গতকালকে মোবাইলটা হারালো। কোথা থেকে বলতে পারবো না। বাইরে ছিলাম। বাসায় ফিরে অনেক রাতে দেখি নাই। সিমটা অনেক পুরা্নো। যত পুরানো ভাবতাম তারচেয়ে পুরানো।
বসে বসে চোরের শাপ শাপান্ত করলাম কিছুক্ষণ। তার একটাও যদি বেচারার লেগে থাকে তাহলে তার এখন হাসপাতালে থাকার কথা। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলাম সিমটা বন্ধ করার জন্য। বেটি বলে এককাজ করেন, সিমটা ১০০ টাকা দিয়ে তুলে ফেলেন। মনে মনে ভাবলাম সিম তুললে আর ফোন দিছি কেন? রাখার সময় আবার বলে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!!!
এমনি গায়েব হয়ে থাকি। এখন চাইলেও কেউ যোগাযোগ করতে পারবে না। ভালোই। গায়েব হয়ে যাওয়ার একটা আনন্দ আছে।
মোবাইলে প্রধান কাজ ছিলো গান শোনা। কিছু শুনতে ইচ্ছা করলেই মুঠোফোনে নিয়ে নিতাম। তারপর রাতের বেলা অন্ধকার ঘরে দুইকানে ইয়ারপিস গুঁজে শান্তির একটা ঘুম।
প্রায় একশো ছবি ছিলো। আলসামি করে সরানো হয় নাই। অন্য কেউ বসে বসে সেই ছবি দেখছে ভেবে ঈষৎ মেজাজ খারাপ হচ্ছে।
সময় নষ্ট হয় বলে ফেসবুকে ঢোকা বাদ বেশ কয়েকদিন ধরে। বাদ দিয়ে সারাদিন সচলে বসে থাকি। লাভটা হচ্ছে কি? দেখা যাচ্ছে আমি একটা না একটা বিকল্প বের করে নিচ্ছি। আসল কাজ করা হচ্ছে না। সকালে উঠে রোদ আর গরমের রুদ্র মূর্তি দেখে বের হতে ইচ্ছা করে না।
প্রতিবার ভাবি আর কোনো লেখাটেখা না। লিখতে একদফা সময় নষ্ট। আরেকদফা নষ্ট লেখা পরবর্তী উত্তেজনায়। কে মন্তব্য দিলো, কতবার পঠিত এইসব। লেখা জমা দিয়েই ভাবি আর ঢুকবো না কিছুতেই। ২৪ ঘন্টায় একবার খোঁজ নিয়ে দেখলেই হবে। কিসের কি। টুক করে চেয়ার বদল করে ফেলি কখন নিজেই জানি না। পড়ার টেবিল আর কম্পু আলাদা রুমে থাকা উচিৎ।
মনে হচ্ছে এইসব আবোল তাবোল কাজ অনেক দিন পর্যন্ত করে বেড়াবো। মাঝে মাঝে কি একটু হতাশ লাগে? কেনো? ভালোই তো আছি। সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না, এই চিন্তাটাকে অনেক কষ্টে গলা টিপে ফেরৎ পাঠাই। হয় না আবার কি? চেষ্টা করলে সব হয়।
মেয়ে
মন্তব্য
সমবেদনা।
ট্যাগ দেখে মজা পেলাম।
আসলেই সবাইকে দিয়ে সব হয়না। আমার লেখার মান বাজে,
তারপরও লিখি কারণ লিখে মজা পাই, লেখক বা ব্লগার হওয়ার জন্য লেখিনা।
নহক
সর্বনাশ নহক ! আমি লেখক বা ব্লগার হওয়ার চেষ্টার কথা বলি নাই কিন্তু।
পড়লেন তাই ধন্যবাদ।
সেলফোনে ছবি না রাখাই ভালো!
ট্যাগ পড়ে হেসে ফেললাম..
[আলসামি> আলসেমি]
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এখন সেটাই মনে হচ্ছে
আর ঠাডা , শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।
কে জানি একটা ভোট দিয়ে গেলো কিন্তু মন্তব্য দিলো না
এক তারা নিয়ে মাথা ঘামাতে নেই!
আপনার একটা লেখা বেশ ভাল্লেগেছিলো তো ...(নামটা মনে নেই)
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব সুন্দর করে লিখেছেন। কিছু কিছু জায়গা পড়ে খুব মজা পেলাম, ভাল লাগল
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ধন্যবাদ মুমু। আজকাল সচলে এত কম আসেন কেনো? আগে সবখানে আপনার মন্তব্য থাকতো।
ভালো থাকবেন।
দিনগুলো এভাবেই কেটে যায় আসলে,
ভালো, আরোও লিখুন
-------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
আহ! সেই শুরুর কথা মনে করিয়ে দিলেন! লেখা পোস্ট করে সে কী ভয় আর উত্তেজনা!
তবে ফেসবুকাসক্তি ছাড়াতে সচলে এসে ভালো কাজ করেন নি। সেটা অচিরেই টের পাবেন
ঃ
কিসের কি। > কিসের কী?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দাড়ান দাড়ান প্রশ্ন আছে। কি আর কী ব্যবহার কখন করা হয়? সেই সাথে কিসের এবং কীসের ব্যবহার ও কি আলাদা? জানাবেন। লেখার সময়ই ভাবছি আপনাকে জিজ্ঞেস করবো।
আসক্তির কথা আর বলবেন না। বিপদে আছি (ওঁয়াওঁয়া)
বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখার ঝর-ঝরে ভাবটা
আরো লিখুন
আর আপনার সাথে গলা মিলাই - "চোরের মাথায় ঠাডা"
মুক্ত বিহঙ্গ
নতুন মন্তব্য করুন