পয়লা বৈশাখে মূর্ছে যাওয়া ফুল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৪/২০১০ - ২:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[তাসরিভা]

পয়লা বৈশাখে বাঙ্গালি কন্যাদের সে কী আয়োজন। রকমারি শাড়ি,রঙবেরঙয়ের চুড়ি,গয়না,আলতা,কপালের টিপ সহ কত বাহারি রূপে সাজে কন্যারা। আর হ্যাঁ, সাজুগুজুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, মাথায় কিন্তু তরতাজা সতেজ ফুল থাকতেই হবে। এ না হলে আর সাজ কী!

সকালে ঘুম থেকে উঠেই হুড়োহুড়ি পড়ে গেল আমাদের হলের সব কন্যাদের। সাজুগুজু নিয়ে তাদের বিশাল ব্যস্ততা। শুরুতে আমার অবশ্য তেমন কোনো ব্যস্ততা ছিল না। নীরব দর্শকের মত দেখছিলাম সবকিছু। আসলে আমার মনটা খুব একটা ভালো ছিল না। তাই আগের রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই পয়লা বৈশাখ নিজের নীরবতার তরে উৎসর্গ করব। কিন্তু হল না! কিছুক্ষণের মধ্যেই এই নীরব দর্শকের নীরবতায় বিঘ্ন ঘটাতে অস্ত্র হাতে হাজির হল কিছুসংখ্যক কন্যারা। সেই মুহূর্তে তাদের হাতে সাজুগুজুর সরঞ্জামগুলো অস্ত্রই মনে হয়েছিল। কন্যাদের আবদার তাদের শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে দিতে হবে। আমার আবার “না” বলতে না পারার বাতিক আছে। তাই মন খারাপ থাকা সত্ত্বেও খুলে বসলাম “রিভা বিউটি পার্লার”। শাড়ি পড়ালাম, চোখ সাজালাম,আলতা পড়ালাম আরও কত কী করলাম। তবে সাজুগুজু করাতে গিয়ে বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম যে কাজে তা হল কন্যাদের মাথায় সতেজ ফুল লাগানো। বাকি সাজ শেষে যখন তাদের মাথায় ফুল লাগালাম মনে হল সতেজ ফুলগুলোর ছোঁয়ায় তারাও যেন সতেজ হয়ে গেল। তৈরি হয়ে যখন কন্যারা রওনা হল বৈশাখী মেলার উদ্দেশ্যে তখন আমিও বিউটি পার্লারে ক্লোজ্‌ড্‌ সাইনবোর্ড লাগিয়ে একটা লম্বা ঘুমের পাইতারা করলাম।

শেষ বিকেলে রুমের বাইরে বারান্দায় কন্যাদের কলকলানি শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল। বোধ হয় কিছু ঘটেছে। চোখ কচলিয়ে বারান্দায় বেরিয়ে আসলে দেখি এক কন্যা চেয়ারে বসে হাতে মুখ গুঁজে কাঁদছে। আর তার চারপাশ ঘিরে কিছু কন্যা তাকে সান্তনা দিচ্ছে,আর কিছু কন্যা গালমন্দ করছে। কন্যাদের কলকলানি থেকে ঘটনা ঠাউর করার চেষ্টা করলাম। বৈশাখী মেলায় অসংখ্য মানুষের ভিড়ে এক স্বর-অ ভদ্রলোক তার সাথে আপত্তিকর আচরণ করেছে। ভিড়ের ভেতর তার গা ঘেঁষে চলে আপত্তিকরভাবে হস্ত সঞ্চালন করেছে। এই কুরুচিপূর্ণ কাজে প্রতিবাদ করলে ঐ ব্যক্তি উল্টো তুইতোকারি করে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। চারিদিকে লোকজন জড়ো হয়ে যাওয়ার পর মেয়েটিকে বলা হয় “মেয়েমানুষ,আপনি চলে যান,আমরা দেখে নিব ব্যাপারটা”। বৈশাখী মেলায় সকলে মিলে ব্যাপারটি কীভাবে দেখে নিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তবে ঐ মুহূর্তে আমার চোখের সামনে আমি যেই ব্যাপারটি দেখেছি তা হচ্ছে একটি মেয়ে নিজের মেয়ে হওয়ার জন্যে নিজেকে দোষারোপ করে কাঁদছে। অন্যদের মত আমিও এগিয়ে গেলাম তাকে সান্তনা দিতে। কিন্তু সান্তনা দেয়ার উদ্দেশ্যে তার মাথায় হাত বুলাতেই দেখি তার খোপায় সকালে লাগিয়ে দেয়া সতেজ ফুলগুলো দিন শেষে মূর্ছে গেছে। সান্তনার একটি বুলিও উচ্চারণ করতে পারলাম না আমি। বরং একগাদা প্রশ্নের মুখোমুখি হলাম। কেবল সান্তনা দিয়েই কি মূর্ছে যাওয়া ফুলটিকে সতেজ করা সম্ভব? কেবল গালমন্দ করেই কি সমস্যার সুরাহা হয়ে গেল? সমাজের ঐসব কুরুচিপূর্ণ অসুস্থ ব্যক্তিদের রুচির বদলে বুঝি কিছুই করার নেই? এভাবে আর কতদিন?

tasrivasikandar@gmail.com


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

১) রিভা, এটা আপনার "দ্বিতীয়" লেখা... তাই না? চিন্তিত

২)
[ মূর্ছা> মূর্চ্ছা
পাইতারা> পাঁয়তারা
সান্তনা> সান্ত্বনা,
শাড়ি/ আলতা পড়ানো যায় না: পড়ালাম> পরালাম]

৩)
"স্বাধীন"ভাবে লিখতেই থাকুন.. চোখ টিপি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নাশতারান এর ছবি

আনাড়ি লেখক মনে হচ্ছে আপনাকে। Smiley

ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যেতে শুনেছি, ফুলও যে মূর্ছা যায় এই প্রথম শুনলাম।

আপনি বোধহয় হিন্দি মুভি, সিরিয়াল দেখেন অনেক। হিন্দিতে আবার "ফুল মুর্ঝে" যায়। "মুর্ঝা" আর "মূর্ছা" গুলিয়ে পাকিয়ে গেছে সম্ভবত।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বুনো,
আপত্তিকর লাগল কথাটা। একজন ব্লগার যতই নবীন হোক মুখের উপর আনাড়ী বলাটা বোধহয় ঠিক না।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নাশতারান এর ছবি

ভাইয়া, এই আনাড়ি সেই আনাড়ি না।

আমি আবারো নিজের মন্তব্যটা পড়ে দেখলাম। ভাষাগত ঔদ্ধত্যের জন্য দুঃখিত। বিরক্তির কারণটা নিচে মেয়ের মন্তব্যের উত্তরে দিয়েছি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাফি এর ছবি

হ। আনাড়ি লেখকের দুই পাশে দুইটা ইনভার্টেড কমা হইবেক মনে হয়

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আচ্ছা "আনাড়ি লেখক" নিকে লিখতেন! ভুল বোঝার জন্য দুঃখিত।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মেয়ে [অতিথি] এর ছবি

মুর্ঝা আবার কি জিনিস?!! মানে কি বুনো?

মূর্ছে যাওয়া কথাটা কানে লাগলো, কিন্তু ভুল ঘোষণা দেয়ার মত জ্ঞান নাই। মূর্ছিত ফুল বোধহয় ভালো শোনায়।

ফুলগুলো দিন শেষে মূর্ছে গেছে

দিন শেষে মূর্ছা গেছে হবে কি? অথবা দিনের শেষে মূর্ছিত।

http://dsal.uchicago.edu/cgi-bin/romadict.pl?query=%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A6%BE&table=biswas-bangala

মুরছা, মুরছা (p. 712) [ murachā, murachā ] বি. মূর্ছা -র কোমল রূপ। ☐ ক্রি. (কাব্যে) মূর্ছিত হওয়া, মূর্ছা যাওয়া। মুরছিত বিণ. (কাব্যে) মূর্ছিত।

মূর্ছা (p. 712) [ mūrchā ] বি. 1 চৈতন্যলোপ; 2 মোহপ্রাপ্তি; 3 প্রতিফলন।☐ ক্রি. (কাব্যে) মূর্ছিত হওয়া।[সং. √ মূর্ছ্ + অ + আ]। ̃ .ভঙ্গ বি. মোহপ্রাপ্ত বা অচৈতন্য অবস্হার অবসান, অচেতন অবস্হা থেকে পুনরায় চেতনালাভ। মূর্ছা যাওয়া ক্রি. বি. অচেতন বা অজ্ঞান হওয়া। মূর্ছিত বিণ. 1 মোদগ্রস্ত; 2 অচেতন, জ্ঞানহারা; 3 প্রতিফলিত। স্ত্রী. মূর্ছিতা

তিথী, মূর্চ্ছা?!!! চিন্তিত

অ্যাঁ আমার কি হইছে? রাত তিনটায় কি করতেছি? যাই ঘুমাইগা

নাশতারান এর ছবি

বাংলা বানানটা মূর্ছা। একসময় হিন্দি সিনেমা দেখতাম। "মুর্ঝি হুয়ি ফুল" শব্দটা মাথায় ঘুরছে। হিন্দি ভাষার প্রকোপ এতো বেড়েছে যে ইদানীং অনেককেই দেখি বাংলা হিন্দি গুলিয়ে ফেলতে।
যেমনঃ "আমার সময় বিতে না" (আমি নিজে শুনেছি)। পোস্টের শিরোনাম দেখে ঐ ব্যাপারটাই আঁচ করেছি আমি। আমার অনুমান ভুল হলেই আমি খুশি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মেয়ে [অতিথি] এর ছবি

বুনো আমি অবশ্য আপনার মন্তব্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাইনি।
আমার মন্তব্য ছিলো শুধুমাত্র নতুন শব্দটা নিয়ে। আগে শুনি নাই।

নাশতারান এর ছবি

আপনি আগে শোনেন নি জেনে খুশি হলাম।

অফটপিকঃ আপনি তো নিবন্ধিত অতিথি। অফলাইনে মন্তব্য করছেন কেন?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মেয়ে [অতিথি] এর ছবি

আপনার অফটপিক মন্তব্যের ব্যাখ্যা দাবী করছি।

নাশতারান এর ছবি

আপনার মন্তব্যে দেখছি মেয়ে [অতিথি] (যাচাই করা হয়নি)। অফলাইনে মন্তব্য করলে (guest_writer নামে লগ ইন না করে মেয়ে নামে করলে) নামের পাশে বন্ধনীতে "যাচাই করা হয়নি" লেখা থাকে।

যতদূর মনে পড়ে, "মেয়ে" নিকে অতিথি হিসেবে কিছু লেখা আমি সচলের পাতায় পড়েছি। যেমন এটি। এই পোস্টের লেখক যদি আপনি হয়ে থাকেন তার অর্থ আপনি অতিথি হিসেবে নিবন্ধিত। সেক্ষেত্রে আপনাকে guest_writer নামে এবং guestwriter পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে মন্তব্য করতে হবে এবং মন্তব্যের শেষে আপনার নিক (মেয়ে) লিখে দিতে হবে যাতে অন্যরা আপনাকে চিনতে পারে। যতদিন অতিথি সচল না হচ্ছেন ততদিন মন্তব্য বা পোস্টের শেষে নিজের নিক উল্লেখ করার এই বাড়তি হ্যাপাটুকু পোহাতে হবে।

তবে ঐ পোস্ট যদি আপনার না হয়ে থাকে তবে আপনার উচিত অন্য নিকে মন্তব্য করা।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাফি এর ছবি

আমারতো মনে হয় মন্তব্যে নিক হিসেবে মেয়ে (অতিথি লেখক না) ব্যবহার করাই সুবিধে বেশী। এ ব্যাপারে এখানেও তেমন কোন নির্দেশনা দেখলামনা। অতিথি হিসেবে পোস্ট করতে চাইলে অবশ্য অতিথি একাউন্ট দিয়ে করতে হবে, কিন্তু মন্তব্যে অতিথি একাউন্ট ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা আছে বলে মনে হয়না। মডুরাই ভাল বলতে পারবেন।

নাশতারান এর ছবি

বাধ্যবাধকতা নেই সম্ভবত। কিন্তু অযাচাইকৃত মন্তব্যগুলো হিসেবের খাতায় জমা হয় কীনা জানিনা। যদি না হয় তবে হাচলত্বপ্রাপ্তি বিলম্বিত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। কারণ পোস্টের পাশাপাশি মিথস্ক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমার ধারনা। মডুরা প্রকৃত ব্যাপারটা বলতে পারবেন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মেয়ে [অতিথি] এর ছবি

আমার সব মন্তব্য বৃথা গেলো নাকি? মন খারাপ

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

"কীনা" কোনো অভিধানে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। অভিধানে না থাকলেই তা লেখা যাবে না, তা অবশ্য বলছি না। তবে লিখলে তা যুক্তিযুক্ত হতে হবে। আলোচ্য শব্দে "কী" (what) ব্যবহারের ভিত্তি দেখছি না একেবারেই। যদ্দূর জানি, কীনা বলে কিছু নেই; আছে কিনা, কি না এবং কী না...
তিনটের প্রয়োগই ভিন্ন ভিন্ন অর্থে।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

"ধারনা" নয়, "ধারণা"।
আর "মিথস্ক্রিয়া"? নাকি "মিথষ্ক্রিয়া"?
আমি কনফিউজড, যদিও দ্বিতীয়টির দিকে পক্ষপাত আছে।

মেয়ে [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ। ঘুমের দেশে পোষ্ট টা আমার লেখা। মন্তব্য করার জন্য কখনও লগ ইন করি না। লগ ইন করতে হবে সেটাও জানতাম না। ঝামেলা এড়াতে সরাসরি মন্তব্য করে ফেলি।

লগ ইন করে মন্তব্য করাটা কি হাচল হবার জন্য জরুরী? জরুরী হলে এখন থেকে তাই করব।
না হলে আর ঐ ঝামেলায় যাবো না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আসলে নিবন্ধিত নামে মন্তব্য না করলে বোঝার কোন উপায় থাকেনা যে এই মেয়ে সেই নিবন্ধিত মেয়ে। আমি আপনাকে লগিন করে মন্তব্য করতে পরামর্শ দিতে চাই।

তিথীডোর এর ছবি


হায়, পুরাতন বহিখানিতে যে রহিয়াছে.. মূর্চ্ছা/ মূর্চ্ছা যাওয়া/ মূর্চ্ছাগত ইত্যাদি!!
হ্যাঁ, নবতরটিতে পাইয়াছি "মূর্ছা"
আমিও আদতে "আনাড়ি" দেঁতো হাসি ধন্যবাদ মেয়ে!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শরতশিশির এর ছবি

হুমম। এগুলো কী হচ্ছিলো এখানে? কমেন্ট পাঠাবার আগে একটু তো দেখার প্রয়োজন আছে!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এটা খুবই দুঃখজনক আচরন। আমার পরিচিত কয়েকজনকে এরকমটা করতে দেখেছি। খুব ঘৃণা হয় এসব দেখে।

মেয়েদের প্রতি আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গীটা কবে যে পাল্টাবে!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দ্রোহী এর ছবি

নিজের বোনের গায়ে কেউ হাত দেবার আগ পর্যন্ত আমাদের চৈতন্যোদয় হয় না।

মর্ম এর ছবি

যে ব্যাপারটা নিয়ে লিখেছেন সেটা মোটামুটি সিরিয়াস। রম্য লিখতে গেলে পিছলে যাওয়ার ঝুঁকি খাকেই। শব্দ নিয়ে সাবধান থাকাও তাই খুব জরুরী। যেমন: হস্তসঞ্চালন শব্দটা ভালো লাগলোনা আমার।

শেষটা আমার মনে হয়েছে আরো ভালো হতে পারতো, লেখা হিসাবে, রম্য হিসাবেও। হাসি

আস্তে আস্তে লেখা ভালো হয়ে যাবে নিশ্চয়ই, শুভকামনা রইলো। হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

"হস্তসঞ্চালন" শব্দটি আপত্তিকর নয়। কাজটি আপত্তিকর। একই যুক্তি খাটে "ধর্ষণ"এর ক্ষেত্রে।

এই পোস্টকে আপনি রম্য ভাবছেন কেন ঠিক বোধগম্য হলো না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মর্ম এর ছবি

রম্য বলতে মজা করে লেখাটা বুঝিয়েছিলাম। লেখাটার শুরু থেকে ঐ বাজে ঘটনাটার আগে পর্যন্ত বেশ সরস মেজাজেই এগোচ্ছিলো। এজন্যই রম্য বলা। শুরু থেকে আরেকবার পড়লে হয়তো আপনারও তেমনি লাগবে, কে জানে? শুরু আর শেষের মেজাজটা একদমই আলাদা, এমন হুট করে স্বাদ বদলটা ঠিক হজম করে উঠতে পারিনি।

হস্তসঞ্চালন শব্দটি নয়, কর্মটি যে কলঙ্কযুক্ত এ ব্যাপারে বিলক্ষণ জানি।

আমি বলেছি শব্দটি আমার ভালো লাগেনি পাঠক হিসাবে, এমনটা হতে পারেনা?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

ঠিকাছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বোহেমিয়ান এর ছবি

নিজের বোনের গায়ে কেউ হাত দেবার আগ পর্যন্ত আমাদের চৈতন্যোদয় হয় না।

@দ্রুহীদা সহমত । পরিবার থেকেই মেয়েদের প্রতি সন্মান প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়া উচিত ।

@বুনোপা, তিথীডোর, মেয়ে ইয়ে একটা কথা বলি আমি যদি এই পোস্টের লেখক হইতাম, খুব মন খারাপ করতাম । কেউ পোস্ট নিয়ে, পোস্টের বক্তব্য নিয়ে কিছুই বলতেছে না মন খারাপ
( হতাশার ইমু )

_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

তিথীডোর এর ছবি


@মর্ম: মোটামোটি নাকি মোটামুটি?

@বোহেমিয়ান: দ্রুহী> দ্রোহী

পোস্টের বক্তব্য অবশ্যই ভালো! তবে ওই যে "নিক বির্তক"...
নিত্যনুতন মুখোশে ঘোর আপত্তি আছে আমার!!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মর্ম এর ছবি

মোটামুটি করে দিচ্ছি হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

বোহেমিয়ান জেনেশুনেই দ্রুহী লিখেছেন সম্ভবত।

মন্তব্যেও ধরে ধরে বানান শুদ্ধি করলে পোস্ট বানান বিষয়ক আলোচনায় উপচে পড়বে মনে হচ্ছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

সেটাই দেখছি! চিন্তিত
হাত থুড়ি, মাউস গুটিয়ে নিলাম...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বোহেমিয়ান এর ছবি

আমি ইচ্ছে করেই দ্রুহী লিখেছি ।

মন্তব্যে বানান না ধরাকেই সমর্থন করছি । কারণ মন্তব্যে ইচ্ছে করেই ব্লগীয় বানান লেখি, এবং প্রায়ই রিভাইজ করি না ।

@রিভা লেখাটা আমার ভাল লেগেছে । মেসেজটা পেয়েছি । লিখতে থাকুন ।

_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

অতিথি লেখক এর ছবি

@ বোহেমিয়ান ভাইয়া-আমার মন খুব একটা খারাপ হয়নি। আমি আসলেই আনাড়ি লেখক তাই যতই আমাকে শেখানো হবে ততই খুশি হব। তবে পোস্টের মূল বক্তব্য নিয়েও কেউ যদি কিছু মাথাব্যাথা দেখাত অবশ্যই ভালো লাগত। কেননা পোস্টটির মাধ্যমে আমি একটি সমস্যাকে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।

@বুনোআপু-আপু বহু বছর হল টিভির সামনে গিয়ে বসা হয় না। আর যদি টিভির ধারে কাছে গিয়ে একটু উঁকি দেইও তো নিউজ চ্যানেল ছাড়া টিভিতে আর কিছু দেখার পেছনে সময় ব্যয় করি না। তবে আপনি যেই সমস্যাটির কথা বলেছেন। সেটি আমিও অনেকের মধ্যেই দেখি এবং এইভাবে হিন্দী বলা খুবি অপছন্দ করি। তাই আমার ক্ষেত্রে এমন মন্তব্য করায় একটু কষ্ট যে লাগেনি তাও নয়। লেখায় আমি যে ভুলগুলো করেছি তা আমার বানানগত অজ্ঞানতার ফল। এছাড়া আর কিছু নয়। তবে আপনারা শেখাতে থাকলে আশা করি শিখে যাব।

@বুনো,মেয়ে ও তিথীডোর আপু- আপু "মূর্ছা>মূর্চ্ছা" শব্দটি নিয়ে আমিও বড্ড সন্দিহান ছিলাম। শেষে নবতর হিসেবে "মূর্ছা" গ্রহণ করলাম। তবে শব্দটির ক্রি. বি. ব্যবহারে গন্ডগোল করে ফেললাম।

@মর্ম ভাইয়া- ভাইয়া কিছু লেখার পর নিজের লেখা পড়ে আমি নিজেই খুবি বিরক্ত হই। মনে হয় আরেকটু ভালো লেখা কি বের হবে না আমার মধ্যে থেকে! আপনার শুভ কামনার জন্যে ধন্যবাদ এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে ভালো লিখতে পারি।

নাশতারান এর ছবি

তাসরিভা,
আমি আপনাকে আনাড়ি বলি নি। আপনি যদি না বুঝে থাকেন তাহলে বুঝে নিচ্ছি আমার অনুমান অমূলক ছিলো। অনুমানের উপর ভিত্তি করে রূঢ় মন্তব্য করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। আপনি আহত বোধ করায় আমি দুঃখিত।
আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে লিখলেন কিন্তু বানান আর ব্যাকরণগত সন্নিবেশের ত্রুটির কারণে সেটি যথাযথ গুরুত্ব না পাওয়াটা হতাশাজনক। তাই অনুরোধ করবো পরবর্তীতে শব্দ নির্বাচন আর ভাষার ব্যবহারের প্রতি যত্নশীল হতে। বানানে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলে অভিধান দেখে নিন।

আপনি যে নামে এখানে নিবন্ধন করেছেন সেটিই আপনার "নিক"। সে নামেই আপনি পরিচিত হবেন। "তাসরিভা" নিকে আরো লেখা পাবার আশা রাখছি। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আলমগীর এর ছবি

কিছুটা বিরক্তি নিয়েই এ মন্তব্যটা করছি:
১. একাধিক নিক নেয়া বা ক্রস/নিউট্রাল জেন্ডার নিক নেয়া সচলের নীতিমালার সাথে বিরোধপূর্ণ নয়, আমার দৃষ্টিতে কোন অপরাধও নয়। একজনের লেখার মানের উপর তার সদস্যপ্রাপ্তি নির্ভর করা উচিৎ। নিক পাল্টানোর জন্য কাউকে তুচ্ছ করাটা ভাল লাগে না।

২. এ পোস্টের লেখক "আনাড়ী" না "দলছুট" তা বিবেচনা করে এ লেখাটায় মন্তব্যগুলো ভাল লাগছে না।

৩. বানান নিয়ে বাড়াবাড়িটাও ভাল লাগছে না। অতিথির সম্পাদনার সুযোগ নেই। আবার ভুল দেখাতে গিয়ে ভুল করাটাও মোটেই ভাল অনুভুতি নয়। একটা লেখায় কেবল শব্দের বানান না আরো বহু বিষয় থাকে।

তিথীডোর এর ছবি

নিজের অবস্থান জানাচ্ছি,

১)
একাধিক নিক, ক্রস/ নিউট্রাল জেন্ডার নিক নেয়া সচলের নীতিমালার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ নয়, আমার দৃষ্টিতেও অপরাধ নয়!
তবে একাধিক নিক ব্যবহার করে তা নানা অজুহাতে অস্বীকার করা, আপত্তিটা ওখানে...

২)
আনাড়ি লেখক
দলছুট
জামান স্বাধীন
কামরুজ্জামান স্বাধীন
এবং সর্বশেষ 'চেনাপথিক' ও 'পথেপথিক' নামে একজন অতিথির পোস্ট ও মন্তব্য গত ছয় মাসে চোখে পড়েছে!
আশা করি অতিথি "রিভা" মন্তব্যের মাধ্যমে নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান জানিয়ে দেবেন!

৩)
যারা সরাসরি বানানের বাড়াবাড়িতে সমর্থন জানিয়েছেন তাদের পোস্ট ছাড়া অনান্যদের বানান সংশোধনে আজ থেকে বিরত থাকবো!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আলমগীর এর ছবি

তবে একাধিক নিক ব্যবহার করে তা নানা অজুহাতে অস্বীকার করা, আপত্তিটা ওখানে..

তাসরিভা দলছুট হোক বা না হোক সেটা কেউ তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেনি, কোথাও কোন কিছু সে স্বীকার/অস্বীকার করেনি। শুধু অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে তুচ্ছ করা উচিৎ না।

অনান্যদের বানান সংশোধনে আজ থেকে বিরত থাকবো

তার আগে দয়া করে একটু পড়াশোনা করে নিলে অন্যদের ভাল হবে।
আপনি তিন পোস্ট আগেও যতিচিহ্নের ব্যবহার জানতেন না। সুইসাইড বানানকে হসন্ত দিচ্ছেন। অন্যান্য শব্দটা যে রীতি মেনে বস্তু বোঝাতে ব্যবহৃত হয় সেটাও জেনে নিন। ক্রিয়াপদের শেষে না/নি কীভাবে ব্যবহৃত হয় দেখুন। বানান সংশোধনের বহু সুযোগ পাবেন। আমার পোস্টেও পাবেন হাসি

তিথীডোর এর ছবি

১)
তাসরিভার আগের পোস্টটি থেকেই বির্তকের সুত্রপাত হয়েছিলো...

রিভা মন্তব্যে ক্লিয়ারলি নিজের স্বাতন্ত্র্য জানিয়ে দেবেন আশা রাখছি; এই বাক্যটি মন্তব্যের উত্তরে ছিলো!

২) তথাস্তু
তিন পোস্ট? যতিচিহ্ন নিয়ে তো এখনো গড়বড় পাকাই!
অনান্য, ক্রিয়াপদের শেষে না/ নি: পড়াশোনার দরকার আছে বৈকি!

'স্যূইসাইড্' দেখে 'সুইসাইড্' লেখার আগ্ পর্যন্ত কেউ তো সেটা শুধরে দেয়নি, তাই খালি মাঠে গোল হয়েছে!

বানান সংশোধনের সুযোগ?
দেখা যাক.. হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অবাঞ্ছিত এর ছবি

৩)
যারা সরাসরি বানানের বাড়াবাড়িতে সমর্থন জানিয়েছেন তাদের পোস্ট ছাড়া নান্যদের বানান সংশোধনে আজ থেকে বিরত থাকবো

২) তথাস্তু
তিন পোস্ট? যতিচিহ্ন নিয়ে তো এখনো গড়বড় পাকাই!
নান্য, ক্রিয়াপদের শেষে না/ নি: পড়াশোনার দরকার আছে বৈকি!

ব্যাকরণ নাহয় বাদই থাকুক.. পর পর দুইবারই টাইপো হয়েছে কি? নাকি ইচ্ছেকৃত? শব্দটা কি আসলেই "অনান্য" হবে নাকি "অন্যান্য" হবে? অন্যের বানান এভাবে শুধরে দিতে গিয়ে নিজেই এমন সহজ বানান বারবার ভুল করলে আপনার শুদ্ধি অভিযান কিন্তু ক্রেডিবিলিটি হারাবে ।

পোস্টের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ, এবং ঘটনাটা আসলেই দু:খজনক... আরো দু:খজনক হল যে এমন ঘটনা হর হামেশাই ঘটছে।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

তিথীডোর এর ছবি

নাহ্, ভুলই..
দুঃখিত!

ঠিক কথা!!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তিথীডোর এর ছবি

নাহ্, ভুলই..
দুঃখিত!

ঠিক কথা!!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি একটা ব্যাপার আমার ছোট্ট মস্তিষ্কে কিছুতেই আঁটাতে পারছিনা। বোধহয় আমি "নিক" শব্দটির সাথে পরিচিত না। এটি কি "নিকনেইম" এর "নিক"? আমার নিক নিয়ে ঝামেলা কোথায় আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা। দয়া করে আমাকে কেউ খুলে বলবেন কি? আমি আগে পাঠক হিসেবে মন্তব্য করতাম "তাসরিভা সিকান্দার" নামে। কখনো সংক্ষেপে লিখি "রিভা"। আমার নামটি আমার কাছে খুবি পছন্দের। যখন অতিথি হিসেবে লেখা শুরু করলাম তখন মেইল আইডি টাও দেয়া জরুরি মনে করলাম।

@সচল কর্তৃপক্ষ- এর আগে এই লেখার উপর সকলের মন্তব্যের উপর আমি উত্তর দিয়েছিলাম। দয়া করে এই মন্তব্য প্রকাশের সেটি আগে প্রকাশ করুন।

রেশনুভা এর ছবি

১। নিকনেইম বা নিকঃ সমার্থক। আপনি সচলে আপনার পুরো নাম দিয়েও লিখতে পারেন অথবা আমার মতন কোন একটা ছদ্মনামও ব্যবহার করতে পারেন। এই নামটাকেই বলা হয় নিক।
২। আপনার নিক নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। "তাসরিভা" নামটা আমারও বেশ পছন্দ হয়েছে। গোল বেঁধেছে নামের পেছনের মানুষটাকে নিয়ে। আমাদের মাঝের অনেকেরই ধারণা "তাসরিভা/রিভা/তাসরিভা খন্দকার" নিক নিয়ে যে মানুষটা লিখছেন তিনি আগেও "দলছুট/ আনাড়ী লেখক/ জামান স্বাধীন ... ইত্যাদি ইত্যাদি" নিকে লেখা লিখেছেন। এই ধারণার পেছনের কারণগুলো সম্ভবত এরকমঃ ক) লেখার রীতিতে কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া, খ) দলছুটের মতন আপনারও অতি বিনীত ভাব মন্তব্যের জবাবে। আপনি এই সন্দেহের বীজটি আপনার অবস্থান জানানোর মাধ্যমে খুব সহজেই মূলোৎপাটিত করতে পারেন। আশাকরি আপনি তা করবেনও।
৩। লেখা নিয়ে বলি। বিষয়বস্তু ভাল কিন্তু আমার কাছে উপস্থাপণা ভালো লাগেনি।
ভালো থাকবেন।
----------------------------------------------

আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।

ফ্রুলিক্স এর ছবি

নিজের বোনের গায়ে কেউ হাত দেবার আগ পর্যন্ত আমাদের চৈতন্যোদয় হয় না।

মনেহয় না এইসব মানুষ নামের পশুগুলোর কখনো চৈতন্যোদয় হবে।
সমবেদনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

@মর্ম ভাইয়া-ভাইয়া আপনার যেমন লেখাটির শেষে স্বাদ বদলে গিয়েছিল,ঠিক তেমনি সকালের হাসিখুশি মেয়েটিরও দিন শেষে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ইভ টিজিং এর কারণে মন মানসিকতার উপর যে কী খারাপ প্রভাব পড়ে তাই জানানোই লেখাটির উদ্দেশ্য ছিল। এবার বোধহয় আপনি বুঝতে পেরেছেন কেন হঠাৎ করে আমি লেখার স্বাদ বদলানোর চেষ্টা করেছিলাম।

#আমার পরিচয়ঃ
"হে পথিক জীবনে চলার পথে পরিচয় বানাতে হবে,নতুবা তলিয়ে যাবে সময়ের স্রোতে।"
-এ কথা আমি আগে থেকেই জানতাম। তবে বুঝতে পারিনি এতো তাড়াতাড়ি "পরিচয়" এই শব্দটির সম্মুখীন হতে হবে আমাকে। নিজের পরিচয় দিতে পারার মত আহামরি কিছুই এখনও করতে পারিনি। এখন পর্যন্ত নিজের পরিচয় দিতে আমি নিচের কিছু কথা ব্যবহার করে থাকি......

তাসরিভা সিকান্দার
ছাত্রী (স্বপ্ন দেখি কোনোদিন এই জায়গায় প্রকৌশলী লিখব)
সিএসই বিভাগ
শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সচলে লেখা পড়ছি অনেকদিন ধরেই। শুরুতে মন্তব্য করতাম না,শুধুই পড়তাম। পরে পরে মন্তব্যও করতে শিখলাম। শিখলাম বলছি এই কারণে যে আমি জানতাম না নিয়মগুলো। আমাকে খুব কাছের একজন শিখিয়েছেন সচলের নিয়ম কানুন। হয়ত ভাববেন "আনাড়ি নাকি! শেখাতে কেন হবে!"। অবশ্যই এমন ভাবার স্বাধীনতা আছে অনেকেরই। তবে এটাই সত্য। লেখার ইচ্ছে আগে থেকেই ছিল। খুব কাছের সেই ব্যাক্তিটিই লেখালেখির ব্যাপারে উৎসাহিত করে পালে হাওয়া লাগালেন। আমার লেখার রীতি কারো মত কিনা এই ব্যাপারে আমি নিজেই এখনও স্পষ্ট নই। যেদিন স্পষ্ট হব আমি নিজে থেকেই স্বীকার করব। কেননা আমার চারিত্রিক একটি ভালো দিক হল আমি কোনো দোষ করে থাকলে তা স্বীকার করতে পিছপা হই না। এরপর আমার বিনীত স্বভাব! আমার মায়ের সামনে এই কথাটি কেউ একবার গিয়ে বলে আসবেন দয়া করে।ছোটবেলা থেকেই আম্মুর মুখে শুনে আসছি আমার নাকি অনেক রাগ। তিনি সবসময় আমাকে উপদেশ দিয়ে সাবধান করতে থাকেন। তার খুব ভয় আমি বাইরে না জানি কী তান্ডব ঘটিয়ে আসব। যাই হোক,আমার আম্মু জানলে খুবি খুশি হতেন যে উনার মেয়ের আচার ব্যবহারকে কেউ বিনীত বলেছেন।

আর আমি কারো উপর রাগ/অভিমান করিনি এবং মন খারাপও করিনি। বরং আনন্দ হচ্ছে সচলে আসা মাত্রই সচল পরিবারের শিশুটিকে নিয়ে আপনারা সবাই ভাবছেন।

সচলে যখন থেকে পাঠক হিসেবে মন্তব্য করতে শুরু করলাম তার কিছু লিঙ্ক দিলাম নিচে। প্রয়োজন বোধ করলে দেখবেন।

http://www.sachalayatan.com/subasish/30828
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/30847
http://www.sachalayatan.com/tft_shobdo/30948

আরো কিছু লেখাতেও মন্তব্য করেছিলাম। কিন্তু লেখাগুলোর শিরোনাম মনে নেই। যে কয়টির মনে ছিল সার্চ করে বের করে দিলাম। মাফ করবেন বেশি সার্চ দিতে পারি নি বলে। আসলে নিজের পরিচয় এইভাবে সার্চ দিয়ে বের করে অভ্যস্ত নই।
সবাইকে আবারো ধন্যবাদ।

রেশনুভা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অবস্থান পরিষ্কার করে জানানোর জন্য। আশাকরি কোন ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার মতন পরিস্থিতি আর ভবিষ্যতে সৃষ্টি হবে না।
----------------------------------------------

আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।

মর্ম এর ছবি

কিছুটা বিব্রত হয়তো আপনি, কিছুটা খারাপ লাগাও আছে নিশ্চয়ই। কাঁটাযুক্ত শুরুটা হয়তো মনে লেগেছে খুব।

এটাতেও ভালো আছে কিন্তু। আপনি বলেছেন আপনি শিখতে চান, আসলেই যদি চান তো ফিরে ফিরে এ লেখাটায় চলে আসবেন। চাইলে আপনি এখান থেকেই শিখতে পারবেন অনেক কিছু, কী করা উচিত, কী উচিত না।

এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন যেটা অহরহ আমাদের চোখের সামনেই হচ্ছে আর আমরা মানুষ নামের অমানুষেরা এড়িয়ে যাচ্ছি অবলীলায়, ইচ্ছে করেই। আধুনিক হওয়ার বাসনা আমাদের ভুলিয়ে দিচ্ছে আমাদের নৈতিকতাবোধ। সুন্দর পোশাক পরা, সুন্দর কথা বলা অসুন্দর মনের অমানুষগুলো কখনো কখনো আমাদেরও আকর্ষণ করে ফেলছে, যুক্তিবিবর্জিত আনন্দে খুশী হয়ে উঠছি আমরা, ওদের অনুকরণ করে অমানুষ হচ্ছি। লজ্জাবোধও কি আছে আমাদের?

ইভটিজিং নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে, এখনো সাহস করে উঠতে পারিনি। একটা মেয়ের লজ্জার অপমানের ব্যথা তুলে ধরার ক্ষমতাই তো এখনো কলমে আসেনি। পারি যদি কখনো, লিখবো।

দিনটা হঠাত্‍ বদলে যাওয়ার কথা বললেন ঐ মেয়েটার জন্য, লেখার বদলে যাওয়া স্বাদের কথা বললেন। হয়তো আপনিই ঠিক।

তবে একান্ত আমার মতটা জানিয়ে যাই-
এ ধরণের লেখার জন্য সরস ভাবটা হয়তো ক্ষতিকর, মূল ভাবটা পাঠককে পৌঁছানো কঠিন হয়ে ওঠে তাতে। তা সম্ভব না বলছিনা, তবে ভাষা আর শব্দ ব্যবহারে অসম্ভব পারদর্শী না হলে কাজটা শক্ত বৈকি।

আমি আশা করছি আপনাকে হতাশ করে দিইনি আমি। লেখাটা অভ্যাসের ব্যাপার, সময় দিলে ভালো হবেই। মন খারাপ করে হারিয়ে না গেলেই হলো।

আমি সচলে লিখছি (আগে লিখেছি, পরে পড়তে শুরু করেছি!) ৫০ দিনও পেরোয়নি এখনো, কাজেই নতুনের গন্ধ আমার গায়েও আছে এখনো। নতুনের সমমর্মী হওয়া স্বাভাবিক তাই।

পরামর্শ দেবো একটা?

কজনের ব্লগ একটু পড়ে দেখবেন, শেখার সাধ নিয়ে- বুনোহাঁস, তিথীডোর, তাসনীম, আনন্দী কল্যান, শুভাশীষ দাশ,রেনেট, মূলত পাঠক, নজরুল ইসলাম, প্রকৃতি প্রেমিক, সুমন চৌধুরী, হিমু। ওনাদের লেখা আমি আসার পর বেশী দেখছি, তাই নাম বললাম। ওনারাও ছাড়াও আরো অনেকেই আছেন যাঁদের কথা এখন মনে হচ্ছেনা। এঁদের লেখা থেকে অনেক শেখার আছে, আমার মতে। বাকি আপনার ইচ্ছে।

আপনি কি জানেন আপনি পরের লেখায় অনেক উত্‍সাহী পাঠক পাবেন? আশা করি আপনি সবাইকে ধরে রাখতে পারবেন লেখার গুণে।

শুভকামনা রইলো।
আপনার সচল যাত্রা আনন্দময় হোক। হাসি

ফুটনোটঃ
মন্তব্যের জবাব দিতে চাইলে সে মন্তব্যের জন্য আলাদা খোপে বাড়তি সম্বোধনের ঝামেলায় না গিয়ে ঐ খোপের সাথেই জবাব হিসাবে জুড়ে দিতে পারেন কিন্তু। দেখতে ভালো লাগে, বুঝতেও সুবিধা হয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

স্পর্শ এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম। দুহাতে লিখতে থাকুন। হাসি

একটু ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে দেখে সত্যিই খারাপ লাগছে। আশাকরি আমরা সবাই এ থেকে শিখবো।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ফারুক হাসান এর ছবি

১.
আমি সাধারণত নিক ঘটিত ক্যাচালে মন্তব্য করি না, কিন্তু এখন করছি উপরের কিছু কমেন্ট পড়ে মেজাজ খারাপ হওয়ায়।
অতিথি লেখক যিনি এই পোস্টটি করেছেন, তাকে কেন বারবার নিকের ব্যাপারে তার অবস্থান পরিষ্কার করার কথা বলা হচ্ছে? স্পষ্টভাবে তিনি তার নিকটি লেখার শুরুতে দিয়েছেন। পোস্টটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে, কা.স্বা. বর্গীয় কোন ছাগুগিরির নমুনা অন্তত আমার চোখে পড়েনি।

সেই কারণেই লেখক আপনার অবস্থান ক্লিয়ার করুন, ক্লিয়ার করুন- এই চিল্লানির কোনো মানে হয় না।

২.
দ্রোহীর সাথে একমত। সাথে আরেকটু যোগ করি, এই পশুগুলোকে চ্যালাকাঠ দিয়ে পিটিয়ে পশ্চাদ্দেশের ছাল-চামড়া তুলে দেয়া দরকার।

৩.
রিভা, আপনার ব্লগ ভালো লেগেছে। সেজন্যই বলছি, আরেকটু যত্নবান হলে এবং পোস্ট করার আগে আরেকটু মনোযোগ দিয়ে লেখায় চোখ বুলিয়ে গেলেই দেখবেন একসময় অসাধারণ সব লেখা লিখতে শুরু করেছেন আপনি। বানান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেটা পোস্ট করার পূর্ব মুহূর্তে, বানানের ভয়ে লেখা থেকে বিরত থাকবেন না। ভুল শুদ্ধ আগে নামিয়ে ফেলুন। তারপর বানান। ব্যস, হয়ে গেল!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ফারুক ভাইয়া। কিন্তু ভাইয়া আমার একটি প্রশ্নের উত্তর জানার ছিল। কিন্তু আমি বুঝে পাচ্ছিনা আমি প্রশ্নটি কাকে করব! সচল কর্তৃপক্ষকে? নাকি আপনারা যে কেউ উত্তর জানা থাকলে জানাবেন। আচ্ছা যাই হোক আমি প্রশ্নটি করি। আমি কা.স্বা. এবং দলছুটের পুরো ব্যাপারটা ঠিক খোলাখুলিভাবে জানিনা। অবশ্য উপরের এতকিছুর পর আর জানতে ইচ্ছেও করছেনা। আমাকে শুধু একটা ব্যাপার জানাবেন। সেটি হচ্ছে আমি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। পড়াশুনা নিয়েও ব্যস্ত থাকতে হয়। আমি যদি সচলে নিয়মিত আমার উপস্থিতি জানান না দেই তবে কি আমার অবস্থান নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠবে?

লাল-মডু এর ছবি

তাসরিভা,
বিচলিত হবার কোন কারণ নেই। পাঠকের মন্তব্যে চাপ বোধ করবেন না। আপনি আপনার নিজের সময়মত, নিজের ইচ্ছেয় লিখুন। এটুকু আশ্বস্ত করতে চাই যে, আপনার অবস্থান নিয়ে মডারেশনের মনে কোন সংশয় নেই।

তিথীডোর এর ছবি

তাসরিভা,
আমি অত্যন্ত দুঃখিত!
কাল রাতে উত্তর দেয়ার চেষ্টায় বার বার ব্যর্থ হয়ে শেষে মডুদের মেইল করতে হলো...

সন্দেহ ও বিরক্তি প্রকাশ উভয়ক্ষেত্রেই সচল/ হাচল, আমাদের সবার আরো সহনশীল হওয়া উচিত ছিলো বৈকি!
ভালো থাকুন, সচল থাকুন... শুভেচ্ছা রইলো!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সচল জাহিদ এর ছবি

যদিও পোষ্টের মুল বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় তারপরেও এই মন্তব্য গুলি করছি কারন এই পোষ্টে ঘুরে ফিরে এগুলো চলে এসেছে। ব্যক্তিগত ভাবে লেখক তাসরিভার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সেজন্য।

১. একটি প্রবণতা লক্ষ্য করছি, অহেতুক যাকে তাকে 'দলছুট' এর সাথে তুলনা করা হচ্ছে লেখকের লেখার মন্তব্যে। সম্প্রতি 'মুক্তবিহঙ্গ' নামে লেখা একজনের ব্লগেও এই জাতীয় মন্তব্য লক্ষ্য করেছি। উদাহরণ নিচে দিচ্ছিঃ

এই লেখার ১৭ নাম্বার মন্তব্য নিম্নরূপঃ

আপনার 'শুরুর কথা' পড়ে ব্লগার দলছুটের কথা মনে পড়ল। উনার স্মৃতিখণ্ড আবার পড়ে আসলাম।

এই লেখার ৩৬ ও ৩৭ নাম্বার মন্তব্য নিম্নরূপঃ

আপনার মন্তব্যগুলো কেমন যেন আমাদের এক অতি পরিচিত ব্লগারের মত হয়ে যাচ্ছে, ভালো থাকুন, হাত-পা খুলে ধুমায় লিখতে থাকুন।

হা হা - সাইব্বাই - সব জায়গায় দলছুটের গন্ধ পান: তবে এরে মনেহয় আলবার্টাবাসীরা চেনে

নবীন লেখক হিসেবে তাসরিভা বা মুক্তবিহঙ্গ বা অন্যরা কিন্তু জানেননা দলছুট কে? উপরে যে উদ্ধৃতিগুলো দিয়েছি তার উত্তরেও কিন্তু ঐ লেখক (মুক্তবিহঙ্গ) মন্তব্যকারীকে ধন্যবাদই দিয়েছেন কারন তিনি জানেননি যে তাকে নিয়ে উপহাস করা হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে এই বিষয়টি খারাপ লাগছে সেজন্য তুলে ধরলাম।

২. বানান সংশোধন পূর্ন ভাবে সমর্থন করি তবে যেটি সমর্থন করিনা তা হচ্ছে বানান নিয়ে আলোচনা লেখার মূল ভাবকে যখন দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। সম্প্রতি 'বানান শুদ্ধি অভিযান' পোষ্টেও একই মন্তব্য ছিল আমার। এই পোষ্টে লক্ষ্য করেছি সেই একই প্রবণতা। ব্যক্তিগত ভাবে এটি মেনে নিতে পারছিনা।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

জাহিদ ভাই, মুক্ত বিহঙ্গের লেখায় সন্দেহ প্রকাশ করিনি, তাহলে সেটাই বলতাম, আমি কিছু বলার থাকলে মুখের উপরেই বলি, ঘুরায় কথা বলি না, এটা নিয়ে কারো সন্দেহ থাকার কথা না। তারপরেও শরমিন্দা বোধ করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। উনার পোস্টে গিয়েও একই মত ব্যক্ত করে আসছি এখনি।

আর আসলেও এই সন্দেহ বাতিক খুব আপত্তিকর, আপনার এবং আলমগীর ভাইয়ের সাথে একমত জানিয়ে যাচ্ছি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

জাহিদ ভাই,

অনেক-অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার বিষয়টা উল্লেখ করবার জন্য। 'দলছুট' বিষয়ে আমার কোন ধারণাই ছিলনা! এখন বুঝতে পারছি, এই শব্দটা উপহাস করবার জন্য ব্যবহার করা হয়!! মন খারাপ

আর একটা কথা জানিয়ে দেই। শুরুতে ভেবেছিলাম বলবো না। প্রথম আলো-র 'ছুটির দিনে'-তে আমার বেশ কয়েকটা লেখা প্রকাশিত হবার পর সচল জাহিদ এবং ধ্রুব বর্ণন -এই দুইজনের পরামর্শ আর অনুপ্রেরণায় 'সচলায়তন'-এ এসেছি লেখালেখি বিষয়ে লেখক-পাঠক দের মিথষ্ক্রিয়ায় সামিল হবার জন্য। এই দুইজন মানুষের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।

-মুক্ত বিহঙ্গ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাসরিভা, স্বাগতম সচলায়তনে।
ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।
শুনলাম ঢাবিতেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। এক কনসার্টে নাকি অনেক মেয়েকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

এসব দেখলে বিরক্ত লাগে। মেয়েটা হয়তো কাঁদছিলো মেয়ে হয়ে জন্মানোর অপরাধে[!]
কিন্তু বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, এসব ঘটনা শুনলে ছেলে হয়ে জন্মানোর অপরাধবোধটাও আমাকে অসহায় করে তোলে...

আর খুব ফ্র্যাঙ্কলি একটা কথা বলি... আমি আসলে বুঝি না ভীড়ের মধ্যে চিপা দিয়ে একটা মেয়ের শরীরের কোনো স্পর্শকাতর স্থানে ছুয়েঁ দেওয়ার মধ্যে সুখানুভূতিটা কোথায়?
এটুকু ছোঁয়ায় কী স্বাদ পায় এরা? জানি না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমি আসলে বুঝি না ভীড়ের মধ্যে চিপা দিয়ে একটা মেয়ের শরীরের কোনো স্পর্শকাতর স্থানে ছুয়েঁ দেওয়ার মধ্যে সুখানুভূতিটা কোথায়?
এটুকু ছোঁয়ায় কী স্বাদ পায় এরা? জানি না...

আপনার এই প্রশ্নের কিছুটা মোকাবিলা করা আছে বাঘার 'লুহার তালা' গল্পে।

... এই যহন অবস্তা, তহন ম্যায়াডা ঘ্যাচ কইরা রিকশা থিক্যা নাইমা পড়ল। ভাড়া মিটিয়া দিয়া। তিন গলি আগে। কিন্তু রাস্তায় নাইমাই ম্যায়াডা টের পাইল কামডা ভালো হয় নাই। কারণ রাস্তায় এক খানকির পুলা টাইপ পথচারী তার লবস্টার পাছা দেইকা লুভ সামলাইতে পারল না। দিয়া দিল একটা রাবণ খামছি। উহঃ কইরা ব্যথা সামলাইতে পারলেও রাগ আর ঘিরিনা সামলাইতে পারল না ম্যায়াডা। রাগে তার শরীল রিরি আর ঘিরিনায় তার শরীল গিরগির করবার নুইছিল। ঘুইরা খাঁড়িয়া একটা চড় কষাইবার প্রগাঢ় ইচ্ছা গলা টিফি দিয়া মাইরা হালাইল ম্যায়াডা, দাঁত খামটি দিয়া। এবং বুদ্দি খাটিয়া দ্রুত কাইটা পড়ল ভিড় থিক্যা। তারপর রাস্তা পার হওনের জন্যে তক্কে তক্কে রইল জামের ভিতর সুবিধামতো চিপাচুপার খোঁজে।

কিন্তু জিঞ্জের প্যান পরা ম্যায়াডার ওই আকর্ষণীয় ভঙ্গিমাডা রাস্তার ম্যাড়া পুরুষরা হাতছাড়া করল না এহাবারেই। দুই চোখ ভইরা গিল্যা খাইল ম্যায়াডার উগ্র যৌঙ্গন্ধীময় ওই খাঁড়াইবার ভঙ্গিমাডা। অবশ্য তাগোরেও দুষ দিয়া লাভ নাই। ইহ জনমে এত ভালো শরীর খাইবার দাঁত তাগো আর জ্বালাইব না, এইডা তারা ভালো কইরাই জানে। তাই রাস্তা ঘাটে পথে প্রান্তরে ভালো কোনও শরীল দেকলেই তারা খাঁড়িয়া পড়ে বেলেহাজের নগাল। আর সেইসব শরীলের রঙ্গিল স্মৃতি নিয়া আস্তানায় ফিরে। আর রাইতে রাইতে হাত মারে, সেই সঙ্গে মারে জীবন।

সাবিহ ওমর এর ছবি

লেখা পড়ে মন খারাপ হল। কমেন্ট পড়ে বিরক্ত হলাম।

লেখক 'দলছুট' হলেও কিছু যায় আসে???

নাশতারান এর ছবি

লেখক 'দলছুট' হলেও কিছু এসে যায় না যদি তাঁর লেখার মান পূর্ববর্তী লেখাগুলোর চেয়ে উন্নত হয়। লেখনীর সংস্কার সাধন না করে বারবার নিক পালটে এসে পাঠকের চোখে ধুলো দেয়ার প্রচেষ্টাই ব্লগারদের বিরক্তির কারণ। কিন্তু তাসরিভা দলছুট নন এ ব্যাপারটা যখন নিশ্চিত, তখন এ নিয়ে আর আলাপ বাড়তে না দেয়াই বোধহয় ভালো। যারা ভুল করেছেন তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

লেখার মান নির্ধারণের ব্যাপারটা মডারেটরদের হাতেই থাকুক, কি বলেন? আমার মতে, "লেখা ভাল লাগেনি" এটা বলার সবচেয়ে শক্তিশালী উপায় হচ্ছে মন্তব্য না করা। ফিডব্যাক দিয়ে লেখক খুন করা যায় না। লেখকেরা মারা যায় পাঠকের অবহেলায়...

শরতশিশির এর ছবি

চলুক

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

নাশতারান এর ছবি

আমার বক্তব্য ঠিকমতো বোঝাতে পারি নি সম্ভবত। ফিডব্যাক দিয়ে লেখক খুন করাকে আইনসিদ্ধ করার আবেদন জানাই নি আমি। আমাদের অনুভূতিগুলো যন্ত্রচালিত নয়। পাঠকের বিরক্তি এবং তার বহিঃপ্রকাশ মডারেট করা সম্ভব নয়। তাই কে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন সেই প্রক্রিয়া নির্বাচনের অধিকারটুকু অন্তত তাকে দেয়া উচিত। একই আচরণের পুণরাবৃত্তি বারবার দেখে একবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেই যে মন্তব্যকারীকে শূলে চড়াতে হবে সেটাও তো ঠিক না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

"পুণরাবৃত্তি" নয়, "পুনরাবৃত্তি"।
তাছাড়া "পুনরাবৃত্তি বারবার"... কেমন যেন লাগছে না? আবার রিপিট করার মতো?

নাশতারান এর ছবি

পুনরাবৃত্তি করেছেন লেখক। বারবার দেখেছেন পাঠক।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শরতশিশির এর ছবি


তাসরিভা, স্বাগতম আপনাকে। শুভ নববর্ষ। শুরু তো হলো, এবার লিখতে থাকুন প্রাণ খুলে।

তবে লেখার সময় শব্দচয়ন আর বানানের ব্যাপারে একটু যত্নশীল হোন। বিষয়বস্তু ভাল হলেও লেখার গাঁথনি শক্ত না হলে লেখাটার উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যটাই ফোকাসের বাইরে চলে যায়। তখন আর লেখাটা পড়ে কোনরকম আলোচনা করতেও অনেকে আগ্রহী হবেন না।

আর, আপনি নিজে মেয়ে - আগের আর এবারের পোস্টেও কিছু কিছু শব্দ আর বাক্য অস্বস্তিকর ঠেকেছে এমনকী আমার কাছেও। যার জন্যে অনেকে আপনাকে সন্দেহ করতে বাধ্য হয়েছেন। আশা করি, সেই সন্দেহ দূর করে এখন ভাল ভাল লেখা আমাদের উপহার দেবেন সামনে। সেই প্রত্যাশাই রইলো।


যারা বানান ঠিক করছো, তারা শুধু পোস্টের বানানের দিকে নজর দাও, মন্তব্য ধরে ধরে ঠিক করাটা বেশি হয়ে যাচ্ছে।

আর, তাসনীম ভাই যেভাবে ওনার লাস্ট পোস্টে প্রথমেই একটা আলাদা করে 'বানান বাক্স' করে দিয়েছিলেন, সেটা সিস্টেম্যাটিক ছিলো। এভাবে একজন কেউ শুরু করে, তারই লেজ ধরে ঠিক করা যেতে পারে।

আর, একটা পোস্টে একজনকেই বানান ঠিক করতে বলবো আমি। কয়েকজন মিলে যেমন কেওস হচ্ছে বেশি, তেমনি বানান জের টেনে লম্বা হচ্ছে অহেতুক। শুধু একজন করলে ব্যাপারটা ডিসিপ্লিন্ডও থাকে।

আর, তোমরা যখন মন্তব্য জানাচ্ছো, সেটা আলাদা করে দিও। বানান আর মন্তব্য মিলে গেলে খালি বানানটাই চোখে পড়ে। ইদানিং বেশ কয়েকটা পোস্টে তাই হয়েছে, সেজন্য তোমরা তোমাদের মন্তব্যেরও হয়তো আশানুরূপ জবাব পাচ্ছো না।


কথা সুন্দর করে গুছিয়ে বলাটা যেমন একটা 'আর্ট', তেমনি মন্তব্য করাটাও। অনেকেই আছেন সচলে যারা তাঁদের মন্তব্যের জোরেও প্রায় কিংবদন্তী হয়ে গেছেন। তাঁদের কাছ থেকে শেখার আছে আমাদের অনেক।

আসুন, আমরা ভাল, গঠনমূলক এবং বুদ্ধিদীপ্ত মন্তুব্য করি, যেন সেখান থেকে আমাদের সবার শেখার, নেওয়ার মতো কিছু থাকে। সেই মন্তব্যগুলো যেমন মজার মজার হবে, তেমনি হবে শিক্ষামূলকও। শ্লেষপূর্ণ বা অহেতুক রূঢ় মন্তব্য করা (কারণ ব্যতিরেকে) যেন আমাদের অভ্যাস না হয়ে দাঁড়ায়! হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

নাশতারান এর ছবি

কিছু কথা বলি। আমি মন্তব্য ধরে ধরে বানান ঠিক করি না। বরং পারতপক্ষে মন্তব্যের বানানপ্রমাদগুলো এড়িয়ে চলি। তিথী কোন অভিধান অনুসরণ করে জানি না। আমি বাংলা একাডেমী বানান-অভিধান অনুসরণ করি। এ জন্যই সম্ভবত কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। যারা বানান শুধরে দেবেন তাঁরা সাম্প্রতিকতম বানানরীতি অনুসরণ করলে ভালো হয়। আর স্মৃতি না হাতড়ে, বরং অভিধান হাতড়ে বানান মিলিয়ে নেয়া উচিত।

তাসনীম ভাইয়ের বানান বাক্সও বানানে সীমাবদ্ধ থাকে নি। বানানালাপ প্রসঙ্গান্তরে চলে গেছে। এ ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করা কতটা উপকারী সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই আমি। বানান নিয়ে অতিসচেতনার কারণে যেমন মিথস্ক্রিয়ার স্বতঃস্ফূর্ততা ব্যাহত হতে পারে, একই ব্যাপার ঘটতে পারে মন্তব্যকে ছকে আবদ্ধ করলেও।

আমার মতে যে কোন পোস্টে হুড়মুড়িয়ে বানানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রবণতা ত্যাগ করা উচিত। "বানান পুলিশ" খেতাবটা আমার পছন্দ নয়। শুনেছি বানানশুদ্ধির ক্ষেত্রে আমি নাকি আক্রমনাত্মক নই। পোস্ট পড়তে গিয়ে কোন বানানে হোঁচট খেলে মন্তব্যচ্ছলে সেটা জানিয়ে দিয়ে থাকি। তার জন্য লেখকের ধন্যবাদ দেয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলেও আমার মনে হয় না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শরতশিশির এর ছবি

আমি কিন্তু বলেছি 'তোমরা'। আর তুমি যেভাবে করছো, সেটা ঠিক আছে। আমার আপত্তি যখন সেটা অনেকে মিলে একসাথে করে। একজন করলেই ব্যাপারটা কিন্তু ডিসিপ্লিন্ড ওয়েতে হয়ে যায়। ''টু মেনি কুক্‌স স্পয়েল দ্য ব্রথ''।

সীমাবদ্ধ থাকাটা দরকার আছে। কারণ, পোস্টে যেমন অনেক ভুল বানান এবং শব্দচয়ন পড়ার গতি কমিয়ে দেয়, তেমনি মন্তব্য অনুসরণ করতে গেলে খালি এই বানান ঠিক করাটাই অনেক চোখে পড়ে। সেজন্যই সাজেশানগুলো।

'বানানপুলিস' ঠাট্টা করে বলা, এবং একটা পোস্টেই। সেটা পরে আর কি বলতে দেখেছো, বা এখানেও? কাজেই সেটা বলার কোনো দরকার ছিলো না।

আর, ধন্যবাদ দেওয়াটা স্বাভাবিক সৌজন্যবোধ। কষ্ট করে কেউ একজন দেখে দিলো, আর তাকে ধন্যবাদ দেবে না, এরকম মানুষ মনে হয় কমই আছে। আমি বরং ধন্যবাদ দিতে পারলে খুশিই হবো।

ভাল থেকো। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

নাশতারান এর ছবি

বানানের জন্য ধন্যবাদ দিতে আমি নিরুৎসাহিত করি, অন্ততপক্ষে আমার মন্তব্যে। কারণ আমি চাই আলাপের কেন্দ্রবিন্দু হোক পোস্টবিষয়ক ভাবনা, বানান নয়।

"বানান পুলিশ" কথাটা ইদানীং অনেকেই ব্যবহার করছেন। আমি আপনার উদ্দেশ্যে আসলে বলি নি। আপনি প্রসঙ্গ তুললেন, সেই সুযোগে আমি আমার কথাগুলো বললাম। এতে আহত বোধ করবেন না, প্লিজ।

তাসনীম ভাইয়ের বানান বাক্সের ফলে যা হয়েছে তা হলো মন্তব্যের শুরুর অংশটা ভরে গেছে বানান বিষয়ক আলাপ (সেই সাথে কিছু ফাউ আলাপ) দিয়ে। আমি ব্যাপারটাকে এতো সিরিয়াসলি না নিয়ে ক্যাজুয়ালি করার পক্ষপাতী। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। কেউ বানানবাক্সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলে সেখানেই বানানালাপ করবো। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

"উদ্দেশ্যে" নয়, এক্ষেত্রে হবে "উদ্দেশে" ("আমি যে গান গাই জানি সে কার উদ্দেশে")।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

একটা অক্ষর বাদ পড়েছে ওপরের মন্তব্যে।
"উদ্দেশ্যে" নয়, এক্ষেত্রে হবে "উদ্দেশে" (আমি যে গান গাই জানিনে সে কার উদ্দেশে...)।

নাশতারান এর ছবি

উদ্দেশ=লক্ষ্য, মতলব, উদ্দেশ্য (সূত্রঃ সংসদ বাঙ্গালা অভিধান)

আপনার ন্যূনতম একটি পরিচয় জানান। এমন নামহীন যোগাযোগ অস্বস্তিকর।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

বোধহয় ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি।
"বাসার উদ্দেশে রওনা হওয়া" এবং "বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া"।
এবার?

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনি যদি সচলায়তনে নিবন্ধন না করে থাকেন তবে করে ফেলুন। আপনার ভাষাজ্ঞান প্রশংসনীয়।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

এই নিয়ে দ্বিতীয় পোস্টে আপনার "কীনা" ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুললাম (ওপরে দেখুন), উত্তর পেলাম না একবারও।

নিবন্ধন করার উৎসাহ নেই। পড়তেই পছন্দ, লিখতে নয়।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

"আক্রমনাত্মক" নয়, "আক্রমণাত্মক"।
"কোন" এবং "কোনো" আলাদা করা উচিত বলে মনে হয়।

নাশতারান এর ছবি

ঠিকাছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনিকেত এর ছবি

প্রথমেই তাসরিভার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তার ব্লগে অপ্রাসঙ্গিক কথা টেনে আনার জন্য।

তাসরিভার ঘটনাটা আমাদের সাম্প্রতিক আচরণমালার একটা জ্বাজল্যমান উদাহরণ।সত্যি, আমাদের আচরণগুলো আসলেই দেখার মত হচ্ছে। নতুন কোন একজনকে যেভাবে 'সমাদর' আর 'আপ্যায়ন' করছি সেইটার তুলনা পাওয়া ভার।

তাসরিভাকে যে প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হল(প্রায় উদাহরণ টেনে দেখাতে হল, প্রমাণ করতে হল যে উনি 'অমুক' না), সেইটা তার জন্যে যেমন অপমানজনক তেমনি আমাদের সবার জন্যে লজ্জাজনক।

আমার মনে হয়, সময় হয়েছে আমাদের আচরণগুলোর দিকে নজর দেয়ার এবং প্রয়োজনীয় আত্মশুদ্ধি সাধনের। অবশ্য তারও আগে জরুরি হল আমাদের অনুধাবন করা যে আমাদের মাঝে 'গোলমাল' আছে। আমাদের আচরণ দেখে মনে হয় আমরা স্পষ্টতই 'অস্বীকারি'(Denial phase) দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।

সচলায়তনকে ক্রমশঃ একটা ধমক ঠাসা দমবন্ধ অচলায়তনে পরিনত হতে দেখতে ভাল লাগছে না।

সাফি এর ছবি

তাসরিভার এদুটি লেখা পড়ে আমার কাছেও লেখার রীতি দলছুটের মতন লেগেছিলো, সুতরাং যারা এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তাদের মনের অবস্থা বুঝতে পারি। তাসরিভা, আপনি এই লেখাটা পড়তে পারেন, দলছুট বা তার মন্তব্যরীতি সম্পর্কে জানতে। আশা করি আপনিও মিল ধরতে পারবেন। আমার মনে হয় দলছুট শব্দটাও সচলে ব্যবহুত শব্দাবলীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার সময় এসে গেছে।

"

তাসরিভার ঘটনাটা আমাদের সাম্প্রতিক আচরণমালার একটা জ্বাজল্যমান উদাহরণ
"
এই লেখায় যেমন কয়েকজন দলছুটের ভুত দেখেছেন, আবার আলমগীর ভাই ফারুক ভাইরা কিন্তু প্রতিবাদ করেছেন। যেকোন লেখায় এমন ফিডব্যাক থাকবেই। এর জন্য সবাইকে এক ব্র্যাকেটে ফেলা সমর্থন করিনা।

আত্মশুদ্ধির জন্য 'সময় হওয়ার' প্রয়োজন হয়না, আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়াটা সবসময়েই জারি থাকা উচিত বলে মনে করি। এ ব্যাপারে আরেকটা কথা বলা প্রয়োজন। সাম্প্রতিককালে আপনাকে সচলে তেমন নিয়মিত দেখিনি, হয়ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঘাপটি মেরে বসে থেকে সচল বা সচলবাসীর ভুলের জন্য অপেক্ষাকারীদের দলে আপনাকে আমি ফেলিনা। আশা করবো ব্যস্ততা কাটলেই আবার নিয়মিতভাবে আমাদের মাঝে হাজির হবেন - চমৎকারসব লেখা আর গান নিয়ে। সেইদিনের প্রতিক্ষায় থাকলাম।

অনিকেত এর ছবি

সাফি,

তাসরিভার এদুটি লেখা পড়ে আমার কাছেও লেখার রীতি দলছুটের মতন লেগেছিলো, সুতরাং যারা এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তাদের মনের অবস্থা বুঝতে পারি।

এই সন্দেহ বাতিকগ্রস্ততার কথাই বলছিলাম আমি।
এইখানে যদি আমাদের ভয়ে কাঁটা হয়ে চলতে হয় এই ভেবে যে 'এইরে আমার মন্তব্য/লেখা তো অমুকের মত হয়ে গেল, এখন কী হবে??!!!' তাহলে এইটা কেবল হাস্যকর লাগে না, খুব দুঃখজনক ঠেকে।

এইসব বাতিক থেকে বেরুতে হবে আমাদের।

আত্মশুদ্ধির জন্য 'সময় হওয়ার' প্রয়োজন হয়না, আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়াটা সবসময়েই জারি থাকা উচিত বলে মনে করি।

এইটা আমিও মানি। আলাদা করে আত্মশুদ্ধির দরকার পড়ে তখনই, যখন আমরা অন্ধ হই আমাদের নিজেদের ভুলের ব্যাপারে, যখন আমাদের মনে হতে থাকে আমরা তো আসলে ঠিকই করে যাচ্ছি।

হয়ত তোমরা ঠিকই বলছ। এইরকমই হয়ত আচরণ হওয়া উচিত। আমি হয়ত শুধুমুদুই বাগড়া দিচ্ছি। আমার মনে হয়েছে এইটা বলা দরকার তাই বলেছি।নিশ্চিন্ত থাকতে পার--- ভবিষ্যতেও বলব।

এ ব্যাপারে আরেকটা কথা বলা প্রয়োজন। সাম্প্রতিককালে আপনাকে সচলে তেমন নিয়মিত দেখিনি, হয়ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঘাপটি মেরে বসে থেকে সচল বা সচলবাসীর ভুলের জন্য অপেক্ষাকারীদের দলে আপনাকে আমি ফেলিনা।

"---একেবারে কৃতার্থ হলাম আমি।"

উপরের লাইনটা যদি আমি উত্তর হিসেবে লিখতাম তাহলে সেটা হত অহেতুক শ্লেষের প্রকাশ। আমি সেইটা করব না।

তাই শুধু জানাচ্ছি, আসলেই ব্যস্ত সময় কাটছে আমার। মাঝে মাঝে আমি ঠিকই ঘুরে যাই, কমেন্ট করি। তুমি যেহেতু খেয়াল রাখছ আমি কতটুকু নিয়মিত এবং অনিয়মিত তাহলে এইটাও তোমার দেখা উচিত ছিল, যে আমি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জনের লেখায় কমেন্ট করছি।

নাকি আমাকেও এখন তাসরিভার মত উদাহরণ দিয়ে দেখাতে হবে সাম্প্রতিক কালে কখন কোথায় কমেন্ট করেছি?? মনে হয় দেখানো দরকার!

এইখানে গেলে আমার কমেন্ট পাবে। কিছুদিন আগেই করা।

আর এইখানেও দেখতে পার।

যাই হোক, এইটা অন্যের বল্গ এবং আলোচনা অনেক বাঁক নিয়েছে।
আমি এইখানে আর তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নই। তোমার এই নিয়ে আরো কথা বলার থাকলে আমার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করতে পার।

আর শুধু একটা জিনিস ছোট্ট করে জানিয়ে যাই, তোমার কমেন্টটা আমাকে বেশ আহত করেছে। আমি 'ঘাপটি মেরে বসে থাকা গোত্রের' একজনের মাঝে পড়িনা এই সার্টিফিকেট আমাকে দিলে এবং আমাকে প্রমাণ করতে হল যে আমি সাম্প্রতিক কালে আসলে কমেন্ট করেছি---সত্যি সাফি, আমার দিনটা একেবারে 'আলো' করে দিলে তুমি---

হয়ত সেইটা তোমার উদ্দেশ্যও ছিল।

সাফি এর ছবি

"হয়ত তোমরা ঠিকই বলছ।"

- এখানটাতেই আমার আপত্তি। আমার কাজের দায়ভার কেন অন্যেরা নেবে? আমি আমার মতামত দিয়েছি, সেটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমি ভুল করলে সেটার দায় ও আমার নিজের।

" আমার মনে হয়েছে এইটা বলা দরকার তাই বলেছি।নিশ্চিন্ত থাকতে পার--- ভবিষ্যতেও বলব"

- এই ভূমিকাটাই আমাকে আশা জাগায়। আপনাদের সবার কারণেই কিন্তু সচলায়তন।

নাকি আমাকেও এখন তাসরিভার মত উদাহরণ দিয়ে দেখাতে হবে সাম্প্রতিক কালে কখন কোথায় কমেন্ট করেছি?? মনে হয় দেখানো দরকার!

- আপনি নিয়মিত কি নিয়মিত না এ বিচারের ভার আমি আপনার উপরেই ছেড়ে দিলাম অনিকেতদা। কিছুদিন আগের আপনি আর এখনকার আপনার মিথস্ক্রিয়ার তুলনায়, যদি মনে হয় আপনি নিয়মিত, ওকে- আমি ভুল বুঝেছি।

আমি 'ঘাপটি মেরে বসে থাকা গোত্রের' একজনের মাঝে পড়িনা এই সার্টিফিকেট আমাকে দিলে

- অনিকেতদা, এই সার্টিফিকেট আসলে আমি দেওয়ার কেউনা। কিন্তু আপনি বিশ্বাস করুন, এমন মানুষ আছে। আমার কথা না মানলে আপনার শেষ লেখায় কোমল/কঠিন/বাঙলাদেশ জাতীয় মন্তব্য পড়ে মিলিয়ে দেখুন। আমি বিশ্বাস করি আপনি তাদের একজন না, সেইজন্যই আমার কথাটা বলা। নইলে এড়িয়ে যেতাম। বড়ভাই হিসেবে আপনার যেমন আমার ভুল ধরিয়ে দেবার অধিকার আছে, ছোট হিসেবে আমিও আপনার কাছে একই দাবীই রাখি। বক্তব্য প্রকাশের দূর্বলতার কারণে আপনাকে আহত করায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেটা আমার উদ্দেশ্য ছিলনা

তোমার এই নিয়ে আরো কথা বলার থাকলে আমার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করতে পার

জনসম্মুখে আপনাকে আহত করে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাওয়া আমার নীতিবিরোধী। তাই আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিতে বাধ্য হলাম। আবারও বলছি, আপনাকে আহত করার কোন উদ্দেশ্য নিয়ে মন্তব্য করিনি। অনিচ্ছাসত্ত্বেও সেরকমটা মনে হওয়ায় আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

বেগুনী-মডু এর ছবি

এ ব্যাপারে আরেকটা কথা বলা প্রয়োজন। সাম্প্রতিককালে আপনাকে সচলে তেমন নিয়মিত দেখিনি, হয়ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঘাপটি মেরে বসে থেকে সচল বা সচলবাসীর ভুলের জন্য অপেক্ষাকারীদের দলে আপনাকে আমি ফেলিনা।

আপনার মন্তব্যের এই অংশ সচলায়তনে কাম্য সহনশীলতার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। সহ-সচলের প্রতি মন্তব্যের ক্ষেত্রে অহেতুক তির্যক ভাষা ব্যবহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ রইলো।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খুবই বিরক্তি লাগছে। আমাদের সবারই নিজের সীমার মধ্যে থাকা উচিত। উপযাচক হলে যদি সমস্যা হয়, তাহলে না হওয়াই ভালো। আর লেখা দিয়ে অনেক সময় মানুষ চেনা গেলেও সন্দেহ আসলে কোন সুফল বয়ে আনেনা। এর পরিণতি হয় খারাপ। দুলছুটের ভুত যে এখনো অনেককে তাড়া করছে সেটা দেখে আমার তা-ই মনে হলো। যতটা মনে পড়ে দলছুটের কোন এক পোস্টে সচল সদস্যদের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোন এক রঙিন মডারেটর এ বিষয়ে সবাইকে সংযমী হতে আনুরোধ করেছিলেন।

আসমানী-মডু এর ছবি

ছোট একটা ঘটনাকে একটু বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়ে যাচ্ছে। নতুন ব্লগারদের পোস্টে বানান ভুল ধরা এবং কঠোর সমালোচনা করাটা রুক্ষতার পরিচয় দেয়। এক্ষেত্রে আরেকটু নমনীয় হলে ভালো হয়। তাছাড়া শুধু মাত্র লেখার প্যাটার্ন ধরে একজন ব্লগারকে আরেকজনের সাথে যুক্ত করাও ভুল। এ ব্যাপারে তিথীডোর আর বুনোহাঁসের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তবে তিথীডোর আর বুনোহাঁসের বিপরীতেও প্রচুর মন্তব্য এসেছে। এতোটা অসহিষ্ণুতাও কাম্য নয়। ধমকের কথা বলতে গিয়ে যদি আপনিও ধমকের আশ্রয় নেন তাহলে সেটা স্ববিরোধী হয়ে যায়। তাছাড়া একজন একটি ভুল একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর পর, এবং মন্তব্যকারীরাও ভুলটা স্বীকার করার পর, দ্বিতীয়, তৃতীয় ব্যক্তি বারবার কথাটা বলারও কোনো মানে নেই।

মনে হচ্ছে কেউ কেউ সচলায়তনের অদৃশ্য অসহিষ্ণুতা খুঁজতে গিয়েই বেশী অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছেন। যারা এ দলে আছেন তাদেরকে এ বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তাছাড়া সচলায়তনের পরিবেশ দম বন্ধ হলে অনুগ্রহ করে বিশ্রাম নিন, বাইরে গিয়ে বুক ভরে শ্বাস নিন। মাথা ঠান্ডা থাকলে সব পক্ষের আলোচনাই অনেক গ্রহনযোগ্য হবে।

অনিকেত এর ছবি

ধমকের কথা বলতে গিয়ে যদি আপনিও ধমকের আশ্রয় নেন তাহলে সেটা স্ববিরোধী হয়ে যায়।

মনে হচ্ছে কেউ কেউ সচলায়তনের অদৃশ্য অসহিষ্ণুতা খুঁজতে গিয়েই বেশী অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছেন। যারা এ দলে আছেন তাদেরকে এ বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তাছাড়া সচলায়তনের পরিবেশ দম বন্ধ হলে অনুগ্রহ করে বিশ্রাম নিন, বাইরে গিয়ে বুক ভরে শ্বাস নিন। মাথা ঠান্ডা থাকলে সব পক্ষের আলোচনাই অনেক গ্রহনযোগ্য হবে।

হা হা হা চমৎকার চমৎকার!

এই জন্যেই এখন এই অবস্থা। মডুদের নিজেদের ধারণা সচলায়তনে 'অদৃশ্য' অসহিষ্ণুতা বিরাজ করছে। চমৎকার

এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, আর আসমানী মডুর মনে হচ্ছে এখানে সব ঠিকঠাক চলছে। বাহ, বাহ---

আবার নিজেদের মাঝেও ধারণা নিয়ে গন্ডগোল। বেগুনী মডু উপরে লিখেছেন সাফির মন্তব্যটা "সচলায়তনে কাম্য সহনশীলতার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়"।মাননীয় আসমানী মডু এইটাও মনে হয় দেখছেন না।

ওহো, ভুল বললাম।

দেখছেন। আমার ধমক দেয়া দেখছেন (তাও ভাল, বলেন নি যে কলার চেপে ধরেছি)। বাকিদের কিছুই বেচারার চোখে পড়ছে না।

আমাকে বাতাস খেয়ে আসারও উপদেশ দিয়েছেন মডু সাহেব।

বেশ, বেশ

এরচেয়ে আপনারা সরাসরি বলে দিন না কেন, এইটা যেভাবে চলছে সেই ভাবে চলবে। বলে দিন, সচলায়তনে চরম শান্তি- সৌহার্দ্য বিরাজ করছে। গাছে গাছে পাখিরা গান গাইছে। বলে দিন, আমার নাক গলাবার কোন দরকার নেই। আমি আপনার কাছ থেকেই সেটা শুনতে চাই।

আমার আচরণটা এখন মনে হচ্ছে আসমানী মডু'র কাছে আবারো অসহিষ্ণু ঠেকবে। আমাকে হয়ত নসিহত করতে আবার নেমে পড়বেন।

দয়া করে সেই শক্তি টুকু বাঁচান। আপনাকে/ আপনাদের ডিনাইলে থাকতে শক্তির দরকার তো! আমার সাথে ফালতু তর্ক করে সেটা নষ্ট করবেন কেন?

বেগুনী-মডু এর ছবি

আপনার অবগতির জন্য স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে যে বেগুনী-মডু ও আসমানী-মডুর মতামতে কোন তারতম্য নেই। দুই মডারেটর দুইটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। আসমানী-মডু সার্বিক প্রসঙ্গে বলেছেন, বেগুনী-মডু বিশেষ একটি মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন।

আপনি দুই জন মডারেটরের পৃথক দুইটি মন্তব্য জুড়ে নিজস্ব উপসংহার তৈরি এবং তার ভিত্তিতে একটি উগ্র ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। আপনার সর্বশেষ মন্তব্যটিও কোন বিবেচনায়ই সচলায়তনে কাম্য সহনশীলতার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়।

সহনশীলতার অভাব সম্পর্কে সকল মডারেটর অবগত, একমত, ও সচেষ্ট। এ-প্রসঙ্গে পুনর্বার অনুরূপ মন্তব্য করলে আপনার মন্তব্য মডারেশনের আওতায় আনার কথা বিবেচনা করা হবে।

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা ---চমৎকার!!

এইরকমই কিছু একটা আশা করছিলাম!

"তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে---"

তথাস্তু---

রেনেট এর ছবি

মডু সাহেব,
সারাদিন ধরে চিন্তা করলাম এখানে নাক গলাবো কিনা। শেষ পর্যন্ত না গলিয়ে পারলাম না। একজন পূর্ণ সচলকে আপনারা হাস্যকর অজুহাতে মডারেশনের আওয়তায় আনার কথা বলছেন, অথচ আপনাদেরই হাত গলে কত শত নাম না জানা মানুষের বিশ্রী কমেন্ট ঢুকে পড়ে সচলে। দলছুটকে হাসির খোরাক বানিয়েছেন আপনারাই...যারই ফলশ্রুতিতে আজ অনেকেই নতুন কোন অতিথিকে আতিথ্য নয়, বরং প্রথম পোস্টেই আক্রমন করে... কোথায় থাকে তখন মডারেশন?
আপনাদের হাতে ছাড় পেয়ে আসা কোন অতিথি লেখককে যখন সচল/হাচল/অতিথিরা আক্রমন করে...তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তখন তো কাউকে ধমকে দিতে আসেন না! শুধু দায়সারা দুঃখ প্রকাশ করেন অতিথির কাছে, আর ঘাবড়ে না যাওয়ার উপদেশ দেন।

সচল নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানেই সচলের বিরোধিতা নয়। আমার মন্তব্যে যদি "নাশকতা" সৃষ্টির গন্ধ খঁজে পান, তাহলে আমাকেও লটকে দিয়েন অনিকেতদার সাথে, আপত্তি নেই।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মামুন হক এর ছবি

বিতর্কে উৎসাহী নই। রেনেটের সাথে আমাকেও লটকে দিয়েন মন চাইলে। আমার মতও যে একই।

বেগুনী-মডু এর ছবি

মডারেশন কখনই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়, তেমনটা সচলায়তনে চর্চিতও নয়। অতীতে কোন ভুল ধরে দিলে তা মডারেশনের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, মার্জনা চাওয়া হয়েছে। পাঠকের অনুরোধেই অতিথিদের লেখা প্রকাশের ব্যাপারে অতীতের তুলনায় শৈথিল্য এসেছে, পাঠকেরই প্রতিক্রিয়ায় তা পুনরায় কঠোর করা হয়েছে। মডারেশনে পাঠকের মতামতের প্রতিফলনের সুযোগ রয়েছে। যা নেই, তা হল যেকোন ছুতায় ও অমার্জিত ভাষায় মডারেটরদের আক্রমণ।

অসহিষ্ণু আচরণ রোধকল্পে পূর্ণ সচলদের দায়িত্ব সর্বাগ্রে আসে। অসহিষ্ণুতা সম্পর্কিত অনিকেতের প্রথম মন্তব্য মডারেশনে আনা হয়নি, কারণ তা আপত্তিকর নয়। জবাবে তাঁকে লেখা তির্যক মন্তব্যে মডারেশন নোট দেওয়া হয়েছে। অনিকেত তাঁর পরবর্তী মন্তব্যে নিজেই অসহিষ্ণু হয়ে মডারেশনকে আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেন। যেই মডু-নোট নিয়ে তিনি লেখেন, তাতে অতিথিদের প্রতি রুক্ষ ও কঠোর অভ্যর্থনার কারণে আরও দু'জন সচলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। অনিকেত পুরো মন্তব্যকে তাঁর নিজের প্রতি বলেই ধরে নেন, এবং সেই সূত্রে আপত্তিকর মন্তব্যটি করেন।

এ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে যে -- ১) মডারেশন তার এককালীন ভুলের কারণে অতিথিদের প্রতি কাউকে অনাদর করতে প্রশ্রয় দেয়নি, ২) পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মডারেশন করা হয়নি, ৩) অ-/আধা-/পূর্ণ-সচল বিবেচনায় কারও প্রতি বিশেষ সুবিধাবাদ দেখায়নি।

মডারেশনকে দোষ দেওয়া খুব সহজ। মনে রাখতে অনুরোধ রাখছি, একটি পোস্টে মডারেটরদের ভূমিকা খুবই নগণ্য। মডারেশন কারও বিপক্ষ নয়, কোন সচলও শতভাগ সময়ে ত্রুটির ঊর্ধ্বে নন। অসহিষ্ণুতা থেকে থাকলে তা সদস্যের অস্থির আচরণ ও মডারেশনের অসতর্কতার সামগ্রিক ফলাফল, কোন একক পক্ষ এর জন্য দায়ী নয়।

পুতুল এর ছবি

তাসরিভা, স্বাগতম সচলায়তনে।
উপস্থাপনের ভঙ্গিটা ভাল লেগেছে। পোস্ট করার আগে প্রিভিউ দেখে নেবেন। তাতে করে ঘটনার অংশ গুলো আলাদা অনুচ্ছেদে দিলে পড়তে আরাম লাগে। দুঃখিত আমিও উপদেশ দিয়ে দিলাম।

লেখক হয়ে যারা জন্মেছেন, লেখাটা তাদেরও শিখতে হয়েছে। প্রথম লেখা হিসাবে আমার লেখার চেয়ে আপনারটা হাজারগুন ভাল। লিখতে থাকুন হাত খুলে।

লেখার বিষয় নিয়ে পুরুষ হিসাবে লজ্জিত।

**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমরা আসলে জাতিগতভাবেই অসভ্য, এটা আমরা পদে পদে প্রমাণ করে যাচ্ছি। আমাদের নীচুতার প্রমাণ আমরা দিচ্ছি একেকটা থার্টিফাস্র্টে, একেকটা একুশে ফেব্রুয়ারিতে, একেকটা পহেলা বৈশাখে। চাকচিক্যময় পোশাকের নিচে যে আমাদের একটা কদর্য রূপ আছে, সেটাই বেরিয়ে পড়ে লিকলিকে জিহ্বা বের করে কোনো এক অনুকূল মুহূর্তে।

আপনার লেখাটা পড়ে তাসরিভা, একজন পুরুষ প্রাণী হিসেবে দংশিত হচ্ছি। যখনই কোথাও এ জাতীয় খবর গুলো চোখে পড়ে, নিজের অজান্তেই মনে হয় এই কাজটা তো করেছে আমারই মতোন দেখতে একটা ন-পুংশক পুরুষ! নিজের ভেতরে ছোট হয়ে যেতে থাকি কেবলমাত্র পুরুষ বলেই বোধ'য়!

আপনার এই লেখাটার বক্তব্য অনাবশ্যক কিছু সন্দেহের কারণে আড়াল হয়ে যাওয়াতে দুঃখ প্রকাশ করছি। যাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করছেন তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রেখেই অনুরোধ করবো, এই সন্দেহটা নিরুৎসাহিত হওয়া প্রয়োজন, একে নিয়ন্ত্রণ করুন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম তাসরিভা, লেখার প্রথম অংশে একদল কিশোরী মেয়ের প্রাণ চঞ্চলতা দারুণভাবে ফুটে উঠেছে, খুবই ভালো লাগল। এর আগে শামীম রুনা আপু ইভ টিজিং নিয়ে লিখেছিলেন, সেখানে এক তস্কর এসে যা তা বলে ছিলেন যুক্তির নামে, এবারে অবশ্য ঘটনা অন্যরকম, পোস্ট বাদ দিয়ে বানান আর নিক নিয়ে ব্যাপক মারপিট লেগে গেল, এটা দুঃখজনক। তার জন্যে নাহয় সবার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাইছি, সচলায়তন একটি পরিবার, আসেন সবাই উপরের সব ভুলে গিয়ে মিলে মিশে লিখি, মন্তব্য করি।

লেখার সাথে দলছুটের কোন মিল আমি পাইনি। লেখার পরের অংশ নিয়ে বলি, ২০০১-২ সালের কোন এক বানিজ্য মেলায় আমাদের সামনে এক ছেলে এক মেয়ের গায়ে হাত দিল ভীড়ের সুযোগ নিয়ে, মেয়েটা ঘুরে দাঁড়িয়ে কিছু বলার আগেই ঠাস করে এক চড় বসিয়ে দিল। সবার পক্ষে তো আর এমন করা সম্ভব না। মাঝে মাঝে মেয়েদের এমন অপদস্থ করার ঘটনা দেখলে খুব মেজাজ খারাপ হয়। যে উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা দিলেন, তার জন্যে লেখায় ৫ তারা দাগিয়ে গেলাম। আশা করি ভবিষ্যতে আরো লেখা পাবো আপনার কাছ থেকে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কৃষ্ণ কানহাইয়া এর ছবি

তাসরিভা
ক্রস ফায়ারে পড়ে গিয়ে, মাথা নিচু করে বসে থাকতে কেমন লাগে ?
সব লেখকের শুরুর দিকের লেখা গুলোতে এমনটা হয় যে, আপনি প্রচণ্ড আবেগ দিয়ে লিখছেন , কিন্তু আবেগ পাঠকে এতটা স্পর্শ করছে না।
সহজ ভাবে লিখে যান। ভাবনা জটিল হতে পারে ,লেখার ধরণ জটিল হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

রেনেট এর ছবি

পোস্টের কমেন্টসমূহ পড়ে আমি খুবই হতাশ। পোস্ট নিয়ে আলোচনার চাইতে বে লাইনে কথা বলতে আমরা বোধহয় ক্রমশ পটু হয়ে উঠছি। আমরা কি ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষোভ, ব্যর্থতা অনলাইনে ঝাড়ছি?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

তাসনীম এর ছবি

শুধু এই কমেন্টের জন্যই লগ ইন করা।

লিখতে থাকুন, আমি সহজ সরল লেখা পড়তে ভালবাসি। আমি পড়ছি, আপনি লিখুন।অনেক পাঠকই সমাগত, মন্তব্যে বিচলিত হবে না। একটু একটু করে আত্মপ্রকাশ করুন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

তাসরীভা,আমিও তাসনীম ভাইয়ের সাথে সহমত ।লিখতে থাকুন ,লিখতে লিখতেই একদিন হাচল,তারপর সচল হয়ে যাবেন।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।আশা করি আমরা আর লেখা পাব।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

দৃশা এর ছবি

তাসরিভা নামটা তো বেশ সুন্দর। নামের মত লেখার বিষয়বস্তুও ভাল, হয়তো প্রকাশভঙ্গি দুর্দান্ত রকমের হয়নি।প্রথম দিকের লেখায় খুব ভাল কিছু লেখকের কাছে একবারে আশা করে ফেললেও তো মুশকিল। কিন্তু আমাদের অনেকেরই প্রথম দিকে লিখা লেখাগুলোর চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে আপনার লেখা। লিখতে থাকলে নিশ্চয় আরো ভাল হয়ে যাবে। সেই শুভকামনা রইল।

আপনার বান্ধবীর ঘটনাটা নিয়ে এবার খানিকটা বলি। তাঁর উচিৎ ছিল সেদিন বান্ধবীদের কাছে কান্নাকাটি না করে বরং সেখানেই হারামীটাকে কইষা একটা থাবড়া দেওয়া। তার সাথে নিশ্চয় আরো কিছু বন্ধু ছিল। কয়েকটা মেয়ে মিলে একটা ইতরকে স্যান্ডেলাইস করা কি খুব কঠিন কিছু? ভদ্র ভাষায় প্রতিবাদ করে একটা বদমাশের বাজে কথা শোনার চেয়ে কোন মানুষের সাহায্যের তোয়াক্কা না করে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের সাহায্য করতে কিন্তু সক্ষম।ইতর যদি ইতরামী করে তবে তাকে তার ভাষাতেই ইতরামীর মজা বোঝান উচিৎ।কেউ ৫টা বাজে কথা বললে তার মুখের উপরই ১০টা বাজে কথা শুনানোর সাহস থাকা দরকার আমাদের। লোকে কি খারাপ ভাবলো, ঝগড়াটে না খারাপ বললো সেটা ভেবে চুপ থেকে তো নিজেদের কোন লাভ হচ্ছে না। ভদ্রতা দেখাবার আরো অনেক ভাল জায়গা আছে। আর যে সমস্ত সাহায্যকারী ভাই ব্রাদাররা সাহায্য করার নামে এসে ডায়লগ মেরে যান তাদের বলা উচিৎ ‘ব্যাটা তোরা তো মেয়েমানুষও না ছেলেমানুষও হইলি না, অন্তত ছাগলামী দেখাইস না’।

আমরা বাঙ্গালীরা হুজুগের পাব্লিক। কেউ কোন অযুহাতে কাউকে মারলে বাকীরাও কিছু শুনে না শুনে মারা শুরু করে, কেউ কাউকে গালি দিলে বাকীরাও গালি মেরে ধুমা উড়াই এই ভেবে যে ‘ইস নইলে তো মজাটা মিস হয়ে গেল’। মানুষের জীবনে মজার এতো অভাব হয়ে গেছে যে অন্যের ভয়াবহ ক্ষতি করে হলেও ছোট করে হলেও সাময়িক মজা নিতে চায়। আপনার বান্ধবী যদি ঐ হারাম##কে কোন সুযোগ না দিয়েই ধুমায়ে কয়েকটা কিল দিত বা মাইর দিত তাহলে দেখা যেত যারা ডায়ালগ দিচ্ছিল তারাই তখন প্যান্টের উপর বক্সার পিন্ধে সুপারম্যান সাজার চেষ্টা করছে। আমরা মানুষরা বিচিত্র জীব, আক্রান্তের উপরই আক্রমণ করতে ভালবাসি। লক্ষ্য করবেন ইতিহাস কেবল বিজয়ীদেরই জয়গান করে(এটা আবার আমার ডায়লগ না, কিন্তু ঘটনা সত্যি)। আপনার বান্ধবীকে বলবেন আনন্দের দিনে নিজে না কেঁদে বরং ঐ ইতরকে নিজেরা মিলে ছ্যাঁচে আসা উচিৎ ছিল। জীবনে এমন ঘটনায় সামনে হয়তো আবারও সম্মুখীন হতে হবে, তখন যেন নিজেকে সাহায্য তিনি নিজেই আগে করেন, তাহলে অন্যদের সাহায্যের আর অভাব হবে না। এই কথাগুলো আমি যতটা সহজ ভাবে বলেছি, করাটাও কিন্তু সহজ যদি নিজেকে নিজে সম্মান করার সাহায্য করার ইচ্ছা আমাদের নিজেদের থাকে।

আপনি ভাল থাকুন তাসরিভা। আশা করি আপনার বান্ধবীকে এমন ঘটনার সম্মুখীন যেন আর না হতে হয়। উপরের বলা কথাগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। হাসি

দৃশা

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ
(১)যারা লেখার মূল বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন তাদের
(২)যারা আমার লেখার বিভিন্ন দোষ-গুণ খুঁজে বের করেছেন তাদের
(৩)যারা আমার মানসিক অবস্থার কথা চিন্তা করে আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন তাদের এবং
(৪)যারা সচলের নিয়ম কানুন নিয়ে নাড়াচাড়া করেছেন তাদেরও

আমি অনেক কিছুই শিখেছি। কারণ যখন শুধুই পাঠক ছিলাম তখনের এবং এখনের সচল সম্পর্কিত আমার অভিজ্ঞতা একেবারেই ভিন্ন। তবে আমি ছোট মানুষ হিসেবে একটা অনুরোধ করতে চাই। আমার রাগ অনেক বেশি বলে আমার আম্মু সবসময় আমাকে একটা উপদেশ দেন তা হচ্ছে “রেগে গেলে তো হেরেই যাওয়া হল”। আমি ছোট তাই অনুরোধ করছি। রাগারাগি,ঝগড়া,কথা কাটাকাটি প্লীজ করবেন না। আপনারা হয়ত জানেন না আমার লেখাতে আমি যখনি মন্তব্যের সংখ্যা বাড়তে দেখছিলাম তখনি ভয় পাচ্ছিলাম। এইজন্যে না যে আমার লেখা সম্পর্কে কোনো খারাপ মন্তব্যে আমি কষ্ট পাবো। শুধুই এই জন্যে যে, না জানি আবার কী ঝামেলা হল। এতো ঝামেলাতে সত্যি খুবি মন খারাপ হয়েছিল। এক পর্যায়ে তো নিজেকেও দোষী মনে হচ্ছিল। যাই হোক,সবাই ভালো এবং হাসিখুশি থাকবেন। আমিও চেষ্টা করব ভালো লেখা দিতে পারার। আর পড়াশোনার জন্যে লেখালেখিতে বেশি সময় দিতে না পারলে প্লীজ ভাববেন না আমি হারিয়ে গেছি। আবারো ধন্যবাদ সবাইকে।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আল ইজ ওয়েল, আল ইজ ওয়েল...

অতিথি লেখক এর ছবি

তাসরীভা,
আপু শোন, লেখা পড়ে ভাল লেগেছে... ঘটনাটা না, ভাল লেগেছে মেয়েরা আজকে একটা public platform-এ এনিয়ে লিখছে দেখে! আক্ষেপজনক যে তোমার লেখার গুরুত্ব হারিয়েই যাচ্ছিল প্রায় রকমারী মন্তব্যের ভীড়ে! ব্যক্তিগতভাবে জানাতে চাই, পড়বার সময় আমার নিজের অন্তত মনোযোগ ছিল বানান/ব্যাকরণ/যতি-চিহ্নের চাইতে লেখার বিষয়ের প্রতি বেশি, বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, আর তোমাকে নিশ্চয়ই অতটাই প্রভাবিত করেছে যে online-এ নিজের প্রথম দিকের লেখাতেই এত sensitive issue তুলে ধরেছ।

নিজে মেয়ে, আর বয়সেও খানিক বড় হিসেবে অভিজ্ঞতাও খানিক বেশি-ই ধরে নিও, সম্প্রতি সুনীলের 'সেই সময়' পড়তে শুরু করে আবিষ্কার করলাম নিজেকে বেশ lucky মনে হচ্ছে যে আমি 'সে সময়ে' না জন্মে 'এই সময়ে' জন্মেছি! আমাদের দেশে মেয়েদের এত দূর্দশার মাঝেও এখন অন্তত আমাদের কথা বলবার, এমনকি করে দেখাবার অধিকারটাও আছে, আর ক্ষেত্র বিশেষে না থাকলেও সাহস করলে তা আদায় করা যায়!
খুব আফসোস হচ্ছে মেয়েটির সাথে আমি ছিলাম না বলে, দৃশার সাথে একমত পোষণ করছি যে তক্ষুনি দু'ঘা লাগান খুব জরুরি ছিল। রেগে টং তাকে কাঁদতে মানা কোর। বোলো,
মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলেছিলেন - "You must be the change, You want to see."
সমাজে, জীবনে যে যেখানে আছি, সেখান থেকেই নিজের কাজের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটাতে হবে যে পরিবর্তনগুলি দেখতে চাই তার জন্যে, নিজেকেই কাজ করতে হবে সেই পরিবর্তনের জন্যে। অন্যে আসবে না তোমার আমার সমস্যা সমাধানে, অন্যের উপর নির্ভরতার দরকারও নেই! তুমি ঘটনাস্থলে ছিলেনা, কিন্তু এখন যে তুমি এই লেখাটা লিখেছ, আমার মতে এটা একধরণের জনসচেতনতা সৃষ্টি করছে, এভাবেই তোমার দায়িত্ব পালিত হচ্ছে। আর এজন্যে সাধুবাদ তোমাকে। এভাবেই হবে, আমরা নিজেরা নিজেদের সমস্যাগুলি সাহসের সাথে সমাধানের চেষ্টায় ব্রতী থাকলে। তুমি হয়ত করবে তোমার লেখার মাধ্যমে, (পরীক্ষার পরেই না হয়, অন্যের ভুল সংশোধনের তোড়ে ভেসে যেও না যেন)!

সেইসব সুদিনের প্রত্যাশা রইল। হাসি

___________________________________
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার

তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,
প্রাণপণে এ পৃথিবীর সরাব জজ্ঞাল

অতিথি লেখক এর ছবি

ওহ! আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি তোমার নামের বানানটা ভুল লিখে ফেলায় খাইছে
ব্যাপারটা ironic লাগছে অবশ্য! চিন্তিত
ভাল থেক।

___________________________________
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার

তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,
প্রাণপণে এ পৃথিবীর সরাব জজ্ঞাল

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আপনাকে কী বলে সম্বোধন করব? আপনার নাম খুঁজে পাইনি। আমাকে জানান দয়া করে। আর আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপু আমি অত ভাল লিখতে পারি না বলে আমার উপস্থাপন সুন্দর হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি যে সমস্যা তুলে ধরতে চেয়েছি তা অন্তত কিছু মানুষের কাছে পৌঁছেছে তাতেই অনেক ভালো অনুভব করছি। আমি সচলে লেখা শুরু করার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমার লেখার বিষয়বস্তু হবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই "সমস্যা ও চৈতন্যোদয় " সম্পর্কিত। তাই আপু আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি কারণ আপনি আমার অনুভূতিটা বুঝতে পেরেছেন এবং এত সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন আমার অনুভূতি সম্পর্কে যা বোধ হয় আপনাকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে আমিও পারছিনা। আমি লেখালেখিতে অতটা পারদর্শী নই। তবে চেষ্টা করব ভালো করে লিখতে যাতে আমার লেখার মাধ্যমে "সমস্যা ও চৈতন্যোদয় " সম্পর্কিত বার্তাগুলো সবার কাছে পৌঁছায়। আমাকে আপনার নামটি জানান আপু,প্লীজ।
-তাসরিভা

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে সম্ভবত নিয়মিত লেখক হিসেবে রেজিস্টার্ড না হওয়া পর্যন্ত অতিথি লেখকদের individual তথ্য শেয়ারের ব্যাবস্থা নেই, বা একে অপরকে ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠাবার (থাকলে তোমাকে অন্য আরেকটি বিষয়ে লিখতাম)।
যাই হোক সচলে 'যাযাবর ব্যাকপ্যাকার' হিসেবে পরিচিতি পেতেই আগ্রহী। এখন তোমার ইচ্ছে কি নামে ডাকবে। যা ডাকবে তাতেই খুশি আমি। আমার মন্তব্য তোমার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ তোমার উছ্বসিত reply-এর জন্যে! হাসি

___________________________________
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার

তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,
প্রাণপণে এ পৃথিবীর সরাব জজ্ঞাল

অতিথি লেখক এর ছবি

রেনেট লিখেছেন:
পোস্টের কমেন্টসমূহ পড়ে আমি খুবই হতাশ। পোস্ট নিয়ে আলোচনার চাইতে বে লাইনে কথা বলতে আমরা বোধহয় ক্রমশ পটু হয়ে উঠছি। আমরা কি ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষোভ, ব্যর্থতা অনলাইনে ঝাড়ছি?

দিত্তো (Ditto)!
___________________________________
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার

তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,
প্রাণপণে এ পৃথিবীর সরাব জজ্ঞাল

জি.এম.তানিম এর ছবি

সচলে স্বাগতম। লিখতে থাকুন।

লেখার বিষয়ে বলি, আমাদের চারপাশেই ভদ্রলোকের মুখোশে ঘুরে বেড়ায় এমন অনেক অমানুষ। নিজের বাড়িতেও নিরাপদ নয় অনেকে। লোকলজ্জার ভয়ে মুখ খোলে না অনেক মেয়েই। আর প্রতিবাদের অভাবে অপকর্ম চলতেই থাকে। তাই যার যার নিজের জায়গা থেকে সরব হতে হবে। চিন্তাগুলিকে আরও গুছিয়ে লিখুন। ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল [অতিথি] এর ছবি

আমি এই লেখাটি গত ১৫ই এপ্রিল থেকে দেখছি আর ভাবছি। প্রথমে ভাবনা ছিল লেখার বিষয়বস্তুগত। পরবর্তীতে তা অযাচিত এক বিষয় কেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশেষে আমার বয়ান।
আমি বাংলায় কাচা, বলতে পারি লিখতে পারি কম। আমি কি ব্লগ লিখতে পারব না? পারব না আমার বক্তব্য তুলে ধরতে?
আমি যেখানে পড়ি সেখানে যেপরিমাণ চাপ তাতে নিয়মিত লিখতে পারব না। তাহলে কি আমি লিখব না?
একদম সত্যি একটা উদাহরণ। আমি কি নামে নিবন্ধন করেছি আমার মনে নেই। কেন?কারণ নিবন্ধন ক্রেছিলাম ২০০৯ এ। ভুলে গেছি আমার নিবন্ধিত নাম। এখন আমি নতুন ইমেইল খুলে নিবন্ধন করলাম। আমার আইডেন্টিটি কি তাতে বদলে গেল?আমি কি অন্য মানুষ হলাম?
এর আগের লাইনে ক্রেছিলাম আসলে করেছিলাম হবে। ধরুন আমি সেটা খেয়াল করিনি এবং সময়ের অভাবে আমি মডারেশন করতে পারিনি। তার অর্থ কি এই আমার লেখা খারাপ এবং আমার বিষয়বস্তু মূল্যহীন হয়ে গেছে?
আমি ব্লগ লিখি (সচলায়তনে নয়) নিজের বক্তব্য, অভিমত আর ধ্যান-ধারণা তুলে ধরতে। আমার বানান নিয়ে যে কেউ যা খুশি বলতে পারেন ভদ্রভাবে, তাতে আমার কোন ক্ষতি হবে না। যদিও আমি লেখার পর রিভিশন দেই না।
তাসরিভা আপুকে ধন্যবাদ যে তিনি এখনও এখানে আছেন বলে। কারণ শেষের দিকের মন্তব্যে তার উপস্থিতি তেমন দেখছিলাম না( এর অর্থ এই নয় যে তার মন্তব্য করা উচিত ছিল)। আমি কেবল মাত্র পাঠক। পুরো লেখাটা এবং কমেন্টগুলো পড়েছি। সচলে কেবলমাত্র পড়া হয়। লেখা বা কমেন্ট কোন কিছুই করা হয় না।পড়তে কম সময় লাগে, লিখতে লাগে প্রচুর চিন্তা লাগে আর যারা নিয়মিত নয় তাদের তো বড় ভয় সব ঠিক লিখেছি তো।
তাসরিভা আপুর জন্যই( ভাল অর্থে) আমার আবার নিবন্ধন করা। যারা তার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। কারণ তাসরিভা আপু তার জবাব কোন দ্বিধা ছাড়াই দিয়েছেন। আমাদের দেশের মেয়েদেরকেই বেশিরভাগ সময় এসবের মুখোমুখি হতে হয়। অধিকাংশই মুখোমুখি হতে পারে না কারণ আমাদের সমাজ ব্যবস্থা তাদের সেই মেকানিজম দেয়নি।
আমি এখন একটু হাস্যরস করব। আমাদের দেশে বাংলা মাধ্যমে কিছু শ্রেণীর শিক্ষক আছেন যারা নিজেরা স্ব-বিষয়ের বিষয়বস্তু কিছুই বোঝেন না। খালি অন্যান্য দিকে নজর দেন এই ধরেন হাতের লেখা, বানান, মাত্রা, কমা, কোলন এই সব আরকি। ছাত্র যদি শিক্ষকের চেয়ে বেশি বোঝে তাহলে তো কথা নেই।
আপু আপনার মত আমারও রাগ অনেক বেশি। যে কারণে আমি কোন জনমুখর অনুষ্ঠানে যাইনা। আমি এসব দেখে সহ্য করতে পারিনা। মাথা গরম হয়ে যায়। মারতে ইচ্ছা করে। আর প্রতিবাদ করলে কি হয় তা তো আপনার বান্ধবী দেখতেই পেয়েছেন।
যে এই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে সেই কেবল জানে মনের ভিতর কি চলতে থাকে। আমি আমার বন্ধুদের সাথে এমন হতে দেখেছি, তাদের সবার একই প্রশ্ন কেন? অনেক আগে একটা লেখা লিখেছিলাম http://prothom-aloblog.com/users/base/nilkantomoni/20 প্রচন্ড ক্ষোভে। দেখে ভাল লাগল কেউ একজন অন্তত এসব নিয়ে ভাবছে।
আপনার বান্ধবী একজন শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হয়ে যদি এসবের মুখোমুখি হন তাহলে চিন্তা করুন আর মেয়েদের কি অবস্থা?
কিন্তু না, আমাদের সেসব দেখবার বা বোঝার সময় নেই। আমার মনে হয় যারা এসব করেন তাদের কাছেই এসব নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার। তাদের কাছেই বিষয়বস্তুর চেয়ে বানান বড়, দলছুট হওয়া বড়, হাস্যরস বড়।
আমি আগে কিছু লেখা পড়েছি সচলে, পড়ে মনে হয়েছে উন্নত চিন্তার আর মননশীল ব্যক্তিরাই এখানে লেখেন। নিজেকে তাই একটু দূরে দূরে রাখতাম, ভাবতাম আগে কিছুটা উর্বর হয়ে নেই।এখন মনে হচ্ছে লেখার মাঝে মননশিলতা মনে হয় সবার আছে কিন্তু উন্নত চিন্তা মনে হয় নেই।
আরও অনেক কিছু লেখার ছিল কিন্তু সময়ের কারণে এখানেই থামতে হচ্ছে।
ভাল থাকবেন।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

নাশতারান এর ছবি

পুরো ঘটনাপ্রবাহে আহত বোধ করেই বলছেন বোঝা যাচ্ছে। ঠান্ডা মাথায় পুরোটা পড়লে বুঝবেন ব্যাপারটা ইতোমধ্যে মিটে গেছে। ভুল হয়েছে, দুঃখপ্রকাশ হয়েছে, তর্কাতর্কিও হয়েছে। আমরা সবাই বানান ভুল করি। এবং একজন আরেকজনকে ধরিয়ে দিই। নিজেকে জাহির করার উদ্দেশ্যে কেউ সেটা করে না। তার চেয়ে বড় কথা আমরা মানুষ। আমাদের আচরণ, প্রকাশভঙ্গি সবসময় নিখুঁত হয়না। আপনি এখানে লিখুন। বানানের ভুলের জন্য কেউ অন্তত তেড়ে আসবে না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।