[মুক্ত বিহঙ্গ]
সোমবার
জানুয়ারি ২, ২০০৬
বুধবার
জানুয়ারি ১১, ২০০৬
আজ আমাদের দু’জনের পোষাকের রঙ এক ছিল। জ্যোতি পড়ে এসেছিল হালকা নীল রঙের সালোয়ার কামিজ আর আমি একই রঙের টি-শার্ট। আমি ল্যাব ক্লাসে ওর সামনে দিয়ে বারবার ইচ্ছে করে হেঁটে গিয়েছি; একবারও তাকায়নি আমার দিকে!
বুধবার
জানুয়ারি ২৫, ২০০৬
আজকের ল্যাবে আমরা দু’জন একই গ্রুপে ছিলাম। এই প্রথম এতটা কাছাকাছি! কিন্তু জ্যোতি আরেক গ্রুপমেট পল্লবের সাথেই বেশি কথা বলছিল; সেটা কি পল্লব আমার চাইতে বেশি ভালো ছাত্র বলে? জ্যোতি একবারও বুঝতে পারেনি, ও যতবার পল্লবের সাথে হেসে হেসে কথা বলছিল, ততবারই আমি কী পরিমাণ কষ্ট পেয়েছি!
সোমবার
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০০৬
আগামিকাল একটা ক্লাসটেস্ট আছে। কিচ্ছু পড়তে পারছিনা! মোবাইলে কয়েকবার জ্যোতির নাম্বার টাইপ করে রেখে দিয়েছি। আর ফোন দেবার সাহস হচ্ছেনা। ইতোমধ্যে দু’বার ফোন দিয়েছি কালকের ক্লাসটেস্টের সিলেবাস শুনবার জন্য। আমার ক্লাস লেকচারে কিচ্ছু নেই যে পড়বো; কয়েক পৃষ্ঠা যাবত শুধু জ্যোতির নাম লেখা! বিভিন্ন রঙের কলম দিয়ে লেখা, শুধুই জ্যোতির নাম।
শুক্রবার
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০০৬
এখন রাত চারটা বাজে। বিছানায় শুয়েছি রাত একটায়; এখনো ঘুম আসেনি। বিছানায় শুধু এপাশ-ওপাশ করেছি গত তিন ঘন্টা যাবত। জ্যোতির সাথে কথা বলতে বড্ডো ইচ্ছে করছে। কিন্তু বুঝতে পারছি এতো রাতে ফোন দেয়া ঠিক হবে না। আর ফোন দিয়েই বা কি বলবো! সে তো এখনো জানেনা আমি তাকে কতটা ভালোবাসি!
সোমবার
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০০৬
আজকেও বলতে পারলাম না। মাত্র চারটি বর্ণের একটি শব্দ, ‘ভালোবাসি’; অথচ এই শব্দটা মুখে উচ্চারণ করতে যে এত কষ্ট, আগে বুঝিনি! জ্যোতির জন্য নিয়ে যাওয়া পাঁচটা লাল গোলাপ ব্যাগের মধ্যেই রয়ে গেল। আজ পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে ক্লাসের সব মেয়ে বাসন্তি রঙের শাড়ি পড়ে এসেছিল। শাড়িতে জ্যোতিকে আজ সাক্ষাৎ দেবীর মত মনে হচ্ছিল। বিশেষ করে ওর কপালের টিপটা যা সুন্দর মানিয়েছিল! একটা ক্লাসেও মন দিতে পারিনি। যথারীতি জ্যোতির নাম লিখে খাতা ভরিয়েছি। এখন আমি একটানে ‘জ্যোতি’ লিখতে পারি। আর একটু হলে শামিমের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছিলাম! ক্লাসের মধ্যে হঠাৎ শামিম আমার কাছে লেকচার খাতা চাইলো; দুইটা ইকুয়েশন মিস্ করেছে বলে। আমি বললাম, আমিও ইকুয়েশন দু’টো লিখতে পারিনি।
আগামিকাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি; ভ্যালেন্টাইন’স ডে। কাল জ্যোতিকে বলতেই হবে কথাটা। জানিনা কিভাবে বলবো। ওর চোখের দিকে তাকালেই আমার সমস্ত পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে যায়, মুখে কোন কথা আসেনা। ভাবছি কাল এই ডায়রিটা দিয়ে দেব ওকে, সাথে একগুচ্ছ গোলাপ ফুল। হয়তো আমি জ্যোতির যোগ্য নই, তবুও। শুধু এইটুকু জানি, জ্যোতিকে আমার চাইতে বেশি আর কেউ কখনো ভালোবাসতে পারবেনা।
মন্তব্য
বিহঙ্গ ভাই, দারুন হইছে...
অ.ট. কি এই নামে ডাকলে চলবে?
পাগল মন
পাগল মন,
অনেক ধন্যবাদ
অ.ট. চলবে
- মুক্ত বিহঙ্গ
ভালো লাগলো গল্পটা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ইসলাম,
শুনে খুব খুশি হলাম
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
- মুক্ত বিহঙ্গ
ঐ শব্দটাই জীবন গড়ে আবার জীবন ভাসায়........জ্যোতির আলো উদ্ভাসিত হয়েছে কিনা জানি না তবে লেখার সূর্য্য রশ্মি ছড়ালো গল্প। ভালো লাগল।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
অম্লান অভি,
"ঐ শব্দটাই জীবন গড়ে আবার জীবন ভাসায়........" - সহমত [যদিও অভিজ্ঞতা নাই]
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
- মুক্ত বিহঙ্গ
- জ্যোতিরে কইষ্যা মাইনাস দেই চলেন। এইটা কোনো কথা হৈলো?
আর আপনেও মিয়া! এতো পেরেশানির কী আছে। গিয়া সামনে খাড়ায়া কৈবেন, "অই জ্যোতি, ল যাইগা!" ব্যস, একলাফে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। তারপর গান... (গানটা মনে আসতেছে না। আসলে রিকমেন্ড করবো নে)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহারে যদি ধুগোর মতন সাহসী হইতার্তাম !!!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধুগোদা,
সচল জাহিদ এর মত আমিও বলি, "আহারে যদি ধুগোর মতন সাহসী হইতাম !!!"
আর এই গানটা হলে কেমন হয়, বলেন তো??
- মুক্ত বিহঙ্গ
- জাহিদ ভাইয়ের সাহসের কথা ইতিহাস জানে। মিতু ভাবী সেটার সাক্ষী!
খালি খালি ওনার পিণ্ডি ধুগোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টায় দিক্কার!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ক্যাটেগরীতে 'অনুগল্প' দেখে বুঝতে পারছিনা। এটা কি লেখকের নিজস্ব দিনলিপি নাকি গল্পের কোন চরিত্রের দিনলিপি? গল্পের চরিত্রের দিনলিপি হলে সেক্ষেত্রে কিছুটা ভূমিকা দাবী করে অথবা উপসংহার। লেখকের দিনলিপি হলে অবশ্য ভিন্ন কথা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচল জাহিদ,
ইয়ে .... মানে ...... এটা লেখকের নিজের দিনলিপি নয়। নিজের হলে 'অণুগল্প' না বলে 'দিনপঞ্জি' বলতাম
একবার ভেবেছিলাম কিছু ভূমিকা দেবো, কিন্তু পরে মনে হলো তাহলে ডায়েরির ফ্লো টা নষ্ট হয়ে যাবে। আর উপসংহার দেবার চিন্তা করিনি, কারণ অণুগল্পের শেষটা এভাবেই করতে চাচ্ছিলাম।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
তবে আপনার মতে কেমন ভূমিকা অথবা উপসংহার হতে পারতো- জানালে খুব খুশি হবো
- মুক্ত বিহঙ্গ
আমার বিচারে একধরনের ভূমিকা হতে পারে এরকমঃ
[ধরে নেই গল্পের ডায়েরী লেখক চরিত্রের নাম ববি !!!]
ববির লেখালেখির ঘরটা বাড়াবাড়ি রকমের এলোমেলো। শেলফ, মেঝে সব জায়গাতে ছড়ানো ছিটানো অসংখ্য বই, কিছু কিছুতে পুরু হয়ে ধূলা জমেছে। ববির এই ঘরটা যেন পুরোপুরি ওর নিজস্ব জগৎ, জ্যোতি তাই কেন জানি খুব একটা আসেনা এখানে। আজ বাসা গোছানোর সময় কি জানি মনে করে এই ঘরটিও গোছাতে এলো জ্যোতি। ছোট ছোট বই গাদাগাদি করে রাখা, জ্যোতি সেগুলো শেলফে তুলে রাখছিল, হঠাৎ ওর চোখ গিতে পড়ে নীল রঙের ডায়েরীটির উপর। কৌতুহল ভরে জ্যোতি পড়া শুরু করে ...
অথবা এরকম উপসংহারঃ
হঠাৎ জ্যোতির ডাকে পেছনে তাকায় ববি,
' ইস চা টা একেবারে ঠান্ডা হয়ে গেছে, কিছু পড়া শুরু করলে তুমি যে কোথায় চলে যাও'
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচল জাহিদ,
আপনার জবাব নেই!!!!
অসাধারণ!!!! অনেক ধন্যবাদ
তবে ...... ইয়ে .... মানে ....... চরিত্রটির নাম 'ববি' না হলেই কি হতো না!!!
- মুক্ত বিহঙ্গ
জাহিদ বস,
ভূমিকাটা অসাধারণ লেগেছে এটা অবশ্যই বলব, কিন্তু এটার সমস্যা আছে! এর মাধ্যমে ববি-জ্যোতির প্রেমকাহিনীর যে সফল সমাপ্তি ঘটেছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে!
কিন্তু লেখকের গল্পটিতে ওদের পরিনতি বোঝার কোন উপায় নেই; মনে প্রশ্ন থেকেই যায় ববি কি জ্যোতিকে বলতে পেরেছিল?
এবং সেজন্যই আমার কাছে একটু বেশী ভাল লেগেছে অনুগল্পটা।
বুঝতে পারসো না বস, কি বলতে চাইতেসি?
=======================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
কি যে দিলেন আমি তো রসে গেলাম। আমার কিছু উটক ভাবনা আছে। আপনার হাতে গেলে আমি আমিই হয়ে যাব। একটু টিপস্ দেবেন মাঝে মাঝে। তবে গ্যাবেজের কিছুটা জায়গা খালি থাকবে ভবিষ্যতে। ভূমিকা এবং উপসংহারের নাটকীয়তা ভালো লাগল। ববি নামটা জ্যোতির সাথে কেমন লাগল। তবে নামে কি আসে ববিই থাক। দারুণ শিক্ষণীয়।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ধুগোদা,গানটা হলোঃ
চল না ঘুরে আসি অজানাতে ,যেখানে নদী এসে মিশে গেছে..............................।।
ভাল গল্প।আরো খুশি হব যেদিন তা সত্য হবে।
মিতু
রিফাত জাহান মিতু
মিতু,
সুন্দর গানটার জন্য ধন্যবাদ
খুব খুশি হলাম আপনার ভালো লেগেছে শুনে। সেই দিনের প্রত্যাশায় আমিও ......
- মুক্ত বিহঙ্গ
- খ্যা খ্যা খ্যা...
আমি কি এরকম একটা ঠাণ্ডা মার্কা গানের কথা বলছিলাম নাকি!
একটু উড়াধুরা নাচ সম্বলিত গান না হলে কি আর জমে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাহ, অসম্ভব বাড়াবাড়ি রকমের ভাল লাগল এই দিনলিপিটা!
সেরকম ছুঁয়ে গেছে এই লাইনটা। এই একটা লাইনের কারনেই আমার তরফ থেকে ভার্চুয়াল পাঁচ তারা!
=========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
কাকুল কায়েশ,
তাহলে অসম্ভব বাড়াবাড়ি রকমের একটা ধন্যবাদ আপনার জন্য
ভার্চুয়াল পাঁচ তারা-র জন্য ভার্চুয়াল পাঁচ টা ধন্যবাদ এক্সট্রা
বি.দ্র. এটা কিন্তু দিনলিপি না !! অণুগল্প !!
- মুক্ত বিহঙ্গ
আপনার এ যাবতকালের সেরা লেখা। এমন ঘোরলাগা প্রেম নাকি জীবনে একবারই হয়।
--------
|| শব্দশুদ্ধি ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুনোহাঁস,
আহ! এমন প্রশংসা শুনলে মনটা জুড়িয়ে যাবার সাথে সাথে কেমন যেন একটু লজ্জাও লাগে
"এমন ঘোরলাগা প্রেম নাকি জীবনে একবারই হয়" - তাই নাকি?! অবশ্য আমার জীবন এখনো ফুরিয়ে যায়নি আশা করি
ব্যক্তিগত বিশেষ অনুরোধঃ [বুনোহাঁস এবং তিথীডোর-এর প্রতি] বানানশুদ্ধি নিয়ে সচলায়তন-এ যত তর্ক-বিতর্ক-ই থাকুক না কেন, আমার লেখায় আপনাদের দুইজনের মন্তব্য [বানানশুদ্ধি সহ]-এর জন্য আমি সবসময় প্রতীক্ষায় থাকবো! দয়া করে আমাকে নিরাশ করবেন না
আপনি কি আমার মন্তব্যের নিচের লিঙ্কটি অনুসরণ করেছেন?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মুগ্ধ করে দেবার মত একটি উদ্যোগ। সাধুবাদ জানাই বুনোহাঁসকে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ, জাহিদ ভাই। আপনার সমর্থন পেয়ে আশ্বস্ত বোধ করছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
@বূনোহাঁস, অসাধারণ ভাবনা!!! স্যালুট, বনের মোষ তাড়ানোর কাজে এতটা সময় দেবার জন্য
বূনোহাঁসটা জানি কে? চেনা চেনা লাগে নামটা!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
টাইপো হইসে বইন, মাফ দাও
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
করে মুগ্ধ হয়ে ওখানে মন্তব্য করার ব্যর্থ চেষ্টা করে চলে এসেছি।
দুর্দান্ত আইডিয়া।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কী আপদ! দুবার আসে ক্যান?
চ্যরি!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ইঁদুরঘটিত বিপত্তি
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তেব্র পেতিবাদ! মোটেও ইঁদুরঘটিত না, এইটা ছিলো চাবি আর জাল সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা!
ইঁদুর সমস্যা তিথীডোরের একান্ত সম্পদ!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ মর্ম,
মনে রেখেছেন বলে...
বুনোপা,
দারুণ আইডিয়া!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসাধারণ উদ্যোগ বুনোহাঁস !!!
ধন্যবাদ আর না দেই, আমরা-আমরা-ই তো
-মুক্ত বিহঙ্গ
শরত্বাবুকে হঠাত্ মনে পড়লো- "বড় প্রেম শুধু কাছেই টানেনা, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।"
একথা মনে হলো কেনো?
উত্তর দিচ্ছেন রবিবুড়ো-
"নিশীথে কী কয়ে গেলো মনে
কি জানি কি জানি নিশীথে..."
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মর্ম,
আপনাকে কি বলিয়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিবো বুঝিতে পারিতেছি না!!
- মুক্ত বিহঙ্গ
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার এ লেখাটা আগের লেখাগুলোর চেয়ে অনেক ভাল লাগল!!!
ব্যস, এবার লিখতে থাকুন
আনন্দী কল্যাণ,
হুমম... বুঝতে পারছি। আমাকে প্রেম বিষয়ক অণুগল্পেই থাকতে হবে বেশ কিছুদিন
অনেক ধন্যবাদ
- মুক্ত বিহঙ্গ
ভাইয়া লেখাটা অনেক ভাল লাগলো। আপনি স্বীকার না করলেও এই দিনপঞ্জিতে ববি ভাইকে ভালই দেখতে পাচ্ছি
প্রেমের এই স্টেজে এই ফোনকলগুলা যে কী দুর্দান্ত রকমের রোমহর্ষক হতে পারে, এই জিনিস যে করে নাই, তার পক্ষে বোঝা সম্ভব না
সাবিহ ওমর,
আমি জানিনা কেন সবাই আমার লেখা অণুগল্পের পুরুষ চরিত্রে বার-বার আমাকে-ই খুঁজে পায়!!! কী মুছিবত!!!
"প্রেমের এই স্টেজে এই ফোনকলগুলা যে কী দুর্দান্ত রকমের রোমহর্ষক হতে পারে, এই জিনিস যে করে নাই, তার পক্ষে বোঝা সম্ভব না" - সহমত [ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই ]
- মুক্ত বিহঙ্গ
কী যে বলেন ব্রাদার! আপনার লেখা পড়েই বোঝা যায় এটা আপনি। যেমন ধরেন গল্পের মধ্যেও আপনার ফেরেন্ডো সেই পল্লব ভাই-ই। চিত্ত রাখেন ভয়শুণ্য, ববি ভাই, প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া...ধুগোর মত ডাইরেক্ট একশন...
সাবিহ ওমর,
আমি মনে হয় সফল লেখক [!!!] চরিত্রকে বাস্তবে নিয়ে আসতে পারি
এভাবে প্রতিটা অণুগল্পের নায়ক চরিত্র আমি হলে তো চিত্ত নিয়ে চিন্তিত হয়ে যাবো!!!
- মুক্ত বিহঙ্গ
দারুণ। যেমনটা হয় তার খুব কাছাকাছি। এই সময়টাই মনে হয় সবচেয়ে বেশি রোমান্টিক। বলে ফেললে একরকম জ্বালা আর না বলতে পারলে তো বলাই বাহুল্য।
ধারাবাহিক চালাতে পারেন কিন্তু। মজাই হবে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
রেশনুভা,
অনেক ধন্যবাদ
ধারাবাহিকের কী দরকার? এর চাইতে "অন্তরে অতৃপ্তি রবে..." - সেটাই ভালো নয় কি??
- মুক্ত বিহঙ্গ
প্রেমে পড়া ভালো,
না পড়া বোধহয় আরো ভালো...
ভালো হয়েছে,
অতৃপ্ত গল্প থুড়ি অণুগল্প আরো লিখুন!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীডোর,
"প্রেমে পড়া ভালো,
না পড়া বোধহয় আরো ভালো..." - বিরাট চিন্তার বিষয়!!!!
অনেক ধন্যবাদ
- মুক্ত বিহঙ্গ
প্রেমে পড়া ভালো
না পড়া আরো ভালো...
সাধু সাধু।
প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকা কাউকে দেখাটা কেমন?!
অট:
বিহঙ্গ কাহিনীর সাথে রেনেট ভায়ার 'পাত্রী দেখার গল্প' কাহিনীর একটা নীতিগত মিল আছে। আর কিছু বলবোনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মর্ম,
অ.ট. আপনার কথা শুনে রেনেট ভায়ার 'পাত্রী দেখার গল্প' পড়ে আসলাম।
এখন তো ডরাইতাছি!! আমার তো ভক্ত অনেক !!!!
আপনে কী নীতিগত মিল পাইছেন, বুধতাম পারছি মনে হয়
- মুক্ত বিহঙ্গ
এই লেখার বাকি অংশ কই? অর্ধেক লেখা দেবার জন্য মাইনাচ, আর জ্যোতিরে প্লাচ। লেখা ভাল্লাগসে। এরকম লেখা পড়লে আমি বুঝিনা এইডা কি হাছা না মিছা কাহিনী, কন তো দেখি?
সাফি,
লেখক মাইনাচ পাইলেও সমস্যা নাই; জ্যোতি প্লাচ পাইলেই লেখক খুশি
কাহিনী হাছা হইবার পারে, তয় সেইডা এই অধম লেখকের জীবনে না- এইটুকুন কইবার পারি
"এই লেখার বাকি অংশ কই?" - ক্যামনে দেই কন? গুরু বইলা গেছেন, অণুগল্পে -
"অন্তরে অতৃপ্তি রবে,
সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ।"
- মুক্ত বিহঙ্গ
এহম্, আমি একটু কনফিউজড, এত কাছে থাকা সত্বেও কেন জানলাম না ঘটনাটা? ...তয় জ্যোতিটা কে ছিল?
এইসব ঘটনার অনুভুতিগুলো অন্যরকম। মনের ভিতর একধরনের শিহরণ দিয়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনক হল, কখনো ঘটে নাই জীবনে। কেনু? কেনু?
===অনন্ত ===
অনন্ত,
আমার নিজের যে কোন ডায়েরি ছিলোনা, সেটা তুমি খুব ভালোভাবেই জানো। শুধু শুধু এই বেচারাকে নিয়ে কেন কনফিউজড হচ্ছো? তবে আফসোস! আমাদের ক্লাসে কোন জ্যোতি ছিলনা!!!
কান্নাকাটি করো না; তোমার বয়স এখনো ফুরিয়ে যায়নি। শুভকামনা রইলো
- মুক্ত বিহঙ্গ
ভাইয়া,
এত্তো সুন্দর লেখাটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই লেখার সাথে নচিকেতার "নীলাঞ্জনা" গানটার কিছু লাইন মনে আসছে-
"অংকের খাতা ভরা থাকতো আঁকায়
তার ছবি তার নাম পাতায় পাতায়
হাজার অনুষ্ঠান প্রভাত ফেরীর গান
মন দিন গুনে এই দিনে আশায়........."
আশা করি ভালো আছেন এবং আরো আশা করি যে "এক প্রবাসী বাংলাদেশীর দিনলিপি"-র ৫ম পর্বটাও তাড়াতাড়ি আসবে। ^_^
চেনা পথিক,
আমার প্রিয় শিল্পীর সেরা গান এটা নিঃসন্দেহে!! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!!
"আশা করি যে 'এক প্রবাসী বাংলাদেশীর দিনলিপি'-র ৫ম পর্বটাও তাড়াতাড়ি আসবে" - দেখা যাক!
- মুক্ত বিহঙ্গ
সুন্দর লেখা, এই রকম গল্প আরো চাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনিন্দ্য
লেখা ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম
- মুক্ত বিহঙ্গ
এই লিখা পড়ে আমার দিনপঞ্জি টা খুলে দেখতে ইচ্ছা করতেছে, একসময় আমার ও এই রকম হয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ!
হেমন্তের শিশির,
আপনার ব্যর্থতার কথা শুনে কষ্ট পেলাম!
শুভকামনা রইলো
- মুক্ত বিহঙ্গ
নতুন মন্তব্য করুন