আমার মগজের ভেতরে-বাইরে-চারপাশের সমস্তকিছুর শব্দ অস্তিত্বে অনুনাদে আঁচড়ায়; কেঁপে উঠে সময় চারদেয়ালের বৃত্তে।
তাই ভেঙ্গেচুরে পড়বার পূর্বমুহুর্তে কাগজে কলমে আর্তচিৎকার লিখি.........
গলা টিপে ধরেছে অন্ধকার।
যে অন্ধকার
গুনগুনিয়ে মৃত্যুর সুর ভাঁজে,
আমার চোখদুটো উপড়ে ফেলতে চায়,
চেতনাকে আছাড় মারে হৃৎপিন্ডে,
চেতনায় আছড়ে পড়ে,
নিঃশব্দে হাসে,
নিঃশব্দে কাঁদে।
যে অন্ধকার
ধুসর কালিতে লেখে রক্তবিন্দু উপাখ্যান,
ওতে নাচায় বোবা পুতুল আপনমনে,
আমায় খোঁচায়, দুঃস্বপ্নে টোকা দেয়।
তবুও আমি স্থবির থাকি, এড়িয়ে যাই,
জড়তায় টিকে থাকি প্রাণপন।
যে অন্ধকার
বাসা বাঁধে বুকশেলফের কোনায়, বন্ধু বানায় ঘুণপোকাদের,
কুরে কুরে খায় বইয়ের মলাট কিংবা আমার ভেতর।
সে গালে হাত দিয়ে বসে থাকে......আমার পায়ের তলায় শেকড় গজায়,
মাটির গভীরে প্রবেশ করে সেই শেকড়, আরো গভীরে।
এদেখে হাততালি দিয়ে লাফায় সে, আমায় ঘুরে ঘুরে নাচে।
আমার হাতের তালু ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে ডালপালা, ওতে ফোটে কয়টি আগুনে ফুল।
অন্ধকার সেই ফুল ছিঁড়ে নেয় গভীর অনুরাগে, খুঁজে নেয় সবগুলো বিষাক্ত বীজ;
ফিরে আসে আমার দোমড়ানো অস্তিত্বে, আঁচড়ের দাগে বোনে সেসব বীজ।
আমার ঘাড়ে চেপে প্রার্থনা দেয় নতুন অরণ্যের,
আমায় তবুও বাঁচিয়ে রাখে।
অথচ কদিন আগেও এই অন্ধকার শয্যায় কোমল হাতে আমার গলা জড়িয়ে,
কানের কাছে ঠোঁট এনে এঁকে দিত নরম চুমু,
আদুরে গলায় আবদার দিত......
একসাথে সুর্যোদয় দেখার।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন