আজকে project জমা ছিল,কাল সারারাত ধরে কাজ করসি।সকালে দেখি আম্মু বলে varsity বন্ধ।প্রথম-আলো এবং অন্য সংবাদপএে দেখি এটা নিয়ে কিছুই লেখেনি।বিকালে প্রথম আলো'র online version এ দেখি এটা নিয়ে কিছু লেখা হয়েছে,যেটা আমি এখন quote করছি,
[
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আজ মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের একটি জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গেছে, প্রথম আলো আয়োজিত এসিড-বিরোধী একটি অনুষ্ঠানে ছবি তোলার সময় গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে খুলনায় নিযুক্ত প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক শাহ নেওয়াজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র মারধর করেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শাহ নেওয়াজকে আটকে রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ছাত্রদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা উল্টো ভাঙচুর শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শাহ নেওয়াজকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে এক জরুরি সভায় সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ সকাল ছয়টার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহ নেওয়াজের একটি ফটোস্ট্যাট ও মুঠোফোনের ফ্লেক্সিলোড করার দোকান রয়েছে। মুঠোফোনে ফ্লেক্সিলোড করাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রের সঙ্গে সম্প্রতি শাহ নেওয়াজের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গতকাল তাঁকে মারধর করার ঘটনাটি ঘটে।
] কিন্তু ঘটনা এত সরল ছিলনা,আমাদের এক সিনিয়র ভাইয়া বলছেন,তারব্লগ থেকে এটাও তুলে দিলাম
[
অরাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিশেবে বেশ নামডাক আমাদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখন রাত ১টায় ঘোষণা করা হ'লো কাল ভোর সাড়ে ৬ টার মধ্যে হল ভ্যাকেন্ট। কারণটা খুব বেশি পরিমানে রাজনৈতিক। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকেরা (একটা গালি দেয়া আবশ্যিক) একজন বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা ও প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক নেওয়াজকে (ভদ্রলোকের পুরো নামটা জানাতে পারছি না ব'লে, দুঃখিত!!) রক্ষা ক'রতে ছাত্রদের উপর পুলিশ দিয়ে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছেন। এতে আহত হয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে। ভাবতেই অবাক লাগে, এটা নাকি অরাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয়!!! যদিও এখানে ছাত্র সংসদ না থাকলেও, মহান শিক্ষকদের জন্য রয়েছে অরাজনৈতিক(!!) শিক্ষক সমিতি।
সেই বিশিষ্ট আওয়ামী নেতা, যার বিরুদ্ধে গত ২৬ মার্চ মামলা করা হ'য়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেধাবী ছাত্রকে মারধর করার অপরাধে। যিনি এলাকায় সন্ত্রাসী হিশেবেই পরিচিত। তিনি বেশ বুক ফুলিয়ে নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করার জন্য আজ বিকেলে ক্যাম্পাসে আসেন। ছাত্রদের প্রথম প্রশ্ন ছিলো, ক্যানো তাকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করেনি। আমাদের সেইসব মহান শিক্ষকেরা আগে থেকেই তাকে এসি রুমে বেশ হেফাজতে রেখে চা-নাস্তার সুব্যাবস্থা করেন। ছাত্ররা সংঘবদ্ধ হ'তে শুরু ক'রলেই ফোন ক'রে আনা হয় দাঙ্গা পুলিশ। অরাজনৈতিক ছাত্র হওয়ার সুবাদে খুব সহজেই টিয়ার গ্যাস মেরে কাবু করা সম্ভব আমাদের।
ফলাফল- অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ভ্যাকেন্ট। এই আমাদের অরাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আর মিডিয়া!! কাক, কাকের মাংস খায়না কখনো। তারউপর আবার বিশ্ববিদ্যালয় মাসোহারা।তাই সব প্রিন্ট মিডিয়াই লিখবে ছাত্রদের বিপক্ষে।
কয়েকটি অনৈতিক প্রশ্ন-
১. অরাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিরীহ ছাত্রকে মারধর করা হলো, মামলা হ'লো কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার ক'রলো না ক্যানো?
২. সেই আওয়ামী নেতা ক্যাম্পাসে ঢোকে কোন ব্যাকআপে?
৩. আমাদের শিক্ষকদের কী স্বার্থ একজন আওয়ামী সন্ত্রাসীর জন্য কয়েক শত ছাত্রের উপর টিয়ার গ্যাস মারবার?
৪. মাত্র একজন সন্ত্রাসীর জন্য সাড়ে ৪ হাজার ছাত্রের ভবিষ্যত অনিশ্চিত ক্যানো?]
কাল খেলার মাঠে যারা ক্রিকেট খেলছিল,তাদের উপর কেন টিয়ার শেল ছোড়া হল?আমরা তো রাজনীতিও করিনা,তাহ্লে আমাদের ক্যাম্পাস এ কেন পুলিশ ঢুকবে।পড়াশুনার চাপে এমনি তেই অবস্থা খারাপ,তারপর যখন আমাদের architecture এর শিক্ষক রা বলে জুরি বোর্ডে আমাদের দেখে নিবে তখন আমরা কোথায় যাই?????
দেয়ালে আসলেই পিঠ ঠেকে গিয়েছে.........।।
মন্তব্য
আপনি একাধিক উৎস থেকে বক্তব্য কপি পেস্ট করেছেন। আপনার বক্তব্য কোথায়। ভবিষ্যতে আপনার এধরনের লেখা প্রকাশিত হবে না।
ছাত্র রাজনীতি বন্ধ; কিন্তু শিক্ষক রাজনীতি সচল?
খুলনা ইউনিতে ছাত্র সংসদও নাই?
বাকি মন্তব্য এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার পরে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদার প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে আমিও ইচ্ছুক।
মানসিক চাপ থেকে লিখেছেন বোঝা যাচ্ছে। এটা সম্ভবত সচলায়তনে আপনার প্রথম লেখা। এরপর লিখলে অন্যের কথাগুলো কষ্ট করে টাইপ না করে লিঙ্ক দিয়ে দেবেন, ইংরেজি শব্দগুলো বাংলায় লিখবেন, বানানের দিকে নজর দেবেন আর লেখার শেষে নিজের নিকটি উল্লেখ করে দেবেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নতুন মন্তব্য করুন