ঢাকা একটি আজিব শহর। এই শহরে সহবস্থান করে অনেক পৃথিবী, যার একটার সাথে আরেকটার বিস্তর ফারাক। হোটেল সোনার গাঁ'র পাশেই খোলা আকাশের নিচে প্রতিরাতে ঘুমায় অসংখ্য মানুষ। এদেরকে বলে ঢাকি মানব, নিজের ঢাকি(টুকরি)র উপর কেটে যায় রাত, কি শীত কি বর্ষা, কিসের মশার কামড়।রাতে বারবনিতার সার্ভিস আওয়ার শুরু হয়। সেদিন অনেক রাতে দূরপাল্লার বাস থেকে নেমে দেখি ওভারব্রিজে দাঁড়ায়া সার্ভিস দিচ্ছে, পাশ দিয়া মানুষ হাটাচলা করছে, কারো কোনো বিকার নাই।
এর পাশ দিয়া হুস করে বেড়িয়ে যায়, প্রাডো, বিএম্ভে।
কেল্ভিন ক্লেইনের আন্ডারওয়ারের পছন্দের কালারটা এখানে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে কিছু মানুষ বিকেলের ফ্লাইটে লন্ডন যায়। রাতভর ছিনালি চলে ডিজে আর নাইটক্লাব গুলোয়। একঘেয়ে কাটাতে করে গ্রুপ সেক্স। কারো কোন বিকার নাই।
এরই মাঝে বাস করে অদ্ভুত এক প্রজাতি। যার নাম মধ্যবিত্ত। এদের দেশ, জাতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, মানবতা এসব নিয়ে ভাবতে হয়। আদর্শ নামক একটা মহান ব্যাপার এদের চেতনা গ্রাস করে, উপরের দুই প্রজাতির কেউই এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। এ সবই মধ্যবিত্তের ভাবনা। আর তা থেকেই মানষিক দন্দ্ব। ওদের জন্যই ''মিডলক্লাস সেন্টিমেন্ট'' ব্যাপারটা বিখ্যাত হয়ে আছে।
এ শহরে এসে তাজ্জব হতে হতে আমি পাথর হয়ে গেছি। ভিড় বাসে আমার বাবার বয়েসি পুরুষ যখন সিক্সে পড়া মেয়ের গায়ে হাত দেয় তখন রাগে দূঃখে ছোট হয়ে যাই। কাকে কি বলব? বৃদ্ধকে না বালিকাকে? ইচ্ছে করে ঘৃণায় কালো হয়ে যাওয়া মেয়েটিকে গিয়ে বলিঃ ভাই আমাকে কষে একটা থাপড় মার। আমিও একজন পুরুষ।
লোকাল বাসের নৈমেত্তিক ক্যাচাল, বড়লোকদের নাক সিটকানি, উঠতি বড়লোকদের ভাব, কালোটাকার তীর্ব গন্ধ, আমার গলির নেড়ি কুত্তার জারজ বাচ্চার লেজ নেড়ে আমার পিছু নেয়া, যুবতির পাছা দুলিয়ে হেটে যাওয়া, কংক্রিটের ফাঁকে একটি গুল্ম শিশুর দূঃসাহসী বেড়ে ওঠা, এসব দেখতে ভালই লাগে। তবু পথে পথে হেটে থমকে তাকাই যেকোনো মানুষের দিকে। গাঢ় দৃষ্টি দেই তার মুখোশ থেকে হৃদয়ে, দেখি সেখানে আমার কোনো বসতি নেই। দেখি এখানে সংশয় ভরা শহরে, আমি এক করুণ ভাষ্কর্য।
বখতিয়ার সোহাগ
মন্তব্য
আপনার লেখনী বেশ ভালো।
তবে লেখা প্রকাশ করার আগে প্রিভিউটা একটু দেখে নিবেন তাহলে ভুল বানানগুলো চোখে পড়বে। ভবিষ্যতে আরো লেখা আশা করবো।
পাগল মন
বেশ ভাল লাগল লেখা কিন্তু "আমি এক করুণ ভাষ্কর্য"- কেন?
------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
এতো বানান ভুল থাকলে পাঠক হিসেবে অযত্নের শিকার হয়ে ভালো লাগে না। লেখার গুণ দেখার ইচ্ছেটাই যায় চলে। তালিকা দিলাম, দেখুন এর কতোটা আপনার বানান জ্ঞানের অভাব আর কতোটা নিছক অবহেলা।
আজিব: বাংলায় আজব চলে, হিন্দি / উর্দূতে অজীব।
সহবস্থান
কিসের: কীসের
হাটাচলা: হাঁটাচলা
এছাড়া যতিচিহ্নের সমস্যা ("মশার কামড়।রাতে") ও প্রমিত ভাষা-জনিত গুরুচণ্ডালীত্ব ("নেমে দেখি ওভারব্রিজে দাঁড়ায়া")।
আর এই সবই স্রেফ প্রথম অনুচ্ছেদ থেকে।
তবু আশা আছে, একদিন আপনি আমার মতো পাঠকদের কথা ভেবে লেখার চেষ্টা করবেন। সেই আশাতেই সমালোচনা করলাম।
সচলে স্বাগতম ।
থিমটা আমার পছন্দ হয়েছে , কিন্তু উপস্থাপনটা নয় । যেই কথা গুলো লিখেছেন এগুলো আগে অসংখ্য বার পড়া অথবা শোনা কথা, জাবর কাটার মত মনে হচ্ছে । আমার বিশ্বাস একই থিমের উপর নতুন দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে দেখার এবং দেখানর মত অনেক কিছু পাওয়া যাবে । সেই নতুন লেখাটার অপেক্ষায় থাকলাম
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এই লেখাটা কোন বিত্তীয় হইল? উচ্চীয়- মধ্যীয় না অধীয়?
নতুন মন্তব্য করুন