[মিঁয়াও এর গল্পগুলো আলাদা আলাদা, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই। তবে পড়তে চাইলেও দোষ নেই কোন, মিঁয়াও খুশীই হবে। চাইলে দেখে নেয়া যেতে পারে পর্ব ১, পর্ব ২ আর পর্ব ৩]
বেশ অনেকক্ষণ হলো মিঁয়াও বেশ আনন্দে আছে। এতোটাই যে দেখলে চট করে যে কেউ বুঝতে পারবে।
উবু হয়ে বসে আছে চার পায়ে ভর করে, অলস ভাব থাকলেও সেকেন্ডে সতর্ক হয়ে যেতে ...[মিঁয়াও এর গল্পগুলো আলাদা আলাদা, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই। তবে পড়তে চাইলেও দোষ নেই কোন, মিঁয়াও খুশীই হবে। চাইলে দেখে নেয়া যেতে পারে পর্ব ১, পর্ব ২ আর পর্ব ৩]
বেশ অনেকক্ষণ হলো মিঁয়াও বেশ আনন্দে আছে। এতোটাই যে দেখলে চট করে যে কেউ বুঝতে পারবে।
উবু হয়ে বসে আছে চার পায়ে ভর করে, অলস ভাব থাকলেও সেকেন্ডে সতর্ক হয়ে যেতে প্রস্তুত, কানদুটো খাড়া, মুখটা নীচু করা, চোখদুটো চক চক করছে, দৃষ্টি একদম সোজা- স্থির, আর ল্যাজটা থেকে থেকে নড়ছে- ডান থেকে বামে, আবার বাম থেকে ডানে, কখনো অতি ধীরে, কখনো হালকা মোচড়ে এর চেয়ে দ্রুত। ল্যাজের নড়াচড়াতেই আসলে ওর আনন্দ আর উত্তেজনা যুগপত্ টের পাওয়া যাচ্ছে।
মিঁয়াও কে আজ শিকারে পেয়েছে। শিকার আপাততঃ ভূপাতিত অবস্থায় উল্টে পরে আছে, নড়াচড়া বন্ধ- মিঁয়াও এর উদ্যমের ভারে এর মধ্যে বেশ ক্লান্ত। "বাছাধন, আর কতো, এবার নড়তো দেখি!", কাছে গিয়ে ওটাকে আলতো করে নড়িয়ে দেবে কিনা বসে বসে সেটাই ভাবছে মিঁয়াও।
একে অবশ্য ও আজ অনেকটা কপালজোরেই পেয়ে গেছে বলা যেতে পারে। চুপচাপ গা এলিয়ে বসে ছিলো কিচেনের দরোজায়, নিতুনের আম্মু কাবার্ডটা খুলে কি জানি বের করছিলো, মিঁয়াও তাকিয়ে ছিলো ওদিকেই- চোখে আশা, মাঝে মাঝে ঐ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসা দারুন সব খাবার কপালে জোটে। বাদাম আর দুধের প্রলেপ দেয়া বিস্কুট জুটেছিলো একবার, ভাবতেই আনচান করে ওঠে মন।
বোধ করি একটু আনমনা হয়েছিলো বা চোখ সরিয়ে নিয়েছিলো মুহূর্তের জন্য, নিতুনের আম্মুর হঠাত্ চিত্কারে সম্বিত ফিরলো, "ইইইইইএএএএহহ্!" মুখে আতংকের ছাপ নিয়ে শাড়ি ঝাড়াঝাড়ি চলছে আর মুখ বাঁকিয়ে "এহেহে" আর "ইশশশ" তো চলছেই।
একটু খুঁজতেই কালপ্রিট মিঁয়াও এর চোখে পড়লো, কোথা থেকে পাগলা হয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে দুটো শুঁড় আর ছয় বিদঘুটে ধারালো পায়ের অধিকারী কিলবিলে খয়েরী রংঙের জীবটা, নিতুনের আম্মুর ঘাড়ের উপর থেকে ঝটপট এদিক ওদিক পালানোর ধান্দা করছে। মিঁয়াও শরীর টানটান করে বসে পড়লো শোয়া থেকে উঠে।
এর মধ্যে নিতুনের আম্মু একটা দুরন্ত সাহসের কাজ করে বসলো, মুখে চরম ঘৃনা আর বিতৃষ্ণা নিয়ে হাতের চেটো দিয়ে ওটাকে ঝেড়ে ফেললো মেঝেতে, চোখ কপাল কুঁচকে হাফ ছেড়ে বললো, "হতচ্ছাড়া! তেলচুরা!!"
হতচ্ছাড়ার কপালে যন্ত্রনা লেখা ছিলো নিশ্চয়ই, মেঝে ছোঁয়ার সাখে সাথেই বেচারা মিঁয়াও এর খপ্পরে পড়লো- ল্যান্ডিং হলো বলতে গেলে দুই থাবার মাঝে, জ্বলজ্বলে চোখদুটো দেখে নিলো নয়া খেলনা, মুখটা নেমে এলো নিচের দিকে। ঠোঁটে সবসময় ঝুলে থাকা হাসির রেখাটুকু বুঝি আরেকটু বিস্তার পেলো- "এসো বাছা! এক দান হয়ে যাক্!"
সেই থেকে চলছে। কিচেন থেকে থাবার জোর ছোঁয়া, কখনো মুখের ধাক্কা, এই করে করে বেডরুম পেরিয়ে মিঁয়াও এখন শিকারসমেত আছে ছোট বারান্দাটায়। শিকার অবশ্য পালানোর চেষ্টা করতে বাকি রাখেনি, শুঁড়ের সহায়তা নিয়ে কোনমতে পিঠ ছেড়ে পায়ের উপর ভর দিতে পারলেই পরিমরি ছুটেছে। দূরে বসা মিঁয়াও অমনি বিপুল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নাকে-মুখে-ল্যাজে-থাবায় খানিক কসরত করে আবার ফেলে রেখেছে উল্টো করে। দুবার দাঁতে আকড়ে মুখেও তুলেছে ওরে তোর এখানেই শেষ ভাব নিয়ে, আবার ছুঁড়ে ফেলেছে মেঝেতে।
এভাবে কোনমতে রেলিং পর্যন্ত পৌঁছতে পারলে আরশোলাটি এই যাত্রায় বেঁচে যায়, কিন্তু পৌঁছা দুরুহ। মিঁয়াও জানে ওটা উল্টে যাবে আবার, পালাবার চেষ্টা করবে। আর মজাটা ওখানেই। একলাফে ও পৌঁছে যাবে কাছে, দুই থাবা আর মুখে খানিক লুফালুফি করবে, আবার উল্টে দেবে আগের মতো। আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে! ওর দৃষ্টি তাই সজাগ, সতর্ক চোখে সোজা তাকিয়ে দেখছে জীবন্ত, আপাততঃ হেদিয়ে পড়া, খেলনা তেলাপোকাটাকে। কত নাম এই এক বস্তুর- তবে এইটা একেবারে খাপেখাপ, মাঝে মাঝে তেল ছাড়ে এ ইবলিশগুলো, মাগো মা, জঘন্য গন্ধ- শুঁকলে আর নাক থেকে যেতে চায়না।
এর মাঝে মিঁয়াওয়ের খাঁড়া কান জানান দিলো কেউ দাঁড়িয়ে পেছনেই, চোখ উঠিয়ে দেখে নিলো একবার- নিতুনের আম্মু, সতর্ক চোখ, হাতে লাল-সাদা লম্বামতো কৌটা। "তুমি এখানে কেনো? যা করছিলে করোগে যাও, ওটাকে আমি দেখছি!" -অস্ফূট শব্দে মিঁয়াও মনের ভাব প্রকাশ করতে চাইলো।
কিসের কি? কি হচ্ছে বোঝার আগেই মিঁয়াওকে পাশ কাটিয়ে নিতুনের আম্মু পৌঁছে গেলো উল্টে থাকা আরশোলাটার কাছে, চটপট কৌটার মুখ খুলে মাথায় চাপ দিলো, সিস্ স্ স্ সাদা ধোঁয়া তেলাপোকাটাকে ঘিরে ফেললো, হাসির রেখা ফুটলো নিতুনের আম্মুর ঠোঁটে," হুহ্! এখন?"
"ধ্যাত্!" -মিয়াঁও এর মেজাজ চট করে খারাপ হয়ে যায়, অমন করে সব মাটি করতে হয়! এ ধোঁয়ার খপ্পড়ে পড়লে ঐ আরশোলা হতভাগারা আর নড়াচড়া করতে পারেনা, ও জানে। একবার শুঁকেও দেখেছে, রীতিমতো খতরনাক গন্ধ বেরোয়।
এসব যখন ভাবছিলো মিঁয়াও,দরোজা পেরিয়ে ফেরার মুখে নিতুনের আম্মু ওকে আলতো করে কোলে তুলে নিলো, গলায় চুলকে দিলো একটু, আবার রওয়ানা হলো কিচেনের দিকে, মিঁয়াও সমেত।
শিকার হারিয়ে খানিকটা মুষড়ে পড়া মিঁয়াও আবারো ডগোমগো হয়ে উঠলো খুশীতে, মন বলছে আজ কুসুম গরম দুধ কপালে না জুটেই যায়না!
বাতাসে ঝুলে থাকা ফুলকো ল্যাজটা সেই আনন্দেই কিনা, ধীরে ধীরে বাতাসে ভাসাতে শুরু করলো মিঁয়াও।
মন্তব্য
মজা লাগল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জেনে ভালো লাগলো
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মিঁয়াও এত্ত ফাজিল!
[পরিমরি > পড়িমরি, পৌঁছতে > পৌঁছাতে, দুরুহ > দুরূহ, খাঁড়া > খাড়া, কিসের কি > কিসের কী ]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মিঁয়াও ফাজিল না হলে কি ভালো লাগতো?
বানান নিয়ে মজার ব্যাপারটা বলি। যেগুলো নিয়ে সন্দেহে থেকে শেষমেষ ব্যবহার করেই ফেলি ওখানেই ধরা পড়ি! এখানে যেমন 'শেষমেষ' এর শেষ ষ নিয়ে সন্দেহে আছি!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
'শেষমেষ' ঠিকাছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনি তো হাচল। অতিথি লেখক হিসেবে লেখা দিলেন কেন?
ঘাপলা কী হয়েছে এর মধ্যে জেনে গেছেন নিশ্চয়ই!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
>আঁকড়ে
>লুফালুফি নাকি লোফালুফি?
দ্বিতীয়টাই তো শুনি..
অতিথি লেখক (!!)
এই সিরিজটা 'মর্ম' লিখতেন না??
কিউট একটা (বেড়াল)
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লোফা হলো লুফা'র চলিত রূপ। সে ওর্থে লুফালুফিও শুদ্ধ।
লেখাটা নিঃসন্দেহে মর্মেরই। কিন্তু তিনি অতিথি হিসেবে কেন লিখলেন, প্রশ্ন সেটাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হুমম... 'লুফা' পেয়েছি অভিধানে, খটকা লাগছিলো খানিকটা-- তাইই..
>সে অর্থে
আরেকটা টাইপো...
>'উল্টে পড়ে আছে' হবে না?
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওইঠা বূল?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সে ওর্থে বূল সবি বূল/
এই নীড়পাতার পোষ্ঠগুলিতে যা লিখা,
সে বূ---ল!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুলের কাহীনি বূলেড় কোফেই লেকথে ইচ্চা কঢ়লো..
বড় বানানাপা আর ছোট বানানাপা দু'জনকেই বলছি,
নিজের ভুলের রকম সকম একটু খেয়াল করে দেখলাম।
ঝামেলা বেশী দেখা যাচ্ছে মান্ধাতা আমলের সেই ণ-ত্ব বিধান আর ষ-ত্ব বিধানে। চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহারে কার্পণ্য যেমন আছে, তেমনি মাঝে মাঝে অতিব্যবহারও হয়ে যায়। ই-কার আর ঈ-কার নিয়ে ঝামেলাও বোধ হয় আধুনিক বানান রীতির সাথে খাপ না খাওয়ানোর ফল।
এছাড়া ভুলের ধরণে কি আর কোন সাদৃশ্য আছে?
অভিধান ছাড়া অন্য ঔষধের প্রতি আগ্রহ জানিয়ে রাখলাম।
অট: 'শব্দকল্পদ্রুম'-এর খবর কী?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
'শব্দকল্পদ্রুম' জোগাড়ের চেষ্টা করিনি এখনো। একটু ব্যস্ত হতে শুরু করেছি।
ণ-ত্ব বিধানের জন্য এ দু'টো পোস্ট দেখুনঃ [১], [২]
ষ-ত্ব বিধানের জন্যও এমন পোস্ট আসবে আশা করি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ণ-ত্ব বিধান ষ-ত্ব বিধান শুধু না, নিপাতনে সিদ্ধ নিয়েও লেখা থাকার দরকার আছে।
মিঁয়াও শিরোনামের লেখায় হয়তো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে, তবু বলি,
বানান ভুল বের করার আমার একটা পুরোনো কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি আছে।
সন্দেহ থাকা শব্দটাকে দুই তিন রকম করে লিখি। যেটাকে 'দেখতে' ভালো লাগে ওটার উপর ভর করি!
এ অভ্যাসের জোরে অনেক ঝঞ্ঝা পার হয়ে যেতে পেরেছি।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
হুমম। 'উল্টে পড়ে আছে' হবে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কি বলিব দুঃখের কথা?!
'অতিথি লেখক' হয়ে 'একাউন্ট' থেকে পুরানো লেখাগুলো খুঁজে বের করার কাজ করছিলাম, পাশাপাশি খোলা ছিলো নিজের একাউন্ট।
ওখানেই ঘাপলা হয়ে গেছে, পুরোনো অভ্যাসের জের ধরে প্রিভিউ দেখেও ভুল চোখে পড়েনি!
টের পেয়ে কাজের মাঝখানে জানালা বন্ধ করেছি, আবার পোস্ট করেছি নতুন করে। পুরোনোটা মোছার আগেই মডারেশন পার হয়ে গেছে হুটহাট!
সবই কপাল!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এটা সুন্দর। তবে মিঁয়াও আরো সুন্দর!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এইমাত্র মাথায় এলো কথাটা। মর্মকে সবাই মূলত মিঁয়াও এর সূত্রে চেনে। (এই যে আজ নাম ধাম ছাড়াই লেখাটা দিলেন, শিরোনামে @মর্ম ও নেই। তবু সবাই বুঝে গেলো এটা মর্মের মিঁয়াও।) আপনি চাইলে আপনার প্রোফাইলে মিঁয়াও একখান ছবি ঝুলিয়ে দিতে পারেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অতি যুক্তিপূর্ণ কথা। তবে কিনা-
ম্যাও!
(মানে হলো 'মাফ করে দ্যাও!' )
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মজা লাগলো পড়ে
এক গোছা ধনেপাতা আপনার জন্যে রইলো, দেখা হলে দেবো'খন!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
বর্ননাটা এত চমৎকার, আমাদের পুরোনো মিয়াঁও এর কথা মনে পড়লো!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লিখতে লিখতে নিজেই মিঁয়াও এর জন্য কাতর হয়ে যাচ্ছি!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ভাল্লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাই, ধন্যবাদ নেবেন নাকি ধইন্যাগুড়া নেবেন নিজেই বলেন!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মিঁয়াও-এর গলায় চুলকে আদর করে দিতে ইচ্ছে করছে
আমি মিঁয়াও-দের কুব ভালু পাই
মুক্ত বিহঙ্গ
শুধু চুলকে দিলে হবে?
কোলেও তুলে নিতে হবেনা?
সবকিছুর একটা নিয়ম আছে ভাই!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমার মিয়াও একটু বয়স হবার পর এসবের দিকে আকৃষ্ঠ হত না। ধরে সামনে দিলেও এমন ভাবে তাকাত যেন এটা কি অখাদ্য দেয়া হল! একটু মশল্লা দিয়ে রান্না করে দিলেও ত হত! ফলাফল - আমার ভাই সেই ভয়ংকর পোকাটাকে নিয়ে আমার পিছনে দৌড়াত, আর আমি বিড়ালের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতে করতে পালাতাম।
ভাইয়েরা অমন একটু আধটু করেই থাকে!
ছোট, বড়, বুড়ো- বাসার কোন বেড়ালই ঐ 'তেলচুরা' দেখলে খেলতে ছাড়েনি আবার চাখতেও বসেনি। মনে হয় বস্তুটা খাদ্য হিসাবে তেমন সুস্বাদু না, চাইনিজ কি কোরিয়ানরা হয়তো বলতে পারবে!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনেকদিন পর আবার মিয়াঁও এর দেখা পাওয়া গেল । মিয়াঁওটার জন্য রইল ওর ছোট্ট গোল মাথা আর তুলতুলে লোমশ পিঠে আলতো হাত-বুলানো আদর।
যদি কখনো দেখা পাই আবার, নিশ্চিত করে পৌঁছে দেবো, কথা দিলাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
হা, হা, হা - সেই, অতিথি লেখকের একটা আলাদা উত্তেজনা থাকে কিন্তু, লেখা প্রকাশিত হবে কী না, সেটা কিন্তু অন্যরকম মজা। তবে এই গুবলেট আমারও হতে পারে সামনে, কাজেই আমি আর দাঁত বের বরং নাইবা করি!
মিঁয়াও-টা এত্ত কিউট! কিন্তু, তেলাপোকা'র গন্ধ-বর্জ্য গায়ে-মুখে লেগেছিলো, এত পরিষ্কার বিল্লির মুখ ধুয়ে দেওয়ানো উচিত ছিল, না? নইলে তো আমি কোলেই নেবো না!
ভাল হয়েছে লেখা। আপনি সেলফোন থেকে পোস্ট করেন কেন, বাসায় পিসি ইউজার কি অনেক?
ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
যাই বলেন ভাবতে ভালোই লাগছে যে আমিই হয়তো প্রথম হাচল যে অতিথি লেখক হয়ে লিখলো! এমন উদাহরন তো আর থাকার কথা না!
মিঁয়াওরা পানি মোটেই ভালবাসেনা, কাজেই ও কাজটা করিয়ে ওদের বিরাগভাজন হতে চাইনি। আর গরম দুধের ব্যবস্থা করে দিলাম তো, গন্ধ চলে যাবে। সে পর্যন্ত মিঁয়াও এর জিহ্বা থেকে দূরে থাকলেই তো হলো!
আমি পোস্ট করি সাইবার থেকে, লিখি মোবাইলে (ইদানীং চোখ ব্যথা শুরু হয়েছে!)। বাসায় পিসির ব্যবহার নিয়ে ঝামেলা নেই, তবে কোন এক আজব কারণে অন্তর্জালে যুক্ত হওয়া যায়না!
অট: 'আপনি'-টা বড় অস্বস্তিকর ঠেকছে, আপু।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এই মিঁয়াও দের জ্ঞাতি ভাই/বোন এর জন্য আমার অনুজের অকৃত্তিম ভালবাসা, আমাকে কখনো কখনো শংকিত করে । আপনার মিঁয়াও পড়ে আমারও ওদের (মিঁয়াও + অনুজ ) কার্যকলাপ ভাল লাগছে । চালুক............
খেয়াল করলে মিঁয়াওদের কার্যকলাপ সত্যিই আনন্দদায়ক।
ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নতুন মন্তব্য করুন