেতে থাকো না। যেখানে নামার সেখানে নামব...।
না আপা, বৃতির কথায় রাজী নয় রিকশাঅলা, এমনে যামু না। আপনারা আমারে ছাইড়া দেন!
যাহ্ শালা! কাবাব মে হাড্ডি। অন্য কেউ সাথে থাকলে রিকশাঅলার সাথে একচোট হত আবীরের। বৃতি সামান্য চোখ গরম করেই নেমে পড়েছে যখন তখন এই রিকশার পাট ফিনিশ।
আচ্ছা আমরা যাচ্ছিটা কোথায়? আবীর আবার প্রশ্ন করে। এবার একটু অধৈর্য হয়ে।
আমি যেখানে নিয়ে যাচ্ছি সেখানে। কেন আপত্তি আছে?
বিন্দুমাত্র নয়, আবীর হেসে বলে, তারপরও গন্তব্যস্থান সম্পর্কে একটা কৌতুহল কাজ করে না?
মিস্টার! বেশি কৌতুহল কিন্তু ক্ষতিকর। সে যাই হোক নরকে তো আর নিয়ে যাব না। বরং তোমাকে যেখানে নিয়ে যাব সেটা স্বর্গেরই খসে পড়া একটি অংশ। আমাদের বিশ্বভ্রমণের ঐটাই একমাত্র বাকি আছে।
বিশ্বভ্রমণ! আবীরের ধাঁধা লাগে। বাপের বয়সে এখন পর্যন্ত কাছের বিদেশ মানে কলকাতায়ও পা পড়েনি ওর। সেখানে বিশ্বভ্রমণ?
কী বলছ এসব, বৃতি?
বুঝলে না তো?
নাহ।
বুঝিয়ে দিচ্ছি। এই তুমি, তোমার ভাবনা, তোমাকে নিয়ে ঘুরতে বেরুনো, বিগবাইটে খাওয়া, মধুমিতায় সিনেমা দেখা এগুলোই তো আমার পৃথিবী। আর পৃথিবী মানেই বিশ্ব । তাই এ সব জায়গায় ঘোরা মানেই হল বিশ্বভ্রমণ। নয়?
আবীর মুগ্ধ হয়ে বৃতিকে অবলোকন করে। কী দারুণ বুদ্ধি মেয়েটার! এমন মিষ্টি, বুদ্ধিমতী মেয়েকে ভাল না বেসে পারা যায়?
এবার অন্য একটা রিকশায় চেপেছে দু’জন। বৃতির নির্দেশনা পেয়ে রিকশাচালক পুরনো ঢাকার বিভিন্ন অলি গলি পেরিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে বেশির ভাগ গলি বা রাস্তার নাম জীবনে প্রথমবার দেখছে আবীর।
আচ্ছা সেই স্বর্গের খসে পড়া অংশ তুমি চিনলে কী করে?
বাফা থেকে এখানে ক’বার এসেছি। স্যারই নিয়ে এসেছেন। আমরা ওখানে ছবি আঁকতাম। বৃতি বুলবুল একাডেমিতে ছবি আকাঁর কোর্স করছে। ওখান থেকে বিভিন্ন স্থানে ল্যান্ডস্কেপ আকঁতে নিয়ে যায় ওরা। জায়গাটা বাফার কাছাকাছিই হবে তাহলে। রিকশাকে বৃতি যেখানে থামাল সেটিকে আহামরি কোনো স্থান বলা যায় না। একটা ঢালু স্থান ক্রমশ: উচুঁ হয়ে উঠে কোনো একটা রাস্তার সাথে মিশেছে। স্থানে স্থানে পানি জমে কাদা হয়ে আছে। ডাস্টবিন, বস্তি, হিজিবিজি দোকান সব আছে।
এটাই তোমার স্বর্গের টুকরো?
বৃতি আবীরের হাত জড়িয়ে সামনে টানে, আগে এসো তো!
অগত্যা আবীর সামনে এগোয়। উঁচু সড়কে উঠে মেজাজ আরো বিগড়ে যায় ওর। একটা নোংরা কাঁচা বাজারের ভেতর ঢুকে গেছে বৃতি। মাছি ভন ভন করছে নোংরা পানিতে। একটু হেঁটে বাজারটা পেরিয়ে এসে পড়া গেল আরেক বিপদে। সামনের রাসত্মায় ব্যারিকেড তৈরী করে আছে এক প্রস্থ কাদা। যার দৈর্ঘ্য বিশ গজের কম হবে না। সাধারণত কাদার মধ্যে সামান্য উঁচু শক্ত স্থান থাকে যাতে কোনো রকমে পা বাঁচিয়ে ঐটুকু জায়গা পেরিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু এখানে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। বৃতি এগিয়ে গিয়েছিল সামনে। হঠাৎ পিছলে গেল ওর পা। হালকা স্যন্ডেল টান সহ্য করতে পারেনি। ওতো আছাড় খেলই সঙ্গে সঙ্গে ওর স্যন্ডেলের ফিতেও ছিঁড়ে গেল। কয়েকজন টোকাই ছেলে কাদার ভেতর হুটোপুট খাচ্ছিল তার বৃতির এই সশব্দ পতনে হৈ হৈ করে উঠল আনন্দে। যারা বয়সী তারা কৌতুকের দৃষ্টি হেনেই চলল যার যার কাজে। আবীর এতক্ষণ ওর জুতো জোড়া বাচিঁয়ে হাঁটার চেষ্টা করছিল। বৃতি পড়তেই ও দৌড়ে ওকে ধরল। কাদায় ওর জুতো এবং প্যান্টের নিচের অংশ একাকার হয়ে গেছে তখন। মেয়েরা এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে কমই। আবীরের রাগ করার কথা এরকম একটা স্থানে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু বৃতির করুণ মুখের দিকে তাকিয়ে সব ভুলে গেল ও। বৃতির চোখে প্রায় পানি এসে গেছে।
সরি আবীর! আমি বুঝতে পারিনি এরকম হবে। বিশ্বাস কর গত শীতে যখন এখানে এসেছিলাম তখন অসম্ভব ভাল লেগেছিল। এই বাধটায় তখন কোনো কাদা ছিল না। ঐ পাশে দিগন্ত বিস্তৃত জলসীমা দেখতে কী যে ভাল লাগছিল। এবার খেয়াল হল আবীরের। এটা আসলে রাস্তা নয়। ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধ। বাঁধের পরের অংশ নিচু বলে সারা বছরই পানি জমে থাকে। পুরো বর্ষায় তো নদীর মত হয়ে ওঠে জলাটা। তখন বাঁধের ঢালে বসে জল হাওয়া খাওয়াটা মন্দ হয় না। কিন্তু শহুরে মেয়ের মাথায় শীত বর্ষার প্রভেদ ধরা পড়বে কী করে! বৃতির কলাপাতর রঙের থ্রী পিস কাদায় একাকার হয়ে গেছে। আবীর খুব কাছে সরে এসে ওকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে রেখে হাঁটছে। কাদার ব্যারিকেড অর্ধেক পেরিয়েছে কি পেরোয়নি অমনি ঝুপ করে বৃষ্টি নেমে গেল। সাধারণ বৃষ্টি নয় একদম ডাউনফল। মাত্র ক’ মুহূর্ত ভিজলেই কম্মো সাবাড়। বৃতি ওর হ্যান্ড ব্যাগ খুলে থ্রি ফোল্ডিং ছাতা বের করে সেটি খুলতেই তীব্র বাতাসে উল্টে গেল ছাতাটা। ধাতব কড়কড়ে শব্দে বোঝা গেল অনেক গুলো শিক ভেঙ্গে গেছে। বৃষ্টি দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। এতই বড় বড় ফোঁটা যে শরীরে আঘাত করছে এবং ব্যথাও টের পাওয়া যাচ্ছে। এভাবে কাদা বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকা কাজের কথা নয়। একটা আশ্রয় দরকার। কিন্তু বিরান বাঁধে আশ্রয় কোথায়? একপাশে জলাভূমি আর অন্য পাশে ডোবা। আবীরের দৃষ্টি গেল প্রায় দু’জ গজ দূরের একটি টিনের চালার দিকে। আপাতত ঐ দিকেই যাওয়া যাক। প্রচন্ড ঝাঁপটায় বৃতির ছাতা উড়ে চলে গেল দূরে। একটা টোকাই ছেলেকে পাঁচ টাকা দিয়ে ছাতাটা ম্যানেজ করল আবীর। ছাতা পুরোই ভেঙ্গে গেছে এখন। শেষে রণেভঙ্গ। সরাসরি বৃষ্টির কাছে নিজেদের সোপর্দ করে ওরা হাটঁতে লাগল সেই চালাটার দিকে। বিব্রত লাগছে খুবই, কষ্টও লাগছে কিছুটা। কিন্তু সেই সাথে অসম্ভব ভালও লাগছে আবীরের। বৃতি ধ্যানমগ্নের মত ওর সাথে লেপ্টে থেকে পা ফেলছে। মাঝে মাঝে মাথা রাখছে আবীরের কাঁধে। আবীর হালকা কিন্তু দৃঢ় ভাবে জড়িয়ে রেখেছে বৃতিকে। বৃতির মুখে এখন কৃত্রিম প্রসাধনের কোনো চিহ্ন বা গন্ধ অবশিষ্ট নেই। কিন্তু ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি মুক্তোর দানার মত সেজে আছে ওর কোমল মুখে। চুল বেয়ে ঝরে পড়ছে বৃষ্টির পানি। আবীর যে সব দৃশ্যকল্প এতকাল কেবল স্বপ্নেই দেখেছে আজ তাকে বাস্তবে উপভোগ করছে। প্রকৃতির উদারতার কাছে মানুষের সংকীর্ণতা এবং কৃত্রিম নিষেধের বেড়াজাল কত তুচছ! বৃতির চোখে চোখ পড়ল আবীরের। একটু আগেও সেখানে কষ্ট, শংকা আর ভয় খেলে যাচ্ছিল এখন সেখানে কেবল আনন্দের ঝিকিমিকি।
তুমিই আমার পৃথিবী বৃতি, মনে মনে সিদ্ধান্তে স্থির হ'ল আবীর ।।
মন্তব্য
- এইটা কি প্রেমের গল্প? কাদার মধ্যে আছাড় খাওয়াতেই হলো বৃতিকে! আর বৃতি, এটা কেমন নাম? খুব আনকমন, কিন্তু মিষ্টি যদিও।
গডস মাস্ট বি ক্রেজি (দুই) দেখে মনে করেছিলাম সবচেয়ে রোমান্টিক বাহন বোধ'য় সাইকেল।
সচলে আপনার প্রথম লেখা? স্বাগতম। লিখুন আরও।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য। জ্বী, সচলায়তনে এটাই আমার প্রথম লেখা।চেষ্টা করব এখন থেকে নিয়মিত এখানে লিখতে।
গল্পটা ভালো লাগলো।
রিকশার চেয়ে ভালো বাহন আসলেই হয়না, আর বর্ষার কাদায় হাঁটাহাঁটি করাও সুখের কাজ নয় মোটেই।
সচলে সচল থাকুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ মর্ম। ইচ্ছে করে তো কেউ আর বর্ষার কাদায় হাঁটাহাটিঁ করে! সবই কপাল....!?
মিষ্টি একটা গল্প...
সচলে স্বাগতম!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
খুব ভালো লিখেছেন, স্বাগতম, সচল থাকুন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম!
ধন্যবাদ আপনাকে।
কঃ
আসলেই খুব মিষ্টি গল্পটা।
আমিও মনে করি রিকশা সবচেয়ে রোমান্টিক বাহন। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে কলাপাতা শাড়ি পরে প্রিয় কারুর সাথে রিকশাভ্রমণ। আহ !
খঃ
রিকশাওয়ালাদের একচাপা তুমি বলে সম্বোধন করায় আমার আপত্তি আছে। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
গঃ
এবার বানান আর টাইপোর কথা বলি।
বানানঃ
ধরণ > ধরন, মার্সিডিজ বেঞ্চ > মার্সিডিজ বেঞ্জ, রাণী > রানী, রোদ্র > রৌদ্র, পেচিয়ে > পেঁচিয়ে,
অনুসঙ্গ > অনুষঙ্গ, পঁচা > পচা, অধৈর্য > অধৈর্য্য, কৌতুহল > কৌতূহল
গাড়ী / গাড়ি দু'টোই হয়। এক লেখায় দু'টোর যে কোন একটা ব্যবহার করবেন। বর্তমানে গাড়ি প্রচলিত।
টাইপোঃ
আকাঁর > আঁকার, উচু > উঁচু, রাসত্মা > রাস্তা, বাচিঁয়ে > বাঁচিয়ে, বাধ > বাঁধ, কলাপাতর > কলাপাতার, রণেভঙ্গ > রণে ভঙ্গ
আবীরের কৌতুককে নিজের বিস্ময়ের (বিস্ময়) দিয়ে গুণ করে।
আবীর মুগ্ধ হয়ে বৃতিকে অবলোকন করে।- এটা গুরুচন্ডালী দোষ।
"আবীর মুগ্ধ হয়ে বৃতিকে দেখে" অথবা "আবীর মুগ্ধ হয়ে বৃতির দিকে চেয়ে থাকে" হবে।
ঘঃ
সমালোচনায় ঘাবড়ে যাবেন না। আপনার লেখার হাত ভালো। বানান নিয়ে সংশয় থাকলে অভিধান দেখে নেবেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কৃতজ্ঞতা! অনেক কিছু শেখা হ'ল। আসলে লেখাটা কম্পোজ করা ছিল বিজয়ে। ইউনিকোডে কনভার্ট করতে গিয়ে অনেক অক্ষর বদলে গেছে। আর মূল লেখায় 'বিস্ময়' দিয়ে গুণ করার কথা ই আছে। টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়ে গেছে। টাইপোর ভুল সে কারণেই। ঠিক স্থানে চন্দ্রবিন্দু দিতে পারছিলাম না! বানানের সমস্যা তো আছেই। আশা করছি এখন আর ভুল হবে না।
সুন্দর গল্প। ভালো লাগলো। সচলে স্বাগতম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
কি লিখবো বুঝে উঠতে পারছিনা।আমি বিশ্বভ্র্ মন পরে বিষ্মীত।ভাষা হারিয়ে গেছে।
নতুন মন্তব্য করুন