শৈশবের ঢাকা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৪/২০১০ - ৭:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা যারা ঢাকা শহরে বড় হয়েছি, এই শহরটাকে তারা বড়ই ভালোবাসি। প্রবাসে যখন কেউ জিজ্ঞেস করে, দেশের কোন জিনিসের কথা বেশী মনে হয়, আমি উত্তর দেই আমার ঢাকা শহর। আমার কথাতে মোটামুটি একই মন্তব্য পাই সবার কাছে, সেটা হল ‘সেই ঢাকা আর নাই’। সেই ঢাকা যে আর নাই, তা আমিও জানি। আমি অবশ্য আমার ছেড়ে আসা ঢাকাকে নিয়ে যতটা স্মৃতিকাতর হই, তার চেয়ে ছোটবেলার ঢাকাকে আমার অনেক বেশী মনে পরে।

আমার বাবা-মা দেশের বাড়িতে খুব একটা যেত না। যার ফলে গ্রাম দেখার সৌভাগ্য আমার হয় নাই। তাই বলে যে গ্রামের পরিবেশ আমি একবারেই পাই নাই, তাও না। এই খোদ রাজধানীর বুকেই আমরা পেয়েছি শহর আর গ্রামের সহঅবস্থান। দেখেছি কিভাবে এক প্রায় গ্রাম্য পরিবেশ থেকে ক্রমে ঢাকা আজকের অবস্থায় আসল।

আমার শৈশব কেটেছে আগারগাঁও নামের এলাকাতে। আক্ষরিক অর্থেই একটা গ্রাম ছিল। খুব সম্ভবত ৭৩ সালে আমার বাবা মা সেখানে যায়। ২/৩ টা সরকারি কোয়ার্টার আর ২/১ টি সরকারি স্কুল ছিল। আর ছিল কুড়েঘর। সেই কুড়েঘরগুলি এখনকার বস্তির বাসার মত ছিল না, সেগুলো ছিল একেকটা ভিটের উপর, গাছপালা দিয়ে ঘেরা। তাদের আলাদা রান্নার ঘর, গোয়াল ঘর, এগুলো আমি দেখেছি। আমার ধারণা আদিবাসিন্দারা থাকত সেখানে।

আইয়ূব খানের আমলে ঢাকাতে ‘দ্বিতীয় রাজধানী’ তৈরীর যে মাস্টারপ্ল্যান নেয়া হয়, আগারগাঁও ছিল তারই অংশ। সংসদ ভবন থেকে শুরু করে শেরে বাংলা নগরের সবটুকুই এই মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় তৈরী। আমার বাবা-মা যখন এখানে আসল, তখন কিন্তু রাস্তাগুলো সব ছিল, তবে সেগুলো ছিল ইট আর মাটির। সেই রাস্তাগুলিই পরে পিচ্/আলকাতরা ঢেলে আস্তে আস্তে ব্যবহার উপযোগী করা হয়।

তেজগা এয়ারপোর্টটা তখন চালু ছিল। সারাদিন একটা কি দুইটা বিমান আসত যেত। বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ প্লেনগুলোও একই রানওয়ে ব্যবহার করত। আর রানওয়ের পাশের খালি মাঠটা ছিল কিছুটা জঙ্গলে পূর্ণ, আর কিছুটা ধানের ক্ষেত। সব জমিতে মনে হয় ধান চাষ হত না, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আমি আখের চাষও করতে দেখেছিলাম।

এয়ারপোর্টতো অনেক বড়। এইসব চাষের জমি ছাড়াও বেশ কিছু জায়গা পতিত থাকত, সেখানে গরু-ছাগল চড়ান হত। পরবর্তীকালে যেই জায়গাতে বিএনপি বস্তি হল, তখন সেদিকে ছিল গ্রামের মত কুড়েঘরগুলো। সেই দিক থেকেই কৃষকেরা আসত (আমার ধারণা)। সকালবেলা সূর্য উঠবার পর একপাল গরু নিয়ে যেত এয়ারপোর্টের সেই জায়গাতে চাষবাস করতে। এয়ারপোর্টের বাউন্ডারী দেয়ালটা অনেক জায়গাতে ভাংগা ছিল। সেগুলো সদর দরজা হিসাবে ব্যবহার করা হত। কেউ চাষ করত, কেউ গরু চরাত, এমনকি ফাকে ফাকে বাঁশীও বাজাত। কখনো শুকনো মাঠে মাটির ঢ্যালা ভাঙ্গত, কখনো আগাছা তুলত, কখনো লাঙ্গল দিত, কখনো মই দিত। কে এখন চিন্তা করবে, এগুলি আমি ঢাকা শহরের মাঝে দেখেছি!

এয়ারপোর্টের জঙ্গলে শিয়ালমামারা থাকত। আমি খুবই ভয় পেতাম শিয়ালের ডাক। প্রথমে একটা ডাকত, তারপর বাকিসবগুলা কোরাসে ডাকত। আর তখন আমি গিয়ে মা-বাবার কোলে লুকাতাম। অবশ্য মা আবার এই ভয়টাকেই ব্যবহার করত যখন আমি খেতে চেতাম না। আর ছিল সজারু, প্রায়ই এখানে ওখানে সজারুর কাঁটা পেতাম। সাপের চলাচল ছিল ড্রেনে। সাপ-বেজীর ঝগড়ার শব্দ শুনেছি, অবশ্য আমি কখনও চোখে দেখিনি।

প্রথম দিকে রান্নার গ্যাস ছিল না। কেরোসিনে রান্না করা হত। একটা লোক আসত কেরোসিন বিক্রি করতে। একটা আস্ত তেলের পিপের দুই দিকে চাকা লাগান থাকত, সামনে টানার জন্য হাতল আরে পিছনে তেল নেবার কল, এই হল কেরোসিনের গাড়ি। কেরোসিনের চুলার জন্য সলতে মনে হয় বাজার থেকে কিনে আনা হত।

থালা-বাসন পরিস্কার করার জন্য ছাই ব্যবহার করা হত। ছাইওয়ালা আসত দুপরের দিকে। আমার মা অবশ্য সবসময় কিনত না। মাঝেমাঝে আমাদের ভাইবোনকে পাঠাত আশেপাশের সেই গ্রাম্য-বাড়িগুলো থেকে ছাই আনতে। তাদের মাটির চুলা থেকে ছাই তুলে আমাদের দিত। এইসব বাসাতে গেলে আমরা ভাইবোন দাড়িয়ে যেতাম, কখনও গরুর দুধ দোয়ানো দেখতাম, কখনও দেখতাম ঢেকিতে পার দেয়া।

অনেক বড় বড় গাছ ছিল। আমাদের কলোনিতে ছিল বেল গাছ, আম গাছ। কোন মালিকানা ছিল না, বেল কিংবা আম পরলে ছোটরা প্রতিযোগিতা করতাম, কে আগে কুড়াতে পারবে। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে কত যে ঝগড়া হত। আর বেলের কাটার ব্যথা আজও মনে আছে। এই গাছগুলোতে টিকটিকির মত দেখতে, কিন্তু আর একটু বড় এক ধরনের লিজার্ড থাকত। চোখগুলো লাল হত, আমরা বলতাম রক্তচোষা। দেখলেই আমরা লুকিয়ে যেতাম ভয়ে।

এয়ারপোর্টের দেয়ালের পাশ দিয়ে বড় বড় গাছ ছিল। নাম বলতে পারব না, তবে এই গাছ গুলোতে গুটিপোকা হত। সেই গুটিপোকা থেকে মথ্ বের হত। আব্বুর হাত ধরে ভোরবেলা যখন হাটতে বের হতাম, তখন আব্বু এগুলো দেখাত। শিমুল গাছ ছিল বেশ কয়েকটা। কি টকটকে লালই না হত! শিমুলের তুলা যখন বের হয়ে বাতাসে উড়ত, আমরা ছোটরা সেগুলার পিছনে দৌড়াতাম। এই গাছগুলা সব কেটে ফেলা হয়েছে। একটা বিশাল রেন্ডি (খুব সম্ভবত রেইন্ট্রি) গাছ ছিল। সবশেষে সেই গাছটা যেদিন কাটল, আমার মা কে সেদিন কাঁদতে দেখেছিলাম। এতই বড় ছিল সেই গাছটা যে শুধুমাত্র মাটির নিচের অংশটুকুই উঠিয়ে নিতেই অনেক লোক লেগেছিল। আর তারপর থেকেই পাখীদের কলকাকলি কমে গেল, ছোট্ট আমিও সেই পরিবর্তনটা ধরতে পেরেছিলাম। এরশাদ সাহেব যে ঢাকার উন্নয়নের নামে এই গাছগুলো কেন কাটল, সেই রহস্য আমি আজও সমাধান করতে পারিনি।

এখন সবাই সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে কুয়াকাটায় যায়। আমরা কিন্তু পুরাপুরি না হলেও কাছাকাছি দেখেছি এই ঢাকাতে বসেই। এয়ারপোর্টের দূরপ্রান্তে গাছের সারির সীমারেখা ছিল, একেবারে ছবির মত। তার পিছন থেকে সকাল বেলা সূর্যটা একটু একটু করে উকি দিত। পশ্চিমে ছিল কল্যাণপুরের বিল। তখন মিরপর রোড হয়েছে কিনা আমি বলতে পারব না। তবে আমাদের কলোনি থেকে বিল পর্যন্ত কোন বড় স্থাপনা ছিল না। শুধুই ছোট ছোট বাড়ি আর গাছপালা ছিল। কলোনির ছাদে উঠলে তাই বিলের ওপারে সূর্যের ডুবে যাওয়া দেখতে সমস্যা হত না।

লিখতে শুরু করে যে কত কিছুই এখন মনে হচ্ছে। আমার ঢাকা আমাকে নস্টালজিক করে তুলছে। ছেলেবেলা কেন যে হারিয়ে যায়!

-লাবণ্য-


মন্তব্য

নাশতারান এর ছবি

আমি এখন যেখানে থাকি এটাও প্রায় গ্রাম। আমাদের বিল্ডিংটা এখানে সবচেয়ে উঁচু। যখন নতুন এসেছিলাম চারদিক খোলা ছিলো। শোঁ শোঁ করে বাতাস বইতো। সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত দুইই দেখা যেতো। এরপর আরো দালান উঠলো আশে পাশে। এখন আর সূর্যাস্ত দেখা যায় না। তুরাগ নদীর বুকে নৌকাগুলোর টিমটিমে আলো আর দেখা যায় না। মন খারাপ

ক'মাস আগে ঢাকার বাইরে গেলাম কিছুদিনের জন্য। ফেরার পর যেই না ঢাকায় পা রাখলাম, মনে হলো, "আহ! আমার ঢাকা!"
জ্যাম, ভিড়, গরম, লোডশেডিং। তারপরও সে আমার তিলোত্তমা ঢাকা।

লেখা খুব সুন্দর হয়েছে। সচলে স্বাগতম। নিয়মিত লিখবেন।


|| শব্দশুদ্ধি ||

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ার জন্য ধণ্যবাদ বুনোহাস।
আপনার বানানশুদ্ধির জন্যও ধণ্যবাদ। আমার গুগুলের account একটা ছিল, কিন্তু বব্যহার না করাতে ভুলে গিয়েছি, তাই ওখানে ধণ্যবাদ জানাতে পারলাম না।
-লাবণ্য-

নাশতারান এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

_প্রজাপতি এর ছবি

আপনার লেখাটা অনেক অনেক ভালো লাগলো, ঢাকার যে পরিবেশে আপনাদের শৈশব কেটেছে তা এখন রীতিমত অকল্পনীয়। একসাথে গ্রাম আর শহর দুটোর আমেজ পেয়ে বড় হয়েছেন। আগারগাওর আবহাওয়া অফিসটার সাথে যে সরকারী কলোনী আছে সেখানে প্রায়ই যাওয়া হতো,আমার এক নানীর বাসায়। আমার অনেক প্রিয় ছিলো জায়গাটা।
---------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের ভাগ্যবানই বলতে হবে ঢাকার এই রূপ আমরা পেয়েছি বলে।
তোমার নানী হয়তবা আমার কোন আন্টি ছিল। ছোট কারও নাম জানা থাকলে চিনতে পারি।
-লাবণ্য-

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি এই ঢাকায় জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো। একেবারে ছোটবেলাটা কাটছে ধানমন্ডি ১৫ নম্বরের এক দোতলা বাড়িতে। তারপর একেবারেই এক গ্রাম। মিরপুর লালকুঠিতে... বাড়ির আশেপাশে তখনো শেয়ালের উপদ্রব...

এই ঢাকা ছেড়ে আমি থাকতে পারি না, পারবো না। অসম্ভব। জীবনে সবচেয়ে বেশিদিন থাকছিলাম সিঙ্গাপুরে, ১০ দিন। সম্ভবত আর একদিন বেশি থাকতে হইলে সুইসাইড খাইতাম।

জ্যাম, গরম, বিদ্যুতহীনতা, ছিনতাই... যতো যাই হোক... তবু ঢাকা ঢাকাই...

অনেক পুরনো স্মৃতির কথা মনে পড়লো আপনার লেখা পড়ে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি কয়েক বছর আগে দেশে গিয়ে মনে হয় সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছি ধানমন্ডিতে যেয়ে। সেই বড় বড় বারান্দা ঘেরা গাছপালা ঘেরা একতালা /দোতালা বাড়িগুলো একটাও নাই!

জ্যাম, গরম, বিদ্যুতহীনতা, ছিনতাই... যতো যাই হোক... তবু ঢাকা ঢাকাই...

এই কথা আমি নিজেও বলি সবসময়।

-লাবণ্য-

বর্ষা এর ছবি

সেই সময়ের ঢাকার কথা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধণ্যবাদ বর্ষা।

-লাবণ্য-

মর্ম এর ছবি

অনবদ্য বর্ণনা।
রূপকথা রূপকথা লাগলো।
আপনার দেখার চোখটা চমত্‍কার।

অপরিচিত ঢাকার আরো রূপ দেখার প্রত্যাশায় রইলাম। হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

উৎসাহ দেবার জন্য ধণ্যবাদ মর্ম। আসলে আরও অনেক কিছুই মনে পরে যাচ্ছিল। বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে থেমে গেলাম।

-লাবণ্য-

তিথীডোর এর ছবি

"ছেলেবেলা কেন যে হারিয়ে যায়!"
হায়...
শুধুই প্রশ্ন, উত্তর নেই...

সচলে স্বাগতম।

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দ্রোহী এর ছবি

লেখাটা পড়তে ভালো লেগেছে। জানিয়ে গেলাম সেটা।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

খুব ভাল লাগল পড়ে, ছায়া-ছায়া-লেখা হাসি

আরও লিখুন হাসি

শরতশিশির এর ছবি

লাবণ্য'পা, এটা আপনার দ্বিতীয় লেখা, না? আপনার লেখার মধ্যে 'স্নিগ্ধতা' আছে, ভাল লাগার একটা ব্যাপার আছে। বাবার কাছে এরকম বর্ণনা শুনেছি (আরও অনেক গ্রাম ছিলো তখন ঢাকার মধ্যেই), তাই তার বর্ণনা শুনে ভাল লাগলো। আমি নিজে দেখেছি উত্তরার দিকে, উত্তরায় তখন খালি কয়েকটা একতলা-দোতলা বাড়ী ছিলো, বাকী সব গ্রাম। এই নব্বই দশকের শুরুর দিকের কথা এগুলো। আর এখন উত্তরা, গাজীপুর প্রায় টাচ্‌ করে ফেলেছে।

সময় পেলেই লেখবেন, কেমন? ভাল থাকবেন। হাসি

অফটপিকঃ 'হলিক্রস', ইয়েস! দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

তিথীডোর, দ্রোহী, আনন্দী, শরত সবাইকে পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্য ধণ্যবাদ। উৎসাহ পেলাম।

@শরত- উত্তরার শহর হয়ে উঠাও আমি দেখেছি। আর টংগী, গাজীপুরের পরিবর্তন মনে হয় বুনোহাস দেখেছে।
এটা আমার দ্বিতীয় লেখা; প্রথমটা আসলে ঠিকমত পারি নাই, ওটার লিংকও এখন খুজে পাই না।
অটঃ - দেঁতো হাসি

-লাবণ্য-

নাশতারান এর ছবি

আমি থাকি দারুসসালামে। ছয় বছর ধরে আছি এখানে। দেখতে দেখতে বাক্সবাড়িতে ভরে উঠছে এলাকাটা। আমাদের বিল্ডিংটা ঠিক মেইনরোডের পাশে, তাই সবদিক আটকে দম বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এখনো যথেষ্ট আলো-বাতাস পাই।

আর আপনার প্রথম লেখাটা এখানে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

লাবণ্য,

লেখা ভালো লেগেছে। আমি নিজেও নতুন, তবুও আপনাকে 'সচলায়তন' - এ স্বাগতম হাসি

আর .... ইয়ে .... মানে .... শব্দটা 'ধণ্যবাদ' না হয়ে 'ধন্যবাদ' হবার কথা না ?

- মুক্ত বিহঙ্গ

লাবণ্য [অতিথি] এর ছবি

ইয়ে .... মানে .... ধন্যবাদ ... হাসি

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

হুম! হলিক্রসগ্রুপ না আবার সচলায়তনরে হলিপ্রাঙ্গণ বানায়লায়? চিন্তিত
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

তাসনীম এর ছবি

লেখাটা আগেই পড়েছি মন্তব্য করা হয় নি। ভালো লেগেছে লেখা।

ঢাকা শহর নিয়ে লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে। সম্ভব হলে মুনতাসীর মামুনের লেখা এই বইটা পড়তে পারেন, "ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী"। ঢাকার এলাকাভিত্তিক ছোট ইতিহাস পাবেন এতে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।