বয়সের হিসাবে খুব বৃদ্ধ না হলেও নিজেরে বয়স্ক ভাবা শুরু করেছি এরই মধ্যে। এই তো, বছর দুয়েক আগে ৩০ বছর অতিক্রম করেছি, এখন এই কোমর থেকে পড়ে যাওয়া যাওয়া প্যান্ট পড়া, বডি ফিটীং শার্ট পড়া ছেলে পুলে দেখলে নিজেকে বুড়োই মনে হয়।
আমার নানা-দাদা দের মত করে বলতে ইচ্ছা করে সেই ১৯৫৬ সালে, তখন ... কিংবা আমার নানীর মত করে এক হাতের কনুই বরাবর আরেক হাত দিয়ে ধরে মাপ দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে এত বড় ফজলি আম আমার বাপজান আনতো বাড়ীতে...
সেরকম মনে হয় এখন , সারাক্ষনই স্মৃতি গুলা ঘুরাঘুরি করে চারপাশে। খুব ইচ্ছে হচ্ছিল বিটিভির সেই দিনগুলোর কথা শেয়ার করি সবার সাথে, কিছু কমন স্মৃতি।
জন্মের পরেই টিভি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। সাদা কালো টিভির যুগ ছিল তখন। যখন বুদ্ধি হল একটু একটু , দেখি কাঠের বাক্সের মধ্যে একটা বোকা যন্ত্র, সেই বাক্সের ৪ টা পায়া ছিল, বাক্স টা আবার দরজা দিয়ে লাগিয়েও দেয়া যেত। ভোল্টেজ ওঠা-নামা করলে ভিতরের যন্ত্রটা বন্ধ হয়ে যেত, তাই তার জন্য একটা বাড়তি ব্যবস্থা ছিল সেই যন্ত্রে। সেটাই ছোট বেলায় টিভি হিসাবে জেনেছি।
সাদা কালো ক্যামেরার ছবি তাই সাদা কালো টিভি। সেই সাদা কালো যুগে টিভির ২ টা চ্যানেল ছিল - ৬ নং আর ৯ নং চ্যানেল, অথচ এখন টেরিস্টিয়ালে একটাই চ্যানেল। সবাই সামনে যায়, আমরা পিছনে যাই, এটা তার আরেকটা প্রমান।
সেই সাদা কালো টিভিতে প্রথম কার্টুন দেখেছিলাম শেহজাহান। পুরা কাহিনী মনে নাই , তবে যতটুকু মনে পড়ে ১ টা ছেলে আর ১ টা মেয়ে, দুই জনের হাতে একটা আংটির অর্ধেক করে লাগানো, এক সাথে করলেই একটা দৈত্য হাজির হয়ে যেত ।
সাদা কালো যুগে যেটা সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল তা হোল - টারজান। সেই টারজানের মত করে আআআআআ করে ডাক আজও কেউ দিতে পারেনি। টারজান দেখার সময় বাসায় যেন মেলা বসতো, আশ-পাশ দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসতো দেখার জন্য - আমাদের টিভিওয়ালা বাসায়।
তখন তিন মাস পর পর একটা বাঙলা সিনেমা দেখানো হতো টিভিতে , সেটা দেখার জন্য উপচে পড়া ভীড় হতো বাসায়। অচেনা অজানা লোক এসে ভীড় জমাতো , আমাদের বাসায় আমরাই হয়ে যেতাম পরবাসী।
সেই সাদা কালো সময়ে বেশ কিছু নাটক হয়েছিল, নাটকগুলোর কথা আমার সেভাবে মনে পড়তো না যদি বিটিভির রজত জয়ন্তি তে না দেখানো হতো। যেমন - ইডিয়ট, সাত জন যাত্রী, বাঁলিহাস, মুখরা রমনী বশীকরন - এসব নাটক গুলো।
বিদেশী কাহিনী অবলম্বনে নাটক গুলো ছিল অদ্ভুত, অন্যরকম সুন্দর। এখনকার মত করে যা-তা যেমন তেমন করে নাটক বানানোর মত করে বানানো হতো না।
আর ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে ছিল মাটির কোলে , সকাল সন্ধ্যা।
সকাল সন্ধ্যা নাটক চলতে চলতেই বিটিভিতে রঙীন ক্যামেরা এল।
সে ক্যামেরা দিয়ে ধারন করা ছবি নিয়ে আরেক গল্প, আপনারা পছন্দ করলে পরের পর্বে না হয় বলবো।
সাঈদ
মন্তব্য
টারজান, ম্যাকগাইভার, রোবোকপ ইত্যাদি দেখার জন্য ছুটে যেতাম পাশের বাড়িতে। মাঝে মাঝেই মুখের উপর দরজা বন্ধ হয়ে যেত। মন খারাপ করে কিছুদিন টিভি দেখা বাদ দিয়ে আবারও সেই বাড়িতেই ছুটে যেতাম পরবর্তী পর্বগুলো দেখার আশায়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সেই স্বর্ণযুগের সাথে এখনকার অনুষ্ঠানের পার্থক্য তুলনীয় কেবল আকাশ আর পাতালের সাথে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খারাপ লাগলো শুনে, এরকম অভিজ্ঞতা কখনো হয় নাই অবশ্য।
সাদা কালো সময় টা স্বর্নযুগ ছিল আসলেই।
- বস, আপনে জন্মের পরেই টিভি দেখে ফেললেন? ব্যাপারটা কল্পনা করেই মাথা ঘুরাচ্ছে! একটা সদ্য জন্ম নেয়া বাবু টলটল করে তাকিয়ে টিভিতে কারিশমা কাপুরের নাচের কারিশমা দেখছে!
(এইটুকু অবশ্য আমার কল্পনা, হয়তো আমার ভবিষ্যত। যেইভাবে বলিউডি সিনেমারে আনার চেষ্টা চলতাছে। কওয়া তো যায় না, সামনের দিনের পোলাপান কী হয়!)
সবাই বুড়া হয়, বিয়া করে, সংসার শুরু করে। আমার কিছুই হইলো না এখনও। বন্ধুর বাপ হওয়া দেখে এক পশলা গালাগালি করি। শালারা আমারে বুইড়া বানায়ে ছাড়লো জোর করে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কারিশমা কাপুরের নাচ দেখতে পাই নাই কিন্তু আমার ১০ মাস বয়সি ভাইগ্না জন্মের পর থেইকাই ড্যাব ড্যাব চোখে তাকায়া কারিশমার নাচ দেখে।
হের ধুগোদা ফের স্বমূর্তিতে ফিরছেন দেখা যাচ্ছে!
_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি তো ঠিক করেছি পঁচিশ ছুঁলেই বয়সের ঘড়িকে থামিয়ে দেবো
'বুড়ি' হয়ে যাওয়াটা মোটেই কাজের কথা নয়!
সিরিজ চলুক....
_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুঁ!
শুনে সুকুমার রায়ের 'হযবরল'-এর উদো-বুধোর কথা মনে পড়ে গেলো:
"শেষে বয়েস বেড়ে মরব নাকি?"
---মহাস্থবির---
নাইট রাইডার কিংবা দি এ টীম দেখেন নি? নাকি আপনি আরো পরের? সিরিজ চলুক।
বিটিভি নিয়ে লিখতে বসলে এক পর্বে তো আর সব লেখা সম্ভব না , তাই আস্তে আস্তে আসছি ম্যকগাইভার এর কথায়।
আমাদের সেই স্বল্প যোগনে বিপূল পুলক,( এক মাত্র ,বা দ্বিমাত্র চ্যানেল) আবারও মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। সিরিজটা চলবে আশা করি।
চালানোর আশা করছি। বাকী টুকু আপনাদের উপর।
দেশের পাঠকরা একটা জরিপে দয়া করে অংশগ্রহণ করুন। ধন্যবাদ।
এহ্! ব্যাকপ্যাকার হিসেবে নিবন্ধিকরণের পরপরেই টিভি দেখা ছেড়ে দিসি যে!
এখন যা কিছু দরকার লাগে ডাউনলোড করে ফেলি। পাইরেটেড জিনিস দেখার মজাই আলাদা!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
আমিও টিভি দেখাই ছেড়ে দিয়েছি এখন , এত চ্যানেলে কিন্তু দেখার কিছুই নাই।
আপনার লেখার শুরুর অংশটা বেশ মজা করে লেখা! আগ্রহ জাগানিয়া লেখা! কিন্তু পরের অংশে একটু গৎবাঁধা হয়ে গেছে! আরেকটু অন্যভাবে, শুরুর মজাটা ধরে রেখে লিখলে আমার আরেকটু বেশী ভাল লাগত!
যাই হোক, ব্যাপার না! পরের লেখাতে আশা করি আপনার লেখনীতে সে শুরুর মজাটা ফিরে আসবে!
ও, একটা জিনিস মনে পড়ল! ইদানিং আমিও আপনার নানা-নানুর মত করে জুনিয়র পোলাপানদের 'আংশিক রঙিন' ছায়াছবির কথা বলি! ওরা মূলতঃ হাঁ করে বসে থাকে! সত্যিই তো, এগুলা এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে, তাই না?
সিনেমা হলে গিয়ে যদিও কখনো আংশিক রঙিন মুভি দেখা হয় নাই, কিন্তু বিটিভির মাধ্যমেই প্রথম পরিচয় ঘটেছিল আংশিক রঙিন ছায়াছবির সাথে! খুব মজা লাগে এখন এগুলা চিন্তা করতে......
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ধন্যবাদ ভাই। আশা করি পরের পর্বে আপনার মন রাখতে পারবো, কেননা বিটিভি নিয়ে লেখার কেবল শুরু এখানে, বলতে পারেন ভুমিকা পর্যায়ে আছে, তাই গৎবাধা ভাবেই কিছুটা টাচ দিয়ে শুরু করলাম।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
ম্যাকগাইভার! < চোখ চকচক করে ওঠা >
পরে দেখতে গিয়ে অধিকাংশ এপিসোডই আর ভাল লাগে নাই। মনে পড়ে বিশেষ করে পিঁপড়ে, জাহাজের বম্ব (এটা আমার কাছে ছিল ভিডিও ক্যাসেটের যুগে টেপ করা), আর ল্যাব-এর ভেতর ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের এপিসোড গুলি।
BTV-র যতই বদনাম করি না কেন, একটা বিষয়ে প্রশংসা করতেই হবে তা হল - X-files!! আজব ব্যাপার যে বিটিভি মনে হয় একমাত্র চ্যানেল যে নিষ্ঠার সাথে এই শো-টার সবগুলি সীসন, সবগুলি এপিসোড দেখিয়ে গিয়েছে! আর সেই থেকেই মনে পরে যায়, কি করি নাই সেগুলি দেখার জন্যে!
পরীক্ষার আগের রাত - গুল্লি মারো পরীক্ষা, এক সপ্তাহ ধরে বসে আছি দেখার জন্যে!
এগারটার রাতের সংবাদ - বসে থাক ধৈর্য্য ধরে, (কোনদিনও অত ধৈর্য্য নিয়ে খবর শুনব বলে আর মনে হয় না!)
এবার হবে ইংরেজী নিউস - বসে থাক, patience is a virtue!
কেমন করে যেন সবগুলি ঈদ আর অন্যান্য বিশেষ ছুটির দিনগুলি ওই শুক্রবারেই পরত, আর পেছাত airing
BTV সিরিজ চললে অনেক স্মৃতিই মনে পড়বে...
যেমন এই মাত্র, সুপারম্যান নিয়ে একটা কথা মনে পড়ে গেল...
চালিয়ে যান, পরবর্তী পোস্টে লিখে দিমুনে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
আহ! এক্স ফাইলস! আমার এস এস সি পরীক্ষার রুটিনে গণিত ছিল শনিবার, মার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই দেখেছিলাম। খারাপ করলে কি যে ছিল কপালে!
আমি মোটামুটি বিটিভির দর্শক ছিলাম, পড়াশোনার ক্ষতি হবে বলে ডিশ নেওয়া হত না বাসায়। যখন নেওয়া হল তখন আমি হলে চলে এসেছি। হলের টিভি রুমে যখনই যেতাম, "ক" নামপ্রধান হিন্দি সিরিজ চলত বলে টিভি দেখার অভ্যাসটাই চলে গেল। আফসোস, এই যুগের মেয়ে হয়েও আমি হিন্দি বুঝি না।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
পরের দিন স্কুলে গেলে আড্ডার বিষয় থাকতো এই ম্যাকগাইভার। হাই বেঞ্চে বসে তুমুল আড্ডা ...
আমি হিন্দি হাফ বুঝি ।
দুইটাই আমার ফেভারিট, যদিও এগুলার একটা পর্বও কোনোদিন দেখি নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাম কি আমি ঠিক জানি না, তবে হিন্দি সিরিয়াল আশেপাশের মেয়েদের মুখে যা নাম শুনতাম সবই তো ক দিয়ে ছিল। কসৌটি জিন্দেগি কি, কিউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি, কুসুম, কুমকুম, কাঁহি কিসি রোজ, কাহানি ঘর ঘর কি, কুটুম্ব - আর কয়টা মনে করবো? নিজে দেখতাম না একটাও, কিন্তু লোকজনের কচকচানিতে নামগুলো মনে আছে।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
এক্স ফাইলস না শুধু , বিটিভিতে সব সিরিজ গুলাই সুন্দর ভাবেই শেষ হয়েছে।
ইংরেজী সিরিয়াল নিয়ে পরে আসছি।
আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছি যে, বিটিভি-ই আমার দেখা একমাত্র চ্যানেল, যেখানে এক্স-ফাইলস সম্পূর্ণরূপে দেখান হয়েছে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
ক'দিন আগে আবার ম্যাক গাইভার দেখলাম, ভালই লাগলো। এই একটা মাত্র সিরিজের জন্য বুধবারের নাম পাল্টে আমরা ম্যাক গাইভার রেখেছিলাম।
লেখাটা আরেকটু দীর্ঘ হতে পারতো।
-শুকনো পাতা
মাত্র প্রথম পর্ব শুরু করলাম, পরের পর্বে আরো আসবে আশা করি।
বিটিভির স্বর্নযুগ ছিল বোধহয় সাদাকালো যুগে। তখন কেন যেন সব অনুষ্ঠানই মনে হতো গিলে খাই। ১৯৭৭ সালে আমাদের বাসায় একটি টিভি ছিল খুব অল্পদিনের জন্য। সেই বারো ইঞ্চি ন্যাশনাল টেলিভিশনের দৌরাত্ম্যে আমাদের পড়াশোনা গোল্লায় যাচ্ছে বলে টিভিটা বিক্রি করে দেয়া হয়। আমাদের ভাইবোনের কি শোক সেই টিভির জন্য তখন!!!!
যখন আবার টিভি এলো তখন আমার স্কুল জীবন শেষ। ১৯৮৪-৮৫ সালের দিকে। বিটিভি তখন সকাল সন্ধ্যার যুগ পেরিয়ে গেছে বোধহয়। হুমায়ুন যুগ মাত্র শুরু হচ্ছে, সেই সময় আবার রঙিন আবির্ভাব ঘটলো আরেকটা জাপানী ১৪" সনি টিনিট্রনের। বিটিভিরও রঙিন যাত্রা শুরু। টারজান, বায়োনিক ওমেন, সিক্সমিলিয়ন ডলার ম্যান, ইনভিজিবল ম্যানের যুগ পেরিয়ে নাইট রাইডার, ম্যাকগাইভার.........
বিটিভি খুব নস্টালজিক করে!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড় দাদা , আসলেই বিটিভি খুব নস্টালজিক করে দেয়। অথচ এখন বিটিভি দেখাই হয় না , আর অন্যান্য চ্যানেল গুলা ঘুরে ঘুরে দেখি ফলে কিছুই দেখা হয় না আর।
কার্টুনটার নাম ছিল সম্ভবতঃ "শেজান", "শেজাহান" নয়। ঐ সময়ে চলত এমন আরো কিছু কার্টুন (যেগুলো এখন চলেনা) হচ্ছে, পান্ডামোনিয়াম, ক্লু ক্লাব, ব্যাটেল অভ দ্য প্লানেট, থান্ডারক্যাটস্, হঙকঙ ফুয়ে, অ্যামাজিং চ্যান এন্ড চ্যানক্ল্যান, হিথক্লিফ এন্ড মার্মাডিউক, স্মু, প্লাস্টিকম্যান, আয়রনম্যান, মেরি মেলোডিজ শো। থান্ডারক্যাটস আমার অল টাইম ফেভারিট।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ কারেকশন করে দেবার জন্য, বাকী কার্টূনের নাম পরের পর্বে আসবে ইনশাল্লাহ।
থান্ডার, থান্ডার, থান্ডার, থান্ডার, থান্ডার-ক্যাটস!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
আহ! থান্ডারক্যাটস!
আমাদের একটা ব্যান্ড ছিলো এই ধরেন যখন আরবেরা গুহায় বাস করতো, সেই সময়ে। তো আমাদের অনেকগুলা প্ল্যানের একটা ছিলো থান্ডারক্যাটস এর থিম সংটা কাভার করা ...
মাম'রা ছিল সিরিয়াসলি অসাধারণ একটা ভিলেন! আমার চাইল্ডহুড আইডল!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
টাইটেল সং এর জন্যে -->
ভাবছি সব এপিসোড ডাউনলোড করে ফেলতে হবে
এখন নারুতো দেখছি ...
মামরাকে আমি চরম ভয় খাইতাম
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
থান্ডারক্যাটস খুব দেখতাম
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
থান্ডারক্যাটস নিয়া একটা ছড়া লিখছিলাম কুট্টিকালে। এক পত্রিকায়ও ছাপা হইছিল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এইখানে আরেকবার ছাপিয়ে দেন! আমি হাত তুললাম, পড়তে আগ্রহী।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
ভাল হচ্ছে তো! চলুক না স্মৃতি রোমন্থন।
ধন্যবাদ , চলবে আশা করি ।
পরের অংশের অপেক্ষায় রইলাম
গতকাল আমার শিশু বয়সের কিছু অনুষ্ঠানের কথা মন্তব্যে লিখছিলাম। সেই সাথে থান্ডারক্যাটস্ যুগের আরও কিছু। কিন্তু 'মন্তব্য করুন'এ চাপ দেবার সময় কী করলাম জানি না, সবকিছু গায়েব হয়ে গেল ঃ(।
আজকে এসে দেখলাম, মোটামুটি সবকটার কথাই আলাপ হয়ে গিয়েছে। আশা করি পরবর্তী সিরিজে এগুলো সব আসবে।
আমি দু'পয়সা যোগ করি।
-নতুন কূড়ি। সেই সময়ে এটা আমেরিকান আইডলের চেয়ে কম গ্ল্যামারাস ছিল না।
-গার্ল ফ্রম টুমোরো
-টুইন পিক্স্
-হার্ডি বয়'স (এটা অনেক আগের)
-রোজ রোজ (এটাও অনেক আগের, সাজিয়া আফরীন ছিল মনে হয়)
-সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান
-বায়োনিক ওম্যান
-ওয়ান্ডার ওম্যান
-হাল্ক
==লাবণ্য==
লাবণ্য দেখি আমার মত (বা আমার চেয়ে বেশি) বুড়া যে "রোজ রোজ" দেখেছে। "রোজ রোজ"-এ সাজিয়া আফরীন ছিলনা। ছিল শিপলু, মোনালিসা, নিশু।
ছোটদের জন্য সিরিয়ালের মধ্যে "রূপকথা নয়", "ঝন্টু-পন্টু"; ছোটদের জন্য টেলিফিল্মের মধ্যে "ডানপিটে ছেলে", "দীপু নাম্বার টু" (মোরশেদুল আলমেরটা নয়), "লাল-সবুজ পাথরের মানুষ", "অপারেশন কাঁকনপুর" উল্লেখযোগ্য। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এই যে, তখনকার সীমাবদ্ধ সুবিধা দিয়ে ছোটদের জন্য যে ছবি বা সিরিয়াল তৈরি করা হত তা এমন মানের ছিল যে তা বড়দের কাছেও সমান জনপ্রিয় হত। আর এখন? যাক্ সে কথা বলে আর কী লাভ!
"নতুন কুঁড়ি" ('৭৬, '৭৭, '৭৮, '৮২, '৮৮) অসাধারণ অনুষ্ঠান ছিল। এখনকার ছোটদের প্রতিযোগিতাগুলো মানে ওগুলোর ধারে কাছে নয়।
"হাল্ক" নয়, "ইনক্রিডিবল হাল্ক" - লো ফেরিগনো'র সিরিজ। আরো ছিল "ম্যান ফ্রম আটলান্টিস", "চিপস", "পেপার চেজ", "স্টিংরে", "স্টারম্যান", "অটোম্যান", স্ট্রীট হক"। মিনি সিরিজের মধ্যে "অল দ্য রিভারস রান", "রিটার্ন টু এডেন", "অ্যাডভেঞ্চারার", "শোগান", "মিঃ হর্ন", "অ্যাগেইন্সট দ্য উইন্ড", "লাস্ট ডেজ অভ পম্পেই"। আর কত বলব!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রোজ রোজ এ সুবর্ণা ছিল তারানা ছিল সাজিয়া ছিল ..তিন সত্যি
আচ্ছা যান, মেনে নিলাম। আয়েশা আখতার ছিলেন, ব্ল্যাক আনোয়ার ছিলেন, জাহানারা বেগমও ছিলেন বোধহয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার রোজ রোজের সবাইকে মনে নাই। সাজিয়া আফরীনের কথা কেন যেন মনে হচ্ছে। আর মনে আছে গামা ভাইকে। ওনাকে আমি এখনও গামা বলে চিনি, আসল নাম কখনওই মনে থাকে না।
পাণ্ডবদা মনে হচ্ছে আমার কাছাকাছি বয়সী। অনেক আগে 'কুমকুম' নামে একটা কার্টুন হত, সেটার কথা কি মনে আছে?
বিটিভিতে এক সময় খুব ভালো কিছু মিনি সিরিজ দেখানো হয়েছিল। 'অল দ্যা রিভার রানস' আমার সবসময়ের পছন্দের একটি।
-লাবণ্য-
কেউ ছায়াছন্দের কথা বল্লনা
ব্যাপক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল। ১০.৩০ এ হত রাত।
আর বিক্ষ্যাত ধারাবাহিক 'দ্যা ওশিন'।
কি যে যন্ত্রনা দিছে এই সিরিজ টা। 'মায়ামি ভাইস' এর পরেই বোধহয় ওটা দেখানো শুরু করল
(ছায়াছন্দ হত, বৃহস্পতিবার রাতে... এখনো হয় মনে হয়... )
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
আমার ফেভারিট ছিল ম্যাকগাইভার, স্পেলবাইন্ডার, গার্ল ফ্রম টুমরো আর টিপু সুলতান...আর বাকের ভাই তো মেগা ফেভ...
স্বর্ণযুগের বিটিভি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমারও।
ম্যাকগাইভার দিয়ে প্রেমে পড়া শুরু। ম্যাকগাইভার শেষ হলে শুরু হয়েছিল দ্যা ফল গাই (লী-মেজরস এর) তার পর আসলো দ্যা এ টীম, র্যাভেন। সবগুলোই দেখার মত ছিল। এই সিরিজগুলো দেখে দেখে ইংরেজী ভাষাটা পুরা শিখে গিয়েছি নিজেরই অজান্তে!
এর পর ভারতীও আগ্রাসনে পড়ে গেলাম আমরা খোদ আমাদের বিটিভি-তেই। সোর্ড অফ টিপু সূলতানের ভূত কতদিন যে আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছিল! আর সেই মারাত্মক বাংলা উচ্চারণ!
কি বারে যেন "বিল-কসবি শো" হত, মনে নেই। ভাল বুঝতাম না বলে মজা পাইনি কোনদিন। কমেডি শো-গুলোর ব্যাকগ্রাউন্ডে হাসির রোল দেয়ার কি মানে আমি আজও বুঝিনা। মনেহয় "এইখানে হাসিতে হইবেক" টাইপ একটা মেসেজ তাই না?
খুব ভাল লাগতো সকালে সি-এন-এন আর দূপুরে বিবিসি দেখতে।ব্যাটা ল্যারি কিং- কে সেই কবে থেকে দেখছি! ১৯৯২-তেও ব্যাটা এরকমই ছিল দেখতে!
বুধবার দূপুরে বিবিসি তে টপ-গিয়ার দেখার জন্য প্রায়ই স্কুল থেকে পেট ব্যাথার কথা বলে চলে আসতাম!
ভাবতে এখনো অবাক লাগে যে সেই কালে বিটিভি কিভাবে এইসব বাঘা বাঘা সিরিজ জোগাড় করত!!!
ভাই, আপনি কোন আমলের কথা বলছেন? আমি তো জানতাম এ টীমের বহু পরে ম্যাকগাইভার আসছে এ টীম তো আশির দশকের গোড়াতে, আর ম্যাকগাইভার আসছে নব্বইয়ের শুরুতে বা এর আশেপাশে।
আশির দশকের গোড়ার দিকে এ টীম দেখিয়েছিল কি না জানিনা (আমার জন্মই ৮৩ তে) তবে ম্যাকগাইভার দেখানো শেষে (৯২) এ টীম দেখিয়েছিল এটা পরিষ্কার মনে আছে।হতে পারে ২য় বার দেখিয়েছিল তখন!
আপনারা যারা আশির দশকের শুরু থেকে বিটিভি দেখেছেন তাদের ভাগ্য আমাদের চেয়ে অনেক ভাল। আরও অনেক ভালো ভালো প্রোগ্রাম দেখার সুযোগ আপনারা পেয়েছেন।
সিরিজ আকারে আসবে সব সিরিয়ালের গল্প, নাটক, আর অনেক কিছু।
ভালো লাগলো আপনাদের উৎসাহ দেখে, মনে হচ্ছে সেই স্কুল জীবনে ফিরে গেছি , যখন ইংরেজী সিরিয়াল বা কার্টূনের পরদিন সবাই মিলে গোল হয়ে গল্প করছি আগের দিনের দেখা টিভি নিয়ে।
স্মৃতিকাতর করে দিলেন...
আসুক পরের পর্ব।
জাতীয় নির্বাচন একটা আনন্দময় ঘটনা ছিল। তিন-চার দিন ধরে চমৎকার সব অনুষ্ঠান…। কিছুক্ষণ পর পর বিশেষ নির্বাচনী বুলেটিন নিয়ে যখন হাজির হত সিরাজুল মজিদ (তাইতো নামটা?), চরম মেজাজ খারাপ হত।
দশটায় ইংরেজি খবরের সময় রাতের খাওয়া খেতে যেতাম সেটা নিয়ে আবার মা-বাবার বকা…।
সে কথা আর বলতে , তখন নির্বাচন মানেই ছিল বিরতিহীন টিভি চলার আনন্দ, তাও ৩/৪ দিন ধরে।
ওই সময়ে সার্কাস ছিল কমন একটা প্রোগ্রাম। রাত হলে সিনেমা শুরু হতো, চলতো পরদিন সকাল পর্যন্ত।
বাসায় হুজুর আসতো... সপ্তাহের প্রত্যেকদিন... ঠিক কার্টুন শুরু হবার ৫ মিনিট আগে, একঘন্টা কাটিয়ে আমাদের কার্টুন দেখার ১২টা বাজিয়ে দিয়ে চলে যেত!
vaia..tokhon..5tay tv khulto..r ekdin matro cartoon dekhato..ghori niye bose thaktam..kokhon 5ta bajhbe..kokhon tv khulbe..aha koto opekkha...tv kholar por "o amar desh, bangladesher matii," ei gaaner sure desher prakitik drissho obolokon..valoi lagto..tarpor pobitro quran telawat, torjoma, gita/bible ittadi ittadi path...tarpor..aro tarpor..amader bohu protikkhito cartoon...
ctl+alt+p চেপে ফোনেটিক বাংলায় লিখুন। আপনার ইংরেজীতে লেখা মন্তব্য বুঝি না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার "বাংলাদেশ টেলিভিশন - ২" পড়ার পর এটি পড়লাম। বেশ লাগলো। আশা করি সিরিজ চলবে
পথখোঁজা পথিক
নতুন মন্তব্য করুন