আমাদের বন্ধু-বান্ধবীদের মাঝে একটি কথা বেশ প্রচলিত। পড়াশোনার চাপ,প্রজেক্ট সাব্মিশন্,ল্যাব টেস্ট; হায়রে হায় করে মরিয়া হয়ে আমরা বলি “কেউ আমারে এক ছটাক স্যূইসাইড্ দে রে,আমি স্যূইসাইড্ খামু”। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ছয়টি ষন্মাস কাটালাম আমরা এইভাবে স্যূইসাইড খেয়েই। কিন্তু আমরা কেউ মরি নি।মরেছে সে।
সকাল ছয়টায় হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে শুনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক মেয়ে বাথরুমের ঝাঁঝরিতে ওড়না ঝুলিয়ে ফাঁস খেয়েছে আগের রাতে। নাম শুনেই মেয়েটির চেহারা মনে করতে না পারলেও সেই মূহুর্তে কেমন যেন একটা ধাক্কা খেলাম। সবাই তড়িঘড়ি করে হাসপাতালের দিকে ছুটলাম। রিক্সায় বসে বসে স্মৃতির পাতায় হাতড়াচ্ছিলাম এবং শেষে চেনা অচেনা অনেক মুখের ভিড় ঠেলে খুঁজে বের করলাম মেয়েটিকে।
ফেব্রুয়ারী মাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন মুখের আগমন। নতুন ব্যাচে এসেছে কত সুন্দরী পরীরা। তারি মাঝে ছোট্ট এক পরী। মুখে সবসময় হাসি,চোখে সে কি মায়া,ভ্রুর উপর একটা কালো তিল; যেন বলে উঠে “কুনজর লাগিয়ো না কিন্তু”। নতুন ব্যাচের ওরিএন্টেইশন্ প্রোগ্রামে প্রথম দেখেছিলাম সেই পিচ্চিকে গানে আর অভিনয়ে। এরপর হাঁটিহাঁটি পা পা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বয়স বাড়ছিল। শুরুতেই পড়াশোনার চাপ থাকে না তাই বন্ধুবান্ধবের সাথে হরদম ছুটোছুটি করতে দেখতাম। মনে পড়ে একদিন দেখেছিলাম ল্যাব এর সামনে এক গাদা নতুন পোলাপাইনের ভিড়ে কোনো এক বন্ধুকে জিহ্বা দেখিয়ে ভেংচি কাটছিল। আরেকদিন দেখেছিলাম মহাজ্ঞানীর মত নিজের এক সহপাঠীকে জীবনজয়ী উপদেশ দিচ্ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে কী এমন বয়স হল তার! মাত্র দুই মাস তের দিন। “স্যূইসাইড খামু” এই কথা বলার বয়স ও তো তখনও হয়নি তার।তবে কেন?
হাসপাতালের মড়িঘরে নিথর হয়ে পড়ে আছে প্রাণচঞ্চল মেয়েটির মরদেহ। গলায় ওড়না পেঁচানোর কালো দাগ। আজও সে জিহ্বা দেখিয়ে ছিল,তবে কাউকে ভেংচি কাটতে নয়। তার হাসিখুশি কচি মুখটি ফুলে কালচে বর্ণের হয়ে গিয়েছিল। খুব জানতে ইচ্ছে হয়েছিল “কার উপর এত রাগ করে গাল ফুলিয়ে রেখেছিস রে পিচ্চি?”। হাসপাতালের এক কোণায় একটি চেয়ারে বসে ছিল তার বাবা। না,সেখানে বসে বসে তিনি মেয়ের শোকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিলেন না। স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে তিনি আমাদের কাছে জীবনের যোগ-বিয়োগ অংকের হিসেব মিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন, “আমার তো বয়স হয়েছে। আমার তো যেকোনো কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা আছে। আমার মেয়ের তো বয়স কম। সে কষ্ট সহ্য করতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। সে আমাকে একটাবার সমস্যাটা খুলে বলত। আমি না হয় কষ্ট পেয়ে একটু বকা দিতাম। পরে তো কষ্ট সহ্য করে ওর ইচ্ছায় মেনে নিতাম। তাই না? তোমরা কি জানো আমার মেয়ে কিন্তু বেশ বুদ্ধিমতি। অনেক ব্যাপারেই সে আমাকে বেশ ভালো উপদেশ দিত। তবে কেন এটা আলোচনা করল না! ঠিক মেলাতে পারছিনা।”
“স্যূইসাইড”->আত্মহনন।শব্দটি নিয়ে এর আগে কখনো ভাবিনি বোধহয়। কিন্তু আজ এই শব্দটি এত ভয়ঙ্কর ও কষ্টদায়ক মনে হচ্ছে যা বলে বোঝানো বোধহয় সম্ভব নয়।যেই মেয়ের জীবন্ত হাস্যোজ্জ্বল চেহারা আমাকে স্মৃতি হাতড়িয়ে খুঁজে বের করতে হয়েছিল,তার মৃত বিবর্ণ চেহারা আজ আমার মস্তিষ্কে তার শেষ স্মৃতি। নিজেকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে একটাবার কেন মেয়েটি বুঝল না যে তার বাবার শেষ জীবনের হিসেব কষে মিলিয়ে দেয়ার জন্যে হলেও তাকে বাঁচতে হবে। আত্মহননের মত কাজ করে মেয়েটি খুবি খারাপ করেছে।তবুও মেয়েটির আত্মার শান্তি কামনা করি কেননা সে তো অবুঝ শিশু। যদি বুঝত তবে বোধ হয় এমন নির্মমভাবে নিজেকে কষ্ট দিয়ে হত্যা করত না।
মন্তব্য
মনটা খারাপ হল। কেন যে মানুষ এরকম সিদ্ধান্ত নেয় আজো বুঝিনা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভাইয়া সচলে এটি আমার প্রথম পোস্ট যেটি নীড়পাতায় এল। এই মূহুর্তের জন্যে অপেক্ষা করে ছিলাম। কিন্তু তারপরও খুশি হতে পারছিনা। উপরে বর্ণিত ঘটনাটি সত্য ঘটনা। একমূহুর্তের জন্যেও ঘটনাটি মন থেকে সরাতে পারছিনা।
"ভাইয়া সচলে এটি আমার প্রথম পোস্ট যেটি নীড়পাতায় এল"
-আল্লাহ তাই!! অভিনন্দন।
একটা পরিসংখ্যান খেয়াল করবেন - "প্রতি বছর" প্রায় ১ কোটি মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেয় - সংখ্যাটি অনেক বড় শুধু আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারে আত্মহত্যার আমেরিকান কার্ভটি দেখেন:
সচলে স্বাগতম: আপনার নিকটি খুঁজে পেলাম না
মেয়েটির জন্য খুব খারাপ লাগছে।
মিতু
রিফাত জাহান মিতু
হয়তো কখনও হতাশা এতোটাই গ্রাস করে সময়কে যে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মানুষ।
মেয়েটার ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছিলো বোধহয়।
মন খারাপ হয়ে গেল।
--------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ওয়াইল্ড-স্কোপ ভাইয়া নিক বলতে কি আপনি আমার নিক্নেইম্ বুঝিয়েছেন? আমি আসলে এখনো অনেক সাংকেতিক কথা বুঝি না। তাই যদি ভুল হয় তো মাফ্ করবেন। আর যদি ঠিক বুঝে থাকি তবে তাসরিভা কিংবা রিভা বলে সম্বোধন করতে পারেন।
কার্ভটি সরবরাহ করার জন্যে ধন্যবাদ।:)
এই একটা জায়গায় মানুষ বড় অসহায়।
যারা যায় ওরা কিছু বলে যায়না, যারা রয়ে যায় ওরা কিছু জানতে পারেনা।
হতাশার কোন চরম সীমায় পৌঁছুলে মানুষ নিজেকে ধ্বংস করে দেয়ার সিদ্ধান্তটুকু নিতে পারে মাঝে মাঝে তা জানতে ইচ্ছা করে খুব।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
সচলে স্বাগতম তাসরিভা
মন খারাপ হয়ে গেলো!
যে যায় সে তো চলেই যায়... যার যায়, সেই বোঝে অসময়ে এভাবে প্রিয়জন হারিয়ে যাবার হাহাকার কতো তীব্র!!
[ স্যূইসাইড> সুইসাইড্
মুহুর্ত> মুহূর্ত ]
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যে কোন মৃতুই কষ্টের। আত্মহত্যা তার চেয়েও বেশি।
তবে আপনার বন্ধুটি আর যাই হোক "অবুঝ শিশু" নন।
একেকজনের মানসিক গড়ন একেক রকম হয়। সবার কষ্ট বহনের শক্তি সমান হয় না। আপনার বন্ধুবিয়োগে দুঃখপ্রকাশ ছাড়া আর কী করা সম্ভব জানি না। আর কেউ যেনো স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে না নেন সেই কামনা করি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
টাইপো
মৃতুই > মৃত্যুই
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম মজার লেখা ।
সচলে স্বাগতম ।
লিখতে থাকুন
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
তিথীডোর আপু অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখায় বানানের দিকে নজর দেবার জন্যে। কিন্তু আপু আমি "স্যূইসাইড্" বানানটি লিখেছি ই টু বি ডিক্শানারি দেখে। তা সত্ত্বেও যদি বানান রীতিতে ভুল থাকে অনুগ্রহ করে জানাবেন। "মুহূর্ত" বানানটি আমারি ভুল। তাই দোষ স্বীকার করছি। আর "মৃত্যু" বানানটি টাইপিং মিস্টেইক্ তা বুঝতে পারার জন্যেও ধন্যবাদ আপনাকে।
অনুগ্রহ <> ধন্যবাদ:
শব্দগুলো এড়িয়ে চললে খুশি হবো রিভা, আমরা আমরাই তো...
ই টু বি ডিকশন্যারিতে 'সুইসাইড্' পেয়েছি বলেই লেখা, আবার হাতড়াতে বসলাম, আমার ভুল হলে অবশ্যই জানিয়ে যাবো!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বুঁনো আপু,যেই পিচ্চির কথা আমি উপরে বলেছি সে গত বছর এইচ এস সি পাস করে মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জীবন শুরু করেছিল। হয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো কিছুদিন কাটাতে পারলে তার মানসিকতা আরো পরিপক্ক হওয়ার সুযোগ পেত। সে হয়ত বুঝত এই জন্যেই বাবা-মারা আমাদের শিক্ষা অর্জনের জন্যে এমনকি নিজেদের থেকেও দূরে পাঠিয়ে দেন। সবে তো বাইরের জগৎ দেখার জন্যে ঘরের বাইরে পা বাড়িয়েছিল সে। কিন্তু জগৎটাকে উপলব্ধি করার আগেই সে একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বলেই তাকে আমি "অবুঝ শিশু" বলেছি। তবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিও ভুল নয়। আসলে কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেগুলোর পেছনে কারণ বা যুক্তি দাঁড় করানো খুবি কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
স্বাগতম। লিখতে থাকুন আরো।
অফটপিকঃ বুনো, তুমি তো আরো বন্য হয়ে বুঁনো হয়ে গেলা ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ছয়টি ষন্মাস কাটালাম...
স্মৃতির পাতায় হাতড়াচ্ছিলাম...
নতুন ব্যাচে এসেছে কত সুন্দরী পরীরা।
আজও সে জিহ্বা দেখিয়ে ছিল,তবে কাউকে ভেংচি কাটতে নয়।
আরো আছে। কয়েকটা লাইন দেখালাম। এসব দেখে বোঝা যাচ্ছে ব্লগার দলছুটের ভাষারীতি (সাথে সাথে বিনয়) নতুন ব্লগারদের আকৃষ্ট করছে। ক্যাম্নে কী।
ঐ যে ছোট্ট লেজটা বারে বারে নড়েচড়ে বেরিয়ে পড়ে ... কেউ বুঝতে চায় না । ভাবে, মুখে মুখোশ লাগালেই বুঝি কাজ শেষ।
ধন্যি ছেলের অধ্যবসায়।
আমারো তো শুরু থেকে তাই মনে হচ্ছিলো। তবে এইবার অনেকটাই পাল্টাইসে মনে হয়...
_________________________________________
সেরিওজা
আমার কেন মনে হলো না?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খালি এইটা পইড়েই তো বুঝবার কথা...
_________________________________________
সেরিওজা
কী জানি? লেজ লুকিয়ে এলেও গন্ধ লুকানো যায় না। আমার বোধ হয় সর্দি!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আরে কঠিন ব্যাপার তো!!
এঁর থেকে আমাদের কিছু শেখার আছে।
শুভাশীষ দা একটু চিন্তায় পড়লাম আপনার মন্তব্যে। আসলে আমার লেখা কারো দ্বারা প্রভাবিত কিনা এ ব্যাপারে আমি এখনও কিছু বলতে পারছিনা। কেননা আমার নিজের কাছেই ব্যাপারটি এখনও স্বচ্ছ নয়। তবে আমার যেকোনো লেখা আমি যতবারই পড়ি আমার ততবারই ইচ্ছে করে কোনো না কোনো সংশোধন ঘটায় তাতে। উপরের লেখাটির ক্ষেত্রেও সেই রকমি কিছু ইচ্ছে করেছে অনেকবার। এ বিষয়ে আমার বেশ কাছের একজন আমাকে বলেছিলেন, "এইভাবেই ভুল এবং সংশোধনের মাধ্যমে শিখবে,আর একদিন ঠিক হয়ে যাবে "। দাদা আমি সবে শুরু করলাম। হোঁচট অনেক খাব এও জানি। তবে আপনারা এইভাবে সংশোধনী বার্তা দিলে হয়ত কোনো একদিন ভাল লিখতেও পারব।
বোকা বনেছি সেই দুঃখে কোবতে লিখি...
# "হায় সখা, এতো নবাগতা নয়/
মন্তব্যের ধরনেই পুরাতনের পরিচয়!"
# "হে আনাড়ি, তুমি যুগে যুগে নিক বদলেছো বারবার..."
# "আর কতোকাল ভাসতে হবে দলছুট বন্যায়?
আর কতোকাল দেখতে হবে বিনয়ী এ উচ্চারণ??"
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বুনো আপু আপনার নাম ভুল করলাম তো !!
নতুন মন্তব্য করুন