মুক্ত বিহঙ্গ
ছবিঃ পহেলা বৈশাখ [উৎসঃ ইন্টারনেট]
বিছানা থেকে পা দু’টো নামাতেই টেমু পায়ের কাছে এসে লেজ নাড়তে থাকে; অর্থ্যাৎ এবার আদর চায়। টেমুকে কোলে নিয়ে গলার কাছটায় একটু চুলকে দেয় রিফাত। আরামে চোখ বন্ধ করে ফেলে বিড়ালটা। রিফাত বলে, “শুভ নববর্ষ টেমু”! টেমু উত্তরে বলে, “মিঁয়াও…. মিঁয়াও….”।
বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে বারান্দায় দাঁড়ায় রিফাত। তাদের ফ্ল্যাটের এই জায়গাটা তার সবচাইতে পছন্দের। ধানমন্ডি লেকের ঠিক পাশেই বিল্ডিং টা। তাদের ফ্ল্যাটের এই বারান্দা থেকে লেকটা চমৎকার দেখা যায়। সকালবেলা লেকের পাশের গাছগুলোতে পাখির কিচির-মিচির শব্দ শুনলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। এই সময়টাতে তার কেন জানি পাখি হতে ইচ্ছে করে। কী সুন্দর জীবন এই পাখিগুলোর! রিফাতের ইচ্ছে করে পাখিদের মত মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে।
কয়েকদিন হলো রিফাতের মন এমনিতেই বেশ ভালো, কানাডায় তার মাস্টার্সের এডমিশন হয়ে গেছে। এটা তার জীবনের একটা স্বপ্ন ছিলো। তার খুব ইচ্ছা, তুষারের মাঝে হাঁটবে। তার খুব ‘স্নো হোয়াইট’ হবার শখ! সে অধীর আগ্রহে এডমন্টন শহরের তুষারপাত দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। তার অনেকগুলো বিচিত্র শখ আছে, যেই শখগুলোর কথা আর কেউ জানেনা।
টেমুকে কিছু খেতে দিয়ে নিজেও দেখে নেয় ফ্রিজে নাস্তার জন্য কী আছে। এক-পিস ব্রেড টোস্ট করে জেলি মাখিয়ে খেয়ে নেয় আর চা বানিয়ে নিয়ে কাপটা হাতে বারান্দায় আসে। বারন্দায় রাখা ইজি-চেয়ারটায় বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে-দিতে নিজেকে পৃথিবীর অন্যতম সুখী মানুষ মনে হয় রিফাতের।
লেকের শান্ত পানির দিকে তাকিয়ে কত কথা যে মনে আসে! আর কয়েক মাস পর এই সবকিছু ছেড়ে কানাডা চলে যেতে হবে ভেবে কিছুটা খারাপ-ও লাগে। বিশেষ করে টেমুর জন্য। বাবা-মা সবার সাথে তো ফোন বা ইন্টারনেটে কথা হবে, কিন্তু এই টেমুর সাথে কথা বলবে কীভাবে? কানাডা যাওয়া ঠিক হবার পর তার বাবা-মা উঠে পড়ে লেগেছেন রিফাতের বিয়ে দেবার জন্য। যদিও বিয়ের জন্য মানসিকভাবে এখনো প্রস্তুত নয় সে, আগে মাস্টার্স টা শেষ করবার ইচ্ছা।
গত বছরের পহেলা বৈশাখে সে তার ক্লাসের বান্ধবীদের সাথে রমনার বটমূল আর রবীন্দ্র সরোবর-এ গিয়েছিলো। এবার-ও যেতে ইচ্ছে করছে; আবার ভবিষ্যতে কবে যাওয়া হবে ঠিক নেই। কিন্তু কার সাথে যাবে? একা-একা এমন জায়গায় যেতে ইচ্ছে করেনা। ওর সবচাইতে প্রিয় বান্ধবী রিংকির সাথে ঘুরে বেড়াতো বেশিরভাগ সময়। রিংকির বিয়ে হয়েছে গত মাসে। আজ নিশ্চয় ওর জামাই-এর সাথে রমনায় যাবে।
এইসব ভাবতে ভাবতেই নিজের ঘরে আসে রিফাত। আলমারি থেকে সবুজ শাড়িটা বের করে। পহেলা বৈশাখে কেউ সবুজ শাড়ি পড়ে? কিন্তু তার আজ খুব সবুজ শাড়ি পড়তে ইচ্ছে করছে। রিফাতের কাছে সবুজ হল আনন্দের রঙ। যেইদিন তার মন খুব ভালো থাকে, সেইদিন সে এই সবুজ শাড়ি পড়ে।
আবার বারান্দায় আসে রিফাত। আকাশের দিকে তাকিয়ে বেশ আনমনা হয়ে যায় কিছুক্ষণের জন্য। যেই নতুন বছর আজ শুরু হলো, সেটা কেমন হবে তার জন্য? কানাডায় একাকী জীবন কেমন কাটবে তার? মাঝে-মাঝে মনে হয়, একজন পাশে থাকলে হয়তো খুব ভালো হত, যাকে অনায়াসে মনের সকল কথা বলা যায়! যাকে সকালে সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলা যায়, “দেখো, ওই সূর্যটা আজ তোমার জন্য।” দুপুর বেলা ফোন করে বলা যায়, “এই, লাঞ্চ করেছো? চলোনা, আজ একসাথে লাঞ্চ করি।” আর সন্ধ্যায় যার কাঁধে মাথা রেখে পশ্চিম আকাশের লালিমার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকা যায়। নিজেই আপনমনে হাসে রিফাত। এইসব কী চিন্তা করছে সে!
লেকের উপর দিয়ে একঝাঁক পাখি উড়ে যায়। আচ্ছা, এই পাখিগুলোর-ও কি জীবন সাথী আছে? আজকের এই সকালে বড় নিঃসংগ লাগে রিফাতের। মনে হতে থাকে, এমন একজন থাকলে হয়তো মন্দ হত না, যে পাশে থাকলে পহেলা বৈশাখের সুন্দর সকালের মত সারাটা বছর রঙীণ হয়ে উঠতো।
মন্তব্য
আয় হায় রিফাত মেয়ে নাকি?
শাড়ি ধরতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ধরতেই পারিনি!
টেমুর উপস্থিতি নজর কাড়লো।
বৈশাখী শুভেচ্ছা রইলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মর্ম,
'রিফাত' নাম নিয়ে এইরকম আশংকা আমিও করছিলাম লিখবার সময়। আসলে শাড়ির ব্যাপার টা বোধহয় আরো আগেই আনা উচিত ছিলো
হুমম... তবে রিফাতের টেমু আপনার মিঁয়াও এর সাথে পেরে উঠবে বলে মনে হয় না
আপনাকেও বৈশাখী শুভেচ্ছা
মুক্ত বিহঙ্গ
ভাবতে ভালই লাগে লেকের বাতাস ভাবনার জগতেও নিতে পারে।
............ ,
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পড়বার জন্য।
[আপনার নিক/নাম জানা থাকলে সম্বোধন করতে সুবিধা হতো!!]
মুক্ত বিহঙ্গ
জটিল হইছে...
নিঃসঙ্গতাটা আপনি মনে করায়ে দিলেন, কাজটা কি ঠিক হইলো??
পাগল মন
পাগল মন,
আমি দুঃখিত আপনাকে নিঃসঙ্গতার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য!!
লেখাটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ
মুক্ত বিহঙ্গ
আমার ভালো নাম রিফাত
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
- তো আপনে কানাডায় কী করেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"স্নো হোয়াইট" হবার স্বপ্ন দেখি...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
- এর লাইগা কানাডা যাওয়া লাগে? দেশে তিব্বত স্নো'র উৎপাদন নাই?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তিব্বতের কথায় স্নো-হোয়াইটের কথা মনে ভাসে না - ভাসে টিনটিনের নাম
তাইলে খারাপ নাম কি?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
@ধুগোদা: প্রসঙ্গ- তিব্বত স্নো
"ডাইলপুরির মইধ্যে ডাইল নাইক্কা, হুদা আলু"
@রেনেটদা:
'ভালো নাম' মানে পোষাকী/ পোশাকী নাম..
খারাপ নাম খোমাখাতায় দেইখ্যেন!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাবা মাকে বললেই হয়--নামটা খারাপ। উনারা ভালো দেখে আরেকটা নাম রেখে দিবেন
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
তিথীডোর,
"আমার ভালো নাম রিফাত" - আপনার এই কথার উত্তরেঃ
বলেন কী!! আমার গল্পের রিফাতের চিন্তাগুলোর সাথেও কী আপনার চিন্তার মিল আছে নাকি?
মুক্ত বিগঙ্গ
লেখা ভালো লেগেছে...
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ এডমন্টনের তুষারপাতের সৌন্দর্য কয়েকদিন পরে উবে গিয়ে ভয়াবহ হোমসিক লাগতে পারে। ধানমন্ডি লেকের পারে যথাসম্ভব সময়ক্ষেপন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম,
আপনার পরামর্শের কথা রিফাত কে জানিয়ে দিলাম; দেখা যাক এখন সে কী করে!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
মুক্ত বিহঙ্গ
- আমাদের বাড়িতে একজন কাজ করতেন। তবে, সবসময় না। বছরের কোনো একটা সময়ে হঠাৎ তিনি উদয় হতেন কোত্থেকে জানি! সারা বছর খোঁজ নেই, হঠাৎ দেখা গেলো কোনো এক বিকেলে এসে তিনি হাজির পেয়ারা গাছের পাশ দিয়ে। এসেই হাঁকডাক শুরু করে দিতেন নিচু স্বরে।
তাঁর কথা বললাম, কারণ আপনার টেমু'র কথায় তাঁর কথা মনে হলো। তিনি অনেক গল্প বলতেন। বেশিরভাগ সময়েই একা একা। সামনে থাকলে এটা সেটা জিজ্ঞেস করতেন গল্পের চরিত্র নিয়ে। তেমনি একটা চরিত্র ছিলো, "টেমার মা!" একবার গল্প থামিয়ে গুরু গম্ভীর বড় মামাকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, "আপনে টেমার মা'রে চিনেন?"
আপনার গল্পটা শুরুর দিকে মনে হচ্ছিলো কোনো এক বালকের কাহিনী বলছেন। বিড়ালের প্রতি আহ্লাদ দেখে একটু কেমন কেমনও লাগছিলো! পরে অবশ্য ভুল ভাঙছে। পরের গল্পে রিফাতকে পান্তা-ইলিশ-শুটকির ভর্তা খাইয়ে দিয়েন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুসর গোধূলি,
টেমার মা-র গল্প শুনে মজা পেলাম
"আপনার গল্পটা শুরুর দিকে মনে হচ্ছিলো কোনো এক বালকের কাহিনী বলছেন। বিড়ালের প্রতি আহ্লাদ দেখে একটু কেমন কেমনও লাগছিলো! পরে অবশ্য ভুল ভাঙছে।" - যাক বাবা! ভুলটা ভেঙেছে তাহলে
"পরের গল্পে রিফাতকে পান্তা-ইলিশ-শুটকির ভর্তা খাইয়ে দিয়েন" - হাহ হাহ হাহ আচ্ছা! ঠিক আছে!
মুক্ত বিহঙ্গ
আপনার লেখনীর কলেবর পুষ্ট হচ্ছে দিনে দিনে। এবার তার আত্মার পুষ্টির দিকে মনোনিবেশ করুন।
ঃ
অর্থ্যাৎ > অর্থাৎ, নিঃসংগ > নিঃসঙ্গ, রঙীণ > রঙিন
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুনোহাঁস,
"আপনার লেখনীর কলেবর পুষ্ট হচ্ছে দিনে দিনে। এবার তার আত্মার পুষ্টির দিকে মনোনিবেশ করুন।" - যো হুকুম জাঁহাপনা
বানানের জন্য আমি আপনার কাছে কৃ্তজ্ঞ ছিলাম, দিনে-দিনে চিরকৃ্তজ্ঞ বানিয়ে ফেলছেন
মুক্ত বিহঙ্গ
এতোটা বিনয় কি ভালো?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুনোহাঁস,
আমার তো মনে হয়, একজন শিক্ষার্থীর 'মেধা' আর 'আগ্রহে'র পাশাপাশি 'বিনয়' টা থাকাও দরকার। আমার লেখালেখির লাইনে প্রথমটা (মেধা) নেই খুব একটা, দ্বিতীয়টা (আগ্রহ) বাড়ছে ধীরে-ধীরে। তাই এই শেষটাই (বিনয়) সম্বল
মুক্ত বিহঙ্গ
আপনার বিনয় বিমুগ্ধ করিয়া ফালানোর মতো।
শেষটা সম্বল করা ঠিক হবে না। সচলায়তনের একজন অতিথি অতিবিনয়ী হসেবে সর্বজনবিদিত। অতিবিনয়কে সম্বল করেও তিনি বিশেষ কোন শিক্ষা অর্জন করতে পারেন নি। কাজেই বিনয় পরিমিত মাত্রায় রাখুন। পরিমিতিবোধ থাকা জরুরি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুনোহাঁস,
হুমম......
অনেক ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং পরামর্শের জন্য
মুক্ত বিহঙ্গ
টাইপোঃ হসেবে > হিসেবে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অ.ট.
ছবির ক্রেডিট দিলে যার ছবি তিনি খুশী হবেন। অন্যের ছবি আপনি ফ্লিকারে তুলে রাখলেন, ব্যাপারটা কি ঠিক হলো? ছবির মালিকের নাম না জানলে ছবির ইউআরএল দেয়া ভালো।
প্রকৃ্তিপ্রেমিক,
অনেক ধন্যবাদ ছবির ব্যাপার টা পরিস্কার করে বলবার জন্য। ছবিটা আপলোড করবার সময় মনের ভিতর কেমন খচ-খচ করছিলো। অন্যের জিনিস না বলে নেবার সময় যেমন হয় আরকি! ভবিষ্যতে ব্যাপার টা মাথায় থাকবে আশা করি
আমার লেখাটা নিয়ে কিছু বললে কৃ্তজ্ঞ থাকতাম
মুক্ত বিহঙ্গ
ভাইয়া আপনার নাইকারা খালি সবুজ শাড়ি আর কলাপাতা কামিজ পড়ে কেনু? ল্যাব এইডে কাজ করে নাকি?
কথোপকথন-১৫
তরমুজের বাইরেটা সবুজ
ভিতরটা লাল।
আচ্ছা বলতো, কেন মনে পড়ল কথাটা?
পারলে না?
তোমার সবুজ শাড়িটার দিকে তাকিয়ে।
কবিতা কার তো জানেন-ই।
শুভাশীষ দা,
ইয়ে ........ মানে .........
মুক্ত বিহঙ্গ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সাবিহ ওমর,
"ভাইয়া আপনার নাইকারা খালি সবুজ শাড়ি আর কলাপাতা কামিজ পড়ে কেনু?" - আমার জানামতে 'সচলায়তন'-এ আমার কোন 'নাইকা' [আপনার বানান অনুসারে ] এর আগে সবুজ শাড়ি পড়েনি!!
তিনদিন আগে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় ছাপানো আমার একটা অণুগল্পের নায়িকা সবুজ শাড়ি পড়তে চেয়েছিল অবশ্য। আপনি কি "খালি সবুজ শাড়ি আর কলাপাতা কামিজ পড়ে কেনু" বলতে সেই অণুগল্পটাকেই বুঝিয়েছেন??
"কলাপাতা কামিজ"- জিনিসটা কেমুন??? ল্যাব এইডে কখনো যাইনি, তাই জানিনা
মুক্ত বিহঙ্গ
এখানে আসার আগে আমার ধারনা ছিল যেহেতু ইউনিভার্সিটির নাম আলবার্টা সুতরাং শহরটার নাম নিশ্চয় আলবার্টা হবে আর এডমন্টন এডমন্টন এত শুনছি হয়ত প্রভিন্সের নাম মনে হয় এডমন্টন। আমি এতটাই নিশ্চিত ছিলাম যে ট্রাভেল এজেন্সী আমাকে যখন জিজ্ঞেস করে আপনি ক্যালগেরী গেলেইত হবে তখন আমি ভেবেছিলাম ওটা বোধকরি আলবার্টা শহরের আশে পাশেই হবে। যাই হোক পরে অবশ্য এখানে পরিচিত কয়েক জনের সাথে ফোনে কথা বলে আমার বুকিং পরিবর্তন করা হয়।
হর হর করে এত কথা বললাম এই জন্যে যে তোমার কল্পনার রিফাতকে তুমি কল্পনা ছাড়িয়েও অনেক দুরে নিয়ে গিয়েছ। একটু ভেবে দেখতো তুমি কানাডাতে আসার আগে এডমন্টন শহর নিয়ে কি চিন্তা করতে? আমারটা বলি আমার চোখে ভাসত ব্যস্ত একটা শহর , সাঁই সাঁই করে গাড়ি ছুটে চলে যাচ্ছে চারদিকে উঁচু উঁচু ভবন আর তার পাশে ছোট্ট একটা নদী যাতে ছোট্ট একটা সাকো আর যেটি পেরিয়েই আমাদের ক্যম্পাস। নদী আর ক্যাম্পাসের বিষয়টি অবশ্য এসেছিল এক পরিচিত আন্টির বর্ননা থেকে সে এককালে এখানে একটি কনফারেন্সে এসেছিল।
আমার মূল বক্তব্য বোধ হয় তুমি ধরতে পেরেছ, তোমার কিছু কিছু কল্পনা এমন হয় যা আসলে এখানে থেকে তোমার ভাবনা, বাংলাদেশে বসে একটি মেয়ের কল্পনার সাথে তার বিস্তর ফারাক। সবচাইতে ভাল হতো সবুজ শাড়ি পড়িয়ে রিফাতকে বিষন্ন মনে কোথায় নিয়ে গেলে যেখানে সে অনুভব করত বাইরে যেয়ে বাংলাদেশের এই বৈশাখের সকাল সে আর খূঁজে পাবেনা।
--------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচল জাহিদ,
"আমার মূল বক্তব্য বোধ হয় তুমি ধরতে পেরেছ" - আশা করি পেরেছি
"তোমার কিছু কিছু কল্পনা এমন হয় যা আসলে এখানে থেকে তোমার ভাবনা, বাংলাদেশে বসে একটি মেয়ের কল্পনার সাথে তার বিস্তর ফারাক" - ব্যাপার টা তাহলে নিচে বিশদ ব্যাখ্যা করি
আমার কল্পনা অনুসারে, গল্পের রিফাতের পরিচিত/শুভাকাংখী কেউ, যে এক/কয়েক বছর আগে এডমন্টনে এসেছে, রিফাত কে এই এডমন্টন শহর, ইউনিভার্সিটি এবং এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে একটা পরিস্কার ধারণা দিয়েছে। রিফাতকে সে এই শহরের এবং ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছবি পাঠিয়েছে যার প্রেক্ষিতে রিফাত এমন কল্পনা করেছে। এবং বিচিত্র কোন কারণে রিফাতের 'স্নো হোয়াইট' হবার শখ ছিলো, যেটা তুষার ঢাকা প্রকৃ্তি দেখে আরো প্রকট হয়েছে।
আশা করি ব্যাখ্যা করতে পেরেছি
"সবচাইতে ভাল হতো সবুজ শাড়ি পড়িয়ে রিফাতকে বিষন্ন মনে কোথায় নিয়ে গেলে যেখানে সে অনুভব করত বাইরে যেয়ে বাংলাদেশের এই বৈশাখের সকাল সে আর খূঁজে পাবেনা।" - এমন সুন্দর একটা আইডিয়া-র জন্য অনেক ধন্যবাদ। হয়তো এমন একটা গল্প শিঘ্রই আসবে সচলায়তন-এ
মুক্ত বিহঙ্গ
সেক্ষেত্রে গল্পে এর প্রাসংগিকতা নিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল কারন তোমার গল্পের পেছনের এই কল্পনা কিন্তু পাঠক জানেনা, পাঠকের চিন্তার দৌড় কিন্তু তোমার গল্পের বুননকে অবলম্বন করেই। আমি একটু ধারনা দেই এই যেমন ধরঃ
উপরের লাইনগুলি তোমার মত করেই যদি একটু বদলে দেই কেমন হয় দেখঃ
এক্ষেত্রে একটি নতুন চরিত্রের আগমন ঘটেছে তুমি তাকে বাড়াতেও পার আবার এখানে শেষও করে দিতে পারো।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচল জাহিদ,
হুমম..... আমি একমত
এখন মনে হচ্ছে, আসলেই এইরকম একটা চরিত্র নিয়ে আসা দরকার ছিল! অনেক-অনেক ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য এবং পরামর্শের জন্য
মুক্ত বিহঙ্গ
ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ
ইয়ে.... আপনার নিক/নামটা ..... ???
মুক্ত বিহঙ্গ
নতুন মন্তব্য করুন