এই চায়ের আবার ব্যাপার স্যাপার আছে, গরম চা পছন্দ হবার কথা সবার, আমার ভাল লাগে সামান্য জুরোনো চা। আমি কাপ নিয়ে বসে যাব কাজে, চা থাকবে আমার সামনে, আমি দেখব আছে সেটা, এটাই একটা বেশ মেন্টাল স্যাটিসফ্যাকশন, মাঝে মাঝে চলবে চুমুক দেয়া। আর তা ছাড়া চা টা শেষ হয়ে গেলেও অসুবিধা আছে, আবার নিজেকেই উঠতে হবে বানাতে! এই চা জিনিসটা রেডিমেড পেতে খুব ভাল লাগে, কিন্তু কেন জানি অধিকাংশ সময়েই অন্যের বানানোটা ঠিক মনমত হয় না। তার উপর আবার দিন আর দিনের সময় বিশেষে চলে লাল চা, দুধ চা, আদা চা, লেবু চা, কত্তশত রকমের চা! কোল্ড টিও মন্দ নয়, এই প্রসঙ্গে মনে পড়ল, গুলশানের বেলা ইটালিয়ার কোল্ড টী বেশ ভাল, যাদের চা প্রীতি আছে গরমের দিনে ট্রাই করে দেখতে পারেন। কর্মক্ষেত্রেও নিজের হাতের কাছেই চা বানাবার সরঞ্জাম থাকে সাধারণত।
দিনের শুরুতে চা (এটা প্রায় সবসময় দৌড়ের উপর হবে, এবং অনেক সময় ঐটুকুই প্রাতঃরাশ), কাজের ফাঁকে চা, গল্পের মাঝে চা, এক কাপ চা আর একটা বই, কেউ এলে চা, বৃষ্টি হলে চা, বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা (সময় পাওয়া গেলে), সন্ধ্যার চা, ঠান্ডা লেগে থাকলে আদা-মধু চা, মন খারাপ হলে চা, বন্ধুদের স্মৃতি কাতরতায় চা, রাগ হলেও চা, নিশি জাগরণে চা, এমনকি অনেক সময় ঘুম না হলেও চা! সবাই দেখি চায়ে ক্যাফেইন আছে, খেলে ঘুম আসবে না ইত্যাদি বলেন, আমার কিন্তু কখনোই চা খেয়ে ঘুমের কোন অসুবিধা হয়নি, বরং ঘুম আসছিল না, উঠে এক কাপ চা বানিয়ে খেলাম, আর তারপরে বেশ ভাল ঘুম হল, এমন ঘটনার উদাহরণ দিতে পারব নিশ্চিত ভাবে।
চায়ের সাথে যে কত্ত স্মৃতি! বেড়াতে বের হলে রাস্তার ধারের দোকানের চা হল অমৃত, তাও আবার অঞ্চল ভেদে একেক জায়গারটা একেক রকম। ঘন দুধের চা, সর আলা চা, তালের গুড়ের চা, কন্ডেন্সড মিল্কের চা, গুঁড়ো দুধের চা, মশলা চা, কাচের গ্লাসে চা, সিরামিকের পিচ্চি কাপে চা, ইত্যাদি, ইত্যাদি। স্কুল জীবনের চা, কারো বাড়িতে ছুটির দিনের আড্ডাবাজিতে কয়েক প্রস্থ চা (তার সাথে অবশ্য রকমারী ‘টা’ও), বাসার সবার সাথে চা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-ল্যাবের ফাঁকে দৌড়ে গিয়ে চা! আর এত এত চা-য়ের সাথে অটোমেটিক চলে আসে অনেক অনেক গল্প, কবে চা খেতে গিয়ে কি হয়েছিল, কে কি করেছিল, কি বলে হাসাহাসি, রাগারাগি, কান্নাকাটি হয়েছিল, কখন কাকে কয় কাপ চায়ের সাথে কে কতখানি মিস করেছিল…
এক কাপ চা বলছি বটে বারবার, কিন্তু এই কাপ নিয়েও অনেক ভেজাল আছে। আমি কখনোই কাপে চা খেয়ে আরাম পাই না। আমার লাগে একটা মগ, সেটার আবার অন্য অনেক জটিলতা আছে। সেই মগের সাইজ হতে হবে না বড়, না বেশি ছোট, নাতো এটা ভারী হলে চলবে, না ঝকোমক্ত, নাত এটা এক রংয়ের হবে, না বাহারী, একটা-দুটা মজার কথা বা ছবি লেখা থাকতে পারে, তবে না থাকলেও চলে। এর মুখটা যেন এমন হয় যে চা খেতে আরাম হবে, কিন্তু যেন বেশি ছড়ান না হয়, তাইলে চা বেশি তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যাবে। এইসব প্রকারভেদগুলি অবশ্য আমার চা-প্রেমী বন্ধুদের মাঝেও পার্সন টু পার্সন ভ্যারী করে, ঠিক কার কি রকম চা পছন্দ সেভাবেই। তবে আমার বন্ধুদের সবারই কম বেশি চা-প্রীতি আছে এটা বলা বাহুল্য। কিন্তু এটা বড়ই সত্য যে একটা ঠিকঠিক মনমত চায়ের মগের যে কত কদর তা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন।
ভুক্তভোগী মানে হল, এই আমার মত। গত ৪-৫ বছর ধরে আমি ব্যবহার করছিলাম আমার বন্ধু H-এর আমার জন্মদিনে দেয়া একটা মগ। এর আগেও অনেক সময় অনেক জন্মদিনে অনেক মগ-টগ পেয়েছি, কিন্তু এমন পচ্ছন্দ আর কোনটাই হয় নাই। এই মগটা ছিল বাহুল্য বর্জিত, সুন্দর সাদা সিরামিকের একদম ঠিক মনমত সাইজের। মুখের কাছে ছিল সবুজের মাঝে সাদা-হলদে ডেইজীমার্কা কোন ফুলের হাতে আঁকা একটা বর্ডার। মগটা ছিল আমার গত পাঁচ বছরের সুখ দুঃখের সাথী, একাকীত্বের বিশ্বস্ত বন্ধু, হাসি-কষ্ট আর ব্যার্থতা-সাফল্যের নিশ্চুপ স্বাক্ষী।
ছিল! Past Tense, কারন গত ৭ জানুয়ারী সন্ধ্যার চা বানাবার সময় অন্যান্য অনেক চিন্তায় অন্যমনস্ক আমার হাত থেকে টেবল ফস্কে হঠাৎ পড়ে গিয়ে এই প্রিয় মগটি দুটুকরো হয়ে গেল! এমন ভাবেই হল যে আর তাকে জোড়া লাগান সম্ভব নয়। মনের দুঃখে আমি চা খাওয়াই ছেড়ে দিব কিনা যখন ভাবছিলাম, মনে পড়ল তা হলে আর চা খেতে গিয়ে এই মগটাকে মিস করা হবে না। তাই আমার এই পুরোনো বন্ধুর ছবি তুলে রেখে নতুন আরেকটা মগ খুঁজতে বেরুতে হুবে একদিন ঠিক করে, ফোন দিলাম সেই বন্ধুকে যে মগটি দিয়েছিল। পেলাম না তাকে। ফেসবুকে মগের ছবি আপ করে ওয়াল-এ লিখে দিয়ে এলাম, তাও অনেকদিন কোন খোঁজ নেই। যখন খোঁজ নিল, জানাল, মগটার কথা নাকি সে ভুলেই গেছিল! তবে ধন্যবাদ দিল আমাকে এতদিনেও আমি সেকথা মনে রেখেছি দেখে, আর আশ্বস্ত করল সে তার চোখ-কান-গলা-মাথা খোলা রাখবে আমার জন্যে আবার সেইরকম আরেকটা মগ খুঁজে বের করতে।
কিন্তু আমিতো জানি সেটা কি রকম কঠিন কাজ হবে! এখনো এই ৫ মাস পরেও আমার নিজের সেই অপ্টিমাম মগের খোঁজ জারি আছে। আরেকটা মনমত মগ খুঁজে বের করা যে চাট্টিখানি কথা নয় তা অনেকদিন পরে আবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। কাজ চালাচ্ছি এখন আড়ং-থেকে কেনা, গাঢ় নীল স্ট্রাইপের মোটামুটি একটা মগ দিয়ে। যেকোন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা গীফট শপে ঢুকলেই এখন আমার প্রথম কাজ হচ্ছে মগের সেকশন খুঁজে বের করা, এবং নিত্য নতুন মগ কিনে এনে ট্রায়াল দিয়ে দেখা যে আমার দৈনন্দিন সুখ-দুঃখ, রাগ, মন খারাপ, মেজাজ খারাপ, আনন্দ-হাসি, সাধারণ-অসাধারণ সব্রকম মুড আর দিনগুলির সাথী হতে পারার সক্ষমতা আছে নাকি তার। মেয়ের নিজের বিয়ের পাত্রের চেয়ে, অপটিমাম একটা চা-পাত্র খোঁজার এমন নিরলস সাধনায় সবচেয়ে বিরক্ত আমার মা। কিছু বলার নাই, অপটিমাম চা-পাত্রই পাই দেখি আগে, বাকিটা অনেক দূরের কথা!
এখন উঠি, আজকের এই ছুটির দুপুরে, ৪-৫ জন বন্ধু মিলে লাঞ্চের সাথে সাথে ব্যাপক গিয়াঞ্জামের প্ল্যান করা হয়েছে। হয়ত লাঞ্চটা গড়াবে বিকেলের চা-য়ে, সময় মিললে বিকেলের চা গড়াবে সন্ধ্যার চা-য়ে। ব্যস্ততা কম থাকলে, সবার মন হালকা থাকলে হয়ত বা রাত হবে… চায়ের সাথে জুড়বে নতুন গল্প… ছেলেবেলার হারিয়ে যাওয়া কাহিনী, হাসি হই-চই আর চিল্লামিল্লি… আর হয়ত বড় হয়ে সবাই নিজ নিজ জীবনে ব্যাস্ত হয়ে যাবায় না-বলা থেকে যাবে অনেক, আরো অনেক, অনেক কথা… তোলা থাকবে সেগুলি অন্য আরেকটা স্বপ্নের চা-আসরের জন্যে… …
দুপুর ১:00 টা, ১৬।০৫।১০
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
Tea for two, Two for tea,
Me for You, & You for Me.
মন্তব্য
চমত্কার চা-চাপিত লেখা!
আমার চা-খোর ছোট ভাইটি এ লেখা পড়ে নির্ঘাত ভাবতে বসবে, "আমার আগেই লিখে ফেললো?!" অথবা হয়তো হুটহাট ছুটবে চা করবে বলে!
ওরই বানানো নেসক্যাফে গোল্ডের স্বাদ নিয়ে ঘুমের এন্তেজাম করছি, এমন সময়েই এ সুস্বাদু লেখাটি চোখে পড়লো!
দিন শেষের সুন্দর উপহারটির জন্য ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আহ্, এটা শান্তির খবর যে অন্যরাও ঘুমাবার আগে এসব চা-টা খায় আরকি!
কফি জিনিসটা অবশ্য আমার কখোনোই তেমন পছন্দ ছিল না, হবেও না মনে হয়। তবে কফির গন্ধটা আমার ভালই লাগে। আর কফি ফ্লেভারড লজেন্সও ক্ষেত্রবিশেষে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কফি খাই আজকাল, তবে সেটা ভাইপ্রবরের হাতে করা হলে। ও যেটা বানায় ওটাকে বোধ হয় কফির বাঙালি সংস্করণ বলা যেতে পারে। বেশ 'ক্রিমি' এবং ইয়াম্মি!
দেখা গেলো সবাই বসে মুভি গিলছি বা ঘুমের জন্য এলিয়ে পড়েছি, হঠাত্ ও লাফ দিয়ে উঠে জিজ্ঞেস করছে, "খাইবা?" "হ্যাঁ" বলতেই হাজির- গরমাগরম চা বা কফি!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
লেখা খুব ভালো লাগল। প্রসঙ্গটাও খুব প্রিয়।
আমিও মহা চা-খোর। চা ছাড়া আমার একদম চলে না। নতুন কোথাও গেলে সেখানকার চা চেখে দেখা চাই আমার। যখন ভীষণ ক্লান্ত থাকি তখন আমার ঘুম আসে না কিছুতেই। এক কাপ চা খেয়ে ঝরঝরে হয়ে তারপর ঘুম।
যেমন আমার চায়ের শখ তেমন শখ চায়ের কাপের। কত রকমের কাপ যে আছে আমার!
তবে নিজে চা বানাতে পারি না। যখন হোস্টেলে নতুন উঠলাম তখন একবার চেষ্টা করেছিলাম। সেটা এত বিশ্রী হয়েছিলো যে ওটা খেয়ে আত্মহত্যার করার কথা ভেবে দেখা যেতে পারে।
অফটপিক:
লেখায় ইংরেজি শব্দের ব্যবহার যতটা সম্ভব না করাই বোধহয় ভালো। আর কিছু শব্দের ব্যাপারে বলার ছিলো। এখানে দিলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হুম, দেখেছ? আমার বন্ধুদের চা-প্রীতি থাকা চাই-ই
এমনি হঠাৎ এক কাপ চায়ের সাথে মনে হল লিখে ফেলি এটা। তোমার মন্তব্য দেখে আবার লগ-ইন করলাম। ভাল লেগেছে জেনে ->
কিন্তু একবার চা বানিয়েই হতাশ?! তোমার সংগ্রহে পারস্যের কাপ আছে কিনা ভাবছি...
যাক! চা খেয়ে ঘুমাতে যাবার আরো মানুষ আছে তাইলে!
অফটপিকঃ
যেভাবে ভাবছি বা বলছি সেভাবে লিখতেই ভাল লাগে। তবুও বেশ তোমার কথাটা মাথায় রাখার চেষ্টা করব এরপরে।
আর বানানগুলির জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
টাইপো গুলি এখানে দিয়ে দেই -
ঝকোমক্ত > ঝকোমকো, সব্রকম > সবরকম, ব্যার্থতা > ব্যর্থতা,
জুরোনো > জুড়ানো
আরো একটা খুঁজে পেয়েছিলাম, এখন হারিয়ে গেল!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পারস্যের কাপ নেই। তবে পারস্য থেকে আনা ছোট্ট একটা সামাভার আছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তোমার সামাভার থেকে আমার একটা রাশান গল্প মনে পড়ল। পরে এক সময় বলতে হবে সেটা।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চা > কাপ > পারস্য > সামাভার > রাশান গল্প
এরই নাম আড্ডা। তাই না?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই যে, আরেকটা টাইপো -
পচ্ছন্দ > পছন্দ
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমিও আয়েশ করে চা ''খাই'' (সিলন, দার্জিলিং আর নইলে আর্ল গ্রে) এবং মগেই। আর একদম ব্ল্যাক টি, একটু মধু, আর কাশি হলে লং-আদা কুচি দিয়ে। দেশে থাকলে আবার লেবু চা খাওয়ার চল ছিলো, সেটা বাইরে এসে সবসময় করার সময় হয়ে উঠে না। আমাদের দেশের ট্র্যাডিশনাল দুধ-চা খাই আড্ডায় থাকলে কারো বাসায়, আর গরম মশলাদার কড়া চা নর্থ ইন্ডিয়ার কি ইস্ট আফ্রিকার, পরীক্ষা্র সময় আর ঠান্ডা আবহাওয়ায় খেতে ভাল লাগে। আবার, জেসমিন টি, ক্যামোমাইল টি, গ্রীণ টি - স্বাদ অদল-বদল করে মাঝে মাঝে খাই। মজার ব্যাপার হলো, আমাদের দেশের চা আমি নিজে ইউরোপ থেকে গিফট পেয়েছিলাম, টিনের বক্সে প্রসেসড পাতাদার চা, মাত্র ক'দিন আগে শেষ হলো। খুব মজা লেগেছিলো দেখে!
কফিও খাই, তবে অত ঘনঘন না। আমেরিকাতেও চায়ের আজকাল বেশ কাটতি চলে, যদিও হাসি লাগে যে এখানে লোকালাইজড হয়ে ''অমুক চায়ে টি'' হয়ে গেছে। একবার স্টারবাক্সে একজনকে ঠিক করে দিয়েছিলাম কিন্তু এভাবেই এখানে নামকরণ হয়ে গেছে, তাই কী আর করা। গরমে ''কোল্ড টি'' ভাল লাগে (সাথে অনেক কিছু অ্যাড করা হয়), কিন্তু যেটা ''আইস টি'' বানায় এরা, একদমই ভাল লাগেনি। আমি অনেকবারই খেয়েছি কারণ গরম চা খানেওয়ালাদের এটা অনেকটা নতুন স্বাদ নেবার ব্যাপার, তবুও কিছুতেই ভাল লাগাতে পারলাম না।
আমাদের দেশে স্টারবাক্স-এর মতো যদি দেশি দোকান থাকতো, যেখানে খালি চা-কফি নিয়েই নানারকম এক্সপেরিমেন্টাল ব্যাপার-স্যাপার থাকতো, ভাল হতো (দেশে কী এখন খুলেছে এরকম দোকান আসলেই?)। কফি-১১-এ আমি জানি কফি নিয়ে কিছু মেন্যু আছে, আগে গুলশান-২ -এ ছিলো, এখন দেখছি বনানীতে গেছে, আগ্রহীরা ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন (এখানে ওয়াই-ফাই কানেকশন আছে)। কজমো'র লেটেস্ট মেন্যুর খবর বলতে পারবো না, তবে ওদের ড্রিঙ্কস-এর অপশন ভাল ছিলো। ক্যাফে ম্যাঙ্গো তো পুরনো আড্ডার জায়গা!
অনেক বকবক হলো, এবার যাই। যাওয়ার আগে স্টারবাক্সে যেসব টাজো (এইটা আরেকটা পছন্দের ব্র্যান্ড) চা পাওয়া যায়, তার হদিস দিয়ে গেলাম। আমি নিজেই টাজো'র প্যাশন চা'র বেশ ভক্ত।
আর, প্যাশন টি ব্রু করলে এইরকম দেখতে লাগে!
ভাল লেখেছো। আর, ক'দিন অপেক্ষাই না হয় করো, আমরা হিমাচল-লাদাখে কিম্বা নগরকোটে ট্রেকিং করতে গিয়ে না হয় গরম চা আর গরমা গরম পাকোড়ে দিয়ে গল্প করবো, কেমন?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
শরৎ আপু, আপনি চায়ের যে বিশাল বিবরণ দিলেন, আমি পুরা টাশকি খেয়ে গেলাম! যান, আপনি সিনিয়র তাই মেনে নিচ্ছি অভিজ্ঞতাও বেশি হইসে চা নিয়া।
আমার কেন জানি দেশের মধ্যে ঘুরে ঘুরে পথের ধারের দোকানের চা খেতেই বেশি ভাল লাগে, আর কোন জায়গার থেকে। সেগুলো এত চমৎকার ক্লান্তি দূর করতে পারে! আর আমার কাছে চা মানেই অনেক অনেক স্মৃতি, ছোট ছোট গল্প, ভাল লাগা, মন্দ লাগা, অনেক অনেক পুরোনো কথা... ... এ লেখাটা মূলত সেই সব স্মৃতি কাতরতা থেকেই লেখা।
আর ইস! ক্যাফে ম্যাঙ্গো তো নতুন করে স্মৃতি কাতর করে তুলল। যদিও এবারেরগুলি চা বিহীন... আহ্ হা! আমার এস ই সি এস গ্রুপ টাকে আবার মিস করিয়ে দিলেন আপনি, ধূর আপনি মানুষ পচা!
এই খুশিতে আপনাকে একটা লিংক দেই - এইখানে পাবেন ঢাকার প্রায় সব রেস্টুরেন্টের মেন্যু।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হে, হে, হে!
ও হ্যাঁ, টং-চা বা অমুক মামা-তমুক মামা'র চায়ের কথা তো ভুলেই গেসলাম। ঢাবি-তে তো এভাবেই চা খেতাম, সাথে বিস্কুট, না হলে পাকোড়া, চিকেন ফ্রাই, পিঠা - আর কি কি জানি পাওয়া যেতো - ও হ্যাঁ, ডাল্পুরি, চানাচুরমাখা, আলুর চপ ইত্যাদি (মানে এইসব আবার পাশেই থাকতো দোকানের)। আর ইন্ডিয়া-তে বেড়াতে গেলে রাস্তার ধারেই ''ধাবা''-গুলোতে বেশি খাওয়া হতো - যেমন স্বাদ, তেমন সস্তাও।
ক্যাফে ম্যাংগো যখন প্রথম খুল্লো ধানমন্ডিতে, আমরা তখন কলেজে পড়ি। আমার বড় কাজিনটার ফ্রেন্ডের এই ক্যাফে, তো আমরা কাজিনরা দলবেঁধে গেলেই আমাদের পোর্চ-এর স্পেইসটা ছেড়ে দিতো (ওই যে, সেমি-ছাদ জায়গাটা)। আমরাও হইচই করে ফাটাতাম জায়গাটা। আর, ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে, ভেতরের চেয়ে বাইরেই আরাম ছিলো বেশি, ভীড়ের চোটে নীচতলাটা এমনিতেও ''গরম'' হয়ে থাকতো। পরে যখন তোমার আগের কাজের জায়গায় পড়াতাম, তখন গুলশান-২-এর টায় প্রায়ই যাওয়া হতো, এখন তো বাসার একদম কাছেই। কত কী যে মনে পড়ে গেলো তোমাকে এইসব বলতে গিয়ে!
হা, হা! ভাগ্যিস বলো নাই যে ''দূরে গিয়া মরেন!''
আসি আগে, তারপর এইসব জায়গায় যাওয়া যাবে। অনেক নতুন রেস্টোরান্ট খুলেছে জানি কিন্তু কয়টা আসলেই ভাল কিম্বা "স্ট্যান্ড আউট" করে ডেকোর-অ্যাম্বিয়্যান্স-মেন্যু- কোয়ালিটির দিক থেকে, সেটাই আসল কথা।
ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
উফ! বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের চা-গল্প গুলি বেস্ট মনে হয়... আহা রে! সেই যে আমার সোনা চা-য়ের দিনগুলি... H-হল সে জীবনের বন্ধু, আর আজকে আমার কলীগ... মাঝে মাঝে মনে হয় মগটা ভাঙায় আমার লাভই হয়েছে, খুব দম বন্ধ করা কিছু দিন পেছনে ফেলে সামনে এগুতে আভাস দিয়েছে। কাজটা সহজ নয়, কিন্তু অসম্ভবও নয় কোন কিছুই। হয়ত ওটা যাকে বলে একটা 'সাইন' ছিল। আর এইযে এখন আরেকটা মগ পাচ্ছি না, হয়ত এটাও একটা 'সাইন'। হুম্ম্... নতুন চিন্তার খোরাক মিলল...
যাই হোক, ধানমন্ডির ক্যাফে ম্যাংগোর কিন্তু রেনোভেশন হয়েছে, পুরোনোটা দেখি নাই আমি, খালি গল্পই শুনেছি সবার কাছে। আর যাই বলুন অন্যটার খাবারের স্বাদের সাথে এটার তুলনাই হয় না! তবে গত বছরের এক বর্ষণ মুখর সন্ধ্যায় স্কুলের বন্ধুদের সাথে একটা জমাটি আড্ডার স্মৃতি এখানেও আছে।
হুম! আপনি আসুন, দেখি কোথায় কোথায় ঢুঁ মারা যায় নতুন-পুরাতন।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
টাজো'র এই ওয়েবসাইট-টা চেক করে দেখতে পারো। চা খাওয়া যে একটা শৌখিন ব্যাপার-স্যাপার হতে পারে, তা এইসব ওয়েবসাইট দেখলে বোঝা যায়। আমার ওদের প্রায় সব ফ্লেভারই পছন্দ।
মজার ব্যাপার, নস্টালজিক হয়ে সিলেটে এক চা বাগানের ভেতরকার রাস্তার একটা ভিডিও পেলাম, ছোটন হকের তোলা। পেছনে ''গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ'' বাজছে। দারুণ লাগলো!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
- রাঙামাটির পথ গান শুনে গাড়িতে যাবেন পিচঢালা পথে! সেরকম একটা কম্বিনেশন!
আমাদের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাটা আগে যখন মাটির রাস্তা ছিলো, তখন যখন গাড়িতে করে ঢুকতাম ঐ রাস্তা দিয়ে, আশেপাশের দৃশ্যগুলো এখনও চোখে ভাসে। গাড়িটা একবার ডানে আবার বামে কাত হয়ে যেতো। উঁচোনিচুর কারণে। ঐ পথে মনে করেন, এই গানটা চলে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
টাজোর এই সাইটটা আপনি বলার আগেই দেখছিলাম আমি। সাইটের লে-আউটটা জটিল লাগলো। কিন্তু এত চা দেখে তো মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এ তো সারা জীবন শুধু চা খেলেও সবগুলো চেখে দেখা শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না!
ভিডিওটা সুন্দর। কিন্তু চা বাগানের সাথে গ্রাম ছাড়া ঐ গানটা একটু খাপ ছাড়া লেগেছে। এখন হবিগঞ্জের চা বাগানে আমার নিজের করা হোম ভিডিও বের করে দেখতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু অলসতার জয় হচ্ছে, খুঁজতে ইচ্ছা করছে না...
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সুন্দরবন হোটেলের এখানে যখন আরেকটা শাখা খুলছিলো, তখনও নিমন্ত্রণ ছিলো, যাওয়া হয় নাই।
ক্যাফে ম্যাঙ্গো নিয়া পাবলিকের মাতামাতি দেখি, ভাবি শালায় কী মিসটাই না করলাম জীবনে! খাইলাম ই না! হারাজীবন নীলক্ষেতের বিরানি মাইরা গেলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুলশান-বারিধারার মাঝের ক্যাফে ম্যাংগোর খাবারের স্বাদ সত্যি ভাল। তবে দুপুরের ম্যাংগোই ভাল বেশি, যদি আপনি বসবার জায়গা পান, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির রকমারি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে হটিয়ে! ক্যাফে ম্যাংগো সহ আরো অন্য অনেক দোকানের আউট-লেট নিয়েই আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে। আমার ভাই আরাম করে বসে খেতে ভাল লাগে। প্রায় সর্বত্রই খালি হাউ-কাউ আর ঘাড়ের উপর লোক দাঁড়িয়ে আছে এমন অবস্থা দেখি ইদানিং!
তবে ক্যাফেগুলি (যদিও ক্যাফে ম্যাংগোকে ঠিক 'ক্যাফে' বলতে নারাজ আমি!) তখনি মেন্যুর চেয়েও আকর্ষণীয় যখন সেখানে যাওয়া যায় আড্ডাবাজির জন্যে, বা সময় কাটাতে, বা খুব কাছের দু'চার জনের সাথে..
কাজেই অসুবিধা কী আপনার না যাবায়? ক্ষতি আপনার হয়েছে বলেতো মনে হচ্ছে না আমার, বরং ক্যাফে ম্যাংগো-ই বঞ্চিত হচ্ছে একজন মহান ধুগোর পদধূলি থেকে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
- ক্যাফে ম্যাঙ্গোতে যাই নাই, কারণ পকেট সাপোর্ট দেয় নাই। এদিক দিয়ে নীলক্ষেত জিন্দাবাদ।
তবে, ক্যাফে ম্যাঙ্গোর মালিক মিয়ার আপিসে নাইলে বাসায় আড্ডা মারতাম। তার বউ আবার আমার এক ফ্রেন্ডের কাজিন এবং আমাদের ইয়ারমেইট। সুতরাং আড্ডা বেশ জম্পেশই হৈছে। আর আমি বেসিক্যালি ভবঘুরে মানুষ, অতো বিগ প্রোফাইলের জায়গায় নিজেরে কেমন জানি লাগে! যারা যায় ওখানে, তারা অনেক স্মার্ট। আমি শালায় ক্ষেত, আমার জন্য নীলক্ষেতই পারফেক্ট।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, আমারো পকেট সাপোর্ট করবে না আর! ঐ জন্যেই দেখেন শরৎআপুকে হাতের মধ্যে রাখছি, উনি সাথে নিয়ে যাবেন
কিন্তু আপনার সাথে মালিকের খাতির দেখেতো মনে হচ্ছে আপনাকে ধরে নিয়ে গেলেও হয় সাথে! ফ্রী-ই খাওয়া যাবে আপনার অনারে!
আর আমি তো বললামই - ক্ষতি আপনার হয় নাই, বরং ক্যাফে ম্যাংগো-ই বঞ্চিত হয়েছে একজন মহান ধুগোর পদধূলি থেকে। <-- মন থেকে বলা একদম!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ওহ্! একটা ভুল চোখে পড়ল।
বেলা ইটালিয়ার আইস টি হবে।
'কোল্ড-টি' টা তাড়াহুড়োয় লিখে ফেলেছি মনে হয়।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বেলা ইটালিয়ায় (দু'খানেই) এত যেতাম আর এতবার টেইক আউট নিয়ে গেসি যে, এরা আমাকে সবাই চিনতো। আমেরিকাতেও ওদের মতো ভাল থিন ক্রাস্ট পিতজা বানাতে পারে না। এখন তো আমাকে পিতজা অর্ডার করতে হবে, দুরো!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
- "আইস টি" কি আসলে কোনো প্রকারের প্রথাগত 'চা'? আমি তো যে আইস টি খাই সেটা তো পাতলা জ্যুসের মতো, বিভিন্ন স্বাদে টেট্রাপ্যাকে পাওয়া যায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
টেট্রা-প্যাকে ফ্লেভারড আইস-টি... হুম্ম্... বলতে পারি না কেমন লাগবে।:-? আপনার কেমন লাগে খেতে তা জানিয়েন। আর কোন্ স্বাদের গুলি ভাল বেশি?
এক এই 'বেলা ইটালিয়া' ছাড়া অন্য কোন জায়গার আইস-টি আমার এখনো ভাল লাগে নাই। তাও আবার সেরকম গরম পড়লেই এটা ভাল লাগে। তবে আমার সাধারণত ব্লেন্ডেড/ফ্লেভারড টি ভালই লাগে না। কিন্তু শরৎ-আপার টাজো লিঙ্ক-টা দেখেন! মনে হচ্ছে আমাদেরকে আবার নতুন করে 'চায়ে-টি' খাওয়া শিখতে হবে!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
- তারমানে আপনি বলছেন, প্রথাগত চা-ই আমি আইস-কোল্ড করে খেয়েছেন! আমি ফ্রিজে ঢুকিয়ে ঠাণ্ডা বানিয়ে খেয়ে দেখেছি, জঘণ্য লেগেছে তো!
তবে হ্যাঁ, কফিটা ভালোই লেগেছে একই স্টাইলে খেতে গিয়ে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আগে বলেন, যে আমি খেয়েছি, না আপনি খেয়েছেন?
আইস টি-য়ে বরফ চাই, হাল্কা লিকার, রঙ-চা হবে।
কোল্ড টি এখানে বলছে একটা এল্কোহলিক ড্রিঙ্ক!? আমরা যেটার আলাপ করছি সেটা স্রেফ ঠান্ডা চা। হতে পারে দুধ চা-ই, ফ্রীজে ঢুকিয়ে ঠান্ডা করে নেয়া।
আমার প্রথোমোক্তটাই ভাল লাগে, গরমের দিনে, তাও শুধু ঐ দোকানেরটাই।
এখন প্রশ্ন, টেট্রা-প্যাকে আপনি কোন্ রকম খান? প্রথমটাই তো? কেমন ওখানকার টেট্রা-আইস-টি, আপনার মত কী?
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
- মগ কোনো ব্যাপার হলো! বাজার থেকে সাদা রঙের যেকোনো মগ কিনে তাতে বিমূর্ত চিত্রশিল্পী মহামান্য ধুগোর একটা শিল্পকর্ম স্কচটেপ দিয়ে আটকায়া নিলেই তো হয়ে যায়, ভেজাল শেষ। বলি, এই শিল্পকর্ম সমেত মগ কিনতে গিয়ে তো কয়েক মিলিয়ন দিনার গুনতে হবে ভবিষ্যতে। তর চেয়ে এখনই করে ফেলেন। নাইলে পরে কিন্তু প্যাটেন্ট আপিসের ঝামেলায় লটকে যেতে পারেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কেন? 'দিনার' দিয়েই কিনতে হবে কেন?? আপ্নে কি ভবিষ্যতে তেলের ব্যবসা করতে মিডল-ঈস্ট থাকার পরিকল্পনা হাতে নিসেন? কার সাথে চুক্তি করছেন? আম্রিকা, না লাদেন?
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
- চিন্তা করে দেখলাম, ডলার-ইউরোর দাম যতোই উঠানামা করুক, এই শালার দিনারের দাম কখনোই পড়বে না। তাই একটা ফিক্সড কারেন্সি বেছে নিলাম আরকি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি সেই হবুচন্দ্র রাজা আর গবুচন্দ্র মন্ত্রীর বোকাদের দেশের গল্পটা জানেন তো? সেই যে, যে দেশে পানির দাম ছিল তেলের দামের চেয়ে বেশি? আমার দেখায় এই দেশ এক্সিস্টিং! আমাদের এখনকার সময়ের তেলের দেশগুলাতে গেলেই এই বোকাদের দেশ দেখা যায়।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কোন সিল্টা দেবে? এই যে ধূতির খেট ধরে ''ইয়ে'' করতে যাচ্ছে হাতে লোটা ধরে, এইটা?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
- এইটা একটা "সেরকম" ছবি হবে কিন্তু চা'য়ের মগে ছাপ্পা মারার জন্য!
এইটার বড় একটা ইমেজ পাইলে টি-শার্টে ছাপ্পা মারতাম। মাগার ছবিটা হারায়ে ফেলছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহেম, আহেম! আসলেই, চা খেয়ে অনেককে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বাথরুমে দৌড়াতে দেখসি সক্কালবেলায়, কাজেই ''এইটা''-র ছাপ্পড় মারার আইডিয়াটা কিন্তু খারাপ না। আবার, যাদের বাথরুমে গিয়ে জিকির করে ''আল্লাহ হুম্মা, ছাইড়া দে না'' পড়তে হয় (এইটাও ফ্যামেলিতে দেখসি), তাদের জন্যও এই সিম্বলিক সহমর্মিতা একমাত্র ''এইটা''-র ছাপ্পড় আলা মগ দিয়েই বুঝানো সম্ভব। তোমারও মিয়া একই প্রবলেম নাকি, দুনিয়ার সব ছবি বাদ দিয়া খালি ''এইটা''-ই পছন্দ হইসে?
কী ''হারায়ে ফেলছি'' ডায়ালগ দিতেসে দেখো। মিয়া, ''খোঁজ দ্য সার্চ'' দাও। পাওয়া যাইবো না মানে? ক্যাপ্টেন ববি অ্যান্ড দ্য প্ল্যানেটিয়ারস স-ব বের করে ফেলবে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, এমআরসিপি (ইউকে), এফআরসিপি (এডিন)
প্রফেসর অব মেডিসিন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি
শাহবাগ, ঢাকা ১০০০
আমাকে চা খেতে নিষেধ করেছেন। তবে খুউব খুউব খুউব নেশা যদি কখনো পায়, তখন একটা লাল চা খাওয়া যেতে পারে। আরো বেশিদিন ভালোভাবে বাঁচতে না খাওয়াটাই উত্তম!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
আয়-হায়! চা-খাওয়া বারন?? এই ডাক্তারের ডিগ্রী-টিগ্রী গুলি ঠিক আছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখলে হত না?
আপনি চা ছাড়া আছেন ভেবেই খারাপ লাগছে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পান্থদা- আপনার কি মাথা খারাপ নাকি? ডাক্তারদের উপদেশ মেনে চললে মানুষ 'ভালোভাবে বাঁচে'টা কিভাবে??? ওরা মানুষের ভালভাবে বাঁচা সম্বন্ধে কিছু জানে নাকি?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চা খাওয়া একটা শিল্প রে ভাই ... মহান শিল্প
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এইটা হল গিয়া একটা জ্ঞানের কথা!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চা খাই না। তবে, মহাপুরুষেরা অনেকেই খেতেন, আবার অনেকেই না।
মাঝেমধ্যে ঠান্ডায় বা বর্ষায় লেবু-আদা চা, এই আমার চায়ের দৌড়।
তবে, আইস টি খাওয়ার ইচ্ছে আছে কখনো। আর, রাজস্থানের উটের দুধের চা। সবচাইতে জঘন্য চা নাকি, নবনীতা দেবসেনের ভাষায়, তিব্বতের চা। তাঁর 'ট্রাকবাহনে ম্যাকমোহনে'-তে পড়া। দেখি, সুযোগ পেলে লাইনগুলো একদিন তুলে দেবানে।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
রাজস্থানের আর তিব্বতের চা আমারো চেখে দেখবার ইচ্ছা আছে। 'ট্রাকবাহনে ম্যাকমোহনে' আমার পড়া হয় নাই, কিন্তু কোথায় যেন আমিও পড়েছি তিব্বতের চা-য়ের বাজে স্বাদের কথা। না খেয়ে অবশ্য মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই যে পেলাম নবনীতার লাইনগুলো:
শুধু তাই নয়। পরপর তিনকাপ খেতে হবে। বমি আটকে তিনি তাই খেয়েছিলেন মহাকষ্টে। তবে, এখানেও কিছু কৌশল আছে, কমু না।
খান এলা তিব্বতি চা।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
না ভাই, এ জিনিস একা খাওয়া ঠিক হবে না, সাথে লোকজন থাকা চাই। আর অবশ্যই একজন ডাক্তার!
এ বইটা যোগাড় করতে হবে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কোন অপটিমাম মগের দরকার নাই। চায়ের দরকার হইলে যেকোন পাত্রে খাইতে পারি। কিন্তু এমন মরার দেশে আইলাম, নিজে চা না বানাইলে অন্যগুলা মুখেও দেয়া যায়না!
লেখা ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চা এবং চায়ের মগবিষয়ক রচনাবলীর সাথে আমার চিন্তাধারা মিলে যাওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি! আর তারপরে দেখি কে জানি ক্যাফে ম্যাঙ্গোর কথাবার্তাও বলতেছে। সব পাপীরা একভাবে চিন্তাভাবনা কর্লে কেম্নে কি???
হায়রে- ক্যাফে ম্যাঙ্গো! আমি বড় হয়ে একটা সেইরকম চায়ের দোকান দিমু- একদিকে চা, অন্যদিকে বই- আর ব্যাকগ্রাউণ্ডে রবার্ট ক্রে- আর নাইলে শান্তনু বিশ্বাস!
*দিবাস্বপ্ন ইমো
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমারে সাথে নিয়েন। আমি একজন ঈমানদার চা-প্রেমী।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সব পাপীরা একভাবে চিন্তাভাবনা না কর্লে - সবাই পাপী হব ক্যাম্নে??!
হুম, আমিও বড় হয়ে সেইরকম একটা বইয়ের আড্ডার জায়গা দেব!
Words 'n Pages খানিকটা ছিল ঐ রকম। খুব বেশি দাম বইয়ের। আর যখন যা খুঁজি পাই না কখোনোই। Etc.ও বই পড়বার জন্যে খতম।
শান্তনু বিশ্বাস বাজাতে হবে, সাথে রবার্ট মাইলসও! আমি নামও ঠিক করে ফেলেছি, এই দেখেন - চা-ড্ডা!!
কবে যে বড় হব তাই ভাবছি খালি...
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বইয়ের আড্ডার জায়গা নিয়ে হিমু ভাই বিস্তারিত পরিকল্পনা করেছিলেন একবার। ঢাকাস্থ কর্মবীরদের(!) কাজের চাপে সেটা থিতিয়ে গেল।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আহাহাহাহাহাহাহাহ...কী বলবো বুঝে পাচ্ছিনা।
মন,জিভ,ঠোট,গলা,বুক,আত্মা সবকিছু ছুঁয়ে যাওয়া একটা লেখা।
এই মাত্র এক কাপ কফি খেলাম(নেসক্যাফে গোল্ড),লেখাটা পরে মনে হচ্ছে এখন এক কাপ চা(ফিনলে'র মসলা চা বোধহয় স্টকেই আছে) করে না খেলে আজ আর ঘুমানোই হবেনা!
আমিও নিজেকে চা-খোর ভাবতেই পছন্দ করি।আমার এক খালাতো ভাই তো আমার নাম ই দিয়ে দিয়েছে 'মিষ্টার টি'!টুকটাক কবিতা লেখার অভ্যাস আছে,মাঝে মাঝেই বেশিরভাগ কবিতাতেই চা'য়ের অনুপ্রবেশ ঘটে যায়।খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে বাসায় সবসময়ই ব্যাপক ঝামেলা করি,কিন্তু চা খাওয়ার ব্যাপারে আমার কস্মিনকালেও না নেই।
আমার ভাইয়া অনেক দিন ধরেই বলছিলো,চা নিয়ে লিখতে।লেখা হলোনা,আমি যা যা লিখতাম তার প্রায় সবই লিখে ফেললেন।
নিজে বানিয়ে খেতেই বেশি ভালো লাগে,খাওয়াতেও।বাসায় থাকলে খাওয়া হয়;দুধ চা,লেবু চা,কালো চা,সবুজ চা আর তুলসী চা।যখন যা ভালো লাগে।বাসার বাইরে গেলে গরুর দুধের চা আর লেমন স্কোয়াশ চা(বাসা থেকে একটু দুরে এক দোকানে পাওয়া যায়,আমার জীবনে খাওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ লেবু চা)।এছাড়াও যখন যেটা পাই,তা তো চলেই।
কোল্ড-টি বানিয়ে খাবো খুব শীঘ্রই,ইনশাল্লাহ!
সাত-রঙা চা টা এখনো চাখা হয়নি,জীবনের আফসোস।খিলগাঁও এর তালতলা সুপার মার্কেটে গিয়ে খেয়ে আসতে হবে একদিন।
আর কত বলবো।চা নিয়ে লিখথে থাকলে কখনোই শেষ হবেনা।
অসঙ্খ ধন্যবাদ,এত সুন্দর একটা লেখার জন্য।
ভালো থাকুন।চা দীর্ঘ্রজীবি হোক!
[বিষন্ন বাউন্ডুলে]
খাইছে! এত তেল আমি এখন কই রাখি!
সাত-রঙা চা কি সিলেট ছাড়িয়ে খিলগাঁও চলে এসেছে নাকি?? আমারতো সিলেটেরটাই খাওয়া হয় নাই, তালতলা সুপার মার্কেটে একদিন ঢুঁ মারতে হয় তাইলে!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সাত রঙা চা আসলে ভালো হয় শ্রীমঙ্গলের নীলকন্ঠের চা'য়ের দোকানে।
প্রথম আলো'য় একটা লেখা পড়ে জানলাম,সেই দোকানের অথবা সিলেটেরি কোন এক সাত রঙা চা এর দোকানেরই শাখা আছে তালতলা সুপার মার্কেটের ৫/৬ তালায়।ঢু দিয়ে দেখতেপারেন।
[বিষন্ন বাউন্ডুলে]
ইয়ে....
চা বিষয়ে না আমার একটা কথাই মনে হয়
এরকম একটা বাজে জিনিস মানুষ খায় কী করে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
- আইসো বাবুল, বুকে আইসো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কীইইইইই! হাবিজাবি ব্র্যান্ডের হিবিজিবি চা খেলে তো এরকম মনে হবেই!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
:D
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শোনেন, এই প্রসঙ্গে মনে পড়ল (ক্যাম্নে এতক্ষণ ভুলে ছিলাম কে জানে?!) -
বেইজিং-এ আছি, একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলন হচ্ছে। খাওয়া দাওয়ার জন্যে প্রতিবেলায় শহরের মধ্যে যাই আমরা। লোকাল রেস্টুরেন্ট পছন্দ হইসে একটা। একদম আমাদের দেশী রেস্টুরেন্টের মতই, হাউ-কাউ করছে সব মানুষজন। খাওয়া দাওয়া আড্ডা চলছে মহা সমারোহে।
ওয়েইট্রেস থেকে শুরু করে দোকানের কেউ মাশা-আল্লাহ ইংরেজী বোঝে না। আমি শিল্প-চর্চা শুরু করি, ছেলেবেলার মাছ-মুরগি আঁকার সদ্ব্যবহার হয় এতদিনে।
এই দোকানে ওয়েইট্রেস প্রথম যে কাজটা করত, তা হল প্ল্যাস্টিকের রঙীন গ্লাসে, গরম ধোঁয়া ওঠা চা ঢেলে দিয়ে যেত! চিনিহীন হালকা লিকার চা। একদম যেভাবে আমাদের দেশের রেস্টুরেন্টে ছোট ছোট ছেলেগুলো কাচের গ্লাসে ঝপাঝপ পানি ঢেলে দিয়ে যায় না? ঐ-রকম! যত বার শেষ হবে, ততবার দিয়ে যাবে। পানির বদলে চা! আপনার ভাল লাগল, কি না লাগল, তাতে কিছুই এসে যায় না। খাইতে চাইলে খাবেন, নাইলে পানির অভাবে থাকবেন, মিনারেল ওয়াটার বুঝাইতে যদি পারেন, ভাল!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গুলশানে একটা কোরিয়ান রেস্টুরেন্ট আছে, সুরা। ওইখানে একটা চা দেয় খাওয়ার পর , নামটা জানা হয় নাই। কেউ কি নামটা বলতে পারেন ?
আহ্! সুরা-র সামনে দিয়ে যেতে আসতে কত ভেবেছি একদিন ঢুকতে হবে, কিন্তু একার সাহসে কুলালো না! কী চাইব, আর কী দেবে, সেই ভয়ে!
অন্য কাওকেও রাজি করানো গেল না।
আপনি বেশ অভিজ্ঞ মনে হচ্ছে, তাইলে চলেন একদিন আপনারে সাথে লই যাই কোরিয়ান চা খাইতে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দূরত্বজনিত সীমাবদ্ধতার জন্য (৭০০০ + মাইল) কোরিয়ান চা এবারের মত আর হল না।
তবে আপনি একবার হলেও ট্রাই করতে পরেন সুরা। বিফ অথবা চিকেন বুলগোগি ( কোরিয়ান বার্বিকিউ)।আমার বেশ ভালই লেগেছিল।
আপনি তো দেখি আসলেই অনেক দূরে! এর থেকে তো মনে হচ্ছে কোরিয়া-তেই চা খেতে যাওয়া ভাল!
সাজেশনের জন্যে ধন্যবাদ।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ওঃ হো, আরো মনে পড়লো, অমিতাভ ঘোষের লেখা একমাত্র থ্রিলার 'দ্য ক্যালকাটা ক্রোমোজম'-এ পড়া পুদিনা পাতার গন্ধ আর মশলাসুবাসিত মিশরি চা-এর কথা।
হায়, চা কিভাবেই না বিবর্তিত হয় দেশে বিদেশে!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আপনি দেখি চা না খেলেও বই-পত্রের চা-য়ের হদিশ বেশ খেয়াল রাখেন!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চা এর সাথে সম্পর্ক বেশীদিনের না। এই গত ৫,৬ বছর ধরে তেনার সাথে মিতালী। এর আগে কেউ পান করলে তাকে মুখ বাঁকা করে বলতাম 'ইছ ইছ থু! কেমনে এই বিস্বাদ জিনিসটা খাস তোরা'। এরপর এক বদ খাটাশ ইবলিশ বান্ধবীর চক্রান্তের শিকার হয়ে এই নেশায় জড়ালাম। তখন আমাদের ২ জনের কারো মা কাছে থাকতো না বলে ভালোমন্দ খানাপিনা কপালে জুটতো না, কাজের বুয়া যা রান্না করতো তা একবার খেলে ১০ দিনের ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায় অবস্থা। তাই সেই মেয়ে সারাদিন পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে চা পান করতো আর আমাকেও বাধ্য করতো। তখন ক্ষুধা নষ্ট করার কাজে আসতো আমার এই চা। এরপর পড়লাম এই জঘন্য নেশায়।
চা পান করে ভয়াবহ আনন্দ পাইছিলাম নাগরকোটে। ঠান্ডার মধ্যে কম্বল জড়িয়ে কাঠের বাড়ীর বারান্দার বেঞ্চে বসে গরম গরম মশলা চা খেতে খেতে চোখের সামনে ভোরের হিমালয় দেখা। তোফা!!
দৃশা
আহা, মা কাছে না থাকা আর খাবারের কষ্টের সাথে সমব্যথী হলাম।
আমার অবশ্য চা-খেলে ক্ষুধা নষ্ট হয় না...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নানান পদের নানান স্বাদের চা খেয়েছি সারা জীবনে। নেশা হয়নি কোনোটাতেই। ভালো লাগে সবুজ চা আর নাম-না-জানা কতো রঙের সব চীনা চা। তবে চীনা চা সম্পর্কে আমার ধারণা, রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে পথের পাশের ঝোপ থেকে আনমনে ছিঁড়ে নেয় পাতা জলে সেদ্ধ করে ওরা চা বলে চালিয়ে দেয়।
অপছন্দ করি প্রচুর দুধ আর প্রচুর চিনি ও অজস্র মশলাসহযোগে বানানো এক ধরনের মিষ্টান্ন, যাতে একটু পোলাওয়ের চাল দিলেই পায়েস হয়ে যেত। আমার বউ এটার ওস্তাদ; তার পরিমণ্ডলে সে রীতিমতো সেলিব্রিটি এই চা নামের কলঙ্ক বানানোর জন্য।
সবশেষে, চা সম্পর্কে কথা উঠলে একটা অনুপ্রাস আমার মনে পড়বেই:
"চাচায় চা চায়,
চাকরে চা করে।"
লেখা সিলোন চায়ের মতো সুবাসিত হয়েছে।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
লেখা পড়বার জন্যে ধন্যবাদ আনিস ভাই। আমার কিন্তু মনে হয় ভাবীর ঐ জনপ্রিয় চা আমার আবার খুব ভাল লাগবে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন