"সুখ তুমি রংধনুর মত রঙ্গিন।"

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৪/০৪/২০১০ - ১১:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুখের মুহুর্ত গুলো ক্ষণস্থায়ী। ঠিক যেন রংধনুর মত। একটু সময় পরেই হারিয়ে যায় সুদূর নীলমায়, দৃষ্টির সীমানায়, বহুদূর দিগন্তের শেষে কোন গাঁয়ে।

সুখের মুহুর্ত গুলো যেন হঠাৎ বৃষ্টি। প্রচন্ড গরমে এক পশলা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির আবেশ। মেঘের ভেলার ফাঁকে এক ফালি চাঁদ।

সুখের স্পর্শ যেন প্রেমিকার মোলায়েম পরশ, বৃষ্টিস্নাত জানালায় হিমেল বাতাস। সুখের ক্ষণিক আবির্ভাব যেন কিশোরীর হাতের রাঙ্গা মেহেদী। সুখের শিহরণ যেন প্রেমিকার অধরের মৃদু স্পন্দন। সুখের বসবাস যেন মরুভূমির মরিচীকায়, আলেয়ার আলোয়।

সুখের আগমন হয় নীরবে, অগোচরে। সুখের বিচরণ শরতের শিশিরে, কাশফুলের দোলায়, কৃষকের হাসিতে। সুখের অনুভূতি স্বপ্নের মত, ভালো গানের মত, জোনাকী আলোর মত, তাঁরার ঝলকানির মত।

সুখ কাংক্ষিত, প্রত্যাশিত, তবু থেকে যায় অধরা। সুখের প্রত্যাশায় আয়োজন থাকে কিন্তু কখন যে চুপিসারে আসে বুঝা যায় না। সুখের প্রয়োজনে প্রার্থনা থাকে, স্রষ্টার কাছে অনুনয়, বিনয়, অনুরোধ থাকে, কিন্তু সুখের অস্তিত্ব বুঝার ক্ষমতা থাকে না। সুখের জন্য কামনা -বাসনা থাকে কিন্তু সুখকে ধরে রাখার উপাদান কেউ মজুদ রাখে না। সুখ সুখ করে আহাজারী, আর্তনাদ, বিলাপ করে, সুখের সন্ধানে নিরন্তর চেষ্টা থাকে, কিন্তু সুখের স্পন্দন বুঝার মত হৃদয়ের অভাব থাকে।

সুখের জন্য লোভ থাকে, অভিলাশ থাকে, কিন্তু প্রকৃত সুখের পথ চিনে কেউ হাঁটে না। সুখকে নিমন্ত্রণ করে, কিন্তু আপ্যায়নের সৌজন্যতা শিখে না কেউ। সুখ দুস্প্রাপ্য কোন হীরক নয়, রাজ দরবারের মণি-মুক্তা নয়। সুখ বিরাজ করে মানুষের হৃদয়ে, মননে, ভাবনায়, চিন্তায়, প্রত্যাশায়, প্রাপ্তির গন্ডিতে। সুখের অবিরাম সুরের গীটারে শুধু হাত রাখলেই হবে না, সুখের গীটারের তাল জানতে হবে। সুখের পিছে না ছুঁটে, সুখের আসার পথকে মসৃণ করে দিতে হবে সীমিত প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে। সুখ থাকবে বন্ধু হয়ে, সাথী হয়ে আজন্ম।
=========
টমটম

=========


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সচলে স্বাগত টমটম
সম্ভবত এখানে আপনার প্রথম লেখা পড়ছি

লেখাটা পড়ে একটা খটকায় পড়ে গেলাম
প্রথম তিনটা প্যারা মনে হলো কবিতা কিংবা কবিতার মতো

দ্বিতীয় দুইটা প্যারা মনে হচ্ছে দর্শনের মতো
আর শেষপ্যারাটা একেবারে নীতিকথার মতো

বিষয়টা কি ইচ্ছাকৃত?

০২

মুহূর্ত বানানটা একটু চেক করে নেন
প্রথমটা হ্রস্ব উকার আর দ্বিতীয়টা দীর্ঘ উকার হবে

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া।

ইচ্ছে করেই তিনটা প্যাটার্নে লিখলাম। বানানের ব্যপারটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

টমটম

মূলত পাঠক এর ছবি

এতো বানান ভুল থাকলে লেখার মান নিয়ে কিম্বা শৈলী নিয়ে কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে যায়। আশা করবো আগামীতে লিখলে বানান ও টাইপো মুক্ত লেখা পাওয়া যাবে।

মুহূর্ত
নীলিমা
মরীচিকা
তারা
কাঙ্ক্ষিত
অভিলাষ
সৌজন্য
দুষ্প্রাপ্য
ছুটে

নাশতারান এর ছবি

বাহ! মজার নিক! টমটম!
এই নিকের তাৎপর্য কী?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।