উত্তরাধুনিক লেখালেখির সহজ কৌশল, বা, উত্তরাধুনিক লেখা এতোই সহজ!

মহাস্থবির জাতক এর ছবি
লিখেছেন মহাস্থবির জাতক (তারিখ: বুধ, ১২/০৫/২০১০ - ১২:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

---মহাস্থবির জাতক---

ডিসক্লেইমার: এই লেখাটি কোন সম্প্রদায় বা বিশেষ কোন গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে রচিত নয়। কেউ আহত হলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন, এই আকুল আবেদন।

বলতে কি, লেখালেখি নিয়ে কেন লোকেরা এত মাথা ঘামায়, সেটা আমার মাথায় ঢোকে না। কী হয়েছে বলুন তো লিখে? কেউ কি কবিতা লিখে পরীক্ষায় পাশ করেছে, ছোটগল্প লিখে পেয়েছে চাকরি, অথবা, প্রবন্ধ লিখে ভালো বর বা কনে?

তারপরও, এত লেখার হিড়িক, লেখার মাধ্যমে এত আত্মপ্রকাশের হাহাকার দেখে ভাবছি একটা লেখার পাঠশালা খুলবো। শেখানো হবে ওখানটায় কিভাবে লিখতে হয় জনপ্রিয় প্রবন্ধ, কবিতা, ব্লগাব্লগি বা অন্য কিছু। আফট্রল, বাজারটা খারাপ না বোধহয়।

নিঃসন্দেহে আমি জনপ্রিয় কিছুই লিখতে পারি না, সেটাই আমার শেখানোর সব-সেরা যোগ্যতা। মুজতবা আলী তো বলেই গেছেন, খারাপ ছেলেরাই সবচাইতে ভালো শিক্ষক হয়। সুতরাং, গুরুর নামে করি শুরু।

সতর্কতাবাণী: এটা বেটা ভার্সন। টাকা ছাড়াই শেখানো হচ্ছে। ছাত্রদের সাড়া পেলে ভবিষ্যতে যথোপযুক্ত বিনিময়মূল্য (আকা, হাদিয়া) নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বো এনশাল্লাহ। আর, এই পাঠশালা আমার নিজস্ব টেন্টে পেটেন্ট করা, সুতরাং পরবর্তীকালে কেউ একই কাজ করার দুঃসাহস বা পাইরেটেড সংস্করণ বের করার চেষ্টা তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে লিখে তার প্রচুর পরিমাণে চরিত্রহনন করা হবে। তাই, আইডিয়া-চন্দ্ররেণুরা, হুঁশিয়ার।

আজ আমরা শিখবো কিভাবে উত্তরাধুনিক লেখা, এক্ষেত্রে প্রবন্ধ, লিখতে হয়। ভাবছেন বুঝি এত তাড়াতাড়ি অনেক উঁচু ক্লাসের পড়া কেন শেখাচ্ছি?
ভয় পাবেন না।

বিশ্বাস করুন, নিঃসন্দেহে উত্তরাধুনিক প্রবন্ধ লেখা যথেষ্ট সহজ।

যাঁরা লিখতে চান, কিন্তু, বুঝে উঠছেন না কী নিয়ে লিখবেন; অথবা, যাঁরা হালকা ধাঁচের লেখালেখি করেন, কিন্তু, কিছু উত্তরাধুনিক লেখা লিখে বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে খ্যাতি পেতে চান, তাঁরা অনায়াসে এই লেখা পড়ার বা এই কোর্স শেষ হওয়ার পর প্রাণখুলে উত্তরাধুনিক লেখায় হাত মকশো করে প্রভূত খ্যাতি এবং তারও বেশি পরিচিতি লাভ করবেন।

অনেক আজেবাজে কথা হলো। এবার ক্লাসের ঘণ্টা পড়লো।

১) উত্তরাধুনিক লেখা লিখতে গেলে সর্বপ্রথম আপনাকে নিতে হবে একটা কলমি নাম। নাম কিন্তু লেখালেখির জগতে মোটেও নামমাত্র নয়। এখানে শেক্সপিয়রের পিরগিরি-মার্কা প্রবচন, গোলাপকে যে নামেই ডাকো... ইত্যাদি খাটবে না। নামের গুণেই আপনার ভক্তকুল আকৃষ্ট বা বিকৃষ্ট হবে, অন্তত প্রথমত, প্রথামত।

আপনার নামটি হবে শুধু দু'অক্ষরের।

প্রথম অক্ষরে থাকবে চমকদার বা কোমল একটা তৎসম শব্দ। যেমন: শৃঙ্গার, অশ্মন, নিতম্ব ইত্যাদি। সাধারণত, আর্যদের প্রতি বিদ্রোহসূচক জাতিবাচক শব্দ আসতে পারে, যেমন: ব্রাত্য, দ্রাবিড়, অনার্য, শূদ্র ইত্যাদি। তবে এসব ব্যবহৃত হয়ে যাওয়ায় অন্য কিছু রাখতে পারেন। কিন্তু, দেশীয় কোন আদিম জাতিগোষ্ঠীর নাম চলবে না। যেমন: সাঁওতাল, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, মুরং ইত্যাদি শুরুতে আসবে না। সমাসবদ্ধ পদ না আসাই ভালো।

নামের দ্বিতীয় অংশে আপনার পিতৃপ্রদত্ত নামের কোন অংশ রাখতে পারেন। যেমন: ইসলাম, রহমান, চৌধুরী, অথবা, আপনার প্রকৃত নামের আদিপদ বা তার অংশবিশেষও চলবে। যেমন: নজরুল হলে নজরু, মোজাম্মেল হলে মজম ইত্যাদি। পুরোটাও চলবে। আজকাল এই তৎসম-আরবি/ফারসি মিশ্রণ বেশ উত্তরাধুনিক গন্ধ আনে। ভাবুন তো: ব্যলীক সোলায়মান কিংবা, দারুক য়ামিন। হ্যাঁ, নামের ভিন্ন বানানও গ্রহণযোগ্য। যেমন: আসলামের বদলে য়াছলাম, কিংবা, ফরিদ না লিখে ফহ্রিদ, অথবা, ইয়াকুবের পরিবর্তে য়্যাকুব কি ইরশাদ না হয়ে ইর্শাদ। অভিভাবকীয় নাম উল্টো করেও লিখতে পারেন, যেমন: নাজিম উদ্দিন-এর জায়গায় উদ্দিন নাজিম (হুমায়ুনের অমর সৃষ্টি উজবেক কবি নদ্দিউ নতিম-এর কথা মনে পড়ে গেলো)।

এসব দ্বিতীয় আকিকার আরেকটি সুবিধেজনক ব্যাপার হলো এসব কবি হতে চাইলেও ব্যবহার করতে পারবেন।

ইশ, ভাবতেই তো একেবারে দাঁড়িয়ে যায়, প্রায় পড়েই যায়!! (ভিন্ন মানসিকতার পাঠকদের জন্যে বলছি, যথাক্রমে গায়ের লোম এবং চোখের জলের কথা বলা হয়েছে)।

২) এরপর আসে কী নিয়ে লিখবেন, সে-সিদ্ধান্তটি। আপনার লেখার বিষয় হতে পারে মূলত চারটি: রাজনৈতিক, শিল্পসাহিত্যসম্বন্ধীয়, সমাজবৈজ্ঞানিক (নারী, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী, অভিবাসী জনগোষ্ঠী) এবং সমসাময়িক নানা ঘটনা।

এছাড়া, হাত মকশো হয়ে এলে যে-কোন কিছু নিয়ে লেখারই উত্তরাধুনিক রূপ দিতে পারেন আপনি। কিন্তু, আপাতত এসবের মধ্যেই লেখা সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।

প্রথম দুটি বিষয় নিয়েই লিখুন, এটা আমার প্রাথমিক পরামর্শ। কারণ, এসবে কথা খেলানো যায় অনেক বেশি আর এসব লোকজন বেশ খায়ও বটে। রাজনৈতিক বিষয়াবলি নিয়ে লিখতে গেলে আপনাকে অবশ্যই আনতে হবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট। মুসলিমদের ওপর বৈশ্বিক নির্যাতন, আমেরিকার একচোখো মনোভাব, সাম্রাজ্যবাদী চেতনা, প্রতিবাদ বা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অবস্থান ইত্যাদি দিকগুলো সুযোগমতো ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন যত্রতত্র। বলতে কি, সুযোগ না পেলেও ঢুকিয়ে দেবেন। আর, সবসময় খেয়াল রাখবেন ভিন্নতর কোন উপসংহার টানার।

যেমন: সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করার। এতে খরচ হবে প্র্রচুর বা অবকাঠামো নির্মাণে সময় ও অর্থ যাবে অনেক বা আদৌ এতে কতটুকু বিদ্যুৎ আসবে এবং লাভ হবে বাংলাদেশের, এসব মামুলি কথা। আপনি লিখবেন ভারতের স্বার্থের কুটিল চক্রান্তের ফাঁদ উন্মোচনের কথা, বোঝাবেন এতদঞ্চলের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর এবং নিজের দেশের মুসলিমদের ওপর অত্যাচার এবং নিয়ে আসবেন তালপট্টি, বেরুবাড়ির কথা, বিএসএফের আগ্রাসী মনোভাবটিও তুলে ধরবেন এবং শক্তির আন্তর্জাতিক রাজনীতিও ঢুকিয়ে দেবেন সাথে। পাশাপাশি পরিবেশবাদের ডাকও দিয়ে যাবেন।

সাহিত্য সংক্রান্ত লেখালেখিগুলো আরো সহজ। তবে, ঐ যে বললাম, সব মিলিয়ে একটা নিরুদ্দেশ ধোঁয়াশা তৈরি করে ফেলতে পারলেই আপনার লেখাটি অনেকাংশে সার্থক।

প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হবে, তবে বেশি নয়।

সবসময় এই লোকজ ছড়াটি মনে রাখবেন, এটাই মূলমন্ত্র ধরবেন:

এখান থেকে মারলাম ছুরি
লাগলো কলাগাছে
হাঁটু ছুঁলে রক্ত পড়ে
চোখ গেল রে বাবা।

এই যে টেক্সটে বিভিন্নমুখি সাবঅল্টার্ন ডিসকোর্সের উদ্ভব আর বায়বীয় ত্রাসের ছায়াময়তার পাশাপাশি পৈত্রিক যাত্রামুখে আমাদের সত্তার সরণ এবং তাকে স্মরণ, এরই মধ্যে বয়ান করা হয়েছে দেহতত্ত্বের ব্যাপারে জ্ঞানকাণ্ডের একটি ভিন্ন তরিকা।

ওপরের লাইনগুলোও লক্ষ্য করুন। আশা করি, এখন বেশ ভালো একটা ধারণা পেয়েছেন আপনার লেখালেখির অভিমুখের ক্ষেত্রে।

৩) শব্দপ্রয়োগের ব্যাপারটা খেয়াল রাখতেই হবে। বলতে কি, এর ওপরেই আপনার লেখা উত্তরাধুনিক হলো কি-না, সেটার শতকরা ৬০-৭০ ভাগ নির্ভর করবে।

এপ্রসঙ্গে শরৎচন্দ্রের শ্রী অনিলা দেবী ছদ্মনামে ফাল্গুন, ১৩১৯ সালে 'যমুনা' পত্রিকায় লেখা 'নারীর লেখা' প্রবন্ধের দিকে আপনাদের একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
সেখানে একটি জায়গায় তিনি বলছেন:

আমি পূর্বেই বলিয়াছি, রবিবাবুর সত্য অনুকরণ যত কঠিনই হউক, বিকৃত করা খুব সহজ। ও আর কিছু নয়-আমার নিম্নলিখিত এই তালিকাটি মুখস্থ করিলেই হইবে। যদি মুখস্থ না হয়, বড় বড় অক্ষরে লিখিয়া টেবিলের সম্মুখে টাঙাইয়া দিয়া নিজের রচনার মধ্যে এক একটা প্রবেশ করাইয়া দিলেই কাজ হইবে। মুখস্থ করুন-পরিণতি, বিশ্ব, মানব, দেহান্বয়, ভূমিষ্ঠ, গরিষ্ঠ, মুখর, চাই-ই, বনস্পতি, প্রয়োজন হইয়াছে, ফাঁকি, দৈন্য, পুষ্ট-সাধন, দেবতা, অমৃত, শ্রেয়, ভূমা, আশীর্বাদ, অর্ঘ্য, আবহমানকাল, শ্রেষ্ঠ, বাণী, খাঁটি, ভারতবর্ষ, নিষ্ঠা, জাগ্রত, জন্মস্বত্ব, দিন আসিয়াছে, তপশ্চর্যা, বৈরাগ্য, শ্রদ্ধা, যো-নাই, খাটো, পাৎলা, ডাক পড়িয়া গিয়াছে, মুক্তির আনন্দ ও ত্যাগের আনন্দ। বাস, এই কয়টিই যথেষ্ট। একটা রচনার মধ্যে সব ক'টা ব্যবহার করিতে উত্তম, না পার ভূমা, অর্ঘ্য, দেবতা, বৈরাগ্য ও ভারতবর্ষ এই পাঁচটি চাই-ই। অন্যথা রচনাই নয়।

তিনি সম্ভবত কিছুটা ব্যঙ্গ করেই কথাটা বলেছেন। কিন্তু, আমরা এখানে ঠাট্টা করতে আসি নি। রীতিমত উত্তরাধুনিক রীতিতে সাহিত্যচর্চা শিখছি। আর, তাছাড়া তিনি খাপছাড়াভাবে কথাটা বলেছেন। আমরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই ব্যাপারটা শিখবো।

আপনার লেখায় নিম্নলিখিত শব্দগুলো থাকতেই হবে উত্তরাধুনিক লেখা লিখতে গেলে। শব্দগুলো তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগের শব্দগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এগুলোর অন্তত ৮০-৯০ শতাংশ থাকতেই হবে আপনার লেখায়। দ্বিতীয় ভাগ একটু কম দরকারি। তৃতীয় ভাগটায় ব্যবহার্য ক্রিয়াপদগুলো বা ক্রিয়াবিশেষ্যগুলোর কিছু উদাহরণ দেখানো হয়েছে। যেহেতু, ক্রিয়াপদগুলো শুধু একটি কাল ও পুরুষেই ব্যবহৃত হয়েছে, তাই ধরে নিতে হবে এগুলো অন্য কাল বা পুরুষেও যথারীতি ব্যবহৃত হবে। এগুলোরও অন্তত ৫০-৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হলে রচনা সর্বাঙ্গসুন্দর ও প্রকৃত অর্থেই উত্তরাধুনিক হয়ে উঠবে।

ওহ্, আরেকটি কথা। এখন উত্তরাধুনিক লেখা কিন্তু মূলত সংকর ভাষায় লিখতে পারলে ভালো। কারণ, উত্তরাধুনিকতা সব কিছুই ধারণ করে। আপনি মেশাবেন তৎসম নামপদ আর আঞ্চলিক উপভাষার ক্রিয়াপদ বা অব্যয়। যেমন: 'ধারণা থেকে', না বলে বললেন, 'ধারণা থিকা'; বা, 'সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে' না লিখে লিখলেন 'সাম্প্রদায়িকতার লগে', কিংবা, 'অন্য কাজ করেছি' ব্যবহার না করে চালালেন 'অন্য কাম করসি'।

একটিই বাগধারা মনে জানবেন, জগাখিচুড়ি।

আমি জানি আপনি এর উৎপত্তির পেছনের গল্পটা শুনতে ইচ্ছুক, কিন্তু, আজ ওসব লঘু বিষয়ে মন বা সময় দেওয়াটা আমাদের জন্যে কিঞ্চিৎ হেজিমনিক হয়ে যাবে।

এখন ঠেলা সামলান...ইয়ে...শব্দগুলো বুঝে নিন।

প্রথম ভাগ:
টেক্সট (কক্ষনো লেখালেখি/লেখা শব্দটা ব্যবহার করবেন না), ডিসকোর্স ('আলোচনা'/'আলোচ্য বিষয়'-এর প্রতিশব্দ বা অন্য ক্ষেত্রেও বসতে পারে, যেমন: "ষাটের দশকে যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ শেষপর্যন্ত 'বীর-বাঙালি অস্ত্র ধরো' পর্যায়ে নিয়ে যায়, তার কোনো ডিসকোর্স আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায়, লেখনীতে হাজির আছে কি?", এখানে আর " বাঙালি জাতীয়তাবাদ-এর ডিসকোর্স স্বাধীন সার্বভৌম গ্রেটার বেঙ্গল (ভারত-পাকিস্তানের বাঙলাখণ্ড) মুভমেন্টের ব্যাপারে নীরব কেন?" এখানে ব্যবহৃত শব্দদুটোর অর্থ একই নয়), দেরিদা/জাক দেরিদা/দেরিদার ডিকন্সট্রাকশন তত্ত্ব, ফুকো/মিশেল ফুকো/ফুকোর ক্ষমতাসংক্রান্ত তত্ত্ব, চমস্কি/নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতী রায়, সাইদ/এডওয়ার্ড সাইদ, ওরিয়েন্টালিজম, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, সাবঅল্টার্ন, প্রাকৃতজন, জনগণের ইতিহাস, মৌখিক/বাচিক/লৌকিক ইতিহাস, অল্টারনেটিভ মিডিয়া/প্রতিমিডিয়া/বিকল্প মিডিয়া, নির্যাতন, প্ররোচিত, ইরাকি জনগণ, আফগানিস্তান, জায়নবাদী ষড়যন্ত্র, তত্ত্ব, জ্ঞানকাণ্ড, দর্শন, চিন্তা, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, উত্তরাধুনিক/উত্তরাধুনিকতা/পোস্টমডার্নিজম, প্রগতিশীল, প্রতিক্রিয়াশীল, ভাষাচিন্তা, জেন্ডার, পুরুষতান্ত্রিক, নারীর ক্ষমতায়ন, চেতনা, অবচেতন, যৌনতা/যৌনতার রাজনীতি, সাংস্কৃতিক/রাজনৈতিক/সামাজিক উত্তরাধিকার, ভোগবাদী/ভোগবাদের সভ্যতা, মুক্তবাজার/মুক্তবাজার অর্থনীতি, বিবদমান, সেকুলার/ধর্মনিরপেক্ষ, সেকুলারিজম/ধর্মনিরপেক্ষতা, অপর/আদার, তরিকা, বয়ান, বিজ্ঞানের/বৈজ্ঞানিক দর্শন, এনলাইটেনমেন্ট/আলোকপ্রাপ্তি, একাডেমিক, ডায়ালেকটিকস/দ্বান্দ্বিকতা, হেজিমনি(-ক)/এন্টি-হেজিমনি(-ক), ফ্যাসিবাদ, দূরন্বয়, বুদ্ধিবৃত্তিক/ইন্টেলেকচুয়াল, দেহবাদী কাঠামো, আত্মাবাদী কাঠামো, প্রত্যয়/প্রত্যয়গুলো, মেটাফিজিক্স/অধিবিদ্যা, অধিবিদ্যক, ভাববাদ, ভাববাদী, প্রপঞ্চ, জাতীয়তাবাদ, স্বভূমিদর্শন, একরৈখিক, বহুরৈখিক, ফিউডালিজম/সামন্তবাদ।

দ্বিতীয় ভাগ: নিরালম্ব, এ্যালিগরি, আবহমান, উত্তরভাগ, সভ্যতা, বিবর্তন, পাঠ/পঠনপ্রক্রিয়া, ভিন্নখাতে প্রবাহিত, মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, ধর্মীয় মৌলবাদ, ফিউডাল রেমনেন্ট, সহনশীল/সহনশীলতা, ডিসকার্সিভ, মধ্যখণ্ডন, ফিউশন।

তৃতীয় ভাগ: প্রত্যয় হইতেসে, প্ররোচিত হইতেসি, অংশীদার হই/হইলাম, ভাইবা দেখলে কিন্তু, প্রতীয়মান হয়/হইতেসে, সৃষ্টি হইলেও হইতে পারে, বয়ান করতাসি, দর্শন করলে, চেতনার আন্দোলন থিকা, আমল করা, ইমান আনা।

উদাহরণ আরো দেওয়া যায়, কিন্তু প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু একটু সাহস। আপনি ওটা নিয়ে কি-বোর্ডের সামনে বা খাতার সামনে বসে পড়ুন। একটু চোখ বোলান ওপরের শব্দ তালিকার ওপর। কিছুদিন পর দেখবেন আর চোখ বোলানোরও দরকার হচ্ছে না। আপনি স্বনির্ভর। তখন রাখবেন এই দাসকে মনে।

৪) অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভিনদেশি পণ্ডিতদের লেখা থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার। তবে, সর্বোচ্চ তিনটি, এর বেশি নয়। অন্যদের লেখা থেকেই যদি তুলে ধরবেন, নিজে লিখবেন কী! পণ্ডিতদের নাম অচেনা হলেই ভালো হয়, চেনা হলেও সমস্যা নেই। নিজের মতামত লিখে তাঁরা বলেছেন বলেও চালিয়ে দেওয়া যাবে। উত্তরাধুনিকতা সব কিছুই ধারণ করে।

যাক, অনেক বকবক করলাম। এবার আপনাদের লেখা শুরুর পালা। কেমন লিখলেন, কেমন মন্তব্য পেলেন, এসব জানাবেন আমায়। শরৎচন্দ্রের উপর্যুক্ত লেখা থেকে একটা অনুচ্ছেদ তুলে ধরেই শেষ করি। যদি আপনার লেখায় এরকম মন্তব্য পান, বুঝবেন আপনার লেখা সার্থক।

কিন্তু তাঁর ভাষা যে অতি সুন্দর, অতি মধুর, তাহা অকপটে স্বীকার করি। প্রতি ছত্র গভীর পাণ্ডিত্যে পরিপূর্ণ। বহুমূল্য ঘড়ির সুগঠিত কলকবজার ন্যায় তাঁহার প্রত্যেক শব্দবিন্যাসটির আশ্চর্য কৌশল দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছি। ঘড়িটি দামী এবং চলিতেছেও বটে, কিন্তু কাঁটা দুটি না থাকায় কবি পোপের মত সময়টা ঠিক ঠাহর করিতে অক্ষম হইয়াছি।

পু: এক বিখ্যাত ঔপন্যাসিক একটা মেয়েদের স্কুলে গেছেন। তো এক শ্রেণীর এক বালিকা তাঁকে প্রশ্ন করলো, "আচ্ছা, স্যার, আপনার লেখার ধরনটা একটু বলবেন? কিভাবে উপন্যাস লিখতে হয়?"

ঔপন্যাসিক উদার হেসে বললেন, "খুব সোজা। প্রথমে অভিজাত সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা, এরপর একটু ধর্মসংক্রান্ত কথাবার্তা, তারপর কিছু সামাজিক বিষয় আলোচনা, এরপর একটু রহস্য রেখে শেষ করলেই উপন্যাস দাঁড় করিয়ে ফেলা যায়।"

কিছুক্ষণ পরেই মেয়েটা বললো, "আমি একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছি।"

সবাই অবাক।

লেখক বললেন, "পড়ো তো শুনি, কী লিখলে।"

মেয়েটা গড়গড় করে পড়ে গেলো। "বিরাট শিল্পপতি জনাব হাসান চৌধুরীর সুন্দরী স্ত্রী মিসেস চৌধুরী বললেন [অভিজাত সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা], "ও খোদা [ধর্মসংক্রান্ত কথা]! আমার একটা বাচ্চা হবে [সামাজিক বিষয়]। কিন্তু, এর বাবা কে তা তো জানি না [রহস্য!]!!!!"


মন্তব্য

লাল-মডু এর ছবি

আপনার অ্যাকাউন্ট দীর্ঘদিন যাবত সক্রিয়, কিন্তু আপনি সেটি ব্যবহার করছেন না। অনুগ্রহ করে মেইল চেক করুন, সক্রিয় অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পোস্ট ও মন্তব্য দিন। ধন্যবাদ।

দ্রোহী এর ছবি

হা হা হা হা হা !!!!!!!!

পুরা কোপানি লেখা!!!!!!!!!! কৌতুকটা পুরাতন কিন্তু লেখাটা পুরো উত্তরাধুনিক কোপানি হইছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম উত্তরাধুনিক এই লেখাটা আর এর মন্তব্য, প্রতিমন্তব্যগুলোও পড়তে পারেন।

আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

---মহাস্থবির---

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ক্ল্যাসিক!

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

এমন পশ্চিমাধুনিকতার যুগে উত্তরাধুনিকতাকে এমন দক্ষিণা দিয়ে গেলেন, যা পূর্বে দেখা যায়নি হাসি

সাধু সাধু...
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সহজীয়া এর ছবি

বেশি জোসিলা। ফেভারিটে রাখলাম।
________________________________
বিধিবদ্ধ পঙ্কিলতা।
জীবন বাবু,তাঁর কবিতা।
তৃপ্তিদায়ী আত্মশ্লাঘা।
এবং এ রাতজাগা।
************************************

রাফি এর ছবি

পুরাই উত্তরাধুনিক লেখা হইসে।। চোখ টিপি
পাঁচিয়ে প্রিয়াইলাম।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

রাফি এর ছবি

ভাললাগায় দেখি দুইবার মন্তব্য করে ফেললাম।।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ব্যাপক গবেষণাসমৃদ্ধ লেখা। এইটা ফোল্ডার ফর্মে ছাপিয়ে ফেলেন। পোলাপান মুড়িমুড়কির মত কিনে নিয়ে যাবে।

পুনশ্চঃ আপনার পর্যবেক্ষণ ও ভাষা প্রশংসনীয়। লেখায় পাঁচ তারা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

স্পর্শ এর ছবি

মুগ্ধতা বাড়ছেই। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ওডিন এর ছবি

বহুত কিছু শিখলাম!

আর বিকেলে বের হয়ে প্রিন্টারের কালি আর একটা কমলা রঙের মার্কার কিনা আনুম ঠিক করছি। দাগিয়ে দাগিয়ে আরো বিশদভাবে পড়তে হবে। খুবই জ্ঞানপ্রদায়ক পোস্ট। দেঁতো হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বান্ধায়া রাখনের মতো পোস্ট হইছে... স্যালুট...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখার ধরন খুব সুন্দর ।
ভালো লাগলো পড়তে গিয়ে ।
মাথায় কতটুকু ঢুকেছে জানি না কিন্তু লেখাটা খুব মন দিয়ে পড়লাম ।

সাবরিনা সুলতানা

হাসিব এর ছবি

চ্রমচ্রমচ্রম !

স্নিগ্ধা এর ছবি

এহ হে রে! আমি বহু বছর ধরে একটা লেখা লিখতেসি, অভিজাত (এমন কি অনভিজাত) সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা, ধর্ম সংক্রান্ত প্রচুর কথাবার্তা, জেন্ডার, সামাজিক নানা হ্যানতেন ইত্যাদি তো অবশ্যই - মানে, যা যা প্রেসক্রাইব করলেন মোটামুটি সবই আছে ......... কিন্তু, ইয়ে, ...... শেষে এসে আর রহস্য পাচ্ছি না। মানে, সবাই তো দেখি সবকিছু ইতোমধ্যেই জেনে বসে আছে, তাইলে????

স্যর, বেটা ভার্সনটা কি আর একটু বাড়ানো যায়? মানে, রহস্য কীভাবে তৈরী করতে হয়, সেটাও একটু যদি শিখায় দিতেন ...... মন খারাপ

[কিছু ইয়েমার্কা ইয়ের জন্য মানুষজন উত্তরাধুনিক শব্দটা শুনলেই হয় হাসে নাহয় ক্ষেপে উঠে, আপনি সেই পালে আরও বাতাস দিলেন, আইচ্ছা ......!]

কাকুল কায়েশ এর ছবি

অনেক কিছু ফ্রি তে শিখাইয়া দিলেন, মজা ভাই! চোখ টিপি

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

তিথীডোর এর ছবি

গুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লি

_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ফারাবী [অতিথি] এর ছবি

এক্কেবারে 'কোপা শামসু' লেখা। ব্যঙ্গ, তথ্য, পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ- কোন দিকেই কম যায় না। তারাইতে পারলাম না বলে মুখ দিয়ে একটা অনিবার্য উত্তর-আধুনিকীয় শব্দ বেরিয়ে গেল! যাক কি আর করা, কোনদিন সদস্য মনোনীত হইলে(সম্ভাবনা অতীব ক্ষীণ) অবশ্যই করব। হাসি

মর্ম এর ছবি

দুরন্ত। দুর্দান্ত। চমেত্‍কার।

হাসি

উত্তরাধুনিক টেক্সটের কোচিং ম্যানুয়েলের বেটা ভার্সনের পাশাপাশি দুয়েকটা ডেমো যদি থাকতো তাইলে সোনায় সোহাগা হইতো! দেঁতো হাসি

উপন্যাসটা ক্লাস!! দেঁতো হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

স্পার্টাকাস এর ছবি

প্রিয়তে ঝুলাইলাম।

---------------------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।

জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

এরপর উত্তরাধুনিক লেখা বোঝার উপর একটা কোর্স দিলে ভাল হত...
আমি লিখতে চাইনা, বুঝতে চাই মন খারাপ

টিউলিপ এর ছবি

উত্তরাধুনিক লেখা উল্টোদিক থেকে পড়তে থাকুন, উত্তরাধুনিক পঠনপ্রক্রিয়া।

লেখা পুরাই গুল্লি।
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

দেঁতো হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার রসবোধ ভালো...

ভাল্লাগসে, বেশ ভাল্লাগসে...

_________________________________________

সেরিওজা

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ঠিকাছে।

কামিঙ ছুন।



অজ্ঞাতবাস

নিবিড় এর ছবি
ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মুগ্ধতাটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত অসামান্য একটা লেখার জন্য। প্রতিটা লাইন বাঁধিয়ে রাখার মতো!!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একেবারে তাজ্জব রকমের একখান লেখা
কিছুদিন আগে আমি ভাবছিলাম আধাউত্তরাধুনিক লেখার কৌশল নিয়ে একটা কিছু লিখব

কিন্তু বুঝলাম
বাজার নাই
তারচে এইটারে ধরাইয়া দেই পাব্লিকের হাতে (পাব্লিক বানানটা কিন্তু উত্তরাধুনিক)

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয়তে যোগাইলাম............... দেঁতো হাসি

চরম হইসে.................. দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

নবীন পাঠক

shahriarsajib@gmail.com

হিমু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

নমস্য ।
বস্‌, উত্তরাধুনিক লেখালেখির কৌশল শেখালেন। কিন্তুক আমার মতো মন্তব্যবাজদের উত্তরাধুনিক মন্তব্য কীভাবে করতে হয় শেখাবেন না?
- বুদ্ধু

খেকশিয়াল এর ছবি

হো হো হো

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

পল্লব এর ছবি

হো হো হো পুরাই পাংখা!!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ফুল ফিরি ইশটুডেনশিপ পাইলে আমি ফাশট বেঞ্চে বসতাম ছাই।
আর নাইলে আমারে গেস্ট লেকচারার করেন। আমারও বলার আছে অনেক কিছুই। মাগার সুযোগ পাইতাছি না... মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মৌসুমী এর ছবি

একছেলেন্ট......।
এইরকম মারদাঙ্ঘা লিখা পইরা, আবার লিখা নিয়া চিন্তা ভাবনা বাড়ায় দিলাম।

মামুন হক এর ছবি

অসাধারণ!

বোহেমিয়ান এর ছবি

খেকজ!!! ব্যাপক!!!
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

বর্ষা এর ছবি

লেখা বেশ ভালো হয়েছে। তবে প্রিয়তে রাখলাম শব্দগুলোর জন্য। আমি প্রায়ই এইগুলো ভুলে যাই।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

গৌতম এর ছবি

আপ্নি তো আমার ভাত্মাইরা দিলেন! ফেসবুকে কীভাবে নোট লেখা যায়-জাতীয় একটা লেখা মাথার ভিত্রে প্রায় তৈরি করে ফেলসিলাম, এমন সময় আপ্নে এইটা দিলেন? আপনার নামে কপিরাইট আইনে মাম্লা কর্মু নাকি?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

একটি উত্তরাধুনিক মন্তব্য :

এই লেখার টেক্সটে কোনো নতুন ডিসকোর্সের জন্ম হয় নাই। এইটা আসলে চিন্তার সাম্রাজ্যবাদি বিকাশের একটা নয়া রূপ হইছে। ইন্ডিয়ার হিন্দুবাদী বঙ্গীয় ভাষার বিকাশ আমাদের দেশের ভাষিক ইতিহাস হইতে ভিন্ন বিধায়, যখন নিজ দেশীয় ভাষায় একটা নতুন চিন্তার উন্মেষ হইতেছে, তখন তারে আঘাত কইরা আপনার এই লেখাটা মূলত: সামাজিক দ্বন্ধে প্রতিক্রিয়াশীলতা ছাড়া কিছু না।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

হো হো হো পুরাই কোপানি! বান্ধায়া রাখনের মতো একখান লেখা হইসে! হো হো হো মজা পাইলাম মজা ভাই! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

, ঐ যে বললাম, সব মিলিয়ে একটা নিরুদ্দেশ ধোঁয়াশা তৈরি করে ফেলতে পারলেই আপনার লেখাটি অনেকাংশে সার্থক।
চলুক
এই লেখাটা অতি দ্রুত পুস্তিকা আকারে প্রকাশে দেশের আপামর উত্তরাধুনিক লেখক/লেখিকাকূলের কল্যাণে হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া আবশ্যক মনে লাগতাসে.. লাগে ১০টাকা আমি দিমু!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ভ্রম এর ছবি

মুগ্ধ হই গেলাম! দেঁতো হাসি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

তারা দিয়ে গেলাম। তাড়াও । আরো লিখেন।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দারুণ লিখেছেন। হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অস্পৃশ্যা এর ছবি

এই লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার করতেই হল, কারণ আমার কিছু হবু উত্তরাধুনিক বন্ধুদের জন্য দরকারী এ ঘরানার লেখা কালেভদ্রে পাওয়া যায় কিনা... চোখ টিপি আশা করি লেখক কিছু মনে করবেন না।

লেখাটা খুব খুব ভালো হয়েছে...

সাধু! সাধু! চোখ টিপি

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

সবাইরে উত্তরাধুনিক রীতিতে ধইন্যবাদ জানাইলাম।

কিছু আলোচনা..থুক্কু...ডিসকোর্স আসিলো, যাউগ্গা...পরে কোনদিন হৈবো নে...

-----------------------------------------
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

সচল জাহিদ এর ছবি

'অসাম', 'ইউ জাস্ট ডিড ম্যান'

উত্তরাধুনিক রীতিতে সাধুবাদ জানিয়ে গেলাম !!!

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তাসনীম এর ছবি

দারুন চলুক

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

উট্ট্রাঢুনিক পুস্ট

-----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সানি এর ছবি

সেইরকম হইছে গো ভাই ! সেইরকম ! ও মরি মরি !

অপরাজিত [অতিথি] এর ছবি

সেইরকম লেখা হইছে গো দাদা ! আঁতেলদেরকে বিনামূল্যে এটি বিতরণ করার জন্য সরকারী বরাদ্দ রাখা উচিত ।

অতিথি লেখক এর ছবি

দাদা, আপনি কি বিবাহিত? যদি অবিবাহিত থাকেন তবে একটু বলিয়েন প্লিজ । আমি এখনও অবিবাহিত । একটু try করতাম আরকি ।

(মুগ্ধতা চৌধুরী মম)

অতিথি লেখক এর ছবি

দাদা গো, মোহিত হইয়া গেছিনু । আপনি কোন চাওলের ভাত খাইয়া এইরকম লিখা লিখেন গো? অসম্ভব অসাধারণ !

চালিয়ে যান ।

(মহাউন্মাদের শিষ্য)

শাওন খন্দকার এর ছবি

দুনিয়ার আঁতেল এক হও ! তোমাদের জন্য মজা (মহাস্থবির জাতক) দাদা এক উন্নত ট্রেনিং সেন্টার খুলিতে যাইতেছেন । এখান থেকে তোমরা দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আঁতেল হইবে ও বাংলাদেশ তোমাদের রপ্তানি করিয়া প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করিতে সক্ষম হইবে ।

ওরে! এর ছবি

যাক। একুনে দেকছি চন্দ্রিল ভটচাজ্জির ভাত মারা যাবে। কারুবসণার সন্ন্যাস লাভ ঘটুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাঃ হাঃ হাঃ !!! ভাই মহাস্থবির জাতক, আপনার স্থবিরতার দিন শ্যাষ ! আপনি না লেখার প্রথমেই অভিযোগ করেছিলেন যে প্রবন্ধ লিখে কেউ বর কনে পায় না ! এই যে মম দিদি আপনার কনে হতে উত্‍সাহ প্রকাশ করলো । কৈ আপনি তো পেলেন ! হাঃ হিঃ হোঃ !! মমদিদি, মহাস্থবির দাদা বিবাহিত হলেই বা কি, দুই নম্বর হয়ে লেগে যাবেন !! এটা এমন কি ব্যাপার ! হোঃ হিঃ হাঃ ! পেট ব্যথা হইয়া গেলো আম্মো !

(মহাউন্মাদের শিষ্য)

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম... লা জওয়াব ! উদয়ের পথে শুনছি আপনার বাণী ! তবে ভাই, দেখে শুনে চলিয়েন । মমদি না হয় খেপবো । (একটু বিটলামি করলাম । মনে কিছু নিয়েন না প্লিজ ।)

ফেইসবুকে এড করলাম । আবার মামলা করে বসিয়েন না যেন !

(এপিটাফের কবি)

ভণ্ড_মানব [অতিথি] এর ছবি

ফাটাফাটি হইছে ভাই।
উত্তরাধুনিক লেখক হইতাম চাই। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আপনার ফর্মূলাটা সময় থাকতে প্যাটেন্ট করে রাখেন। আপনাকে মূল্য পরিশোধ করে তবেই উত্তরাধনিক সাহিত্য রচণা করবে সবাই। সেই সাথে আপনার শব্দতালিকাও কপিরাইটের আওতায় রাখতে ভুলবেননা কিন্তু।

আর, ইয়ে মানে, আমার নামটা কী উত্তরাধুনিক কবি/সাহিত্যিক/চিন্তাবিদ/তার্কিক হবার উপযুক্ত?

-লাবণ্য-

জি.এম.তানিম এর ছবি

পুরাই গুল্লি
----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এহ রে...
কর্ছেন কী!!!

উত্তম জাঝা!

অতিথি লেখক এর ছবি

ইসে... এই বিষয়ে আপনি আমার প্রাইভেট টিউটর হবেন?

কৌস্তুভ

জুনেব [অতিথি] এর ছবি

ব্যাপক দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি
আপনে এই লেখা পেটেন্ট করে ফেলুন আমাগো মোজো কাক্কুর মতো ।
তারপর টাকাই টাকা ৫০ মিলিয়ন কোন ছাড় !!
কারন এখন তো উত্তরাধুনিক লেখালেখিরই যুগ । নাইলে সুশীলও হয়া যায় না আর মেয়েও পটে না ( আপনের কথা অবশ্য আলাদা খাইছে ) ।

বইখাতা এর ছবি

মারাত্মক! চলুক চলুক চলুক

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

সাম্প্রতিক মেহেরজান তর্কে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় ফেসবুকে শেয়ার করলাম

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অতিথি লেখক এর ছবি

জলজ হিংসার রক্তচক্ষু লোলুপতার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনে বিদীর্ণ, সন্ত্রস্ত সত্তার অন্তঃসত্ত্বার ঘুমন্ত নির্জলা ন্যাড়া ফোকলা শিশুটি...

কেমন হয়েচে দাদা??? চোখ টিপি
পারছি কিছু???

হিমাগ্নি

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষের লাইনটা পুরাই গুল্লি

ধৈবত

দিগন্ত বাহার() এর ছবি

জনগন কিন্তু নিজেকে 'জন'গন ভাবে না চোখ টিপি

কর্ণজয় এর ছবি

বেশ। বেশ। বেশ। বেশ। বেশ।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক

কল্যাণ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

cresida  এর ছবি

দারুন লেগেছে।

শুধু একটা খটকা। ১ নং যেখানে শুরু, আপনি নিশ্চই দুটি-অক্ষর লিখেছেন ভুলে। তাইনা ? দুটি শব্দ হবে।

ভালো থাকা হোক।

cresida

নিটোল এর ছবি

লেখাটা আজও প্রাসঙ্গিক। চ্রম।

_________________
[খোমাখাতা]

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

দেবদ্যুতি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।