সূর্যটাকে প্রায় অস্বীকার করে আমার এ বেঁচে থাকা- নিশি বাঁচা। খুব যে কোন আত্ম-অনুতাপে ভুগি, তা নয়। তবে আরোপিত বা পরবশ অনুতাপ জিনিসটাও খুব কম কিছু নয়। হয়ত কোন একটা পুরো রাতই কেটে গেল শুধু এই ভেবে যে -'আসলে আমি কি করছি?'। নিজের তরফের জবাব-ও কিছু নেই যে আত্মতুষ্টির কাজতা অন্তঃত চালাতে পারি। হ্যাঁ,মাঝে মাঝে এটা হয় যে একটা যন্ত্রণা অনুভব করি। "সৃষ্টির যন্ত্রণা" বলে যে ক্লিশে-টা আছে, অনেকটা সেটা ঘেঁষা একটা অনুভূতিই,তবে উপযুক্ত আকৃতিহীন। তাই ফলটা আর চাক্ষুষ করা হয়ে ওঠে না। দু'চারটা লাইন যা বের হয় ওগুলো যেন অনেকটা সৃষ্টির মাঝপথে অ্যাবর্শন। কিছু লিখব ভেবে একটা খাতা নিয়ে ঘুরছি অনেকদিন। একটা অনুভূতি তাড়া করছিল- বোধহয় আমার কিছু বলার আছে। আবারও সেই আকৃতিহীনতার সমস্যা। বলাটা যে কোনপথে হবে তা-ই এখনো বুঝে উঠতে পারলাম না। আত্মজৈবনিক ঠিক আমার সাথে যায় না, তরংগহীন জীবন। কবিতা- সেতো সাধ্যেরও বাইরে। যা দেখি সবসময় তাই-ই ঠিক অনুভব করে উঠতে পারি না, চর্ম-দৃষ্টির অগোচরের ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামানো তো চিন্তারও বাইরে চলে যাচ্ছে। হতে পারত একটা গল্প। প্লট-টাই পাচ্ছিনা। হাস্যকর ঠেকছে অবশ্য নিজেরই কাছে। আসলেই কিছু বলার থাকলে হয়ত প্লট দরকার হয় না, অথবা সেটা আপনা-আপনিই দাঁড়ায়। কিন্তু তবুও অনুভূতিটা যায় না। মনে হয় যেন বেশ কিছু মাল-মসলার যোগান আছে এই মূহুর্তে, শুধু হাঁড়িটার অভাবেই সুস্বাদু রান্নাটা আর হচ্ছেনা।
এহসান
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন